নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উড়নচন্ডী,একলা পথিক...স্বপ্ন বুনি পথের ধূলোয়, \nচাঁদনী রাতে জ্যোৎস্না মাখি...\nদূর পাহাড়ের গাঁয়...\n\n\nফেসবুকে: https://www.facebook.com/tushar.kabbo
টানা ৩ দিনের ছুটি পেয়ে গেলাম হঠাৎ।বহুল আকাঙ্খিত ছুটিটা অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।বসের সাথে কথা বলে আরও ২ দিন ম্যানেজ করে ফেললাম চুপি চুপি অনেক ঈর্ষার চোখ এড়িয়ে।অনেকদিন হয়ে গেল(আসলে এক মাস!)পাহাড়ে যাইনা।আর বান্দরবানের পাহাড়ে পালাতে চাইলে ৫/৬ দিনের কমে হয়ও’না।আমার মতো যারা অন্যের কামলা দিয়ে সময় খুঁজে ঘুরে বেড়ান তাদের জন্য ৫/৬ দিন মানে বিশাল কিছু।আনন্দে তখনি কিছুক্ষণ সাম্বা নেচে নিলাম !
শুরু হল পদযাত্রা
এমন প্রকৃতির কোলেই ছিলাম কয়েকদিন রাত
ছুটি তো পাওয়া গেল।এবার টিম ফাইনাল করতে হবে।এটা একটা বিশাল হ্যাপা! হাতে আছে ১৫/২০ দিন।এবার বান্দরবানের যে রুটে যাব বলে ঠিক করেছি সেই রুট টা আমার জন্য নতুন।তাই আমি চেয়েছিলাম একজন অভিজ্ঞ কেউ নেতৃত্ব দিক এই অভিযানের।ঘোরাঘুরির সুবাধে দুরন্ত কিছু অভিযাত্রীর সাথে ইতিমধ্যেই পরিচয় হয়েছে আমার।এদেরই একজন অনুপ দা।মাত্রই গত মাসে নেপাল থেকে আসলেন এক লম্বা অভিযাত্রা শেষ করে।দাদা কে বলতেই সাথে সাথে মানসিক সম্মতি দিয়ে দিলেন।পারেনও বটে!আমাদের টিম টা কিছুতেই ৬ জনের বেশি অথবা ৪ জনের কম হবেনা এরকম উদ্দেশ্য নিয়ে টিম বানাতে নেমে পড়লাম মাঠে।এতো আর ফুটবল টিম না যে এগারজন ধরে কোনরকম নামিয়ে দিলেই হল তারপর বল যেখানে এগারজন সেখানে!এখানে কিছু নিয়ম ফলো করতে হয়।আপনারা যারা পাহাড়ে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান তারা জানেন,একটা দলের মধ্যে বোঝাপড়া থাকা টা খুব জরুরি।সমমনা না হলে টানা ৭/৮ দিন একসাথে চলা খুব মুশকিল হয়ে যায়।নইলে দেখা যাবে একসময় ৫জন ৫দিকে পাহাড় অভিযানে চলে গেছে!এমনও হয় শেষে পুরো অভিযান নানা তিক্ত অভিজ্ঞতায় শেষ হয়।তাই এই ব্যাপারে খুব সাবধান ছিলাম আগেই।তার চেয়েও খুব বেশি জরুরি হল ফিজিক্যাল ফিটনেস।শারীরিক সক্ষমতা ছাড়া ৫/৬ দিন ধরে পাহাড় বেয়ে বেড়ানো খুব দুঃসাধ্য।আমার এক বন্ধু(মেয়ে!)আমাদের সাথে এই রুট টা তে যাবে বলে ছয় মাস আগেই আমার এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখছে।তারে কোনভাবেই এভয়েড করতে পারছিনা!সে আবার কারাতে তে কোন কালারের জানি বেল্ট পাইছে!যখন তখন সে তার প্র্যাকটিস শুরু করে দেয় সুযোগ পেলেই!তাই তারে আমি/আমরা খুব সমীহ করেই চলি!সভয়েই হোক আর নির্ভয়েই হোক তাকে শেষে নিতে রাজি হলাম।শর্ত একটাই সে সাথে আর একজন তার দুর্দর্শ! বান্ধবী কে নিবে।ওদের শারীরিক সক্ষমতার যেহেতু কমতি নেই তাই এই ব্যাপারটায় নিশ্চিন্ত হলাম।
ফেসবুকে পরিচয় এক ছোট ভাইয়ের সাথে।সেও যেতে ইচ্ছুক খুব।আমার ২ জন কলিগও যেতে চাচ্ছে সাথে।অবশ্য কোথাও যাওয়ার কথা শুনলে এরকম ইলিশ মাছের ঝাকের মতো লোকজন কত্থেকে যেন চলে আসে এমনিতেই কিন্তু যাওয়ার দিন আর তাদের অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়না!ঠিক যে কারনে আমি একলাই ঘুরে বেরিয়েছি কবিগুরুর দীক্ষা নিয়ে অর্ধেক জীবন।যাওয়ার ২ দিন আগে বসলাম টিম ফাইনাল করতে।আমার কলিগ ২ জনই আউট।কেউ ছুটি ম্যানেজ করতে পারেনি স্বভাবতই।অনুপ দা’র এক বন্ধুর যাওয়ার কথা ছিল সেও যেতে পারছেনা।সবচেয়ে বেশি হতাশ হলাম যখন জানলাম আমার দোস্তটিও একা যাবে।তার দুঃসাহসী বান্ধবী অসুস্থ হয়ে পড়েছে পাহাড়ে যাওয়ার ভয়ে।শেষে দেখা গেল সবেধন নীলমণি আমরা ৪ জন আছি।আমি,অনুপ দা,সিয়াম ভাই আর অগ্নিকন্যা।টিম ফাইনাল।শুধু মাঠে নামার অপেক্ষা।সবাই যারযার ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে নিলাম।হাঁড়ি,চুলা,বিস্কিট,নুডলস,ড্রাই কেক থেকে শুরু করে জরুরি ওষুধ সব নিয়ে নিলাম।যাওয়ার আগের রাত থেকে ম্যালেরিয়া রোধক প্রতিষেধক (মাত্র ২৮ দিনের কোর্স :/) খাওয়া শুরু করে মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিলাম।
অভিযাত্রী দল
সেই পোজ দু'জনের
আমাদের এবারের অভিযান ঝর্ণা জয়ের অভিযান!আমিয়াকুম নামে এক অপরুপা ঝর্ণার খোঁজে যাব আমরা তবে ভিন্ন এবং দুর্গম একটা পথে।এই ট্রেইল এর গল্প পরের পর্বে করতে আসছি।যখন আমাদের প্রতিটা সেকেন্ড আফসোস করতে হয়েছে একসময় সহজ পথ বাদ দিয়ে এই ভয়ঙ্কর ট্রেইল বেছে নেওয়ার জন্য।আগের রাতেই ৪ জনের টিকেট কেটে রেখেছিলাম আমি।রাত ১০ টায় আমাদের বাস,সেন্টমারটিন পরিবহন।সাড়ে নয়টার দিকে আমরা সবাই এসে হাজির কলাবাগানে।পরিচয় পর্বটাও সেরে ফেললাম আবার নতুন করে সবাই!উঠে বসলাম বাসে।সিটগুলোও ভালো পেয়েছিলাম বলে রক্ষা।বাসের পেছনে থাকলে সারারাত ধরে নাচতে হত বাসের তালে তালে, হেলে দুলে!কুমিল্লা পৌঁছতে পৌঁছতে সবাই মোটামুটি একটা হালকার উপরে ঝাপসা ঘুম দিয়ে নিলাম!বাস থেকে নেমে উত্তরের শীতের একটা ধাক্কা খেলাম ভালই।মনে মনে বেশ খুশি হলাম।শীত যত বেশি হবে ট্রেকিং করে তত মজা।তারচেয়ে বড় কথা সহজে ক্লান্ত হওয়ার হাত থেকে তো বাঁচা যাবে।
যেখানে পথের শেষ আকাশের সীমানায়
আমাদের পেছনেই আর একটা গ্রুপ আসছে ইউনিক পরিবহনে, অনুপ দা বলল।যদিও তাদের রুট আলাদা।হাল্কা চা নাস্তা করে আবার উঠে বসলাম বাসে।দিলাম লম্বা এক ঘুম।ঘুম ভাঙতেই দেখি আমরা বান্দরবানের প্রায় কাছাকাছি।সাড়ে সাত টার আগে আগে পৌঁছে গেলাম।কাউনটারে কিছুটা ফ্রেশ হয়েই দৌড় লাগালাম থানচির বাস ধরতে।কিন্তু গিয়ে দেখি প্রথম বাসের(৮ টায়)সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।প্রতিদিন বান্দরবান থেকে থানচির উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায় ৫ টি।পরের বাস সেই ১০ টায়।এর পর ১১:৩০,১ টা এবং সর্বশেষ বাস ছেড়ে যায় বিকেল ৩ টায়।হাতে অনেক সময়।পরের বাসের টিকেট কেটে নিলাম ৪ টা।নাস্তা টাও সেরে নিলাম সবাই।অনুপ দা ফোন করলো আমাদের পেছনে আসা গ্রুপের সালেহীন ভাই কে।উনারা তখনও এসে পৌঁছেননি।আমরা আবার ফিরে গেলাম বাস স্ট্যান্ডে তাদের সাথে দেখা করার জন্য।কিছুক্ষনের মধ্যেই আমরা তাদের কে পেয়ে গেলাম।তারাও চার জন সদস্য।যাচ্ছেন নতুন একটা রুটের দিকে।শুভকামনা জানিয়ে ফিরে আসলাম আবার।
১০ টার একটু পর পরই ছেড়ে দিল বাস।পাহাড়ে বাস এমনিতেই আসতে চলে।এঁকে বেঁকে চলে যাওয়া সাপের মতো রাস্তাগুলোকে সাথে নিয়ে তাই ধীরে ধীরেই এগুতে হল।তারপর বেরসিক বাস আবার যখন দাঁড়িয়ে পড়ে তখন তাকে কিছুতেই আর নড়ানো যায়না।পারলে ঘুমিয়েই পড়ে যেন!এভাবে বেশ কয়েকবার ঘুম থেকে ডেকে তুলে থানচি পৌঁছতে পৌঁছতে বিকেল প্রায় শেষ।
থানচি থেকে আমাদের প্রথম গন্তব্য বোর্ডিং পাড়া।এর পর যদি সময় আর শরীর ঠিকঠাক থাকে তো আর একটু এগিয়ে শেরকরপাড়া তাবু ফেলব আজকের রাতে ।থানচি থেকে আপনি যে রুটেই যান না কেন গাইড নিতে হয় এরকম টাই নিয়ম করে দেওয়া আছে।কিন্তু আমরা গাইড নিতে চাচ্ছিনা।এতে কিছুটা খরচও বাঁচবে আর নতুন পথে যাত্রাটাও বেশ এডভেঞ্চারাস হবে!তাই ওদেরকে এড়িয়ে নিজেরাই নেমে পড়লাম যুদ্ধ জয়ে।ঝুলন্ত ব্রিজ পেড়িয়ে আসতেই দেখলাম আমাদের অগ্নিকন্যার তেজ কিছুটা নিস্প্রভ হয়ে আসছে ঠিক পড়ন্ত বিকেলের মতো।বুঝলাম তার জন্য আগামী কয়েক টা দিন খুব ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়েই আসছে।সবাই দম নিয়ে নিলাম ফুসফুস ভরে।পরবর্তী কয়েকঘণ্টা টানা হাঁটতে হবে।৪ টার বেশি বাজে ইতিমধ্যে।সন্ধ্যার মধ্যে যতটুকো সম্ভব এগিয়ে যেতে চাই আমরা।প্রথম পাহাড় টা পার হতেই অনেক সময় লেগে গেল।যেহেতু আমাদের ৪ জনের দু’জনই নতুন ট্রেকিং এ তাই চাইলেও দ্রুতগতিতে এগুতে পারছিনা আমরা।আবার সবার সাথেই ১৪/১৫ কেজি ওজনের ব্যাকপ্যাক আছে।তাই এই ওজন পেছনে ঝুলিয়ে পাহাড় বেয়ে হাইকিং করা খুব একটা সহজ’ওনা।আমরা তাই কিছুটা রয়েসয়েই এগুচ্ছি।বেশি ভয়টা ছিল আমার দোস্ত কে নিয়ে।সে মাঝ রাস্তায় যদি হাল ছেড়ে দেয় তো সবাই পড়ে যাব বিপদে।তাই তাকে সাহস দিয়ে চাঙ্গা রাখছিলাম সবাই।এক জায়গায় এসে দেখি দু’টো রাস্তা দু’দিকে চলে গেছে।এবার কি করি!আমাদের ধারনা ছিল হয়ত এক রাস্তায় চলে যেতে পারব অথবা অন্তত কোন না কোন দিকনির্দেশনা নিশ্চয় পাব যা দেখে আমাদের রাস্তা আমরা চিনে নিতে পারব।এসব ক্ষেত্রে(দু’মুখো রাস্তা হলে) ট্রেকিং এর রাস্তায় নির্দেশনা দেওয়া থাকে যাতে সহজে চিনে নেওয়া যায়।কিন্তু আশপাশে শত খুঁজেও কোন দিকনির্দেশনা পাচ্ছিনা।সামনেই একটা বাড়ি দেখে এগিয়ে গেলাম কাউকে জিজ্ঞেস করে হয়ত আমাদের রাস্তা পেয়ে যাব।কিন্তু সেই আশায় গুঁড়ে বালি!বাড়িতে কাউকেও পেলাম না।অগত্যা চার জনেই প্রতিযোগিতায় নামলাম কার গলায় কত জোর আছে সেই পরীক্ষায়।কিন্তু তাতেও কারও সারাশব্দ মিললনা।এবার সত্যিই আফসোস হতে লাগলো কেন গাইড আনলাম না সাথে!রাত টা কি তাহলে এখানেই কাটাতে হবে!
ঠিক এখানে এসে আমরা রাস্তা হাড়িয়ে ফেললাম,সামনে রাস্তা দু'দিকে চলে গেছে
অপেক্ষা করতে করতে একটা গ্রুপ কে পেয়ে গেলাম যারা থানচি থেকে ফিরছে বাজার করে।তাদেরও গন্তব্য বোর্ডিংপাড়া।যাক,এবারের মত তাহলে বেঁচে গেলাম!ওদের সাথে গল্প করে ভাব জমিয়ে নিলাম।জানালাম আমরাও যাচ্ছি বোর্ডিংপাড়ায়।কিন্তু ওদের সাথে গতিতে পেরে ওঠা মুশকিল আমাদের নতুন অভিযাত্রীদের নিয়ে।ওদেরকে পেয়ে সবচেয়ে বেশি লাভবান আমাদের মার্শালআর্ট কন্যা!দেখলাম কিছুক্ষনের মধ্যেই সে তার ১৫ কেজির ব্যাগপ্যাক চালান করে দিয়েছে তাদের একজনের কাঁদে!যাক!এবার তাহলে আমাদের গতি কিছুটা হলেও বাড়বে আশা করছি।এর মধ্যেই একটা খাড়া পাহাড় বেয়ে নেমে এসেছি এক পাশে শত ফিট গভীর খাদ কে পেছনে ফেলে।কিছু কিছু জায়গায় শুধু পা’জোড়া ফেলার জায়গাই ছিল কোনরকম।ঘন বর্ষায় এই রাস্তার অবস্থা কিরকম হতে পারে ভাবলেই কেমন লাগে!একটু পা হড়কে গেলেই!বেশ কয়েক টা বাঁশের/গাছের সেতুও পেড়িয়ে এসেছি দুর্দান্ত সাহসিকতার সাথে!এতক্ষনে সন্ধ্যা পেড়িয়ে নির্জন রাত কে সাথে নিয়ে চলছি আমরা।অনুপ দা তার হেডলাইট লাগিয়ে নিয়েছে মাথায়।দোস্ত ভুল করে লাইট আনেনি।সে আনবে বলে আমিও আনিনি।শেষে আমার মিনি লাইট দিয়েই চলতে শুরু করলাম।কুয়াশায় মাটিও ভিজে যাচ্ছে বলে মাঝে মাঝে পা পিছলে যাচ্ছে।আমাদের গন্তব্য এখনও বেশ দূর।বেশ কয়েক টা ছোট বড় পাহাড় পেড়িয়ে এসে এবার দেখা পেলাম একটা ছোট ঝর্ণার।শীতকাল বলে যদিও পানির খুব একটা প্রবাহ নেই।তবে সিয়াম ভাইয়ের কেড্স খুলতে বাধ্য করার জন্য যথেষ্ট!কিছুক্ষণ আয়েশ করে নিলাম এখানে ঝর্ণার পানিতে।কিছু খাওয়া দাওয়াও হল সাথে ছবিও তোলা হল আমাদের পথপ্রদর্শক দের সাথে।ওদের কাছ থেকে জানলাম এরকম গতিতে হাঁটলে আরও ৩০/৪০ মিনিট লাগবে বোর্ডিং পাড়া পৌঁছতে।এমনিতেই আমাদের বেশ দেরি হয়ে গেছে শ্লথ হাইকিং এর কারনে।আবার পা চালাতে শুরু করলাম।কিছুদুর এগোনোর পর দেখলাম অনেক বড় বড় গাছ সারিবদ্দ ভাবে কেটে রাখা আছে।জানলাম ট্রাকে করে এগুলো থানচি পৌঁছানো হয়।বেশ অবাক হলাম জেনে যেখানে আমরা ছোট বড় বেশ কিছু পাহাড় পেড়িয়ে এতদুর আসলাম সেখানে ট্রাক আসে কি করে!ওরাই জানালো, এখানে এই গাছ কাটার কাজে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক লোক আসে কাজ করতে।খুব কষ্টের এই জীবন তাদের।
সবুজ শ্যামলিমা অপরুপ আমার এই দেশ
আর একটু নিচে নেমে আসতেই পাহাড়ি নদী পেয়ে গেলাম।যদিও নদীতে তেমন একটা পানি নেই শীতকাল বলে।তবে বর্ষায় এই নদী যে প্রমত্তা হয়ে যায় তাতে কোন সন্দেহ নেই।আমরা পানির ঝাপটা মেরে নিজেদের যতটা সম্ভব সতেজ করে নিলাম।আমরা আমাদের গন্তব্যের একদম কাছে চলে এসেছি।এর ওপরেই বোর্ডিং পাড়া।ওরা এই নদীর পানিতেই ওদের তৃষ্ণা নিবারন করে।আসলে পাহাড়ে যত পাড়া আছে সব পাড়ার নিচেই এরকম নদী নইলে পাহাড়ি ঝর্না আছে।পাড়া গুলো গড়েই ওঠে এরকম ঝর্নাকে সাথে নিয়ে।এই গল্প পরে আরও তিন ধরে করব।কেমন করে হন্যে হয়ে একটু পানির জন্য আমাদের ঘুরতে হয়েছে শেষ বিকেলে অথবা পড়ন্ত সন্ধ্যায়।
এমন সেতু পার হতে হয়েছে কিছুক্ষণ পর পরই
পাড়ায় উঠে আসলাম আমরা।এসেই একটা দোকান পেয়ে গেলাম অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে।এরকম একটা জায়গায় এসে দোকান পাওয়া যেতে পারে যা আমাদের জন্য ছিল তখন হাতে চাঁদ পাওয়ার মত।প্রথম দিনের ট্রেকিং শেষে এক একেক জন ক্লান্ত বিধ্বস্ত।এটা অবশ্য প্রতিবারই হয়।শহুরে জীবনের বাইরে এসে পাহাড়ের সাথে সারাদিনের হাইকিং প্রথম দিন শরীর সহজে নিতে পারেনা।পরে অবশ্য ঠিক হয়ে যায়।আর তাছাড়া দু’জন একেবারেই নতুন অভিযাত্রী এসেছে আমাদের সাথে যাদের নিয়ে প্রথম দিনের অভিযান বেশ ভালোভাবেই করে ফেলেছি।অভিনন্দন জানালাম তাদের।
দিনের আলো বিদায় নেওয়ার পথে
দোকানে এক কাঁদি পাহাড়ি কলা পেয়ে সবাই হামলে পড়লাম।ঠিক ক্ষুধার্ত বাঘ যেভাবে তার শিকারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেভাবে আমরা নিমিষেই সাভার করে ফেললাম প্রায় এক কাঁদি কলা।এবার পেট বাবাজী কিছুটা শান্ত হতেই আমরা ওদের সাথে কথা বলে নিলাম আমাদের পরবর্তী করনীয় সম্পর্কে।এই রাতে যে আর সামনে এগোনোর মতো শক্তি,মনোবল কারও নেই তাতে সবাই একমত হলাম । তাই প্রথম রাত টা বোর্ডিং পাড়াতেই থাকবো ঠিক করলাম।আমরা চেয়েছিলাম তাবু টানিয়ে থাকতে যেহেতু আমাদের কাছে তাবু আছে।তবে ওরা বলল কারও বাড়িতে থাকাটাই ভালো হবে।তাতে রাতের রান্নার ঝামেলাটাও হয়ত কিছুটা বাঁচবে।
সূর্যি মামা শেষ বিদায় জানাচ্ছে
বোর্ডিং পাড়া হচ্ছে একটা ম্রু পাড়া।ওদের পাড়াপ্রদানের নাম রাইং ছং কারবারি।যে কিনা তখন থানচি ছিল ব্যাবসার কাজে।আমাদের নিয়ে যাওয়া হল ক্রি তাং নামের একজনের বাড়িতে।বাড়ি দেখে আমাদের বেশ পছন্দ হল।অনেক বড় বাড়ি।মাটির ওপরে মাচার মত করে তার ওপরে ওরা ঘর করেছে।ভেতরে ওরা নিজেরা থাকে।বাইরে আমাদের জন্য অনেক বড় একটা জায়গা ছেড়ে দিয়েছে।কাপড় চেঞ্জ করে নিলাম সবাই।শরীর আর কারও চলছেনা।কিন্তু রাতে না খেয়ে তো আর থাকতে পারবোনা।তাহলে কাল আর ট্রেকিং করা লাগবেনা।ওরা এসে জানতে চাইল খাবার আমরা ব্যাবস্থা করে নিতে পারব নাকি ওরা করে দিবে।ইতিমধ্যে দোকানে এসে একজন কে আমাদের খুব পছন্দ হয়ে গেছে।ঝং লং।অল্প বয়স কিন্তু খুব মিশুক আর সাবলীল।ও সর্বক্ষণ আমাদের সাথে আছে সেই তখন থেকেই।পাশেই ওর বাড়ি।আমাদের হয়ে সেই কথা বলে নিচ্ছে বাড়ির মানুষদের সাথে।যদিও বাংলা টা সে ভালো বলতে পারেনা তবে বুজতে পারে।আমরা ঠিক করলাম তাকেই আমরা কাল থেকে গাইড হিসেবে সাথে নিব।তাকে বলতেই সে এককথায় রাজি হয়ে গেল।অথচ আগে সে কখনও যায়নি শেরকরপারার দিকে।তবুও সে যেতে খুব আগ্রহী।
চলছে রাতের আঁধারে পথচলা
অন্ধকারে এক অভিযাত্রী,যা কে ভূত বলে ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই
এভাবে কেটে ফেলে রাখা হয়েছে অসংখ্য বড় গাছ
ওরে মিষ্টি মেয়ে
পানি রাখার এক অতি সুন্দর পাত্র
অবশেষে ! রান্নার কাজ চলছে পুরোদমে
ও এসে আমাদের রান্নাঘর দেখিয়ে দিয়ে বিদায় নিয়ে চলে গেল।আমরা নুডলস রান্না করে ফেললাম শর্টকাট।আমাদের সাথে যাবতীয় সাজসরঞ্জাম সবই ছিল।ছিলনা শুধু রান্না করার এনার্জি টুকো।তাও করে ফেললাম।আহা ! সে কি রান্না ! এতো স্বাদ’ও নুডলস হতে পারে তা আগে জানতাম না।মনে হচ্ছিল যেন অমৃত খাচ্ছি।আমার লেখা পড়ে কারও জিভে জল এসে গেলে সেজন্য কোনভাবেই লেখক দায়ী নয় কিন্তু চেটেপুটে শেষ করে নিলাম চারজনে মিলে।সিয়াম ভাই অফার দিল এর পর চা/কফি কিছু একটা হলে মন্দ হয়না।কফি আমাদের সাথেই আছে।কিন্তু হাঁড়ি পাচ্ছিনা।যে হাঁড়িতে নুডলস পাকালাম ওটা ধুয়ে মহামুল্যবান পানি নষ্ট করার মত অবিবেচক নই আমরা।কারন আগেই বলেছি এই পানি তুলে আনা হয়েছে সেই পেছনে ফেলে আসা নদী থেকে।তাই এখানে এক ফোঁটা পানিও নষ্ট করা ঠিক না।যাইহোক একটা ছোট হাঁড়ি খুঁজে পেলাম অবশেষে।তাতেই বসিয়ে দিলাম পানি।দুই প্যাকেট নেসক্যাফে দিয়ে বানিয়ে ফেললাম গরমাগরম কফি।আরে বাহ!এবার কফিতে চুমুক দিয়ে দেখি কেমন কেমন যেন গন্ধ লাগছে।সবাই পাচ্ছি গন্ধ টা কিন্তু বুঝতে পারছিলাম না ঠিক কিসের গন্ধ হতে পারে।একপর্যায়ে বুঝতে পারলাম ওটা পাহাড়ি দের অতি প্রিয় খাবার শামুকের গন্ধ।নিশ্চয় এই হাঁড়িতে শামুক রান্না করা হয়েছে আর ঠিক আমাদের মত পানির অপচয় রোধে হাঁড়িটা ঠিকমত ধুয়ে রাখা হয়নি।বুঝতে পেরেই সবার পেটের ভেতর কেমন যেন একটা মোচর দিয়ে উঠলো এবং একই সাথে একটা কমন আওয়াজ বেড়িয়ে আসলো সবার মুখ থেকে যে আওয়াজ টার সাথে আমরা সবাই পরিচিত তবে আমরাও এতো কষ্টের কফি ফেলে দিতে রাজী নই!সে শামুক ঝিনুক যাই থাকুক না কেন আমরা কফিতে নতুন কোন ফ্লেভার মনে করে সানন্দেই কফি পান করে নিলাম।আহা ! সেই স্বাদ বাইরে বেরোতেই দেখি ধবল শাদা জোছনা তার পূর্ণ যৌবন নিয়ে আসছে আমাদের কাছে।কিন্তু আজ আর প্রেম করার মতো শক্তি,ধৈর্য কোনটাই নেই!পরের রাতে ঠিক জমিয়ে আড্ডা দিব এই শর্তে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম আর বিছানায় শরীর পড়তেই সবাই ঘুমের রাজ্যে।
===========চলবে===========
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০৮
তুষার কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
আর পাত্র টার নাম মনে পড়ছেনা নাজমুল ভাই ! মনে পড়লে অবশ্যই আপনাকে জানাব
অনেক ভালো থাকুন।
শুভ রাত্রী।
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৪
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
ওরে মিষ্টি মেয়ে !!!
এছবিটি আমার খুব ভালো লেগেছে ।
কথাটি যদি 'ওরে মিষ্টি মেয়ে, জননীর প্রতিনিধি' লিখলে যথাযত হতো মনে হয় ।
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৫
তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রেজাউ করিম ভাই । আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগছে। আপনার মুল্যবান মুল্যায়নের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
ভালো থাকবেন।
৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪৪
ডি মুন বলেছেন:
সমমনা না হলে টানা ৭/৮ দিন একসাথে চলা খুব মুশকিল হয়ে যায়।নইলে দেখা যাবে একসময় ৫জন ৫দিকে পাহাড় অভিযানে চলে গেছে!
------------ আপনার মনের সাথে কারো মনের মিল হওয়া ক্যামনে সম্ভব !!!! সমমনা লোক পাইলেন ক্যামনে ম্যান ?
অবশ্য কোথাও যাওয়ার কথা শুনলে এরকম ইলিশ মাছের ঝাকের মতো লোকজন কত্থেকে যেন চলে আসে এমনিতেই কিন্তু যাওয়ার দিন আর তাদের অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়না!
---- তার মানে উপসংহার- হইলো আপনার মতো ভণ্ড লোকের সাথে কেউ ঘুরতে যাইতে চায় না।
দোকানে এক কাঁদি পাহাড়ি কলা পেয়ে সবাই হামলে পড়লাম।ঠিক ক্ষুধার্ত বাঘ যেভাবে তার শিকারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সেভাবে আমরা নিমিষেই সাভার করে ফেললাম প্রায় এক কাঁদি কলা।
---- ইয়া আল্লাহ !!!!! এইভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ খাইয়া শেষ কইরা দিতাছেন আল্লাহ পাক আপনাদের হেদায়েত দান করুক। আমিন !
আহা ! সে কি রান্না ! এতো স্বাদ’ও নুডলস হতে পারে তা আগে জানতাম না।
------ আপনি পেটে যে রাক্ষস বাস করে এ আর নতুন কি !!
সে শামুক ঝিনুক যাই থাকুক না কেন আমরা কফিতে নতুন কোন ফ্লেভার মনে করে সানন্দেই কফি পান করে নিলাম।আহা ! সেই স্বাদ।
------ আপনার যেই অবস্থা দেখতেছি, তাতে কইরা বাংলাদেশে অচিরেই দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে।
এখন থেকেই সরকারের উচিত তুষার পাহাড়ীয়ার কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ মোকাবেলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
-------
আহম আহম , যাহোক। খুবই উপভোগ্য ভ্রমণ পোস্ট। তবে কয়েক হাজার বানান ভুল হইছে। বিশেষ করে র এবং ড় ব্যবহারে সচেতনতা কাম্য।
+++
হ্যালো, পাহাড়ীয়া ভাই কেমন আছেন ?
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
তুষার কাব্য বলেছেন: আইছেন আর একজন আমার বানান ভুল ধরতে ! এতদিন পর আসলাম ব্লগে কই ফুল টুল নিয়ে বরণ করে নিবে তা না আসছে বানান নিয়ে গভেশুনা করতে
আর তাছাড়া , ৪/৫ হাজার শব্দে লিখলে ২/১ হাজার বানান ভুল হতেই পারে ! এইটা কোন ব্যাপার না
পাহাড়িয়া তার পাহাড়ে গিয়ে ২০/২৫ কাঁদি কলা নিজের মনে করে পেটে চালান করে দিবে এতে এমন অবাক হওয়ার কি আছে ! নিজের মনে করেই তো খাইছে
একবার শামুক কফি টা যদি খাইতেন তবে মাথা ডা আর এমন কইরা ঘুরত না ! পরশু দিন যাচ্ছি আবার পাহাড়ে। আপনার জন্য নিয়ে নিয়ে আসব !
খেলেই মাথা/দিল সব ঠাণ্ডা হয়ে যাবে
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আল্লাহ আপনাগের কপাল দিছে ,কি মজা ঘুরে বেড়ান ...
অবশ্য আমাদের ও কপাল ভাল এত সুন্দর সব পোস্ট পাচ্ছি ...
দারুন সব ছবি আর মনমুগ্ধকর বর্ণনা
এত্তগুলি +++++++++
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫৮
তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা ! চমৎকার মন্তব্যে শুভেচ্ছা আপু
আপনার প্লাস গুলো সাদরে গ্রহন করা নিলাম
অনেক ভালো থাকা হোক ।
শুভ রাত্রী ।
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৪৩
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: এতো স্বাদের নুডলস একলাই খাইলেন, আমাগো লাইগা আনলেন না?
কফির নূতন ফ্লেভার নিশ্চয়ই মনে রাখার মতো ছিল।
আইচ্ছা অগিকন্যার বেল্টের কালার কী? কালার যাহোক, কোন কাজে লেগেছিল নাকি হুদাই?
চারজনের দল হয়ে পাহাড়ি পথ পারি দেয়া বেশ দুঃসাহসিক ব্যাপার। ছবিগুলো এবং বর্ণনা দুটোই ভালো লাগলো তুষার কাব্য। ধারাবাহিকের সাথেই আছি। দেখি শেষ পর্যন্ত অগিকন্যার কুংফু কোন কাজে লেগেছিল কিনা।
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫০
তুষার কাব্য বলেছেন: পাহাড়ের নুডলস পাহাড়েই অমৃত শহরে আর চলেনা ভাই
আহ ! আবার মনে করিয়ে দিলেন ,যে কফি খেলাম সেই স্বাদ কি আর ভুলতে পারি ভাই
অগ্নিকন্যার কুংফু এখন ও পর্যন্ত্য কাজে লাগেনাই (আমাদের ওপর যা গেছে সেটা বললাম না ) পরে হয়ত কাজে লাগতে পারে
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় বিদ্রোহী বাঙালি ভাই,,সবসময় সাথে থাকার জন্য ।
প্রবাস জীবন অনেক আনন্দময় হোক ।
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৫৮
জাফরুল মবীন বলেছেন: আপনার ভ্রমণকাহিনি পড়তে একটা ভিন্ন ভালোলাগা কাজ করে এর অনন্য উপস্থাপনের জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য।
পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় রইলাম।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯
তুষার কাব্য বলেছেন: মবীন ভাইয়ের কাছে ভালো লাগছে মানে কিছু একটা হয়ত লিখতে পারছি বিনম্র কৃতজ্ঞতা ভাই কষ্ট করে পড়ার জন্য আর সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
পরবর্তী অংশ কবে আসবে আমি নিজেও জানিনা ! অলস মানুষকে দিয়ে লেখা হয়ে ওঠেনা
অনেক ভালো থাকুন ভাই।
৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৪৫
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অন্যদের ঈর্ষার চোখ এড়িতে পেরেছেন বলে যদি মনে করেন তাহলে ভুল করবেন। আমি কিন্তু ঈর্ষা জ্বলে পুড়ে মরছি
পানি রাখার পাত্র গুলো দেখে আমি পুরাই ফিদা
পরের পোস্ট তাড়াতাড়ি দিবেন কিন্তু
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪
তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা আপু ! শেষ পর্যন্ত ঈর্ষার মেঘ আপনাকেও ধরল আমি আবার যাচ্ছি কাল পাহাড়ে
পাত্রগুলো আসলেই খুব সুন্দর ! ইচ্ছে আছে এবার অন্তত একটা নিয়ে আসার
পরের পোস্ট যে কবে দিতে পারব আপু !
শুভকামনা জানবেন ।
৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৩
রোদেলা বলেছেন: বিষন্ন মন নিয়ে সামু ঘাঁটছিলাম,আপনার পোষ্টে এসেতো মন ভালো হয়ে গেলো।কিছু ছবি চুরি করে ফোল্ডারে রেখে দিলাম।
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬
তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা আপু ! মামলার কথা কিন্তু ভুলিনি আমি ! এবার আমি মামলা করে দেব ছবি চুরির অপরাধে
অনেক ভালো থাকা হয় যেন ।
৯| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভাল্লাগছে। বর্ণনা অসাধারণ সাথে অসম্ভব সুন্দর ছবি। +
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮
তুষার কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ রাজপুত্র আপনাকে আমার সাথে কষ্ট করে ঘুরে আসার জন্য !
শুভকামনা নিরন্তর ।
১০| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৫৩
জুন বলেছেন: কোথাও যাওয়ার কথা শুনলে এরকম ইলিশ মাছের ঝাকের মতো লোকজন কত্থেকে যেন চলে আসে এমনিতেই কিন্তু যাওয়ার দিন আর তাদের অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায়না
অত্যন্ত দ্রুব সত্য । ঘুরে আসার পর কত খোটা 'বললে না কেন? হেন তেন ' ইত্যাদি । যাবার সময় আর কারো সময় হয়না । কলসগুলো দেখে আমার বানপো দের কলসের আকৃতির কথা মনে পড়লো তবে তাদেরগুলো অসম্ভব সুন্দর ডিজাইন করা তুষার ।
সুন্দর পোষ্টে সাধারন এক মন্তব্য
+
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:১৬
তুষার কাব্য বলেছেন: ওহ ! তাইতো , খোটার কথা গুলো মিস হয়ে গেছে আসার পর আরও কত ধরনের কথা শুনতে হয়
জুন আপুর একটা মন্তব্য আমার পোস্টে হীরক খণ্ডের মত জ্বলজ্বল করে ! ওটা কি করে সাধারন হয় !
অনেক শুভকামনা আপু ।
১১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: তুষার কাব্য ,
"আমিয়াকুম" অনিন্দ্য সুন্দর একটি নাম । সেরকমই ঝর্না বয়ে চলার মতো ঝিরঝিরে সুন্দর লেখা ।
সূর্য্যের বিদায় ঘন্টার ছবি এমনই হয় । বিষাদের রঙ মেখে যায় আকাশের গায়ে ।
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৬
তুষার কাব্য বলেছেন:
প্রিয় ব্লগার , আপনার মন্তব্যে বরাবরই অনুপ্রানিত হই ।
ঠিক তাই ! আমিয়াকুম নাম টা যেমন সুন্দর তেমনি দেখতেও বড্ড বেশি সুন্দর
সুস্থ থাকুন,সুন্দর থাকুন।
১২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চোখের সামনে বড় মাপের মানুষের দেখা খুব কম ই পেয়েছি ।
আমার সৌভাগ্য আপনার মত একজন গুণী মানুষের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি ।
জানি পূরো বিশ্ব ঘোরার স্বপ্ন সফল হবে না , বাংলাদেশ টাও দেখা হয়নি,
আপনার পোস্ট মনের এডভেঞ্চার ও বোহেমিয়ান সত্তাটাকে ছুয়ে দিল।
ভালো থাকবেন প্রিয় তুষার ভাই ।
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৩
তুষার কাব্য বলেছেন: এতো প্রশংসার যোগ্য নিশ্চয় আমি নই ! আসলেই খুব লজ্জা লাগছে মাহমুদ ভাই
ভালো লাগছে জেনে যে আপনাকে ছুঁতে পেরেছি লেখাটার মাধ্যমে ! এমন উদাত্ত প্রশংসায় দিল টা এত্ত বড় হয়ে গেছে
একটা সুখবর দেই ! কাল আবার যাচ্ছি পাহাড়ে
১৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৮
কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ পৃষ্ঠা ।
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১০
তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ককাশে
শুভকামনা !
১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আহা রে কতদিন হলো ঘুরতে চাই না :/
চমৎকার পোষ্ট। হিংসে হয় তোমাকে দিব্য ঘুরছো ফিরছো দেশ দেখছো
২৪ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪৮
তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা আমিন ভাই
আপনার দার্জিলিং,ডুয়ার্স যাওয়ার কি হলো ? সেদিন না বললেন যাচ্ছেন ওদিকে ! ডুয়ার্সে গেলে কিন্তু সত্যি ভালো লাগবে আমিন ভাই...
আপনার হিংসে আর একটু বাড়ানোর জন্য বলছি, আজ রাতে আবার যাচ্ছি পাহাড়ে..কয়েকদিন ট্রেকিং করব নতুন একটা রুট এ
যাইতে চাইলে চলেন
১৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬
শায়মা বলেছেন: আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে!!!
তুষুভাইয়া মাটির কলসীর মুখে সবুজ সবুজ পাতার মত এসব কি?
আর ঐ পিঠের বাচ্চার মুখও কি পাতা দিয়ে আটকিয়ে দেওয়া নাকি!!!
২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
তুষার কাব্য বলেছেন: মানিনা মানবনা ! তুমি এতো তাড়াতাড়ি কি করে পড়লে ?
ফাঁকি ফাঁকি
পিচ্ছিটা কি অবাক চোখে আমাদের দেখছে দেখ ! ভাবছে হয়ত এ আবার কারা ? এরাত আমাদের মতো দেখতে না
ওর হাতে কলাপাতায় মোড়ানো প্যাকেটে কি যেন খাবার ছিল ।
১৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ২:১৪
নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: বাহ এমন দুঃসাহসিক অভিযান!!
আপনাদের ভ্রমনের গল্প শুনে নিজেরও যেতে ইচ্ছা করছে---
সাথে এমনসব সঙ্গী পেলে ভ্রমনের আনন্দ ষোল কলাই পূর্ণ হয়। ছবিগুলাও বেশ।
শুভকামনা জানবেন।
২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু ...আসন্ন বর্ষার কোনো এক বিকেলে বেরিয়ে পড়ুন হলদে হয়ে যাওয়া রোদ কে সাথে নিয়ে।আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি,রোদ বৃষ্টি পাহাড় ঝরনা কেউ আপনাকে হতাস করবেনা ।
ভালো থাকুন অনেক ।
১৭| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বাহুল্য, তবুও জানাচ্ছি দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় আমিও ঘুড়ে বেড়িয়েছি।। তবে আপনাদের মত রাজসিক ভাবে নয়।। নিতান্তই ছন্নছাড়ার মত।। তাই আপনার ছবিব্লগটি দেখলাম প্রানভরে। সাথে রানিং কমেন্ট্রি ভ্রমনটিকে আরো প্রস্ফুটিত করেছে তা বলাইবাহুল্য।। ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো।।
২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫
তুষার কাব্য বলেছেন: আমি জানি,আপনিও একসময় ঘুরে বেরিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সে গল্প আমি শুনতেও চেয়েছিলাম কোন এক প্রতিমন্তব্যে।আশা করছি এর পর নিশ্চয় শুনব আপনাদের সেই সময়ের কথা,কেমন ছিল তখন ঘুরতে !
আপনার মন্তব্যে আমি বরাবরই অনুপ্রানিত হই ।
অনেক ভালো থাকুন প্রবাসে ।
১৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫৪
পার্থ তালুকদার বলেছেন: দারুন লাগল ভাই। মনে হচ্ছে আমিও আপনাদের সাথে যাচ্ছি । একটা চান্স দিবেন নাকি ভাই ??
তারে কোনভাবেই এভয়েড করতে পারছিনা!সে আবার কারাতে তে কোন কালারের জানি বেল্ট পাইছে! ----- খবর আছে আপনার !!
শুভকামনা ভাই।
২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪০
তুষার কাব্য বলেছেন: আপনাকে তো সেই কবেই চান্স দিয়ে বসে আছি ! কবে যাবেন সেইটা খালি বলেন
হাহাহাহা ! আসলেই খবর আছে ! কয়টার যে খবর আছে সেইটাই বুজতে পারতেছিনা
নতুন অফিস কেমন লাগছে ?
অনেক ভালো থাকবেন আপনিও পার্থ দা ।
১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ কাহিনী। আচ্ছা শামুকের সুগন্ধিযুক্ত চা সেইরকম ছিল তাই না?
পরের পর্বগুলো সব সময় করে পড়ে ফেলব আশা করি।
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫
তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা বোকা ভাই , সেই অমৃত! স্বাদ কি ভোলা যায় , এখনো মুখে লেগে আছে আহা !
অনেক ধন্যবাদ ভাই ..
শুভকামনা নিরন্তর ।
২০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অনবদ্য পোস্ট ছবিতে আর বর্ণনায়। দারুন লাগলো ।
আমার মাঝে মাঝে যাযাবর হবার সাধ হয়।মনে হয় ঘুরে বেড়াই পৃথিবীর এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত ।
২৮ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯
তুষার কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই...আপনার যাযাবর হবার স্বাধ পূর্ণতা পাক এই শুভকামনা জানবেন
অনেক ভালো থাকা হোক ।
২১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৪২
আরজু মুন জারিন বলেছেন: বাহ : চমৎকার। .পাহাড় কে ফেমিনিন ধরা হয় না? চমৎকার সব ছবিগুলি দেখে আমিয়াকুম এ চলে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে তুষার। বাংলাদেশ এ আসলে তোমার সাথে যোগাযোগ করব। তোমাদের টুর এ আমাকে রেখো তখন।
ধন্যবাদ তোমাকে পোস্ট টির জন্য। অনেক শুভেচ্ছা রইলো তোমার জন্য। ভালো থেক কেমন।
২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৯
তুষার কাব্য বলেছেন: হুম আপু ! পাহাড়কে ফেমিনিন জানি বলেইতো তার টানে বার বার ছুটে যাই তার কাছে অবশ্য মেয়েরা কি মনে করে যাচ্ছে আমি জানিনা
কবে আসছেন দেশ এ শুধু আমাকে জানাবেন আমি অবশ্যই আপনাকে পাহাড়ে নিয়ে যাব আপু ।
আপনিও অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন,সুন্দর থাকবেন ।
২২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৯
আরজু মুন জারিন বলেছেন: আহারে!!! শামুক কফি!!! এখন তো আমার ওয়াক আসছে..কিন্তু বলতে পারছিনা ওইমুহুর্তে নিশ্চয় বিবেচনা না করে খেয়ে নিতাম। প্রচন্ড ক্লান্তির পর এককাপ কফি যখন দ্বিতীয় অপশন নেই।
উপভোগ্য একটি ভ্রমন পোস্ট। অনেক ভালোলাগা ভালবাসা পোস্ট এ। শুভেচ্ছা যেন পুনরায়।
২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬
তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা আপু ! শামুক কফি ! এডভেন্চারাস লাইফে মাঝে মাঝে এমন কিছু বাধ্য হয়েই খেতে হয় ! আরো এমন অনেক কিছু হয়ত খেয়েছি যেগুলো ঢাকার জীবনে চিন্তাও করা যায়না ! পরিবেশ মানুষ কে বদলে নেয় তার মত করে ।আর সেই সময় টা এত ক্লান্ত ছিলাম যে শামুক কফি জানার পরও ঠিক খেয়ে ফেলেছি তৃপ্তি নিয়ে
আপুর জন্য সবসময় শুভকামনা ।
২৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:২৬
আরজু মুন জারিন বলেছেন: তোমার পোস্ট টা এখন পড়ছি আবার। আমিয়াকুম দেখি ঝর্নার নাম। এসব পোস্ট দেখলে ভালো লাগে তবে আমি মনে হয় উপভোগ করবনা। আমি শারীরিক ভাবে দুর্বল। খুব বেশি হাটা চলা এসব হবেনা। ভ্রমন কাহিনী পড়তে ,ছবি দেখতে ভাল লাগে। .তবে ওই টিম এর অভিযাত্রী হওয়া দুঃসাহসের ব্যাপার আমার জন্য..পাহাড় দেখার শখ আছে যদিও।
২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬
তুষার কাব্য বলেছেন: আপু,কিছু ঝরনা/জলপ্রপাত আছে যাদের কাছে পৌছতে খুব বেশি কষ্ট হয়না ,ওরা আমাদের কাছাকাছিই আছে বিশেষ করে নাফাকুম নামে একটা ঝরনা আছে যাকে দেখতে খুব একটা কষ্ট হয়না (এর কথা এই পোস্টেই লিখব ) আর তাছাড়া সীতাকুন্ড মিরসরাইয়ের ঝরনাগুলো তে খুব সহজেই যাওয়া যায় ।
আপনার শারীরিক অবস্থার কথা জেনেই বলছি আপু,আপনি আসলে অবশ্যই কোন এক অভিযানে আমাদের সঙ্গী হবেন ।
আবারও শুভকামনা জানবেন ।
২৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
এহসান সাবির বলেছেন: পোস্ট টি মনে হয় ভালো হয়নি, নির্বাচিত পাতায় যাই নি সেই করণে...
তবে ২১/২২/২৩/২৪ তারিখে যত পোস্ট নির্বাচিত হয়েছে তাদের কিছু পোস্ট থেকে আপনার এই পোস্ট শত গুন ভালো, এবং এই পোস্ট নির্বাচিত পাতায় যাবার শত ভাগ দাবি রাখে। এটা আমার মতামত।
ভালো লাগা রইল।
শুভ কামনা।
২৯ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
তুষার কাব্য বলেছেন: সাবির ভাই, কি হইছে বলেন তো ? নির্বাচিত পাতায় যাওয়ার মত পোস্ট আমি কোনদিন লিখিনি বা লিখতে পারিনা !আর নির্বাচিত তে গেলেই বা কি হয়
আসল কথা হচ্ছে এই ৩/৪ দিন আমি পুরো দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম মানে পাহাড়ে ছিলাম মাত্রই কাল আসছি তাই বুঝতে পারছিনা ঠিক কি হয়েছে !
অন্নেক শুভকামনা আপনার জন্যও ।
২৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯
তুষার কাব্য বলেছেন: পাত্র টার নাম ছিল তৈ( নাজমুল ভাই,জুন আপু,অর্বাচীন পথিক ) এবার পাহাড়ে গিয়ে আবার জেনে আসলাম
৩০ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০০
তুষার কাব্য বলেছেন: সাথে দুইটা নিয়েও আসছি ( যদিও একটা হাতছাড়া হয়ে গেছে ইতিমধ্যে )
২৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৫
প্রামানিক বলেছেন: এক নিঃশ্বাসে পুরোটাই পড়লাম। চমৎকার বর্ননা। খুব ভাল লাগল।
ভ্রমণ কাহিনী পড়া এবং ঘুরে বেড়ানো আমারও নেশা কিন্তু সময়ের অভাবে তা পারছি না।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫০
তুষার কাব্য বলেছেন: আরে , প্রামানিক দা যে ! আপনার অনেক ভ্রমন পোস্ট আমি পড়েছি তাই আপনার নেশার খবরটাও আমি জানি
অনেক ভালো থাকা হোক...শুভকামনা জানবেন ।
২৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২০
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: বাকি পর্ব কুতায়???
মুন যদি আমার বানান ভুল ধরতে আসে তাইলে কিন্তু খবর আছে, বলে দিলুম।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯
তুষার কাব্য বলেছেন: বাকি পর্ব লিখার ধৈর্য্যে কুলাচ্ছেনা ! যাক অবশেষে আপনাকে পেলাম ব্লগ এ তাও আবার শুভ দিনে
মুন রে ভর্তা বানানোর দায়িত্ব টা আপনারেই দিলাম...আপনি ছাড়া হইবনা...পোলাডা বড্ড বাইরা গেছে
২৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: পোস্ট দারুণ লাগলো তুষার ভাই। সাথে কিছুটা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়লাম। বান্দরবানের দিকে একবারই যেতে পেরেছিলাম। থানচি থেকে তিন্দু রেমাক্রি হয়ে নাফাকুম। পরে আর এগোনো হয়নি। তবে এখনো চোখে লেগে আছে সেই দৃশ্যগুলো। সঙ্গী নির্বাচনের যে কথাগুলো বলছেন সেটা আসলেই খুব সত্য। বিচিত্র একেক জনের আচরণ।
পরের পোস্টে আসার আশা রাখি। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৪
তুষার কাব্য বলেছেন: খুব ভালো লাগছে আপনাকে স্মৃতিকাতর করতে পারলাম বলে
ফেরার পথে আমরা নাফাকুম হয়েই ফিরেছি ! সেই গল্পে আশা করি আরো নস্টালজিক করতে পারব
গ্রুপ ট্যুরে বিশেষ করে সেটা যদি ট্রেকিং হয় তাহলে সঙ্গী নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ নইলে পুরো প্ল্যান বরবাদ হয়ে যেতে পারে ২/১ জনের জন্য ।
অনেক ভালো থাকা হোক ।
২৯| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২১
সুমন কর বলেছেন: অামি তো ভেবেছিলাম, এটা পড়েছি। কিন্তু এখন দেখি পড়া হয়নি
চমৎকারভাবে পুরো বর্ণনা তুলে ধরেছো। মনে হলো যেন, নিজেই ঘুরে এলাম। সঙ্গী হতে পারলে মন্দ হতো না। কিন্তু অামাদের অাবার ছুটি কম।
তা শামুকের হাড়ির কফি খেয়ে পরে কি হলো?
ভ্রমণ পোস্ট ভাল লাগল।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৬
তুষার কাব্য বলেছেন: যাক, তাও এলেন অবশেষে
আমাকেও ছুটি ম্যানেজ করেই বেরুতে হয়...অবশ্য ভয় পাচ্ছি কবে না পার্মানেন্টলি ছুটি দিয়ে দেয় ! আর যাই হোক প্রতি মাসে তো আর আমার আবদার রাখতে পারবেনা
শামুক কফির স্বাদ তো অন্তরে গেঁথে আছে !কখনো ভোলা সম্ভব না
এর পরের গল্প লেখার সময় করেই উঠতে পারছিনা ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।
৩০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
এনামুল রেজা বলেছেন: ভাল লাগলো ভ্রমণ বৃত্তান্ত।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭
তুষার কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
...শুভেচ্ছা ।
৩১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫
নেক্সাস বলেছেন: তুমি পুরাই লাইফ এজনয় করছো। সুন্দর ভ্রমন কাহিনী
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা নেক্সাস ভাই , যা বলছেন পাহাড় যে আমাকে টেনে নিয়ে যায় কি করব বলেন !!!! দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত !
অনেক ভালো থাকুন ।
৩২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪০
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ কাহিনী। অপেক্ষা করছি পরবর্তী পর্ব কবে আসবে তার।
দুটো পর্যবেক্ষণ -
১. ম্যালেরিয়ার যে ওষুধ (মেফলোকুইন/ডক্সিসাইক্লিন গ্রুপ) ২৮ দিন ধরে প্রতি সপ্তাহে ১ বার খেতে হয় যতদূর জানি সেটা ভ্রমণ শুরু (মশা উপদ্রুত এলাকায়) করার অন্তত ১-২ সপ্তাহ আগে খাওয়া শুরু করতে হয়। আর আরেকটা ওষুধ (অ্যাটোভ্যাকুন/প্রোগুয়ানিল গ্রুপ) ৭ দিন খেলেই চলে তবে সেটা শুরু করতে হয় ভ্রমণ শুরুর ২ দিন আগে। অতি চমৎকারভাবে লেখা এই পোস্ট পড়ে অনেকেই হয়ত ভ্রমণে আগ্রহী হবেন - তাদের উদ্দেশ্যে বলব ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অথবা ইন্টারনেটে জেনে যেন ওষুধের কোর্স এবং সময় ঠিক করেন। প্রথম গ্রুপের ওষুধের বেশ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে যেমন মাথা ঝিমঝিম করা, মোশন সিকনেস ইত্যাদি সুতরাং প্রথম যারা ট্রেকিং এ যাচ্ছেন তাদের একবার ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেওয়া ভাল।
২. বেশ কিছু অনিচ্ছাকৃত বানান ভুল চোখে পড়ল যা পোস্ট পড়ার গতিকে কিছুটা হলেও শ্লথ করে -
দুর্দর্শ! - দুর্ধর্ষ
ঝাকের - ঝাঁকের
নিস্প্রভ - নিষ্প্রভ
সারাশব্দ - সাড়াশব্দ
কারনে - কারণে
ব্যাগপ্যাক - ব্যাকপ্যাক
সারিবদ্দ - সারিবদ্ধ
মহামুল্যবান - মহামূল্যবান
আমরা নিমিষেই সাভার করে ফেললাম - সাবাড়
অপরুপ - অপরূপ
আর বাক্য শেষে প্রত্যেকটা দাঁড়ি (।) র পর একটা স্পেস মনে হয় দেওয়া দরকার।
লাউ দিয়ে তৈরী পানির পাত্রটির নাম জানতাম না, ভেবেছিলাম জিজ্ঞেস করব কিন্তু মন্তব্যের ঘরে পেয়ে গেলাম।
পরবর্তী পর্ব তাড়াতাড়ি পাবার প্রত্যাশা নিয়ে বসে থাকলাম।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯
তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এতো চমৎকার বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্যের জন্য।ম্যালেরিয়ার যে ওষুধ টি খেয়েছিলাম ওটা ডক্সিসাইক্লিন গ্রুপেরই ছিল তবে নামটা এখন মনে পরছেনা আর আমি কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই কোর্স টা কমপ্লিট করেছিলাম।আমারও পরামর্শ থাকবে ট্রেকার দের জন্য বিশেষ করে যারা বর্ষায় যাবেন পাহাড়ে তারা অতি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মতো ম্যালেরিয়ার প্রতিশোধক নিয়ে যাবেন।
তাইতো বলি মুন কেন আমার বানান নিয়ে এমন টর্নেডো চালিয়ে দেয় আমার পোস্টে আমি আসলে বানানের ব্যাপারে খুব উদাসীন যা হয়তো খুব দৃষ্টিকটু।কিছু বানান তো অবশ্যই অনিচ্ছাকৃত তবে ২/১ টা বানানের ব্যাপারেও আমি সবসময় কনফিউজড থাকি।আজকে আবার জানলাম আপনার মাধ্যমে।ধন্যবাদ আপনাকে আবারও পরামর্শের জন্য।
লাস্ট কিছুদিন খুব ব্যাস্ততায় কাটছে বলে ব্লগে একদমই আসতে পারছিনা।তাই উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল।দুঃখিত আবারও।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৩৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: চমৎকার লাগলো। যদিও অগ্নিকন্যাকে অগ্নিকন্যা বলে বলে পচানোর তেব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পড়ে আমারও যেতে ইচ্ছা করছে, যদিও যাবার উপায় নাই। নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
তুষার কাব্য বলেছেন: আমি কিন্তু অগ্নিকন্যা কে একদমই পচাইনি যদিও এই পোস্ট পড়ে একটু আপত্তি জানিয়েছিল বিশেষ বিশেষণে
দেশে আসলে আমার সাথে যাওয়ার দাওয়াত রইল অগ্রিম !!!
শুভেচ্ছা নতুন বছরের।
৩৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০০
সুমন কর বলেছেন: শুভ নববর্ষ !!
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
তুষার কাব্য বলেছেন: শুভ নববর্ষ আপনাকেও। কেমন কাটছে নতুন বছরের নতুন দিনগুলো ?
৩৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮
শায়মা বলেছেন: আমার মন পাখিটা যায় রে উড়ে যায়
ধান শালিকের গায় , যায়রে উড়ে যায় ..........
শুভ নববর্ষ তুষুভাইয়া!
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
তুষার কাব্য বলেছেন: তোমার মন তো আপাদত বারিধারার আশপাশেই উড়ে বেড়াচ্ছে তাইনা? নাকি কোথাও গেলে এর মধ্যে
শুভ নববর্ষ আপুনি
৩৬| ২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:২৩
পাজল্ড ডক বলেছেন: আমরা খেয়েছিলাম শুকুরের দুধের চা অবশ্যই না জেনে।
২৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৪
তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা পাহাড়ে গেলে অবশ্য খাওয়ার ব্যাপার টা একদমই গুরুত্ব দেওয়া যায়না।কারন নিজের পছন্দমত খাবার পাওয়া তো মুশকিল ওখানে। তাই অপশন ও কম থাকে ওখানে।আমাদের কত কিছু খাইতে হয়
আপনারা কোন দিকে গেছিলেন ? অভিজ্ঞতা খারাপ না
৩৭| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:০৫
সুলতানা রহমান বলেছেন: আমি ও যদি আপনাদের সাথে যেতে পারতাম!
২৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
তুষার কাব্য বলেছেন: আমিতো প্রতি মাসেই ২/১ বার কমপক্ষে বেড়িয়ে পড়ি। কোন এক যাত্রায় সঙ্গী হয়ে জান আমাদের ।
শুভেচ্ছা ।
৩৮| ২৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১:২৩
নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: এই পোস্ট ক্যামনে মিসাইলাম সামনে কোথাও গেলে আম্রেও লইয়া যাইয়েন ভ্রাতা। আমিও যে ভীষণ ভ্রমণপিপাসু
২৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪
তুষার কাব্য বলেছেন: যাক, আর একজন ভ্রমন পিয়াসী কে পেলাম তাহলে ! শেষ দুই পোস্ট থেকেও ঘুরে আসুন । ভালো লাগবে আশা করি।
আমিতো প্রতি মাসেই যাই।কোন একটাতে আমার সঙ্গী হয়ে জান।
শুভকামনা জানবেন।
৩৯| ৩১ শে মে, ২০১৫ ভোর ৬:৩৫
নীলপরি বলেছেন: ওরে বাব্বা , সেতুটা ছবিতে দেখেই তো ভয় করছে ! ভালো লাগলো । বাকি পর্বগুলো পরে এসে পড়ছি ।
৩১ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯
তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে সবগুলো পর্ব পড়ার জন্য
শুভেচ্ছা । ভালো থাকুন নিরন্তর ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৪
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: পানি রাখার পাত্রটা চমৎকার !!!!
কি নাম এটার ভাই ।
আপনার পোস্ট এর কারণে এত সুন্দর ছবি দেখলাম ।
শুভেচ্ছা তুষার কাব্য ভাই