নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মুসলিম বাঙালী.... যে কিনা স্বপ্ন দেখে একটি সংঘাতহীন নতুন পৃথিবীর।

মুসলিম বাঙালী

একজন মুসলিম বাঙালী! যে কিনা স্বপ্ন দেখে একটি সংঘাতহীন সুন্দর পৃথিবীর।

মুসলিম বাঙালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"পান্তা-ইলিশের পোস্টমর্টেম\'

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২


পান্তা-ইলিশ কালচারটা নিয়ে আমি কখনোই মাতামাতি করিনি
বা করতে চাইনি! কারন এই রকম উৎসব,যেখানে
গরিব-দুঃখীদের সাথে ঠাট্টা করাহয় সেটা কোন
সুস্থ জাতি করতে পারেনা।
এইরকম ধৃষ্টতাপূর্ণ,কুরুচিপূর্ণ,ন্যক্কারজনক কাজ
কখনো একটি জাতির ঐতিহ্য হতেপারে না। আর
ঐতিহ্যইবা কাকে বলে? আমিতো জানি ঐতিহ্য বলাহয়
ঐ জিনিসটাকে! যা একটি জাতির হাজার বছরধরে লালন
করে আসা কোন গর্বের ইতিহাস! যাকিনা গর্বভরে
বলা যায়। কিন্তু পান্তা-ইলিশ এলো কোথাথেকে?
মাত্র ৩২ বছরধরে চলে আসা এই কাজটি কোন
জাতীয় সংস্কৃতি হতেপারে না! এটা হতেপারে একটি
জাতীয় লজ্জা এবং গরীবদের প্রতি হীনমন্যতার
বহিঃপ্রকাশ!!
মাত্র ৩২ বছর আগে গোড়াপত্তন হওয়া এই
উৎসবের কিছুটা ইতিহাস আপনাদের সামনে তুলে
ধরছি
আসুন দেখি লেখক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল দৈনিক
বাংলাদেশ প্রতিদিনে এ সম্পর্কে কি বলে------------
-------------------------------------------
“৫ সেগুনবাগিচা বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ছিল দৈনিক
দেশ এবং সাপ্তাহিক বিপ্লবের কার্যালয়। সে
কারণেই সেখানে বসত লেখক আড্ডা। আমি ছিলাম
একজন নিয়মিত আড্ডারু। ১৯৮৩ সাল, চৈত্রের শেষ...
চারদিকে বৈশাখের আয়োজন চলছে! আমরা আড্ডা
দিতে দিতে পান্তা-পিয়াজ-কাঁচামরিচের কথা তুলি। দৈনিক
দেশের বোরহান ভাই রমনা বটমূলে পান্তা-ইলিশ
চালুর প্রস্তাব দিলেন। আমি সমর্থন দিলাম। প্রথমে
আমাকে দায়িত্ব নিতে বললেন। কারণ, সেই আড্ডায়
আমিই একমাত্র সেই হাউসে বহিরাগত। ফলে কাজটা
সম্পাদন করতে সুবিধা হবে। কিন্তু আমি একা রাজি না
হওয়ায়, কবি ফারুক মাহমুদ আমাকে নিয়ে পুরো
আয়োজনের ব্যবস্থা করলেন। নিজেদের
মধ্যে পাঁচ টাকা করে চাঁদা তোলা হলো। বাজার করা
আর রান্না-বান্নার দায়িত্ব দিলেন বিপ্লব পত্রিকার
পিয়নকে। সেই হাউসে যারা তখন কাজ করতেন,
তাদের মধ্যে বিপ্লবের সম্পাদক কবি সিকদার
আমিনুল হক, প্রয়াত বোরহান আহমেদ, কবি ফারুক
মাহমুদ, দৈনিক দেশের সাহিত্য সম্পাদক হেলাল হাফিজ,
সাংবাদিক মাহবুব হাসান, শহিদুল হক খান, মুন্সী আবদুল
মান্নান, রোজী ফেরদৌস প্রমুখ। প্রথমে
আমরা পান্তা আর ডিম ভাজা দিতে চাইলাম। কিন্তু ডিমের
স্থলে স্থান পেল জাতীয় মাছ ইলিশ।
কাঁচামরিচ, শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ, ইলিশ
ভাজা নিয়ে 'এসো হে বৈশাখে'র আগেই
ভোরে আমরা হাজির হলাম বটমূলের রমনা
রেস্টুরেন্টের সামনে। সঙ্গে মাটির সানকি।
মুহূর্তের মধ্যে শেষ হলো পান্তা-ইলিশ।
এভাবে যাত্রা শুরু হলো পান্তা ইলিশের।”
(সূত্র: দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৪ই
এপ্রিল ২০১৪, লিঙ্ক: http://goo.gl/X6LKRl ,
আরো দেখতে পারেন- দৈনিক ইত্তেফাক, ১৪
এপ্রিল ২০১৪, লিঙ্ক: http://goo.gl/xnBcV8 )

অনলাইনে যখন এই লেখাগুলো পড়ছিলাম তখন মনেমনে ভাবছিলাম, আমরা কি আসলেই হুজুগে জাতি? সামান্য একটা ঘটনাকে কিভাবে একটা সংস্কৃতির সাথে জুড়ে দেওয়া যায় সেটাই বুঝতে পারছিনা।

আরেকটা কথা....! আমরা যেই সময়টাতে ইলিশ মাছ কিনতে ব্যস্ত সময় কাটাই সেই সময়টাতে ইলিশ মাছ ধরাই সরকারী ভাবে নিষেধ! কারন তখন মা ইলিশের ডিম ছাড়ার মৌসুম....

এখন প্রশ্ন আপনার নিকট, আপনি কি অপসংস্কৃতি নামক সংস্কৃতি নিয়ে মত্ত থাকবেন নাকি জাতীয় মাছ সংরক্ষণে সরকারকে সহযোগীতা করবেন....!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.