নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শরীরে শরীর নয়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখাও নয়, মূহুর্তের ছোঁয়াও নয়, একটু দেখাতেই লিটার খানেক অগ্নিজলের ঘোর।

ত্রিশোনকু

না প্রেমিক না বিপ্লবী [email protected]

ত্রিশোনকু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুজবের সুতিকাগার যখন প্রাতিষ্ঠানিক। When Breeding of Rumours is Institutionalized.

০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩২

দাউদ হায়দার যখন লিখলো "কালো সূর্যের কালো জোৎসনার কালো বন্যায়" বংগবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তখন তাকে পত্রপাঠ ঝেঁটিয়ে সীমান্ত পার করে দিলেন। দাউদ হায়দার আমাদের নবী হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ)কে কটাক্ষ করে ঐ কবিতা লিখেছিল।



যত দিনে আমার দেশের মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয় ততদিনে ধর্মদ্রোহিতার বিকৃতরূপ গ্রামে গঞ্জে পৌঁছে দিয়েছে সে এবং গ্রাম গঞ্জের মানুষের অন্তরে ব্লগারদের বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা প্রোথিত করতে সে সফল হয়েছে। এই লোকটিকে এত দেরীতে কেন ধরা হল তা এখনও একটা বিষ্ময়!



দারিদ্র সীমার নীচে বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ মানুষ বসবাস করলেও আমদের মানুষেরা পৃথিবীর সুখীতম মানুষদের মধ্যে পড়ে। এর কারন আমাদের অধিকাংশ মানুষই অতি অল্পে তুষ্ট। তবে আমাদের সাধারন খেটে খাওয়া মানুষদের মধ্যে অল্প কয়েকটি ক্ষেত্রে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বাস করে।



বংগবন্ধু সেটা জানতেন।






______________



ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে ২,৫০০ লাশ গায়েব করা শুধুমাত্র আলাদিনের চেরাগ থেকে বের হওয়া দৈত্যের পক্ষেই সম্ভব। লক্ষ লোকের প্রাণ সংহারী ঘূর্ণিঝড়ে ত্রাণ কাজে অংশ নেয়া যে কোন লোককে জিজ্ঞেস করতে পারেন। কিন্তু মানুষ জন তাই বিশ্বাস করছে। বাঁশের কেল্লার মিথ্যাচার বলে উড়িয়ে দিচ্ছেনা।





৫ তারিখের অরাজকতা, রাবার-গোলাগুলি, শব্দ গ্রেনেড ছোঁড়াছুড়ি, অগ্নি সংযোগ কি পরিহার করা যেত? প্রশাসন কি হেফাজতের ঢাকা আসা ঠেকাতে পারতো? সরকার কেন হেফাজতকে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দিল?



কেউ বলতে পারে যে সরকার সরল বিশ্বাসে এই অনুমতি দিয়েছিল। যদি দিয়েই থাকে তাহলে গোয়েন্দা সংস্থা গুলো কি করছিল? হেফাজতিদের হীন চক্রান্ত তারা ধরতে পারলোনা কেন?



হেফাজতিদের ফাঁদে ফেলে সাইজ করার জন্যেই ঢাকাতে তাদের সমাবেশ করতে দেয়া হয়েছিল সেই অভিযোগ খন্ডাতে সরকারের এগিয়ে আসা জরুরী। তাছাড়াও এই বিষয় গুলোর গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা গুজব নির্মূলের জন্যে অত্যন্ত জরুরীঃ



১। "অপারেশন হেফাজত খেদাও" সব আলো নিভিয়ে অন্ধকারে সম্পন্ন করা্র কেন প্রয়োজন ছিল?



২। সরকার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে যারা সোচ্চা্‌র, তাদের বিরূদ্ধে দেশের মানুষকে, যখন মিথ্যাচার ও হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে মৌলবাদী টেলিভিশন গুলো ক্রমাগত ক্ষেপিয়ে তুলছিল তাদেরকে তখন কেন নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি? অনেক অভিযোগ করার পরও কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি? অপারেশন চালাবার সময় সেগুলোর সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হল কেন?



৩। হেফাজতিদের বইয়ের দোকান, কেএফসি ও সংস্থাপন মন্ত্রনালয়ের পঞ্চাশটিরও বেশী পরিবহন যানবাহন পোড়ানোর কোন ছবি বা ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না কেন (যেমন পাওয়া যাচ্ছে না গণহত্যার ছবি বা ফুটেজ)?



অকল্পনীয়, অবিশ্বাস্য, জোরালো সব গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর সময় থেকেই আমাদের প্রতি অত্যন্ত বিরূপ এবং তারা আমাদের বিরুদ্ধে অসত্য ও নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে। এই সব গুজবগুলো তারা লুফে নিয়েছে এবং প্রচার করছে। গতকাল সি এন এন একটি আই রিপোর্ট ছাপিয়েছে যেটা সত্য মিথ্যার মিশেল এবং আমাদের বিপক্ষে যাচ্ছে। বিদেশী সংবাদ মাধ্যমের এই প্রতিবেদন গুলো দেশে আলোচিত হচ্ছে এবং গুজবের বিশ্বাসযোগ্যতাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের দেশে বিরাজমান অস্থিতিশীলতায় তা আগুনে ঘৃতাহুতি ছাড়া আর কিছুই নয়।



_______________________



When Daud Haider wrote a poem degrading our prophet Muhammad (pubh) Bongobondhu Sheikh Mujibur Rahman promptly kicked him out of the country.



With 40 percent people living below the poverty level, people of Bangladesh are one of the happiest in the world. Most of our people's needs are spartan though, there are a few dormant volcanoes inside them.



Bongobondhu was aware of that.





By the time Mahmudur Rahman of Amar Desh was arrested, the twisted information of blasphemy had taken a deep root inside the general mass dwelling in 64 thousand villages. People started pondering what could be the reason of arresting him so late.





Anyone who took part in a relief operation following a natural disaster, which claimed hundreds of thousands of lives would vouch that within the time frame of the "Operation Hefajot khedao" disposing of 2,500 corpses was an impossible task, yet people are believing these rumors and not dismissing those as handiwork of Basher Kella, the propaganda Facebook page of Jamat-Shibir.



Could the chaos, confusion , arson that created a havoc in Dhaka city be avoided? Could the administration stop Hefajoties from coming to the city? What could be the reason for the government to allow the rally?





One may say that it was given on a good faith. If it was, then what the intelligence organizations had been doing? What is their job, scope of work?



The rumour that these madrasa "inmates" were lured to Dhaka and was subdued intentionally needs to be addressed and also the answers to the following questions to be given ASAP:



1. Why the operation was carried out under the cover of darkness?



2. Why the two Islamist TV channels was closed down at that time (and not much before)?



3. Why the pictures and footage showing the Hefajoties torching book shops, KFC and other installations are not in circulation (there is no available footage or picture of genocide either)?



Strong, unthinkable rumours are in the air. The renown International medias which are utterly hostile from the time we are trying to bring the war criminals to justice, are also very active nurturing these rumours. Yesterday, CNN has published an I Report, the report was ill motivated. The circulation of such reports in the country would pour fuel to fire that is engulfing our country very fast.

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

মিতক্ষরা বলেছেন: সরকারের বাহিনী রাতের অন্ধকারে টিভি চ্যানেল বন্ধ কর মিডিয়া কর্মীদের সরিয়ে লাইট নিভিয়ে অপারেশন পরিচালনা করেছে। এতে তো মানুষ সন্দেহ করবেই। বহু হেফাজতীর খোজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই গুজব বাতাসে উড়ছে।

২৫০০ খুন হয়েছে কিনা জানি না, তবে যদি হয়েও থাকে তাতে অবাক হবার কিছু নেই। সেনাবাহিনী যথেষ্ঠ নিষ্ঠুরতার সাথে অভিযান পরিচালনা করেছে, তারা ঠান্ডা মাথায় "ফায়ার" শব্দ উচ্চারন করেছে। এটা বিশৃংখল জনতার প্রতিরোধ ছিল না, বরং ছিল ঘুমন্তদের উপরে আক্রমন।

০৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

ত্রিশোনকু বলেছেন: সেনাবাহিনী????????

একটা মানুষের ওজন ৬০ কেজি হলে একটা তিন টন ট্রাকে ৫০টি মরদেহ বহন করা যাবে।

২,৫০০ মরদেহ বহন করতে ৫০টি ট্রাক বা ৫০ টি ট্রিপ লাগবে।

ছড়িয়ে ছিঁটিয়ে থাকা লাশগুলোকে জড়ো করতে হবে।

তারপর সেগুলোকে ট্রাকে ঊঠাতে হবে।

২,৫০০ লোকের রক্ত পরিষ্কার করতে হবে। করতে কত সময় লাগবে তা কুরবানীর সময় একটা গরুর রক্ত পরিষ্কারে আপনি যত সময় ব্যায় করেছিলেন সে কথা ভাবলেই অনুমান করতে পারবেন।


এই ট্রাকগুলোকে ঢাকা নগরীর সদর রাস্তা দিয়ে অনেক ক্ষণ চলতে থাকতে হবে।



তাই বলছিলাম, আমরা শুধু বিশ্বাস করছি ভাবছি না।





.
.

২| ০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

প‌্যাপিলন বলেছেন: হেফাজতের কর্মীরা যেভাবে শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়েছিল তা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাদেরকে সেখান থেকে সরাতে বাতি নিভিয়ে দেয়া একটি সাধারণ কৌশল। তবে রক্ষে যে ব্যপক প্রাণহানী ছাড়াই পরিস্থিতি সামাল দেয়া গেছে (গুজব যতই ছড়াকনা কেন)। আপনার কিছু প্রশ্নের সাথে আমার সম্পুরক কিছু প্রশ্ন। সরকারের কাছে দাবী জানাতে হলে সচিবালয় ঘেরাও বা সচিবালয় কেন্দ্রিক চাপ প্রয়োজ করা অর্থাত সরকারের নীতি নির্ধারকরা যেখানে বসেন সেখানেই আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিত। এছাড়া সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও দাবী আদায়ের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে। কিন্তু শাপলা চত্বর কেন আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হবে। শাপলা চত্বর/মতিঝিল এরিয়া বাংলাদেশের অর্থনীতির মুল কেন্দ্রবিন্দু। এসব স্থানে সমাবেশ/অগ্নিসংযোগ/ভাঙচুর কি সরকার পতনকে তরান্বিত করবে না দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ডকে ভেঙে দিবে। সেদিন যদি বাংলাদেশ ব্যাংকে বা সোনালী ব্যাংকে অগ্নিসংযোগ করা হতো তাহলে দেশের অবস্থা কোথায় দাড়াতো।

তবে আমি বিশ্বাস করি কৌশলে হেফাজতকে রাজনীতির নোংরা খেলায় ঠেলে দিয়ে জামাত আলু পোড়া খাচ্ছে।

০৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:২০

ত্রিশোনকু বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত।

আমি এই পোষ্টটিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি, যাতে করে দেশ আরো অশান্ত হবার আগেই গুজব গুলোকে ধ্নগস করে দেয়।

বাতি নিভিয়ে দেয়া যদি একটি সাধারণ কৌশল হয় সেটা সরকারের ব্যাখ্যা দিয়ে বলে দেয়া উচিৎ এবং এক্ষুণি।

৩| ০৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

মিতক্ষরা বলেছেন: আপনি লাশের সংখ্যার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সেটা ঠিক আছে। কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সহ বিভিন্ন মিডিয়াতে যেসব ছবি এসেছে কিংবা প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যে যেসব কথা এসেছে তাতে বোঝা যায় এই অপারেশন যথেষ্ঠ নিষ্ঠুরতার সাথে পরিচালিত হয়েছে। এই নিষ্ঠুরতার বিষয়টিকে আপনি উপেক্ষা করতে পারেন না।

কিছু হেফাজতীদের দিনের বেলার সহিংসতার জন্য রাতের অন্ধকারে সমস্ত ঘুমন্ত হেফাজতীদের উপর গুলি চালনা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।

০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮

ত্রিশোনকু বলেছেন: মরদেহ এখানে বিবেচ্য নয়, নিষ্ঠুরতাও নয়।

আমি বলছি জোরালো গুজব একটা দেশের স্থিতিশীলতাকে অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে ধ্বংস করতে পারে, যখন মানুষ তা বিশ্বাস করতে শুরু করে।

৪| ১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা দারুণ শকড। গুজব হোক আর গজব হোক সরকার পাকিস্তানী কায়দায়এতটা চড়াও হওয়া পছন্দ হয়নি।উশৃঙ্খল হয়ে যায় জনতা সেটা সারা বিশ্বে হয়েছে অতীতে বর্তমানে ভবিষ্যতেও হয়ত হবে।কিন্তু সরকার কিন্তু এমন ডিক্টেটর হওয়া অনুচিৎ । এখন এরশাদ সাবকে নিষ্ঠুর স্বৈরশাসক বললে এ সরকারকে তার চেয়ে নিষ্ঠুর বলা চলে। এরশাদ কতজন মানুষ হত্যা করেছে?

১০ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: সে সময়কার প্রতিটি পদক্ষেপের গ্রহন যোগ্য ব্যাখা প্রয়োজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.