নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শরীরে শরীর নয়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখাও নয়, মূহুর্তের ছোঁয়াও নয়, একটু দেখাতেই লিটার খানেক অগ্নিজলের ঘোর।

ত্রিশোনকু

না প্রেমিক না বিপ্লবী [email protected]

ত্রিশোনকু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ থেকে চুয়াল্লিশ বছর আগের একটি ভয়াবহ রাত।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩০

আই ব্লগে আমার সে রাতের অভিজ্ঞতার সহভাগ আরো করেছি। এবার আবার করলাম। নতুন ব্লগারদের জন্যে বিশেষ করেঃ



সে দিনটির কথা আমার মনে আছে স্পষ্ট।

আমি ছিলাম চিটাগাংএ। সপ্তম শ্রেনীতে পড়ি। আবাসিক স্কুলে পড়তাম। ১ কিমি সামনে সমুদ্র, ২০০ গজ পেছনে পাহাড়। সেদিন সকাল থেকে টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছিল। সন্ধ্যায় শুরু হয় সাইক্লোন। আমরা দোতলায় থাকতাম। ৮ জন এক ঘরে। এমন বাতাস আর ঝড়ের তান্ডব যে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। অবিরাম বজ্রপাত, বারান্দায় সামুদ্রিক পাখির স্তুপ। সারারাত সৃষ্টিকর্তাকে ডেকে (আর এক সতীর্থ সারারাত আজান দিয়ে) রাত পার করি। ভোরে পেছনের জানলা দিয়ে দেখি অভূতপূর্ব দৃশ্য। পেছনের পাহাড় আগে ছিল ঘন জংগলে ঢাকা- সে পাহাড়ে তো কোন গাছই নেই, এমনকি কোন ঘাসও নেই, সবুজ গাছ গাছালীতে ঢাকা পাহাড় এখন মুড়ানো খয়েরী রংএর টিলা। হোস্টেলের বেয়ারা কিছুক্ষন পর ডাকলো পাখী দেখতে, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। শামুক খচা (ভাংগা), কাঞ্চি চোরা, ওয়াক, স্নাইপ, গাংচিল, বক আরো অচেনা অনেক প্রজাতির পাখি। বড় সাইজের চার বালতিতেও কুলায় নাই, বারান্দার একপাশে জড়ো করা আছে বাকিগুলো। পাখিগুলো সমুদ্রের দিক থেকে এসে আছড়ে পড়ে মরছিল হোস্টেলের সাথে বাড়ি খেয়ে খেয়ে সারারাত ধরে।





জলচ্ছ্বাস নিহত ছোট্ট একটি মেয়ের মৃতদেহ সৎকারের চেষ্টা



এ ঘটনার বেশ কিছুদিন পর আমাদের শীতের ছুটি হয়। ছুটিতে বাবার শিকারের সংগী হয়ে একদিন শিকার কুড়োতে কুড়োতে উত্তর পতেংগা থেকে হালি শহর সৈকতে আসি। তখন সন্ধ্যা প্রায়। বীচ থেকে (তখন মাটির বাঁধ আর ম্যাংগ্রোভ ছিলনা) একসারি নারিকেল গাছ আমাদেরকে গ্রামের ভেতর দিয়ে সোজা সমুদ্র পাড় থেকে রাস্তায় নিয়ে আসতো (আমরা নাম দিয়েছিলাম তাহিতি)। বাবা উত্তর পতেংগায় নেমে গাড়িটিকে হালিশহরে পাঠিয়ে দিতেন। যেখানে বীচ শেষ এবং গ্রাম শুরু হ'তে যাচ্ছে ঠিক সেখানেই একটা ঝোপের মধ্যে কমলা রংয়ের কিছু একটা দেখে এগিয়ে যাই আমি। তিন চার বছরের একটা মেয়ে শিশুর মৃতদেহ -সমুদ্রের পানিতে ভেসে আসা ঘুর্ণিঝড়ের সংহার। বেশ কিছুদিন গত হয়েছে। কিন্তু তাতে না পচঁন ধরেছে না মুখটা একটুও বিকৃত হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছিল শিশুটি পুতুল খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে পড়েছে। বাবা অনেক চেষ্টা করলেন সৎকারের। গ্রামের লোকদের অসহযোগিতায় তা আর সম্ভব হয়নি। তারা এক পর্যায়ে বলা শুরু করলো "শহরোত্তুন মাঁরি আনি খবর দিত ছায়" (শহর থেকে বাচ্চাটাকে মেরে এনে এই নির্জন জায়গায় কবর দিতে চাচ্ছে)।



সৈকতে অনেকদিন পর্যন্ত মানুষের লাশ ভেসে আসতো।



নীচের লিংকে গিয়ে আরো কিছু জানতে পারবেন। দেখতে পাবেন কিছু ছবিঃ



বিশ্বের লিপিবদ্ধ ইতিহাসের ভয়াবহতম ঘুর্নিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস-১২ই নভেম্বর, ১৯৭০

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

ইসপাত কঠিন বলেছেন: দ্যা ভেরি ডেস্ক্রিপশন অব দ্যা লোকেশন সেইস ইউ আর এ ফৌজিয়ান।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৬

ত্রিশোনকু বলেছেন: Yes I'm.

Would love to see you on 25th of next month.

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: সত্তরের ঘূর্নিঝড় নিয়ে কোন স্মৃতিকথা পড়ার সুযোগ হয় নি। কেউ এই বিষয়টা নিয়ে কেন লেখে না কে জানে।

ছোয় বাচ্চাটির মৃতদেহ সতকার করতে পারেন নি জেনে খারাপ লাগল :(

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: না পারার অক্ষমতা অনেকদিন আমাকে তাড়া করে ফিরেছে।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

সুমন কর বলেছেন: অাপনার দেয়া লিংকটি অাগে ঘুরে অাসলাম। ভয়ংকর সব ছবি অার অভিজ্ঞতা। ওখান থেকেই প্রথম ২টি প‌্যারাই তুলে দিয়েছেন। রি-পোস্ট লেখা যেত।

অার দাদা, ঐ দিনটি ছিল ১২ই নভেম্বর। অাজ কিন্তু ১৪ই নভেম্বর।

ভাল থাকুন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫০

ত্রিশোনকু বলেছেন: রি পোষ্ট বেশীর ভাগ মানুষই এড়িয়ে যায়।

আমি যখন সামুতে নিবন্ধিত হই তখন নিবন্ধিত ব্লগারের সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার। এখন ১ লাখ+ সে জন্যেই।

তারিখ বিভ্রান্তি হয়েছে আমার নাত্নীর কারনে। ওর জন্মদিন ১২ নভ্বম্বর কিন্তু সে পার্টি দিয়েছে আজকে।

আকজ ১২ নভেম্বর ভেবে এই পোষ্ট দিয়েছি। :(

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৯

তাশমিন নূর বলেছেন: মৃতদেহটি শেষ পর্যন্ত সৎকার করা যায় নি? খুব খারাপ লাগল। মানুষ মাঝে মাঝে এত অবুঝ হয়ে পড়ে কেন কে জানে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২০

ত্রিশোনকু বলেছেন: খারাপ লাগাটা এখনো আমার আছে। ছোট্ট একটা বাচ্চা মেয়ে। কমলা রংয়ের ফ্রক পরা।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১২

আমিনুর রহমান বলেছেন:




আবারও দিয়ে ভালো করেছেন। নতুনদের এবং আমাদের এখনো অনেক কিছু জানার আছে আপনাদের কাছ থেকে

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২১

ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ আমিনুর রহমান।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫১

মামুন রশিদ বলেছেন: ভয়ংকর অভিজ্ঞতা । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

ত্রিশোনকু বলেছেন: স্বাগতম মামুন।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

হেডস্যার বলেছেন:
আপনে ও তাইলে কমেন্ট ডিলিট করা পার্টি !!

সাবাস !!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৫

ত্রিশোনকু বলেছেন: হাহাহাহাহা।

আমি কোন কমেন্ট ডিলিট করিনি। সামুর টেকলিক্যাল কোন সমস্যা হ'তে পারে।

আপনার প্রশ্নটি আবার করতে পারেন।

৮| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৩৩

ইসপাত কঠিন বলেছেন: আমি ফৌজিয়ান না। তবে প্রটোকলজনিত কারনে যেতে হবে। হিন্টস দিলাম স্যার। খুঁজে নিয়েন :-)

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ কঠিন।

৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০০

ইসপাত কঠিন বলেছেন: আজ বিকালে ঘুরে আসলাম।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

ত্রিশোনকু বলেছেন: এখন বিচটা আগের মতন সুন্দর নেই। নতুন লাগানো ঝোপ ঝাড়ে আর বেলাভুমি পর্যন্ত নারিকেল বিথীর অনুপস্থিতিতে ওখানে যেতে আমার এখন খারাপ লাগে।

১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

নিমচাঁদ বলেছেন: যে দেখেনি তার জন্য এ এক অপার্থিব অভিজ্ঞতা বটে !

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৬

ত্রিশোনকু বলেছেন: ঠিক বলেছ নিম। এক্কেবারে অপার্থিব।

১১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৯

ইসপাত কঠিন বলেছেন: তা ঠিক।

আমি এ্যাকচুয়ালি এফসিসি যাওয়ার কথা বলছিলাম। আজও গিয়েছিলাম।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

ত্রিশোনকু বলেছেন: আর কষ্ট বাড়িও না। তিন মাস ধরে প্ল্যান করে রিইউনিয়ন মিসড।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.