নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যখন আমি থাকব নাকো আমায় রেখ মনে

আমি এক যাযাবর

তুষার কাব্য

আমি এক উড়নচন্ডী,একলা পথিক...স্বপ্ন বুনি পথের ধূলোয়, \nচাঁদনী রাতে জ্যোৎস্না মাখি...\nদূর পাহাড়ের গাঁয়...\n\n\nফেসবুকে: https://www.facebook.com/tushar.kabbo

তুষার কাব্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিপ্পির পথে পথে

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮



সিপ্পির প্ল্যান অনেক দিন ধরে মাথায় ঘুরছে।কিন্তু কিছুতেই ব্যাটে বলে মিলছেনা।এবারও যে হয়ে যাবে সেটাও এক ইতিহাস।কয়েকদিন ধরে পাহাড় আমাকে খুব করে ডাকছে।কিন্তু এই প্রচণ্ড গরমে কাউকে সঙ্গী পাচ্ছিনা।আমার মত কারও তো আর মাথার তাঁর সব ছিড়ে যায়নি!তাছাড়া গহীন পাহাড়ে একা যাওয়াটাও খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ না।আগে অনেকবার গিয়ে এই শিক্ষাই পেয়েছি আমি! হঠাৎ একটা সুযোগ আসলো।দু’দুবারের এভারেস্ট জয়ী মুহিত ভাই তাঁর পুরো টিম নিয়ে বান্দরবান যাচ্ছেন ক্লাবের মিটিং এ।নিজাম ভাইয়ের সাথে আগে থেকেই পরিচয় ছিল।ভাই বলল আমি চাইলে তাদের সঙ্গী হতে পারি।সেতু ভাই ও যেতে চাচ্ছে।আগের রাত উনারা মিটিং করবেন মিলনছড়িতে।ওখান থেকে পরদিন ভোরে আমাদের অভিযান শুরু হবে।আমাদের সিপ্পির প্ল্যানের কথা শুনে মাহি ভাই আর শাওনও যোগ দিতে চাচ্ছে আমাদের সাথে।

যাত্রা হল শুরু




পরদিন সূর্য্যি মামা জেগে উঠার আগেই আমরা প্রস্তুত হয়ে গেলাম।মাহি ভাই আর শাওনও এসে যোগ দিল।আমাদের ৫ জনের টিমের প্রথম গন্তব্য রোয়াংছড়ি।আগের রাতেই সি,এন,জি ঠিক করে রেখেছিলাম।যদিও বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ির বাস ছাড়ে প্রতি দের ঘণ্টা পর পর।ভাড়া ৬০ টাকা মাত্র।এক ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাওয়া যায় এই ১৯ কিলোমিটারের দূরত্বটুকু।আমরা রোয়াংছড়ি পৌঁছাই ইলশে গুড়ি বৃষ্টি সাথে নিয়ে।রোয়াংছড়ি হোটেলে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম।কিছু জরুরী তথ্য নিয়ে নিলাম হোটেল মালিক কলিম ভাইয়ের কাছ থেকে।এখানে বলে রাখি যারা রোয়াংছড়ি তে রাত যাপন করে পরদিন এখান থেকে যাত্রা শুরু করতে চান তাদের জন্য এখানে বেশ কয়েকটা ছোট বড় আবাসিক হোটেল আছে।

পেট বাবাজী আপাদত ঠাণ্ডা সারাদিনের জন্য।এখন আমাদের গাইড খুঁজে বের করতে হবে।আমরা এই রুটে সবাই নতুন।নিজাম ভাই যদিও সব ম্যাপ করে নিয়ে আসছে তবু নতুন রুটে গাইড থাকা ভাল।আমরা বাজারে খুঁজতে খুঁজতে একজন কে পেয়ে গেলাম।পলাশ তঞ্ছঙ্গা।পেশায় ছোট ব্যাবসায়ী।ঘুরতে পছন্দ করেন।বলতেই রাজি হয়ে গেলেন আমাদের সাথে যেতে।আমরা যে রুটে যাব বলে ঠিক করেছি তা তার নখদর্পণে।অনেক পাড়ায় আবার তার আত্মীয়ও আছে।একসাথে রথ দেখাও হল কলাবেচাও হল।আমাদের আগামী কয়েকদিনের বাজার করে নিয়ে আমরা বেড়িয়ে পড়লাম সিপ্পি অভিযানের পথে।
যাত্রা শুরু হতেই আমাদের চোখে মুখে একটা আনন্দের ঢেউ খেলে গেল।নতুন পাহাড়ের গন্ধ পেতে শুরু করলাম আমরা।এ এক অন্য নেশা।নতুন নতুন পাহাড় জয়ের নেশা।পাহাড়ের সুউচ্চ চূড়ায় নিজেকে দেখার নেশা।দুর্গম পথ কে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার নেশা।সেই গন্ধ গাঁয়ে মেখে আমরা নেমে আসলাম রাস্তায়।কিন্তু কোথায় কি!পাহাড়ে এসে আমরা পাহাড় বাইব এমনটাই হওয়ার কথা!আমরা শুরুই করলাম পাহাড়ের বুকে নির্লজ্জ কোদাল চালিয়ে বানানো রাস্তায়।এ এক ধ্বংসের খেলা।আজকাল যেদিকে যাই সেদিকেই পাহাড় কেটে রাস্তা বানানোর এই মহোৎসব চোখে পড়ে।জানিনা এতে কে বা কারা বেশি লাভবান হয়।অন্তত আদিবাসীরা কেউ এতে সুখি নয় তা আগে পরে অনেকের মুখেই শুনেছি। সাজানো রাস্তায় চলতে চলতেই আমাদের সামনে প্রথম পাড়া ব্যাঙছড়ি।খালের একপাশে পাড়া কে ফেলে আমরা ব্যাঙছড়ি বাজারে চলে এলাম।ততক্ষনে ঘণ্টা দুয়েক কেটে গেছে।কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে আর হালকা কিছু খেয়ে শরীর মন কে চাঙ্গা করে নিলাম।দুপুরের তপ্ত রোদে একটানা বেশিক্ষণ ট্রেকিং করা যায়না।শরীর কে বিশ্রাম দেওয়া খুব জরুরী

পাখির চোখে অংজাই পাড়া


বৃষ্টি থেকে বাঁচার অভিনব আবিষ্কার



এমন পথে অনন্তকাল ধরে চলা যায়


ব্যাঙছড়ি বাজার পার হয়ে সামনেই পেয়ে গেলাম অংজাই পাড়া।অংজাই পাড়ার নিচ থেকেই চমৎকার একটা ট্রেইল নেমে গেছে।হঠাৎ করে আমরা যেন কোন এক আদিম জনমানবশুন্য নির্জন প্রান্তরে নেমে আসলাম।দু’পাশে উঁচু পাহাড় আর সামনে বয়ে চলা ঝিরির টলটলে জলধারা আমাদের এমনই এক উত্তেজনায় নিয়ে যায়।ব্যাঙছড়ি ঝিরি ধরে কিছুক্ষন চলার পর আবার সেই কৃত্রিম রাস্তায় উঠতে হল।ঘণ্টা খানেক হাটার পর পেয়ে গেলাম দেবতা পাহাড়।অনেকে একে ৭ পরীর পাহাড়ও বলে।ভাল করে খেয়াল করলে দেখা যায় ওখানে ৭ টা চূড়া।যাদের ৭ পরী বলা হয়।এই পাহাড় কে নিয়ে অনেক কল্পকাহিনী প্রচলিত আছে।আমাদের মধ্যেও ৭ পরীকে নিয়ে রীতিমত কাড়াকাড়ি লেগে গেল মাহী ভাই আর নিজাম ভাইয়ের মধ্যে।প্রথমে নিজাম ভাই একাই ৭ পরী কে নিয়ে নিবে স্বার্থপরের মত।মাহী ভাই তা মানবে কেন!রীতিমত যুদ্ধ লেগে গেল।শেষে মাহী ভাইকে এক পরী দিয়ে ঠাণ্ডা করল।আমরা ৩জন নীরব দর্শক হয়ে শুধু দেখে গেলাম।

হঠাৎ ধেয়ে আসা মেঘদল


কিছুদূর এগুতেই হঠাৎ আকাশের চেহারা বদলে গেল।একটু আগেই উত্তাপের পশরা নিয়ে বসেছিল সে।উত্তপ্ত হয়ে যেন কিসের এক অজানা আক্রোশ ঢেলে দিচ্ছিল আমাদের ওপর।আমরা সিদ্ধ হচ্ছিলাম সেই আক্রোশে।এখন আবার সে ঘন কালো মেঘে ঢেকে গেল।যেকোন সময় সমস্ত আকাশ ভেঙ্গে নিয়ে নেমে আসবে।সামনেই লুংলাই পাড়া দেখা যাচ্ছে।মনে হচ্ছে ওখানেই বিরতি নিতে হবে আমাদের।লুংলাই পাড়ার ঠিক আগে মস্ত এক বট গাছ পেয়ে গেলাম।আমাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্যই সে অপেক্ষা করছিল।আমাদের মত ক্লান্ত পথিক আশ্রয় নেয় তাঁর কাছে যুগ যুগ ধরে।পাড়া থেকে কিছু আম কিনে নিলাম খুব সস্তায়।একদম টাটকা ফরমালিন ছাড়া আম।আমরা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়লাম।কিন্তু বেরসিক বৃষ্টির তা একদমই পছন্দ নয়।বাধ্য হয়ে আমরা পাড়ার একটা বাড়িতে গিয়ে উঠলাম।কিছুক্ষন বসে বসে পাহাড়ের বৃষ্টি দেখলাম।এর মধ্যেই আমরা প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম বৃষ্টিতেই বেরিয়ে পড়ার।কারন সময় নষ্ট করার মত সময় আমাদের হাতে নেই।এর মধ্যেই বৃষ্টি কমে আসছে।কিন্তু রাস্তার বারটা বাজিয়ে দিয়ে গেছে।এক হাঁটু কাঁদা সাথে ভয়াবহ রকমের পিচ্ছিল।এই রাস্তায় সাধে কি আর কেউ হাঁটতে চায়!আমরাও ঠেকায় পরে রাস্তায় নেমেছি।

মেঘে ঢাকা হাতি পাহাড়


মস্ত হাতিটা কি পরম মমতায় আগলে রেখেছে তাড়াছা পাড়া কে




বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ৪ টার দিকে আমরা এসে পৌঁছলাম তাড়াছা পাড়ায়।হাতি পাহাড়ের নিচে ছোট্ট একটা পাড়া।মনে হয় যেন হাতি পাড়াটির দেখভাল করার দায়িত্ব নিয়ে তার বিশাল দেহ দিয়ে আগলে রেখেছে ছবির মত সুন্দর এই পাড়াটি কে।এটা একটা ত্রিপুরা অধ্যুষিত পাড়া। যেকারনে একে অনেকে তারাছা/তাড়াশা ত্রিপুরা পাড়াও বলে।আমরা উঠেছি মনিলা কারবারির বাড়ি। ঘণ্টা দুয়েক বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কাদায় গড়াগড়ি করে আপাতত সবাই ক্লান্ত।সবারই পেটে কিছু দিতে হবে নইলে আর শরীর চলেনা।নিজাম ভাই নিজেই দায়িত্ব নিয়ে নুডলস নিয়ে চলে গেল অন্ধরমহলে।কিছুক্ষনের মধ্যেই সুমধুর নুডলস প্রস্তুত।একটা ব্যাপার সবসময় দেখেছি যে পাহাড়ে গেলে যাই খাইনা কেন সবই অনন্য মনে হয়।এতো স্বাধের রান্না মনে হয় জীবনেও খাইনি।প্রতিবারই এমনটা মনে হয়।কেন এমন মনে হয় তা নিশ্চয় বোঝা যাচ্ছে।সারাদিন ট্রেকিং করে ক্লান্ত শরীরে যাই দেওয়া হোক না কেন তাই অমৃতসম।

এমন সবুজের সাথেই ছিলাম কটা দিন




শরীর,মনকে তৃপ্ত করে আবার নেমে পড়লাম রাস্তায়।অন্ধকার হতে এখনও বেশ বাকি।তার আগে যতটা সম্ভব এগিয়ে থাকতে চাই আমরা। সামনের কোন এক পাড়ায় আমরা রাত্রীযাপন করব।হাতি পাহাড়ের নিচ দিয়ে আমরা বেরিয়ে গেলাম।একটা অদ্ভুত ব্যাপার খেয়াল করলাম বৃষ্টি মাথায় পাহাড়ের পথে চলেছি অথচ অতি প্রিয় জোঁকের দেখা এখনও সেভাবে পাইনি।দূর থেকে দেখেছি কিন্তু শরীরে মোহনীয় স্পর্শের কোমলতা পাইনি।যাইহোক,সামনে আরও অনেক পথ বাকি।নিশ্চয় সে তার ষোলআনা শোধ করতে ঝাঁপিয়ে পড়বে।

দূরের পথে পায়ে পায়ে


বৃষ্টির পর আকাশ টা রক্তাভ লাল হয়ে আছে।যেন সমস্ত আকাশ জুড়ে আবীর মাখিয়ে দেওয়া হয়েছে সুনিপুণ হাতে।আকাশের এই রঙ টা আমার খুব পছন্দের।সূর্যাস্তের শেষ সময়ে অভিমানী আকাশ এমন হয়ে থাকে।লাল রঙা টগবগে ছাতা মাথায় আমরা অভিযাত্রী দল আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছি।সামনেই প্রতিক্যা পাড়া।আপাতত আমাদের গন্তব্য সেখানেই।এর বেশি বোধহয় আজ আর এগোনো যাবেনা।কত শত নিদ্রাহীন ঝিরি,আর সদম্বে আকাশ ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়ের দলকে পেছনে ফেলে আমাদের প্রথম দিনের অভিযাত্রা সফল সমাপ্তির পথে।ওই দূরে দেখা যায় মেঘের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অনিন্দ্য সুন্দর এক গ্রাম,প্রতিক্যা পাড়া। এক খণ্ড সবুজের পিয়াসায় অতৃপ্ত মন আজ ওখানেই আশ্রয় গড়বে মেঘদলের সাথে,সবুজ ঘেরা পাহাড় সারির সাথে।

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রী


আজন্ম সলজ্জ স্বাধ একদিন বৃষ্টিভেজা রাতে বৃষ্টির সাথে প্রেম করব এমন জুম ঘরে


প্রতিক্যা পাড়ার নাম হয়েছে মূলত কারবারির নাম অনুসারে।পাহাড়ের বেশিরভাগ পাড়াতেই তাই দেখেছি।আমরা যার বাড়িতে উঠেছি তার নাম প্রতিক্যা তঞ্ছঙ্গা।কাপড় চেঞ্জ করতে গিয়ে দেখি এংলেট এর ভেতর দুইটা জোঁক রক্ত খেয়ে অলস পড়ে আছে।বিনা বাঁধায় অনেক আদর করে যত্ন নিয়ে চুমু দিয়েছে বোঝাই যাচ্ছে।একদম ফুলে ঢোল হয়ে আছে।প্রথম দিনের বলে ওরা বেশ আদর যত্ন পেল আমার কাছে।মাহি ভাইয়ের স্পেশাল কেয়ারও পেল। বাকীরাও ২/১ টার দেখা পেয়ে ধন্য হয়েছে। পাড়ার পাশে তাড়াছা খালে গিয়ে কিছুক্ষন ঝাপাঝাপি করে সারাদিনের ক্লান্তি কে ওখানেই জমা দিয়ে আসলাম।ফ্রেশ হয়ে সবাই রান্না বান্নার প্রস্তুতিতে লেগে গেলাম।এতক্ষনে দুইটা মুরগী ধরে আনা হয়েছে।আজকে তাদের দিয়েই পেট পূজা হবে।সাথে অতি প্রিয় আলু ভর্তা আর পাশের অনন্ত জলরাশি থেকে কিছুটা ধার নিয়ে ডালের ব্যাবস্থাও হয়ে যাবে এক বালতি।তাতে আমরা মনের সুখে সাঁতার কাটব আর পেট ভরে,মনের সুখে ডিনার করবো।খুব জমবে বোঝা যাচ্ছে।
ভাত রান্নার সুকঠিন কাজটা আমিই নিলাম!এতো কঠিন কাজ সবাই পারেনা।দেখা গেল ভাত রাঁধতে গিয়ে অন্য কিছুও রেঁধে ফেলতে পারে।তাই আর রিস্ক নিলাম না।অন্য সহজ কাজ গুলো সবাই ভাগাভাগি করে নিল।মুরগীটা যথারীতি নিজাম ভাইয়ের দখলে।বেশি করে আলু দিয়ে নিজাম ভাই আবারও ফাটিয়ে দিয়েছে!অবশ্য বাড়িতে কেমন হয় তাতো আর পরখ করা হয়নি।ভাই এর আবার আলুর প্রতি বিশেষ দুর্বলতা।পারলে একাই সবআলুর দখল নেয়।কিন্তু আমরাই বা এই অন্যায্য দাবী মানবো কেন!তাই শেষে কাড়াকাড়ি টাও ভালই জমেছে।জম্পেশ ডিনার হল।আমি হলফ করে বলতে পারি এমন সুস্বাধু খাবার হোটেল সোনারগাঁ, রেডিশনেও রান্না হয়না।

কিছুটা বিশ্রাম বটের ছায়ায়


খাওয়া দাওয়া শেষে আকাশের দিকে তাকাতেও সবাই বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম।সমস্ত আকাশ জুড়ে শুভ্র আলোর ঝলকানি।প্রতিটা ইঞ্চি ইঞ্চিতে তারা’রা জায়গা নিয়ে বসে আছে।আজ সারা আকাশ ভরে আনন্দ নৃত্যে মাতবে তারাদের দল।এমন তারা ভরা আকাশ এই জীবনে খুব বেশিবার দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার।ঘার উঁচু করে সেইযে তাকিয়েছি কিছুতেই আর নামাতে পারিনা।পরে আর না পেরে খোলা আকাশের নিচে শুয়েই পড়লাম উপুর হয়ে।প্রান ভরে তৃষ্ণা মিটাতে লাগলাম।ভেবে অবাক হই এতো তারাদের মিছিল হঠাৎ কত্থেকে এসে হাজির হল!সমগ্র আকাশের বুকে এক ইঞ্চিও মনে হয় খালি জায়গা নেই।এমন করেতো কখনও তাদের পাইনা!এমন উজ্জ্বল জ্বলন্ত আকাশের নিচে দাঁড়ালে মাঝে মাঝে বুকটা শুন্যতায় ভরে যায়।তখন খুব মরে যেতে ইচ্ছে করে।ইচ্ছে করে নিজেও এমন তারা হয়ে যাই। হঠাৎ মনে পড়ে গেল কাজী মোতাহার হোসেনের কাছে লিখা কবি নজরুলের একটি চিঠির কথা।যেখানে বিষণ্ণ,বিধ্বস্ত কবি আপন মনে শান্তনা খুঁজতে বেছে নিয়েছেন কাগজ,কলম।লিখেছেন অসাধারন এক চিঠি।ওখানেই কোন এক জায়গায় কবি বলেছেন,নিশুতি রাতের তারাগুলিকে কবি নামকরণ করেছেন ইচ্ছেমতন।আমারও খুব ইচ্ছে করছে এদের নাম দেই আমার মতন করে।কিন্তু আমার সে কষ্ট আর করতে হয়নি।দৃশ্যপটে মাহী ভাই এসে হাজির।উনি সপ্তর্ষি মণ্ডল থেকে শুরু করে একে একে আমাদের তারাদের অবস্থান বুঝিয়েছেন।অতিশয় ধৈর্য নিয়ে সবাইকে তারা চেনানোর এই সুমহান দায়িত্ব টা উনি সানন্দেই নিলেন।কিন্তু এতো শত তারাদের ভীরে মনে রাখাও খুব দুঃসাধ্য।আর তাছাড়া এতো তারার মিছিল দেখার ভাগ্যও আবার কবে হয় কে জানে!

সবুজের পথে,স্বপ্নের পথে অভিযাত্রীদল


তারা দেখতে দেখতেই পেছনে ডাক পড়ল।এবার ঘুমাতে যেতে হবে।ঘুমাতে যেয়ে যে গল্প শুনলাম পলাশ দা’র কাছে তাতে ঘুমের বাড়ি আর যাওয়া যাবেনা মনে হয়।এই পাড়ায় এবং এই বাড়িতে নিষিদ্ধ বাহিনীর অবাধ বিচরণ।তারা যখন খুশি আসে এবং খেয়ে দেয়ে চলে যায়।তবে সুখের কথা হল ওরা পারতপক্ষে কারও দিকে বন্দুক তাক করেনা।কেউ বেশি মাতব্বরি করতে গেলেই বিপদে পড়ে।আজ রাতে না হলেও কাল সিপ্পি যাওয়ার পথে তাদের সাথে দেখা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।কারন আমরা ইতিমধ্যে তাদের রাজত্বের মধ্যে প্রবেশ করেছি।এদিকে সেনাবাহিনী বা বিজিবির কোন ক্যাম্প নেই।তাই নিরবেই তারা এদিকে ঘুরে বেড়ায়।এক্ষেত্রে পরামর্শ হল সামনে পড়ে গেলে নিঃশব্দে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।ঘুম বাবাজী এবার তুমি আসো।


চলবে ....

মন্তব্য ১০৯ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (১০৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: ছবি বর্ননা ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ।
শুভ হোক সময় ।

২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনাদের মজার রান্না মিস করলাম মনে হয়।

আচ্ছা ভাই মুরগী ২টা কোথায় থেকে পাইলেন?

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহাহা তা কিছুটা মিস করেছেন অবশ্যই। পাহাড়ের রান্না গুলোও হয় খুব মজার। পাড়া না পেলে সেখানে কিছুটা বিয়ার গ্রিল টাইপেরও অভিজ্ঞতা হয় মাঝে মাঝে । এই মুরগী গুলো অবশ্য পাড়াতেই পেয়েছিলাম । তবে অনেক সময় বন্য মুরগীও ধরে আনার অভিজ্ঞতা হয়েছে :)

৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪০

পার্থ তালুকদার বলেছেন: আপনি খুব খারাপ :((

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

তুষার কাব্য বলেছেন: সে তো আমি জানি :/ কিন্তু এবার যে কি করলাম তাই বুজতে পারছিনা :``>> :(

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার পোস্ট দেখলাম । :) :)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহাহা অনেকদিন পর আসলাম যে নাজমুল ভাই । কেমন আছেন বলেন ?

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: পার্থ তালুকদার বলেছেন: আপনি খুব খারাপ :(( আপ্নে খুব খারাপ হে

তুষার ভাই দ্যা বস
খায় প্রাণ সস।
;)

চমৎকার বর্ণনা আর ছবি।
লোভ ধরাই দিতে পারেন আপনি /। B-)


১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১

তুষার কাব্য বলেছেন: আমি প্রাণ সস খাইনা ! সস আমারে খায় #:-S 8-|

লোভ লাগলে চলে আসেন । একলগে পার্থ দার বাড়ি ঘুরে আসি B-)

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মাত্র ভাবছিলাম জঙ্গলের আঁকাবাঁকা প্রাকৃতিক পথ আর কেটে বানানোর কোন পথটাতে রোমাঞ্চ বেশী?? ভাবছি আর ক্রল করছি, এইতো পেয়ে গেলাম মনের প্রশ্নের জবাব ৫নং ছবিটাতেই।।
গেছে।এক হাঁটু কাঁদা সাথে ভয়াবহ রকমের পিচ্ছিল। একবার পিছলে গেলে একলাফে দশহাত এগিয়ে যাওয়া যায়।। তাই না??
ক্ষুধার্তের কাছে পোড়াআলুও অমৃতসম,জানেন না এটা??
নিঃসঙ্গ আর বাকা পথ,একাকী দাড়িয়ে থাকা গাছ আর ছাড়াবাড়ীটা খুব টানছে।।
সব মিলিয়ে ভাললাগা।। এতদিন এইজন্যই দেখা দেন নি।। ভাল থাকুন।।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪১

তুষার কাব্য বলেছেন: সত্যি তাই , পাহাড় যেভাবে দিন দিন রাস্তা হয়ে যাচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে আর ট্র্যাকিং করে যাওয়া লাগবেনা । বান্দরবান থেকে গাড়িতে উঠবো যেখানে খুশি সেখানে গিয়ে নামবো।প্রতিটা রুটে একই অবস্থা।আগে যেখানে ৪/৫ দিন লাগত যেতে এখন সেখানে ১ দিনেই যাওয়া যায়। হ্যাঁ, এর কিছু পজিটিভ সাইট তো অবশ্যই আছে কিন্তু উল্টোটা যে বেশি ভারী।

আসলেই , পাহাড়ের খাওয়া যে কত আনন্দের আর তৃপ্তির।যা খাই তাই অমৃতসম।

পাহাড়িয়া , পাহাড়েই থাকে যতক্ষণ সম্ভব :) আবার ফিরেও আসি আবার যাওয়ার জন্য ।

শুভেচ্ছা বিজয়ের ।

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: আপনিও তো লেখার এক মনোরম পাহাড় তৈরী করে চলেছেন !! তবে এই পাহাড়ে খুব সহজেই উঠে যাওয়া যাচ্ছে । কারণ লেখার মধ্যে রেখেছেন সাবলীলতা, কাব্যকিতা এবং দৃষ্টিনন্দন ছবির মিশেল । তাই কষ্টবিহীন লেখার পাহাড়ে এই পর্যন্ত আরামেই পার করেছি !!! হা হা

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬

তুষার কাব্য বলেছেন: ভাগ্যিস আমার লেখার পাহাড়ে আপনি সহজেই ট্র্যাকিং করতে পারছেন নইলে যে এই লেখা পাহাড়ের কোন গভীর খাদে ফেলে দিতে হত :)
সামনের পাহাড়গুলো আরও উঁচু আর ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়ে আসবে, সেখানেও অগ্রিম আমন্ত্রন রইলো ঘুরতে আসার জন্য :D

চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
শুভ সকাল ।

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অসাধারণ বর্ণনা আপনার !!
সেই সাথে ছবিগুলো থেকে যে চোখই সরাতে পারছি না!!!

এমন গ্রুপ ট্র্যাকিং-এ কত না জানি মজা হয়!!
অনেক শুভেচ্ছা আপনাদের সবার জন্য!!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৯

তুষার কাব্য বলেছেন: প্রথমেই শীতের ভেজা ভোরের শুভেচ্ছা ।
গ্রুপ ট্রেকিং আসলেই অন্যরকম মজা , দলবেঁধে পাহাড় বেয়ে চলার আনন্দ তো আছেই, সবচেয়ে বেশি মজা হয় যখন খাওয়ার আয়োজন করতে বসি । আহা ! দারুন সব অভিজ্ঞতা ।

৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৪

উল্টা দূরবীন বলেছেন: দূর্দান্ত বর্ণনার সাথে সাথে অসাধারণ সব ছবি। মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সেই সাথে আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫১

তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সেই সাথে স্বাগতম আমার ব্লগে । আমিও আসছি বেড়াতে আপনার বাড়ি ।

১০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২৬

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: আপনি খুব খারাপ :( এখন আবার ঘুরতে যাইতে মন চাইতাছে। কি করি বলেন তো । ছবি ও বর্ননায় ভাল লাগা। ভাল থাকবেন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

তুষার কাব্য বলেছেন: সবাই মিলে আমার পিছনে লাগছেন কেন ? আমি কি করলাম আবার :((

আমাদের ওয়ার্ল্ড ট্যুরের কথা ভুইলেন না কিন্তু ! আজ হোক, কাল হোক , আমরা কিন্তু যাচ্ছি ।

আনন্দময় হোক প্রবাস জীবন ।

১১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৮

জুন বলেছেন: লগ হয়েই এই ব্যতিক্রমী নাম দেখে অবাক হোলাম তুষার কাব্য । আর বর্ননা ও ছবির কথা নাইবা বললাম । সিপ্পির পথের বাকে বাকে অজানা রহস্যের আহবানের অপেক্ষায় ।
+

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা আপু, সিপ্পি বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্গম পিক ( রাস্তার কথা বিবেচনা করে ) গুলর একটা ।সেজন্য খুব বেশি পা পড়েনা ওদিকে। খুব ভয়াবহ আর আনন্দের মিশেল সেই অভিজ্ঞতার ।আসছি সব গল্প নিয়ে :)

শুভ সকাল ।

১২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২১

রিকি বলেছেন: ছবি এবং লেখা দুটোই অনবদ্য ভাইয়া। আপনাকে ইদানিং ব্লগে দেখায় যায়না :(

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৮

তুষার কাব্য বলেছেন: সত্যি অনেকদিন পর আসছি ব্লগে । খুব ব্যাস্ততায় কাটছে সময় সাথে আমার পাহাড় ত আছেই :)

আশা করছি এবার নিয়মিত হব ।

ভাল হোক সময় ।

১৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

সুলতানা রহমান বলেছেন: সবাই শুধু বেড়ানোর গল্প লিখে। সেই গল্প পড়তে পড়তে আমি কষ্টে মরে যাই। …

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩১

তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহাহা কি দুঃখ ! কি দুঃখ :D

দুয়েকজন এমন করে পড়ে দুঃখ না পেলে কেমন করে হবে :#)

ভাল থাকুন খুউব ।

১৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৯

কেউ নেই বলে নয় বলেছেন: প্রাঞ্জল বর্ননা আর সুন্দর ছবি মিলিয়ে অনেক ভালোলাগা রইলো। :)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

তুষার কাব্য বলেছেন: মনে হয় প্রথম পদার্পন আমার আঙ্গিনায় । সুস্বাগতম ।

ভাল থাকুন সবসময় ।

১৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

রাতুল_শাহ বলেছেন: বন্য মুরগীর স্বাদটা কেমন হয়?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২১

তুষার কাব্য বলেছেন: এমন শক্ত যে ছেড়ার জন্য আলাদা দা,কাচি লাগে :) দাতের ভাল পরীক্ষা হয়ে যায় ভাই । তবে আমি বন্য গন্ধেই মাতাল হয়ে যাই ।

১৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: লেখাটা দুইবার এসেছে। এডিট করে দিয়েন। আর হ্যাঁ, সবার সাথে আমিও একমত। আপনি আসলেই খুব খারাপ, একা একা ঘোরাঘুরি করে এসে আবার সচিত্র পোস্ট দেন, পড়তে আসলে হিংসায় মারা যাবার অবস্থা হয়।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

তুষার কাব্য বলেছেন: এডিট করে দিয়েছি । সবার সাথে আপনিও ! তবে আমার কিন্তু ভালই লাগে কেউ খারাপ বললে,হিংসা করলে ;) :D আমি ১০ টা ত্যুর দিয়ে পোস্ট দেই হয়ত একটা বাকিগুলা অব্যাক্তই থেকে যায় ।

শুভেচ্ছা শীতের সকালের ।

১৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
বর্ণনা চমৎকার, কিন্তু ছবি দেখে জায়গাটা অতো সুন্দর লাগলো না ||

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

তুষার কাব্য বলেছেন: আমার ক্যামেরায় হয়ত অত সুন্দর আসেনি কিন্তু এমন জায়গায় গেলে নিজেকে খুব ভাগ্যবানই কিন্তু মনে হবে আপনার । প্রথম ছবি আর হাতি পাহারের ছবি সত্যি ভাল লাগেনি ভাই ! :D

১৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

সুমন কর বলেছেন: বড় পোস্ট। আজ সুন্দর সব ছবিগুলো দেখে গেলাম।

পরে পড়তে আসবো। ;)

নতুন চাকরী কেমন লাগছে?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

তুষার কাব্য বলেছেন: খুব বড় পোস্ট না কিন্তু । কারন আমি হচ্ছি লেখার ক্ষেত্রে খুব অলস ! অত বড় পোস্ট লেখার মত স্থির আমি না। পরে আসেন সময় করে ।

নতুন জব ভালই লাগছে ।

১৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: আমিও সেটাই চিন্তা করছিলাম ভাই। তারা সবকিছু সতেজ, টাটকা খাবার খায়, তারা যে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন নেই এর মধ্যে কোন ভেজাল নাই।
তাদের মাংস, হাড় সেই রকম হবে, মানে পুরাই জিম করা বডির মত।

ভাবতেছি ভাই বনে চলে যাবো।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহাহা আসলেই তাই B-) :D

আমার সাথে পাহাড়েই চলেন । সেখানে মাঝে মাঝে বনও পাবেন কিন্তু ।

২০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

ইসু বলেছেন: আজন্ম সলজ্জ স্বাধ একদিন বৃষ্টিভেজা রাতে বৃষ্টির সাথে প্রেম করব এমন জুম ঘরে...............

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

তুষার কাব্য বলেছেন: সত্যি তাই , এমন অনেক জুম ঘর আমার স্বপ্নে এসে হানা দেয় । সেখানে শুধু আমি থাকব বৃষ্টি ভেজা রাতে । ভাবতেই কেমন কেমন লাগে ।

২১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০১

মানবী বলেছেন: বাংলাদেশে সিপ্পী নামে কোন স্থান আছে, এই প্রথম জানলাম। প্রাব সবদেশের পাহাড় নিয়েই মনে হয় স্থানীয় আদিবাসীদের মাঝে নানান কল্পকাহিনী আছে। রাজার মেয়ে, রাজা রানীর অভিমান, প্রেম ভালোবাসা, যুদ্ধ, প্রতিশোধ কি নেই এসব কাহিনিতে!

সবচেয়ে মুগ্ধ হলা হাতী পাহাড় দেখে। আমাদের দেশে এমন অদ্ভুত সুন্দর সব সম্পদ অথচ এসবের তেমন প্রচার নেই, খুব খুব দুঃখজনক। শুধু হাতি পাহাড় দশনের জন্যই বিশ্বের অনেক পর্বত অনুরাগী ও পর্যটকেরা সেখানে যাবেন যদি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।

"আমরা শুরুই করলাম পাহাড়ের বুকে নির্লজ্জ কোদাল চালিয়ে বানানো রাস্তায়।এ এক ধ্বংসের খেলা।আজকাল যেদিকে যাই সেদিকেই পাহাড় কেটে রাস্তা বানানোর এই মহোৎসব চোখে পড়ে।জানিনা এতে কে বা কারা বেশি লাভবান হয়।"

"এক হাঁটু কাঁদা সাথে ভয়াবহ রকমের পিচ্ছিল।"

- উপরের বক্তব্য দুটির একটির মাঝেই হয়তো আরেকটির জবাব লুকিয়ে আছে :-) তবে আদিবাসীরা সাধরানত শত কষ্টের মাঝেও যান্ত্রিকতা পছন্দ করেনা। প্রকৃতিকে আঘাত করা পছ্ন্দ করেনা।


আপনার নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান এবং অত্যন্ত সাহসী। ক্লাইম্বিং এর প্রতি কখনও আগ্রবোধ না করলেও আদিবাসীদের জীবনযাত্রা স্বচক্ষে দেখার আগ্রহ সব সময়। বাংলাদেশে যখনই পার্বত্য অণ্চলে গিয়েছি এমন ভাবে নিষিদ্ধ বাহীনির ভয় দেখিয়েছে যেনো ওরা আমাকে বন্দী করার জন্য সর্বদা ওঁৎ পেতে আছে :-)

আপনার প্রকৃতিকে দেখার দৃষ্টি আর অনুভবের ক্ষমতা চমৎকার! খুব ভালো লেগেছে বর্ণনা পড়ে।
আন্তরিক ধন্যবাদ তুষার কাব্য।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

তুষার কাব্য বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত চমৎকার এক মন্তব্যের জন্য। আসলে সিপ্পি নামটা এখনও সেভাবে পরিচিত হয়নি। সিপ্পি বাংলাদেশের উচ্চতার দিক দিয়ে অন্যতম উচ্চতম পিক।উচ্চতা প্রায় তিন হাজার ফিট এর কাছাকাছি।তারচেয়েও বড় কথা যাওয়ার রাস্তা একদমই সুখকর না।

হাতী পাহাড় দেখতে আসলেই একদম হাতীর মত আর তার নিচে সেই অসাধারন তাড়াছা পাড়া।শুধু হাতি পাহাড় দশনের জন্যই বিশ্বের অনেক পর্বত অনুরাগী ও পর্যটকেরা সেখানে যাবেন যদি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। খুব সত্যি কথা । কিন্তু এই কাজ যে করবে সেরকম কাউকেই আমরা খুজে পাইনা !

আপনার নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান এবং অত্যন্ত সাহসী। আমিও সবসময় নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি । আর পাহারে গেলে মাঝে মাঝেই আমাদের রিস্ক নিতে হয় তাই ঘুরতে ঘুরতে এমনি সাহসী হয়ে গেছি :)

আবারও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন ।

২২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
সেটাই হৈতে পারে, রুড শোনাবে তাই বলিনাই।
গুড লাক ||

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭

তুষার কাব্য বলেছেন: ব্যাপারনা ভাই , সব কিছু এম্নিতেও ভাল লাগতে নেই :D

ভাল থাকেন খুব ।

২৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

আবু শাকিল বলেছেন: পোষ্টে মাইনাস :)
মাহমুদ ভাই,তনিমা আপু বলছে আপ্নি খ্রাপ!!!
আপনার পাহাড়ের ঘুরিঘুরি দেখলেই -আপচুচ লাগে ভাই :)
খুব সুন্দর বর্ণনা তবে ছবি দেয়ার ক্ষেত্রে কিপ্টামি করেছেন।
আগামী পোষ্টে পুরা ফোল্ডার যেন ঢেলে দেয়া হয়!!!
ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

তুষার কাব্য বলেছেন: পোষ্টে মাইনাস এর জন্য প্রথমেই এক বালতি ধইন্যা পাতা নেন ;) :)

আগামী পোষ্টে পুরা ফোল্ডার যেন ঢেলে দেয়া হয়!
আচ্ছা পরের বার পুরা ফোল্ডার ঢেলে দিব , তখন আবার যেন বিরক্ত না হন X(

খুব ভাল থাকা হয় যেন ।

২৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হ্যাপী ঘুরাঘুরি !!! !:#P !:#P !:#P

কিন্তু সবাই আপনেরে এই রহম খ্রাপ খ্রাপ বলতেছে কেন ?
পারলে আরও কিছু ছবি দিয়েন ভ্রাতা।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

তুষার কাব্য বলেছেন: বুঝলেন না কান্ডারি ভাই , হিংসা হিংসা !!

আমাকে ঘুরতে দেখলেই সবাই এমন জ্বলে পুরে ছারখার হয়ে যায় :D ;) :P

পরের বার ছবি দিয়ে সবাইরে স্তব্ধ করে দিব , হুম :D

২৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

ফা হিম বলেছেন: হাতি পাহাড় !! বাহ, এমন জিনিসও আছে তাহলে। :)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

তুষার কাব্য বলেছেন: আরও কত শত অসাধারন সুন্দরী সব পাহাড় যে আছে ভাই !!!

২৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর, আর লেখাও অনেক ডিটেইলস। ভালো লাগলো।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

তুষার কাব্য বলেছেন: আমি সবসময় চেষ্ঠা করি কিছুটা ডিটেইলস লিখতে । এতে করে পড়তে পড়তে,ঘুরতে ঘুরতে অনেক তথ্যও জেনে নেওয়া যায়।

শুভেচ্ছা পড়ন্ত বিকেলের ।
অনেক ভাল থাকুন ।

২৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: অনেক সুন্দর ছবির সমাবেশে আর চমৎকার বর্ণনার দারুণ পোষ্ট, অনেক শুভকামনা আর ভালোবাসা জানবেন প্রিয় তুষার কাব্য ...

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

তুষার কাব্য বলেছেন: প্রথমেই স্বাগতম আমার ভ্রমন আঙ্গিনায় । চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভ হোক সময় ।

২৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পোস্ট পড়ে আর ছবি দেখে মুগ্ধ।
দলবল ছাড়া এসব এলাকায় গিয়ে মজা নাই।
ইচ্ছে হলেও অনেক সময় দলবলের অভাবে যেতে পারিনা।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮

তুষার কাব্য বলেছেন: খুব ভাল লাগছে শুনে আপনার মুগ্ধতার কথা। আসলেই দলবল ছাড়া ঠিক জমেনা এসব জায়গায় , তারপরেও আমি কিন্তু মাঝে মাঝে একাই চলে যাই ! তাতে থ্রিল টা আরো বেশি থাকে :D
তবে দলবল সাথে সেটাও অন্য রকম মজা । কোন এক ট্যুরে আমাদের সঙ্গী হয়ে যান,আমরা সঙ্গী হিসেবে খুব একটা খারাপ হবনা আশা রাখি :)

খুব সুন্দর হোক সময়।

২৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: মর্ত্যের পরে স্বর্গের ছোঁয়া।দারুন ভালো লাগা।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

তুষার কাব্য বলেছেন: হুম , একদম তাই যেন । পাহাড়ের পরতে পরতে আসলেই স্বর্গের ছোঁয়া । শুধু সেটা তুলে নিতে শিখতে হয়...আমরা পাহাড়কে ভালোবেসে তা খুব ভালো করে শিখে গেছি :D পাহাড় কখনো আমাকে বঞ্চিত করেনা,হতাস করেনা ।

সুন্দর কাটুক সময়গুলো ..।

৩০| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮

মুস্তাকিম দা পিপঁড়া বলেছেন: সবুজ মানেই সুন্দর। সুন্দরি ছবি গুলা সেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ নিন

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

তুষার কাব্য বলেছেন: সবুজ মানেই সুন্দর। ঠিক তাই , সবুজে গেলে মন টাও কেমন সবুজ হয়ে যায় ।

আপনার নিক টাও খুব সুন্দর ।

শুভেচ্ছা শীতের সন্ধ্যার ।

৩১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: একবছর পর ইনশাআল্লাহ্‌ দেশে এসেই ঘুরতে নামার ইচ্ছে আছে।
তখন যোগাযোগ করে নিব আপনাদের দলে সাথে :)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩

তুষার কাব্য বলেছেন: ওহ ! আপনিও দেশের বাইরে থাকেন ! তাহলে দেশে আসলেই হয়ে যাক একটা ধামাকা ট্যুর ,খুঁজে পেতে খুব সমস্যা হওয়ার কথা না :)

প্রবাসে আনন্দময় হোক সময় ।

৩২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৩

টুকিঝা বলেছেন: অফলাইনে পড়ছিলাম। পোস্ট দেখে কমেন্ট করার লোভ সামলাতে পারলাম না, পাহাড়ের প্রতি একটা দুর্বলতা আছে বলেই হয়তো। দারুন পোস্ট।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক দিন পর আপু'র পদধুলি পড়ল বলে প্রথমেই ধন্যবাদ জানিয়ে নেই ! অফলাইন থেকে অনলাইনে আনতে পেরেও ভাললাগছে :)

পাহাড়ের প্রতি আমারও অসম্ভব দুর্বলতা, যখন তখন ডাক দেয় ! আর আমাকেও সব ফেলে ছুটতে হয় , কি জ্বালা :D

ভালো থাকুন নিরন্তর ।

৩৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

নিজ দেশের ভ্রমণেও এমন মজার ফিচার হতে পারে!!!
ছবিগুলো কত সুন্দর...
মুগ্ধ হলাম :)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৫

তুষার কাব্য বলেছেন: আমার দেশ টা যে বড় বেশি সুন্দর মইনুল ভাই । তাই ছবিগুলোও হয়তো এমন সুন্দর ।

ভালো থাকুন খুব ।

৩৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৩

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা।

লেখায়ও, ছবিতেও।

আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

তুষার কাব্য বলেছেন: পাঠে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন দাদা ।

শুভকামনা নিরন্তর ।

৩৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।

ট্রেকিং করার মত শক্তি, সাহস, বয়স - কোনটাই নেই। তাই আপনার ব্লগে ঢুঁ মেরে সিপ্পি ঘুরে এলাম - ট্রেকার তুষার কাব্যের ভাষার প্রাঞ্জলতায় পাতার পর পাতা পড়েও একটু ক্লান্তি ভর করেনি চোখে।

কিন্তু পাঠের অনুভবে তাকে কতটুকু হৃদয়াঙ্গম করা যায় যখন লেখক বলে উঠেনঃ

//এমন পথে অনন্তকাল ধরে চলা যায়// - কি বিশাল আকুতি !!!!!

সেই আকুতি আর অতৃপ্তির কিছুটা ভাগ নিয়ে শেষ করলাম সিপ্পি ট্রেকিং।

বিজয়ের শুভেচ্ছা।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

তুষার কাব্য বলেছেন: প্রথমেই প্রিয়তে ঠাই দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

কত সুন্দর করে বললেন আপনি !জানিনা আপনার বয়স কত ! কিন্তু আমি একটা কথা বলব , ট্রেকিং এর ক্ষেত্রে শারীরিক সক্ষমতা হয়তো একটা প্রধান শর্ত তবে শুধু মনের জোরেও আজকাল অনেক কে আমাদের সঙ্গী হতে দেখি । তাই যিনি এমন করে ভাবেন, পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পড়েন,ঘুরে বেড়ালেন আমার সাথে ব্লগের পাতায় , তিনি যেন সত্যি সত্যি একবার বান্দরবানের পাহাড়ে যান । যতটা শরীর আর মন টানে ততটুকুই।

অতৃপ্তির খাতায় পূর্ণতা আসুক । এই শুভকামনা থাকবে প্রতিক্ষন ।

আনন্দময় হোক সময়। শুভ রাত্রী ।

৩৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০২

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আপ্নে খুব খ্রাপ!!

সবাই বলছে আমি না বললে খারাপ দেখায়।

তুষার ভাই, এই সব জায়গায় কি মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় নাকি? হারাইয়া গেলে সন্ধান পাবার উপায় কি?

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

তুষার কাব্য বলেছেন: সেইতো, সবাই বলছে আপনি না বললে ক্যামনে হয় ! আমিও তাই মেনে নিলাম , আমি খুউউউব খ্রাপ B-) :#)

পাহাড়ের পিকে গেলে মাঝে মাঝে রবি পাওয়া যায় , তবে হারাইয়া গেলে খুইজা পাওয়ার আশা না করাই ভালো :| :(
ওদের সাথে থাকবেন , মিলে মিশে জুম চাষ করবেন ! খুব একটা খারাপ কাটবেনা :)

৩৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৬

নিমগ্ন বলেছেন: ওঃ গড!! এতো ভাল পোস্ট!!! পারনে ভাই আপনারা!! ++++++++++

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

তুষার কাব্য বলেছেন: জ্বি ভাই ! পাহাড় বাওয়া ছাড়া আর তো কিছু পারিনা :)

শুভ শীতের সকাল ।

৩৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৬

তানজির খান বলেছেন: ভ্রমণ আমাকে টানে। কিছুই দেখতে পারি নাই এত বড় পৃথিবীর। মরার আগে অন্তত নিজের দেশকে কিছুটা হলেও দেখতে চাই। অসম্ভব ভাল লেখা। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

তুষার কাব্য বলেছেন: ভ্রমণ আমাকে টানে। কিছুই দেখতে পারি নাই এত বড় পৃথিবীর। মরার আগে অন্তত নিজের দেশকে কিছুটা হলেও দেখতে চাই।
এবার শুরু করে দিন তাহলে । আমাদের দেশ আসলেই খুব সুন্দর ! এমন রুপ না দেখলে আফসস থেকেই যাবে।

আপনার জন্যও শুভকামনা একরাশ । ভালো থাকুন খুব ।

৩৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫১

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: চমৎকার বেশ কিছু ছবি আর বর্ননা দুটো মিলেই সুন্দর লাগলো। ছবিগুলো দেখে খুব আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন নিরন্তর।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

তুষার কাব্য বলেছেন: ভাল লাগল শুনে যে আপনাকে কিছুটা আনন্দ দিতে পেরেছি।আনন্দময় হোক সময় ।

শীতের সকালের শুভেচ্ছা জানবেন ।

৪০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৬

রাবার বলেছেন: ছবি আর লেখা পইড়া মনে হইলো আমাগো দেশও অনেক সুন্দর । ভালোলাগা দিলাম :)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭

তুষার কাব্য বলেছেন: আমার ভ্রমন আঙ্গিনায় স্বাগতম আপনাকে প্রথমেই। আপনার নিকটাই অন্যরকম।জ্বি ভাই, আমাদের দেশ আসলেই অনেক সুন্দর।আপনার ভাললাগা গ্রহন করলুম ভাললাবাসা সহকারে।

ভাল থাকা হোক নিরন্তর ।

৪১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনার সাহস দেখে অবাক হলাম !! বৃষ্টির মধ্যে মাউন্টেন হাইকিং - ভীষণ বিপদজ্জনক কিন্তু । :)

অনেক ভালো লাগলো ছবিগুলো । বর্ণনা পরে এক সময় পড়বো । আপাতত সময়ের সংকটে পড়তে পারলাম না । ভালো থাকবেন । :D

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

তুষার কাব্য বলেছেন: হাহাহা সাহস ! সব আমার প্রিয়তমা পাহাড়ের অবদান ! যেমন বাচায় তেমনি বাচি :D

আসুন সময় করে আবার । কিছুটা সাহসের গল্প শুনুন এসে :)

খুব ভাল থাকা হোক ।

৪২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩২

-সাইরাস বলেছেন: বান্দরবন যাওয়া হয়েছে বেশ কয়েকবার, কিন্তু এতো গহীনে ঘোরা হয়নি একবারও । চমৎকার বর্ণনা ভাই।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

তুষার কাব্য বলেছেন: ওহ তাই ! কোন পর্যন্ত গেছেন আপনারা ?

নিরন্তর শুভকামনা জানবেন । শুভ রাত্রী ।

৪৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯

-সাইরাস বলেছেন: নীলগিড়ি পর্যন্ত গিয়েছিলাম।
আপনার জন্যও শুভেচ্ছা ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২২

তুষার কাব্য বলেছেন: বাহ ! তাহলেত মেঘের খেলা ভালই দেখে আসছেন । আর কিছুদুর গেলেই কিন্তু থানচি, তারপর সাঙ্গুর উপর দিয়ে রেমাক্রি, তারপর আর কিছুদুর গেলেই দারুন সুন্দর নাফাকুম ঝরনা । পরেরবার নিশ্চয় হয়ে যাবে ।

শুভকামনা থাকল ।

৪৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

দীপান্বিতা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো :)

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১

তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দিদি ।

নিরন্তর শুভকামনা জানবেন।

৪৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার! সিপ্পির অনেক নাম শুনেছিলাম, এবার ভ্রমণ গল্প শুনব আপনার কাছে থেকে।

হাতী পাহাড়ের ছবি দেখে ভালো লাগলো। সাত পরী পাহাড়ের ছবি দেখবার চাই।

চলুক...

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১

তুষার কাব্য বলেছেন: আপনার ভাললাগায় আমারও ভালো লাগছে। হাতী পাহাড় আসলেই খুব সুন্দর । কিন্তু দুর্ভাগ্য হল আমার কাছে সাত পরী পাহাড়ের কোন ছবি নেই । আর ওই পাহাড় গুলো বেশ কিছুটা দূরে আমি ছবিও নিতে পারিনি ভালো।দেখি কারও কাছে পাই কি না।

শুভেচ্ছা শীতের । ভালো থাকুন নিরন্তর ।

৪৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো । আর সাথের ছবিগুলো অসাধারণ ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৩

তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

শুভকামনা জানবেন ।

৪৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২

কল্লোল পথিক বলেছেন: অসাধারণ ছবি ধন্যবাদ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৬

তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । শুভরাত্রী ।

৪৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আপনারা কত্ত লাকী :(

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৮

তুষার কাব্য বলেছেন: সত্যি কথা বললে আমিও নিজেকে এমনটাই মনে করি । বড় ভাগ্যবান আমরা । নইলে এমন প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকা হতোনা ।
ভালো থাকুন খুব ।

৪৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৮

সুলতানা রহমান বলেছেন: কি ব্যাপার! মেঘ বালিকা পাড়ার কোন পোস্ট দিবেন না? একটা পাহাড় কি কিনলেন নাকি কিনলেন না সেইটা নিয়ে তো পোস্ট দিতে পারেন। ;)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫১

তুষার কাব্য বলেছেন: আমিতো এখন পাঠক ! মাঝে মাঝে পড়তে আসি এখানে । লিখতে ইচ্ছে করেনা :)

৫০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ছবি আর বর্ণনা অসাধারন লাগল। সাত পরী পাহাড়ের সাতটি চূড়ার একসাথে কোন ছবি তুলেছেন?

পোস্টে ভাল লাগা রইল :)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৭

তুষার কাব্য বলেছেন: আসলে আমরা সাত পরী পাহাড়ের বেশ দূর দিয়ে যাচ্ছিলাম যেজন্য ওদের ছবি নেওয়া সম্ভব হয়নি । স্বার্থপরের মত নিজেরাই দেখে নিলাম । অবশ্য পরে কোনদিন ওদিক দিয়ে গেলে আপনার জন্য নিয়ে আসবো সপকন্যার ছবি ।

শুভেচ্ছা জানবেন ।

৫১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৮

আরজু পনি বলেছেন: অফটপিক:
জরুরী এবি+ রক্তের প্রয়োজন
এটা অনুগ্রহ করে দেখুন...যদি কোন হেল্প করতে পারেন ।

২৮ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

তুষার কাব্য বলেছেন: আগে কেন দেখলাম না !

৫২| ২২ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:১৬

বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোস্ট দেন তুষার।

২৮ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

তুষার কাব্য বলেছেন: আসবো খুব শিগগীর !

৫৩| ২৮ শে মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৪

পবন সরকার বলেছেন: অসাধারণ বর্ননা আর ছবি। ভালো লাগল।

২৮ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭

তুষার কাব্য বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ! বৃষ্টিস্নাত শুভেচ্ছা

৫৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩

অদৃশ্য বলেছেন:



আহ্‌... এইসব দেখলেই মনটা ক্যামন হয়ে যায়... মনে হয় জীবনটা চৌদ্দ্যশিকের ভেতরেই পার হয়ে গেলো... চমৎকার লিখা ও ছবি...

শুভকামনা...

৫৫| ১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

বিজন রয় বলেছেন: ফিরে আসুন, নতুন পোস্ট দিন।

৫৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৫

রাখালছেলে বলেছেন: টেবিল আর হাতি পাহাড় অনেক সুন্দর ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.