নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শরীরে শরীর নয়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখাও নয়, মূহুর্তের ছোঁয়াও নয়, একটু দেখাতেই লিটার খানেক অগ্নিজলের ঘোর।

ত্রিশোনকু

না প্রেমিক না বিপ্লবী [email protected]

ত্রিশোনকু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলাপচারিতা-১

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

অশোকঃ

এই চল না একসাথে ফিরি
এই বিষ্যুদে?

ডাহুকীঃ

সম্ভব না
মানে কি বলতেসো এই সব
আমি তো যাইতেসিই ১০ তারিখে'।
কোন হিসাব বা সময়জ্ঞান আছে?
নাকি প্রেমিকার সাথে থেকে সব ভুলে বসে আছো?

তুই অদ্ভুত
অসহ্য ও মাঝে মাঝে

অশোকঃ

আহা ডাহুকী।
তুই প্রেমেই পড়লিনা আজতক!

এই অদ্ভুত তীব্রতাময় অসহ্য আবেগ, বুঝবি কি করে?

আর প্রেমিকা পেলি কই আমার?

বড়জোর পিপাসিতা কেউ কেউ
মাঝে মধ্যে তেষ্টা মেটাতে আসে।
আমি তাদের সেবা দি।

তুই না!
ব্যাড়াছ্যড়া করে দিলি আমার সমস্ত কিছুকে।
হিসবে কাঁচা আমি অনন্তকাল
আর তুই যে আমাকে বদলে দিলি।
আগের অবস্থানে ফিরে না আসার মত করেই।

ডাহুকীঃ

আমি কি করলাম?
কি করসি?
আজব!
আমি কিছু করিনা!
ঐটা তো প্রেমিকাই,
কত প্রেমিকা তোর

আমি খুব লয়্যাল পাব্লিক পছন্দ করি।

অশোকঃ

প্রশ্নই আসে না।
লয়্যালেরা বোরিং
বোরিং পাবলিক তোর
দুই চোক্ষের বিষ!
সততার সাথে প্রেম করা নিস্তরংগ,
তোর মনত এত্ত লাইভ পাবলিককে পোষায় না তা।

তোর ফেরার কথা ১১ তে।

আমার ১০ এ।

একদিন পিছিয়ে দিতাম ফেরার তোর জন্যে।

তোর আসাটা দলে না হ'লে সমস্যা কোথায় বুঝতেছিনা।

ডাহুকীঃ

তুই বুঝবিও না

আমি ৬২ জনকে জবাবদিহিতা করবো যে আমি কই যাচ্ছি
আমি চাই ও না এরকম কিছু
আর আমরা আসতেছি ১২ তারিখ।

অশোকঃ

তুই ঘটি।
টি শার্ট কিনে দিলিনা আজতক!

ডাহুকীঃ
তুই টাকা দে দ্রুত
টিশার্ট কিনতে যে সময়টা লাগে সেটা আমার আছে?

অশোকঃ

আমাকে কবে তাগাদা দিতে হয়েছে তোর কমিটমন্ট রাখতে?

ডাহুকীঃ
সময় যখন ছিল প্রতিদিন নক করে জিজ্ঞেস করেছি তোকে।

অশোকঃ
কই?
আমি বুঝিনি কেন, তোর নক করার কারন?

ডাহুকীঃ
লিখেছি তোকে
তু ওই সময়ে ব্যস্ত ছিলি মেইবি
এজন্য বের হওয়া হয় নাই

অশোকঃ
তা'লে কাল কিনে দে।

ডাহুকীঃ
একটু পর আমার
ফ্রেঞ্চ আর থিয়েটার ক্লাস
আমার তো সময়ই নাই
বের হতে পারলে তো হতই
তোর কাছ থেকে টাকা তোলার ও
টাইম নাই।

অশোকঃ
নিকুচি করি তোর ক্লাসের।

ডাহুকীঃ
তুই জানিস আমি সব বাদ দিয়ে
একটু ক্যারিয়ার ওরিয়েন্টেড হইতে
চেষ্টা করতেসি।
এপ্রিশিয়েট কর।

অশোকঃ
না
করবো না।
এই ক্লাসগুলো আমাদেরকে ঘনিষ্ঠ হতে দিচ্ছে না।

ডাহুকীঃ
উপায় নাই
আমার কোন গ্যাপ নাই
আমি কোন রকমে এই ট্রিপে যাচ্ছি শুধু তোর জন্য
অনেক কষ্টে ম্যানেজ করেছি।

অশোকঃ
আমি তোর ভাঁজ করা হাঁটুর ওপর মাথা রেখে ঘুমুতে চাই এখন।
দিবি ঘুমুতে?
দিলে যাত্রা করি।

ডাহুকীঃ
সম্ভব না
ক্লাস।

অশোকঃ
তা'লে আমাকে ভর্তি করে দে তোর সাথে, করি ক্লাস।

ডাহুকীঃ
এহহে
ধুর
পাগলামি করিস না

অশোকঃ
পাগলামী না।

ডাহুকী:
শাড়িটা বুক করে আসছি বাই দ্য ওয়ে

অশোকঃ
অন্নেক ভেবেচিন্তে বললাম আমি।
ভাবা শুরু করেছি সেদিন থেকে,
যেদিন বললি ক্লাসগুলোর কথা।

ডাহুকীঃ
ওইটা পরে সেলফ পোর্ট্রেট তুলব
হে হে
উপায় নাই।

অশোকঃ
না ঐটা পরে আমার সংগে ছবি তুলবি তুই।

ডাহুকীঃ
আগে কিনি
তুই ট্যুরেরটা সাথে দিয়ে দিস।

অশোকঃ
না!
এক সাথে গিয়ে কিনবো।

ডাহুকীঃ
আচ্ছা ঠিকাছে।
তুই চলে আসিস ছবির হাটে পরশু সন্ধ্যায়।

গেলাম,

ইশতিটা বড্ড জ্বালাচ্ছে।
ওকে সময় দেই না কতকাল।
আজ সন্ধ্যায় ঘুরে বেড়াবো ওর সাথে দশটা পর্যন্ত।

-ত্রিশোনকু, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা, সকাল ১১টা ১৬ মিনিট।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: এটা কি গদ্য? নাকি পদ্য?
ঠিক বুঝতে পারলাম না :(

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২১

ত্রিশোনকু বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা!

কথা বার্তা তো সাধারনত গদ্যেই হয়ে থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.