নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যখন আমি থাকব নাকো আমায় রেখ মনে

আমি এক যাযাবর

তুষার কাব্য

আমি এক উড়নচন্ডী,একলা পথিক...স্বপ্ন বুনি পথের ধূলোয়, \nচাঁদনী রাতে জ্যোৎস্না মাখি...\nদূর পাহাড়ের গাঁয়...\n\n\nফেসবুকে: https://www.facebook.com/tushar.kabbo

তুষার কাব্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমিয়াকুম,এক অনিন্দ্য সুন্দরীর খোঁজে (দ্বিতীয় পর্ব)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

পরদিন ভোর আসলো আমার জন্য চমক নিয়ে!সূর্যি মামা জাগার আগেই আমরা ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে তৈরি হয়ে গেলাম। বাইরে বেড়িয়ে এসে দেখি আমার ট্রেক শ্যু নেই!কি কাণ্ড!কেউ নিজের মনে করে নিয়ে গেছে।অবশ্য যে নিয়েছে তাকে খুব বেশি দোষ’ও দিতে পারছিনা!মাত্রই নতুন কিনে নিয়ে আসছি।একদিনের ট্রেকিং এ জুতোর চকচকে ভাবটা কমার বদলে মনে হয় আরও বেড়েছে! কিন্তু বেচারা খুব হতাস হত যদি সে জুতার দাম টা জানতে পারত!আহারে বেচারা :) আমার জন্য অবশ্য ভালই হয়েছে!শুধু শুধু আর এক জোড়া স্লীপার পেছনে বয়ে বেড়াচ্ছিলাম!আমার ব্যাকপ্যাকের ওজনটাও কিছু কমলো তাতে!ধন্যবাদ হে চোর বন্ধু। তবে এখানে একটা কথা বলা খুব জরুরী।আমার এতো বছরের ট্রেকিং লাইফে আমি এমনটা দেখিনি আগে।হ্যাঁ,থানচির কিছু পাড়ায় হয়তো আমরা দিন দিন ওদের মধ্যে প্রফেশনালিজমের বীজ বপন করে দিচ্ছি,সেটা আমরাই করছি।এজন্য কোনভাবেই ওরা দায়ী নয়।তাই আমার ঘটনাটিকে আমি বা আমরা নিতান্তই একটা দুর্ঘটনা হিসেবেই নিয়েছি।
চলছে অভিযাত্রী দল


ইতিমধ্যে আমাদের গাইড ঝংলং চলে আসছে।পাড়ার অনেকেই চলে এসেছে আমাদের বিদায় জানাতে।সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমাদের দ্বিতীয় দিনের অভিযাত্রায় নেমে পড়লাম।পাড়া থেকে নেমে ডান দিকে ছোট্ট একটা খালের মতো পেড়িয়ে নাক বরাবর পাহাড় বেয়ে উঠতে শুরু করলাম।আমরা চলছি শেরকর পাড়ার দিকে।১০/১৫ মিনিট পাহাড় বাইতেই আমাদের সব খুলে ফেলতে হল মানে গরম কাপড় আর কি!এই কনকনে শীতেও আমরা ঘামতে শুরু করলাম।এতো তাড়াতাড়ি টেম্পারেচার ১৫ থেকে ৩৫ হয়ে যাবে বুঝতে পারিনি!প্রথম পাহাড় টাই যে আমাদের এতটা চ্যালেঞ্জ জানাবে ভুল করেও ভাবিনি আমরা।৩০/৪০ মিনিট টানা উপরের দিকে ওঠার পর আমাদের থামতে হল।আমাদের অগ্নিকন্যা বেশ পিছিয়ে গেছে।নিচে ডেকেও ওর সাড়াশব্দ পাচ্ছিনা।ওর সাথে ঝংলং আছে।তাই জানি ভয়ের কিছু নেই।আমরা যাত্রা বিরতি দিলাম।ইতিমধ্যে অগ্নিকন্যাও চলে আসছে ঝংলং কে নিয়ে।আমরা বিস্কিট,খেজুর আর পানি খেয়ে কিছুটা চাঙ্গা হয়ে নিলাম পরের আকাশ ছোঁয়ার প্রত্যাশায়।




টানা ২ ঘণ্টা পাহাড় বাইছি।কিন্তু পাহাড়ের কোন কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছিনা।মাঝে মাঝেই পাহাড়ের চূড়া মনে করে ধোঁকা খাচ্ছিলাম।নিচ থেকে হয়তো মনে হচ্ছে ওই বুঝিবা পাহাড়ের শেষ সীমানা কিন্তু বারবার আমরা ওখানে পৌঁছে আরও এরকম অনেক চূড়া দেখলাম আমাদের সাদর অভ্যর্থনা জানানোর অপেক্ষায় আছে। একপর্যায়ে হাল ছেঁড়ে দিলাম।বুঝতে পারলাম যা করার প্রেম করেই করতে হবে!যা আছে কপালে।সবকিছুর যেমন শেষ আছে এই পাহাড়টারও নিশ্চয় কোথাও শেষ আছে।আজ সারাদিন লেগে গেলেও তোর কপাল আমরা ঠিকই ছুঁয়ে দিব।ভালবেসেই আমরা তাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাব দিনভর।


এক একটা চূড়ায় পৌঁছে যখন তিন পাশে তাকাই তখন নিজেকে খুব ক্ষুদ্র মনে হয়!মস্ত আকাশ টা যেন এসে হামলে পড়েছে সবুজ খণ্ডের উপর।সে কি প্রেম সবুজ আর নীলে!কেউ কাউকে ছাড়তেই চায়না!একে অপরকে আঁকড়ে ধরে আছে পরম মমতায়।যাক ওদের প্রেমে আর ব্যাঘাত না ঘটিয়েই আমরা আবার পাহাড় বেয়ে উঠতে লাগলাম।এক একটা পাহাড় বাইতে বাইতে একসময় এসে আবিষ্কার করলাম সামনে আর কিছু নেই।একদম খাঁড়া হাজার ফিট গভীর খাঁদ।যাকে বলি আমরা ডেড এন্ড।খুব হতাস হয়ে গেলাম আমরা।৪ ঘন্টা পাহাড় বেয়ে এসে যদি দেখি সামনে আর যাওয়ার পথ নেই তখন মনের অবস্থা কেমন হয়!কিন্তু আমাদের মনে একটা ক্ষীণ আশা যে আমরা কিছু নিদর্শন পেয়েছি আসার পথে যে এ পথে অনেকদিন আগে হলেও ট্রেকার আসছে।তার চিহ্ন তারা ফেলে গেছে।


এতক্ষন ঝংলং হয়তো মজা দেখছিল।হঠাৎ সে কিছুটা বাম দিকে খাঁড়া খাদের দিকে হাত তুলে দেখাল।সিয়াম ভাই ২ পা এগিয়ে আবার পিছিয়ে আসলো।আমিও কিছুটা এগিয়ে আবার পিছিয়ে আসলাম।কিন্তু যা দেখলাম তাতে ভয় না পেয়ে উপায় ছিলনা।ওখান থেকে কয়েকটা গাছের তৈরি মই এর সিঁড়ি একদম খাঁড়া কয়েকশ ফিট নিচে নেমে গেছে।ছোটখাট এরকম গাছের মই বাওয়ার অভ্যাস আগেও হয়েছে।কিন্তু এটার উচ্ছতা ৩/৪ তলা বিল্ডিং এর সমান।গাছ কেটে বানানো সিঁড়ি তে কোনরকম একটা পা হয়তো পড়ে।ওটা বেয়ে নামা যে বেশ কঠিন হবে দেখেই বুঝতে পারলাম।কিন্তু কঠিন হোক যাই হোক আমাদের পিছিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।একটা পথ যেহেতু পেয়েছি ওটা বেয়ে নামতেই হবে।সে দরকার হলে গড়িয়ে গড়িয়ে নিচে নেমে গেলাম।কিন্তু এখানে সে সুযোগও নেই।একবার পা পিছলে গেলে কিছুক্ষণ শুন্যে ভেসে তারপর মাটির সাক্ষাত পাওয়া যাবে!যাক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম আমরা।


ঠিক হল প্রথমে নামবে অনুপ দা।তার ব্যাকপ্যাক আমাদের কাছে দিয়ে আমাদের দেওয়া সাহস নিয়ে নামতে শুরু করে দিল!প্রথম গাছ বেয়ে নামার পর নিচে এরকম আরও একটা নামতে হবে।নামছিল অনুপ দা কিন্তু হাত পা মনে হয় আমাদেরও কাঁপছিল তার সাথে সাথে।৭/৮ মিনিট পর দেখি সে ২ হাত ওপরে তুলে যুদ্ধ জয়ের হুঙ্কার ছেড়েছে।মানে তার পা মাটি খুঁজে পেয়েছে অবশেষে।তার সাথে সাথে আমাদেরও দেহে যেন প্রান ফিরে আসছে।এবার সিয়ামের পালা।সে অনুপ দা’র দেখানো পথেই নেমে গেল কোন অঘটন ছাড়াই।অগ্নিকন্যার পালা আসতেই সে সমানে হাত পা ছুঁড়তে লাগলো।মানে সে কিছুতেই মৃত্যু সিঁড়ি বেয়ে নামতে পারবেনা।প্রয়োজন হলে সে আবার ২ দিন পেছন ফিরে থানচি ফিরে যাবে তবুও সে ওটা বেয়ে নামবেনা।আমাদের ব্যাকপ্যাকগুলো ঝংলং কে দিলাম নিচে নামাতে ততক্ষনে যদি কন্যার মতিগতি ফেরে।ঝংলং দেখলাম ব্যাকপ্যাক নিয়ে অনেকটা বানরের মতোই লাফিয়ে লাফিয়ে নেমে গেল।এক এক করে সে সবকয়টা নিচে নিয়ে গেল।ঝংলং কে দেখে মনে হয় অগ্নিকন্যার পূর্বের স্মৃতিকথা মনে পড়ে গেল!সে বলল আমি নামছি তুই সেটা ভিডিও কর।আমি দেখিয়ে দিব আমিও পারি।বাহ !এই না হলে অগ্নিকন্যা!নিচ থেকে চিৎকার করে ওরাও সবাই সাহস দিচ্ছিল।মাঝ রাস্তায় ঝংলং প্রস্তুত দিদি কে স্বাগতম জানাতে।প্রথম মইটা সে ভালোভাবেই নেমে গেল।যদিও একটু সময় বেশি নিয়েছে।সে ব্যাপারনা।আমাদের হাতে অজস্র সময়।শুধু যাত্রা টা যেন নিষ্কণ্টক হয়।কিছুটা বিরতি নিয়ে পরের সিঁড়ি টুকোও সে নেমে গেল ঠিক অগ্নিকন্যার মতোই।আর উত্তেজনাময় পুরো অভিযানটা আমি ভিডিও তে ধারন করে নিলাম।যা হয়তো ষ্টীল ইমেজ বুঝাতে পারবেনা কতটা ভয়ংকর ছিল আসলেই ওইটুকো পথ কিন্তু ভিডিও তার অনেকটাই পারবে।


সবার শেষে আমি নামতে গেলাম।সবার দুর্দান্ত পারফর্মেন্স ইতিমধ্যেই আমার মনেও সাহস সঞ্চার করেছে কিছুটা।তাই আমার জন্যও খুব একটা কঠিন হয়নি সে পথ।কিন্তু একথা কাউকেই বলা হয়নি প্রথম উঁকি দেওয়ার পর আমার হাঁটু তে কেমন সিডর আইলা ভর করছিল!যাক,অবশেষে আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ টা আমরা ভালোভাবেই জয় করলাম তাই বিজয়ের উদযাপন টাও হয়েছিল খুল্লামখুল্লা।


প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সবুজে মোড়ানো পাহাড়ের ভাজে ভাজে ট্রেকিং করে আমরা শেরকর পাড়ার দেখা পেলাম।মাঝের কিছু গল্প অজ্ঞাত থাকাই বাঞ্ছনীয় মনে হল তাই সযত্নে শুধু মনের খাতায় জমা রাখলাম!আর এমনিতেও সব কথা বলতে নেই,বিজ্ঞ জনে কহে!ওখানে এসে ঝংলং বলছে সে আর চেনেনা তাই আমরা যেন ওপাড়া থেকে আর একজন গাইড নিয়ে নেই।আমরা কারবারির সাথে দেখা করলাম।সে সানন্দে আমাদের সাথে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ছবি তুলে আমাদের আবদার মেটাল।কিছুক্ষণ গল্প করে যখন খাতির জমে গেল সেই ফাঁকে আসল কথাটা তুলে ফেললাম।সে তার ছেলে কে পাঠাল একজন কে খুঁজে আনতে যে পরের পাড়াগুলো ভালো চেনে এবং আমাদের পরবর্তী গন্তব্যের নির্দেশকের ভূমিকা পালন করবে।কিন্তু খুঁজে আনল এমন একজন কে যাকে নিয়ে পরের দিনগুলো আমাদের শুধু আফসোস করতে হয়েছে কেন তাকে আমরা সাথে আনলাম।আমাদের গাইড কে আমাদেরই রাস্তা চিনিয়ে দিতে হয়েছিল।সে গল্প নিশ্চয় আসবে বারেবারে ফিরে ফিরে।



ঘণ্টা খানেক পর সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আবার নেমে পড়লাম রাস্তার মানুষ রাস্তায়।পথ’ই যাদের ঘর তাদের পথেই মানায়।এবারের গন্তব্য দ্যোতং পাড়া।একটার বেশি বাজে ইতিমধ্যে।আমরাও জানিনা সন্ধ্যের মধ্যে আমরা ওই পর্যন্ত পৌঁছতে পারব কি না।না পারলেও সমস্যা নেই।আমাদের যেখানে রাইত সেখানেই কাইত।সাথে তাবু আছে।টানিয়ে ধুমসে ঘুম।সো, নো সমস্যা।আমাদের অগ্নিকন্যার সাহস,মনোবল ফিরে আসছে আস্তে আস্তে।আমাদের সাথে প্রায় সমানতালে ট্রেকিং করে যাচ্ছে।এমনিতেই কি আর ওকে আমরা অগ্নিকন্যা ডাকি!:)


আমাদের পানির একমাত্র উৎস


ইতিমধ্যে আমাদের সঞ্চিত পানি একবার শেষ হয়ে যাওয়ার পর শেরকর পাড়া থেকে আবার ভরে নিয়ে আসছি।পাহাড়ে গেলে যেটা আমাদের সবচেয়ে বেশি দরকার তা হচ্ছে পানি।ওখানকার সবগুলো পাড়াই তাই হয় কোন ঝর্ণা নয়তো কোন পাহাড়ি নদীর অববাহিকায় থাকে যেন পানির চাহিদা টা মেটানো যায়।যাইহোক,আমাদের অগ্রযাত্রা চলছে সদর্পে।ছোট,বড় বেশ কয়েকটা পাহাড় পেড়িয়ে আসছি এরমধ্যে।কিন্তু ঘুনাক্ষরেও আমরা ভাবিনি শেষ বিকেলের পাহাড়টা আমাদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে আসবে।একটু আগেই আমরা রাস্তা হাড়িয়ে ফেলেছি।আমাদের বিশেষ ভাবে অজ্ঞ গাইড নিজেই রাস্তা ভুল করে আমাদের ভুল পথে নিয়ে আসছে।পেছনে,নিচে আমরা একটা পাড়া রেখে এসেছি যেদিকে আমরা যাইনি।সেটাই ছিল মস্ত এক ভুল।যখন পাহাড় বাইতে শুরু করলাম তখনও হয়তো আমাদের হাতে ঘণ্টা খানেক ছিল দিনের আলো।তাই নির্বিঘ্নেই শুরু করে দিলাম।কিন্তু কিছুদূর উঠার পর বুঝতে পারলাম আমাদের কপালে খুব দুঃখ আছে আজ।পুরো পাহাড়ের ট্রেইল টা ধুলোয় মুড়ে আছে।যেখানে পা সেখানেই পিছলে যায়।আর পাহাড়টা এতোটাই খাঁড়া যে একবার পিছলে গেলে সোজা নিচে(নাকি ওপরে!) চলে যেতে হবে।সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যে ব্যাপারটা তা হল সব পাহাড়েই গাছে ভরা থাকে।যে কারনে কখনও গাছের বা লতাপাতা বেয়েও ওপরে উঠতে হয়েছে আমাদের।কিন্তু এই পাহাড়ে কোন গাছ নেই উপরন্তু ধুলো রাজ্য যেন আমাদের জন্য মৃত্যুফাঁদ হয়ে অপেক্ষায় আছে।কোনরকমে একবার পা পিছলে গেলে এই খাঁড়া পাহাড়ের কোথাও ব্যাকআপ পাবনা।কিছুদূর গড়িয়ে পড়ার পর আমাদের আটকানোর জন্য কোন গাছ নেই।এই ব্যাপারটা যখন সবার মাথায় ঢুকে গেল তখনই সবার কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেল।অবশেষে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা বিড়াল নীতি অবলম্বন করব।আমরা বিড়ালের মত দু’হাতে সামনে খামচে ধরে হামাগুড়ি দিয়ে উঠবো।কিছুতেই সোজা হওয়া যাবেনা তাহলে ব্যাকপ্যাকের ওজনের ধাক্কায় হাজার ফিট নিচে চলে যেতে হবে।আমার দোস্ত বলছে,আমারে একবার অন্তত আমার বাবা মায়ের সাথে কথা বলার সুযোগ করে দে।কথাটা আমাদের জন্যও সত্যি ছিল যদিও আমরা প্রকাশ করছিলাম না।তারচেয়ে বড় কথা ওপরে একজন পিছলে গেলে সে সবাইকে সাথে নিয়েই নিচে নেমে যাবে রোলার কোস্টারের মত।উইদয়াউট ব্রেক সোজা ওপারে!একপর্যায়ে আমরা একজায়গায় কিচ্ছুক্ষন স্থির থেকে মানসিক শক্তি সঞ্চয় করে নিলাম। নিচে একবার তাকিয়ে সাথে সাথে চোখ ফিরিয়ে নিলাম।পেছনেও আর নামতে পারবোনা এখন।ওপরে আর কতদূর উঠতে হবে তাও বুঝতে পারছিনা।একটা সময় আমাদের ব্যাকপ্যাক কে আমাদের শত্রু মনে হচ্ছিল।কিছুতেই ওটা নিয়ে ওপরে উঠতে পারছিলাম না।ইচ্ছে করছিল ফেলে দেই।দুই গাইড কে জিজ্ঞেস করলাম আমাদের ব্যাকপ্যাক নিতে পারবে কিনা!ঝংলং এর কাছে আগেই অগ্নিকন্যার ব্যাকপ্যাক ছিল।তাকে পাঠালাম একটা ব্যাকপ্যাক ওপরে রেখে আসতে।আমাদের জন্য যতটা ভয়াবহ লাগছিল ওদের কাছে ঠিক ততটা না।কারন ওদের জন্মের পর থেকেই ওরা পাহাড় বেয়ে অভ্যস্ত।৬/৭ বছরের একটা বাচ্চা কে দেখেছি ১০/১২ টা তৈ পিঠে ঝুলিয়ে ৫০০ ফিট নিচে নেমে যেতে পানি আনতে।তাই আমরা জানি কাজটা ওদের জন্য খুব একটা কঠিন হবেনা।যদিও ওরাও বলছে এরকম ভয়ঙ্কর পাহাড় ওরাও আগে ওঠেনি।আর রাস্তাটার বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার কারন গয়াল নামক এক প্রানীকূল ঠিক ওই রাস্তাই ব্যাবহার করছে তাদের জগিং এর রুট হিসেবে।ওরা সদলবলে রেইস খেলে রাস্তাটাকে জাহান্নাম বানিয়ে দিয়েছে।কতটা বেরসিক হতে পারে গয়াল সাহেবগন! X(






ব্যাকপ্যাক দিয়ে দেওয়ার পর অনেকটাই সহজ হয়ে গেল আমাদের জন্য।মস্ত এক পাথর যেন নেমে গেছে পিঠ থেকে।সাথে শরীরের ওপর কন্ট্রোল টাও চলে আসছে।এখানে একটা কোথা উল্লেখ করা জরুরী।যে ব্যাকপ্যাক এর ওজন হয়তো ১৫ কেজি কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেকিং করার পর সেটার ওজন একসময় ৫০ কেজি সমতুল্য মনে হয়। যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শরীরের থেকে মনের ওপর আত্মবিশ্বাস থাকা বেশি জরুরী।আমরা সেটাও ফিরে পেলাম ধীরে ধীরে এবং একসময় ঠিকই জয় করে ফেললাম দুর্গম এই পথ।কেউ না কেউ হয়তো গেছে এই পথে।তবে এটা নিশ্চিত,একবার যে যাবে সে দুঃস্বপ্নেও আর ওই স্মৃতি মনে করতে চাইবেনা আর ওদিকে গেলেও ধূলোমাটির ওই পাহাড় থেকে অবশ্যই শতহাত দূর দিয়েই যাবে।দলের সবার শেষে থাকার কারনে আর ফেলে আসা সেই চমৎকার পথ টুকো স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বেশ কিছুটা পিছিয়ে গেলাম সবার থেকে।ওপরে উঠে সোজা হয়েই আমি হতবাক।আমাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য সেখানে তিন তিনটা গয়াল অপেক্ষমাণ!আমার চেয়ে মনে হয় ওরা বেশি হতবাক!ওদের দুনিয়ায় আমি কোন আজিব চিরিয়া প্রবেশের ধান্দা করছি।ওরা ওটা কোনভাবেই বরদাস্ত করবেনা! আস্তে আস্তে ওদের চেহারায় সেরকম পরিবর্তন দেখলাম।বুঝতে পেরে আমিও চুপি চুপি ভাগলাম ওখান থেকে!কিছুটা সামনে দৌড়ে গিয়ে ওদের ধরলাম।গয়ালের কথা জিজ্ঞেস করতেই ওরা অবাক।ওরা দেখেইনি!কয়েক মিনিটের ব্যাবধানে হঠাৎ করে চলে এল কীভাবে যেন!


আর একটু সামনে এগিয়ে গিয়ে দ্যতং পাড়া কে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পেলাম।ভাঙ্গা ঘরবাড়ি ফেলে সবাই চলে গেছে।কারণটাও পরিষ্কার।আশপাশে কোন ঝর্ণা বা নদী নেই যেখান থেকে পানি আনা যায়।পরে জানলাম যে পাড়া টা আমরা পেছনে ডান দিকে ফেলে আসছি ওটাই সাবেক দ্যতং পাড়া আর বর্তমানে নতুন পাড়া নামে পরিচিত।সবার অবস্থাই শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিধ্বস্ত।যা খাবার দাবার আছে সাথে সব খুলে বসলাম।মনে হচ্ছিল সব খেয়ে দফারফা করে ছাড়বো।কিন্তু যেটা পারলাম সেটা হল সবার কাছে থাকা পানির স্টক শেষ করে ফেললাম।এক রাত না খেয়ে থাকা যাবে কিন্তু পানি ছাড়া একেবারেই সম্ভব না।আর আসার পথে কোন ঝর্ণা বা পানির উৎসও পাইনি যে কারনে পুরো পাড়াটাই চলে গেছে এখান থেকে।এক বিপদ পার হয়ে এসে মনে হচ্ছে আরও বড় কোন বিপদে পড়তে যাচ্ছি।অবশ্য আমরা যেকোন ধরনের বিপদ মোকাবেলার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি।এখন যেভাবেই হোক পানি খুঁজে আনতে হবে।আমাদের শরীরের যে অবস্থা তাতে আমাদের কারও পক্ষেই আর মুভ করা সম্ভব না।দুই গাইড কে বললাম দুই দিকে পানির খোঁজে বেরুতে।কিন্তু ওরা কিছুতেই আলাদা যেতে রাজি নয়।শেষে ঠিক হল ফেলে আসা নতুন পাড়ায় যাবে ওরা।ওখানে নিশ্চয় পানির ব্যাবস্থা হয়ে যাবে।
ওরা চলে যেতেই সবাই হাত পা ছেঁড়ে দিলাম বাঁশের তৈরি মাচায়।হঠাৎ আবিষ্কার করলাম ৩ টা জোঁক ২ পায়ে চুম্মা দিয়ে যে কখন ধরসে আর ছাড়ার কোন নামগন্ধ নাই!!! ;) আহা!কি গভীর প্রেমে জড়াইয়া ধরছে যে মনে হল অতি আবেগে ঘুমাইয়া পড়ছে।আমার পায়ে কি এমন পাইছে কে জানে!!ছাড়ছেইনা :-* আর ততক্ষনে চেহারাও হইছে একেকজনের দেখার মত!বেশিক্ষণ আর আদর করার সুযোগ না দিয়ে ওদেরকে লবনের কাছে হস্তান্তর করলাম আর সাথে সাথে রক্তের বন্যা বয়ে গেল।ইশ!এতগুলা রক্ত এমন নির্দয় ভাবে আমার অনুমতি ছাড়াই নিয়ে নিল আমার থেকে?কি করে পারল ওরা ?!
অনেকক্ষণ হয়ে গেল আমাদের গাইড আর আসেনা।বিপদের গন্ধ পাচ্ছি আমরা।রাতে রান্না করার পানি তো দূরের কথা খাওয়ার সামান্য পানিটুকোও নেই আমাদের কাছে।ওরা না আসলে কি হতে পারে ভাবতেই আবার গাঁ কাঁটা দিয়ে উঠলো।রাত ৮ টা বেজে গেছে।এখনও কারও আসার খবর নেই।ওরা হয়তো নতুন পাড়া পেয়ে ওখানেই খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ার চিন্তা করছে।আমাদের ১ টা লাইট সাথে পানির বোতল গুলোও নিয়ে গেছে ওরা।আবার ভাবছি এতগুলো টাকার চিন্তাটাও ওদের মাথায় না থেকে পারবেনা।তাই তাদের আমাদের কাছে আসতেই হবে।কিন্তু যদি আজ রাতে না এসে কাল সকালে আসে? ঠিক করলাম আর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করব।না আসলে আমরাই দু’জন বেড়িয়ে পড়বো পানির খোঁজে।বাকি দু’জন থাকবে এখানে।সাথে থাকা পলিথিন যা আছে নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছি বের হবো বলে।আর তখনই ওদের লাইটের আলো দেখতে পাচ্ছি দূর থেকে।এতো রাতে এই নির্জন দুর্গম পাহাড়ে ওরা ছাড়া অন্য কেউ হতেই পারেনা।অপেক্ষা করলাম।দেখি দু’জন হাসতে হাসতে এগিয়ে আসছে।সাথে ৭/৮ বোতল পানি,কয়েক ব্যাগ পলিথিনেও পানি ভরে নিয়ে আসছে।আরও অবাক করা ব্যাপার হল পাড়া থেকে আমাদের কথা শুনে আমাদের ৪ জনের জন্য ৮ টা কলা দিয়ে দিয়েছে।অথচ ওরা আমাদের দেখেইনি,এমনকি যে দু’জন গাইড গেল ওদেরকেও চেনেনা।ওরাও আগে কখনও আসেনি এদিকটায়।আন্তরিকতা কেমন হতে পারে আমাদেরকে ওরা দূর থেকেই তা বুঝিয়ে দিল।লজ্জায় আমাদের মাথা নিচু হয়ে এল।এদেরকেই আমরা ভুল বুঝেছিলাম।অবশ্য আমাদের সিচুইয়েশন আমাদের বাধ্য করেছিল এমনটা ভাবতে এটাও সত্যি।

এবার গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত চিৎপটাং এর কিছু ছবি দেখি :P



সমূহ আক্রমনের সম্ভাবনা সত্ত্বেও দুঃসাহসিকের কাজ করলাম:-/






আমরা নতুন উদ্যমে রান্না করতে লেগে গেলাম।রাতে নুডলস রান্না করবো আমরা।ওরা ওখান থেকে খেয়ে আসছে।তাই ৪ জনের জন্য রান্না চড়িয়ে দিলাম।ওরাই আগুন ধরিয়ে দিল চুলায়।রান্না হতে হতে জমজমাট ফটোসেশন হয়ে গেল।তারপর জম্পেশ ডিনার পার্টি।যা খাচ্ছি তাই মনে হচ্ছে যেন অমৃত।সব শেষে কফি তো আছেই শরীর মনকে চাঙ্গা করার জন্য।
খাওয়া দাওয়া শেষ হতেই বাইরে বেড়িয়ে আসলাম।এসে দেখি চারপাশ ধবধবে হয়ে আছে।এতক্ষন টেনশনে আকাশের দিকে তাকানোর খেয়ালই ছিলনা।আমাদের জন্য পূর্ণ যৌবনা চাঁদ তাঁর সবটুকো যৌবন মেলে আছে আমাদের প্রতীক্ষায়।এই পাহাড়ের শেষ চূড়ায় যেখানে বসত আমাদের সেখানে অন্য কেউ নেই আমাদের আনন্দযজ্ঞে ভাগ বসাতে।শুধু আমরা আজ সাথে মস্ত আকাশ কে সাক্ষী রেখে প্রেমে মাতবো রাতভর প্রিয় জোছনার সাথে।গভীর রাত পর্যন্ত জম্পেশ আড্ডা দিলাম খোলা আকাশের নিচে।এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা।কোন ভাষার সাধ্য নেই সেই মুহূর্তগুলো কে বর্ণনা করার।যেটুকো বলবো সেটুকোই কম মনে হবে।তাই আর কিছু বললাম না!অগ্নিকন্যা তো বলেই দিল কোন এক ভরা পূর্ণিমায় আবার সে এখানে আসবে,একা হলেও।এতেই কিছুটা বোঝা যায়!
চলছে রান্নার প্রস্তুতি





আমি রক্তশুন্যতায় ভুগলে কে বা কারা দায়ী হবে আপনারাই বলেন


তাবুর ভেতর থেকে


কাল ভোরে আবার যাত্রা হবে শুরু।তাই অনিচ্ছাসত্ত্বেও ঘুমাতে যেতে হবে।মাচার তিন পাশে তিন টা তাবু ফেলে দিলাম।এক পাশে দুই গাইড তাদের পুষ্প শয্যা প্রস্তুত করে ফেলেছে ইতিমধ্যে।শুভ রাত্রী জানিয়ে সবাই যার যার তাঁবুতে ঢুকে গেলাম।তাঁবুতে ঢুকলে কি হবে।ঘুম বাবাজীর আর কোন দেখা নেই।সারা দিনের দুর্গম অভিযাত্রার ফ্ল্যাশলাইট যেন ভাসছে আমার চোখের সামনে।কেবল মনে হয় একটু চোখ টা লাগলো হঠাৎ অগ্নিকন্যার চাপা চিৎকারের শব্দ পেলাম যেন।ডাকলাম ওরে।ও বলল কথা বলিস না।কেউ আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।বুঝতে পারলাম না এই নির্জন পাহাড়ে কে বা কারা আসতে পারে।আমিও কান পাতলাম।ঠিকই বলছে ও।দপদপ পায়ের শব্দ পাচ্ছি।আমাদের চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।এবং সংখায় ওরা অনেক।অনেকগুলো পায়ের শব্দ একসাথে যেন মিছিল করছে।খুব তাড়াতাড়ি ভেবে নিলাম ঠিক কতটা আর কি ধরনের বিপদ হতে পারে।প্রথম মনে হল ডাকাতের দল হতে পারে।ওরা বাইরে থেকে হয়তো আমাদের পর্যবেক্ষণ করছে।আবার ভাবছি এতো গভীর পাহাড়ে ওরা কীভাবে আসবে!আমার যুক্তি আমাকে বাধ্য করেছে আমার ভয়টাকে অমূলক প্রমান করতে।ফিসফিস করে ডাকলাম অনুপ দা আর সিয়াম কে।ওদের কে বললাম ঘটনা টা।কিন্তু ঘুমের ঘোরে থাকায় ওরা ঠিক পাত্তা দিলনা আমাদের।গাইডদের ডেকে তোললাম।ওরা আশপাশে লাইট মেরে দেখল।কিন্তু কিছু দেখা গেলনা।আর তখন আমরা কোন পায়ের শব্দও পাচ্ছিনা।তার মানে হল কেউ বা কিছু একটা এসেছিল কিন্তু আবার চলেও গেছে আমাদের দেখে।আমাদের বিজ্ঞ গাইডদের দাবি গয়ালের দল আসছিল মিছিল করতে করতে আমাদের দেখতে।হয়তো ওদের আস্তানায় আমরা তাবু ফেলেছি যা স্বাভাবিকভাবেই ওদের ভালো লাগার কথা না।কেউ যদি রাতে ঘুমাতে এসে দেখে ওদের ঘরে আমরা ঘুমিয়ে আছি তাহলে কেমন লাগে!ভাগ্যিস ওদের মাথা টা ঠাণ্ডা ছিল কিংবা ওরা হয়তো খুব উদার প্রকৃতির।নইলে রেগে গিয়ে আমাদের তাঁবুতে ২/১ টা লাথি চালিয়ে দিলে আমাকে আজ আর এখানে ব্লগ লিখতে হতোনা।একদম পাহাড়ের সাথে চিরস্থায়ী মিতালি পাতিয়ে নিতে হত পাহাড়ের পাদদেশে :|


প্রথম পর্ব এখানে
http://www.somewhereinblog.net/blog/Tushar007007/newpost



---------------------চলবে------------------------------

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভালো প্যাচে পড়েছিলেন। ভাগ্য ভালো গাইডরা ফিরে এসেছিলো। থানচি, তিন্দু, রেমাক্রিতে দেখেছি পাহাড়িরা বেশ সহজ সরল হয়। আচ্ছা থানচির সেতুটা কি তৈরী হয়ে গেছে?? আমরা যখন গিয়েছিলাম, তখন কাজ বেশ বাকি ছিলো।


পোস্ট ও ছবিতে প্লাস রইল।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯

তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা এরকম প্যাঁচে অবশ্য প্রতিবারই কোন না কোন ভাবে পড়তে হয়।এই ট্যুরে একটু বেশিই পড়েছি এই জা :D
আর সহজ সরলের ব্যাপার টা আসলে আমাদের কারনেই দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । যত বেশি আমরা যাচ্ছি তত বেশি ওদেরকে আমরা লোভী বানিয়ে দিচ্ছি।

কাঠের ব্রিজের কথা বলছেন ? ওটার অবস্থা খুব একটা ভালনা ।

শুভকামনা :)

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

জেন রসি বলেছেন: ট্রেকিং করার ইচ্ছে আছে। :)

কিন্তু আমার আবার উচ্চতা ভীতি :(

আপনার পোস্ট পড়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটা্লাম :)

পোস্ট ও ছবিতে প্লাস রইল। :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

তুষার কাব্য বলেছেন: ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় !! একবার মাঠে নেমে পড়ুন তখন দেখবেন ভীতি কি করে পালায় :)

আমিতো প্রতি মাসেই যাই।কোন একটাতে আমার সাথে চলুন !

শুভকামনা ।

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

জেন রসি বলেছেন: গেলে আপনার সাথেই যাব :)

পরেরবার কোথায় যাবেন?

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহাহা! অবশ্যই স্বাগতম জানাব তাহলে :D

পরের বার খাগড়াছড়ি হয়ে রাঙ্গামাটির দিকে যাব ভাই।এই মাসের শেষের দিকেও যেতে পারি :)

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার এডভেঞ্চার ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১

তুষার কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।আপনি কই আছেন এখন ?
দেশে তো ?

শুভাকামনা :)

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

শায়মা বলেছেন: আমি হলে জীবনেও পাহাড়ে উঠতাম না এত কষ্ট করে!!!!!!!

আবার তাবুতে রাতে!!!!!!!!!!!

বাবারে মারে !!!!!!!!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

তুষার কাব্য বলেছেন: তুমি এক কাজ করতে পার । একটা ছোট বিমান নিয়ে চলে যেতে পার ওখানে।তাইলে আর কষ্ট করে পাহাড় বাইতে হবেনা :D

তবে ওখানে পৌঁছার পর পয়সা ওসুল হয়ে যাবে , আমি সেই নিশ্চয়তা দিতে পারি তোমাকে :)

এখন ভেবে দেখ #:-S

তাঁবুতে একবার থাকলে বার বার থাকতে ইচ্ছে করবে কিন্তু :)

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব খুব ভালো লাগলো ...
তাবুর রাত দারুন ।।
অনেক সুন্দর সব ছবি ...


পোস্ট এ +++++++

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

তুষার কাব্য বলেছেন: তাবু তে রাত কাটানো আসলেই খুব মজার আর এডভানচারাস :) .আমার তো খুব ভালো লাগে !

অনেক ভালো থাকুন ।

বৈশাখী ঝড়ের শুভেচ্ছা

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০২

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: দূর্গম পাহাড়ে যেয়ে নুলডস, কফি খাচ্ছেন। মাইনাচ্।

বিয়ার গিল কি আপনাদের জন্য কোন শিক্ষা রেখে যাইনি????


২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১১

তুষার কাব্য বলেছেন: মৃদুল ভাই,আমিতো প্রতি মাসেই যাই ! জনপদের চেয়ে পাহাড়েই আমি ভালো থাকি খুব :) এখন কথা হচ্ছে আপনাদের সাথে নিয়ে কবে যাব ! তৈরী হয়ে একদিন শুধু ডাক দিবেন,আমার ব্যাকপ্যাক সব সময় প্রস্তুত থাকে #:-S

ট্রেইনিং টা ঠিকঠাক মত পাইনি এখনও ! আরও কিছুদিন কেঁচো,সাপ খাওয়ার অভ্যাস করা লাগবো মনে হয় ;)

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বর্ণনায় ও ছবিতে প্লাচ।



২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

তুষার কাব্য বলেছেন: শুভেচ্ছা রাজপুত্র...


অনেক ভালো থাকা হয় যেন !

৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পাহাড় একবার আমাকেও ডিংগাতে হয়েছিলো।। তবে রাজসীকভাবে না,চুপিচুপি চোরের মত(প্রথম জীবনে চোর ছিলাম,বলেই হয়তো)।।
'৭০ দশকের মাঝামিঝির ঘটনা।। সিলেটের টিলাগড় ছাড়িয়ে চা-বাগানের ভিতর দিয়ে।। সামনের ছোট পাহাড় না টিলা বলাই ভাল,ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে গেলাম আপনারই মত।। সাথের ব্যাগটিতে ছিলো খাবারের মাঝে কিছু চিড়া,শুকনো রুটি আর পানি।। উঠছি তো উঠছিই।।
চুড়াটা পার হতে গিয়েই পড়লাম বিপদে।। প্রথম অন্ধকারে টের না পেয়ে একগর্তের ভিতর নিজেকে আবিষ্কার করে ছোট টর্চটা জ্বালিয়ে দেখি একটি কংকাল আমার দুরবস্থা দেখে দাত বের করে হাসছে।। সাথীরা টেনে তুললে আবিষ্কার করলাম,পুড়ো চুড়োটাই একটা কবরস্থান।। ভেবে দেখুন তখনকার মনের অবস্থা।।
এরপর বৃহত্তর ময়মনসিংহ,যশোর,,কুষ্টিয়া,বরিশাল,মানিকগঞ্জ,ভৈরব,নরসিংদী,কুমিল্লা থেকে আরো কত জেলা অনেক জেলা ঘুরেছি, কিন্তু এমন অভিজ্ঞতা আর হয় নি।।
আপনি কিন্তু আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন,সেই পুরানো দিনগুলির স্মৃতিতে।।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

তুষার কাব্য বলেছেন: আমার খুব ভালো লাগছে যে আপনি আপনার সেই সময়ের অভিজ্ঞতা গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করছেন।আর আমার খুবই ভালো লাগে এই ধরনের অভিজ্ঞতার ভাগ নিতে !
আমি আগেও আপনার মুখে শুনতে চেয়েছিলাম যাক অবশেষে একটু হলেও মুখ খুলেছেন কিন্তু এত অল্প তে স্বাধ মেটেনা ! আরো ডিটেইল্স শুনতে চাই :-* বিশেষ করে গল্পের পেছনের গল্প না শুনলে অনেক রহস্য অধরা থেকে যাচ্ছে,কেন আপনি ওদিকে যাচ্ছিলেন,কোথায় যাচ্ছিলেন !আর একটু গভীরে কি যাওয়া যায় ? বিশেষ বিবেচনার অনুরোধ থাকলো :)

এখানে দেখি আমার জেলা নরসিংদীও চলে আসছে !এবার আর ছাড়া যাবেনা ।আপনাকে পুরনো দিনে নিয়ে যেতে পেরে আমারও খুব ভাললাগছে ।

ভালো থাকুন নিরন্তর ....শুভেচ্ছা সকালের ।

১০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লাগল্

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৩

তুষার কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

শুভেচ্ছা নিবেন ।

১১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২৮

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভয়ংকর ভ্রমণযাত্রায় শিহরণ লাগলো বেশ । তবে এমন ভ্রমণ একটু রিস্কি হলেও খুবেই উপভোগ্য ।

খুব ভাল লেগেছে । চলুক ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৩

তুষার কাব্য বলেছেন: আসলে এই ধরনের ট্যুরে শিহরন না থাকলে ঠিক জমেনা ! যত বেশি থ্রিল তত বেশি মজা :) আর এই ট্যুর টায় আসলেই অনেকগুলো বিপদের মুখোমুখি হতে হয়েছে । সৌভাগ্যক্রমে সব গুলো থেকেই বেশ ভালোভাবেই পার হয়ে এসেছি।

অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য :D

১২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৪৫

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। অগ্নিকন্যার সেই ভিডিওটা দিলে পারতে।

যাক শেষ পর্যন্ত সব ভালো ভাবেই শেষ হয়েছে। এবারের পর্বটি বেশী রোমাঞ্চকর লাগল।

৬+।

চলুক.......

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

তুষার কাব্য বলেছেন: এমনিতেই এই পোস্ট পড়ার পর অগ্নিকন্যা আমার ওপর সিডর না আইলা বহাইয়া দেয় তার ওপর যদি ভিডিও দেই তাইলে যে কি হত কে জানে :P

অভিযান কিন্তু এখনও শেষ হয়নি কেবল রোমাঞ্চকর অধ্যায়ের কিছুটা সমাপ্ত হয়েছে । পরের পর্বে হয়তো সুন্দরীর সাথে প্রেমময় মিলনের আখ্যান নিয়ে আসবো।

শুভেচ্ছা ।

১৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

ডি মুন বলেছেন:
এই লোকটার কাজ কাম নাই, সারাদিন খালি ঘোরাঘুরি করে !!!!

গতদিন রাতে আপনার এই পোস্ট পড়তে পড়তে আমি ঘুমাইয়া গেছিলাম। :)

এত দৌড়াদৌড়ি ক্যামনে করেন ম্যান !!!! B:-) B:-)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

তুষার কাব্য বলেছেন: আমার কাজ কাম নাই বলেইত এরকম দিন দুনিয়ার মায়ার বাধন ছাইড়া পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুইরা বেড়াইতে পারি ! আপনি চাইলেই কি পারবেন ;) হিংসায় জ্বইলা পুইড়া কি কন না কন তার ঠিকঠিকানা নাই :)

আপনের এই পোস্ট পইড়া ঘুম আসে ?????? খাড়ান, আইতেছি রাজশাহি আপনারে ধরতে তখন দেখবেন দৌড়াদৌড়ি কত প্রকার ও কি কি B:-/ :-B

১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: বিয়া টা করে যে কি ভুল করছি এখন মনে হচ্ছে :P

এত মজা জানলে পাহাড়ে পাহাড়ে শুধু ঘুরে বেড়তাম :P


এখন কি হবে :P

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

তুষার কাব্য বলেছেন: বিয়া টা করে যে কি ভুল করছি এখন মনে হচ্ছে !!!
হাহাহাহা তেমন কিছু ভুল করেন নি ! এখনও সময় আছে ! শুধু প্রয়োজন সাহস নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার :)

পরের বার যেন শুনি বান্দরবানের কোন এক পাহাড়ের গাঁয়ে রাত কাটানোর গল্প !
সাহস আর পরামর্শ যা লাগে আমি দিব #:-S

১৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ এ্যাডভেঞ্চার।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০১

তুষার কাব্য বলেছেন: মাহবুব ভাই কে অনেক অনেক কাল পর মনে হয় পেলাম আমার বাড়িতে !

শুভকামনা নিরন্তর।

১৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

পার্থ তালুকদার বলেছেন: আউউউউ উউউউউউউ

ঘুম পাইছে। ছবিগুলা দেখলাম।
পড়ে পড়বো।

টা টা

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৪

তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা কাল তো অফিস নাই , এখনই এতো ঘুম কিসের ? নাকি কাহিনী অন্য কোথাও ;) বুঝছি মামুন ভাই এর কাছ থেকে আপডেট নিতে হবে :)

আচ্ছা ঘুমান !!!

১৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ভাই অতীত সবার কাছেই মধুর।। কিছু "বিশেষ ক্ষেত্রছাড়া" আমার কাছেও।।
কিন্তু পৃথিবী যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে,সেখানে আমার কেন পিছন ফিরে দেখা?? তবুও মাঝে মাঝে তার কিছুটা প্রকাশ হয়ে পরে।। আপনার লেখাতে যেমন হয়েছে।।
নীরবে নির্বিরোধী আছি,এটাই কি ভাল না?? বোবার শত্রু নেই।।
ধন্যবাদ ভাইটি।।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮

তুষার কাব্য বলেছেন: বুঝতে পারছি, এই গল্পটা মোটেও সুখকর ছিলনা হয়তো আপনার জন্য।থাক কিছু অতীত একান্তই নিজের কাছেই জমানো থাক।আমরা নিশ্চয় আপনার থেকে অনেক সুখের গল্পই শুনব । সেই অপেক্ষায় থাকলাম ।

প্রবাস জীবন অনেক আনন্দময় হোক।

১৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: আপনার লেখায় প্রাণবন্ত ভ্রমণের স্বাদ পাওয়া যায়!

আমার ভ্রমণ মানে এদিক সেদিক হাঁটাহাটি শুধু!!

ভীষণ মুশকিলের কথা!!!

যাই হোক, অনেক অনেক ভালো লাগা ছবি এবং বর্ণনায় বরাবরের মতোই।

আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।

০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:১৭

তুষার কাব্য বলেছেন: আমিও অগোছালো হাঁটি যখন তখন আর মাঝে মাঝে হয়তো এভাবে হাটতে হাঁটতে কোথাও পৌঁছে যাই !

আপনার মন্তব্যে আমিও বরাবরই অনুপ্রানিত হই দাদা ।

অনেক ভালা থাকা হোক ।

১৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ৯:০৭

জুন বলেছেন: যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শরীরের থেকে মনের ওপর আত্মবিশ্বাস থাকা বেশি জরুরী।
এটা খুবই খাটি কথা । আর পাহাড়ীরা অনেক সোজা সরল । আমাদের মত মানুষরা গিয়েই ওদের ভেতর নানা রকম জটিলতা শিখিয়েছে ।
খুব ভালোলাগলো বিস্তৃত বিবরন অমিয়াকুম নিয়ে । তবে আমি জীবনেও এমন ভয়ংকর প্রতিকুল এলাকায় যাবো না তুষার কাব্য :(
+

০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:২৩

তুষার কাব্য বলেছেন: আসলেই তাই আপু । আজ থেকে ৫/৭ বছর আগের চিত্র আর বর্তমান কালের চিত্র পুরোপুরি আলাদা।আর দিন দিন তা খারাপের দিকেই যাচ্ছে। আগের সেই সরলতা এখন আর সেভাবে পাওয়া যায়না থানচির ওদিকে।তবে যেদিকে এখনও সেভাবে টুরিস্টের পা পড়েনি সেদিকে এখনও সহজ সরল চেহারাটা দেখা যায় ।

আপু , আমার সাথে একবার চলেন । বেশি না ! মাত্র ৪/৫ দিনের ছোট্ট ট্রেকিং হবে :)

২০| ০৫ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:২১

দীপান্বিতা বলেছেন: দারুন ঘোরা হচ্ছে!! :)

০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:২৫

তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা দিদি ! বরাবরের মতোই :)

২১| ০৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৩:৫৪

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: দেশে আইয়া চিন্তা করছিলাম আপ্নের লগে পাহাড়ে ঘুরতে যামু অহন আর যামু না, ডর খাইছি।

০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

তুষার কাব্য বলেছেন: ছিঃ প্রবাসী ভাই ! এভাবে বলতে আছে ;) আপনাকে কি আমি এতো সহজ কোন জায়গায় নিয়ে যাব ভাবছেন :) আপনার জন্য আরও রোমাঞ্চকর কিছু অপেক্ষায় আছে। আগে দেশে তো আসেন :-B

২২| ০৭ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা বর্ণনা পড়ে আমার অবস্থা হাসতে হাসতে শেষ :) :) :)

এখন থেকে সব এডভেঞ্চারের গল্প শুনতে চাই কিন্তু। সুযোগ পেলে একদিন আমিও আপনার সাথে যোগ দিব হয়তো B-)

০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

তুষার কাব্য বলেছেন: আমার আঙিনায় খুব সম্ভবত আপনার প্রথম আগমন। খুব ভাললাগছে আপনাকে পেয়ে :)

আমার বেশীরভাগ লেখাই কিন্তু আমার ভবগুরে জীবনের গল্পের কথা বলে।যদিও অলসতার কারনে খুব সামান্যই লিখতে পারি ব্লগে।আরও অনেক গল্পই নিজের কাছেই থেকে যায়!

আমি খুব খুশি হব যদি কোন এক অভিযাত্রায় আপনাকেও সঙ্গী হিসেবে পাই।

অনেক ভালো থাকবেন ।

শুভ রাত্রী।

২৩| ০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১:২৩

প্রামানিক বলেছেন: এই লেখাটা এতদিন আমার চোখে পড়ল না কেন? আফসোস হইতেছে কেমনে যামু সেই মজার জায়গায়।

০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ২:২৪

তুষার কাব্য বলেছেন: ওহ ! তাইতো ! প্রামানিক ভাই এতদিন পর দেখলেন ? তাও ভালো যে চোখে পড়েছে :) আফসোস করার কিছু নেই ভাই । আপনি চাইলেই যেতে পারবেন , শুধু একবার আমারে নক করবেন আমি সব তথ্য দিয়ে দিব।

শুভ রাত্রী ভাই।

২৪| ০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৪৫

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: যদি বেহালা বাজিয়ে শুনানোর ওয়াদা করেন তাহলে যেখানে নিয়ে যাবেন সেখানেই যাব ইনশাআল্লাহ্‌।

০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ২:২৮

তুষার কাব্য বলেছেন: এখনও পর্যন্ত একবারও পাহাড়ে ভায়োলিন নিয়ে যাইনি ক্যারি করার ঝামেলার ভয়ে ! তবে আপনি সাথে থাকলে আপনার কান্ধে দিয়ে দিব তারপর পাহাড়ে গিয়ে যত শোনানোর শুনাব :)

২৫| ০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ২:৪২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আমি ভায়োলিন বহন করতে রাজি আছি তুষার ভাই। পাহাড়ের চুড়ায় বসে ভায়োলিন এর সুর এর মূর্ছনা ভাবতেই চমৎকার লাগছে।

০৮ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

তুষার কাব্য বলেছেন: তাইলে ফাইনাল ! আপনারে নিয়াই আমি পাহাড়ে যামু ! তারপর ভরা পূর্ণিমায় রাতভর সুরের সাথে প্রেম :D

২৬| ২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৪২

প্রামানিক বলেছেন: এর পরের পরব কই?

২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

তুষার কাব্য বলেছেন: পরের পর্ব চলে আসছে প্রামানিক ভাই :)
শুভেচ্ছা জানবেন ।

২৭| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: তুষার কাব্য ,



আমিয়াকুম নামের এক অনিন্দ্য সুন্দরীর খোঁজে এসে অনিন্দ্য সুন্দর যতো ছবি নিয়ে এক পাহাড়ের কাব্য শুনতে পেলুম ।
জোকের মতোই আটকে থাকতে হচ্ছে লেখায় ।

২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

তুষার কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় । আপনাকে আটকে রাখতে পেরেছি জেনে আমারও লেখা সার্থকতা পাচ্ছে।পরের পর্ব চলে আসছে ইতিমধ্যে। ওখানেও আমন্ত্রন রইল।

শুভকামনা জানবেন ।

২৮| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:২৩

জনাব মাহাবুব বলেছেন: সুন্দর ছবির সাথে সুন্দর এড্ভ্যাঞ্জারের বর্ণনা।

আপনার মিয়া কইলজার ভিতর বহুত সাহস আছে ;)

আমি ওখানে থাকলে তো, কান্দাকাটি কইরাই মইরা যাইতাম। :(( :D

এ্যাডভাঞ্জারের বর্ণনা দারুন আকর্ষনীয়।

২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহাহা কইলজার ভিতরে সাহস না থাকলে ভয়েও পইড়া যাইতাম পাহাড়ের ওপর থেইকা ! পাহাড়ে গেলে জান ডা ও ব্যাকপ্যাকের ভেতর নিয়ে যাওয়া লাগে।কখন কোন দিক দিয়া কে আসে শুভকামনা জানাইতে বলা তো যায়না ;)

চমৎকার মন্তব্যে শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।

২৯| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ২:০৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার!!! অসাম... এই মাঝরাতে ঘুরে এলাম পাহাড়ের সেই ধুলোমাখা পথ ধরে একেবারে জোছনাস্নাত সেই রাত পর্যন্ত। জুতা চুরির ঘটনায় মনে পড়ল সুনামগঞ্জ, টেকেরহাটে আমার নতুন কেনা দামী কেডসখানা চুরির ঘটনা, তাও কোমর পানিতে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট লঞ্চ টাইপের বোট হতে ভোররাতে!!!

আমার কখনো সৌভাগ্য হয়নি পাহাড়ে ট্রেকিং করার, হবেও না। কারণ, অনেকগুলো। অতিরিক্ত ওজন, ফিটনেস সমস্যা, হাইট ফোবিয়া সহ আরও কত কি... তাই আপনাদের এই পাহাড় জয়ের গল্পগুলো পড়লে আফসোস হয়, আমার কখনো এই অভিজ্ঞতাগুলো হবে না। কি আর করার, সবাই কি আর সব করতে পারে?

আপনাদের পুরো সফর জুড়ে অগ্নিকন্যা বুঝি ছিল টনিকের মত, দলের সবচেয়ে দুর্বলতম সদস্য যদি পারে, তাহলে সবাই পারে। তবে গাইডদের পথ না চেনা বা ভুল করার গল্প আগেও অনেক শুনেছি, আবারো শুনলাম। আমি থাকলে বুঝি ধরে প্যাঁদানি দেয়া শুরু করতাম, এতো খাটাখাটুনির পর ভুল পাহাড়ে ডেরা ফেলা :( যাই হোক, এখন যাই শেষ পর্বে।

২৮ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

তুষার কাব্য বলেছেন: আপনারও দেখি জুতো চুরির অভিজ্ঞতা আছে ! তবে এটা নিতান্তই বিক্ষিপ্ত ঘটনা । ওরা কখনওই এরকম না বলে আমরা জানি। আমাদের বাঙ্গালিদের মধ্যে অনেক সংকীর্ণতা,হীনমন্যতা আর লোভের বিষবাস্প আছে কিন্তু ওদের মধ্যে সরলতার এক আশ্চর্য উদাহরন দেখেছি বরাবরই। হ্যাঁ, এখন হয়তো পরিস্থিতি চেঞ্জ হচ্ছে কিন্তু তার জন্য ও তো আমরাই দায়ী।আমরাই ওদেরকে দিন দিন লোভী করে তুলছি ।

আপনাকে নিয়ে একটা ট্রেকিং করার ইচ্ছে থাকল আপনার শত প্রতিকুলতা সত্ত্বেও।তৈরি হন, অগ্নিকন্যা পারলে আপনিও পারবেন ।

গাইড দের নিয়ে এই সমস্যা গুলো অনেকেরই হয়।বিশেষ করে নতুন কোন রুটে গেলে তো ওদের ওপর ডিপেনড করতেই হবে যদিও জানি ওরাও কোনদিন যায়নি ওদিকটায়।ওরা আমাদের দিয়েই চিনে নিল এই পথ টা। এর পর যদি কেউ আসে এদিকে তাদেরকে নিয়ে নিশ্চয় আর ভুল করবেনা।আমরা দু'জন নতুন মানুষ কে প্রফেশনাল গাইড বানিয়ে দিলাম :)

শুভেচ্ছা জানবেন ভাই।

৩০| ২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: পাহাড়ে রাত সত্যিই অসাধারণ :) না দেখলে বলে বোঝানো যায় না: আপনাদের ট্রেকিং টা আসলেই ভয়াবহ সুন্দর ছিল।

২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

তুষার কাব্য বলেছেন: হুম ! কঠিন ভাবে অসাধারণ :)

অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে কষ্ট করে ঘুরে আসার জন্য ।

৩১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১২

সারাফাত রাজ বলেছেন: থানছির গাইড নিয়ে আমারও খারাপ অভিজ্ঞতা আছে। শুধু গাইড নয় থানছির বেশিরভাগ মানুষকেই আমার গুলিস্তানের বাটপারদের মতো মনে হয়েছে, বিশেষ করে ওখানকার বাঙ্গালিদের। তবে একটু ভিতরের দিকের পাহাড়িরা যেন দেবশিশু, এদের মুখের হাঁসি দেখলে কলিজা জুড়ায়ে যায়।

আর আপনার লেখা অতীব মনোহর, শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.