নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমে যাচ্ছে সুজনের সংখ্যা

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭

আমরা ইতিমধ্যে যে শিক্ষিত(!) জাতি তৈরি করেছি তাদের হাতে ক্ষমতা প্রদানের সাথে সাথে যদি তার প্রায়োগিক অধিকারের মাত্রা সুনির্ধারিত না করে দেয়া হয় তাহলে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন, এটা নিশ্চিত। কারন তারা শিক্ষিত(!) এটা ঠিক তবে সুশিক্ষিত এটা বলার কোন কারণ নেই।
আমরা তাদেরকে সনদ সর্বস্ব শিক্ষা দিয়েছি আমরা তাদেরকে নিদিষ্ট কাজের জন্য নির্ধারিত শিক্ষায় শিক্ষিত করেছি সার্বিক শিক্ষায় শিক্ষিত করি নি। ফলে তাদের যেমন ঘুষ নিতে বাধে না তেমনি সুদকে হালাল করতেও বাধে না। আবার লুট পাট আর ক্ষমতার অপব্যবহারকে তারা দক্ষতা বলে মনে করে। রোগীকে চুষে নিতে ডাক্তারের বাধে না, মক্কেলকে সর্বস্বান্ত করতে উকিলের খারাপ লাগে না। এ সব তারা তাদের অধিকার বলে মনে করে। এটাই আমরা তাদেরকে শিখিয়েছি।
যেহেতু শিষ্টাচার, মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা তথা মানবিক গুণাবলীকে আমরা আমাদের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করিনি কাজেই কাউকে ক্ষমতা প্রদান করলে সাথে সাথে তাকে কিছু মানবিক গুণাবলী শিক্ষা প্রদানও জরুরী।
একজন ব্যক্তির যদি অপরের প্রতি মমত্ববোধ, সম্মানবোধ, ভালবাসা এবং সাধারণ শিষ্টাচার পর্যন্ত না জানা থাকে আর তার হাতে যদি ক্ষমতা প্রদান করা হয়। তাহলে সে আর মানব থাকে না দানবে পরিণত হয়। কাজেই এ সময়ে কাউকে ক্ষমতা প্রদানের আগেই তার মানবিক মূল্যবোধের বিচার করে নিতে হবে। আর সে ক্ষেত্রে ঘাটতি পরিলক্ষিত হলে তাকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে নিতে হবে। নয়ত নির্বাচিত ব্যক্তিকে দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ হাসিল সম্ভব হবে না। কে কার নাতি কে কোন দলের এটাই হবে নিজেকে উৎকৃষ্টতর প্রমাণের একমাত্র উপায়। অথচ আমরা ভুলে যাই আলেমের ছেলেও জালেম হয়! হযরত আদম (আঃ) এর প্রথম ছেলেই পৃথিবীর প্রথম হত্যাকারী। নুহ(আঃ) তার ছেলে কেনানকে আল্লাহর পথে ফেরাতে পারেন নি। অতএব বাবা ভাল হলেই যে তার সন্তান ভাল হবে এমন কোন কথা নেই। তাদের এই যে পিতার পরিচয়ে নিজেকে ভাল প্রমানের চেষ্টা এ সবই সু শিক্ষার অভাব।
আমাদের শিক্ষা পাঠ্যক্রমে সব থেকে অবহেলিত নৈতিক শিক্ষা। একজন সফল মানুষ হতে গেলে তাকে সবার আগে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। অথচ এই সবথেকে গুরুত্বপুর্ন বিষয়টিকে আমরা আমাদের পাঠ্যক্রমে রাখিনি। এটা যে সুপরিকল্পিত তার সবথেকে বড় প্রমান হল পূর্বে যে টুকুও ছিল ক্রমান্বয়ে আমরা সেটুকুও বাদ দিয়ে দিয়েছি।
আমাদের এই পাঠ্যসূচি দেখলে মনে হয় আমরা এমন এক উপনিবেশিক শাসনে আছি যেখানে আমাদের প্রভুরা মানব নয় কিছু যন্ত্র মানব তৈরি করতে চান যারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী যন্ত্রের মত কাজ করে যাবে। মারতে বললে মারবে, বাচাতে বললে বাঁচাবে। হাসতে বললে হাসবে। হাসাতে বললে হাসাবে। মোট কথা "হীরক রাজার দেশ" এর সেই মগজ-ধোলাই প্রক্রিয়ায় আমাদের দেশে শিক্ষিতের নামে ক্রমাগত যন্ত্র মানব তৈরি করে যাওয়াই এই পাঠ্যক্রমের লক্ষ। যন্ত্র মানবদের মধ্যে যারা সরকারের এবং শাসক দলের বিভিন্ন পর্যায়ে পৌঁছে যেতে সক্ষম হয় তারা তখন হয়ে যায় মনস্টার। যাদের মধ্যে নেই সততা, নেই মমত্ববোধ, নেই আত্মসম্মান পর্যন্ত। এরা যে কোন উপায়েই হোক অর্থ চায়, প্রতিপত্তি চায়। চায় ক্ষমতা। এরা তখন দুর্নিবার হয়ে পড়ে। শাসক গোষ্ঠী বিষয়টা খুব ভালভাবেই জানে আর সে কারণেই এক দলকে অন্য দল দিয়ে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করে। এবং একই সাথে এই ধারাকে তারা এগিয়ে নিয়ে যায়।
এর ফলে পরিবার থেকে এবং ধর্মীয় পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা মানুষগুলো মূলত দুই ধরনের শিক্ষা পায়। পরিবার থেকে ইতিবাচক, পাঠ্যক্রম থেকে নেতিবাচক। এর মধ্যে যে শিক্ষা তার মনোজগতের উপর বেশি প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয় সেই মানুষটা সেই রকম হয়েই বেড়ে ওঠে। যে কারণে সমাজের সর্বস্তরে আমরা দুই ধরনের মানুষই দেখতে পাচ্ছি। প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে মাঝে মাঝেই তাদের মাঝে সংঘাত হয়। আর এ ভাবেই এগিয়ে চলছে আমাদের এই পঙ্গু সভ্যতা। তবে সব থেকে শঙ্কার বিষয় হল প্রতিনিয়ত সুজনের সংখ্যা কমে যাচ্ছে পক্ষান্তরে বেড়ে যাচ্ছে দুর্জন।
আমার এই আশংকার সত্যতা নিয়ে যদি সন্দিহান হন। তাহলে বলুন আমাদের কেন আদর্শ খুজতে পেছনে যেতে হয়? কেন সমসাময়িক আদর্শ আমরা খুজে পাচ্ছি না। যত পেছনে যাবেন সে সংখ্যাও তত বৃদ্ধি পায়। কেন?
বুকে হাত দিয়ে বলুন - আপনার সন্তান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, রাজনীতিবিদ , সমাজসেবী যাই হোক না কেন তার আদর্শ হিসেবে সমসাময়ীক কাউকে পান?
মোটাদাগে এর জন্য দায়ী আমাদের বর্তমান রাজনীতিবিদগন। সম্ভবত তারা মানুষকে বড় বেশি ভয় পান। কারন মানূষ অন্ধ হয় না, টাকার গন্ধে মুখে কুলপ আটে না, মানুষ অন্যায়-অবিচারকে খুব বেশিদিন সইতে পারে না। সে বিদ্রোহ করে। একবার যদি সে জেগে ওঠে সে তখন সম্পুর্ন সিস্টেমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। আর সেখানেই এই রাজনিতিবীদদের যত ভয়। কারন তারা সুজনদের নিয়ে সুরাজনীতি করেন না। দুর্জনেরাই তাদের একমাত্র ভরসা। আর তাই "হিরক রাজা" কল্পকাহিনিতে নয় সব যুগে সর্বত্রই ছিল। হয়ত সংখ্যায় কম ছিল।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আদম কে কেহ জানেন না, একটা একটা সিম্বলিক শব্দ, পহেলা মানুষ! উনি কি নবী ছিলেন, নাকি কৃষক ছিলেন, নাকি দলপতি ছিলেন, নাকি একজন শিকারী ছিলেন, আমরা কখনো জানতে পারবো না। উনার ছেলেদের সম্পর্কে জানা লজিক্যালী অসম্ভব।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫২

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: আসল বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে যেটা ধরলেন তাকে হয়ত বলা যায় মাথা রেখে লেজ নিয়ে টানাটানি।

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


কি ধরণের পেশায় আছেন?

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কথাগুলো খুব সুচিন্তিত। একমত।

তবে, আমাদের পারিবারিক শিক্ষারও অভাব প্রকট হচ্ছে। পিতা নিজে ঘুষখোর, সন্তানেরাও বাবার ঘুষ খাওয়া নিয়ে অন্যের সাথে নিজের স্টেটাস পরিমাপ করে, তুলনা করে। এরা স্কুলে যায়। এরা শিক্ষক হয়। নৈতিক শিক্ষার অভাব থেকে যায় সর্বস্তরেই। ফলে, একটা সুশিক্ষিত, মেধাসম্পন্ন, নৈতিকতাসম্পন্ন জেনারেশন গড়ে উঠছে না। নানান চাপে পাঠ্যপুস্তকের সিলেবাসও বার বার পরিবর্তিত হতে থাকে, নৈতিকতা শিক্ষার বদলে তাতে অন্য কিছু স্থান পায়।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এটাই তো স্বাভাবিক, তাই না? কমে যাচ্ছে সুজনের সংখ্যা

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


পৃথিবীর প্রথম মানুষ কে ?
এটা জানা আসলেই অসম্ভব।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধর্ম নিয়ে আলোচনা একটু কঠিন বৈকি। আর তা ছাড়া আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ব্লগে ধর্ম নিয়ে আলোচনা না করাই সমীচীন। তবে আমি দ্ব্যার্থহীন ভাবে বলতে পারি যেহেতু আমি একজন শতভাগ প্রাকটিসিং মুসলিম কাজেই আমি আমার বিশ্বাস থেকেই বিশ্বাস করি আদম(আঃ) প্রথম মানব এবং তিনিই প্রথম নবী।
যেহেতু এই আলোচনায় একটি বিষয়কে বোঝাতে গিয়েই এই প্রসঙ্গটা চলে এসেছে। কাজেই আমি আশা করব দয়া করে কেউ এই আলোচনায় ধর্মকে টেনে আনবেন না ।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি লেখার সময় (মাথা খাটানোর সময় ) লেজ নেড়েছেন

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: হ্যা ভাই লেজ নাড়ানোর দোষটা আমার, স্বীকার করছি। কিন্তু আপনি পুরো আমিটাকে ছেড়ে কেন লেজ নিয়েই বা পড়ে রইলেন, বলুন তো?

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেজ নিয়ে টান দেয়াতে আগামীবার লেখার সময় উহাতে আর লেজ যোগ করবেন না, হয়তো!

আপনি কোন পেহায় আছেন?

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কোন *পেশায় আছেন?

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৩

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: পেশার কথা বলতে গিয়ে আবার না লেজের অংশ বেড়িয়ে পড়ে। ওটা না হয় তাই লুকানোই থাক।

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই জন্য এককভাবে কেউ দায় নয়। এখানে সবাই সুজনশীল আশা করি

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩৬

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: এককভাবে কেউ দায় নয়। তবে পরিবার পারে কিছুটা হলেও এর রাশ টেনে ধরতে।

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩৮

নজসু বলেছেন:



প্রথম লাইকটা আমিই দিলাম প্রিয় ভাই।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫১

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ নজসু আপনাকে।

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১৪

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: পরিকল্পনা মাফিক সুশিক্ষার অভাব শিশুকাল থেকেই শুরু হয়। নীতি-নৈতিকতার চর্চায় পরিবারের ভূমিকাই প্রধান।
সুশিক্ষিত নয় কুশিক্ষিত জাতি গড়ে উঠছে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩০

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সুশিক্ষিত নয় কুশিক্ষিত জাতি গড়ে উঠছে। পরিবার পারে কিছুটা হলেও এর রাশ টেনে ধরতে।

১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে চারপাশের মানুষ গুলো কেমন অমানবিক হয়ে পড়েছে। কারো মধ্যে কোনো মায়া নেই। সবাই শুধু নিজের চিন্তা করে।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৪৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: সবাই শুধু নিজের চিন্তা করে। নিষ্ঠুর আর স্বার্থান্ধ!

১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সবাই শুধু নিজের চিন্তা করে। নিষ্ঠুর আর স্বার্থান্ধ!

এই শহরে আমি কোনো ভালো মানুষ দেখি না। সবাই কেমন একটা মুখোশ পড়ে থাকে সব সময়।

১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

অক্পটে বলেছেন: সদ্য পড়ালেখা শেষ চাকুরীতে যোগ দেয়ার সময় দেখা গেল ২০ লাখ লাগবে, ৩০ লাখ লাগবে।
এখানে এসেইত বোঝা যায় আমাদের নমস্য কর্মকর্তারা কোন ফাঁদ পেতেছেন! এর মানে সোজা, বাপু তুমি এই চাকুরী নাও তুমিও আমাদের মতো করেই কামাই করবা। তোমাকে সৎ হলে চলবেনা! তোমাকে অসৎ হতেই হবে। কাজ কামের দরকার নেই শুধু ঘুষ খাবা। ভোটের দরকার নেই শুধু ক্ষমতাটা আঁকড়ে থাকবা। এটাইত বাংলাদেশের ক্ষমতাবানদের নীতি তাইনা। এই নীতি সর্বত্র প্রতিষ্ঠা করেছে দেশ পরিচালকরা।

আপনি আপনার চেতনা থেকে মর্মপীড়া থেকে দায়বদ্ধতা থেকে লিখেছেন যে কমে যাচ্ছে সুজনের সংখ্যা। আপনার সত্য লিখনই আবার কারো মর্মে আঘাত করেছে, তারা এই সিস্টেম বদলাতে চায়না। গোয়ার তৈরী হচ্ছে হোক গোয়ার দিয়েই শুসাশন করছে তারা। আপনি যথার্থ বলেছেন একবার যদি সে জেগে ওঠে সে তখন সম্পুর্ন সিস্টেমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে মানুষ ওদের তখন ছুড়ে ফেলবে আস্তাকুড়ে। এই ভয়েই ওরা জগদ্দল পাথরের মতো জাতীর ঘাড়ে চেপে বসেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.