নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
না প্রেমিক না বিপ্লবী [email protected]
মানুষ ঘুম থেকে উঠবে সারা দেহ মনে প্রশান্তি নিয়ে, ক্যাতকেতে শরীর নিয়ে নয়।
বিছান থেকে শাওয়ারের তল, ওখানেই ব্রাস করা।
গরমের ঠেলায় ক্ষিদে না পাওয়ায় (আমার মতন ঘটোৎকোচের জন্যে যা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার একটা) বিনা নাস্তায় অফিস। গিয়ে দেখি কেউ আসেনি তখনো। I was early to reach office by an hour, almost.
সকাল ৯ টায় গ্রেনেডিয় শব্দ করে কাছের ট্রান্সফ্রমারটি বিস্ফোরিত হল। বাসায় ফিরে গিয়ে একটা ফ্রেঞ্চ হলিডে পালন করব কিনা ভাবতে ভাবতে নিজেকে অফিসের শাওয়ারের নীচে আবিষ্কার করলাম।
গরমের চোটে যে খালি কম্পিউটার চিপস বিগড়ে যায় তাই নয়, মানুষের মস্তিষ্কের নিউরনও আউলা ঝাউলা হয়ে যায়। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যেহেতু রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম সাইকেলে চড়েই বনানী অফিস থেকে উত্তরা চার নম্বর সেকটরে নির্মানাধীন চার তারা হোটেল পরিদর্শনে যাই। ততক্ষণে অফিসের আমার প্রপিতামহের সমবয়সী জেনারেতরের স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে গেছে।
উত্তরা থেকে যখন ফিরলাম তখন স্বাভাবিক ছিলাম না। অগ্নিজল পেটে না পড়েই আমার তখন তুরীয় অবস্থা! রুমে ঢুকেই বেজায় খুশী, ট্রান্সফরমার নতুন লেগেছে এবং বিদ্যুৎ এসে গেছে। জ্বালানী উপদেষ্টার প্রতিবেশী হওয়া একটি অতি মিষ্টি ব্যাপার। অনেকটা প্রথম প্রেমে পড়ার মতন।
ঘামে সর্ব শরীর ভেজা ও পরিধেয় চুপসানো। অফিসে প্রার্থনার জন্যে এক প্রস্থ কাপড় থাকে। সেটা নিয়ে আবার ঢুকলাম গোসলে।
আরাম করে আমার প্রিয় চেয়ারটাতে বসতেই বিদ্যুৎ চলে গেল আবার। এবার লোড শেডিং। এবং ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়, জলছাদধীন ছাদের নিচে এবার সেদ্ধ হওয়া, ঘন্টা দেড়েক। ধুস এর চেয়ে শাওয়ারের সান্নিধ্যে কাটানোই ভালো। কল ছেড়ে এক মিনিটও দাঁড়াইনি, আর্ত চিৎকার দিয়ে বাথ্রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। প্রচন্ড গরম পানিতে পিঠ পুড়ে গেছে ততক্ষণে। আমার বিভৎস চিৎকারে অফিসের সবাই ভীড় করলো আমার কক্ষের সামনে।
অফিস থেকে বাসা চার মিনিটের সাইকেল পথ। ঐ চার মিনিট যেন চার বছর। সারাদিন না খাওয়া। বকে বললাম খাবার দিতে। বলেই আরেক দীর্ঘ স্নান- এত দীর্ঘ স্নান শুধু বিংশ শতাব্দীর বাংলা উপন্যাসের পরির মতন রূপসী নায়িকারা করে থাকে।
খেয়ে ঘুম দিলাম একটা দুই বড়ি ভ্যালিয়াম ফাইভ খেয়ে। পাছে গরমে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
কিছুক্ষণ আগে উঠেছি।
ধোঁয়া ওঠা,পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সিডার চিজের পাস্তা সামনে।
আমার খেতে ইচ্ছে করছে না।
অসহ্য গরম।
আমার আবার একটা গোসল দিতে ইচ্ছে করছে।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৪৯
ত্রিশোনকু বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা।
আমি নিচ্ছি তো।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৫২
ইঁদুর চিকার মারামারি, নষ্ট করে বসত বাড়ি বলেছেন: গরমে জীবন অতিষ্ঠ!! গোসল করে ২ মিনিট টিকতে পারি না সাথে সাথে আবার গরম!!
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৪৯
ত্রিশোনকু বলেছেন: এক্কেবারে ঠিক কথা বলেছেন ইঁদুর
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:০৬
সাধারন এক মেয়ে বলেছেন: আহ গরম! বাহ গরম!!
গোসলই শান্তি! পৃথিবীর সকল প্রাণী গোসল করুক ও শান্তিতে থাকুক!
যন্ত্রনার রম্য রুপটা ভালো লেগেছে
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৫১
ত্রিশোনকু বলেছেন: "পৃথিবীর সকল প্রাণী গোসল করুক ও শান্তিতে থাকুক!"
-যথার্থ!
ধন্যবাদ সাধারন এক মেয়ে।
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:২১
ঢাকাবাসী বলেছেন: ৮ লাখের লোকের শহরে বাস করে ৩ কোটি মানুষ! গরম তো লাগতেই পারে!
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৫৩
ত্রিশোনকু বলেছেন: ঢাকাবাসী,
আমি ঢাকায় এসেছিলাম ১৯৬১ তে।
ছায়া সুনিবিড় শান্তির শহর ঢাকার সেই অপরূপ রূপ আমার এখনো চোখে ভাসে।
পুরো শহরে একমাত্র জ্যাম লাগতো (রিকশার) গুলিস্তানের মোড়ে।
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৬
মামুন রশিদ বলেছেন: সকালে দুপুরে বিকালে রাতে মোট চারবার শাওয়ার স্নান, তবু কিছুতেই গরম যাচ্ছে না ।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৫৪
ত্রিশোনকু বলেছেন: মামুন রশিদ,
যা বলেছেন ভাই।
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অস্বাভাবিক রকমের গরম...........
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৫৪
ত্রিশোনকু বলেছেন: আসলেই।
৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭
নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: পোষ্টটি পড়ে গরম আরও বেশি লাগছে।
প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ
১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৪১
ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১০:৪২
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: গরম কমেছে দাদা। গ্রামের বাড়ি গেলাম। দু রাত ছিলাম। দু রাতই তীব্র ঝড়। ঝড়ের রাতে কেউ হয়তো আম কুড়ায়।
আমি ঘুমাই। নিবিড় ঘুম দেই।
ফিলিং রিচার্জড।
১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
ত্রিশোনকু বলেছেন: হায়রে আমার যদি এমন একটা গ্রামের বাড়ি থাকতো!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:৩৫
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গরম আসলেই অসহ্য রকম।
সারাদিন শাওয়ার নিতে পারলে মন্দ ছিলো না।