নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শরীরে শরীর নয়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখাও নয়, মূহুর্তের ছোঁয়াও নয়, একটু দেখাতেই লিটার খানেক অগ্নিজলের ঘোর।

ত্রিশোনকু

না প্রেমিক না বিপ্লবী [email protected]

ত্রিশোনকু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্থহীন এই জীবন বলীদান, এই সুন্দর পৃথিবীতে অমিত সম্ভাবনার জীবন শুরু করার প্রারম্ভে!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬





অর্থহীন এই জীবন বলীদান, এই সুন্দর পৃথিবীতে অমিত সম্ভাবনার জীবন শুরু করার প্রারম্ভে!



এই লেখাটি পড়ুন, একাধিকবার, শেয়ার করুন যতভাবে করা যায়। হার্ড কপি করে বিলিয়ে দিন, ছড়িয়ে দিন।



আপনার এই পড়া, আপনার এই শেয়ার হয়তো আরেকটি টগবগে তরুনকে অসময়ে নিথর হওয়া থেকে রক্ষা করবে।



হতে পারে সে আপনার আত্মজ, আপনার অনুজা কিম্বা সুহৃদঃ



++++++++++++



বেশ কয়েকবছর আগে আমাদের কাছের এক বড় ভাইয়ার এক বন্ধু মারা যান সেন্টমার্টিনে পানিতে ডুবে। সব বন্ধু পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে আর চোখের সামনে মায়াবী নীল পানি গ্রাস করে নিচ্ছে কাছের বন্ধুকে !! ভাবতেই গা শিউরে উঠে।

এরপর যখন আমরা কয়েকটা বন্ধু মিলে সেখানে যাই তখন কথাটা খুব মনে হচ্ছিল!! যাওয়ার পথেও অনেকের কাছেই শুনলাম এরকম হারিয়ে যাওয়ার কিছু সত্য গল্প। অবাক করা বিষয় হচ্ছে বর্ননায় সবার বলা জায়গাটা একটাই মনে হচ্ছিল। তাই ওখানে গিয়ে আমরাও খুজতে লাগলাম জায়গাটি।।

স্থানীর এক হোটেল কর্মকর্তার সাথে এসব নিয়ে কথা হচ্ছিল , কথা প্রসঙ্গে উনিও জায়গাটা দেখিয়ে দিয়েছিলেন, আর তানা হলে হয়ত আজ আর আমার এই পোস্ট টি লেখা হতনা হয়ত অন্যদের মত আমরাও হারিয়ে যেতাম সেখানে কারন জায়গাটা সেন্টমার্টিন নেমে প্রথম বীচে হাটা শুরু করলেই কয়েক মিনিট পরেই ওত পেতে থাকে অর্থাৎ অনেক কাছেই।



ওখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে হতে কিছু বুঝে উঠার আগেই হয়ত ভুলবশত আপনিও পা দিতে পারেন এই জায়গাটিতে!! কারন নীল পানির আচ্ছাদনে আলাদা করে বোঝার কোণ উপায় ই নেই।



এরপরেও প্রায় প্রত্যেক বছর এই একি জায়গায় অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন আর এবার ২০১৪ তে এসে আহছান উল্লাহ ইউনিভার্সিটির এতগুলো ছাত্র অকালে প্রাণ হারালো !! খুব নাড়া দিয়ে উঠলো আর ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করতেছে আমাদের নিষ্ঠুর বিবেক কে, এতটা নিশ্চিত জানা সত্তেও ওখানকার প্রশাসন কোণ ব্যবস্থা নেয়নি এই অভিশপ্ত জায়গা সম্পর্কে !!



যাহোক কথা না বাড়িয়ে আমি আপনাদের কে জায়গাটা একটূ ছবি দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাচ্ছি।।



যার গেছেন তারা নিশ্চই জানেন যে প্রথমে জাহাজে করে সবাইকে সেন্টমার্টিন ফেরীলাইনে নামিয়ে দেয়া হয়। আর সেখান থেকে পায়ে হেটে ব্রীজটা পার হয়ে এসে নামতে হয় সেন্টমার্টীন দ্বীপে।





এখানে নামলেই হাতের ডানদিকে যে বীচ টা দেখতে পাই প্রায় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সবাই এই বীচ ধরে হাটি এবং ব্রীজের গোড়ার দিক থেকে পানিতে নামি আর কিনারা ঘেষে ডান দিকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি।।



পানিতে একবার নেমে পড়োলে আমরা আর কেউই কিন্তু বালিতে উঠে আসিনা সামনে এগুতে থাকি পানি ধরেই। ঠিক সোজা সামনের দিকে এগিয়ে গেলে এবার দ্বীপটা হাতের বা দিকে টার্ন নেয়। ঐ জায়গাকে বলা হয় “জিনজিরা উত্তরপাড়া” স্থানীয়রা বলেন উত্তর বীচ।।



দুইদিকের পানির স্রোত এবং ঐ ত্রিকোনাকৃতির মধ্যস্রোত এই জায়গাটিতে মিলিত হয়েছে এবং ত্রিমুখি স্রোতের কারনে পানির চাপ খুব বেশী ওখানটায় এবং চাপটা নিন্মমুখি।





স্থানটা দেখতে অনেকটা লম্ভাটে খালের মত, আর এই ত্রিমুখি স্রোতের কারনে অনেক জায়গাজুড়ে বড়সড়ো গর্ত তৈরী হয়েছে। জানিনা এবং কোন নির্দেশনা নেই বলেই আমরা সাতার কাটতে কাটতে এই টার্ন দিয়েই বা পাশের বীচের দিকে এগুতে থাকি, আর তখনি কিছু বুঝে উঠার আগেই সমুদ্রের অতলে হারিয়ে যায় অনেকেই।



একিভাবে আমি এবং আমার বন্ধু জাকির ও রিয়াদ সাতার কেটে ওইদিকেই এগুচ্ছিলাম হঠাত ওখানে বীচে হাটাহাটি করা স্থানীয় দুইটা বাচ্ছা ছেলে আমাদের কে বললো ‘ভাইয়া ওইদিকে যাইয়েন না, গর্ত আছে’ আর হয়ত এভাবেই আল্লাহ আমাদের বাঁচিয়েছেন !!



প্লিইজ সবার কাছে অনুরোধ রইলো এই স্থানটা সম্পর্কে আপনার কাছের সবাইকে সচেতন করে দিন। ছবিগুলো ফোনে নিয়ে নিন যখন যার সাথে কথা হবে দেখিয়ে দিন, যদি আর একটি প্রাণ ও বাঁচে আপনার এই ছোট্র কাজ থেকে তাহলে অনেক বেশী উপকৃত হবেন।। বুঝার সুবিধার্থে আমাদের ক্যামেরায় তোলা কিছু ছবি দিচ্ছিঃ











করেছি,দাওয়াত থাকল।। দেখে নিন সেন্টমার্টিন এর ভয়ংকর সেই মৃত্যুফাঁদ ( সচেতন হোন )



ছবি কৃতজ্ঞতাঃ মেহেদী।



মুল লেখাটি সুডো ব্লগে লিখেছিলেন মেহেদী। এখন ওখানে যেতে পারছিনা।



এখানে নিউজ আইটেম হিসেবে দেখতে পারেন।

সেন্ট মার্টিনের সেই 'ভয়াল মৃত্যু ফাঁদ'

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯

দেবাশীষ বসু বলেছেন: Nice

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ দেবের আশীষ।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫২

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করা হোক...সবার জানা জরুরী

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ নীল।

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

মেহেরুন বলেছেন: এই জায়গা দিয়েই তো ঘুরে এসেছিলাম।। ভাগ্য ভালো বেঁচে আছি। জানা থাকলো। সবাইকে জানাতে হবে এই বিষয়ে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩০

ত্রিশোনকু বলেছেন: মেহেরুন,

এই জায়গা গুলোতে আমি নেমেছি, নেমেছে আমার সন্তানেরা পানিতে।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সচেতনা মূলক পোষ্ট। ধন্যবাদ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

ত্রিশোনকু বলেছেন: স্বাগতম।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৬

মামুন রশিদ বলেছেন: সেন্ট মার্টিন দর্শনার্থীদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা । কক্সবাজারে যেমন 'ইয়াসির লাইফ গার্ড' পর্যটকদের সচেতনতার কাজটি করে, সেন্ট মার্টিনেও কোন সামাজিক সংগঠন 'রিস্ক বেইজড' সচেতনতার কাজটি করতে পারে । আর সরকারের ভূমিকা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাইনা । আমাদের অতি দূর্ভাগ্য যে, আমাদের প্রতিটি সরকারই চুড়ান্ত অথর্ব । তাই তারা নিজে থেকে কিছু করবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৫

ত্রিশোনকু বলেছেন: "কক্সবাজারে যেমন 'ইয়াসির লাইফ গার্ড' পর্যটকদের সচেতনতার কাজটি করে, সেন্ট মার্টিনেও কোন সামাজিক সংগঠন 'রিস্ক বেইজড' সচেতনতার কাজটি করতে পারে । "

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৩৯

সানড্যান্স বলেছেন: আমি একটা কথা বলতে চাই
আমাদের দেশের বিভিন্ন ইউনির ছেলে মেয়েরা যখন একসাথে সেইন্ট মার্টিন কিংবা কক্স বাজার যায়, তখন ছেলেদের মাঝে একধরনের বীরত্ব জাহির করার প্রবণতা থাকে, আর যেহেতু বান্ধবীরা থাকে, নিজেকে বীর কিংবা সাহসী প্রমানে অনেকেই উতসাহ নিয়ে চীরদিনের জন্য বিদায় নেয়।

আমি ব্যক্তিগতভাবে সাতাঁরে খুব ই দূর্বল, কিন্তু সেইন্ট মার্টিন আমি কতবার গিয়েছি আমার নিজেরো মনে নেই, বাঙ্গলার আরো অনেক সৈকতেও আমি গিয়েছি, কখনো একা, কখনো বন্ধু-বান্ধবী মিলে, পানিতে নেমেছি প্রতিবার ই, আল্লাহর রহমতে আজ পর্যন্ত কোন বিপদ হয়নি।

কর্তৃপক্ষের দোষ আছে মানি, কিন্তু এধরনের ট্যুরে সবসময় একজন করে পালা করে ওয়াচ ম্যান হিসেবে রাখতে হয়, বিপদ-আপদ সম্পর্কে আগে থেকে জানা আপনার নিজের কর্তব্য ও বটে।

যাইহোক, আল্লাহ তাদের জান্নাতবাসী করুন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪০

ত্রিশোনকু বলেছেন: "আমাদের দেশের বিভিন্ন ইউনির ছেলে মেয়েরা যখন একসাথে সেইন্ট মার্টিন কিংবা কক্স বাজার যায়, তখন ছেলেদের মাঝে একধরনের বীরত্ব জাহির করার প্রবণতা থাকে, আর যেহেতু বান্ধবীরা থাকে, নিজেকে বীর কিংবা সাহসী প্রমানে অনেকেই উতসাহ নিয়ে চীরদিনের জন্য বিদায় নেয়।"

শতভাগ সহমত সান্ড্যান্স।

ধন্যবাদ।

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: হুম!

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৪০

ত্রিশোনকু বলেছেন: :( :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.