নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাধারণত চা খাইনা। আসলে তেমন পছন্দ না। আজ ইউনিভার্সিটির ক্লাস নেই। তবু অভ্যাসবশত সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেল। ঘুম থেকে উঠে মনে হল এক কাপ চা খাওয়া যায়। যেই কথা সেই কাজ। উঠে ফ্রেশ হয়ে কিচেনে গিয়ে এক কাপ চা বানিয়ে নিয়ে এলাম। কিন্তু একটু খাওয়ার পরই আর ইচ্ছে হলনা। তলানিতে অনেকখানি চা রেখে উঠে চলে গেলাম শারমিনের রুমে। ওর রুম আমার দু'রুম পরেই। ও আমার অনেক পুরনো বান্ধবী। স্কুল-কলেজ শেষ করে এখন ইউনিভার্সিটিতেও একসাথে পড়ছি। ওর সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে, ইউটিউবে এটা সেটা দেখে আবার রুমে ফিরে এলাম। সারাটা দিন একা একা কিচ্ছু করার থাকেনা। সবসময় গল্পের বই পড়া কিংবা গান শোনার মুডও থাকেনা। রুমে এসে শুধু শুধু একদিক থেকে আরেকদিকে পায়চারী করছি। হঠাৎ টেবিলে রাখা চায়ের কাপটার দিকে চোখ যেতেই দেখি সারি বেধে পিঁপড়া ওটার ভেতর ঢুকছে।
হোস্টেলে থাকার এই এক ঝামেলা। কিছু কোথাও রাখতে না রাখতেই পিঁপড়া বাবাজীরা এসে হাজির হয়ে যায়। ওইদিন দেখি পানির জগে পিঁপড়া। এতদিন জানতাম মিষ্টি খাবারে পিঁপড়া ধরে। আরে বাবা পানি কি মিষ্টি কিছু যে এখানেও এসে ভাগ বসাতে হবে। কী যে যন্ত্রণা! অবশ্য ঝামেলা একটা না, অনেক। ইঁদুরের উৎপাত, তেলাপোকার উৎপাত আরো কত কী! আমাদের রুমের ইঁদুরগুলোর আবার নাক উঁচু। তারা যে সে জিনিস খায়না। ভালো ভালো খাবারগুলো যেমন নুডলস, চিপস, চকলেট এসব খায়। এসব যত ভেতরেই ঢুকিয়ে রাখি খুঁজে বের করে ফেলে। অন্য খাবার সামনে রেখে দিলেও খাবেনা। তার উপর বাথরুম নিয়ে সমস্যা। আমাদের দু'রুমের আটজন বাসিন্দার মোটে একটা বাথরুম। হয়তো সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে গেলাম, দু'মিনিট না যেতেই নক। লিনা আপুর গলা, 'সায়মা, দেরী হবে?' দাঁত ব্রাশ করতে করতে উত্তর দেই, 'না আপু, এইতো হয়ে গেল।' নাহয় কোন কোনদিন বিরক্ত হয়ে বলি, 'হ্যাঁ আপু, একটু লেইট হবে।' হয়তো আসলে আমার দেরী হবেনা, তাও বলে দেই। কার ভালো লাগে বাথরুমে যেতে না যেতেই দরজায় নক পেতে! লিনা আপু আমার পাশের রুমেই থাকে। সবচেয়ে সিনিয়রদের মধ্যে একজন। এই মার্চেই পাশ করে বের হয়ে যাবে।
যাই হোক যা বলছিলাম, সারি বেঁধে পিঁপড়া কাপের ভেতর ঢুকছে। তাকিয়ে দেখি ভেতরে অনেকগুলো পিঁপড়া মরে দলা পাকিয়ে আছে আর তার উপর আরো কতগুলো জ্যান্ত পিঁপড়া কিলবিল করছে। সেগুলো মরা পিঁপড়াগুলোকে ভেলা বানিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে আর মনে হয় চা খাবার চেষ্টা করছে। যদিও ব্যাপারটা দেখতে জঘন্য, আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং মনে হল। সাথে সাথে গিয়ে শারমিনকে ডেকে নিয়ে এলাম এই মজার কান্ড দেখার জন্য। শারমিনও আমার মত উৎসাহিত। কাপটা রাখা ছিল টেবিলের উপর। দুজনই প্রবল উৎসাহ নিয়ে দুটো চেয়ার টেনে দু'জোড়া কৌতুহলী চোখ চায়ের কাপে রেখে বসে পড়লাম। দেখা যাক কী হয়! এমন তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে আমাদের অতি উৎসাহ দেখে মিশু হেসে কুটিকুটি। কোনমতে হাসি চেপে বলল, 'বাহ, আমাদের পিঁপড়া বিশেষ অজ্ঞগণ!' শারমিন মুখ তুলে ঝামটা মারল, 'চুপ থাক! নিজে তো থাকিস এক গান নিয়ে সারাদিন। আমরা পিঁপড়া বিশেষজ্ঞ হলে তোর কী? হুহ।' তারপর আবার চায়ের কাপে গভীর মনোযোগ। যেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু একটা ঘটে যাচ্ছে সেখানে যা না দেখলেই নয়।
এমন ছোটখাটো ঘটনা, তুচ্ছ ঝগড়াঝাটি, হালকা রসিকতা, অকারণ হাসাহাসি, আজেবাজে বকবকানি, আর ছুটির দিনগুলোতে চরম আলসেমি- এসব নিয়ে হোস্টেলের দিনগুলো কীভাবে কীভাবে যেন কেটে যায় টেরই পাওয়া যায়না! অথচ প্রথম যখন ঠিক হয় হোস্টেলে থাকব কেমন এক অজানা ভয় মনে কাজ করছিল। না জানি কেমন হয় সেখানকার পরিবেশ, সেখানকার মানুষগুলো। সেখানে আমি খাপ খাওয়াতে পারব তো! অথচ এখন মনে হয় এটাই আমার ঘর। সেমিস্টার শেষে বাসায় গেলে কয়দিন পার হলেই হাঁসফাঁস লাগে। মনে হয় কবে হোস্টেলে ফিরে যাব!
মানুষের মন বড়ই অদ্ভুত!
সেপ্টেম্বর, ২০১২
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৫
উম্মে সায়মা বলেছেন:
এই নিন চা। কবীর ভাইয়ের মতই বলি, আপনি আর ঝিলমিল খান। দু'কাপ দিলাম না। একটাতেই খান। এক পাত্রে খেলে নাকি ভালোবাসা বাড়ে আর প্রথম হওয়ায় ধন্যবাদ
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১০
জাহিদ অনিক বলেছেন:
মনে হচ্ছে এটা সেই দার্শনিক পিপড়ার পটভূমি বা শানে নজূল।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৬
উম্মে সায়মা বলেছেন: হাহাহা। তা বলতে পারেন।
আর এটা হল আমার মায়ের সেই পছন্দের গল্প। বুঝতে পেরেছেন?
গল্প না ছাই!
প্রথম পাঠক হবার জন্যেও ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৭
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আপু এই রাতের বেলা চায়ের নাম নিলেন আপু আপনার স্মৃতিচারন ভালো লাগল । আমাদের হোস্টেলে চুলা ব্যবস্থা ছিল না ।গরম পানি তে দুধ চিনি আর ২ টা টি ব্যাগ দিতাম । তারপরও আহামরি টেস্ট লাগতো না ।হোস্টেলে থাকাকালীন একবার নুডুলস মিস করছিলাম ।তখোন রাইস কুকারের সব রান্না করা যায় জানা ছিল না ।আপুকে ফোন দিয়ে বললাম ,আপু এতো গুলা নুডুলস রান্না করো আমি আসতেছি ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৮
উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
আপনার সেদিনের হোস্টেলের স্মৃতিচারন পড়েছিলাম ভালো ছিল।
টি ব্যাগ দিয়ে দুধ চা আমার একদম ভালো লাগেনা। কেমন লিকারের গন্ধ আসে।
এতো গুলা নুডুলস রান্না করো আমি আসতেছি ।
আহারে। আমিও বাসায় যেতে চাইতাম বিশেষ করে খাবারের জন্য। হোস্টেলে গিয়ে যেমন খাবার খেয়েছি বাকি সারাজীবনেও এমন খাবার খাইনি। তবে একটা উপকার হয়েছে আমি সবধরনের খাবার খাওয়া শিখেছি
এত চায়ের কথা শুনে দুঃখ পেয়ে কাজ নেই। ঘুমান। শুভ রাত্রি
৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৩
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
এখন এক কাপ চা চাই??? দু কাপের প্রয়োজন নাই।। আজকের ব্লগ পড়া বন্ধ করেছি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫৭
উম্মে সায়মা বলেছেন:
এই যে নিন। খেয়ে ঘুম দিন।
ধন্যবাদ। শুভ রাত্রি।
৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৫
প্রামানিক বলেছেন: আহারে পিঁপড়া! হোষ্টেলে কত ভাত যে আমার পিঁপড়ায় খেয়ে ফেলতো। পিঁপড়ের জ্বালায় অনেক উপোষ থেকেছি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০৩
উম্মে সায়মা বলেছেন: আহারে প্রামানিক ভাই। পিঁপড়ার উৎপাত খুবই যন্ত্রনাদায়ক। আর এত ছোট প্রাণী, আটকানোও কষ্ট।
৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪০
জাহিদ অনিক বলেছেন:
বুঝতে পরেছি, আপনার মায়ের সেই গল্প অথবা দার্শনিক গল্প ভালো লাগলো।
এক কাপ চায়ে দুইজনে খেলে আন্তরিকতা বা ভালবাসে না ছাই ! আমার চা খেতে দুই চার সেকেন্ডের বেশি লাগে না। ঝিলমিল শেষে চা খেতেই পাবে না।
এক কাজ করুণ, কবি কবীর ভাই আপনাকে তো দুই কাপ দিয়েছিল, আপনার তো ১ কাপের বেশি খাবেন না, লাগবেও না। ঐখান থেকে ১ কাপ এইদিকে পাস করে দেন।
আপনার তরফ থেয়া কাপটা ঝিলমিলকে দিন এবং কবীর ভাইএর টা আমাকে দিন।
আমি এই ব্লগে ঝিলমিলের অস্তিত্ব স্থাপন করে ছাড়ব !
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২১
উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ। শেষ পর্যন্ত আপনার উৎসাহ নিবারন করা হইল
আন্তরিকতা বা ভালবাসে না ছাই
বাড়ে বাড়ে যাইহোক আপনি যেহেতু চা খোর আমার থেকে একটা চায়ের কাপ আপনার ঝিলমিলের জন্য পাস করেই দিলাম।
অস্তিত্ব স্থাপন করে ছাড়ব
অস্তিত্ব স্থাপন তো অলরেডি হয়েই গেছে। আপনি আপনার ছেলে আর ঝিলমিলের গল্প করেন। ওমেরা আপু আপনাদের দুজনকে নিয়ে গল্প লিখেন। কবে দেখবেন ঝিলমিল ব্লগে নিক খুলে আপনার উপর খবরদারি করছে হাহাহা
৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৩৩
সোহানী বলেছেন: সেপ্টেম্বর ২০১২ এর ভালোলাগা... বাট এখন ২০১৭ তাই হয়তো ভালোলাগছে.....
আমি যখন হলে ছিলাম তখন মনে হতো কবে বের হবো এ জেলখানা থেকে... এখন মনে হয় আহ্ আবার যদি ঢুকতে পারতাম সেই জীবনে......... স্মৃতিকথা ভালো লাগলো।
বাই দা ওয়ে ঢাকা ইউনির হল হলে চিমটি... আমাদের ইদুর তেমন ছিল না তবে ইয়া বড় বড় তেলাপোকা আর পিপড়া ছিল।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:১১
উম্মে সায়মা বলেছেন: তাই হয়তো ভালোলাগছে.....
হ্যাঁ আপু। এখন ভেবে নস্টালজিক হই। আহ সেই দিনগুলো!
ঢাকা ইউনির হল হলে চিমটি...
ঢাকা ভার্সিটি না আপু, প্রাইভেট। চিমটি ফেরত নিন সব হোস্টেলে মনে হয় ইঁদুর, তেলাপোকা, পিঁপড়া এসব থাকতেই হবে।
তবুও মনে অন্যরকম মজার দিন ছিল সেগুলো......
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন।
৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৪২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: শিরোনামেতো ভুল !হোস্টেল জীবনের টুকরো গল্প(স্মৃতির পাতা থেকে)-১ হবেতো? সিরিজ চলুক | স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি কখনোই হলে থাকিনি |তাই জানিও না হল জীবন |অপেক্ষায় রইলাম একটা সুন্দর সিরিজের | গানের আগে তবলার টুক টাক হিসেবে উচাঙ্গের হয়েছে এটা |ধন্যবাদ |
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:২০
উম্মে সায়মা বলেছেন: আমি যে কত আলসে তা যদি জানতেন ভাইয়া তাহলো আর সিরিজ করতে বলতেন না। এটা সেই কবেকার লেখা। টাইপ করার আলসেমিতে পোস্ট করা হচ্ছিল না। তাও এটা ডায়েরীর লেখার একাংশ। আরেকটু আছে কিন্তু টাইপ করা হয়নি। হয়তো কোন একসময় টাইপ করা হবে আর সেই আমি কি নতুন করে লিখতে পারব? আর এতদিন পরে কি সব মনেও আছে নাকি তবলার টুংটাং পর্যন্তই থেকে যাবে হয়তো!
হোস্টেলে না থেকে জীবনের বড় একটা অভিজ্ঞতা মিস করলেন। কষ্ট হলেও মনে রাখার মত কিছু স্মৃতি জমা হয় জীবনের ঝুলিতে। শেখা যায় অনেক কিছু।
আন্তরিকতায় অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন। ভালো থাকবেন।
৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: সায়মা আপু,
ছাত্র জীবন সুখের জীবন,যদি না থাকতো পরীক্ষা। তখন কতই না মজা হতো। আমার ছাত্র জীবনে মেসে পিঁপড়া কোনদিন আক্রমণ করেনি কিন্তু ছারপোকার অত্যচার সহ্য করেছি নীরবে। এই অত্যচারে কত রাত জেগে থেকেছি। তার কোন হিসেব নেই।
আপনার স্মৃতি চারণ ভালো লিখেছেন।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: যদি না থাকতো পরীক্ষা
ঠিক ঠিক।
অত্যচারে কত রাত জেগে থেকেছি।
আহারে। নিজ বাড়ি ছেড়ে মেস/হলে থাকলে একটু ভোগান্তি তো পোহাতেই হবে।
কুঁড়ের বাদশা কুঁড়েমি ছেড়ে আমার পোস্ট পড়েছে দেখে আমি আপ্লুত
ধন্যবাদ ধন্যবাদ।
১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০০
রাজীব নুর বলেছেন: হলে থাকার সুভাগ্য আমার হয়নি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০
উম্মে সায়মা বলেছেন: ইশ অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা মিস করলেন রাজীব নুর ভাই।
পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ।
১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১
জাহিদ অনিক বলেছেন:
কবে দেখবেন ঝিলমিল ব্লগে নিক খুলে আপনার উপর খবরদারি করছে সেই দিনটার আশায় আছি ভীষণরকম
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: আমরাও আশায় আছি ঝিলমিল ভাবি কবে এসে আমাদের সাথে আড্ডা দেবে
১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৩
করুণাধারা বলেছেন: স্মৃতি সততই সুখের। কিন্তু হোস্টেলে থাকার সময় কি কখনো মনে হয়েছিল এই দিনগুলোর কথা এভাবে মনে পড়বে?
ভাল থাকুন।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১
উম্মে সায়মা বলেছেন: ঠিক আপু। তবে এমন বেশি হয়েছে স্কুল জীবনের ব্যাপারে। স্কুলে পড়ার সময় ভাবতাম একবার শুধু স্কুলের গন্ডি পার হতে পারলেই বেঁচে যাই। আর তারপর দেখি কি ভীষণ মিস করছি!
পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন।
১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
হোস্টেল জীবন খুব সুন্দর যদি সুন্দর একটা গ্রুপ পাওয়া যায় । আপনার লেখা ভাল লেগেছে ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬
উম্মে সায়মা বলেছেন: আমি সুন্দর একটা গ্রুপ পেয়েছিলাম। ইনফ্যাক্ট আমরা স্কুল, কলেজের কয়েকজন একই হোস্টেলে উঠেছিলাম। তাই আপনাআপনি ভালো একটা গ্রুপ হয়ে গিয়েছিল আর খুব এনজয় করতে পেরেছিলাম। বাবা মাকে ছেড়ে দূরে থাকার কষ্টটা সেভাবে অনুভূত হয়নি....
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল। অনেক ধন্যবাদ রইল।
১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭
জাহিদ অনিক বলেছেন:
পরে কিন্তু গাইতে হবে, আশা পূর্ণ হল না মনের বাসনা !
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬
উম্মে সায়মা বলেছেন: পূর্ণ না-ই হল, আশা করতে দোষ কী।....... আশা তার একমাত্র ভেলা
১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা হোস্টেল জীবন আহা রে আহা রে
কি মনে করায়ে দিলেন ।লিখতে গেলে মহা কাব্য ।
অনেক সুন্দর অনেক অনেক মায়ার গল্পে ভালোলাগা ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮
উম্মে সায়মা বলেছেন: লিখে ফেলুন না আপু সেই মহাকাব্যখানি। আমরা পড়তে আগ্রহী
পড়ে ভালো লাগা জানিয়ে যাওয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ মনিরা আপু। ভালো থাকবেন।
১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হোস্টেলে থাকতে গিয়ে প্রথম প্রথম অস্বস্তিতে ভোগেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। অপরিচিত রুমমেটদের সাথে মানিয়ে নেয়ার দুশ্চিন্তা তো আমাকে প্রথম প্রথম হোস্টেলবিমুখ করে রেখেছিল। পরে দেখেছি সেই অপরিচিত মানুষগুলোই কেমন বন্ধুতে রূপান্তরিত হয়েছিল।
আপনার স্মৃতিকথায় পেছনে ফিরে গিয়ে আবার তাড়াতাড়ি বর্তমানে চলে এলাম। লেখায় ভুল হয়ে যাচ্ছিল।
ভাল লাগল আপনার লেখা। শুভকামনা।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭
উম্মে সায়মা বলেছেন: তাড়াতাড়ি ফিরে এলেন কেন? ফিরে গিয়ে আপনিও আমাদের সাথে এমন কোন গল্প শেয়ার করুন
অসংখ্য ধন্যবাদ সম্রাট ভাই। ভালো থাকুন।
১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা ,
সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি ................... পিছনের দিনগুলিই মনে হয় ভালো ছিলো সবার জীবনে ।
ঝরঝরে লেখা । এমন নষ্টালজিক লেখায় পাঠকতো পিঁপড়ের মতো সারি বেঁধে এই স্মৃতির পাতায় ঢুকতে চাইবেই !
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩
উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনি এত সুন্দর করে মন্তব্য করেন আহমেদ জী এস ভাই। পাঠক পিঁপড়ের মতো সারি বেঁধে এই স্মৃতির পাতায় ঢুকতে চাইলেই তো আমার ভীষণ ভালো লাগবে। যেমন এখন লাগছে।
পিছনের দিনগুলিই মনে হয় ভালো ছিলো সবার জীবনে
সবসময়ই কি এমন হয়? এই যে আমার এখন হতাশায় ভরা দিনগুলো, অনেকবছর পর কি মনে হবে এইদিনগুলোই ভালো ছিল? এ সময়টাকে মিস করব? ভাববার বিষয়!
আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন নিরন্তর।
১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৭
সুমন কর বলেছেন: বাসার ছাড়া অন্য কোথাও থাকার অভিজ্ঞতা নেই !! লেখা পড়ে ভালো লাগল।
তেলাপোকা আর ইঁদুরের অত্যাচার কিন্তু আমারও সহ্য করতে হয় ! তবে বাসায় !!
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: এসবের যন্ত্রণা যে কী বিরক্তিকর হয় তা কেবল ভুক্তভোগীই জানে।
পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ সুমনদা। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
১৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এমন কোন গল্প উপহার দিতে পারবোনা কারণ হোস্টেলে থাকা হয়নি তবে বেশ কয়বার বন্ধুদের সাথে মিলতে গিয়েছি। স্মৃতিরা সবসময় নষ্টালজিক করে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: স্মৃতিরা সবসময় নষ্টালজিক করে।
সুখ দুখ দুইয়েরই।
হোস্টেলে থাকার মজাই আলাদা সুজন ভাই। আমার এক বান্ধবী সুযোগ পেলেই আমাদের সাথে হোস্টেলে এসে থাকতো
পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ ভাই।
২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: হোস্টেল জীবনের গল্প কি যে মধুর লাগে ।
দেশে বিদেশে হোস্টেলের জীবনের কাহিণী
লিখলে যাবে যে কাগজের পাতা ভরে ,
এমন সুন্দর করে লিখতে পারবনা বলে
রেখে দিলাম হৃদয়ে তাদেরে যতন করে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৭
উম্মে সায়মা বলেছেন: আরে লিখে ফেলুন ডঃ এম এ আলী ভাই। এমন স্মৃতিকথনগুলো আপনাতেই সুন্দর হয়ে যায়।
লিখতে বসলেই দেখবেন কি সুন্দর সাজিয়ে ফেলতে পারছেন।
পাঠে এবং মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
২১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৯
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার। নস্টালজিক হলাম।
হোস্টেল/হল লাইফ যে পায় নি সে মহা হতভাগা। জীবনের চরম অানন্দঘন কিছু সময় কেটেছে দেশ-বিদেশের হল/হোস্টেল লাইফে সেই কলেজ জীবন থেকেই। প্রতিটাই মজাতে ঠাসা ছিল। কত কি করেছি? ভাবতেই মুখের কোণে এক চিলতে হাসি ফোটে। মনে পড়লে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সে দিনগুলোতে।
ভালোলেগেছে আপনার টুকরো স্মৃতি।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৮
উম্মে সায়মা বলেছেন: হোস্টেল লাইফ প্রায় সবাইকে খুব সুন্দর কিছু স্মৃতি দেয় যা সারাজীবন মনে থাকে। খুব সুন্দর একটা সময়
পাঠে এবং মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।ভালো থাকুন।
২২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৭
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমি চার বছর কাটিয়েছি হোস্টেলে তাই নানা অভিজ্ঞতা আমার ঝুলিতেও। অনেকেই হোস্টেল অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখছে, ভাবছি আমিও লিখবো।
আপনার হোস্টেল অভিজ্ঞতার কথা শুনে ভালো লেগেছে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আপু, লিখে ফেলুন। পড়তে চাই
পাঠে এবং মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন...
২৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১২
অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: হোস্টেলে থাকার সুযোগ হবে বলে মনে হয় না । আর লেখাপড়াই করব না । এই এইট পাস-ই মোর দ্যান এনাফ{বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি-তে} ;|
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪১
উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনি কি সত্যিই এবার এইট পাশ করলেন? এই বয়সেই ব্লগিং শুরু? বাহ বাহ, বেশ বেশ! তবে আরো লোখাপড়া করতে হবে তো। কোন জায়গার কোন পরিস্থিতিতেই এটা যথেষ্ট না
২৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৫
কালীদাস বলেছেন: দেশের স্টুডেন্ট লাইফে হলে থাকা হয়নি, কেবল কাজের জন্য মনে হয় কয়েক রাত থেকেছি। মেয়েদের হলেও কি ফ্লোরে বাথরুম শেয়ার করতে হয় সবার সাথে নাকি এটাচড থাকে রুমে? প্রাইভেট হোস্টেল হলে তো কোয়ালিটি ভাল হওয়ার কথা মনে হয় ...
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৭
উম্মে সায়মা বলেছেন: হোস্টেলের কোয়ালিটি ভালোই ছিল অন্য অনেকগুলো থেকে। কিন্তু প্রত্যেক রুমে তো আর বাথরুম থাকেনা। শেয়ার করতে হত দু'রুম করে। একেবারে বাসার পরিবেশ পাওয়া তো সম্ভব না, আশা করা উচিৎও না। তবে ওভারঅল ভালো ছিল।
হোস্টেলে থাকার অভিজ্ঞতা কেমন আপনার? ছেলেদের হোস্টেলে তো শুনি যা তা অবস্থা থাকে
পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ কালীদাস ভাই।
২৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হোস্টেল জীবন কেমন খুব একটা জানি না। কারণ, হোস্টেলে বা হলে থেকে কোনদিন পড়াশুনা করিনি। ভাগ্যিস করিনি, করলে পড়াশুনাই হতো না। কারণ, আমি খুব আড্ডাবাজ মানুষ। হোস্টেলে বা হলে থাকলে রুমমেটদের সাথে আড্ডা মেরে কাটিয়ে দিতাম। পড়াশুনা ছাই হতো।
আপনার হোস্টেল জীবনের গল্প ভালো লাগলো। ধন্যবাদ বোন উম্মে সায়মা।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: তাইতো হেনা ভাই। এ বয়সেই আপনি যেমন আড্ডাবাজ তাহলে যুবক বয়সে কেমন ছিলেন সহজেই ধারনা করা যায় ভাগ্যিস হলে থাকেননি!
আপনাকে আমার পোস্টে পেয়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভালো থাকুন সবসময়।
২৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: মেয়েদের হলে পিপড়া? হল প্রভোস্টের গাফেলতি।
আমরা তো পুরা বাজার রুমে রাখতাম, ডাইনিং এর ফ্রিজে মাছ মাংস, রুমে অবৈধ হিটার। রুম কোন দিন পিপড়া ইদুর আসে নাই।
সারারাত ধরে বন্ধুরা গেম খেলতাম, প্রিজন ব্রেক দেখতাম, ভোর হলে খিচুরী খেয়ে, ক্লাশ টেস্ট দিয়ে এসে ঘুম।
হলের বাথরুমে জোরে জোরে গান গাওয়ার একটা মজা আছে। বাংলা সিনেমার সোনালী দিনের গান।
তুমি যে আমার কবিতা, আমি একদিন তোমায় না দেখিলে।
রাতে ছাদে গিটার নিয়ে বন্ধুদের সাথে সমবেত গান, ফুটবল খেলা দেখা এসব খুব মিস করি।
হল জীবন এমন একটা জীবন, যা বলে বুঝানো যাবে না।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৭
উম্মে সায়মা বলেছেন: আরেহ আমাদের তো অনেক মিল রাতুল ভাই! আমিও হোস্টেলে কত রাত জেগে যে প্রিজন ব্রেক দেখেছি। সারারাত জেগে আড্ডা দিয়ে, খেলে, মুভি দেখে ভোরে চা খেয়ে ফ্রেন্ডরা মিলে হাঁটতে বের হতাম।
হোস্টেলে ওয়াটার হিটার, ইস্ত্রি এসব রাখা মানা ছিল কিন্তু আমাদের থাকত
আমাদের রাতে ছাদে যাওয়ার অনুমতি ছিলনা
আসলেই হল জীবনের আনন্দটা বলে বোঝানো যাবেনা।
আপনি বোধহয় অনেকদিন পর এলেন ব্লগে। ভালো আছেন আশা করি।
২৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:১৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: হোস্টেলে বা হলে থাকা হয়নি স্থায়ী ভাবে। তবে, ভার্সিটি থাকার সময় নিয়মিত যাওয়া-আসা হতো হলে। সে অনেক স্মৃতি!
২০ টাকায় এক বাটি তরকারী'র সাথে হাতধোয়া পানি রঙয়ের ফ্রি ডাল। দারুণ ছিলো দিনগুলো!
আপনার অভিজ্ঞতাগুলো পড়তে পড়তে সে দিনগুলো'র কথা মনে পড়ে গিয়েছিলো গত পর্শু রাতে। এতোটাই মনে পড়ে গিয়েছিলো যে, কমেন্ট করতে ভুলে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: হাতধোয়া পানি রঙয়ের ফ্রি ডাল
হাহাহা। এটা সবার কাছ থেকে শুনতে হয়। তবে আমাদের হোস্টেলের খাবার তুলনামূলকভাবে ভালোই ছিল। যদিও আমার কষ্ট হয়ে যেত
ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!
পুরোনো দিনের স্বপ্নে ডুবে গিয়েছিলেন নিশ্চয়ই
তবুও পরে এসে মন্তব্য করেছেন সেজন্য অনেক ধন্যবাদ। প্রতিমন্তব্যে বিলম্বের জন্য দুঃখিত।
২৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: যেভাবে প্রশ্ন ফাঁস হলো আর যেভাবে ৩ ঘন্টায় ৭টা সৃজনশীল লিখে সৃজনশীল মানুষে পরিণত হলাম, তাতে লেখাপড়া থেকে মন উঠে গিয়েছে । আবর শুনলাম যে সামনের বছর থেকে ১০টা সৃজনশীল লিখতে হবে ।যেভাবে প্রশ্ন ফাঁস হলো আর যেভাবে ৩ ঘন্টায় ৭টা সৃজনশীল লিখে সৃজনশীল মানুষে পরিণত হলাম, তাতে লেখাপড়া থেকে মন উঠে গিয়েছে । আবর শুনলাম যে সামনের বছর থেকে ১০টা সৃজনশীল লিখতে হবে ।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫২
উম্মে সায়মা বলেছেন: মন উঠলে তো হবে না ভাইয়া। পড়াশোনা করতেই হবে। আর এজন্য একটু কষ্ট তো করতে হবেই। শুভ কামনা রইল।
২৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯
অ্যাপল ফ্যানবয় বলেছেন: কি ব্যাপার, একই কথা দুইবার লেখা হলো কেন ?
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: ছবি পরে এটাচ করলে এমন হয়ে যায়। তখন পরেরটা মুছে দিতে হবে নয়তো ছবি আগে এটাচ করতে হবে
৩০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫
কালীদাস বলেছেন:
হোস্টেলে থাকার অভিজ্ঞতা কেমন আপনার? ছেলেদের হোস্টেলে তো শুনি যা তা অবস্থা থাকে
অভ্যাস হয়ে গেলে একসময় আর গায়ে লাগে না। স্টুডেন্ট থাকা অবস্হায় আমার এটাচড হল ছিল ফজলুল হক। হলে উঠিনি কখনও, বাসা থেকেই যাওয়া আসা করতাম। অনার্সের সময় কয়েক রাত কাজ করার জন্য ক্লাসমেটদের সাথে থেকেছি, সেটা ছিল শহীদুল্লাহ হলে। আসলে প্রায়ই হলে যাওয়া পড়ত তো, তাই খানিকটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল হল-লাইফের পেইনের ব্যাপারে। তবে একেবারে নতুন কারও জন্য টয়লেট, ক্যান্টিন বা বেডের কোয়ালিটি নিয়ে মুটামুটি ভাল সমস্যা হবেই। পুরো ফ্লোরে টয়লেট ফ্যাসিলিটি থাকে ২/৩ টা ভেতরে মাল্টিপল কিউবিকল এবং ২/৩টা শাওয়ার সহ। হলের কোন বেসিন দেখলে আর হাত ধোয়ার ইচ্ছা করে না এনিওয়ে, নতুন হলগুলোর অবস্হা ভাল শুনেছি, অমর একুশে হলে দেখেছিও নিজে। জগন্নাথ হল বা আর্টস ফ্যাকাল্টির বা মেয়েদের হলগুলোর খবর জানিনা।
পড়তে আসার পর প্রায় ১ বছর টানা ডর্মে থাকা পড়েছিল; খানিকটা অনিচ্ছায় বলা চলে। কারণ ঐ শহরটা ছিল ছোট এবং বাসা পাওয়া মুটামুটি লাকের ব্যাপার যে কারো জন্য। বাংলাদেশের চেয়ে একটু অন্য রকম এদিককার ডর্মগুলো; দুই বেডরুমের ফ্ল্যাট বলা যায় নিজস্ব টয়লেটসহ। কোন কোনটায় ছোট একফালি কিচেনও থাকে, আমারটায় ছিল; কিচেন না থাকলে পুরো ফ্লোরে বা পুরো ডর্মে গণ কিচেন থাকে সেখানে যার যার কাজ চালাতে হয়। ফ্লাটগুলো সাধারণত কেবলই ছেলে বা কেবঈ মেয়েদের জন্য দেয়া হয়। এমনিতে নিজের সিঙেল রুম থাকায় প্রাইভেসি নিয়ে সমস্যা হয়না। আদারস অভিজ্ঞতা ... অন্য আরেকদিন বলব না হয়
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯
উম্মে সায়মা বলেছেন: বেসিন দেখলে আর হাত ধোয়ার ইচ্ছা করে না
টয়লেটের ক্ষেত্রেও এমনটাই হবার কথা এমন অপরিচ্ছন্নতাটাই বড় সমস্যা। বাকি সব মনে হয় কষ্ট করে মানিয়ে নেয়া যায়। তাও আপনি তো মাঝে মাঝে যেতেন। যারা সবসময় থাকে তাদের কত কষ্ট হয়। একবার খবরে ঢাকা ইউনিভার্সিটির হল নিয়ে একটা প্রতিবেদন দেখেছিলাম। দেখে খারাপই লাগল। দেশের সবচেয়ে ভালো যে বিদ্যাপীঠ, যে ছাত্ররা পরবর্তীতে দেশের সবজায়গায় সবচেয়ে বেশি আধিপত্য করে তাদের কী হাল! নতুন হলগুলোর অবস্থা ভালো শুনে তবু ভালো লাগছে।
ডর্মে তাহলে নিশ্চয়ই আরামেই ছিলেন। অবশ্য আমাদের দেশ ছাড়া আর কোথাওই মনে হয় থাকার এতটা খারাপ ব্যবস্থা থাকেনা। তাওতো শুনি এসব হলে সীট পেতে কত যুদ্ধ, কত তদবীর করতে হয়!
আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ কালীদাস ভাই। ওকে, বাকীটা নাহয় আরেকদিক শুনবো
প্রতিমন্তব্যে বিলম্বের জন্য দুঃখিত। ভালো থাকবেন।
৩১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫
ফয়সাল রকি বলেছেন: খুবই সাদামাটা কাহিনী হলেও হোস্টেল জীবনটা যে উপভোগ্য ছিল তা বোঝাই যায়।
পাঁচ বছর হলে কাটানোর পর ভার্সিটি থেকে বের হয়ে প্রথম যেটা মনে হয়েছিল তা হলো, সেশনজটে পড়ে সাত-আট বছর সময় লাগলে ভালো হতো!
+++
২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৫
উম্মে সায়মা বলেছেন: সাদামাটা কাহিনীর ভেতরের অনুভূতিটুকু বুঝে নেয়ায় ধন্যবাদ।
সেশনজটে পড়ে সাত-আট বছর সময় লাগলে ভালো হতো!
হাহাহা। সবাই সেশানজট থেকে বাঁচতে চায় আর আপনি তাতে পড়তে চান আসলে হল জীবন এমনই। নিজের ঘর থেকেও হল, হলের মানুষগুলো আপন হয়ে যায়।
প্লাসে অনুপ্রাণিত.....
৩২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৪
শায়মা বলেছেন: হল বা হোস্টেলের খানা!
নিশ্চয় দুঃখের স্মৃতি!
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৫
উম্মে সায়মা বলেছেন: নিশ্চয় দুঃখের স্মৃতি!
হ্যাঁ আপু সেটা কষ্টের। এক দেশ থেকে আরেক দেশে গিয়ে প্রথমেই হোস্টেলে! প্রথম প্রথম কিছু খেতে পারতাম না। কতদিন যে হাবিজাবি খেয়ে কাটিয়েছি। কিচ্ছু মুখে দিতে পারতাম না। তবে কাজের কাজ একটা হয়েছে পছন্দের আইটেম ছাড়া খাবার মুখে না তোলা মেয়েটা আস্তে আস্তে সব খেতে শিখে গেছে
৩৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাটা অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিল। মন্তব্যে আরো অনেকের হোস্তেল জীবনের কথা জেনে ভাল লাগলো।
আমারটার কথা আমি লিখেছিলাম এই ব্লগেই, "আমার কথা" সিরিজে।
পোস্টে ভাল লাগা + +
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২০
উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনি আমার টুকরো স্মৃতিকথা পড়ে অনুভূতি জানিয়ে গেছেন দেখে ভালো লাগলো।
এ ধরনের লেখা পড়লে আসলেই নিজের পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যায়।
আপনার কাছ থেকে প্লাস পেয়ে ভালো লাগছে। আপনার হোস্টেলের স্মৃতিকথন পড়া হয়নি। পড়ে আসব
ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই।
৩৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:০৪
অলিউর রহমান খান বলেছেন: আমি ও চা পছন্দ করি না তবে অনেক সময় বিস্কুট বিজিয়ে খাওয়ার জন্য অল্প করে নেই। হোস্টেল জীবনে যেমন সমস্যা আছে তেমনি মজার কোন শেষ নেই।
আপনার লিখা পড়তে পড়তে হোস্টেল লাইফে চলে গিয়েছিলাম, শেষ করে বাস্তবতায় ফিরে এসেছি।
ভালো লেগেছে তবে আমি চেয়েছিলাম আরও লম্বা হোক, হোস্টেল জীবনের বিভিন্ন ঘটনা উঠে আসুক আপনার গল্পে।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪১
উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনাকে হোস্টেল লাইফে কিছুক্ষণের জন্য নিয়ে যেতে পারলাম তাহলে আসলেই হোস্টেল জীবনে মজার শেষ নেই।
পরবর্তীতে হয়তো কখনো আবার চেষ্টা করব হোস্টেল জীবনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে লিখতে।
পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৯
জাহিদ অনিক বলেছেন:
১ম হইছি চা দেন ( বাণিজ্যিক মন্তব্য )