নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শরীরে শরীর নয়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখাও নয়, মূহুর্তের ছোঁয়াও নয়, একটু দেখাতেই লিটার খানেক অগ্নিজলের ঘোর।

ত্রিশোনকু

না প্রেমিক না বিপ্লবী [email protected]

ত্রিশোনকু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাত দে হারামজাদা!

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯



প্রিয় কবি রফিক আজাদ,

যেখানেই থাকুন শান্তিতে, আনন্দে থাকুন।

জন্ম:
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪১ (বয়স ৭৫)
গুণী গ্রাম, ঘাটাইল থানা ,টাঙ্গাইল
মৃত্যুঃ ১২ মার্চ, ২০১৬
পেশাঃ সাংবাদিক, সম্পাদক
যে জন্য পরিচিতঃ কবি, মুক্তিযোদ্ধা
পুরস্কার একুশে পদক।

রফিক আজাদ ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা৷ তিনি ১৯৭১ সালে কাদেরিয়া বাহিনীর অত্যন্ত কার্যকরী সদস্য ছিলেন।
চিরদিনই প্রতিবাদী এই কবি তার দ্রোহকে শুধু কবিতার লেখনীতে আবদ্ধ না রেখে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন জাতির চরম ক্রান্তিকালে, ১৯৭১ এ হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনের সৈনিক হিসেবে পাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।

পিতা সলিম উদ্দিন খান ছিলেন একজন প্রকৃত সমাজসেবক এবং মা রাবেয়া খান ছিলেন আদর্শ গৃহিণী। দুই ভাই-এক বোনের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ।

১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র রফিক ভাষা শহীদদের স্বরণে বাবা-মায়ের কঠিন শাসন অস্বীকার করে খালি পায়ে মিছিল করেন। ভাষার প্রতি এই ভালোবাসা পরবর্তী জীবনে তাকে তৈরি করেছিল একজন কবি হিসেবে, আদর্শ মানুষ হিসেবে। ১৯৫৬ সালে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় একবার বাবার হাতে মার খেয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। উদ্দেশ্য, পি.সি সরকারের কাছে ম্যাজিক শেখা।

গুণী গ্রামের পাশেই মনিদহ গ্রাম। এখানকার ষাট শতাংশ অধিবাসী ছিল নিম্নশ্রেণীর হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত। সুতার, ধোপা, দর্জি, চাষা ইত্যাদি। এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরাই ছিল রফিক আজাদের শৈশব-কৈশোরের বন্ধু।

কালিহাতি হাই স্কুলে পড়ার সময় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে সতীর্থ মাঈন উদ্দিন আহমদের সঙ্গে। সে ছিল ক্লাসের ফার্স্ট বয় এবং অত্যন্ত মেধাবী। সাহিত্যপাঠে আগ্রহ ছিল তার। এই মাঈনই রফিক আজাদের আড্ডার প্রথম গুরু। হামিদপুরে তার সঙ্গে শুরু হয় তুখোড় আড্ডা। তার মুখেই প্রথম মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম শোনেন। দিবারাত্রির কাব্য, পুতুল নাচের ইতিকথা, পদ্মানদীর মাঝি প্রভৃতি উপন্যাসের সঙ্গে পরিচিত হন। মাঈন একদিন সন্ধ্যাবেলা ফটিকজানি নদীর তীর ঘেঁষা ডাকবাংলোর বারান্দায় বসে রবীন্দ্রনাথের ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতাটি পুরো আবৃত্তি করে শুনিয়েছিল তাকে। সেই কবিতা শুনে স্বপ্নাবিষ্ট হয়ে পড়েছিলেন কিশোর রফিক আজাদ। অবাধ স্বাধীনতা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় পড়ে নবম শ্রেণীতে ভালোভাবে পাস করতে পারলেন না আড্ডাপ্রিয় রফিক আজাদ। মাঈনও প্রথম থেকে তৃতীয় স্থানে চলে আসে। আড্ডার অন্য বন্ধুদের অনেকেই একাধিক বিষয়ে ফেল করে বসল। সারা বছর অহেতুক আড্ডা দিয়ে পরীক্ষায় এই দশা। অবশেষে ব্রাহ্মণশাসন হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেন।

রফিক আজাদ বাংলা একাডেমীর মাসিক সাহিত্য পত্রিকা উত্তরাধিকার এর সম্পাদক ছিলেন। রোববার পত্রিকাতেও রফিক আজাদ নিজের নাম উহ্য রেখে সম্পাদনার কাজ করেছেন। তিনি টাঙ্গাইলের মওলানা মুহম্মদ আলী কলেজের বাংলার লেকচারার ছিলেন। রফিক আজাদের প্রেমের কবিতার মধ্যে নারীপ্রেমের একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে।

তাঁর প্রকাশিত বইগুলোঃ

অসম্ভবের পায়ে
সীমাবদ্ধ জলে` সীমিত সবুজে ( আমার অসম্ভব প্রিয়)
চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া
পাগলা গারদ থেকে প্রেমিকার চিঠি
প্রেমের কবিতাসমগ্র (প্রিয়)
বর্ষণে আনন্দে যাও মানূষের কাছে
বিরিশিরি পর্ব
রফিক আজাদ শ্রেষ্ঠকবিতা
রফিক আজাদ কবিতাসমগ্র
হৃদয়ের কী বা দোষ
কোনো খেদ নেই
প্রিয় শাড়িগুলো

পুরস্কার ও সম্মাননাসম্পাদনাঃ

বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮১);
হুমায়ুন কবির স্মৃতি (লেখক শিবির) পুরস্কার (১৯৭৭);
আলাওল পুরস্কার (১৯৮১);
কবিতালাপ পুরস্কার (১৯৭৯);
ব্যাংক পুরস্কার (১৯৮২);
সুহৃদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৯);
কবি আহসান হাবীব পুরস্কার (১৯৯১);
কবি হাসান হাফিজুর রহমান পুরস্কার (১৯৯৬);
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা (১৯৯৭)।[
একুশে পদক, (২০১৩) [৭]

সুত্র:

১। ↑ লেখক অভিধান, বাংলা একাডেমী, ২০০৭, ঢাকা।

২। উইকি

৩। প্রথম আলো।

৪। banglanews24.com

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

জেন রসি বলেছেন: ভাত দে হারামজাদা, নইলে মানচিত্র খাবো!

কবি, মুক্তিযোদ্ধা রফিক আজাদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় মানুষটির সংক্ষিপ্ত জীবনী শেয়ার করার জন্য।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ নুর।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

লালপরী বলেছেন: কবির প্রতি শ্রদ্ধা

১২ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬

ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ পরী।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

শায়মা বলেছেন: রফিক আজাদের জন্য শ্রদ্ধা।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: কেমন আছ শায়মা?

অন্নেকদিন খোঁজ খবর নেই।

ধন্যবাদ।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ত্রিশোনকু বলেছেন: আমি অবশ্য এখনো অতনুদের ভয় পাই।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

শায়মা বলেছেন: ভালো আছি ভাইয়া। সেদিন রাতে তোমাকে গুলশান ২ এর এক ডক্টরসের চেম্বারে দেখলাম। কয়েক মাস আগে। মোবাইলে গাছের ছবি তুলছিলে। আমি তো তোমাকে আসাদুজ্জামান নুরই ভেবেছিলাম।


আর অতনু আবার কে? চিনলাম না।:(

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: অতনু-< তনুহীন-< অবয়বহীন-<ভুত

ডক্টর নিয়াজ, অপথ্যামোলজিস্ট এর?

কথা বললে না যে?

৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মুসাফির নামা বলেছেন: কবির প্রতি শ্রদ্ধা

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ মুসাফির।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: উনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রইলো।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ রাতুল।

৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৭

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: অনেক কিছু লেখা দরকার ছিল। বিশেষ করে ভাত দে হারামজাদা----কবিতার কবিকে নিয়ে এইভাবে আলোচনা করলে,কম মূল্যায়ন করা হয়।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ত্রিশোনকু বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শায়মা বলেছেন: কথা বললে কি অতনু থাকা যায়!!!!!!!!!!:(


তাই বলিনি!:)

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

ত্রিশোনকু বলেছেন: গেলি?

১০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২০

শায়মা বলেছেন: :((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.