নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারন। অনিন্দ্য কিছু নই।

উম্মে সায়মা

সখী ভালোবাসা কারে কয়...

উম্মে সায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: \'একটি দার্শনিক পিঁপড়া এবং আমি\'

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩১



প্রতিদিনের অভ্যাসমত সন্ধ্যায় চা বিস্কুট নিয়ে বসেছি। বাসার সবাই একটা পার্টিতে গেছে। আমার ইচ্ছে করলনা। হাতে একটা গল্পের বই। বই পড়তে পড়তে চায়ের কাপে চুমুক, এর তুলনাই হয়না। চায়ের টেবিলের স্বচ্ছ কাঁচের উপর অল্প অল্প বিস্কুটের গুঁড়া পড়ছে। হঠাৎ দেখি পায়া বেয়ে কয়েকটি পিঁপড়া উঠে আসছে। এরই মধ্যে বিস্কুটের গন্ধ পেয়ে গেছে বাবাজীরা। কয়েকটা মিলে একটা বড় বিস্কুটের কণা ধরাধরি করে নিয়ে যাচ্ছে। আরেকটা ছোট একটা কণা একাই মুখে করে নিয়ে যাচ্ছে। আমি পড়া, খাওয়া বাদ দিয়ে তাদের কান্ড-কারখানা লক্ষ্য করছি।
'এমন হা করে কি দেখছো? আমাকে দেখার কি আছে!'
আরে, কে কথা বলল! রুমে তো আমি একাই! চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম। নাহ, আর কেউ নেই।
'আরে এদিকে।'
টেবিল থেকে আওয়াজ আসছে। একা পিঁপড়াটা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বাকিরা বিস্কুটের কণা নিয়ে চলে গেছে।
'হ্যাঁ আমিই বলেছি।'
পিঁপড়াটা কথা বলছে নাকি! আমার হ্যালুসিনেশন হচ্ছে নিশ্চয়। সাইকোলজি পড়ে মাথাটা গেছে। বইয়ে মনোযোগ দিলাম।
'বিশ্বাস হচ্ছেনা? আমরা কি কথা বলতে পারিনা নাকি?'
আবারো কথা বলছে দেখছি। তাকিয়ে দেখি আমার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। ভাবলাম আমিও উত্তর দিয়ে দেখি। তাহলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায়।
-আসলেই তোমরা কথা বলতে পারো?
-নাহয় কে বলছে? তোমার কী মনে হয় খোদা কি এমন একচোখা যে এক প্রাণী কে কথা বলতে দেবেন আর আরেক প্রাণী কে দেবেন না?
-তা ঠিক, তা ঠিক। তবে আর কখনো কথা বলতে শুনিনিতো তাই আর কী বিশ্বাস হচ্ছিল না।
- আমরা কি তোমাদের মত অকর্মার ঢেঁকি যে বকবক করে সময় নষ্ট করব? কত কাজ থাকে আমাদের!
- তাতো বটে। তা তোমরা এই শীতের সকালে বেরিয়েছো যে? আমি তো শুনেছি পিঁপড়েরা বছরের অন্যসময় খাবার সংগ্রহ করে রাখে শীতের জন্য। শীতের সময় বের হয়না।
- হাহাহা। ভালো পয়েন্ট ধরেছো। এটাই আমাদের দলের ট্রিক্স। বছরের অন্য সময় কে কার আগে কোথা থেকে খাবার সংগ্রহ করবে তার একটা প্রতিযোগিতা চলে। শীতে একচেটিয়া কারবার। আর তাছাড়া এ ঘরটা বেশ গরম থাকে তাই সমস্যা হয়না। সেজন্যই তো থাকার জন্য এ বাড়ি বেছে নেয়া।
-আচ্ছা তাই বলো! তা তুমি কি তোমার দলের রাণী?
-আরে নাহ। রাণী কি এতো তুচ্ছ যে এভাবে কোথাকার কোন মানুষের সাথে কথা বলবে? তিনি হচ্ছেন রাণী বুঝলে, রাণী। তোমাকে বলে কী লাভ, তুমি আর কী বুঝবে! যারা কাজের দাম দিতে জানেনা, সময়ের দাম দিতে জানেনা তারা পিঁপড়েদের রাণীর গুরুত্ব কী বুঝবে!
-কেন কেন? আমরা আবার কী করলাম!
-কী আর করোনি? এই যে ধরো আমরা সারি বেঁধে কোন একটা কাজে যাচ্ছি। তোমরা কী কর? লাইনের মাঝে বিশাল বিশাল আঙুল ঢুকিয়ে দাও। এটা কোন খেলা হল? নিজেরা তো ডিসিপ্লিন মেন্টেইন করই না, অন্যকেও করতে দেবেনা। কী যে বিরক্ত লাগে। আর তাছাড়া একই বাসায় থাকি। কোথায় মিলেমিশে থাকব, তা না তোমাদের শুধু আমাদেরকে তাড়ানোর ফন্দি। সেদিন দেখলাম তোমার বাবা একটা ইন্সেক্ট কিলিং স্প্রে নিয়ে এসেছে। হুহ। (গলার স্বরে মহাবিরক্তি)
-তোমরা আবার এতো কিছুও খেয়াল কর?
-করবনা? এটা নিয়ে কাল কাজে যাবার পথে একটা তেলাপোকার সাথেও কথা হল। তাদেরও একি কথা। এক জায়গায় যেহেতু আছি কিসের এতো জেলাসি? যে যার মত থাকিনা!
- তুমি তো দেখি ভালোই ইংলিশ জানো। তোমাদেরও পড়াশোনার ব্যবস্থা আছে নাকি!
- তা আর বলতে! তোমার কেন ধারণা হল একমাত্র তোমরাই শিক্ষিত হও? আমাদেরও শিক্ষা ব্যবস্থা আছে বটে। তোমাদের চেয়েও উন্নত বলতে পারো।
-খুব ভালো, খুব ভালো। তুমিতো বেশ জ্ঞানী মনে হচ্ছে। একেবারে দার্শনিকের মত কথাবার্তা।
- জ্ঞানী তো অবশ্যই। সেদিন শুনলাম তোমার ভাইকে জাফর ইকবালের একটা সায়েন্স ফিকশন শোনাচ্ছ। আমাদের ব্যাপারে।
- ওই যে এলিয়েনরা পৃথীবির সবচেয়ে জ্ঞানী এবং সুশৃঙ্খল প্রাণী হিসেবে পিঁপড়েদের চিহ্নিত করে। সেটা?
- হ্যাঁ। তাহলে ভাবো? এলিয়েনরা পর্যন্ত আমাদের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে, শুধু তোমরা মানুষেরাই মানতে চাওনা। মনে কর নিজেরাই মহাজ্ঞানী।
-আরে সেটা তো গল্প। বাস্তব তো না।
-হোক গল্প। গল্প তো জীবন থেকেই হয়।
-তাও ঠিক। আচ্ছা অনেকদিন থেকে তোমাদের মত ছোট প্রাণীদের ব্যাপারে একটা প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। আজ যখন তোমার সাথে কথা হচ্ছে জিজ্ঞেস করেই ফেলি।
-হ্যাঁ, বল বল কী প্রশ্ন। সমস্যা নেই।
-ইয়ে, মানে আমাদের মানুষদের তো সবার চেহারা আলাদা আলাদা হয়। তাই চিনে নিতে পারি। তোমরা কিভাবে আলাদা কর একজন থেকে আরেকজনকে?
- ও এই কথা। কী যে বলনা! তোমাদের দৈত্যের মত চ্যাপ্টা চ্যাপ্টা এগুলোকে চেহারা বলে নাকি! আমার কাছে তো একই রকম মনে হয়। কপালে স্যাঁতসেঁতে দুইটা বল। তার নিচে একটা লাঠি আবার তার মধ্যে দুইটা ছিদ্র। মুখের ভেতর আবার সারি সারি পাথর বসানো। এটা কোন চেহারা হল? ছ্যাঃ!
- এহেম এহেম!
- ওহ কিছু মনে কোরোনা। আমার কাছে তো এমনই মনে হয়। অথচ আমাদের চেহারা কত সুন্দর হয়। আমার গার্লফ্রেন্ডের কথাই ধর। আহ কি মিষ্টি মুখ! দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়।
- তোমার আবার গার্লফ্রেন্ডও আছে নাকি!
- আবার জিগায়! থাকবেনা কেন? ভালো কথা মনে করেছো এতক্ষণে নিশ্চয় খোঁজ পড়ে গেছে। কখনো এতো দেরী হয়না তো। দেখি এক ফোঁটা চা দাওতো। একটু আয়েশ করে খাই। কথা বলতে বলতে গলাটা শুকিয়ে গেল। তোমরা মানুষেরা এতো প্রশ্ন করতে পার! কাজের কাজ কিছুনা খালি প্রশ্ন। এজন্যই তোমাদের কখনো উন্নতি হবেনা।
আমি খোঁচাগুলো হজম করে নিয়ে এক ফোঁটা চা টেবিলে ঢেলে দিলাম। খাক বেচারা। আসলেই মনে হয় গলা শুকিয়ে গেছে। আমার তো ওর কথা শুনেই গলা শুকিয়ে গেল। আস্তে ধীরে চা শেষ করে রওনা দিল।
- ধন্যবাদ। যাই এবার। রাণীমা টের পেলে ঠ্যাং ভেঙে দেবে। উনি আবার ফাঁকিবাজি একদম পছন্দ করেন না। কে জানে হয়তো এতক্ষণে তলব পড়ে গেছে।
- আবার এসো। গল্প করা যাবে। তোমার সাথে কথা বলে খুব ভালো লাগল। অনেক কিছু শিখলাম। আসলে আগে তোমার মত এমন জ্ঞানী পিঁপড়ার সাথে পরিচয় হয়নি তো।
- ব্যাপার না। সময় পেলে আসব আবার তোমার সাথে গল্প করতে। যদি সময় পাই আর কী! তুমি মিলেমিশে থাকার ব্যাপারটা একটু মাথায় রেখো।
- আলবৎ!

১০.০১.২০১৭

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: পিঁপড়ের সঙ্গে কথা বলেছেন? ক্যামনে কী! যাহোক, কথোপকথন ভালো লেগেছে!

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: হাহাহা। ধন্যবাদ তূর্য্য ভাই...

২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: এইটা আগে পড়েছি মনে হচ্ছে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: হ্যাঁ শুভ্র আগে পড়েছিলে। তারপর তোমার কি খবর বল। অনেকদিন খোঁজখবর নেই....

৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কথোপকথন ভাল লাগল

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: এইতো আছি, ভালো :)

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২

উম্মে সায়মা বলেছেন: :)

৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

কানিজ রিনা বলেছেন: হা হা খুব সুন্দর, এখনত রীতি মত তেলা
পোকাদের সাথে ঝগড়া হয়। ওরা পায়খানা
থেকে এসে রান্না ঘরে ঢুকে। ছোটকালে পিঁপঢ়ার খাবার সংগ্রহ দেখে খারাপ লাগত
তাই ওদের গর্তগুল খুজে বেড় করে অনেক
গুল করে চাউল খুদ ওদের বাসার সামনে
দিয়ে আসতাম। ভাল লাগল পিঁপড়া খুব
পরিশ্রমী বিজ্ঞানতত্বে ওদের জীবন চক্র পরেছিলাম। ধন্যবাদ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: হাহাহা মজা লাগল আপনার উদারতার কথা শুনে।
পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ আপু।

৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

শাহীবুল বারী বলেছেন: ভালো ছিল.......।

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ বারী ভাই। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম....

৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল পিপড়ার সাথে কথোপকথন ।
ছোটকালে এদের সাথে আমার অনেক অনেক দারুন ঘটনা ঘটেছে ।
সে সব কাহিনী বলতে গেলে অনেক লম্বা গল্প হয়ে যাবে ।
ধন্যবাদ রইল আপনার সুন্দর গল্পটির জন্য ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: সেসব দারুন ঘটনা জানতে আগ্রহী ডঃ এম এ আলী ভাই। হোক না একটু লম্বা তবু আশা করি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন.....
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ....

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩

বাকোশপোলের কালাম বলেছেন: অবাক ব্যাপার।

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

উম্মে সায়মা বলেছেন: অবাক ব্যাপারই বটে! পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: গল্প গলেও সত্য।

আপনি কেমন আছেন?

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪০

উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ আব্দুলহাক ভাই। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন? অনেকদিন পর এলেন।

১০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮

তপোবণ বলেছেন: লেখা পড়ে মনে হচ্ছিল কথোপকথনের সময় আমি সামনেই ছিলাম।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪২

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনি তো সামনেই ছিলেন ভাই B-) পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আমার হ্যালুসিনেশন হচ্ছে নিশ্চয়। সাইকোলজি পড়ে মাথাটা গেছে। :P
পিঁপড়ার কথোপকথন পড়ে ভালো লাগলো ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ার কবীর ভাই..... :)

১২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: পিঁপড়াকে পিঁপড়া বললে রাঘ করে না অাপুনি? ওরাযে পিপিলিকা!!! হয়তো ভুলেই গেছিল নামলের দল। অনেক সুন্দর কপেতাপকথন হল পিঁড়ার সাথে। তাইতো বলি আমাদের সময় দিতে পারছে না কেন?

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন তো সুজন ভাই। পিঁপড়াটার নাম জিজ্ঞেস করা উচিৎ ছিল :)
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের সময় দিতে পারছে না কেন?
হাহাহা পিঁপড়ার সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম ;)

১৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

নাগরিক কবি বলেছেন: একটি দার্শনিক পিঁপড়া ও আমি B-)

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: জী হ্যাঁ B-)
পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ কবি সাহেব...

১৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: বেশ---

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। ভালো থাকুন।

১৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩২

সুমন কর বলেছেন: কথোপকথন খারাপ ছিল না।
+।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সুমনদা। প্লাসে অনুপ্রাণিত....

১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা ,





একটা সম্পূর্ণ আলাদা থীম নিয়ে কিছু দার্শনিক কথা বলে গেলেন অবলীলায় । সহজ লেখা, সহজ সরল বাক্যালাপ মনে হয় লেখাটিকে অন্যমাত্রা দিয়ে গেছে ।
" তুমি মিলেমিশে থাকার ব্যাপারটা একটু মাথায় রেখো।" গল্পের আবহে নির্দোষ একটি বাক্য অথচ এর ভেতরেই লুকিয়ে আছে বিশাল এক বোধের কথা ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। আপনার কাছ থেকে এমন প্রশংসামূলক মন্তব্য পেলে কী যে ভালো লাগে :)
সহব্লগারদের দেখাদেখি রম্য লেখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু লিখতে বসে শেষে এই দাঁড়ালো। তাই আর শিরোনামে রম্য না দিয়ে গল্পই দিয়ে দিলাম। পাশে থাকায় আবারো ধন্যবাদ....

১৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

ওমেরা বলেছেন: খুব মজা পেলাম আপু !

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার মজা লেগেছে জেনে ভালো লাগছে। একটু মজা করেই লেখার চেষ্টা করেছি।
ধন্যবাদ ওমেরা আপু....

১৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এহেম এহেম!

দার্শনিক পিপড়ে বলে কথা!

দারুন লাগল! :)

+++++++

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। এত্তগুলো প্লাস পেয়ে খুব ভালো লাগছে :)
বিদ্রোহী ভৃগু ভাই বোধহয় আমার ব্লগে এই প্রথম এলেন। স্বাগতম....

১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপু আপনার পিঁপড়ে গল্প। কিছু কথা বলেছেন যা শিক্ষণীয়।
আসলে পিঁপড়ের কাছ থেকে আমার শৃঙ্খল শিখা উচিৎ।

অনেক ভালো বুঝিয়েছেন আপু, আমাদের সবার সাথে মিলেমিশে থাকা উচিৎ।
অনেক অনেক ভালো লাগা রেখে গেলাম গল্পে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: গল্পে শিক্ষনীয় বিষয় খুঁজে নেয়ায় সাধুবাদ জানাই নয়ন ভাই।
আপনার ভালো লাগা যত্ন করে তুলে রাখলাম :)
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মিষ্টি গল্প অনেক ভাল লেগেছে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সোহেল ভাই। ভালো থাকুন।

২১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ভাল লেগেছে

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২০

উম্মে সায়মা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। শুভ কামনা

২২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০১

জুন বলেছেন: বিভিন্ন দেশের উপকথায় এমন দার্শনিক টাইপ অথবা জ্ঞ্যানী পশু পাখীদের সন্ধান আপনি পাবেন । মনে পরে অনেক ছোট বেলায় রুশ উপকথায় পড়েছিলাম একটা গাড়ির চারটি চাকা নিয়ে এসে চারটি প্রানী কি আবিস্কারই না করলো ।
আপনার লেখাটিও দারুন হয়েছে উম্মে সায়মা । অনেক ভালোলাগলো ।
+

২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১০

উম্মে সায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আপু, পশু পাখীদের নিয়ে অনেক অসাধারণ গল্প হয়েছে। তার মধ্যে ওরওয়েলের 'এ্যনিমল ফার্ম' আমার অনেক প্রিয় একটা গল্প। আপনার বর্ণিত গল্পটি পড়া হয়নি। খুঁজে পেলে পড়ে নেব।
লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। প্লাসে অনুপ্রাণিত। অনেক অনেক ভালো থাকুন।

২৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

সনেট কবি বলেছেন:



কবি উম্মে সায়মা

অনুভূতি নীলাকাশে পাখা মেলে।আর
আবেগের পাখি গুলো বাতাসের শব্দে
উড়ে যায় অজানায়। খুঁজে ফিরে তারা
কবি উম্মে সায়মার স্মৃতিকথা সব।
জীবনের বাঁকে বাঁকে জমে আছে কত
সুখ-দূঃখ, যারা করে কলরব, ছুটে
অবিরাম।কবি ধরে সে সবের কানি,
টেনেআনি গাঁথে মালা কবিতায় তাঁর।

পাঠকেরা মনভরে কবি কথা পড়ে
জেনে যায় কবি মনে ভালবাসা কত
মানুষের জন্য গাঁথা; অমানুষে নয়।
কবি মনে আছে আরো আপনের টান
আর, মান অভিমান।সে সবের পরে
কবি মন নিত্য দিন উদ্ভাসিত হয়।

২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: সনেট কবি ভাই আপনি এ কী করেছেন! আমাকে নিয়েও সনেট লিখে ফেলেছেন! কী বলে যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব! অনেক অনেক খুশি হয়েছি ভাই। অনেক সুন্দর হয়েছে কবিতা। অসংখ্য ধন্যবাদ ফরিদ ভাই..... শুভ কামনা

২৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫৩

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: পড়ার আগেই হুমায়ুন আহমেদের পীপলি বেগমের কথা মনে পড়ে গেলো!

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১১

উম্মে সায়মা বলেছেন: পড়ার পর কী মনে হল সেটাও একটু বলেন ভাইয়া, শুনি। :) পীপলি বেগম কী উপন্যাসের নাম নাকি চরিত্র? পড়া হয়নি।
অসংখ্য ধন্যবাদ....

২৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৪

সামিয়া বলেছেন: মজার গল্প ।।
ভালো লাগলো ডিয়ার ++++++++

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। এত্তগুলো প্লাসে ভীষণ অনুপ্রাণিত....
আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে ভালো লাগছে। স্বাগতম...

২৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

রায়হান চৌঃ বলেছেন: :) খুব ভালো



রিকু:
আচ্ছা আপনি / আপনারা, ১) আবদুল্লাহ আল মামুন, ২) উম্মে ছালমা, ৩) উম্মে সায়মা, একই ফ্যমেলি মেম্বার ? যদি তা হয়ে থাকে তবে মামুন এর সাথে যোগাযোগ এর সুত্র টা দিবেন প্লিজ ?

ওহো.... আপনার গল্প টা আমার মেয়ের জন্য রেখে দিলাম :), ভালো থাকবেন

২৭ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:২৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনাকে সাহায্য করতে না পেরে দুঃখিত রায়হান ভাই। আপনি হয়তো অন্য কারো সাথে আমাকে মিলিয়ে ফেলেছেন। ১) আবদুল্লাহ আল মামুন, ২) উম্মে ছালমা নামে আমার কোন ভাইবোন নেই।
আমার মেয়ের জন্য রেখে দিলাম
আশা করি আপনার মেয়ে পড়ে মজা পাবে। আমার ছোট ভাইকে পড়তে দিয়েছিলাম। মজা পেয়েছিল খুব :) আপনিও ভালো থাকুন।
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম....

২৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু খুব খুব ভালো লেগেছে ; বেশ মজা করে কঠিন কিছু কথা বলেছেন।
শুভ কামনা !!!

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভীষণ ভালো লাগল। আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন।
অনেক ভালো থাকুন আপু....

২৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আপনার গল্প পড়ে সত্যি চিন্তিত হয়েছিলাম। গল্পে যা লিখেছেন বাস্তবেও তা হচ্ছে। আমরা শুধু তাদের ভাষা বুঝি না।

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৩৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: তাদের ভাষাটাই গল্পে ব্যক্ত করতে চেয়েছি আব্দুলহাক ভাই। পড়েছেন জেনে ভালো লাগল

২৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

সনেট কবি বলেছেন:



কবি উম্মে সায়মা

কাব্য কথা গল্প কথা কথার ভূবন
প্রকৃতির সাথে মিশে সুরম্য সুন্দর
দেখেছি হে প্রিয় কবি হে উম্মে সায়মা
হে সাহিত্য ভূবনের চন্দ্রিমা উদ্যান।
কাব্য গল্প কথকতা বিবিধ সম্ভার
মনোযোগে দেখি সেথা বিস্ময় জাগানো
গড়েছেন নিজমনে নিজস্ব জগৎ
পাঠকের জন্য এ যে অমৃত সমান।

মেঘে ঢাকা থাকেনাতো সূর্যের কীরণ
প্রতিভাও সেরকম পায় যে প্রকাশ
একদিন সকলের সমুক্ষে স্বত্যাজে।
আপনার ব্যাপারেও ভাবছি তেমন
প্রতিভার অরুণের ঘটবে প্রকাশ
আমরাও পাব এক সাহিত্য নক্ষত্র।

৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:৪২

উম্মে সায়মা বলেছেন: আরেহ আমাকে নিয়ে আরেকটি সনেট ফেঁদে ফেললেন সনেট কবি ভাই! আপনি সনেট লিখতে লিখতে একেবারে হাত পাকিয়ে ফেলেছেন। খুব সুন্দর হয়েছে। সম্মাননা জানিয়ে ঋণী করে দিলেন ভাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

৩০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪

জাহিদ অনিক বলেছেন: ঢাকার শহরে আজকাল বৃষ্টি হলেই নেট লাইন অফ করে দেয় । মন্তব্যটা যখন লিখছি তখন আমি অফ লাইনে । বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে । হাতে আছে এক মগ কফি , গায়ে আছে জ্বর । বেশ একটা আমেজ পাওয়া যাচ্ছে কি বোর্ড টিপতে । কফি খেতে খেতে ভাবছি আমার কাছেও হয়ত একটা পিঁপড়া আসবে কফি খেতে । আমার কফির মগের মধ্যে কখনো মৃত পিপড়া পাই নাই । মনে হয় দুধ চিনি দেই না সেজন্য ওরাও আর আসে না ।

যাইহোক, বকবক অনেক হল । এবার পোষ্ট প্রসঙ্গে আসি । আপনার দার্শনিক পিপড়া ভালো বলেছে, মানুষেরা শুধু শুধু বক বক করে, কাজের কাজ কিছুই করে না ।
আপনার এই পোষ্টটা আমার ভাল লেগেছে, কেন লেগেছে সেটাও বলি । গত পরশু আমি ডাইরি লিখছিলাম । যখন লিখছিলাম তখন রাত ৩ টা হবে । মেইন রোড থেকে গাড়ির প্যাঁ-পু শুনতে পাচ্ছিলাম । মনে মনে চাচ্ছিলাম , ইশ ! সোলায়মান (আঃ) যেমন পশু পাখীদের কথা বুঝতে পারত , আমিও যদি গাড়ির প্যাঁ-পু বুঝতে পারতাম !

আপনার গল্পেও মানুষের সাথে কথা বলতে হাঁপিয়ে উঠেছে মানুষ, তাই অন্য কোন প্রাণীর সাথে সখ্যতা করার অভিপ্রায় বলে মনে হচ্ছে ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার সুন্দর করে লেখা মন্তব্যটা পড়তে বেশ ভালো লাগল।
জ্বর হলে আসলেই কেমন একটা ঘোর লেগে যায়। সেই ঘোরের মধ্যে থেকে চটপট একটা কবিতা লিখে ফেলেন।
হুম আপনার কফি পিঁপড়ারা মনে হয় পছন্দ করেনা। (আমার চায়েও আসেনা। বাসায় পিঁপড়া নেই। পুরোটাই কাল্পনিক) আমি পিঁপড়া নিয়ে আরেকটি লেখা লিখে মাকে দেখিয়েছিলাম। এরপর মা প্রায়ই জিজ্ঞেস করে কিরে তোর সেই পিঁপড়ের গল্পের কী হল। আমি যে কত আলসে মা সেটা বোঝেনি। যাই হোক আপনি গাড়ির সাথে কথপোকথন লিখে ফেলুন। দারুন ইন্টারেস্টিং হবে।
মানুষের সাথে কথা বলতে হাঁপিয়ে উঠেছে মানুষ
হতেও পারে। সারাক্ষণ মুখোশ পরে থাকতে কার মন চায়? অন্য প্রাণীরা তো অভিনয় করতে জানেনা। তাই তাদের সাথে সখ্যতা করতে পারলে ভালোই হত।
আপনার পোস্টটি ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম। জলদি সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা করি.....

৩১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: তুমি মিলেমিশে থাকার ব্যাপারটা একটু মাথায় রেখো -- গল্পের সমাপ্তিটা দারুণ হয়েছে। কথাটা সর্বক্ষেত্রে প্রযোয্য।
আপনাদের কাল্পনিক কথোপকথন ভাল লেগেছে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

উম্মে সায়মা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো খুব। ভালো থাকুন।

৩২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: দুঃখিত, প্রযোয্য < কথাটা প্রযোজ্য হবে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ

৩৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২০

কালো আগন্তুক বলেছেন: হা হা হা। পিপিলিকার সাথে কথোপকথন পড়ে মজা পেলাম। ধন্যবাদ।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার মজা লেগেছে শুনে ভালো লাগল। আমার লেখাটা তাহলে কিছুটা হলেও সার্থক। অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আমার ব্লগে স্বাগতম।

৩৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর আর সাবলীল।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

৩৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: গল্পটি আবার পড়লাম।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৪

উম্মে সায়মা বলেছেন: শুনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.