নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উড়নচন্ডী,একলা পথিক...স্বপ্ন বুনি পথের ধূলোয়, \nচাঁদনী রাতে জ্যোৎস্না মাখি...\nদূর পাহাড়ের গাঁয়...\n\n\nফেসবুকে: https://www.facebook.com/tushar.kabbo
ভোর হওয়ার আগেই আমার ভোর হয়ে গেল স্বভাবতই!কে বা কারা রাতে আমাদের অভ্যর্থনা জানাতে এসেছিল তা না দেখা পর্যন্ত শান্তি নেই।বাইরে বেড়িয়ে দেখি গয়াল বাবাজীদের শত শত পায়ের চিহ্ন।ওরাই যে দল বেঁধে আমাদের পাহারা দিয়ে গেল নিশ্চিত হলাম।ভাগ্যিস!শুধু চেকইন দিয়েই চলে গেছিল!!নইলে আমাদের সাথে কমেন্টস করতে আসলেই দফারফা হয়ে যেতো! তাবু গুটিয়ে আলো আঁধারিতেই ব্যাকপ্যাক গোছানো শুরু করে দিলাম।আজকেই আমাদের কাঙ্ক্ষিত মায়াবিনীর দেখা পাওয়ার কথা।সময় নষ্ট করার মত সময় আমাদের হাতে নেই।সবাইকে ডেকে তুলে তাড়া দিলাম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সূর্য্যি মামা জেগে উঠার আগেই আমরা বেড়িয়ে পড়বো।সবাই ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে বের হতে যাচ্ছি কিন্তু আমাদের দুই গাইড ঝংলং আর ভানলালের তাতে খুব একটা সায় নেই মনে হচ্ছে!ওরা নানা তালবাহানায় দেরী করতে চাচ্ছে।জিজ্ঞেস করতেই কিছু না বলে সামনে হাঁটা শুরু করে দিল।আমরাও তাদের পিছু নিলাম।কিছুদূর এগুতেই দেখি দাঁ হাতে নতুনপাড়ার দিক থেকে একজন আসছে।এতো আরেক মসিব্বত!এমনি সারারাত গয়ালের তাড়া খেয়ে এখনও ঠিকমত হজম করতে পারলাম না আর এদিকে ভোর না হতেই আর একজন আসছেন দাঁ উঁচিয়ে আক্রমন করতে!আর একটু এগিয়ে দূর থেকেই সে ডাকছে আমাদের আধো বাংলা আর ত্রিপুরা ভাষার মিশ্রণ ঘটিয়ে।সে এক অদ্ভুত সুন্দর ভাষা।খেয়াল করে বুঝতে পারলাম সে আমাদের ওদিকে যেতে মানা করছে।মানে আমরা ভুল পথে যাচ্ছি।তাকে আমাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের কথা জানালাম।সে জানালো সে চেনে এবং আমাদের সাথে যেতেও রাজি আছে।ঝংলং আর ভানলাল দুজনেই চোখ টিপে হাসছে। নিশ্চয় কাহিনী আছে!জিজ্ঞেস করতেই রহস্য বেড়িয়ে আসলো।আমাদের অতি অভিজ্ঞ দু’জন গাইড সামনের রাস্তা আর চেনেননা। তাই গত রাতে গিয়ে তাকে ঠিক করে আসছেন গোপনে যেন উনি এসে খুব সকালে আমাদের সাথে যোগ দেন।তাহলে সাপও মরল লাঠিও ভাঙলনা!বিশাল ষড়যন্ত্র! ভাবছিলাম, মানিক দা যদি আর একটু পর আসতেন তাহলে কি হত!আমরা হয়তো আরও কয়েকদিনের জন্য পাহাড়েই ঘুরতাম আর গাইডের মুণ্ডুপাত করতাম।
আস্তে আস্তে আমরা মেঘের ভেতর হারিয়ে যাচ্ছি
কুয়াশা ভেজা দ্যোতং পাহাড় থেকে নেমে আসলাম আমরা।এর পর যে পাহাড় আমাদের অপেক্ষায় ছিল তা পুরোটাই ঘন জঙ্গলে ভরা।বোঝাই যাচ্ছিল,এই রাস্তায় অনেককাল কারও পা পড়েনি।এবারও ভরসা সেই মানিক দা।তার দাঁ’য়ের কারিশমা দেখলাম এবার।দুমদাম জঙ্গল কেটে আমাদের জন্য কোনরকম পা দেওয়ার মত রাস্তা করে দিলেন।ঘণ্টা দু’এক জঙ্গল সাফ করার পর অবশেষে আমরা আবার পরিচিত সবুজের পাহাড় পেয়ে গেলাম।সবুজ পাহাড়ে ট্রেকিং করতে খুব বেশি কষ্ট হয়না কখনও।এভাবে আরও কিছুদূর যাওয়ার পর একটা আমলকী গাছ পেলাম।আমাদের কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ঝংলং বানরের মত লাফ দিয়ে গাছে উঠে গেল আর আমাদের জন্য কিছু নিয়ে নেমে আসলো অবলীলায়।পানি আর আমলকী দিয়ে নাস্তা করে শরীর টা একটা ঝাঁকি দিয়ে নিলাম।যদিও সামনের রাস্তা খুব একটা কঠিন না।তবে আমরা এখন যে পাহাড়ে আছি এটা থেকে রেমাক্রি তে নামতে অনেকক্ষণ লেগে যাবে।বেশ উঁচু একটা পাহাড়।একটু পর পর মেঘ এসে আলতো করে ছুঁয়ে দিয়ে যাচ্ছিল।এরকম নির্জন পাহাড়ে মেঘের আদর খেতে ভালই লাগছিল!আর ফ্রি ফ্রি যেহেতু পাচ্ছিই তাকে নিষেধ করি কি করে !যতক্ষণ ধরে নামছিলাম নিচের দিকে তার অনেকক্ষণই মেঘের দল আমাদের সঙ্গ দিয়েছে,পরম মমতায় ভাসিয়ে দিয়েছে আমাদের।ক্লান্ত শরীরের ভারটুকো বহন করেছে নিজদায়িত্বে আর আমাদেরকে পূর্ণ করে দিয়েছে বিশুদ্ধ ভালবাসায় ।
সেই বিখ্যাত গয়ালের দল
বহমান শান্তধারা
ক্লান্ত পথিক
ঘণ্টাখানেক নামতে নামতে অবশেষে রেমাক্রির দেখা পেলাম।৩দিন টানা পাহাড় বাওয়ার পর সে এক অনন্য ভাললাগার অভিজ্ঞতা।দূর থেকেই মনে হচ্ছিল কখন নিজেকে সঁপে দিব ঠাণ্ডা জলধারায়।তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে একজন তো এক নিমিষেই পৌঁছে যাচ্ছিল প্রায় শেষ ঠিকানায়।কোনরকম শেষ মুহূর্তে গাছ ধরে রক্ষা!পানির স্পর্শে যেন নব প্রাণ জেগে উঠলো প্রাণে।কিছুক্ষণ লম্ফঝম্ফ চলল সমান তালে।ছবি তোলারও এক অলিখিত প্রতিযোগীতায় নেমে গেল সবাই।বিভিন্ন এঙ্গেলে ছবি তুলে ক্লান্ত হয়ে অবশেষে আমরা রেমাক্রি খাল ধরে সাতভাইকুমের দিকে হাঁটা শুরু করলাম।ভয়ঙ্কর পিচ্ছিল এই পথ।যেহেতু খুব বেশি মানুষের পা পড়েনি এই পথে সেজন্য পাথুরে পিচ্ছিল রাস্তা যেন মৃত্যু ফাঁদ হয়ে আমাদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।বিশাল বড় সব পাথরের সাক্ষাত পাচ্ছিলাম একটু পর পরই।বহমান পানির স্রোত সাথে শ্যাওলায় পিচ্ছিল হয়ে থাকা পাথর পেরুতে লাগলাম খুব সাবধানে।একটু পর পর আমাদের আবার খালের এপার ওপার করতে হচ্ছে।যখন খাল পাড় হচ্ছি তখন আমরা সবার হাত ধরে সিরিয়ালি পাড় হচ্ছিলাম।যেন একজন স্রোত আর পিচ্ছিল পাথরে পড়ে গেলেও অন্য যে কেউ তাকে আটকাতে পারে।আর কিছুক্ষণ এগিয়ে একটা চালতা গাছ পেলাম।গাছ ভর্তি চালতা।এবার আমিই উঠে গেলাম।কিন্তু খেতে পারলাম না।এতো তিতা আর টক।ওরে বাব্বা।ভাবছিলাম পাইছি আজ।চালতা দিয়াই লাঞ্চ সারবো।কিন্তু কোথায় কি!শেষে রেমাক্রির পানিই ভরসা।আর একটু এগিয়ে পেয়ে গেলাম হাতী পাথর।দেখতে একদম হাতীর শুঁড়ের মত পাথর টা।আর কিছুদূর এগিয়েই আমরা পেয়ে গেলাম আমাদের গন্তব্য সাতভাইকুমের দেখা।সে এক অদ্ভুত সুন্দর জায়গা।চারদিকে জেলখানার মত বিশাল সব উঁচু পাথরে ঘেরা ।আর সামনে নীল সমুদ্রের মত স্বচ্ছ জলরাশি।ওখান থেকে দূরে তাকালে শুধু আকাশ টাকেই নজরে পড়ে।এক আকাশ বাড়ি আমার।এতো নির্জন গাঁ ছমছমে পরিবেশে এক আশ্চর্য মাদকতায় আক্রান্ত হলাম আমরা।মনে হচ্ছিল পৃথিবীর শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি আমরা।এর পর সামনে আর এগুনোর রাস্তা নেই আমাদের।অনন্তকাল ধরে ওখানেই থেকে যেতে হবে আমাদের।আমরা সেখানে থেকে যেতেও প্রস্তুত।এমন স্বর্গীয় ছোঁয়ায় যুগ যুগ ধরে থাকা যায়।বাস্তবিকই সেখান থেকে সামনে এগোনোর রাস্তা বন্ধ আমাদের।কারন সামনে গভীর পানির স্রোত আমাদের জন্য অপেক্ষমাণ।যে জলধারা চলে আসছে আমাদের আকাঙ্ক্ষিত আমিয়াকুমের বক্ষ চিরে।এই গভীর পানির স্রোত পেরুতে হলে একটাই কর্তব্য।আর তা হল ভেলা।তিন গাইডকে কাজে লাগিয়ে দিলাম বাঁশ কেটে আনতে।মানিক দা’র দাঁয়ের কেরামতি আবার কাজে লেগে গেল।প্রতি পদে পদে মনে হচ্ছিল সে না থাকলে কি হত আমাদের!নিজের মাথার সব চুল ছিঁড়ে ফেললেও কেউ আমাদের বাঁশ দিতনা!ওরা ভেলা বানাচ্ছে আর আমরা আবার মেতে ওঠলাম ছবি তোলার প্রতিযোগিতায়।অবশ্য ছবি কিছুতেই ওখানকার নির্জনতাকে ধারন করতে পারবেনা,যেমন পারবেনা অনুভূতি গুলো কে বন্দী করতে ক্যামেরার শাটারে।তাই আনত মায়া ভরে পুরে নিলাম দু’চোখ, এক ভালবাসার স্বর্গোদ্যানে।
একটা ছোট মাছ অনেকক্ষণ ধরেই আমার দিকে উঁকি দিয়ে যাচ্ছিল বারবার।সে হয়তো আমাদের দেখে গয়ালের মত জবাবদিহি চাইতে আসছিল বারবার।কে হে তোমরা আমাদের রাজত্যে!সময় থাকতে পালাও এখান থেকে।এখানে শুধু আমরাই থাকি।পিচ্ছি কি আর তখনও জানে ওর মত কত পিচ্ছি বড়দের ধরে আমি কতল করেছি অবলীলায়।জানলে কি আর আমাকে হুমকি দিতে আসতো!গভীর পানিতে মাছ ধরতে হলে (বিনা অস্ত্রে)টাইমিং টা খুব জরুরী।আর একবার যখন হুমকি দিতে আসতে যাচ্ছিল তখনি ঝাঁপিয়ে পড়লাম তার ওপর আমার সাধের গামছা নিয়ে।গামছাকে জাল বানিয়ে যখন ওপরে তোললাম তখন দেখি বেচারা আমার করতলে।সবাই হাততালি দিয়ে আমার বিজয় উদযাপন করলো।আর আমার সেকি ভূবন জয়ের হাসি।যেন এইমাত্র তেপান্তরের রাজ্য জয় করে ফিরলাম।ভি চিহ্ন দিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় তোলা ছবিও সেই সাক্ষই দেয়!
ভেলা তৈরি।তাও একটা না দুইটা।যদিও একটা ছোট।কোনরকম একজন যেতে পারবে।সবারই খুব খুব ইচ্ছে ছিল এখানে তাবু ফেলবে।কিন্তু মাত্র বাজে ১ টা।এতো সময় নষ্ট করার মত সময়ও আমাদের হাতে নেই।তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আগাই আমাদের সুন্দরীর দিকেই।আমাদের একজন সব ব্যাকপ্যাক নিয়ে প্রথম ভেলায় চলে গেল।সাথে ঝংলং গেল ভেলা ফিরিয়ে আনার জন্য।আমরা অপেক্ষায় থাকলাম।স্রোতের উল্টা পথে ভেলা চালিয়ে যাওয়া সোজা কথা না।২৫/৩০ মিনিটের কমেতো হবেইনা।তার মানে ফিরে আসতে আবার এক ঘণ্টার ধাক্কা।কি আর করা।আমরা তবে এতক্ষণ নির্জনতার সাথেই প্রেম করি।
ভেলা বানাতে ব্যাস্ত মাণিক দা
এই সেই মৎস্য যাকে ধরে বানিয়েছি বৎস
ঝংলং ফিরে আসতেই আমরা উঠে বসলাম ভেলায়।আমাদের কাছে একটা লাইফ জ্যাকেট আছে।সেটা দিয়ে দিলাম অগ্নিকন্যারে।মানিক দা আর আমি মাঝির ভূমিকায়।সাথে অনুপ দা আর অগ্নিকন্যা দুই যাত্রী।চারজন উঠে বসতেই দেখি ভেলা পানির নিচে ডুব দিয়ে দিল।আমরা হই হই করে উঠতেই দেখি ভেলা আবার ভেসে উঠছে।কিন্তু তখনও কয়েক ইঞ্চি পানির নিচে।কিছুক্ষণ ট্রায়াল দিয়ে দেখলাম ওটা আর নিচে যাচ্ছেনা।তারমানে সাহস করে বৈঠা তোলা যায় আর নইলে আবার এক ঘণ্টার ধাক্কা।মাঝি নাও ছাইড়া দে গাইতে গাইতে বৈঠায় দিলাম টান।যা আছে কপালে।আমিতো সাঁতার জানি।একজনের পড়নে লাইফ জ্যাকেট।বাকি থাকে অনুপ দা।ব্যাপারনা।সামান্য একটু এগিয়ে পানিতে লম্বা বাঁশ ফেলে দেখি মাটির তল পাইনা।এ কি করে সম্ভব!একটা ঝর্ণার পানির স্রোত কি করে এমন গভীর পানির ধারা তৈরি করতে পারে।বর্ষায় যখন এ পানির উচ্চতা আরও ২০ ফিট বেড়ে যায় তখন তো কয়েক টা বাঁশ জোড়া লাগালেও মাটির দেখা পাবেনা!প্রকৃতির এ এক অত্যাশ্চর্য সৃষ্টি।দু’পাশে উঁচু পাহাড়ের দেয়াল মাঝে টকটকে নীল পানির স্রোত!আহা!আমিয়াকুমের উন্মত্ত পানির ধাক্কায় পাহাড় কেটে নেমে আসা এই স্বর্গীয় রাস্তায় যে একবার গেছে সে বারবার ফিরে যেতে চাইবে তার কাছে।দু’পাশে আকাশ ছুঁয়ে থাকা বিশাল সব পাহাড়ের মাঝ দিয়ে যাচ্ছিলাম আমরা।এই পথ যেন স্বর্গোদ্যানের পথে নিয়ে চলেছে আমাদের।আমরা সেই পথের অতি ভাগ্যবান যাত্রী।ইচ্ছে হচ্ছিল সময়কে আটকে রেখে অনন্তকাল ধরে এই পথ চলি।সবার কণ্ঠে তখন “এই পথ যদি শেষ না হয় তবে কেমন হত তুমি বলতো”।ঝংলং আমাদের পেছন পেছন আসছিল।আরও মজার ব্যাপার হল মাছের ঝাঁক আমাদের পিছু নিচ্ছিল একটু পর পরই।ভেবে পাইনা এতো মাছ কোত্থেকে আসলো এখানে।একবার ভাবছিলাম ঝাঁপ দেই আবার।কিছু তুলে নিয়ে আসি ডিনারের জন্য।বাকীদের কথা চিন্তা করে নিজেকে নিবৃত্ত করলাম।কারন আমার সাথে সাথে তাহলে সবাইকেই এই গভীর পানিতে মাছের সাথে সাথে ভাসতে হত।২০/২৫ মিনিট বৈঠা টানার পর সুন্দরীর গর্জনের শব্দ শুনতে পেলাম।বুজতে পারলাম, আমরা আমাদের আকাঙ্ক্ষিত প্রেয়সীর থেকে খুব দূরে নেই।
টানা ৪দিন ৪ রাত পর অবশেষে তার দেখা পেলাম।যার দেখা পাব বলে অজানার রাস্তায় নেমেছিলাম আমরা।নানা বিপদসঙ্কুল পথ পেড়িয়ে যখন আমরা তার সামনে এসে দাঁড়ালাম তখন আর মনে ছিলনা পেছনের ২ রাতের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা।তখন কেবলি মনে হচ্ছিল এমন প্রিয়তমার দেখা পাওয়ার জন্য লক্ষ বছর ধরে অপেক্ষা করা যায়।হাঁটা যায় অনন্তকাল ধরে দুর্গম জনাকীর্ণ পথ।ওই মুহূর্তে আমরাই সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ।যাদের সামনে রুপের পসরা সাজিয়ে অপেক্ষমাণ অনিন্দ্য সুন্দরী “আমিয়াকুম”।এখন সময় শুধু আঁখি মেলে দেখার আর প্রেমের ফল্গুধারায় নিজেকে ভাসিয়ে দেওয়ার।খুব কাছে গিয়ে ধরা দিতে গিয়েও শেষে আর সাহস হয়নি।ওই ভয়ঙ্কর স্রোতে একবার ঝাঁপালে শেষে আজীবনের মিতালী হয়ে যেতে পারে সুন্দরীর সাথে ভেবে আর ধরা দেইনি!কিংবা মুচকি হেসে সেও হয়তো বলছে ধরা দেইনি
শুরু হল স্বর্গোদ্যানের পথে যাত্রা
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই,চিরদিন কেন পাইনা
সুন্দরীকে নিয়ে লাঞ্চে ব্যাস্ত আমরা
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সুন্দরীর সান্নিধ্যে
ধবল শাদা পানির বহমান ধারা,মনে হয় যেন ডাকছে তাহারে,আহারে !
রুপসুধা পান করতে করতে ভুলেই গেছিলাম আমরা খাওয়া দাওয়ার কথা।অটো চুলা কাজ করছেনা দেখে হাঁড়িতেই নুডলস বসিয়ে দিলাম।আজকে সুন্দরীর সাথে নুডলস দিয়েই লাঞ্চ সারবো!এমন সুযোগ কে হাতছাড়া করে।দুপুর গড়িয়ে এল।আমাদের খাবারও প্রস্তুত।আমিয়াকুমের সামনে বসে তাকে সাথে নিয়ে আমরা লাঞ্চ টা সেরে নিলাম।আমার কাছে ছাড়া অন্য কারও দিকে সুন্দরী হাত দেয়নি এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।দু’জন মিলে ভাগাভাগি করেই খেয়ে নিলাম অমৃতসম নুডলস।এতো স্বাদের নুডলস আগে খুব কম খেয়েছি।আসলে পাহাড়ে নুডলসের টেস্ট কেমন করে যেন চেঞ্জ হয়ে যায়!আজ রাতটা এই নির্জন পাহাড়ের কোলে ঝর্ণার সাথে কাটাবো বলে একমত হলাম।শেষ বিকেলে তাঁবু গুলো টানিয়ে নিলাম।এখনও পূর্ণিমার রেশ কাটেনি।পড়ন্ত জ্যোৎস্নায় আজ গভীর রাতে প্রেমে মাতবো কন্যার সাথে।অনেক রাত পর্যন্ত তাবুর সামনে বসে থাকলাম নিশ্চুপ।কিছু মুহূর্ত থাকে যখন কিছু বলা যায়না।আনন্দে বাকরোধ হয়ে যায়!তখন শুধু উপভোগ করতে হয়।আমাদের সময়টাও এমনই ছিল।গভীর রাত পর্যন্ত সাক্ষী হলাম সেই অপার্থিব সৌন্দর্যের।অবিরল কলকল ধ্বনি শুনতে শুনতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম!
ফেরার পথে আমরা,অতিরাম পাড়া পাড় হচ্ছি
বিকেলের হলুদ আলোয় এক নৈসর্গিক আবহের সৃষ্টি হয়েছিল পাড়াগুলো তে
সূর্যোদয়ের আগেই আবার জেগে গেলাম সুন্দরীর সকালের রুপের মাতন দেখব বলে।আশপাশে কিছুক্ষণ ঘুরে ঘুরে দেখলাম।ফিরে এসে দেখি সবাই জেগে গেছে।শেষবারের মত নাস্তা সেরে নিলাম ওখানে।তারপর ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে নিলাম।বিদায়ের রাগিণী বেজে উঠলো।এবারের মত বিদায় সুন্দরী।আবার ফিরে আসবো কথা দিয়ে ফেরার পথ ধরলাম।এবারের গন্তব্য আরেক সুন্দরী নাফাকুম।যে পথে আসছি এবার আর সে পথে যাচ্ছিনা।অপেক্ষাকৃত সহজ পথে ফিরছি আমরা।মোটামুটি তিনটা বড় পাহাড় পাড় হতে হবে আমাদের।এই রুট টা খুব পরিচিত।যারা আমিয়াকুম আসে তারা সবাই এই রুট দিয়েই আসে।আমাদের হাতে সময় আছে।আস্তে ধীরে আমরা এগুতে থাকলাম।অতিরামপাড়া পাড় হয়ে আমরা যখন থুইসাপাড়ায় পৌঁছলাম তখনও বিকেল হয়নি।৫ দিনের টানা ট্রেকিং এ সবাই ক্লান্ত বিধ্বস্ত।সিদ্ধান্ত নিলাম আজ আর সামনে এগোবোনা।এ পাড়াতেই থেকে যাব।এমনিতেও সারা দিন হেলেধুলে আসছি আমরা হাতে সময় থাকায়।আর তাছাড়া পাড়ায় এসে শুনি ওখানে আজ ওদের একটা অনুষ্ঠান চলছে।তাই ভাবলাম রাতটা তাহলে ওদের সাথেই কাটাবো।ওদের ঐতিহ্যের সাথে কিছুটা পরিচিত হওয়ার এ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।রাতটা সুসাং দা’র বাড়িতে থাকার ব্যাবস্থা হয়ে গেল।আমাদের জন্য একটা বন্য মুরগী ধরে আনা হয়েছে।রান্নার দায়িত্বটা আমাদের তিন গাইড নিয়ে নিল।আর আমাদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য আশপাশের আরও কয়েকটা বাড়ি থেকে লোকজন এসে জড়ো হল।আমরাও তাদের নিরাশ করিনি।জমিয়ে আড্ডা দিলাম বেশ রাত পর্যন্ত।রান্না হয়ে যেতেই ডাক পড়লো আমাদের।ক্ষুধায় ততক্ষণে পেট জ্বলছে আমাদের।তারচেয়েও বড় কথা ৬ দিন পর আমরা ভাত খাব।আহা! মাছে ভাতে বাঙালী আমরা মাছ না পেলেও ভাত ছাড়া থাকা যে আসলেই কত কঠিন তা পাহাড়ে গেলেই ভালো করে টের পাই।ঝুম চালের ভাত।মাণিক দা মুরগীর ঝোল টা যখন সামনে আনল দেখলাম বিশাল সমুদ্রের মধ্যে যেন মুরগীর ছোট বড় টুকরা গুলো সাঁতার কাটছে মনের আনন্দে।সে যাই হোক।ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়।এই মুহূর্তে ভাতের ক্ষুধা আমাদের তাড়া করে ফিরছে।আহা!কি খেলাম।সমুদ্র থেকে তুলে আনা পানিও মনে হচ্ছিল ঢাকার থাই স্যুপ।কয়বার নিলাম ঠিক মনে নেই।যেহেতু মুরগীর ওপর যুদ্ধ করেও পারিনি তাই স্যুপের উপর দিয়েই চালিয়ে দিলাম পরম তৃপ্তি ভরে।
সেই মুরগীর স্যুপ দিয়ে ডিনার
শীতের কুয়াশাভেজা সকালকে সাক্ষী করে এগিয়ে চলছে অভিযাত্রী দল নতুন সুন্দরীর খোঁজে
নতুন সুন্দরী নাফাকুমের কাছে আমরা সবাই
সুখস্মৃতি গুলো কে সাথে নিয়ে ফিরছি আমরা
ফেরার পথে এভাবেই এই দুজনকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়
সূর্য্যি মামা জাগার আগেই শেষ দিনের যাত্রা শুরু করে দিলাম আমরা।এই ট্রেইল টা অসম্ভব সুন্দর।আমাদের গন্তব্য আর এক সুন্দরী নাফাকুম।শীতের ভেজা কুয়াশা মাথায় নিয়ে ট্রেকিং করতে চমৎকার লাগছিল।রেমাক্রি খাল ধরে এগুচ্ছিলাম আমরা।মাঝে মাঝেই আমাদের নামতে হয়েছে রেমাক্রির ঠাণ্ডা কোমল পানিতে।৫/৬ বার পাড় হতে হয়েছে আমাদের রেমাক্রি খাল।কোথাও হাঁটু পানি কোথাও তার চেয়েও বেশি।শীতের সকালে অসাধারণ লাগছিল।শীতের ঘন মেঘ দলকে সাথে করে এগুচ্ছি।বেশ কয়েকবার আমরা যাত্রাবিরতি নিলাম ফটোসেশান এর জন্য।এরকম সুন্দর প্রকৃতিতে ছবি না তুললে প্রকৃতি মাইন্ড করতে পারে।আমরাও তাই অকৃপণ ক্লিক করে গেলাম।নাফাকুম পৌঁছতে আমাদের প্রায় দশটা বেজে গেল।আমিয়াকুমের ছোট বোন নাফাকুম কে’ও আমরা বরণ করে নিলাম ভালবাসার বাহুবন্ধনে।যদিও আমিয়াকুম দেখে আসার পর নাফাকুম কে অতটা আকর্ষনীয় নাও লাগতে পারে।তবে সুন্দরীদের আমি কোন ক্যাটাগরিতে ফেলতে চাইনা।আমি সুন্দরের পুজারী।তাকে কম বেশি ক্যাটাগরিতে ফেলে কাউকে কষ্ট দিতে চাইনা।তাই তাকে জড়িয়ে ধরে বেশ কিছু ছবি নিয়ে নিলাম।
এবার ফেরার পালা।৫ দিনের এক রোমাঞ্চকর যাত্রার প্রায় শেষ পথে আমরা।এখান থেকে যাব রেমাক্রি।প্রায় তিন ঘণ্টার পথ রেমাক্রি খালের ছায়া ধরে।রেমাক্রি পৌঁছে ওখান থেকে ইঞ্জিন চালিত ভোটে তিন্দু হয়ে থানচি।অসম্ভব সুন্দর আর একটা পথ।ফেরার গল্প কারও ভালো লাগেনা।তাই শর্ট কাটে শেষ করে দিচ্ছি।সময় হলে অন্য কোথাও এই গল্প নিয়ে আসবো আবার।সাথে নিয়ে যাচ্ছি এমন কিছু স্মৃতি যাতে মরিচা ধরবেনা কখনও।জ্বলজ্বল করে জ্বলবে স্মৃতির মণিকোঠায়।
খুব শান্তি শান্তি লাগছে এই বড় সিরিজটা শেষ করতে পেরে
দ্বিতীয় পর্ব এখানে
http://www.somewhereinblog.net/blog/Tushar007007/30033405
প্রথম পর্ব
http://www.somewhereinblog.net/blog/Tushar007007/30024457
২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৪১
তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
হাহাহাহা উনারা পানির নিচে জলকেলি করছিলেন ! সাধ মিটে যাওয়ার পরই উঠে আসছেন সুবোধ বালকের মতো
শুভকামনা জানবেন ।
২| ২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৫
জেন রসি বলেছেন: আপনার ভ্রমন কাহিনী পড়লে ছবি দেখলে মনে হয় বৃথাই এ জীবন কাটাইতেছি।
জীবনকে উপভোগ করে চলুন।
২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
তুষার কাব্য বলেছেন: জীবন তো এখনও শেষ হয়ে যায়নি রসি ভাই ! বেড়িয়ে পড়ুন না আপনিও নতুন কিছুর সন্ধানে,নতুনের আবাহনে ! আর আমার সাথে জয়েন করতে অলওয়েজ ওয়েলকাম
অট ঃ আমরা কি ফেবুতে এড হলাম আজকে ? মনে হয় আপনাকে এড করেছি আজ
শুভেচ্ছা জানবেন ।
৩| ২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন: একদিন ওহা যাইতে হইবে
২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৫৩
তুষার কাব্য বলেছেন: সেই দিন কবে আসবে কবি ! খুব তাড়াতাড়ি আসুক সেই শুভকামনায়
শুভ রাত্রী ।
৪| ২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:১০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনি ভাগ্যবান ।/
সেলুট হিরো ।
২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৫৬
তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা ভাগ্যবান বটে আপনারা সদলবলে যে পর্বত,সাগর জয় করে আসলেন সেই খবর কি জাতি জানে ?
আপনার পোস্টেও দেখা করে আসছি
৫| ২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: বাহ, দারুন অভিযান। বর্ননা আর ছবি চমৎকার। তবে লিঙ্ক যোগ করার জন্য তো একটা বাটন আছে, ওইটা ব্যবহার করতে পারেন।
শুভকামনা রইলো।
২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ১:০৪
তুষার কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। সামুর নতুন ফরম্যাটের সাথে এখনও ভালভাবে পরিচয় হয়নি ! আর একটু সময় যাক ! এটাই খুঁজে খুঁজে দিতে আমি প্যারেশান
শুভ রাত্রী ।
৬| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ১:২২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এতবড় বড় মাছ (তবে আনন্দটাই বড়)।। আর বহমান শান্তধারাটির রূপ পারলে বর্ষাকালে দেখে আসবেন।।
মুরগীর স্যুপের ডিনার দেখে চোখ কপালে।। ভেবেছিলাম শুকনো চিড়া-মুড়ি চিবাবেন সেখানে রীতিমত রাজভোগ।। কপাল আপনাদের।।
তবে ছবিগুলি সতি্যই মনোমুগ্ধকর।। আর পরিচিতজনের বাইরে বিশেষ করে উপজাতিয়দের সাথে মেশার আনন্দই আলাদা।। হালুয়াঘাটে কয়েকজনেকে দেখেছিলাম আর নিজের অজান্তেই সেই রোমাঞ্চের মাঝে ডুবে গিয়েছিলাম।।
সবশেষে সুন্দর একটি ছবিব্লগ উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ।।
২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:১৪
তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা একটাতো শুধু স্যাম্পল দিলাম মাত্র,বাকিগুলোর পিছনে আর ছুটিনি তবে হ্যাঁ, আনন্দটাই আসল ।
আমার গ্রীষ্ম,বর্ষা,শীত সব সময়ের চেহারা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে প্রিয়তমা পাহাড়ের।এক এক সময় যে সুন্দরী এক এক রকম সৌন্দর্য নিয়ে উপস্থিত হয় তাও আমার জানার সৌভাগ্য হয়েছে
ডিনার টা সত্যি মনে রাখার মত।৬ দিন ভাত খাওয়ার যে কি আনন্দ তা বলে বোঝানো যাবেনা।সেখানে মুরগীর স্যুপ তো আমাদের জন্য বোনাস। কিছু না থাকলেও শুধু শুকনো মরিচ দিয়ে হলেও ফাটাফাটি ডিনার হয়ে যেত !
আমার ও খুব ভালো লাগে আপনাকে মাঝে মাঝে অতীতের স্মৃতি তে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারি বলে।
অনেক ভালো থাকবেন ।
শুভকামনা নিরন্তর।
৭| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ২:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো
২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:২০
তুষার কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ ,
শুভেচ্ছা !
৮| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৩:২৭
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: এই সাইজের মাছ আমার পাঁচ বছর বয়সী ভাতিজাও ধরতে পারে।
২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:২৪
তুষার কাব্য বলেছেন: ওহ ! আপনার খালি মাছ টাই চোখে পড়লো ! এতো বড় আমার কষ্টের পোস্টে আর কিছু চোখে পড়লনা ??? :!> আর শোনেন , বড় মাছের ছবি দেই নাই ভয় পাবেন বলে , বুঝছেন ?
৯| ২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:১৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
দুর্দান্ত ভ্রমন কাহিনী!!!! আপনি তো ভাই একজন সত্যিকারের লাফাঙ্গা।
আমি এই দিনগুলো খুব মিস করি। ২০০০ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত বান্দরবনের আনাচেকানাচে বহু ঘুরেছি। প্রথম যেবার আমরা রুমাক্রি গিয়েছিলাম, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেটা ছিল বর্ষাকাল। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, বড় তিন্দুর ঐখানে স্রোত কেমন ছিল!! আর পাহাড়ী জোকের কথা কি বলব!!!
পোস্টটি শেয়ার করলাম। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪১
তুষার কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। হাহাহা নিমদা'ও সেদিন তাই বলছিল আপনাদের কোন এক লাফাঙ্গা ট্যুরে জয়েন করার আশাবাদ ব্যাক্ত করিলাম !
বাহ ! তাহলে তো আপনার অভিজ্ঞতার ঢালিও বেশ পরিপূর্ণ।তিন্দু আমার বরাবরের পছন্দের তালিকায় থাকে।ওখানে গেলেই মনটা কেমন শান্ত হয়ে যায় ! আগে মন খারাপ হলে ২ দিনের ছুটিতে তিন্দু রেমাক্রি চলে যেতাম।আর গত ৫/৭ বছর আমার অভিযান শুরুই হয় রেমাক্রি অথবা রুমা,বগা লেকের ওদিক থেকে! আপনার সেই গল্প নিয়ে কিন্তু আসেন না!যদিও সেই সময়গুলো তে ছবি তোলার এই প্রতিজোগিতা ছিলনা,কিংবা অন্যভাবে বললে ছবি তোলাটা এতটা সহজলভ্যও ছিলনা।আমার জীবনের অর্ধেক টা যেমন আমি পাড় করেছি পাহাড় জঙ্গলে! অথচ খুব সামান্যই ছবির সংগ্রহ আছে সেই সময়কার।অবশ্য যে কয়টা আছে তাদের ও যে খুব সদব্যাবহার করতে পারছি তাও নয়।অলসতা আমাকে দেয়না অবসর
পোস্ট শেয়ারের জন্য এক বস্তা ধইন্যা পাতা কাভা ভাই।
অনেক ভালো থাকবেন।
২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
তুষার কাব্য বলেছেন: শেয়ার কিছু পেলাম না ভাই ! দুঃখ
১০| ২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:২৭
জুন বলেছেন: আমার ও শান্তি শান্তি লাগছে এত্ত বড় সিরিজটা পড়ে শেষ করতে পেরে তুষার
কাল আশাপুর্না দেবীর অনেকবার পড়া একটি উপন্যাস পড়ছিলাম । বই এর শুরুতেই নায়ক বলছেন যা পড়ে সাথে সাথে আপ্নের কথা মনে হলো । আর সকালেই দেখি এই পোষ্ট ।
লাইন কটি হুবুহু তুলে দিলাম
..---- কিন্ত পৃথিবীতে কি সত্যি কোথাও কোন নির্জনতা আছে ? কেমন করে থাকবে ? নিজেকে কোথায় লুকিয়ে রাখবে পৃথিবী ?
ক করে নিজের উপর টেনে রাখবে চির রহস্যের স্তব্ধ অবগুন্ঠন ? বিজয় অভিযানের উল্লাসে উন্মত্ত মানুষ তন্ন তন্ন করে ছিড়ে দেখছে পৃথিবীর সুবিপুল রহস্য, উদ্ঘাটিত করে দিচ্ছে মৌন মহিমাময় স্থির অবগুন্ঠন ।কোটি কোটি বছরের অজানিত ভুমিতে আজকের মানুষ ফেলছে তার দর্পিত পদচিনহ
বিভুতিভুষনের চাদের পাহাড় পড়ে যেই রোমাঞ্চ অনুভব করেছিলাম আজ তোমাদের যন্ত্রনায় আর কিচ্ছু অবশিষ্ট নাই
যাই হোক অমিয়াকুম দেখলাম সাথে শিখে নিলাম ভাষার কারিকুরি ছোট খাট একজন পর্বত আরোহীর কাছ থেকে ।
+
অটঃ
তোমার আধা লাইনের এক মন্তব্যে আমি কত বড় কমেন্ট করলাম এনালাইসিস কইরো
২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:০৫
তুষার কাব্য বলেছেন: যাক,আগামী কিছুদিন অন্তত আর জ্বালাবনা এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি আপু
আপু, আমাদের কাজই হল নির্জন জায়গা গুলো খুঁজে বের করা ! যেখানে পড়েনি কারও পদচিহ্ন ! আর সেখানে কিছুদিন নির্জন প্রকৃতির কাছে থাকার লোভ ইবা সামলাই কি করে তাহলে কি আশাপূর্ণা দেবী আমাদেরকেই ফাঁসি কাস্টে ঝুলাতে চাচ্ছেন নির্জনতা কে খুন করার অপরাধে ?
আপনিও দেখি একই দোষে দুষিত করছেন আমাকে ! মন্তব্যের পরতে পরতে খোঁচা গুলোও বেশ উপভোগ করেছি আপু। আর শেষ টা তো কিছুতেই ভোলার নয়
১১| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:২০
সুমন কর বলেছেন: ভ্রমণ পোস্ট বলতে যেটা বুঝায়-সেটা হলো এই পোস্ট। পারফেক্ট পোস্ট। বর্ণনা আর ছবি মিলিয়ে একাকার।
আজ কিছুটা পড়লাম এং সুন্দর ছবিগুলো দেখে গেলাম। পরে আবার আসবো-বাকিটুকু পড়তে।
২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৪২
তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন দা । প্রশংসাটুকো দু'হাত ভরে নিলুম।এমন অকৃপণ প্রশংসা পেলে অলসতা কে দূরে রেখে কিছুটা অভিজ্ঞতার ঝাঁপি মেলতে ইচ্ছে করে
।আবার আসবো অন্য কোন গল্প নিয়ে ।
সময় করে আবার ঘুরে যাওয়ার আমন্ত্রন রইল
শুভকামনা অনেক।
১২| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: আহা অসাধারণ ঘোরাঘুরীর কাহিনী । ভয়ংকর বাট বেশ উপভোগ্য ।
২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫
তুষার কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ ককাশে ভাই । অবশেষে চোখে পড়লো , ঘুরেও আসলেন ।
অভিজানে উত্তেজনা না থাকলে ঠিক জমেনা আসলে। যত ভয় তত উত্তেজনা, ততই ভালোলাগা
শুভেচ্ছা জানবেন ।
১৩| ২৭ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: আশ্চর্য সুন্দর। ঈর্ষামিশ্রিত ভালো লাগা রইলো।
২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩
তুষার কাব্য বলেছেন: হামা ভাইয়ের কাছ থেকে প্রশংসা মানে বিশেষ কিছু ! কৃতজ্ঞতায় ভালোলাগা টুকো নিলাম । আর সাথে ঈর্ষার মিশ্রন টুকো থাকায় আরও ভালো লাগছে
অনেক ভালো থাকুন । শুভকামনা ।
১৪| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:১২
কাবিল বলেছেন: খুব ভাল লাগলো।
অবশ্য, ১ম ও ২য় পর্ব পড়া হয়নি সময় করে পরে নিব আশা করছি।
২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬
তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই । ঘুরে আসুন সময় করে বাকি দুটো পর্ব থেকেও ।
ভালো থাকবেন । শুভেচ্ছা ।
১৫| ২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫
মোঃমোজাম হক বলেছেন: ভ্রমনতো নয় এক বিশাল ব্যাপার
পড়তে পড়তে দুই কাপ চা শেষ করলাম।
এতো সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন এককথায় চমৎকার।
২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১২
তুষার কাব্য বলেছেন: বাহ ! এক ভ্রমনের শুধু শেষ পার্টেই দুই কাপ চা শেষ ! তাহলে বাকি দুই পর্বও ঘুরে আসুন দেখুন আরও ৮/১০ কাপ চা নাই হয়ে যাবে
আপনার চমৎকার মন্তব্যে খুব ভালো লাগলো মোজাম ভাই ।
ভালো থাকুন সবসময় ।
১৬| ২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:০০
ঢাকাবাসী বলেছেন: অসাধারণ আর অপুর্ব লেখা আর চমৎকার সব ছবি নিয়ে এক মনে রাখার মত ভ্রমন কাহিনী। খুব ভাল লাগল। ঘুরতে ভাল লাগে তাই লেখাও ভাল লাগে। ধন্যবাদ।
২৭ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী আপনার অকৃপণ প্রশংসার জন্য । আমারও ভালো লাগছে জেনে আপনার ভালো লেগেছে । আপনার কাছ থেকেও ভ্রমন পোস্ট চাই আরও । নিজের দল টা ভারী হোক কে না চায়
অনেক ভালো থাকুন আর পাহাড় জঙ্গল সগর নদী নিয়ে ঘুরে বেড়ান !
শুভকামনা নিরন্তর ।
১৭| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৩২
উর্বি বলেছেন: দারুণ
২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৪০
তুষার কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ আপু কষ্ট করে পড়ার জন্য । ভালো থাকা হোক সবসময় ।
শুভরাত্রী ।
১৮| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৪৭
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: হা হা হা। আপনার রোমাঞ্চকর ভ্রমণ নিয়ে কিছু বলি নাই হিংসায় আর ভয়ে। হিংসা কি জন্য করি তা তো জানেনই। আর ভয়টা হল দেশে আসলে এর চেয়ে কঠিন জায়গায় নিয়ে যাইবেন। যাই হোক মনে এখন একটু সাহস পাই কারণ মহারাজ মুন যদি এভারেস্ট বিজয় করতে পারে তবে আমি কেন নয়!
২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
তুষার কাব্য বলেছেন: হিংসা করেন ভালো কথা, শুনতে আমার ভালই লাগে কিন্তু ভয় পেলেও কি ছাড়ছি নাকি ! ত্রাতা হিসেবে সদ্য এভারেস্ট জয়ী মহান ডিম নুন তো আছেনই যত প্রেরনার দরকার সব তার থেকে ফ্রি সাপ্লাই নিয়ে নিব কিন্তু কথা হইলো তার কোন খবর বার্তা নাই কেন ? আবার কি নিষিদ্ধ কাজ করে ধরা খাইসে নাকি
আসেন সবাই মিলে আমরা পর্বত অভিযানে যাব সদলবলে ।
১৯| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ২:৩৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আহ! জটিল... অমিয়াখুম নিয়ে একটা মজার ঘটনা বলি। এক বন্ধুর বাসায় অমিয়াখুম ঝর্ণা দেখি আমরা আরও তিন বন্ধু, তিনজনই কখনো পাহাড়ে যাই নাই। তো, সেই বন্ধুকে বললাম, দোস্ত সামনে দুইদিনের ছুটি আছে, এই ঝর্ণা দেখতে যেতে চাই, একটা ব্যবস্থা কর। সেই বন্ধুতো হাসতে হাসতে শেষ, দুই দিনে অমিয়াখুম! ব্যাটা বান্দরবান থেইকা সেইখানে পৌঁছতেই লাগে তিনদিন। শুনে আজীবনের জন্য অমিয়াখুম দেখার সাধ মিটে গেছে।
রাতের বেলা গয়ালের অভ্যর্থনা আর সকাল বেলা মানিক দা'র দা হাতে হেঁটে আসা রোমাঞ্চকর ছিল। রাতেরবেলা ঝর্ণার পাশে জোছনাস্নাত রাত, আহ... ভাবতেই মন কেমন কেমন করে। তবে অমিয়াখুম এর পথে বাঁশের ভেলা'র যাত্রাটার যত ছবি দেখি, লোভ লাগে। দুই পাশে পাহাড়, মাঝে নীল জলে ভেলায় ভাসমান কিছু মানব সন্তান... অসাম।
পুরো সিরিজে তো লেটার মার্কস নিয়ে পাশ করলেন, মিষ্টি খাওয়ান এখন।
২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:০৩
তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহাহা দুই দিনে আমিয়াকুম ? আপনার বন্ধুরা ধরে পিটাই নাইত আপনারে চাকরিজীবী দের জন্য এই এক বড় সমস্যা। দুই দিনের ছুটিতে আর যাই হোক বান্দরবান ঘোরা সম্ভব না।বড়জোর নীলগিরি পর্যন্ত যাওয়া যেতে পারে।আর আমাদের তো আজকাল যাত্রা শুরুই হয় নীলগিরি থেকে ২৪ কিলোমিটার পাড় হয়ে থানচি অথবা বগা রুমা থেকে ! বোঝেন অবস্থা তবে সৌভাগ্যক্রমে আমার অফিসে দু'দিন ছুটি থাকায় আর মাঝে মাঝেই ফাঁকি মারার সদ অভ্যাস! থাকায় (এই কাজটি বেশ দক্ষতার সাথেই করি ) খুব বেশি সমস্যা হয়না আমার ।
পুরো ট্যুর টাই রোমাঞ্চকর ছিল। প্রতিটা দিন রাতে উত্তেজনার সাথে ছিল বসবাস।অবশ্য পাহাড়ে এরকম সব ট্যুরেই কম বেশি এরকম অভিজ্ঞতা নিয়েই ফিরি।জমে থাকা আরও অনেক গল্পে আশা করি সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই ফিরব।জীবনটাই এমন !
অনেক ধন্যবাদ ভাই।আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম ! আপনার দেওয়া লেটার মার্কস শ্যু কেসে সাজিয়ে রাখলাম মিষ্টি খাইতে হলে তো ধানমণ্ডি আসতে হবে নইলে ফেবু তে এসে আমাকে নক করেন আমি আপনাকে খুঁজে গিয়ে মিষ্টি খাইয়ে দিয়ে আসবো
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা নিরন্তর ।
২০| ২৮ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:০৫
পাজল্ড ডক বলেছেন: আমি রেমাক্রির এই খাল টা বাশের ভেলায় পাড় হতে চাই, অসাধারণ ভেলায় আপনাকে বেয়ার গ্রেইলের মতো লাগছে
২৮ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:২৬
তুষার কাব্য বলেছেন: সবচেয়ে বড় কমপ্লিমেন্ট টা আপনার থেকেই পেলাম ! যদিও জানি বিয়ার গ্রেইলের নখের যোগ্য হওয়ার মত ও যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি এখনও ! কিন্তু আমাদের স্বপ্নগুলো তো একইরকম ! সেখানে কোন বাঁধার দেয়াল নেই ! তাই আপনার কমপ্লিমেন্ট আমার জন্য বিশেষ কিছু
উপহার হিসেবে ( প্রশংসার ) নেক্সট কোন অভিযাত্রায় আমার সঙ্গী হওয়ার আমন্ত্রন জানালাম আপনাকে।হয়তো আবার পেয়ে যাব নতুন কোন স্বপ্নযাত্রার সন্ধান, সে হতে অন্ধকার রাজ্যের "আন্ধারমানিক" কিংবা হয়তো আপনার ইচ্ছে ঘুরির সুতো হয়তো আপনাকে টেনে নিয়ে আবার সেই ভেলায় নিয়ে যেতে পারে ! অফার টা কিন্তু সিরিয়াসলি বিবেচনা করবেন
শুভকামনা সতত ।
২১| ২৮ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০
পাজল্ড ডক বলেছেন: অবশ্যই। আমি আপনার ভ্রমণ সংগী হতে পারলে সেটা আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার,আপনার মেইলটা দিলে আপনার সাথে যোগাযোগ করবো।
বাকি পর্ব দুইটাও পড়লাম
২৮ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২
তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা ! [email protected] এই নিন ইমেইল আইডি
শুভেচ্ছা ।
২২| ২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:৩১
দীপংকর চন্দ বলেছেন: আপনাদের ভ্রমণ অনেক অনেক প্রাণবন্ত, অনেক অনেক আনন্দময়!!
অনেক ভালো লাগা ভাই।
আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
২৮ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৪
তুষার কাব্য বলেছেন: হুম দাদা, কয়েকদিনের উত্তেজনাময় ভ্রমন আসলেই উপভোগ্য ছিল । প্রতি পদে পদে বিপদের সাথে সখ্যতা করে ঘুরে বেরাতে মন্দ লাগেনা ।
অনেক ভালো থাকবেন ।
শুভকামনা নিরন্তর ।
২৩| ২৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:১৬
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: মহান মহারাজ মুন এভারেস্ট বিজয় করে ক্লান্ত। ২ তারিখে অনলাইনে আসবেন উনি।
তুষার ভাই, দেশে এসেই একটা ট্যুর দেব আপনার সাথে। মহারাজ, ক্রাকাধিরাজ সবাইকে নিয়ে। বিবাহিত লোকজন বাদ।
২৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫০
তুষার কাব্য বলেছেন: কবে আসতেছেন দেশে ভাই সেইটা বলেন আগে !মহান ছ্যাকা বাবা মুন ওস্তাদজির কি হইসে তা আন্দাজ করতে পারছি ২ তারিখ ফুল মালা নিয়া তাঁর জন্য আমরা সবাই অপেক্ষা করুম অনলাইনে
তাড়াতাড়ি আসেন আগে। মহারাজ, ক্রাকাধিরাজ সবাইকে নিয়ে আমি ট্যুর প্ল্যান বানাইতেছি কয়েক মাসের। সব কিছু নিয়ে দেশ অভিযানে বের হয়ে যাব আমরা ।
২৪| ২৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কবে যাব পাহাড়ে আহা রে .।।।
কবে পাব তাহার দেখা আহারে .।।
অসাধারন পোষ্ট ,মাথা আউলা করা ছবি
অনেক অনেক ধন্যবাদ ।।
২৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪
তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা আপু, আমি যেদিনই পাহাড় থেকে আসি তার পরের দিন থেকেই এই গান গাইঃ কবে যাব পাহাড়ে আহারে আহারে !!!
আমার মন টা পাহাড়েই পড়ে থাকে সারাক্ষন !
আনন্দময় হোক সময়গুলো ।
২৫| ২৯ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:১০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কিছু মনে না করলে বলবো আপনি আপনি কিন্তু আপনার নিজ এলাকার কিছু নামকরা পিঠার কথা কখনো উল্লেখ করেন নি।। যা দেশে উল্লেখযোগ্য।। কাঠালপাতা ডিজাইনে, আরো কত ভিন্ন ডিজাইনের যা চিনি বা গুড়ের সমাহারে পরিবেশিত হয়।। স্বাদ ঢাকার বিখ্যাত কটকটির মত।।
৩০ শে মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২২
তুষার কাব্য বলেছেন: আসলে পিঠা তো আমি জানি উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত।আমার এলাকায় ও আছে কিন্তু বিখ্যাত কিনা জানিনা তবে হ্যাঁ, আমার এলাকায় এক ধরনের কটকটি পাওয়া যায় যা দেশের আর কোথাও পাইনি আমি। আমাদের এলাকার সাগরকলা,সবজী আর আনারস তো দেশ সেরা
নিরন্তর শুভকামনা ।
২৬| ৩০ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কটকটিটাই মনে কষ্ট দিল বুঝি!! পাপড় ভাজার মত কাঠাল পাতার পিঠার কথা মনে পড়লো না??
লিখুন না নিজ এলাকার পিঠা আর আতিথেয়তার কথা।। খুশী হবো পুরানো আর প্রায় হারিয়ে যাওয়া দিনের কথা মনে করে।।
৩১ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫
তুষার কাব্য বলেছেন: আমি চেষ্টা করবো অবশ্যই আপনার অনুরোধ রাখতে।এই আসছে শীতেই কত রকমের পিঠা হবে নিশ্চয় । আপনাকে স্মৃতি গুলো মনে করাতেও আমার খুব ভালো লাগে ।
প্রবাসে অনেক আনন্দে থাকুন ।
২৭| ৩১ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:০৭
নীলপরি বলেছেন: লেখার সাথে ছবিগুলোও খুব ভালো ।
০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৮
তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীলপরি ।
শুভেচ্ছা রাশি রাশি ।
২৮| ০১ লা জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮
দীপান্বিতা বলেছেন: খুব সুন্দর ঘুরলেন!
০১ লা জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
তুষার কাব্য বলেছেন: হুম দিদি ! সারাবছর ধরে এই কাজটিইতো অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে করে বেড়াই
অনেক ভালো থাকবেন ।
২৯| ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:১৫
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আমি এধরনের ট্যুরে সবসময় চেষ্টা করি গাইডের সাথে থাকতে। তাতে খুব মজা হয়। রেমাক্রি থেকে নাফাকুম আসা যাবার পথে আমাদের গাইড প্রায় দুই প্যাকেট সিগারেট শেষ করেছে। ধোঁয়ায় টিকতে পারছিলাম না, শেষে গাইডকেও গাইড করা শুরু করলাম হা হা হা। তবে রেমাক্রি থেকে সাঙ্গু নদী ধরে নৌকায় ফেরার সময় আমার মন মেজাজ খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল। বারবার মনে হচ্ছিল এত চমৎকার জায়গা থেকে কেন চলে যেতে হবে। আপনার লেখায়ও কিন্তু সেই আকুতি টের পেলাম।
মাণিক দা'র দা'র তেলেসমাতি দারুণ লাগল। আমরা শীতকালে গিয়েছিলাম তাই কিছু বুনোফল ছাড়া তেমন কিছু জোটে নি
আরেকটা দারুণ ব্যাপার লক্ষ করলাম, আপনার বর্ণনাভঙ্গী কিন্তু ক্রমাগতই অনন্য হয়ে উঠছে, এটা বোধকরি প্রতিনিয়ত ভ্রমণের ফসল। সময় নিয়ে লিখতে থাকুন সবগুলো।
শুভকামনা রইল। আবার নতুন অভিযানের কথা জানবার জন্য কান পেতে রইলাম
১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১৭
তুষার কাব্য বলেছেন: আমরা আসলে প্রথমে চেয়েছিলাম গাইড ছাড়াই যেতে এতে কিছুটা ঝামেলা হলেও এডভাঞ্চার টা ষোল আনায় হয়। শেষে অবশ্য আমাদের এজন্য পস্তাতেও হয়েছে বেশ কয়েকবার।তারপরও হাতে সময় থাকলে অজানায় হারিয়ে যাওয়ার মজাই আলাদা।আর মানিক দা আসলেই বস।সে না থাকলে আমাদের আরও একদিন বেশি থাকতে হত কমপক্ষে।
রেমাক্রির ওই নৌভ্রমনের কথা কি বলব ! যতবার যাই ওদিকে ততবারই দুচোখ ভরে অমৃত সুধা পান করে নেই।শান্ত পানির গাঁ বেয়ে চলা সাথে দু'পাশের পাহার সারি আর কিছুক্ষন পর পর আদিবাসীদের জীবনযাত্রার সেই দৃশ্য সবসময় মনে লেগে থাকে।
শেষের প্রশংসা টুকু মাথা পেতে নিলুম।আমি আমার ভেতরের শব্দগুলোকেই শুধু লিখতে চেষ্টা করি কতটা পারি জানিনা।
অনেক শুভকামনা জানবেন ভাই।আর সম্ভব হলে পরের কোন এক অভিযানে সঙ্গী হয়ে চলেন একসাথে বেড়িয়ে পড়ি।
৩০| ২৬ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ভাই, আপনার কোন গ্রুপ অাছে। শীতে যাবেন? কোথায় থাকেন? আমাদের ছোট্র গ্রুপ অাছে। তবে যাবার দিন সব হাওয়া হয়ে যায়, থাকে ৩/৪ জন।
পাহাড়-ঝরনা-ছড়া-মেঘ-কুয়াশা-নদী আর রহস্যময় ক্ষূদ্র নৃগোষ্ঠী
http://community.skynetjp.com/id826.htm
১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২৮
তুষার কাব্য বলেছেন: সুপ্রিয় শাশ্বত স্বপন, আমিও এই সমস্যা টা ফেস করেছি আগে।যাওয়ার দিন আসলে কাউকেই আর খুঁজে পাওয়া যেতনা। যে কারনে আমি সবসময় একলা পথের পথিক ।আমার ভবগুরে পথে কেউ সঙ্গী হতে চাইলে নিয়ে নিই।নইলে একাই বেড়িয়ে পড়ি পথের খোঁজে।সেজন্যই আমার কোন গ্রুপ'ও নেই।আমি প্রতি মাসেই ২/১ বার এভাবে বেড়িয়ে পড়ি অজানার উদ্দেশ্যে।আপনি চাইলেই পথসঙ্গী হতে পারেন।এই যেমন পরশুদিন আসলাম টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে আবার পরশু বেড়িয়ে পড়ব নতুন কোন ঝর্নার খোঁজে।
আমাকে চাইলে ফেবুতে ঠিক এই নামেই অর্থাৎ “Tushar Kabbo” নামেই পেয়ে যাবেন।
হ্যাপি ট্রেভেলিং । শুভকামনা জানবেন ।
৩১| ৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১
তাশমিন নূর বলেছেন: অসাধারণ!
১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২৯
তুষার কাব্য বলেছেন: ধন্যবাদ তাশমিন । আমি অনেকদিন পর । তুমিও কি ?
শুভ রাত্রী ।
৩২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ছবিগুলো দেখলে মন ঘরে থাকতে চায়না
১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩১
তুষার কাব্য বলেছেন: যার মন সাদা তার মন কি করে ঘরে থাকে ? কেমন আছেন দেশী ভাই ? কেমন চলছে ঘোরাঘুরি ?
অনেক ভাল থাকা হোক ।
৩৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮
♥কবি♥ বলেছেন: ঘোরাঘুরির তৃষ্ণাটা আবার চড়িয়ে দিলনে!! +++
১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩৪
তুষার কাব্য বলেছেন: কবি ও এই নেশায় আক্রান্ত নাকি ? খুব খারাপ নেশা কবি সাহেব ! যাকে একবার ধরে সহজে তারে ছাড়েনা
শুভকামনা নিরন্তর ।
৩৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৫৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বলেছিলেন আবার আসবেন,কিন্তু আমিয়াকুম সুন্দরীর পর আর খোজ নেই,জানতে পারি কেন?? না কি কেউ কথা রাখে নি।।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪১
তুষার কাব্য বলেছেন: চলে আসছি কিন্তু সত্যি সত্যি
৩৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২২
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা তুষার ভাই। কোন পাহাড়ে আছেন এখন?????
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৩
তুষার কাব্য বলেছেন: পাহাড় থেকে সমতলে চলে আসছি প্রবাসী ভাই । লাস্ট ৮/১০ দিন যুবতী নদীদের সাথে প্রেম করে আসলাম
৩৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৫৭
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আহা!! দাওয়াতটা তাহলে দিয়েই দিলেন!! ফেলি কেমনে?? দেখি সময় সুযোগ মত একবার যোগ দেব আপনার দলে।
তবে আমার শর্ত আছে, সেই অভিযানে মাহমুদ ০০৭ আর ডি মুনকে কোনভাবেই নেয়া চলবে না
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৬
তুষার কাব্য বলেছেন: অবশ্যই সেই ট্যুরে মাহমুদ ভাই আর ছ্যাকা বাবা দা মুন কে রাখবনা ! সাইধা কি আর নিজের পায়ে কেউ কুড়াল মারে কেউ
ব্যাকপ্যাক গোছান তাহলে
৩৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:০১
গোর্কি বলেছেন: আপনার ভ্রমণ বিষয়ক লেখাগুলো ভীষণ উপভোগ্য। সাথে আলোকচিত্র গুলোও দারুণ।।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
তুষার কাব্য বলেছেন: আমার আঙিনায় আপনাকে পেলে আমারও খুব ভালো লাগে । সত্যি বলছি ভাই।
শুভেচ্ছা জানবেন ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:২৮
মাসূদ রানা বলেছেন: ভালো লাগলো ছবিগুলো
অট: দুজনকে পানিতে উল্টো হয়ে ভাসতে দেখলাম ..... মারা গেছে ?