নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারন। অনিন্দ্য কিছু নই।

উম্মে সায়মা

সখী ভালোবাসা কারে কয়...

উম্মে সায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মা জননী (স্মৃতির পাতা থেকে)

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০০



১৯ জানুয়ারি (২০১৫) রাত ৮টায় মাকে অপারেশান থিয়েটারে নিয়ে যায়। গলব্লাডারে ছোট ছোট অনেকগুলো পাথর। ইমেডিয়েট অপারেশান করতে হবে। যখন মাকে হসপিটাল গাউন পরিয়ে হুইল চেয়ারে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল আমার মনে হচ্ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় মানুষটা হচ্ছি আমি। বারবার চোখ ভিজে আসছিল। আশেপাশে কত রিলেটিভ্স। আমার খুব লজ্জা লাগছিল। সবাই বলবে ‘কি বোকা মেয়ে! এত সিম্পল একটা অপারেশান আর কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে।’ আমি চুপচাপ ওটির সামনে চেয়ারে বসে আল্লাহকে মনে মনে বলছি ‘ প্লিজ আল্লাহ, আমার আম্মুকে সুস্থ করে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দাও। আমার মা ছাড়া দুনিয়ায় আমার আর কেউ নাই।’ হ্যাঁ, আমার তখন এটাই মনে হচ্ছিল। আমার বাবা আছে। ভাই বোন আছে। অনেক আত্মীয়-স্বজন আছে। কিন্তু এই মা ছাড়া আমার দুনিয়া অন্ধকার। টপটপ করে জলের ফোঁটা আমার কোলে পড়ছে। খুব চেষ্টা করছি নিজেকে কন্ট্রোল করতে কিন্তু পারছিনা। ছোট ভাইটা পাশে বসে কুরআন পড়ছে। ছোট বোন কি করছে দেখতে পাচ্ছিনা। তাকালেই দেখে ফেলবে ওদের বড় আপু কাঁদছে। তখন ওদের কেমন লাগবে! না, কোনভাবেই মুখ তোলা যাবেনা।

মাথার ভেতর তখন ছোটবেলা থেকে মাকে ঘিরে সব স্মৃতি একের পর এক ভীড় করছে। আমার মা অনেক সহজ সরল একজন মানুষ। কারো সাতে-পাঁচে নেই। মনে কোন প্যাঁচ নেই। জীবনে কখনো মার মুখে কোন বাজে শব্দ শুনিনি। রেগে গেলেও না। তবে মা একটু বেশীই সরল। বোঝেই না এমন সহজ সরল হয়ে দুনিয়াতে টিকে থাকা দায়। এ দুনিয়া অনেক কঠিন। আগে নাকি এতটা এমন ছিল না। আমার জন্মের পর থেকেই এমন হয়ে গেছে। নানুবাড়ির কারো সাথে দেখা হলেই আমার জন্মের গল্প শুনি। তারা সবাই যে এ মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী!

পঁচিশ বছর আগের ঘটনা। তখন বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা তেমন উন্নত ছিলনা। মায়ের প্রসবজনিত অসুস্থতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে ডাক্তার বলে দিয়েছে মা বাচ্চা দুজনেরই জীবন আশঙ্কাজনক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এমন রোগী বাঁচেনা। তারপরও তারা চেষ্টা করবে অন্তত একজনকে বাঁচাতে। জিজ্ঞেস করল 'আপনারা গাছ চান নাকি ফল চান? কোনটা বাঁচাব?' আমার মামা খালারা একযোগে বললেন 'গাছ বাঁচলে ফল অনেক পাওয়া যাবে।' আমার নানু অনেক নামাজী আর পরহেজগার মানুষ। তিনি দিনরাত আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে দোয়া করতে লাগলেন ‘ইয়া আল্লাহ্‌, তুমি আমার মেয়েকে জন্মের সময় আমার কাছে যেভাবে পাঠিয়েছিলে তেমন অবস্থায় রেখে যাও। আমি আবার ওকে নতুন করে লালন-পালন করব। তবুও তুমি আমার কলিজার টুকরাকে আমার কাছ থেকে নিয়ে যেওনা।’ আল্লাহ্‌ আমার নানুর দোয়া কবুল করেছেন। আম্মু ১৯ দিন অজ্ঞান থাকার পর জ্ঞান ফিরে ২/১ জনকে ছাড়া কাউকে চিনতে পারছেনা। এমনকি নিজের বাচ্চাকেও না। বেমালুম ভুলে গেছে তার একটা মেয়েসন্তান জন্মেছে। আমাকে মায়ের পাশে শুইয়ে দিতেই মা চেঁচিয়ে উঠল ‘ এই বাচ্চা কে! একে আমার কাছে কেন দিচ্ছেন!’ ঠেলে ফেলে দিতে চাইতো। নানু চোখের জল মুছতে মুছতে আমাকে আলতো করে তুলে নিয়ে নিজের কাছে রাখলেন।

তার মধ্যে আরেকটা কাহিনী ঘটে গেছে। জন্মের পর নাকি আমি একটুও কাঁদিনি, নড়াচড়াও করিনি। ডাক্তার তো আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল বাচ্চা বাঁচবেনা। তাই দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে যাওয়ায় ডাক্তাররা ধরেই নিয়েছে বাচ্চা মারা গেছে আর যেখানে মৃত বাচ্চাদের রাখা হয় সেখানে রেখে দিয়েছে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার সেজো খালা উনার হাসব্যান্ডসহ এসেছেন মাকে দেখতে। আঙ্কেল সরকারি ডাক্তার। বাচ্চার কথা শুনে বললেন আমরা বাচ্চা দেখতে চাই। গিয়ে দেখেন বাচ্চা মৃদু নড়ছে। আঙ্কেল খালামনি ডাক্তারদের অসচেতনতার জন্য আচ্ছামত বকে আমাকে নিয়ে ইনকিউবেটরে রেখে স্বাভাবিক করলেন। এরপর আমার নানু তার মেয়ে আর নাতনীকে লালনপালনের সম্পূর্ণ ভার নিলেন। দিনরাত খাওয়া ঘুম বাদ দিয়ে দুজনের সেবা করতে লাগলেন। মা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নানু মাঝে শুয়ে আমাকে আর মাকে দুপাশে রাখতেন। আমাকে নল দিয়েই খাওয়ানো হত। চার মাস পর হঠাৎ একদিন ঘুম ভেঙ্গে নানু দেখেন মা আমাকে কোলে নিয়ে খাওয়াচ্ছে। আনন্দে নানুর চোখে পানি চলে এল। আমার মা এত কষ্টের ফসল বাচ্চাটাকে কাছে পেয়ে সব দুঃখ ভুলে গেল। আমাকে যক্ষের ধনের মত বুকে আগলে রাখল। পরে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে মায়ের অনেক সময় লেগেছে। কিন্তু তখন থেকেই মা কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেছে। নানু বলে মা নাকি আগে তার মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চঞ্চল ছিল। এখনো এসব শুনলে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।

ছোটবেলার আরেকটা কথা মনে পড়ে। তখন ক্লাস ফাইভ এ কি সিক্স এ পড়ি। কি যেন উল্টাপাল্টা করেছি। মা রেগে বলে দিল ‘তুই আমাকে আর মা ডাকবিনা’। আমি কাঁদছি আর মায়ের পিছে পিছে ঘুরছি আর রিকুয়েস্ট করছি মা যেন আমাকে ‘মা’ ডাকার পারমিশান দেয়। এখন মনে পড়লে হাসি পায়। মা এমন ই করত। রেগে গেলে এইরকম হুমকি দিত। পিটুনি দিত না। মায়ের হাতে দুই একবারের বেশি মার খেয়েছি মনে পড়েনা।

মা সাধ্যের মধ্যে আমার সব শখ আহ্লাদ পূরণ করে। যখন বুঝতে শিখেছি তখন থেকে নিজের পছন্দে জামাকাপড়, কসমেটিক্স, প্রয়োজনীয় সবকিছু নিই যখন বাকি সব ফ্রেন্ডদের মা নিজেই পছন্দ করে বাজার থেকে সব নিয়ে আসত। মা কখনো কোন কিছু জোর করে চাপিয়ে দিতনা। আমি নাকি ছোটবেলায় খুব জেদি ছিলাম। এমনও নাকি হয়েছে একবার আমি, মা আর মামা বাসে নানুবাড়ি থেকে আমাদের বাড়ি যাচ্ছিলাম। পথে জানালা দিয়ে দোকানে আম দেখে জেদ ধরলাম আমি এখন আম খাব। তখন বাস থেকে নেমে আমাকে আম কিনে দিতে হয়েছিল। হাহাহা...। এমন কত জ্বালানো জ্বালিয়েছি মাকে তবুও মা অসহ্য হতনা। আমার সব আবদার হাসিমুখে মেনে নিত।

এসব আকাশ পাতাল ভাবছি আর কান্না উথলে আসছে। হঠাৎ নার্সের ডাকে চিন্তায় ছেদ পড়ল। নার্স এসে বলল 'অপারেশান সাক্সেসফুলি কমপ্লিট হয়েছে। রোগীর জ্ঞান ফিরেছে। আলহামদুলিল্লাহ্‌। আপনারা কেউ একজন এসে দেখা করে যান।' আমি ভেতরে গেলাম। মা অপারেশান বেডে শুয়ে আছে। আমি ঢুকতেই আমার দিকে ফিরে তাকাল। ডাক্তার বলল ‘চিনতে পারছেন? ডাকেন তো ওকে’। মা আমাকে ডাকার চেষ্টা করল কিন্তু শব্দ বের হচ্ছেনা। মুখ খুলতে পারছেনা। আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। আমি হাত বাড়িয়ে আম্মুর হাতটা শক্ত করে ধরলাম। ডাক্তার বলল এবার আপনি যান। ওটি থেকে বের হয়ে আমি সবার সামনে ভ্যাঁ করে কেঁদে দিলাম। সবাই তো ভয় পেয়ে গিয়েছিল। একটা দুলাভাই এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করল ‘কাঁদছ কেন সায়মা? কোন সমস্যা?’ আমি কোনমতে কান্না থামিয়ে বললাম ‘আম্মু কথা বলতে পারছেনা।’ আবার কান্না। তখন উনারা আমাকে সান্ত্বনা দিলেন জ্ঞান ফেরার পর প্রথমে এমন হয়। ঠিক হয়ে যাবে। আমার ছোট ভাইয়েরও একই অবস্থা। মাকে দেখে এসে হাতের উল্টো পাশ দিয়ে চোখের জল মুছছে।

কিছুক্ষণ পর মাকে পোষ্ট অপারেটিভ রুমে নেয়ার পর আমরা তিন ভাইবোন দেখতে গেলাম। অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে শুইয়ে রেখেছে। মা বলল 'আমার খুব শীত লাগছে।' আমরা আশেপাশের সব বেডের সব কম্বল এনে মায়ের গায়ে চাপিয়ে দিলাম। ডিউটিরত নার্স আমাদের বের করে দিল। তারপরও আমরা একেকজন একেক অজুহাতে বারবার মাকে দেখতে যেতে লাগলাম। একপর্যায়ে নার্স একটু বিরক্ত হয়ে ভেতর থেকে লক করে দিল। রুমে ঢোকা মানা। কেবিনে ফিরে ছটফট করতে লাগলাম। বারবার পোষ্ট অপারেটিভ রুমের সামনে চক্কর দিতে লাগলাম। যদি একটু দেখতে পাই মাকে সেই আশায়। কিন্তু কোন লাভ হলনা। একটু কিছু খাওয়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু গলা দিয়ে নামছেনা। একটি দীর্ঘ রাত নির্ঘুম কাটালাম।

সকালের দিকে একটু তন্দ্রামত এসেছে, দরজায় নক। একজন নার্স এসে জানালো মাকে কেবিনে নিয়ে আসবে। তাড়াতাড়ি ছোট ভাইবোনকে জাগিয়ে দিলাম। মাকে হুইল চেয়ারে করে এনে বেডে শুইয়ে দিল। স্যালাইনের সাথে প্যাথেড্রিন দিয়েছে। মা বিকাল পর্যন্ত ঘুমিয়েছে। ঘুম ভাঙতেই আমরা তিন ভাইবোন গিয়ে মায়ের পাশে বসলাম। মা ক্লান্ত মুখে মিষ্টি হাসি দিয়ে বলল ‘আমি অপারেশান থিয়েটারে ঢোকার সময় শুধু এটা ভেবেই ভয় পাচ্ছিলাম আমি মরে গেলে তোদের কি হত!!’

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪

blackant বলেছেন: সহবেদনা ।।https://www.facebook.com/md.pialuddin

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩২

উম্মে সায়মা বলেছেন: সমবেদী অনুভবে কৃতজ্ঞ....

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: একেই বলে মায়ের ভালোবাসা। মা' পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
মা'কে ঘিরে আপনার স্মৃতিচারণে মুগ্ধ। আপনার মা'র প্রতি আপনার ভালোবাসা ধন্য হোক।

সকল মা'দের প্রতি শ্রদ্ধা রইল

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১১

উম্মে সায়মা বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই.....
লেখ পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ।

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
একটা মজার ঘটনা মনে পরে গেলে. ২০০৮ সালে দিকে আমার মায়ের গলব্লাডারে অপারেশনের জন্য স্কয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলাম।যখন অপারেশেনের হয়,তখন কি যেন একটা কাজে জন্য নিচে নামার প্রয়োজন পরেছিল, লিফট দিয়ে নামছি তখন আশে-পাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করছিলাম লিফট কোথায় যাবে,কথাটা মনে পড়লে আজও হাসি পায় B-)

মায়ের হাতে দুই একবারের বেশি মার খেয়েছি মনে পড়েনা।

মজার তাইনা ,আমি তো অসংখ্য বার। B-)

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: আশে-পাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করছিলাম লিফট কোথায় যাবে
আসলেই এমন পরিস্থিতিতে মানুষের মাথা কাজ করেনা।

আমি তো অসংখ্য বার
আপনার কথাবার্তা শুনলেই বোঝা যায় :P

পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ....

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২১

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার 'শূন্যতার অনুভূতিতে' কবিতায় একটা মন্তব্য করেছিলাম, ডিলিট করে দিয়েছেন নাকি পোস্ট ই হয়নি? কনফিউজড

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব মনযোগ দিয়ে পড়লাম মাকে নিয়ে লিখাটি ভাল লেগেছে । আপনারতো ভাগ্য ভাল মাকে সহি সালামতে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেয়েছেন , আর এ অভাগা মায়ের শেষ সময়ে কাছে থাকারোও সময়টুকু পায়নাই ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

উম্মে সায়মা বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম ডঃ এম এ আলী ভাই

মনযোগ দিয়ে লেখাটি পড়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো।

মাকে সহি সালামতে সুস্থ অবস্থায় ফিরে পেয়েছেন
আসলেই আমার সৌভাগ্য। আলহামদুলিল্লাহ।

আর এ অভাগা মায়ের শেষ সময়ে কাছে থাকারোও সময়টুকু পায়নাই
খুব কষ্টকর ব্যাপার টা। আমার নানাভাই মারা যাবার সময় মা পাশে ছিল না। তখন দেখেছি মায়ের অবস্থা।

পোস্টে আপনার মন্তব্য পেয়ে অনুপ্রাণিত।
ভালো থাকবেন.....

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ঠিক বলতে পারছি না,একটু কষ্ট করে আবার পড়ে মন্তব্য করুন না। :-B

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: থাক। যা গেছে তা গেছে..... B:-/

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন:
ভালোলাগা এভাবেই প্রকাশ করলাম!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৪

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার ভালোলাগা প্রকাশে আনন্দিত।
ফুলগুলো খুব সুন্দর।
ধন্যবাদ ফরিদ আহমদ চৌধুরী ভাই......

৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৭

ANIKAT KAMAL বলেছেন: এই মুগ্ধতা প্রকা‌শের ভাষা অামার জানা নেই

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: আমি বুঝে নিয়েছি :)
মন্তব্যে ধন্যবাদ.....

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৩১

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: মা ডাকটা অনেক মধুর। ভালো লাগা রইলো লেখায়।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ অতঃপর হৃদয় ভাই

৯| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:২২

মাআইপা বলেছেন: “পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় মানুষটা হচ্ছি আমি”
প্রিয়জনকে নিয়ে হাসপাতাল গেলে সবারই এমন মনে হয়।
সুস্থ্য থাকুন আপনার মা এই কামনা করছি।

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: শুকরিয়া আমার মায়ের জন্য দোয়া করার জন্য।
আপনিও অনেক ভালো থাকুন......

১০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব হৃদয়স্পর্শী হয়েছে লেখাটা।
আপনি তো আজন্ম ভাগ্যবতী দেখছি। সেই সময় সেজো খালা আর ডাক্তার খালু না এলে তো আমরা আজ এখানে উম্মে সায়মার লেখা পড়তে পারতাম না!
পোস্টে প্রথম ভাল লাগা + + রেখে গেলাম।

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ খায়রুল আহসান ভাই। আসলেই আল্লাহ মেহেরবান।
অসংখ্য ধন্যবাদ পুরনো পোস্ট পড়ে প্লাস এবং মন্তব্য করে যাওয়ায়। নোটিফিকেশনেরর সমস্যার কারণে প্রতিমন্তব্যে এত দেরী :|
ভালো থাকবেন।

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:


খুব খুব মায়াময় একটা লেখা। যেন একটা পুরো পরিবারের গল্প।
লেখাটার মর্মবেদনা কিছুটা হলেও স্পর্শ করা যাচ্ছে।

এমন সুন্দর করে লেখার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: তোমাকেও পাঠে এবং মন্তব্য অনেক অনেক ধন্যবাদ কবি।
ভালো থেকো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.