নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারন। অনিন্দ্য কিছু নই।

উম্মে সায়মা

সখী ভালোবাসা কারে কয়...

উম্মে সায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুলি দিয়ে আঁকা শৈশবঃ মাতৃভূমি পর্ব

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৬




আমার শৈশবের বেশ ক'বছর কেটেছে একদম অজ পাড়া গাঁয়ে। আদর্শ গৃহস্থ বাড়িতে৷ চারদিকে গাছগাছালির জঙ্গল। ছোট ছোট টিনের চালার ঘর৷ মাঝে দু'একটা পাকা বাড়ি। শান বাঁধানো ঘাট। গোলা ভরা ধান আর পুকুর ভরা মাছ। গোয়ালে গরু আর গরুর বাছুর, ছোট ছোট খোপে হাঁস, মুরগী আর কবুতর৷ হেমন্তে পাকা ধানের গন্ধে বাড়ি ম ম করত। উঠোন জুড়ে সেদ্ধ ধান শুকোতে দেয়া হত৷ আমাদের ছোটদের দায়িত্ব ছিল দাওয়ায় একটা লম্বা লাঠি নিয়ে পাহারা দেয়া মুরগী কিংবা কাকে ধান খেয়ে ফেলল কিনা। আবার বড়দের দেখাদেখি মাঝে মাঝে ধান মাড়াই দিতাম। তখন নিজেরাই দৌড়ানি খেতাম। শীতের সকালে সবাই মিলে হৈ চৈ করে গরম গরম ভাপা পিঠা,নারকেলের পিঠা আর খেজুর রসের পায়েস খাওয়া। জৈষ্ঠ্যে প্রায় ভোর রাতে সবাই ঘুম থেকে ওঠার আগেই ছোট খালামনির সাথে আম কুড়াতে যেতাম। আলো আঁধারিতে ঠিক মত ঠাওর করা যেত না। তবু দু'একটা চোখে পড়ে গেলে দৌড়ে গিয়ে তুলে এনে টুকরিতে রাখতাম। কাঁচাপাকা, ছোট-বড়, ফেটে যাওয়া, কাদায় মাখামাখি গুটিকয়েক আম পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে বাড়ি ফিরতাম। আবার বাড়িতেই লাকড়ির চুলায় মুড়ি ভাজা হত। নানু একটা ইয়া বড় মাটির হাঁড়িতে বালি গরম করে তাতে চাল দিয়ে কলাপাতার ডাল দিয়ে নাড়তে থাকতেন। কিছুক্ষন পর কী সুন্দর মুড়ি ফুটে যেত! দেখতেই এত ভালো লাগত। তারপর গরম গরম কিছু মুড়ি থেকে বালি ছেঁকে আমাদের ছোটদের খেতে দেয়া হত। নানাবাড়িতে সারি সারি নারকেল-সুপুরি গাছ ছিল। নারকেল ভেঙ্গে তেল নেয়া হত। একদম খাঁটি নারকেল তেল। তেল নেয়ার পর নারকেলের অবশিষ্টাংশ থেকে একজাতীয় খাবার তৈরি হত। দারুন সুস্বাদু। সবাইকে দেয়ার পরও আরেকটু নিয়ে এসে লুকিয়ে লুকিয়ে খেতাম৷ প্রতিদিন ভোরে নানাভাই গরুর দুধ দুইতে বসত। আমরা দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখতাম। কাছে গেল গুঁতো খাওয়ার ভয় ছিল। গরুকে খড়ের গাদা থেকে খড় নিয়ে খেতে দিতাম। কাজের ছেলেটা গরু চরাতে নিলে আমরাও পিছু পিছু যেতাম। মাঠে গরু বেঁধে সবাই মিলে কানামাছি খেলতাম। সপ্তাহান্তে পুকুরে বড় জাল ফেলে মাছ ধরা হত। নানাভাই দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করতেন। আমরা সবাই বড় বড় চোখ করে গুনতাম কয়টা মাছ ধরা পড়ল। আবার কখনো নিজেই বড়শিতে মাছ ধরতে যেতাম। যদিও কখনো তেমন সুবিধা করতে পারতাম না। তবু হঠাৎ দু'একটা পোনা ছিপে ধরা দিলে খুশিতে টগবগ করতাম। নানাভাই চেম্বারে যাবার পর ছোট খালামনি রেডিও চালু করে দিত। সেখানে একের পর এক আধুনিক গান বাজতে থাকত। কোন অর্থ বুঝে না এলেও সে গানগুলো হয়ে উঠত ভীষণ প্রিয়। সারাদিন কেমন একটা উৎসব উৎসব ভাব থাকত বাড়ি জুড়ে৷

খুব ভোরে ঘুম ঘুম চোখে মক্তবে আরবী পড়তে যেতাম। বয়স পাঁচে পড়তেই মা স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন। কী করে যেন আমার ধারনা হয়েছিল স্কুলটা আমার নানাভাইদের৷ বড় খালামনি সে স্কুলেই শিক্ষকতা করতেন। তার উপর বাড়ির গন্ডি পেরুলেই স্কুল। বেশ কিছুদিন এ ভ্রান্তিতে ছিলাম। স্কুলে সবার সাথে খুব বাহাদুরি করে বেড়াতাম। আমার দাপটে কারো টেকার জো ছিলনা৷ বাবা তখন দেশের বাইরে ছিলেন। মা শিক্ষকতা করতেন। বাড়ি ফিরতে প্রায় বিকেল। তাই শাসন বারনের বালাই ছিলনা৷ আমার বেড়ে ওঠা নানু আর খালামনিদের মাঝে। একবার অঙ্ক কষতে ভুল করায় ছোট মামা চোখ রাঙিয়েছিলেন। পিঠে কয়েকটা উত্তম মধ্যমও বোধহয় পড়েছিল। এরপর থেকে ভয়ে আর অভিমানে মামার তেমন একটা কাছে ঘেঁষতাম না। এমন আরেক ভীতি ছিল বড় খালু। চাকরির সুবাদে তিনি ঢাকাতেই থাকতেন। ছুটিছাটায় বাড়ি এলে দিনের বেশিরভাগ সময় খালাতো ভাইদের পড়ার তদারকি করতেন। আর বাকিসময় বাগানের গাছ দেখাশোনা করতেন। কোনক্রমে যদি উনার সামনে পড়ে যেতাম আমাকেও পড়তে বসিয়ে দিতেন। 'দেখি এই অংকটা কষে দে তো সায়েমা।' কিংবা 'ভোর হল' কবিতাটা শোনা তো খালুকে।' বা 'ইংরেজী কোন্ রাইম পারিস শোনা তো।' না পারতে কখনো খালুর সামনে পড়তাম না। উনার ঘরের সামনেই ছিল বাড়ির মূল উঠান। মেঝেতে পাটি বিছিয়ে বসতেন সবসময়। দরজা হাট করে খোলা থাকত। ভয়ে আমি সেই ঘরের সামনে দিয়ে কোথাও যেতামনা। পুকুরে যাবার দরকার হলে বাড়ির পেছনের জঙ্গল হয়ে ঘুরপথে যেতাম। তবু খালুর সামনে পড়া যাবেনা। বেচারা অনিক ভাইয়ার জন্য করুণা হত তখন। আমার সারাদিন কাটত দুরন্তপনায়। ঢিল মেরে এর গাছ থেকে বরই, ওর গাছ থেকে লিচু পেড়ে খাওয়া। কারো গাছ থেকে ফুল এনে মালা গাঁথা। কেউ নানাভাইদের কোন গাছের ফল পেড়ে নিয়ে গেল কিনা পাহারা দেয়া৷ ধরতে পারলে আচ্ছামত শাস্তি দেয়া। নানাভাইদের ঘরের সাথে লাগোয়া দুটো পেয়ারাগাছ ছিল। আর কোন গাছে চড়তে না পারলেও অনেকগুলো ডাল থাকায় সেই গাছে চড়তে পারতাম। গাছ বেয়ে একটু উঠলেই ঘরের চালা নাগাল পাওয়া যেত। পেয়ারা পেড়ে সেখানে বসে বসে খেতাম। পাড়া বেড়ানো শেষে ফিরলে কোন এক খালামনি ধরে বেঁধে খাইয়ে দিত। বাড়িতে আমার সমবয়সী ছিল আম্মুর এক চাচাতো ভাই। আমার সব দস্যিপনার সঙ্গী ছিল আকিব৷ বাকিরা হয় বেশি ছোট নাহয় বেশি বড়৷ ছোটদেরকে পাত্তা দিতামনা আর বড়দের কাছে পাত্তা পেতাম না৷ তা এ দু'জনই সই৷ দু'জন মিলে এক্কা-দোক্কা, দড়ি লাফ আর মিছামিছি চড়ুইভাতি খেলতাম। মাঝে মাঝে নিউজপেপারে কাগজের তিমি, জাহাজ যা যা টিউটোরিয়াল পেতাম সব বানাতাম। সেসব বানানোর সময় আমাদের উৎসাহ দেখার মত ছিল। নাওয়া খাওয়া ভুলে সারাদিন সেসবে পড়ে থাকতাম।

নানাভাইদের বাড়ির পেছনে একটা বাগান ছিল আমাদের খেলার মূল জায়গা। নাম গাবদুলালী। যদিও সে বাগানে জন্মাবধি আমি কোন গাব গাছ দেখিনি। হাতিরঝিলে হাতি নেই, ধানমন্ডিতে ধান নেই সেরকম অবস্থা। বাগানটা ছিল চারদিক থেকে নারকেল গাছে ঘেরা আর এক কোনায় ছোট একটা খেজুর গাছ। সে গাছটা ছিল আমাদের রান্নাঘর৷ আশপাশ থেকে বুনোফুল, লতাপাতা জোগাড় করে এনে রান্না করা হত। বাগান শেষ হলেই দিগন্তজোড়া ধানক্ষেত। আর তার ওপারে আমাদের পিকনিক বাড়ি। বাড়িটা আগে হিন্দুদের ছিল। শুনেছি মায়ের ছোট ফুফুর শ্বশুর স্বাধীনতার পর কিনে নেয়। বাড়ির নাম ধোপাবাড়ি। বাড়িতে হিন্দুদের পুরনো বাড়ি আর ভাঙ্গা মন্দির তখনো ছিল। আর বাড়িভর্তি ছিল নানান ফল গাছ। আম, আতা, আনারস, কামরাঙা, জলপাই আরো কত কী। মাঝে মাঝেই আমরা দলবল নিয়ে সে বাড়িতে হামলা দিতাম। ধানক্ষেতের কাদামাটির পথ ভেঙ্গে ধোপাবাড়িতে উপস্থিত হতাম। ছেলেরা গাছে চড়ে নানারকম ফল পেড়ে আনত। বড় গামলায় করে নুন-মরিচ এনে মাখিয়ে সবাই মিলে কাড়াকাড়ি করে খেতাম। বাড়ির দিঘীতে একটা নৌকা ছিল। খাওয়া শেষে নৌকা বাইতাম। মাঝে মাঝে সবাই মিলে সাঁতার প্রতিযোগিতা করতাম। তারপর আবার হৈ-হুল্লোড় করে বাড়ি ফেরা। সন্ধ্যা নামলে বড় খালামনি আমাকে আর অনিক ভাইয়াদের নিয়ে পড়াতে বসতেন। আকিবও মাঝে মাঝে আমাদের সাথে পড়তে বসত। একটু পড়তে না পড়তেই বিদ্যুৎ চলে যেত৷ এ ছিল রোজকার নিয়ম। তখন সবাই এক ছুটে উঠানে চলে যেতাম। চাঁদের আলোয় বরফ-পানি, ছোঁয়াছুঁয়ি খেলতাম। জোনাকির পিছে পিছে দৌড়ে বাগানে চলে যেতাম। তারপর কতগুলো জোনাকি এনে ঘরে ছেড়ে দিতাম। তারমধ্যে হারিকেন-কুপি জ্বালানো হলে খালামনি ধরে এনে আবার পড়তে বসিয়ে দিতেন। কিন্তু মন পড়ে থাকত জোনাক পোকায় আর লুকোচুপিতে। আবার কোন কোন দিন বিদ্যুৎ আসতে বেশি দেরী হলে বড়রা উঠানে পাটি পেতে বসত। আমরাও সুযোগ বুঝে গল্প শুনতে এক কোনায় বসে পড়তাম। গল্প শুনতে শুনতে হয়তো সেখানেই কারো কোলে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম।

তারপর একদিন দূর আরব দেশে পাড়ি জমানো। আমূল ভিন্ন পরিবেশ। পাড়া বেড়ানো দুরন্ত চঞ্চল মেয়েটা চার দেয়ালে বন্দী হয়ে গেল। খোলা আকাশে উড়ে বেড়ানো পাখিটা বদ্ধ খাঁচায় ডানা ঝাপটায়। সবুজের বুকে খেলে বেড়ানো মেয়েটা এখন যেদিকে তাকায় কেবল ধু ধু মরুভূমি। তবু শৈশব কোন বাধা মানেনা। সবখানেই আনন্দের উৎস খুঁজে বের করে। সেই ছোট্ট পরিসরেই শিশুমনের খোরাক জোগাড় করা শুরু করলাম.....
(চললেও চলতে পারে :))

০৫.১২.২০১৮
ছবি: গুগল

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪০

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ সনেট কবি ভাই৷

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: শৈশবের কিছু কথা মনে পড়ে গেল। আমি শহরে মানুষ হয়েছি। গ্রাম কি জিনিস বুঝি না। ছোটবেলায় ভীষণ লাজুক ছিলাম, এখনো আছি। কারো সঙ্গে মিশতে পারতাম না তেমন একটা ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: ইশ তাহলে তো আপনি গ্রামের জীবনটা মিস করেছেন। গ্রামের শৈশব খুব মজার হয়। আমার ছোট ভাইবোনের জন্যেও আমার মায়া হয়৷ ওরাও এই আনন্দগুলোর ছোঁয়া পায়নি।
পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ ডার্ক ম্যান।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ সুন্দর লাগলো আপনার শৈশবের স্মৃতিচারণ । আকিবা এখন কি করে? নানা ভাই কি ডাক্তার ছিলেন? যে চেম্বারের কথা বলছেন। এখন তাহলে আরব মুলুকে আছেন । আর চললেও চলতে পারা কেন? লিখতে থাকুন, আমরা অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পর্বের।

শুভকামনা জানবেন।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৩

উম্মে সায়মা বলেছেন:
আকিব এখনো সেই গ্রামেই আছে। ব্যবসা করে। ওর একটা ফুটফুটে ছেলেও আছে :)
আর হুম নানাভাই সরকারী ডাক্তার ছিলেন্। যখনকার কথা লিখেছি ততদিনে মনে হয় রিটায়ার করেছিলেন। চেম্বারে বসতেন।
দেখি এবার আরব মুলুকে উটের পিঠে চড়িয়ে আরেকটু চালাতে পারি নাকি!
অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শৈশবের রঙিন স্মৃতি
দুষ্টু মিষ্টি অনুভূতি.....
মনের মাঝে আঁকা আছে যত্নটি করে.....
থাকবে চিরকাল মনের মানসপটে.....
সময়ের টানে কত কি যে হারিয়ে যায়....
কিন্তু শৈশব খোয়াবার নয়....

চলুক না শৈশবের লালগাড়িটা.... :)

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪২

উম্মে সায়মা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আর্কিওপটেরিক্স।
আপনিও শেয়ার করুন না আপনার শৈশবের রঙ্গিন স্মৃতিগুলো....

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদম মায়া মমতায় জড়াজড়ি করি
মোর গেহখানি রহিয়াছে ভরি,
মায়ের বুকে, বোনের আদরে, ভায়ের স্নেহের ছায়,
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়।
ধরনের লেখা !! চমৎকার শৈশব কাটিয়েছ তুমি সায়মা মনি !! জানো তো, স্মৃতিকথা পড়তে বসলে সব সময় দুই' টা জানালা খুলে যায়; লেখকের সাথে পাঠকের নিজের স্মৃতির জানালা, আর এ জন্যই সবসময় স্মৃতিকথা পড়তে ভালোবাসি। শৈশব স্মৃতি হলে ও একেবারে স্মৃতি কাতরতায় পেয়ে বসে।

সুলিখিত তোমার এই তুলি দিয়ে আঁকা শৈশবঃ মাতৃভূমি পর্ব মনের স্মৃতিপটে আঁকা শৈশব স্মৃতিকে ছুঁয়ে গেলো। স্পর্শ করে গেলো মায়ার বাঁধন !!! অনেক অনেক ভালোলাগা লেখায়।

ভালোবাসা আমাদের মিষ্টি মেয়ে।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: কী সুন্দর একটা মন্তব্য করলেন মনি আপু। আপনাদের মন্তব্যও যেন শিল্প!
আমরা আবদ্ধ স্মৃতির বাঁধনে........
আপনার স্মৃতির জানালা যেহেতু কিছুটা খুলেই গেছে তো এবার পুরোটাই মেলে ধরুন। আমরা আপনার আরো স্মৃতিকথা জানতে চাই৷ সেই অপেক্ষায়....
আপনাদের ভালোবাসাতেই এই লেখালেখি চালিয়ে যাওয়া আর শত ব্যস্ততার মাঝেও বারবার ব্লগে ফিরে আসা। সেজন্য কৃতজ্ঞতা আর অনেক ভালোবাসা আপু।

৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

অপ্‌সরা বলেছেন: কি সুন্দর শৈশব!

আসলেই তুলি দিয়ে আঁকা ....

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: হুম আপু :)
অসংখ্য ধন্যবাদ।

৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০৫

শিখা রহমান বলেছেন: সায়মা মনি লেখাটা এমন সুন্দর, ছবির মতোই সুন্দর শৈশব। নস্টালজিক করে দিলে। মন হারালো সেই ফেলে আসা রং বেরঙয়ের বন্ধনহীন চিন্তাহীন দিনগুলোতে।

ভালোবাসা আর ভালোবাসা মিষ্টি স্মৃতিগুলোকে আর মিষ্টি লেখিকাকেও। শুভকামনা সতত মেয়ে!!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

উম্মে সায়মা বলেছেন: শৈশবের স্মৃতি সবসময়ই নস্টালজিক করে দেয়। আপনারও রং বেরংয়ের শৈশবের দিনগুলো নিয়ে লিখে ফেলুন না আপু। আমরাও হারাই....
পাঠে এবং এমন আদুরে মন্তব্যে অনেক অনেক ভালোবাসা শিখা আপু৷ ভালো থাকবেন।

৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:০৭

হাবিব বলেছেন: লাইক দিব না কমেন্টস করবো বুঝতেছি না.......!!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: হাহাহা। একটা দিলেই হল। এত ভাবার কি আছে!
ধন্যবাদ জানবেন।

৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২১

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা। বেশ গোছানো ছিমছাম, পরিপাটি।
আপনার লেখা পড়তে পড়তে আমিও আমার ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম।

ভালো থাকুন।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনাকে ছেলেবেলায় ফিরিয়ে নিতে পেরেছি জেনে ভালো লাগল।
পাঠে এবং মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই

১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সায়মাপু,কি সুন্দর করে নিজের শৈশবকে বর্ননা করলেন!!
আপনার শৈশবের সাথে আমার শৈশবের দিন গুলোর অনেক মিল আছে।চোঁখের সামনে সেই দিন গুলো ভেসে উঠছিল।
শৈশবের দিন গুলোর কথা মনে হলে মনটা খারাপ হয়ে যায়।মনে হয় আবার যদি সেই দিন গুলি ফিরে পেতাম।
মাঝে মাঝে সময় করে লিখুন।লেখার মাধ্যমেই ফিরে পাবেন নিজের হারানো দিন গুলোকে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: আমরা যারা শৈশব কাটিয়েছি গ্রাম্য পরিবেশে তাদের কম বেশি সবারই শৈশবের দিনগুলোর মিল আছে সোহেল ভাই। ইশ আসলেই যদি ফিরে পেতাম সেই দিনগুলো!
পাঠে এবং মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো আছেন আশা করি।

১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

সুমন কর বলেছেন: দুরন্ত শৈশবের অসাধারণ স্মৃতিচারণ........সাবলীল লেখা এবং সবার জীবনে এমন একটি শৈশব আড়ালে লুকিয়ে থাকে।
+।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

উম্মে সায়মা বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ সুমনদা। অনুপ্রাণিত হলাম.....

১২| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: শৈশবের কিছু কথার ঝুলি মেলে বসেছেন যখন চালিয়ে যান পড়ে জেনে যাই আরো। অনেক মজার ছিল আপনার শৈশব। এখন কেমন আছে বোনটি আমার?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

উম্মে সায়মা বলেছেন: চেষ্টা করব আরেক পর্ব লেখার সুজন ভাই। ধন্যবাদ।
আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷ আপনি কেমন আছেন? আর রোহান বাবুটা?

১৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২২

তারেক ফাহিম বলেছেন: আহ শৈশব, আপনার তুলি দিয়ে অাঁকা শৈশব মাতৃভুমি পড়তে পড়তে আমি একেবারে শৈশবেই হারিয়ে গেলাম। আপনার লিখা পড়ে শৈশবের অনেক অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। আপনার নানুর বাড়ীতে কাটানো শৈশবের সব মিল আমার শৈশবেও ছিলো। পার্থক্যটা হল, আমার নিজের বাড়ী আপনার নানুর বাড়ী B-)

তুলি দিয়ে খুব সুন্দর করে ফুঁটে তুলেছেন শৈশব স্মৃতি।

পাঠে অনেক অনেক ভালোলাগা ++

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনাকে শৈশবে হারাতে পেরে ভালো লাগছে। সব মিল আছে? কেবল বাড়ি ছাড়া? তাহলে দেখুন আবার আমার নানু বাড়ি আপনার বাবার বাড়ি নয়তো? ;) হাহাহা।
ধন্যবাদ জানবেন।

১৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৪

পুলক ঢালী বলেছেন: আপনার লেখা পড়তে পড়তে জল রং এ আঁকা কোন ক্যানভাসের ছবি যেন প্রাণ পেয়ে চলমান চিত্র হয়ে গেল আর সেই চলচিত্রের সুখময় মূহূর্তগুলি যেন আবার নুতন করে ধরা দিল। :)
কেমন আছেন? শুনলাম ঢাকায়/দেশে এসেছিলেন! এখনো আছেন নাকি চলে গেছেন! নাকি ভূয়া খবর আমার কানে এসেছে :D
যাই হোক উটের মত ভারবাহী আর কষ্টসহিষ্ণু প্রানীর মত লেখার বোঝাটা কাধে বয়ে এগিয়ে যাবেন এই প্রত্যাশা রইলো ভাল থাকুন। :)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: আরেহ পুলক ভাই যে? পথ ভুলে এদিকে? আপনাকে আমার পোস্টে দেখে খুব ভালো লাগছে :)
প্রশংসা পেয়ে আপ্লুত হলাম। ধন্যবাদ ধন্যবাদ।
আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷ আপনি? আপনি সবসম ভুয়া খবরটাই পাবেন। কাজের কোন খবর পাবেননা :P
ইশ কতদিন আড্ডাঘরে যাইনা৷ সবাইকে মিস করি।
চেষ্টা করব আরেকটা পর্ব লিখতে৷
ভালো থাকুন পুলক ভাই।

১৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

রাফা বলেছেন: বাহ্ বেশ চমৎকার শৈশবের সৃতিচারন ।এরপর পরের পর্বে নাহয় কৈশরটা ফিরে দেখা হোক।হুট করে মরুর বুকে কেনো!!

ধন্যবাদ,উ.সায়মা।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

উম্মে সায়মা বলেছেন: হুট করে মরুর বুকে কেনো!!
এর পরপরই যে মরুর বুকে চলে যাওয়া হয়েছিল! তাই।
ধন্যবাদ জানবেন।

১৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা,




সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি................রইলোনা.....

এ যেন তুলি দিয়ে নয়, হৃদয়ের ক্ষরিত রক্তে লেখা শৈশব স্মৃতির পত্রখানি! নষ্টালজিয়ায় ভাসিয়ে নিয়ে গেলেন।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: ঠিক তাই আহমেদ জী এস ভাই। এ তো হৃদয়ের ক্ষরিত রক্তে লেখা শৈশব স্মৃতির পত্র
অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন৷ আশা করি ভালো আছেন।

১৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৩৮

কাতিআশা বলেছেন: বাহ্‌!..বেশ সুন্দর লাগলো আপনার শৈশবের স্মৃতিচারণ ! লেখায় ভালো লাগা রইল!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২০

উম্মে সায়মা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ কাতিআশা৷ ভালো থাকবেন।

১৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪

জুন বলেছেন: চমৎকার শৈশব উম্মে সায়মা। শহুরে জীবন হলেও ছোটবেলায় দাদা বাড়ি বেড়াতে গেলে ঠিক আপনার আকা ছবির মত একটি গ্রামেই যেতাম। অনেক ভালোলাগলো আপনার লেখাটি।
+

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

উম্মে সায়মা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ জুন আপু :)

১৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিরোনামটি যথার্থ হয়েছে; খুব সুন্দর একটি ছবি এঁকেছেন, কথার তুলি দিয়ে।
আমি ঢাকায় মানুষ হয়েছি। তবে দুই এক বছর পর পর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে নানাবাড়ী-দাদাবাড়ী যাওয়া হতো। তখন মাসখানেক গ্রামে থাকা হতো, মুক্ত স্বাধীন পরিবেশে। আপনি যেসব স্মৃতির কথা বলেছেন, তেমন স্মৃতি আমারও অনেক আছে। নানা গাই দোয়ানোর সময় আমিও পাশে দাঁড়িয়ে থাকতাম আর দেখে অবাক হয়ে ভাবতাম, দুই হাঁটুর মাঝখানে রাখা দুধপাত্রটিতে কী করে সবগুলো দুধের ফোঁটা একেবারে জায়গামত গিয়ে পড়ছে! বাছুরটাকে দিয়ে কিছুক্ষণ দুধ টানানোর পর আবার তাকে বেঁঁধে রাখা হতো, আর সে দুধ খাবার জন্য ছটফট করতো, এ দৃশ্যটা দেখতে ভাল লাগতো না। হাতের মুঠোয় জোনাক আটকে রাখার স্মৃতিও অনেক আছে। আর আছে সাইকেল চালানো শেখার স্মৃতি। নানার বাড়ীতে কেউ একটা সাইকেল নিয়ে দেখা করতে এলেই আমি আর আমার একটা খালাতো ভাই সাইকেলটা নিয়ে মেঠো পথে বেড়িয়ে পড়তাম।
জেদ্দায় কি অনেকদিন ধরে আছেন? সেখানকার সমাজ ও জীবন সম্পর্কেও কিছু একটা লিখতে পারেন।
ভাল থাকুন, শুভকামনা----

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই। গ্রামের স্মৃতি সবারি মোটামুটি একরকম হয়। আপনারও কিছু স্মৃতিকথা জানতে পেরে ভালো লাগল। এখানের জীবন সম্পর্কেও লেখার ইচ্ছে আছে। সময় করে লিখব কিছু।
ভালো থাকবেন।

২০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৯

রাকু হাসান বলেছেন:

অনেক দিন পর ব্লগে দেখলাম । কেমন আছেন আপু ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ রাকু ভাই। আপনি কেমন আছেন?
অনেকদিন পর এসে আপনি কুশল জানতে চাওয়ায় ভালো লাগছে। ধন্যবাদ।

২১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৪১

রাকু হাসান বলেছেন:

লেখক বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ রাকু ভাই। আপনি কেমন আছেন?
অনেকদিন পর এসে আপনি কুশল জানতে চাওয়ায় ভালো লাগছে। ধন্যবাদ।
-----------আমি ভালো আছি । আসলে কোনো পরিচিত(সহব্লগার) ব্লগার অনেক দিন না আসলে ভালো লাগে না । পোস্ট না করলেও ব্লগে দেখলেও কি যেন একটা অদ্ভুদ ভালো লাাগ কাজ করে । আপনার ক্ষেত্রেও তাই :) । সনেট কবিকে তো এখন দেখিই না ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: হুম। আমিও মাঝে মাঝে এসে তেমন পরিচিত কাউকে না পেয়ে হতাশ হয়ে চলে যাই। ইশ একটা সময় ছিল দিনরাত সারাক্ষণ ব্লগে পড়ে থাকতাম। আর এখন? নিয়মিত ঢুঁ মারাও হয়না!

২২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা ,




নিয়মিত ঢুঁ মারুন। ব্লগের পাঠক সংখ্যা বাড়ুক, বাড়ুক ব্লগের অনলাইন এ্যাকটিভিটি।
শুভেচ্ছান্তে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই, কতবার যে ভাবি এবার নিয়মিত হব তার ইয়ত্তা নেই। তারপরও কেন যেন হয়েই ওঠেনা। কি যে করি সারাদিন নিজেও জানিনা। ব্লগের ঝামেলা হবার পর ব্লগার কমে যাওয়ায় সেই যে অনিয়ম হয়েছে আর ঠিক হচ্ছে না। তবু চেষ্টা করব আসার। আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে খুব ভালো লাগছে৷অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনাদের এ ভালোবাসার জন্যই ব্লগের মায়া ছাড়তে পারিনা।
ভালো আছেন আশা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.