নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারন। অনিন্দ্য কিছু নই।

উম্মে সায়মা

সখী ভালোবাসা কারে কয়...

উম্মে সায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

"প্রযত্নেঃ তিলোত্তমা"

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১১



প্রিয় শহর তিলোত্তমা,
কেমন আছো তুমি? জানি ভালো নেই। প্রতিদিন খবরের কাগজে, দূরদর্শনের সংবাদে তোমার একটু আধটু খবর পাই। বর্ষার জল প্রতিনিয়ত তোমার শরীরের একেক অংশ ডুবিয়ে দেয়। তারপর আবার চৈত্রের কাঠফাটা রোদে তোমার বুকে ফাটল ধরে। তোমার খুব কষ্ট হয় নিশ্চয়ই। কত বছর পেরিয়ে গেল তোমাকে ছেড়ে এসেছি। তবু আজও তোমার প্রতি তীব্র এক টান বোধ করি। তুমিই তো আমায় বন্দী খাঁচা থেকে বের করে পাখা মেলে উড়তে শিখিয়েছ। ভেবে রেখেছি, আবার কোনদিন ফিরলে সারাদিন প্রিয় বাহন রিকশা নিয়ে তোমার বুকে উড়ে বেড়াবো। ছুটে যাব আপনজনদের কাছে। সেই শিয়া মসজিদ, নবোদয়, তাজমহল রোডে। এসব রাস্তায় প্রতিদিন রিকশায় কত যাওয়া আসা হত। কত পরিচিত পথ, কত আপন! আচ্ছা, আমার পুরানো সেই চিলেকোঠাটা কি আগের মত আছে? পাকিস্তানী আমলে তৈরি দোতলা বাড়ি। বিশাল বড় ছাদ আর তার কোণে ছোট্ট একটা কামরা। ছিমছাম করে সাজিয়ে নিয়েছিলাম নিজের মত করে। একটা চৌকি, একটা আলমিরা আর একটা পড়ার টেবিল। ব্যস। ছাদে টবে গোলাপ, তুলসীর চারা লাগিয়েছিলাম। বন্ধুরা হাসত আর বলত "তুই আর জায়গা পেলি না। শেষ পর্যন্ত ছেলেদের মত চিলেকোঠায় থাকা শুরু করলি!" অথচ সেই চিলেকোঠাই ছিল আমার এক টুকরো স্বর্গ। শহুরে ব্যাস্ততার ফাঁকে, যানযট আর বাসের ভীড় ঠেলে, সারাদিনের কাজ শেষে আমার আমিকে নিজের মত করে পাওয়া। বিকেলে এক মগ কফি হাতে এলোচুলে ছাদের রেলিং ঘেঁষে হাঁটা, গোলাপের ঘ্রাণ নেয়া, তুলসী পাতায় হাত বুলিয়ে দেয়া। ছাদে আগে থেকেই একটা মেহেদী গাছ ছিল। সেই গাছ নিজেকে রিক্ত করে মাঝে মাঝে হাত রাঙ্গাত। শুনেছি সেই চিলেকোঠা এখন ফাঁকা। বাড়িটা ভেঙ্গে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধাসহ বহুতল বাড়ি করা হবে। এমন পুরানো ধাঁচের বাড়ি আর রাখা যায়না। আমার সেই আদরের গোলাপ আর তুলসী গাছ কি এখনো আছে? তোমার বুকে বাস করা মানুষগুলো মনে হয় তোমাকে আর তিলোত্তমা থাকতে দেবেনা।
সেই রায়ের বাজারের ট্যানারি মোড়টা এখনো আগের মত?? কী লক্কড় ঝক্কর রাস্তা, পুরো রাস্তায় রিকশার ঝাঁকুনি! কতশত বার যে সরকারের মুন্ডুপাত করতাম সংস্কার না করার জন্য। অথচ এখন কত আপন লাগে সে রাস্তা। সেই যে ডানদিকের কোনায় একটা ফলওয়ালা বসত, একটু সামনে বামদিকে একটা হাড্ডিসার ভিক্ষুক বসত, তার পাশেই একটা মুচি। তারা কি এখনো আছে? গাউসিয়ার ঘিঞ্জি জায়গায় পেয়ারাভর্তা বিক্রি করত যে লোকটা? বন্ধুরা মিলে কেনাকাটা শেষে সেই পেয়ারাভর্তা খেয়ে সে কী তৃপ্তি পেতাম! কিংবা সলিমুল্লাহ হলের সামনের ফুল বিক্রেতারা? পহেলা বৈশাখে কিংবা বাসন্তী অনুষ্ঠানে সেখান থেকে তাজা বেলী ফুলের মালা কিনে খোঁপায় গুঁজে দলেবলে রমনা বটমূলে যেতাম। হয়তো তারা কেউ নেই। কে জানে কোথায় গেছে! আজ এত বছর পর সব হয়তো অনেক বদলে গেছে। কেবল রাস্তা-ঘাট আর দালানগুলোই আগের মত আছে।

তিলোত্তমা ঢাকা,
কেমন আছে সেই স্মৃতিবিজড়িত প্রাণের লেক, রবীন্দ্র সরোবর? যেখানে একসময় ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিয়ে, ঘুরে কাটিয়েছি। আবার সে পথ ধরে হাঁটলে তারা কি আমার পদচিহ্ন, পদধ্বনি চিনতে পারবে? বলবে,'আরে তুমি সে না? সেই যে কতবছর আগে প্রতিদিন আমার বুকে হেঁটে যেতে?' আমিও স্বোচ্ছ্বাসে উত্তর দেব, 'হ্যাঁ, হ্যাঁ, তুমি ঠিক চিনেছ। আমি সেই।' আচ্ছা গাছগুলো কি আমায় চিনতে পারবে? দু'রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণচূড়াগুলো? কয়েকটি রক্তলাল পাঁপড়ি কি আমায় স্বাগত জানাবে? কিংবা দোতলা বাড়ির সামনের কাঠগোলাপ গাছটা? একটি ফুটন্ত কাঠগোলাপ কি টুপ করে সামনে পড়বে? আহ, সবকিছুর জন্য কী মায়া জন্মে আছে বুকের ভেতর! এতদিন টেরই পাইনি। অথচ এসব তো তুচ্ছ জড়বস্তু। আর হারিয়ে যাওয়া আপন মানুষগুলো? প্রাণের মানুষগুলো? তাদেরতো শত চাইলেও ফিরে পাওয়া যায়না। রিকশা নিয়ে হুট করে দেখতে যাওয়া যায়না। কখনো বিধাতা পথ রুখে দেয় নয়তো আত্মাভিমান এসে পথ রুখে দাঁড়ায়। আচ্ছা দালান, রাস্তা আর গাছেদের কি স্মৃতি থাকে? মায়া থাকে? আমার মত? মানুষের মত? ইশ আমি যদি ইট সুরকীর তৈরি দালান হতাম! নাহয়  পিচঢালা রাস্তা! কিংবা একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা নির্বিকার গাছ! তবে আমার কোন রাগ, ঘৃণা, হিংসা, লোভ থাকতোনা। সুখদুঃখের বোধ থাকতোনা, কোন স্মৃতি থাকতোনা আর মায়া থাকতোনা। আমি কত সুখী হতাম!

তিলোত্তমা,
আমি আবার একদিন ফিরে আসব তোমার বুকে। ধূলোমাখা পথে, ব্যস্ত মানুষের ভীড়ে। ফিরে আসব ভালোবাসার টানে, নাড়ীর টানে। ততদিন তুমি ভালো থেকো। অনেক অনেক ভালো থেকো।।

ইতি,
তোমার প্রেমে মত্ত মানবী


('অমর একুশে বইমেলা-২০১৮'তে চিঠি সংকলন 'আরাধ্য লণ্ঠন' এ প্রকাশিত)
[সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত]

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ভালো ভাবনার প্রকাশ। সুন্দর চিঠি।। ভালো

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে৷
শুভ কামনা।

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

অভীক অর্ণব বলেছেন: সবাইকে একদিন নীড়ে ফিরতে হয়। প্রিয় শহরের বুকে ঘুমাতে হয় ।
আপনার ইচ্ছে পূরণ হোক ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার প্রার্থনা কবুল হোক!
ধন্যবাদ অভীক অর্ণব৷ আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর চিঠি।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

মিথী_মারজান বলেছেন: কি যে মায়ার লেখা!
কি যে ভালোবাসার লেখা!!
অসাধারণ!!!
সহজ সরল অনুভূতিগুলো কতটা যে হ্দয় নিংড়ানো ভালোবাসার প্রকাশ করতে পারে সেটা দেখে মুগ্ধ হলাম।
ভালোবাসা সায়মা আপু।
খুব খুব ভালো থাকুন আপনি আর আপনার তিলোত্তমা।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: যারা নিজের দেশকে, তিলোত্তমাকে ভালোবাসে তাদের কাছেই এটা ভালোবাসার লেখা মনে হবে৷
আপনিও তিলোত্তমাকে ভালোবাসেন বলেই এর মর্ম উপলব্ধি করতে পারছেন মিথী আপু।
সুন্দর মায়াময় একটা মন্তব্য রেখে যাওয়ায় ধন্যবাদ।
আপনিও অনেক ভালো থাকুন্ আর ভালোবাসা নেবেন :)

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



প্রিয়তমা (সায়মা) B-).....
সময় আমায় ডেকে বলছে, সুদূরে পাড়ি জমা।
যেখানে ছিলাম, এটাকে কাছে থাকা বলেনা..!
তবুও আজ যখন আরও দূরে যাওয়ার ডাক
এলো, মনে হলো এইটুকুও আর হলোনা..।
ভাল লাগা, ভাল থাকা গুলো কষ্টের ডানায় ভর
করে হারিয়ে যাচ্ছে ঝড়ের বেগে ধেয়ে..।
শূন্যতা..নির্মমতা... গ্রাস করে নিচ্ছে আমায়,
কেরে নিচ্ছে তোমার থেকে ছিন্ন করে দিয়ে..।
কিকরে বলো ভাল থাকব, যেখানে নেই তুমি,
নেই তোমার আগমন... বিচরণ...
চোখের আড়াল নাকি মনকে আড়াল করে,
ভাবতেই জল ভরা চোখ, কেঁদে ওঠে মন..।
কেমন যেন একটা কষ্টের হাওয়া, বয়ে চলছে
বুকের ভেতর, দুমড়ে মুচড়ে লন্ড ভন্ড করে
দিচ্ছে আমার সব.. সবকিছু ।
কষ্ট গুলো কষ্টের পাহাড় গড়ে, দুঃখ গুলো
বেদনার হাত ধরে, ভাল লাগা গুলো শূন্যতায়
ভর করে, নিয়েছে আমার পিছু..।
আজ মনে হচ্ছে তোমার অপমান গুলোইতো
মধুর ছিল.. অবহেলা গুলোও বেশ..!
কথা কাটাকাটি, ঝগড়া ঝাটি, মান অভিমান,
শেষ হয়েও যেন আবার হতোনা যেন শেষ..।

............... ইতি তোমার 'পাগলু সায়ন' ৷৷

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে আমার পোস্টের সম্পৃক্ততা বুঝলাম না।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:

এই পোষ্ট আমি না পড়েই মন্তব্য করব--------------- :)
কারণ বইমেলায় বইটা কিনেই আপনার লেখা এই চমৎকার চিঠিটা পড়েছিলাম। অবশ্য আপনার অটোগ্রাফ পাইনাই। :(
খুব সুন্দর লিখেছেন কবি। আপনার লেখা এই ধরনটা বেশ চমৎকার।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: ফাঁকিবাজি চলবেনা কবি৷আগে পড়লেও আবার পড়ে তবেই মন্তব্য করতে হবে B-) হাহাহা
বইটি সংগ্রহ করায় খুব ভালো লেগেছে। আমার আবার অটোগ্রাফ। হেহ B:-)
লেখার প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হলাম। ভালো থেকো।

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওয়াও !!
দারুন করে লিখছো, প্রিয় শহর কে নিয়ে ;
আমাদের মনে হয় সবার ই ব্যক্তিগত কিছু স্মৃতি আছে , ততখানি ই আছে অনুযোগ এ শহর কে নিয়ে -
স্নিগ্ধ সকালের মায়ার প্রলেপ , তক্ষক ডাকা দুপুরের কোলাহল নির্জনতা সন্ধ্যার অবসন্নতা অথবা রাতের নিয়ন আলোর মেকওভার ।
সব রুপেই সে অনন্য প্রিয়তম।


নস্টালজিক লেখা সায়মা।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: ঠিক আপু। শহরটা প্রেমিক/প্রেমিকার মত। কাছে থাকলে মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে। আর দূরে গেলে মন পোড়ে।
আমি তো আপনার মত এত সুন্দর করে লিখতে পারিনা৷ এইযে আপনি দুই লাইনেই কত সুন্দর করে বললেন!
অসংখ্য ধন্যবাদ আর ভালোবাসা আপু।

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপনার চমৎকার চিটি পড়ে পড়ে চিটির ভাষায় একটা কবিতা দিলাম; এটা ফান; আশা করি মনে কিছু নেবেন না৷(ধন্যবাদ)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪২

উম্মে সায়মা বলেছেন: ও আচ্ছা। ওকে।

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা ,




সেই তিলোত্তমা শহরটি আর তিলোত্তমা নেই , কালের বিবর্তনের হাওয়ায় তার চেহারা এখন পার্লারে সেজে ওঠা রংয়ের পলেস্তারা নিয়ে নকল একটি মুখাবয়ব । এখানে প্রান নেই , যে প্রান ফেলে রেখে গেছেন একদিন । তবুও একদিন না একদিন নাড়ীতে টান ধরে ! তেমন টানেই এই লেখা ।
বেশ সুন্দর , ছাদের চিলেকোঠার জানালা দিয়ে দেখা উদোম আকাশের মতোই খোলা ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: অনেকদিন পর আহমোদ জী এস ভাইকে আমার লেখায় পেয়ে কি যে ভালো লাগছে। :)

যে প্রান ফেলে রেখে গেছেন একদিন
জানি তো একটু একটু৷ তবু মন আনচান করে। একটু আগেই মনিরা আপুকে প্রতিমন্তব্যে বলেছি কাছে থাকলে মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে আর দূরে গেলে ভালোবাসা বেড়ে যায়।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন।

১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: তিলোত্তমা,
আমি আবার একদিন ফিরে আসব তোমার বুকে। ধূলোমাখা পথে, ব্যস্ত মানুষের ভীড়ে। ফিরে আসব ভালোবাসার টানে, নাড়ীর টানে। ততদিন তুমি ভালো থেকো। অনেক অনেক ভালো থেকো।।


হ্যা এতো দিন বাইরে থাকি ! এতো আলোঝলমল শহর এখানে I স্কাই স্ক্রাপারে ঢাকা আকাশ, চোখ জুড়ানো জ্যামহীন রাস্তা, পৃথিবীর সবচেয়ে দর্শনীয় গাড়ি গুলো কি অবহেলায় চলছে সারা দিন ! দুই পাশে দুই মহাসাগর যেন গলায় নীল মালা জড়িয়ে দিয়েছে, আকাশ ছোয়া পাহাড় I সবই আছে এখানটায় তবুও ঢাকা এখনো কল্লোলিনী তিলোত্তমা সেখানেই নুয়েছে আমার হৃদয় I আপনার ভাবনার মতোই I অনেক অনেক ভালো লাগা লেখায় I

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৪

উম্মে সায়মা বলেছেন: কী সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন মলাসইলমুইনা ভাই।
আসলেই তাই। এখানে এত পরিচ্ছন্নতার মাঝে থাকি। সব ধরনের সুযোগ সুবিধা। তবু মনে হয় আত্মার একটা অংশ যেন কোথায় ফেলে এসেছি।
আপনার ভালো লাগা অনুভবটুকু সযতনে তুলে রাখলাম।
ধন্যবাদ জানবেন।

১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

শিখা রহমান বলেছেন: সায়মা মনি আমার প্রিয়তম শহরকে এমন সুন্দর করে লেখা চিঠিটা মনে হলো আমারই মনের কথার অনুরণন তুলেছে। মনে মনে এমন চিঠি তিলোত্তমাকে প্রায়ই লিখি। শুধু তোমার মতো এমন সুন্দর করে লিখে ফেলতে পারি না।

"তিলোত্তমা,
আমি আবার একদিন ফিরে আসব তোমার বুকে। ধূলোমাখা পথে, ব্যস্ত মানুষের ভীড়ে। ফিরে আসব ভালোবাসার টানে, নাড়ীর টানে। ততদিন তুমি ভালো থেকো। অনেক অনেক ভালো থেকো।"
এই ভাবনা নিয়েই প্রবাসে প্রতিটা দিন কাটাই।

লেখায় অনেক অনেক ভালোলাগা আর তোমাকে এত্তো ভালোবাসা। ভালো থেকো তুমি আর ভালো থাকুক আমাদের তিলোত্তমা।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: তিলোত্তমাকে লেখা আপনার চিঠি আমারটার চেয়েও সুন্দর আর অন্যরকম মায়াময় হবে। লিখে ফেলুন আপু প্লিজ :)
প্রশংসা পেয়ে এত্ত এত্ত খুশি লাগছে আপু৷ অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।

১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: তিলোত্তমা,
আমি আবার একদিন ফিরে আসব তোমার বুকে। ধূলোমাখা পথে, ব্যস্ত মানুষের ভীড়ে। ফিরে আসব ভালোবাসার টানে, নাড়ীর টানে। ততদিন তুমি ভালো থেকো। অনেক অনেক ভালো থেকো।।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
তিলোত্তমা শহর আরতো নেই, আমরা তার জন্য শোক প্রস্তাব দিতে পারি ।
শুনেছি উচ্চ মাত্রায় দূষনযুক্ত নগরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হবার নেশায় মত্ত ।
দেখতে পাচ্ছি "প্রিয়তম শহর,প্রিয়তম শহর অনেকেই কান্না করছে কিন্তু
তাহারা এই শহরে আর বসবাস করেন না ।
শিশু বেলায় আমাদের খেলনা পাতি বা খেলার সাথীর কথা মনে পড়লে মনটা কেমন কেমন করে
কিন্ত তার জন্য কিছুই করতে ছুঁটে যাইনা ।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
ধন্যবাদ ! গ্রাম ছাড়া ঐ রাঙা মাটির পথকে স্মরণ করার জন্য

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: তাই হয়। দূরে গেলে মায়াটা যেন আরো বেড়ে যায়। যখন আর কিছুই করার থাকেনা। ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল।
প্রতিমন্তব্যে বিলম্বের জন্য দুঃখিত।

১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: দারুণ চিঠি।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ।
প্রতিমন্তব্যে বিলম্বের জন্য দুঃখিত।

১৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

উম্মে সায়মা বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ সনেট কবি ভাই। আপনার সনেট রেকর্ডে শুভ কামনা৷
প্রতিমন্তব্যে বিলম্বের জন্য দুঃখিত।

১৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: তিলোত্তমা,
আমি আবার একদিন ফিরে আসব তোমার বুকে। ধূলোমাখা পথে, ব্যস্ত মানুষের ভীড়ে। ফিরে আসব ভালোবাসার টানে, নাড়ীর টানে। ততদিন তুমি ভালো থেকো। অনেক অনেক ভালো থেকো।।

মন ছুঁয়ে গেল।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: চিঠি থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে মন্তব্য করায় ধন্যবাদ :)
প্রতিমন্তব্যে বিলম্বের জন্য দুঃখিত।

১৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

রাকু হাসান বলেছেন: আগে পড়ে গিয়েছিলাম । মন্তব্য করতে পাারিনি বলে আবার আসা :)
আমার শহর নিয়ে খুব চমৎকার কাব্য ।শহরের প্রতি ভালোবাসা,টান এবং উপস্থাপন ভঙ্গি সব কিছু আমাকে মুগ্ধ করেছে আপু । :)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: দ্বিতীয়বার এসে পোস্টে মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানবেন।
প্রতিমন্তব্যে বিলম্বের জন্য দুঃখিত।

১৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৬

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: আপু ভাল লেগেছে খুব।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

উম্মে সায়মা বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ।
প্রতিমন্তব্যে বিলম্বের জন্য দুঃখিত।

১৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে আপু।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

উম্মে সায়মা বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ।
প্রতিমন্তব্যে বিলম্বের জন্য দুঃখিত।

১৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

আখেনাটেন বলেছেন: যেভাবে তিলোত্তমা ঢাকাকে এঁকেছেন এক কথায় অপরূপ।

আচ্ছা দালান, রাস্তা আর গাছেদের কি স্মৃতি থাকে? মায়া থাকে? আমার মত? মানুষের মত? ইশ আমি যদি ইট সুরকীর তৈরি দালান হতাম! নাহয় পিচঢালা রাস্তা! কিংবা একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা নির্বিকার গাছ! তবে আমার কোন রাগ, ঘৃণা, হিংসা, লোভ থাকতোনা। সুখদুঃখের বোধ থাকতোনা, কোন স্মৃতি থাকতোনা আর মায়া থাকতোনা। আমি কত সুখী হতাম! -- চমৎকার।

যদিও ঢাকার এখন অনেক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ। পরিবর্তন তো হবেই৷ তবু তো প্রাণের শহর। ভালোবাসার শহর।
প্রতিমন্তব্যে বিলম্বের জন্য দুঃখিত। একটু ব্যস্ত থাকায় এবং কিছুটা ব্লগিং ব্লক থাকায় বেশ কিছুদিন ব্লগ থেকে দূরে ছিলাম৷ ভালো থাকবেন।

২০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: থাক থাক আর এতো দুঃখা করতে হবে না।
বরং তুমি সুখেই থাকো সারাটা জীবন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

উম্মে সায়মা বলেছেন: হাহাহ। আচ্ছা করলাম না দুঃখ আযহার ভাই৷
ফিরে এসে আবার মন্তব্য করায় আবারো ধন্যবাদ।

২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রবাসে বসে তিলোত্তমা শহরকে নিয়ে এ স্মৃতিকাতরতা পাঠকের হৃদয় স্পর্শ করে যায়! বিদেশে নিজ দেশ, নিজ শহরের কথা বেশী মনে পড়ে।
অনেকের মন্তব্য ভাল লেগেছে। আপনার কিছু প্রতিমন্তব্যও।
পোস্টে ভাল লাগা + +

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

উম্মে সায়মা বলেছেন: বিদেশে নিজ দেশ, নিজ শহরের কথা বেশী মনে পড়ে
ঠিক তাই খায়রুল আহসান ভাই৷ দূরে থাকি বলেই হয়তো বেশি মনে পড়ে, মিস করি।
পাঠ, মন্তব্য এবং প্লাসে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

২২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চমৎকার চিঠি যা কিনা স্মৃতির নহরে ভাসায়ে দিলে। প্রবাসীরা যেমন করে তার মার্তভূমিকে ভাল বাসে, যারা দেশে থাকে তারা কি তেমন করে বাসে?

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৫:০৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: ঠিক বলেছেন সুজন ভাই। প্রবাসে থাকলে কেন যেন নিজের দেশের মাটির প্রতি এত আবেগ সৃষ্টি হয় আল্লাহই জানেন।
পাঠে এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৩| ০৯ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:২৪

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: বাহ্ সুন্দর চিঠি তিলোত্তমাকে সম্বোধন করে।

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৫:০৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।

২৪| ০৯ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৩৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর !

২৪ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৫:০৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.