নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন

আমি মানুষের কথা বলি। মানবতার কথা বলি। স্বপ্ন দেখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। নিরাপদ একটি ভূখন্ডের।

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপ্রয়োজনীয় জীব হত্যা এবং আত্মহত্যা পরিহার করুন।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪


ছবি সংগৃহীত

প্রতিদিনের মতই মা তার বাচ্চাদের জন্য খাবার আনতে বেড়িয়েছিল। সদ্যজাত বাচ্চারা সারাটা দিন অপেক্ষা করেছে মা'য়ের জন্য। মা খাবার নিয়ে আসেনি। দিন যায় রাত যায়, মা আর আসে না। বাচ্চারা দিনের পর দিন ক্ষুধা তেষ্টায় ধুকতে ধুকতে এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পরতে লাগল। মা আসেনি। মা আর কোনদিনই আসবে না।
কেন আসেনি মা?
নিশ্চিতই ঐ মা নিজেও হত্যার স্বীকার হয়েছে। যে এই মাকে হত্যা করল, হোক সে কোন জন্তু কিংবা মানুষ। সে একই সাথে ঐ পাখির সাথে হত্যা করল তার এই বাচ্চাদেরও।
আমার এই লেখাটি তাদের উদ্দেশ্যে যারা আত্মহত্যা করেন এবং প্রয়োজনীয়ভাবে জীব হত্যা করেন। আপনারা কি কখনো আপনাদের উপর নির্ভরশীল মানুষগুলোর কথা মনে রাখেন? মৃত্যু তো শুধু জাগতিক হয় না, মানসিক মৃত্যুর হার তার থেকে বরং অনেক বেশী। আমরা প্রত্যেকেই একে অপরের সাথে যুক্ত। কখনো কখনো নির্ভরশীলও বটে।
আপনার মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান এমনকি আত্মীয় স্বজন, বন্ধু এদের প্রত্যেকেরই কোন না কোন দান আপনি কো না কোন সময় গ্রহণ করেছেন। আর সে কারনেই প্রত্যেকের অধিকার আছে আপনার উপর। আর আপনারও দায়িত্ব রয়েছে সকলের প্রতি। কেবলমাত্র না পাওয়ার যন্ত্রণা, কোন একটি ইচ্ছের অপমৃত্যু আপনাকে যখন আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়। তখন আপনিই এই পৃথিবীর সবথেকে বড় স্বার্থপর! একবার ভেবে দেখেছেন?
একটি অপ্রয়োজনীয় হত্যা যেমন জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয় তেমনি আত্মহত্যাও। আর আত্মহত্যা তো হত্যা ব্যতীত অন্য কিছু নয়। যে তার সবথেকে প্রিয় নিজেকেই হত্যা করতে পারে, সে সুযোগ পেলে অন্যকেও হত্যা করতে পারে। একজন আত্মহত্যাকারীর পরিচয় হত্যাকারী বৈ আর কিছু নয়।
একটি হত্যা বা আত্নহত্যার পরে তার স্বজনদের সাথে কি কি হয়। সে তো তা জানে না। সে মরে বেঁচে যায়(!) কিন্তু তার স্বজনরা না মরে বেঁচে থাকে। পালটে যায় অনেক প্রতিশ্রুতিশীল জীবনের গতিপথ। ধ্বংস হয়ে যায় অনেক জীবন ঠিক ঐ পাখির ছানাদের মত। হয়ত জৈবিক নয় মানসিক। সে দায় কার?
তাছাড়াও যে স্রষ্টা আপনাকে সৃষ্টি করেছেন। আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। তিনি কি কোন কারন ছারাই আপনাকে সৃষ্টি করেছেন? আপনাকে লালন পালন করেছেন? আপনি কি তা জানার চেষ্টা করেছেন? আপনি কি স্রষ্টার উদ্দেশ্য জেনে তা পূরণে সচেষ্ট হয়েছেন? এই পৃথিবী ছেরে আপনি তো আবার সেই স্রষ্টার কাছে ফিরে যাবেন তখন তার কাছে কি জবাব দিবেন, তা ভেবে নিয়েছেন তো? আসলে একজন মানুষের কোন অধিকারই নেই নিজের ক্ষতি করার। কারন সে নিজেই নিজের আমানত। এই আমানতের খেয়ানত করলে যার সম্পদ তার কাছে জবাবদিহি করতে হবে। জানবেন, আত্নহত্যা মুক্ত করে না, অভিযুক্ত করে। যার থেকে পরিত্রান নেই।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমি এমনকিছু সুইসাইড নোটও পড়েছি যেখানে আত্মহত্যাকারী পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আসলে পরিস্থিতি তখন এমন থাকে যে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না।

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:২৮

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে আত্মহত্যা করলে তো আর পরিবারের ক্ষতি পুষে যায় না। পরিস্থিতি যেমনই হোক হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হওয়া যাবে না। নিজের দ্বায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

জুন বলেছেন: পরশুদিন পেপারে দেখলাম এক কিশোরী সুইসাইড করেছে হাতিরঝিলে। কারন তার মা গার্মেন্টস কর্মী তাকে বাধা দিয়েছিল প্রতিদিন বন্ধুদের সাথে বিকালে ঘুরতে যাবার ব্যাপারে।
টাংগুয়ার হাওড়ে যাবার জন্য রিকশা করে নদীর ঘাটের দিকে রওনা দিয়েছি ভোর সকালে। হঠাত মাথার উপর শালিকের চেচামেচি, সামনে তাকিয়ে দেখি দুটো কিশোর রাস্তার পাশে গাছের ডালে শালিকের বাসা লক্ষ্য করে একের পর এক ঢিল ছুড়ছে। বাসায় কচি কাচাদের চি চি শোনা যাচ্ছে। আমি রিকশা থেকে নেমে ছেলে দুটোকে জিজ্ঞেস করলাম "তোমাদের এই নিষ্ঠুরতার কারণ কি! কেন করছো! তোমরা কি ওদের খাবার জন্য করছো নাকি শুধু মেরে ফেলার জন্য"??
আসলে আমাদের পরিবার থেকে এই সব শিক্ষা আসতে হয়।
আপনার লেখার সাথে একমত।
+

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র দায় সবার। এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: একদম আমার মনের কথা বলেছেন।

৩০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯

মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.