নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলিম রেজা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সয়েল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সে অধ্যায়নরত ।
এই ঝমঝম বৃষ্টি মোটেই ভালোলাগেনা শুভ্রের। শুভ্র মনে করে বৃষ্টি ভালোলাগার মত কিছু নয়। এর আগেও দু তিন বার রিক্সা উলটে রাস্তার কাদাপানি ভর্তি গর্তে পড়ে গিয়েছে। বৃষ্টি হলেই চারিদেকে কাদা-পানির পরিমান বেড়ে যায়। এই কাদা গুলো শুভ্রকেই যেন সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। রাস্তা দিয়ে হাটতে গেলেও প্যান্টের পেছনের অংশ নিচ থেকে উপর পর্যন্ত কাদার ভালোবাসায় প্রলেপিত হয় । সে এক অদ্ভুত চিত্রকর্ম।
-ছাতা আনোনি?
*…
-বলছি আপনি কি শুনতে পারছেন? ছাতা আনেন নি?
মনে মনে বৃষ্টির গুষ্টি উদ্ধার করায় ব্যস্ত ছিল শুভ্র । তাই প্রথমে বান্ধবী বৃষ্টির কথা খেয়াল করেনি। “আপনি” বলে সম্বোধন করায় হুশ হয় শুভ্রের। আসলে অনাকাঙ্খিত ডাক গুলোই ভালোভাবে কানে ঢোকে এবং বুকে বিধে
*আপনি করে বলছ কেন?
-তো কি বলব? আপনাকে তো তুমি বলে ডেকে উত্তর পাওয়া গেলনা
*আবার আপনি???
-ওকে ছাতা আনছিস?
এবার আগের তুলনায় বেশি কষ্ট পেল শুভ্র । কিছুটা রাগ নিয়েই বলল
*না আনিনি। মরার বৃষ্টি আসার টাইম পেল না
-কি? আমি মরার বৃষ্টি? তোর তো সাহস কম না!
*তোমাকে বলিনি
-ও, তবুও তুই বৃষ্টি কে মরার বললি ক্যান? তোর আসলে রুচিই নাই। বৃষ্টি কার না ভালো লাগে?
*আমার ভালো লাগেনা
-ক্যান? আবারো কি পড়েছিলি__ কোনো গর্তে?
শুভ্রের মুখটা কালো হয়ে যায়। বৃষ্টি কি কোনোদিন তার এই দুর্দশা দেখেছিল? আবার আনমনা হয়ে যায় শুভ্র ।
-ছাতার ভেতরে আয়
*ইয়ে মানে, ঠি__ক আছে__ , বৃষ্টি থেমে যাবে একটু পরেই
-এতো ম্যান ম্যান করছিস ক্যান? তোর কি লজ্জা লাগে?
এটা শুভ্রের কাছে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মত নয়। একসাথে সে বৃষ্টি আর ছাতা দুইটাকেই পাচ্ছে। এর আগে কোনোদিন বৃষ্টির এতো কাছে আসেনি শুভ্র । তবুও সে নিজেদের মাঝে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখছে। ফলস্বরুপ দেহের ডান অংশ টা ভিজে চপচপে হয়ে যাচ্ছে।
-আরে ভিজে যাচ্ছিস তো। আরেকটু কাছে আয়
*না অসুবিধা নেই।
-প্যান্ট টা ভাজ কর। কাদা হয়ে যাচ্ছে
*না থাক
-ভাজ করলে তোকে আনস্মার্ট লাগবে না, জোকার লাগবে
*নিজেকে কেমন লাগছে তা একবার দেখেছো?
-আমাকে কেমন লাগছে? পেত্নীর মত লাগছে? হুম?
*তোমাকে আজ দারুন লাগছে
কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে যায় বৃষ্টি
-দারুন লাগবে কেন? আজকেই কি আমাকে প্রথম দেখছো?
*হ্যা আজকেই তোমাকে প্রথম দেখছি। তোমার প্রতিটা নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছি
নিঃশ্বাসের গতি বেড়ে যায় বৃষ্টির। হাটার গতি কমে আসে। পাশাপাশি হাটার কারনে একে অপরকে ঠিক স্পর্শই করছে বলা যায়। শুভ্রের প্রতিটা স্পর্শ বৃষ্টি কে শিহরিত করছে
-কি শুনতে পাচ্ছ?
*অদ্ভুত এক ভাষা। বুঝতে পারছি না। তবে মনে হচ্ছে এই শব্দ আমি চিরকাল শুনতে চাই
ভালোবাসার ভাষা গুলো আসলেই অদ্ভুত। এই ভাষা মানুষ কে চিরকাল এক অচেনা মায়ায় আবদ্ধ করে রাখে
শুভ্রের চোখের দিকে তাকাতে পারে না বৃষ্টি। মনে হয় এই বুঝি চোখ দুটো তাকে জ্ঞানশূণ্য করে দেবে। ওই #চোখের দিকে একবার তাকালেই বৃষ্টি আটকে যাবে। আটকে যাবে শুভ্রের ভালোবাসায়।
-কি দেখছো?
*তোমার চোখ। তার ভেতরে আমি। তোমার মাঝে আমাকে দেখতে পাচ্ছি
বৃষ্টিও শুভ্রের চোখে নিজেকে দেখতে পাচ্ছে। এক অদ্ভুত মায়াজালে আটকে গেছে বৃষ্টি। ছাতা টা হাত থেকে উড়ে গেছে। এখন এই হাত ছাতা নয়, আরেক জনের হাত ধরে আছে।
আজকের বৃষ্টি টা শুভ্রের কাছে ভালো লাগছে। শুভ্র এখন বৃষ্টিতে ভিজছে, বৃষ্টির ভালোবাসায় ভিজছে। দুজন হাত ধরে ভিজতে ভিজতে হেটে যাবে অনেক দূর। হয়ত চিরকাল..................
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৪
এক্স রে বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই :-)
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
শীলা শিপা বলেছেন: খুব তাড়াহুড়া ছিল নাকি??
ভাল লাগল...
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
এক্স রে বলেছেন: আসলে এক্সাম সামনে লেখার প্ল্যানই ছিল না। তবুও লিখে ফেলেছি ধন্যবাদ আপু :-)
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৪
সুমন কর বলেছেন: মোটামুটি লাগল !
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬
এক্স রে বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া :-)
৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৭
বেলা শেষে বলেছেন: ...good Story ,,,, i like it...
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৭
এক্স রে বলেছেন: ধন্যবাদ :-)
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের সংলাপগুলো সুন্দর, কবিতার মতো ।