নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“নিতান্ত শায়িত আমি / কোথা আছি / কেউ তা জানে না শুধু / মাছেদের / রাষ্ট্রযন্ত্র তটস্থ / সমাজ / তারা জানে আমার / স্ট্যাটাস” -(ব্রাত্য রাইসু)

তাওহিদ হিমু

.

তাওহিদ হিমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইডেন গার্ডেন, বাঙালিয়ানা এবং উগ্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশের বিপরীতে পাকিস্তানকে কলকাতাবাসীর প্রাণান্ত সমর্থন মূলত বাঙালি জাতীয়তাবাদের দীনতা প্রকাশ করেছে এবং এই মতবাদকে আরো দুর্বল করেছে। আমি খেলার সাথে রাজনীতিকে মিশাচ্ছিনা; মিশাচ্ছি প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক জাতীয়তাকে। কলকাতার ইডেন গার্ডেন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গত ১৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে গ্যালারির প্রায় সব ভারতীয় বাঙালি দর্শক পাকিস্তানকে অকুণ্ঠ সমর্থন করেছে অনাকাঙক্ষিত ভাবে। এই অদ্ভুত ঘটনাটি বাঙালি জাতির জন্য লজ্জাজনক এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদীদের গালে চপেটাঘাত।

বাঙালি জাতীয়তাবাদীরা প্রচার করে- "ধর্মীয় বা রাজনৈতিক পরিচয় যা-ই হোক, আমরা বাঙালিরা মূলত এক জাতি। ধর্ম বা রাজনীতির চেয়ে ভাষা ও সংস্কৃতিই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যা আমাদেরকে অভিন্ন বন্ধনে বাঁধবে। ধর্মীয় বন্ধনের অসারতা প্রমাণ হয়েছে একাত্তরে; কিন্তু বাঙালিয়ানার বন্ধন ছিঁড়বে না। তাই 'বাঙলা' আমার মৌলিক পরিচয়, বাঙালি আমার ভাই।"
অথচ কলকাতার দর্শকরা চোখে আঙুল তোলে বাংলাদেশি বাঙালিদেরকে সোজা বলে দিল- "তোমরা কারা? তোমাদের চিনি না। তোমরা বাঙালি নাকি আফ্রিকান ইথিওপিয়ান, তাতে কিছু যায় আসে না। তোমরা সবাই বিদেশী। ক্ষেত্রবিশেষে (যেমন খেলায়) পাকিস্তানিরা আমাদের কাছে বাংলাদেশিদের চেয়ে বেশি প্রিয়। বাঙালিয়ানা? আরে বাবু, বাঙালিয়ানার বন্ধন তো ১৯৪৭ সালেই ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে; তোমাদের ধর্মীয় বন্ধন ছেঁড়ার চব্বিশ বছর আগেই ছিঁড়েছে সে-বন্ধন। তোমাদের সাথে আমাদের আর হবে না।"

এখন অনেকে প্রশ্ন তোলবে, "ঐসব আমজনতা লোকগুলো কি ভারতীয় বাঙালিদের প্রতিনিধিত্ব করে? ওরা কি ও-দেশের বুদ্ধিজীবি? নাকি তাদের জাতীয় নীতিনির্ধারক? ওদের কথা একটি জাতির বক্তব্য হিসেবে নেওয়া অনুচিত।"
আমি এই প্রশ্নকারী বোকা বাংলাদেশিকে বলব: বুদ্ধিজীবি বা নীতিনির্ধারক কারা? তারা তো আমজনতার মুখপাত্র মাত্র। জনগণ যা চাইবে, নীতিনির্ধারকেরা তা করবে। আর এমন তো নয় যে, পশ্চিম বাংলার সব পাগল, মূর্খ, বেকুবদের ধরে আনা হয়েছিল ইডেন গার্ডেনে। বরং সেখানে এসেছিল গড়পড়তা সাধারণ মানুষজন, যাঁদের বেশিরভাগই শিক্ষিত। এই 'গড়পড়তা' লাখখানেক মানুষের কাজে পুরো পশ্চিম বাংলার মানুষদের মন প্রতিফলিত হয়। হ্যাঁ, অল্পকিছু মানুষ হয়তো তাদের উল্টো, বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের পক্ষে ছিল, কিন্তু তাদের সংখ্যা নগণ্য; তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করে না, প্রতিনিধিত্ব করে ইডেনের ঐসব বাংলাদেশবিরোধিরাই।

আমি উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদী নই, তবে বাঙালি জাতীয়তাবাদ আমার ভাল লাগে। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে, ততই মনে হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষগুলো কোনোদিনই বাংলাদেশিদের আপন হবে না। তারা সবসময় আমাদেরকে ও আমাদের বাংলাদেশকে ছোট করে দেখতে অভ্যস্ত।

পাশাপাশি একটি বিষয় মনে রাখা দরকার, বাঙালি জাতীয়তাবাদ বর্তমানে দুর্বল হলেও উগ্র বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ যেন আমাদের গ্রাস না করে। উগ্র বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদীরা শাড়ি, চুড়ি, রবীন্দ্রসংগীত, হিন্দু সাহিত্যিকদের রচনা, পহেলা বৈশাখ, এমনকি অনেক সময় নবান্নের পিঠা উৎসবেরও বিরোধিতা করে। এটি দুঃখজনক। তাঁরা ইসলামী ভ্রাতৃত্বের কথা বলে ইসলাম ও বাঙালিয়ানাকে (উগ্রতার চরম মাত্রায় ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধকেও) মুখোমুখি দাঁড়া করায়। বাংলাদেশি জাতীয় দর্শনের জন্য এটি ভয়াবহ রকমের ক্ষতিকর। আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি, বাঙালিয়ানার ৮০% বিষয়ের সাথেই ইসলামের কোনো বিরোধ নেই। মূর্তিপূজা, দুর্গাপূজা, যৌতুক ইত্যাদি হিন্দুধর্মীয় বিষয়গুলো বাদ দিলে বাকি সবই একজন মুসলিম পালন/উপভোগ করতে পারে।

বাংলা ভাষা কি হিন্দুদের ভাষা? দূর হও বেকুব! হিন্দুরা কি বাংলা ভাষা বা বাঙালিয়ানার ইজারাদার? ভাষা ও সংস্কৃতি যার কাছে যায়, তার। ফারসি ভাষা ছিল পারস্যের অগ্নিউপাসকদের ভাষা; তাই বলে কি ইসলামের স্বর্ণযুগে এই ভাষাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে? একসময়কার অগ্নিপূজকদের এই ফারসি ভাষা-ই পরবর্তীতে আরবিকে ছাপিয়ে প্রধান ইসলামী ভাষার স্থান দখল করে রেখেছিল শত শত বছর। ইরান থেকে আসাম, বুখারা থেকে ইন্দোনেশিয়া, প্রায় বেশিরভাগ মুসলিম জাহান শাসিত হয়েছি ফারসি ভাষায়। ইসলামের তত্ত্বীয় ভাষা আরবি হলে ব্যবহারিক ও উন্নতির ভাষা ফারসি। ইসলামি সাহিত্যে আরবির চেয়ে ফারসির ব্যবহার বেশি ছিল গত একহাজার বছর যাবত। এই যুগে আরবি আবার ফিরে আসছে বটে, তবে এখনো অনেক বড় বড় মাদ্রাসায় উচ্চশিক্ষার মাধ্যম ফারসি। অথচ হাজারখানেক বছর আগেও ফারসি ভাষা ছিল অগ্নিউপাসকদের ভাষা, যেভাবে উর্দু (ভারতীয় ভাষা) ছিল পৌত্তলিকদের ভাষা, বাংলার মত। এসব ফারসি-উর্দুর সাথে ইসলামের কোনো সমস্যা না থাকলে বাংলার সাথে কেন থাকবে?? ইসলাম কি এতই ক্ষুদ্র যে, তা কিছু (বাংলা) অক্ষরকেও সহ্য করে না? কক্ষনো না! সবই বাজে কথা। আবার ইসলাম এত কঠিনও না যে, আপনার স্ত্রীর অন্তর্বাসের রঙও নির্ধারিত করে দেওয়া হবে কোনো গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থে। ইসলাম এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। কিছু মৌলিক বিশ্বাস ধারন করলে এবং কিছু নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করলেই আপনি মুসলিম; আপনার ভাষা বা জাতীয়তা যা-ই হোক। বৃহত্তর গণ্ডিতে গিয়ে অবশ্য আপনি মুসলিম জাতির অন্তর্ভুক্ত হবেন। এজন্য আপনার 'বাঙালি' পরিচয় মুছে ফেলার কোনো প্রয়োজন নেই; যে-কারণে তুর্কি, মোঘল, পাঠান, উজবেক, ইরানি, ইরাকি, আফগান, মিশরি, ইয়ামেনি, বসরি, বুখারি ইত্যাদি জাতের মুসলিমগণ নিজেদের স্বকীয় জাতীয় পরিচয় মুছে নি। তারা তো এখন উল্টো অভিজাত মুসলিম গোষ্ঠী বলেই বিবেচিত হয়। তাহলে আপনার 'বাঙালি' পরিচয়ে লজ্জা থাকবে কেন? যারা বাঙালি পরিচয় মুছে ফেলতে বলে, তারা হয়তো ইসলাম বুঝে না, নাহয় খোদ বাঙালিয়ানাকেই জানে না। খুঁজ নিয়ে দেখুন- খুব সম্ভবত তাদের পূর্বপুরুষেরা দুয়েক শ' বছর আগে মধ্য এশিয়ার পাহাড় বা তৃণভূমি থেকে বিতাড়িত বা অর্থসংকটাপন্ন হয়ে বাংলায় এসে উঠেছিল; আর এখন তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে বাঙালিয়ানার বিরুদ্ধে লেগেছে, বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করে দিতে চাইছে।

বাঙালি বনাম মুসলিম- এই দু'টানায় আমাদের জাতীয়তা কী হবে? উত্তর হলো: আমরা বাঙালি মুসলিম, আমরা বাংলাদেশি। 'বাংলাদেশি' শব্দটি কারো ধর্মীয় পরিচয় বহন করে না। সাতচল্লিশ ও একাত্তরের ঔরসে বাংলাদেশের জন্ম। এদেশে আছে বাংলাদেশি মুসলিম, বাংলাদেশি হিন্দু, বাংলাদেশি বৌদ্ধ, বাংলাদেশি আদিবাসী/পাহাড়ী সবাই। 'বাংলাদেশি' শব্দটি কিছু মানুষের ভূ-রাজনৈতিক পরিচয় বহন করে, এর বেশি কিছু না। সংস্কৃতি ও ভাষার দিক দিয়ে আমরা সবাই বাঙালি। বাঙালি ও বাংলাদেশি, এ পরিচয় দু'টিকে এক করার দরকার নেই; এরা আলাদাভাবেই সুন্দর। অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করছে ক্ষুদ্রমনা লোকেরা। "ইসলাম আগে নাকি বাঙালিয়ানা আগে?" এটা ঠিক এমন শোনায় "হাত আগে নাকি পা আগে?"। হাত ও পা, কোনোটা একটার চেয়ে আরেকটা কম না। হাত দিয়ে যেমন মানুষ কাজ করে, ধর্ম তেমনিভাবে মানুষের কাজগুলো নিয়ন্ত্রণ করে, কাজের দিকনির্দেশনা দেয়। পা দিয়ে যেমন মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে, সংস্কৃতি তেমনিভাবে একটি জাতিকে সভ্য পৃথিবীর দরবারে বুক ফুলিয়ে দাঁড়া করায়, সম্মানের আসন দেয়।
আর, বাংলাদেশকে ভিত্তি করে যদি কোনো পূর্ণাঙ্গ সংস্কৃতির কথা ভাবা হয়, তাহলে সে সংস্কৃতি সৃষ্টি হতে দু'-চার-পাঁচ শত বছর সময় লাগবে। মানুষেরা পরিকল্পিতভাবে কোনো ভাষা বা সংস্কৃতি জন্ম দিতে পারে না, সামান্য প্রভাবিত করতে পারে মাত্র। এগুলো নিজ থেকেই জন্ম নেয়, নিজের মতো চলে। তাই নতুন কোনো উদ্ভট সংস্কৃতি সৃষ্টির কথা না ভেবে বাংলা সংস্কৃতি নিয়েই থাকতে হবে।

যাহোক, আবার পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের কথা বলি একদম শেষে। তাদের ও আমাদের মাঝে এখন আকাশ-পাতাল পার্থক্য। বাঙালিয়ানা এখন দু'টি ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত; একটি বাংলাদেশি বাঙালিয়ানা এবং আরেকটি ভারতীয় বাঙালিয়ানা। আর এই বিভাজনের জন্য তাঁরাই দায়ি। তাদের উগ্রতা ও কর্তৃত্ববাদিতার জন্য ভারত ভাগ হয়েছিল। তাঁরা এখনও আগের মতো আছে। বাংলাদেশিরা যতই 'বাঙালি ভাই' বলে চিৎকার করুক, তাঁরা বাংলাদেশিদেরকে আপন ভাবে না, নিচু চোখে দেখে, পর ভাবে, আর দশটি বিজাতির মতো করে গণ্য করে। ১৬ মার্চের ইডেন গার্ডেন তার ভালো সাক্ষি।
তবে এই অবস্থায় তাদেরকে প্রতিহিংসা করা অন্যায়। তারা ভালো করছে না, তাই বলে আমরা মন্দ করব কেন? সৌন্দর্য হলো বাঙালি মাত্রই অন্য বাঙালির মঙ্গল চাইবে, তাকে সম্মান করবে, ভালবাসবে; ধর্ম বা রাষ্ট্র যা-ই হোক। বাঙালি জাতির মহান সন্তানদের উচিত, সকল ধর্মের সকল রাষ্ট্রের সকল স্থানের বাঙালিদের মধ্যে মজবুত বন্ধন তৈরি করার চেষ্টা করা। আমজনতা বুঝছে না, তবুও তো সবাই এক মায়ের সন্তান। আমজনতাকে সুপথে নিয়ে আসার দায়িত্ব সকল বড় মানুষের উপর বর্তায়।

বিশ্বের দরবারে যে-দল 'বাংলা' শব্দের প্রতিনিধিত্ব করে, যে-দলের সকল সদস্যই বাঙালি, যে-দল রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে খেলতে নামে, যে-দলের হাসি-কান্না-প্রেম-গালি-গান-কবিতা সবই বাংলা, বাঙালি মাত্রই সে-দলকে আন্তরিক সমর্থন করবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি সমর্থনের বদলে উল্টো বিরোধিতা করে, তাও আবার ত্রিশ লাখ বাঙালি হত্যার দায়ে অভিশপ্ত পাকিস্তানের বিপরীতে, তাহলে বাঙালি জাতির জন্য এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে? কলকাতা দুঃখজনকভাবে তা-ই করে দেখাল।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আরকিস মল্লিক বলেছেন: ভাইয়া সবাই কিন্তু এই দলে পরে না।আমাদের যাদের বাড়ি পূর্ববঙ্গে ছিল, যাদের পূর্বপুরুষরা ১৯৪৭ এ একপ্রকার বাধ্য হয়েই জন্মভিটে ত্যাগ করে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিল তারা তো নয়ই।দুঃখ পেলাম পোষ্টটা পড়ে। :(

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

বালুচর্ বলেছেন: ওরা কোনদিন আমাদের উত্থান চায় না। চায়, যতটুকু ওদের স্বার্থ আছে। তবু আমরা বেহায়া, ওদের লেজুড়বৃত্তি করি।
ঠিক লিখেছেন ভাই। স্পষ্ট উচ্চারণের জন্য ধন্যবাদ।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৭

তাওহিদ হিমু বলেছেন: বাংলাদেশ এখন ক্রান্তিকাল পাড় করছে। এই সময় চাটুকারিতা ছেড়ে স্পষ্ট ভাষায় কথা বলা খুবই দরকার। যাহোক। আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

এরশাদ বাদশা বলেছেন: পোস্টের প্রত্যেকটি অক্ষরে সহমত জানাচ্ছি। অসাধারন লিখেছেন...এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিলো, ঠিক এ কথাগুলোই আমি বলতে চাচ্ছিলাম। পোস্টটা স্টিকি করার দাবি জানাচ্ছি।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৮

তাওহিদ হিমু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, সম্মানিত ব্লগার।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আরকিস মল্লিক বলেছেন: আর শেষ কথাটাও সমর্থনযোগ্য নয়।এটা না বলে থাকতে পারছি না যে আপনারা ধর্মের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গের লোকেদের যে দলে ফেললেন সেটা পুরো বাজে কথা।হ্যাঁ কিছু হয় তো ধর্মান্ধ মানুষ আছে পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু সেরকম মানুষ কি আপনাদেরজ বাংলাদেশে নেই?

সব শেষে একটাই কথা বলব যে,একটি মানুষ কোন ধর্মের বা কি তার ভাষা তার ভিত্তিতে মনে হয় একজন মানুষকে সঠিক ভাবে বিচার করা যায় কি?

মনে হয় যদি কোন মানুষের সঠিক মূল্যায়ণ করতে হয় তাহলে সেটা করতে হয় তার চরিত্র দিয়ে।তাই মনে হয় এইভাবে judgmental না হলেও পারতেন। :|

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আরকিস মল্লিক বলেছেন: আর শেষ কথাটাও সমর্থনযোগ্য নয়।এটা না বলে থাকতে পারছি না যে আপনারা ধর্মের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গের লোকেদের যে দলে ফেললেন সেটা পুরো বাজে কথা।হ্যাঁ কিছু হয় তো ধর্মান্ধ মানুষ আছে পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু সেরকম মানুষ কি আপনাদের বাংলাদেশে নেই?

সব শেষে একটাই কথা বলব যে,একটি মানুষ কোন ধর্মের বা কি তার ভাষা তার ভিত্তিতে একজন মানুষকে সঠিক ভাবে বিচার করা যায় কি?

মনে হয় যদি কোন মানুষের সঠিক মূল্যায়ণ করতে হয় তাহলে সেটা করতে হয় তার চরিত্র দিয়ে।তাই মনে হয় এইভাবে judgmental না হলেও পারতেন। :|

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৪

তাওহিদ হিমু বলেছেন: মল্লিক ভাই, শেষের কথাটি কিন্তু আমার না, হুমায়ুন আহমেদের; মাহফুজের সংকলিত ;"ঘরে-বাইরে হাজার প্রশ্ন" বইয়ে পাবেন। আর আমি ধর্ম বা ভাষা বা ক্ষণস্থায়ী রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করার পক্ষপাতি নই। আমি কৈশোর থেকেই বাংলাদেশিদের পর ভারতীয় বাঙালিদেরই বেশি ভালবাসতাম। কিন্তু একসময় দেখলাম, তারা আমাদেরকে পছন্দই করে না, অপছন্দ করে। ইতর শ্রেণির মানুষ ভাবে। অল্প ক'জন ভাল, বেশিরভাগই একরকম। যারা ১৯৪৭ সালে পূর্ব বাংলা ছেড়েছিল, তারা সবাই বাংলাদেশকে পছন্দ করে, এটা আমি অনেক জায়গায় খেয়াল করেছি। শেষে বলি, কোনো জাতিকে সরাসরি আক্রমণ করা আমি পছন্দ করি না। খুব খারাপ কিছু দেখলে অন্যের ভাষায় বলি। গতকালকের ইডেনের ঘটনা আমরা বাংলাদেশিদেরকে খুবই আহত করেছে। আমরা প্রায় নিশ্চিত ছিলাম যে, কলকাতা আমাদের পাশে থাকবে। কিন্তু তারা অকল্পনীয় কাজ করল। সবাই এক বাক্যে বলছে- ৯০% দর্শক পাকিস্তানকে প্রাণান্তকর সাপোর্ট দিয়েছে। আমরা যারা ওপার বাংলার মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করার কথা বলে বেড়াই, তারা আরো বেশি কষ্ট পেয়েছি। আমাদের মাথা হেঁট হয়ে গেছে। 'বাংলা' শব্দের প্রতিনিধিত্বকারী একটি দল, রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে খেলা শুরু করা একটি দল পশ্চিমবঙ্গের সাপোর্ট পেল না, পেল জানে দুশমন পাকিস্তান, এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর কী হতে পারে? :(

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৯

আলাপচারী বলেছেন: দারুণ !

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৯

তাওহিদ হিমু বলেছেন: ধন্যবাদ!

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩১

আরকিস মল্লিক বলেছেন: ভাই এই কথা ঠিক যে অনেকে আছে যারা নিজেদের অনেক বড়ভাবে। তাদের মধ্যে একটা প্রছন্ন আহংকার দেখতে পাবে। কিন্তু তারাই কিন্তু সব নয়।আমদের মতো অনেকে আছে যারা কিন্তু বিশ্বাস করে অভিন্ন বাঙালি জাতিতে। যদি কোনদিন কলকাতা আসো তাহলে একবার আমদের যাদবপুর ইউনিভার্সিটির কাম্পাসে এসো।তোমার মনে হবে না আর এরকম।তুমি শাহবাগের সমর্থনে স্লোগান দেখতে পাবে কাম্পাসে। :)

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

তাওহিদ হিমু বলেছেন: আপনারা যারা আমাদের সাথে আছে, আপনাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ছোট করব না। আমরা আমাদেরই কেউ, আমাদের ভাই। খারাপ মানুষ দুনোপারে আছে। কেউই জলে ধোয়া তুলসি পাতা না। যাহোক, ভাল থাকবেন।

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০০

আরকিস মল্লিক বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৮

তাওহিদ হিমু বলেছেন: শেষের দিকে একটু এডিট করলাম। ওটা আসলে আমারো ভাল লাগে নি। রাগবশত লিখেছিলাম। এখন এডিট করে দিলাম।

৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রকারান্তরে বাঙালিদের বিভাজন দেখাতে চেয়েছেন। কিন্তু বললেই কি হলো? হাজার বছর ধরে লালন করে আসা সংষ্কৃতি কি এতই তাসের ঘর যে, এক খেলাতেই ভেস্তে যাবে?
আমি মোটেও তা মনে করি না। হয়ত রাগের ও ক্ষোভের সাময়িক বহিঃপ্রকাশ। তবে এও ঠিক ওরা আমাদের সামন্তযুগের ন্যায় নিচু চোখে দেখে নিজেদের প্রাচীনত্ব জাহির করে। তবে দেখুক সমস্যা নাই। আমরা এগুচ্ছি। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আমরাই সেরা, আমরাই এগিয়ে। তারা কিছুক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও সার্বিক বিবেচনায় আমরাই এগিয়ে আছি।
সামনে আরো বাকি আছে, এগিয়ে চলেছে আমাদের কাজকর্ম। :)

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৬

তাওহিদ হিমু বলেছেন: হুম। আমরাই এগিয়ে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫১

সাগর মাঝি বলেছেন: পশ্চিম বঙ্গের ৯০% লোক এখন আর নিজেকে বাঙ্গালি বলে স্বীকার করেনা। ওদের আচরণ দেখলে খুব খারাপ লাগে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৫৭

তাওহিদ হিমু বলেছেন: এর চেয়ে দুঃখের কথা হলো, বাংলাদেশের অনেকেই নিজেকে আজো 'বাংলাদেশি' স্বীকার করে না। ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:০৯

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা নিজেদের যতই বড় ভাবুক বাঙালি জাতিসত্ত্বা নিয়ে আমরাই বিশ্বের দরবারে প্রতিনিধিত্ব করি। বাঙালিদের যে কোন খেলায় কোন দল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেললে সেটা আমরাই। বিশ্বে কোথাও পরিচয় দিতে গেলে আমরাই নিজেদের বাঙালি হিসেবে উপস্থাপন করি। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের সে সামর্থ্য নাই। তাদের নিজেদের জাতিসত্ত্বার পরিচয় দিতে পারে না, দিতে হয় ভারতীয় হিসেবে পরিচয়। এসব কারণে তাদের মধ্যে ইর্ষা কাজ করতে পারে। আর তাই হয়ত বাংলাদেশের বাঙালিদের পক্ষ না নিয়ে চিরশত্রু পাকিস্তানের প্রতি দরদ দেখিয়েছে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১০

তাওহিদ হিমু বলেছেন: হতে পারে। ভারতের ১৫ সদস্যের ক্রিকেট দলে একজন বাঙালিও নাই, সেটা না ভেবে তারা আমাদের নিয়ে ব্যস্ত। আমাদের আছে ৫২, ৬৯, ৭১, ৯০; ওদের কিছুই নাই। তিতুমীর, ক্ষুদিরাম? সেটাও তো আমাদের। যাহোক। ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৩২

সাগর মাঝি বলেছেন: বাংলাদেশের অনেকেই নিজেকে আজো 'বাংলাদেশি' স্বীকার করে না।
ঠিক বলেছেন লেখক ভাই।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩৫

তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: ইডেনের দর্শকদের দেখে যা বুঝলাম, আসলে দুই বাংলা এক করে দাও, দুই বাংলায় কেন পাসপোর্ট লাগবে "এসব কথা যারা বলে বেড়ায় তারা মূলত এপার বাংলার বাঙ্গালিদের উপর কর্তৃত্ববাদ সৃষ্টির জন্যই এসব বলে বাড়ায়। কিন্তু ওরা জানে না স্বাধীনতার ৪৫ বছরে এসে এপার বাংলার বাঙ্গালিরা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। কেউ চাইলেও এদের উপর আর কর্তৃত্ববাদ সৃষ্টি করা যাবে না। এরাই এখন বিশ্বের বুকে বাঙ্গালীয়ানার পতাকা বহন করে বেড়ায়! ওপার বাংলার ওরা না!
ধন্যবাদ

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১৮

তাওহিদ হিমু বলেছেন: স্ট্যাডিয়ামের গড়পড়তা মানুষগুলোর মানসিকতা ছিল ঐ জাতির অন্তরের অন্তস্থল থেকে সতঃস্ফূর্তভাবে উঠে আসা নির্ভেজাল আবেগ; সেই প্রেমময়ী আবেগ ছিল পাকিস্তানের জন্য, বাংলাদেশের জন্য না। সেখানে কোনো লুকোচুরি ছিল না। পরিসংখ্যান বিজ্ঞানে একটি জাতির মানসিকতা যাচাই করার জন্য ইডেন হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

পোকা চিমটি বলেছেন: গ্যালারির যারা পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে তারা সবাই কোলকাতা বাসী এটা সত্য। আর কোলকাতায় মুসলমানদের দাপট মোটামুটি ভাবে লক্ষ্যনীয়। আমি কোলকাতায় প্রায়ই যাই বিভিন্ন কাজে। বিশেষ করে ধর্মতলায়। সেখানে মুসলমানদের আখড়া। আর গ্যালারীতে বেশিরভাগিই গিয়েছিল মুসলিম কোলকাতাবাসী যাদের মনের কোণে পাকিস্তানের প্রতি রয়েছে বিশেষ ভালোবাসা। কিন্তু হিন্দু দর্শক বাংলাদেশকে সেভাবে সমর্থন জানাতে পারেনি এর কারণ একে তো বাংলাদেশীরা মুসলমান, আর এই মুসলমানরাই ১৯৪৭ সালে বাংলাকে ক্ষত- বিক্ষত করে ভাগ করে চিরদিনের জন্য নিয়ে নিয়েছে। আর কোলকাতার মুসলমানরা বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে ভালোচোখে দেখে না কারণ পুরো বাংলাদেশটাই ভারতের (হিন্দুদের) দালাল। আর তারা ভারতীয় হিন্দুদেরকে সহ্যই করতে পারে না। আর এ সবের নাটের গুরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

তাওহিদ হিমু বলেছেন: অবস্থা বেশ জটিল হয়ে উঠেছে আমাদের উপমহাদেশে। পরিণতি কী হবে, তা উপরওয়ালা ভাল জানেন।

১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

পোকা চিমটি বলেছেন: আসল কথা হচেছ ধর্ম দিয়েই ব্রিটিশরা এই উপমহাদেশকে শাষন করেছে এবং সর্বশেষ ভাগ করেছে, এবং তারা সফল হয়েছে ১৯৪৭সালেই । আর এখনও ধর্ম দিয়ে সারা বিশ্বব্যপী দখল, শাষন হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ঐ বিদেশীরাই । আমি মনে করি পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে ধর্ম থেকে বের হয়ে এসে শুধু মানুষের পরিচয় নিয়ে থাকা উচিৎ যদি আমরা পৃথিবীকে বাচাঁতে চাই।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

তাওহিদ হিমু বলেছেন: শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্ম এলেও পরবর্তীতে ধর্মে অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের উপর ব্যাপক জুলুম-অন্যায় চালানো হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু তারপরও ধর্মকে সরানো যাবে না। তাই ধর্ম দিয়েই শান্তি আনার চেষ্টা করতে হবে, ধর্মকে রেখেই পৃথিবী সুন্দর করার কাজে নামতে হবে।

১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

পোকা চিমটি বলেছেন: ধর্ম পৃথিবীতে থাকলে যারা ষড়যন্ত্রকারী তারা নানা উপায়ে ষড়যন্ত্র করবেই যেটা কিনা আদি কাল থেকে শুরু করে এখনোও চলছে। যারা জ্ঞানী, মেধাবী, বুদ্ধিমান তারা ধর্মীয় ষড়যন্ত্র বোঝে। কিন্তু যারা সহজ-সরল, যারা ব্রিটিশ প্যাঁচ বোঝে না তারা তো সহজেই ধর্মীয় গুরুর ফতোয়াকে ধর্ম মনে করে এবং সেই অনুযায়ী চলার চেষ্টা করে। যেমন ১৯৭১ সালে ধর্মকে ব্যবহার করে গণহত্যা চালানো হয়েছে। এখোনও ঘোর গ্রামে হুজুরদের কথা অনুযায়ী গ্রামের লোক চলে আর বেশিরভাগ গ্রামেই মোড়ল বা মাতব্বর একজন হুজুর বা মুণ্সি টাইপেরই লোক থাকেন। আর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশটা ৫৭হাজার বর্গমাইলের একখানা ঘোরগ্রামই ছিল। যে কারণেই ধর্মকে ব্যবহার করে গণ্যহত্যা চালানো সম্ভব হয়েছিল।

আার বর্তমানে যারা উচ্চশিক্ষিত, জ্ঞানী, বিদ্বান, প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন বইপত্র পড়েন তারা ঠিকই বোঝেন যে ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় নয় বরং উত্তম একটি অস্ত্র যা দ্বারা যেকোন উদ্দেশ্য সহজেই হাসিল করা যায় যা কিনা আমরা আমাদের দেশে এমনকি সারা বিশ্বে দেখতে পাই। যেমন একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ :- চাঁদে সাইদীকে দেখা যায়, ইত্যাদি। আমাদের দেশ তথা সারা পৃথিবীর ক্ষতি সাধিত হচ্ছে সহজ-সরল লোকের দ্বারা যারা সহজেই বিভিন্ন ধর্মীয় গুরুর কথা অনুযায়ী চলে। এখন এইসমস্থ ধর্মীয় গুরু এবং সহজ-সরল লোকের হাত থেকে কিভাবে রেহাই পাওয়া যাবে সেটাই ভাববার বিষয়।

১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: কোলকাতাবাসী পাকিস্তান সাপোর্ট করে - কি লক্ষণ দেখে আপনার এমন বাজে ধারণা হল? পাকিস্তান কি সাপোর্ট করার মত কোন দল? মেনে নিচ্ছি যে বাংলাদেশে আগে পাকিস্তান দলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল্ বিশেষ করে নারী দর্শকদের মাঝে। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ শক্তিশালী অবস্থান করে নেওয়াতে সে জনপ্রিয়তায় ধ্বস নেমেছে এখন। বাংলাদেশ এখন কেবল বাঙালিদেরই নয়, ক্রিকেট বিশ্বে মুসলিম দেশগুলোরও প্রতিনিধিত্ব করে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৯

তাওহিদ হিমু বলেছেন: ক্রিকেটেও ধর্ম নিয়ে আসবেন নাকি? যাহোক, ১৬মার্চের ম্যাচে ইডেন গার্ডেনের অন্তত ৯০% লোক পাকিস্তানকে শক্ত সাপোর্ট দিয়েছিল, তা সবাই দেখেছে। আপনিও চাইলে ভিডিও দেখে নিতে পারেন।

১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৯

আমিই মিসির আলী বলেছেন: কে কাকে সাপোর্ট করলো এই নিয়া বুক ফেঁটে মরে যাওয়ার কিছু নেই। সবকিছুকে এমন তেলে বেগুনে ঝলসিয়ে দেয়ার কোন মানে হয় না।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৪

তাওহিদ হিমু বলেছেন: লাখখানেক বাঙালী বাংলাদেশের বদলে পাকিস্তানকে জোর সাপোর্ট দিল, তা নিয়ে মাথা ব্যাথা হবে না? কী যে বলেন।!

১৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

প্রনীত দেব বলেছেন: পোকা চীমটী ও নীল আকাশের মন্তব্য ওনেক গ্রহণযোগ্য । কোলকাতাবাসীরা বাংলাদেশকেই সবসময় support করে কিন্তু কিছু মুসলিম আছে যারা ভারত পাকিস্তানের সাথে খেলা হোলেও পাকিস্তানকেই support করে । জলে চাবুক মেরে জলকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় না।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৬

তাওহিদ হিমু বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ, দাদা।

২০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:০৬

তাওহিদ হিমু বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ, দাদা।

২১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

প্রনীত দেব বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনাদেরকেও

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.