নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অতি সাধারন। অনিন্দ্য কিছু নই।

উম্মে সায়মা

সখী ভালোবাসা কারে কয়...

উম্মে সায়মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুলি দিয়ে আঁকা শৈশবঃ প্রবাস পর্ব

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২১



(বেশ অনেকদিন আগে নিজের শৈশবের গল্প শেয়ার করেছিলাম ব্লগে। সেটা ছিল মাতৃভূমি পর্ব। আর শেষে লিখেছিলাম 'চললেও চলতে পারে'। আজ নিজের ব্লগ স্ক্রল করতে সে লেখা চোখে পড়তে নস্টালজিক হয়ে পড়লাম আর মনে হল অসমাপ্ত রেখে কি লাভ! লিখেই ফেলি নাহয়! তারই ধারাবাহিকতায় অনেকদিন পর আজকের এ পর্ব।)

......তারপর একদিন দূর আরব দেশে পাড়ি জমানো৷ আমূল ভিন্ন পরিবেশ। পাড়া বেড়ানো দুরন্ত চঞ্চল মেয়েটা চার দেয়ালে বন্দী হয়ে গেল। খোলা আকাশে উড়ে বেড়ানো পাখিটা বদ্ধ খাঁচায় ডানা ঝাপটায়। সবুজের বুকে খেলে বেড়ানো মেয়েটা এখন যেদিকে তাকায় কেবল ধু ধু মরুভূমি। আশেপাশে তেমন পরিচিত মানুষজনও নেই। তবু শৈশব কোন বাধা মানেনা৷ সবখানেই আনন্দের উৎস খুঁজে বের করে।

সেই ছোট্ট পরিসরেই শিশুমনের খোরাক জোগাড় করা শুরু করলাম। নতুন খেলার সঙ্গী হল ছোট বোন। বাইরে খেলার বদলে এবার এলাম অন্দরে। বাবার সাথে বের হলেই দু'বোন মিলে পুতুল, পুতুলের ঘর, ছোট ছোট হাঁড়ি-পাতিল, চুলা, খেলনা বাঁশি যা যা পাই সব এনে ঘর ভর্তি করতে লাগলাম। আর বাসার পাশের দোকানে একধরনের ডিমাকৃতির খেলনা পাওয়া যেত। অনেকটা এখনকার 'কিন্ডার জয়ে'র মত। তার ভেতরে ছোট ছোট নানারকম খেলনা আর চকলেট থাকত৷ বাইক, মানুষ, চৌকি, আরো কি কি যেন। আমাদের খেলার মূল উপকরণ ছিল সেগুলো। বাবার সাথে বের হলেই দু'বোনের অন্তত দুটো তেমন ডিম কিনতেই হত৷ সোফার সবগুলো ফোম আর খাটের সব বালিশ নামিয়ে সেগুলো দিয়ে ঘর বানানো হত৷ তার ভেতরে দু'বোন কুটকুট করে গল্প করতাম আর সবগুলো খেলনা দিয়ে খেলতাম। খেলতে খেলতে কখন সকাল পেরিয়ে দুপুর, দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে যেত টেরই পেতাম না৷ মাঝে মা এসে দুটো ভাত দু'বোনের মুখে গুঁজে দিতেন৷ আর সন্ধ্যা হলে খেলাঘর ভেঙ্গে দিয়ে পড়তে বসাতেন। এগুলো সেসময়ের কথা যখন সেখানে যাবার পর কয়েক মাস স্কুলে ভর্তি হইনি। সেসময় বাসায় টিভিতে ডিশলাইন ছিলনা। আরবী চ্যানেলে খুব সকালে কার্টুন দেখাতো। বেশ রাত করে ঘুমালেও কি করে যেন আমরা কার্টুনের সময়টা টের পেয়ে যেতাম। ঘুম থেকে উঠে চোখ কচলাতে কচলাতে টিভির সামনে বসে যেতাম। বাবা বাসায় থাকলে টিভির আওয়াজে তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর অপরাধে মাঝেমধ্যে বকুনিও খেতে হত।

লোহিত সাগর আমাদের শহরের খুব কাছে হওয়ায় প্রায়ই ছুটির দিনে সবাই মিলে সাগর পাড়ে ঘুরতে যেতাম। কখনওবা প্রতিবেশি দু' এক পরিবার মিলে পিকনিকে যেতাম। একেকজন একেক আইটেম রান্না করে নিয়ে যেত। তারপর সাগরের তীরে চাদর বিছিয়ে সবাই মিলে জম্পেশ আড্ডা দিত, তারপর খাওয়াদাওয়া। আর আমরা ছোটরা ছোটাছুটি করে বেড়াতাম। দোলনার দখল পাওয়ার জন্য দোলনার আশেপাশে ঘুরঘুর করতাম। নাহয় বালি দিয়ে উঁচু ঢিবি বানাতাম। মাঝে মাঝে শিশুপার্কে যেতাম। বিভিন্ন রাইডে চড়তাম। একটা রাইড ছিল চায়ের কাপ-পিরিচ। সবগুলো কাপ-পিরিচ একসাথে ঘুরতো আবার আমরা যে কাপে বসতাম সেটাও আলাদাভাবে ঘুরত৷ আরেকটা ছিল আপেল আর পোকা। এটা আসলে ছোটদের রোলার কোস্টার। আরেকটা পছন্দের রাইড ছিল নৌকা। এমন আরো কত কি!  নাহয় এমনি খোলা কোন পার্কে যেতাম। মা-বাবা চাদর বিছিয়ে বসে থাকতেন আর আমরা দৌড়াতাম, ছোঁয়াছুঁয়ি খেলতাম, দোলনায় দোল খেতাম৷ সে দেশে ছুটির দিন মানেই ছিল এমন ঘুরে বেড়ানো। মাঝে মধ্যে বাবা মায়ের সাথে উমরাহ করতে যেতাম। সেসময় একবার হজ্জ করেছিলাম। সেই স্মৃতিও কিছুটা মনে আছে। বাবা সুমাকে কাঁধে আর আমাকে এক হাতে শক্ত করে ধরে রাখতেন। একবার এমন ধূলা ঝড় হল! সামনে কিচ্ছু দেখা যায় না। সম্ভবত তখন আমরা কাবা শরিফ তাওয়াফ করে নিজেদের তাঁবুর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। পথিমধ্যে এ ভয়ংকর অবস্থা।  তাড়াতাড়ি একটা কিছুর আড়ালে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম। তারপর ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমেছিল। আর মনে আছে বাবা মানা করা সত্বেও অনেকটা জিদ করে মানুষের ভীড়ের মধ্যে বাবার সাথে শয়তানকে পাথর মারতে গিয়েছিলাম। ছোটবেলা থেকে মায়ের মুখে এসব গল্প শুনে খুব আগ্রহ জন্মেছিল। আমার ছোট ভাইটা তখনও পৃথিবীতে আসেনি।

ছোট ভাইয়ের জন্মের সময়েরও একটা মজার ঘটনা আছে৷ যখন জানতে পেরেছি আমাদের ঘরে নতুন মেহমান আসবে তখন একদিন এক প্রতিবেশি আন্টি জিজ্ঞেস করলেন আমি ভাই চাই নাকি বোন চাই। আমি নির্দ্বিধায় বলে দিলাম বোন চাই। আমার আরো খেলার সাথী চাই যে! ভাই হলে তো আর আমার সাথে খেলবেনা তখন তাই মনে হত। বাইরে গিয়ে অন্য ছেলের সাথে খেলবে অন্য সব ছেলেদের মত৷ তাছাড়া আমাদের সামনের ফ্লাটে তখন আমাদের সমবয়সী একটা ছেলে ছিল। ওর সাথে আমাদের দু'বোনের একটুও বনতো না। প্রায়ই সেই ছেলে আমাদের প্রিয় কোন খেলনা হাতের কাছে পেলে বারান্দা দিয়ে নিচে ফেলে দিত। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতাও ভাই না চাওয়ার আরেকটা কারণ ছিল। পরে অবশ্য কেউ যদি বলত ভাইকে নিয়ে যাবে তখন খুব রাগ হত। যাচ্ছে তাই শুনিয়ে দিতাম!

প্রবাসে শৈশবের আমার প্রিয় আরেক স্মৃতি হচ্ছে বাবার কর্মস্থল ঘিরে। বাবা তখন একটা হাসপাতালের একাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। হাসপাতালের পাশেই আমাদের বাসা। হাঁটার দুরত্ব। প্রায়ই বাবা আমাদের সাথে করে নিয়ে যেতেন। হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সরা আমাদের খুব আদর করতেন। নিজের বাসার মতই সাচ্ছন্দ্যে আমরা হাসপাতালে ঘুরতাম ফিরতাম। ওয়েটিং এরিয়ায় একটা ফ্রীজ ছিল। সেই ফ্রীজ থেকে আমাদের যখন মন চাইতো যে কোন জুস নিয়ে খেয়ে নিতাম। সব ফ্রী ছিল আমাদের জন্য। ক্যান্টিনের চিপ্স, স্যান্ডুইচ-বার্গারও। বাবা নিশ্চয়ই পরে বকেয়া শোধ করে দিতেন। হাসপাতাল ছিল তখন আমাদের দ্বিতীয় ঘর! হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে একটা ফার্মেসী পড়ত। সেই ফার্মেসীতেও কেন যেন আমাদের খুব যাওয়া হত। সেখানে ঢুকতেই গেটের মুখে সিলিং থেকে বড় একটা ওষুধের বিজ্ঞাপন ঝুলত। সেই বিজ্ঞাপনটা এমন ছিল যে একটা লোকের ঘাড় থেকে মই বেয়ে কতগুলো লোক তার মাথায় উঠে হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছে। প্যারাসিটেমলের বিজ্ঞাপন। খুবই ইন্টারেস্টিং।  সেই বিজ্ঞাপন আমার মাথায় ঢুকে গিয়েছিল। ছবিটি দেখতাম আর কত কি যে মনে মনে ভাবতাম। কেমন করে লোকগুলো মাথায় উঠল! ঝেড়ে ফেলে দিচ্ছে না কেন!  আহ, না জানি কত কষ্ট হচ্ছে লোকটার! আমারো বুঝি মাথা ব্যাথা হলে এমন কতগুলো অদৃশ্য লোক মাথায় উঠে হাতুড়ি দিয়ে পেটায়!

সেসময় একা একা থাকার কারণেই বোধহয় বেশ কল্পনাপ্রবণ হয়ে উঠেছিলাম৷ আমার একটা হাতঘড়ি ছিল গোলাপি রঙের। খুব সুন্দর আর আমার খুব পছন্দের। ঘড়ির মাঝখানে একটা মেয়ে তার পোষা কুকুর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এমন একটা কার্টুন ছিল। আর পানি, স্টার, ছোট ছোট বল আরো কি কি যেন ছিল ভেতরে। গোসলে যাওয়া ছাড়া সারাক্ষণ আমি সেই ঘড়ি হাতে পরে থাকতাম। আর সেই কার্টুনগুলোকে নিয়ে কল্পনার জগতে হারিয়ে যেতাম। আমার মনে হত যেন সেই মেয়ে কুকুর নিয়ে হাঁটছে৷ কত কথাও যেন বলছে। সব যেন আমি দেখতে পাচ্ছি, শুনতে পাচ্ছি। আরেকবার সাগর পাড়ে গিয়ে উটের পিঠে চড়েছিলাম। ছোট বোন ভয় পাচ্ছিল। তাই আমি একাই সওয়ারী হয়েছিলাম। উটের পিঠে নৌকার ছইয়ের মত একটা ছাউনি থাকে। তার ভেতরে বসিয়ে দেয়া হয়। তারপর উটপালক উটটাকে হাঁটিয়ে নিয়ে যায় আর হাঁটার সাথে সাথে সওয়ারী ডানে-বাঁয়ে মৃদু দোল খায়। ছাউনির ভেতরে আসলে কোন খেলনা ছিল কিনা আমার মনে নেই। কিন্তু আমার একটু একটু মনে আছে যেন আমি কিসব নিয়ে ওখানে খেলছিলাম। আর আমার মনে হচ্ছিল লিলিপুটের মত কতগুলো মানুষ, জন্তু-জানোয়ার এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে৷ দু'একটা মনে হল যেন লাফ দিয়ে কিংবা মৃদু দোলের কারণে নিচেও পড়ে গেল। তার জন্য আবার আমার খুব দুঃখও হচ্ছিল। অনেক বছর পর্যন্ত আমি এগুলোকে সত্যি বলেই বিশ্বাস করতাম। একটু বয়স হবার পর বুঝেছি এগুলো সব আমার অবুঝ মনের নিছক কল্পনা ছিল!

এমন করেই সমুদ্রের লোনা ঢেউয়ে ভেসে, মরুর বুকে উট আর ঘোড়ার পিঠে চড়ে, পার্কের দোলনায় দোল খেয়ে কেমন করে কখন যে শৈশব পেরিয়ে গেল, সেই সরলতা আর উদ্যম চঞ্চলতা হারিয়ে গেল, সেই খেলাঘর একেবারে ভেঙ্গে গেল টেরই পাইনি!


২২. ০৪. ২০২১

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ গুগল

মাতৃভূমি পর্ব

শৈশব নিয়ে আরেকটি পোস্ট

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫

শায়মা বলেছেন: শৈশব !!! কত সুন্দর!!

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: সত্যিই আপু। জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়!
আমার পোস্টে এসে মন্তব্য রেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ শায়মা আপু।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি পড়ে ভালো লেগেছে। অবশ্য কখনও বিষন্ন হয়েছি।
খুব সুন্দর লিখেছেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২১

উম্মে সায়মা বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ। কোন অংশটুকু আপনাকে বিষন্ন করেছে নুর ভাই?

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: ভালো লাগলো । কিছুক্ষনের জন্য হারিয়ে গিয়েছিলাম শৈশবে ।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: ধন্যবাদ হাসানাত ভাই। শৈশব এমনই। কোথায় যেন হারিয়ে নিয়ে যায়।

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: খুবই সুন্দরভাবে প্রকাশ করলেন আপনের শৈশব স্মৃতি। না চাইলেও নিজের স্মৃতি চলে আসে।

শৈশব কাটিয়েছিলাম গ্রামে। সেখানে দেখা মেয়েদের পুতুল খেলার পরবর্তী সেরা খেলাটা ছিল পাঁচটি ছোট ছোট্ট পাথর দিয়ে একদরনের খেলা হত এক হাত দিয়ে। অন্য হাতের সাহায্য নেয়া যাবে না। মনে পরে আমরা সেই খেলাটিকে ডাকতাম 'কুথ্যা' বলে। আমি এটা খেলতে পারতাম খুব ভালো। এটা যার সাথে খেলতার সে ছিল খুবই দুষ্ট একটক মেয়ে লোক। হেরে গিয়েও জয় পেয়ে যেতো তার বড় বোনদের কারণে। মেয়েদের সাথে আমি আরো অনেক খেলা খেলেছি। মনে পড়ে না তা আজ খুব বেশি।

অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: হাহাহ। মজা পেয়েছি আপনার মেয়েদের সাথে খেলার অভিজ্ঞতা শুনে। যেমনই হোক শৈশব সবসময়ই আনন্দের।
পাঠে এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ তাজুল ভাই।

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪

ওমেরা বলেছেন: কেমন আছেন আপু ? অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম ।
কত সুন্দর শৈশব কাটিয়েছেন আপু, পিঠাপিঠি দুই বোন কতমজা !
আমি আর আমার আপুও পিঠাপিঠি তবে চৌদ্দ বছরের ডিফারেন্স তাই কোন মজা ছিল ন।
আপু আপনার লিখা ও আপনাকে দেখে অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু ।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩

উম্মে সায়মা বলেছেন: ভালো আছি আপু। আপনি কেমন আছেন? ব্যস্ততার জন্য এখন সময় করে উঠতে পারিনা ব্লগে নিয়মিত আসার।।কিন্তু সবসময়ই মিস করি ব্লগিং করাটা।
আমি আর আমার আপুও পিঠাপিঠি তবে চৌদ্দ বছরের ডিফারেন্স
হাহহা। ১৪ বছর ডিফারেন্সকে বুঝি পিঠাপিঠি বলে? আমিতো জানি বয়সের কম পার্থক্য থাকলে বলে।
একেকজনের শৈশব একেক রকম হয় আপু। সব শৈশবেই থ্রিল থাকে। আমার বিশ্বাস আপনারও আছে। আমার থেকে একদম আলাদা কিন্তু আনন্দের।
ধন্যবাদ পোস্টে এসে + এবং মন্তব্য রেখে যাবার জন্য।

৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা,



মেয়েবেলার স্মৃতি। মরুভূমির মাঝে মরুদ্যানের মতো স্নিগ্ধ লেখা।
প্যারাসিটামলের বিজ্ঞাপনের কথাটা বেশ লাগসই।
আগের লেখাগুলোর লিংক সাথে দিতে পারতেন, ভালো হতো।

নববর্ষের শুভেচ্ছা।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। ভালো সাজেশান দিয়েছেন। আগের পোস্টের লিংক দিয়ে দিয়েছি পোস্টে।
আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।

৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪

ওমেরা বলেছেন: আলহামদুল্লিলাহ ! ভালো আছি আপু।
কি জানি আপু আমার ভুল হতে পারে , পিঠাপিঠি বলতে আমি মনে মাঝখানে আর কেউ নেই।
আলহামদুল্লিলাহ ! আমার শৈশবও ভালো ছিল ।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: একসময় লিখে ফেলেন আপনার শৈশবস্মৃতি। আমরাও পড়ি। ভালো থাকবেন।

৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনি কি সৌদি আরবে থাকেন?

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১

উম্মে সায়মা বলেছেন: ছিলাম ভাই। এখন দেশে আছি।

৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


সব বয়সই ভালো।
ঘুরে বেড়ান।
আনন্দ করুন।
জীবন অনেক সুন্দর।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২

উম্মে সায়মা বলেছেন: অবশ্যই। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আরেব্যাস স্যাম !!! একদম মন ভালো হয়ে গেল ঝুপ করে! জানো তো খুব মিস করি আমাদের ব্লগবেলা :( কিভাবে যে কেমন হয়ে গেলো সব। খুবকরে চাই জাদু মন্ত্রে আবার ব্লগ আগের মত হয়ে উঠুক, তোমার শৈশব স্মৃতি লেখায় আমরা মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যে মেতে উঠি।

একদম শৈশবের ইনসেন্সি লেগে আছে তোমার লেখায়!! কি স্নিগ্ধ সুন্দর স্মৃতিকাতর লেখা।
ভালো থেকো ভালোবাসা নিও।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০০

উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব মিস করি আমাদের ব্লগবেলা
আমিও মনি আপু। খুউউব...। কি মজার দিন ছিল সেসব। আমরা সবাই কত একটিভ ছিলাম ব্লগে। কত আড্ডা দিতাম। মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যে মেতে উঠতাম। ইশ আবার যদি তেমনটা হত!

শৈশবের ইনসেন্সি লেগে আছে তোমার লেখায়
যেন সেই ছোট মেয়েটাই লিখছে তাইনা আপু? আমি আসলেই লেখার সময় সেই শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম।
ধন্যবাদ আর ভালোবাসা অবিরাম মনি আপু :)

১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: স্মৃতি মুছে ফেলা যায় না কিন্তু ফিরেও আনা যায় না

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১৪

উম্মে সায়মা বলেছেন: হুম। স্মৃতি শুধু রোমন্থন করা যায়। ধন্যবাদ

১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪৮

শায়মা বলেছেন: তোমাকে কতদিন দেখি না আপুনি!!!

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: হ্যাঁ আপু। ব্লগে একদম অনিয়মিত হয়ে গেছি। সময়ই করে উঠতে পারিনা।

১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২১

আখেনাটেন বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার লেখা ব্লগে দেখলাম মনে হচ্ছে। :D

লোহিত সাগরের তীরের শৈশবের টুকরো টুকরো মুক্তো। একদিন বুড়ো হলে বারবার এই লেখাগুলো সোনার চেয়ে দামী হয়ে যাবে।

২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪০

উম্মে সায়মা বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার লেখা ব্লগে দেখলাম
হ্যাঁ ভাই অনেকদিন পরই। এখন লেখাই হয় কম। আর পোস্ট তো আরো কম।

লেখাগুলো সোনার চেয়ে দামী হয়ে যাবে।
তাইতো এখন লিখে রাখছি৷ ততদিন এসব মনেও থাকবে নাকি কে জানে৷ লেখা পড়ে অন্তত স্মৃতি ঝালিয়ে নেয়া যাবে। বেঁচে থাকলে।
ধন্যবাদ জানবেন।

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৭

করুণাধারা বলেছেন: কী চমৎকার আনন্দময় দিনের ছবি...

এই উদ্বেগের দিনে পড়তে খুব ভালো লাগলো। :D

২১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২২

উম্মে সায়মা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপু :)

১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: প্রথমে ভেবেছিলাম ছবিটা আপনিই এঁকেছেন।
হাফার আল বাতেন এলাকায় কখনও গিয়েছেন? একদম মরুভূমি।

২১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: না ভাই অত ভালো পেইন্টিং পারিনা যে লেখার সাথে মিলিয়ে এঁকে ফেলব! তবে শখের বশে টুকটাক চেষ্টা করি। এখানে একটার ছবি দিলাম।


এই জায়গায় যাইনি কখনো। ইনফ্যাক্ট মরূভূমিতে যাওয়া হয়নি কখনো। বিভিন্ন শহরে যাওয়া আসার পথে দেখেছি

১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মিস ইউ আপুনি

২১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৬

উম্মে সায়মা বলেছেন: আই মিস ইউ অল এ্যান্ড সামু...

১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো আপনার শৈশবের কথা পড়ে। প্রবাসে দুই বোনের পুতুল খেলা, কিম্বা খেলার সাথী বাড়ানোর জন্য ভাই না চাওয়া, প্রতিবেশী ছেলে বাচ্চার দ্বারা উৎপাত সহ্য করা কিম্বা হসপিটালকে কেন দ্বিতীয় ঘর হিসেবে দেখা সব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।++
কমেন্টে ছোট ভাই রাজীব নুরের সঙ্গে আমিও বললাম শেষে এসে বিষণ্ণ হলাম। কারণ সেই দিন যে আর কখনও আসবেনা ফিরে..
আমাদের প্রত্যেকেরই শৈশবে এমন হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে।যা ভাবলে একনিশ্বাসে আমাদেরকে বিষণ্ণতায় ভরিয়ে দেয়।কি মধুর দিন না গেছে সে সময়।
পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৭

উম্মে সায়মা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ জানবেন পোস্ট পড়ে মন্তব্য রাখার জন্য। ভালো থাকবেন

১৮| ০৭ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১২:১২

পুলহ বলেছেন: গোছানো, পরিপাটি একটা লেখা। আপনার মেয়েবেলার গল্প শুনে কিছুটা স্মৃতিকাতর হলাম,কেননা আমার আব্বাও সৌদি আরব ছিলেন একটা দীর্ঘ সময়। বেশ কয়েকবার ওখানে গিয়েছি-এসেছি, ওগুলোই মনে পড়ছিলো.।.।

ছেলে মানুষ হবার সুবাদে কোনো মেয়েবেলার সাথে পরিচিত হতে ভালো লাগে। অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হয় বলেই মনে করি। ধন্যবাদ আপনাকে সাবলীলভাবে সেই সুযোগটা করে দেয়ার জন্য।

শুভকামনা জানবেন।

২১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনাকে পোস্টে পেয়ে ভালো লাগল। আপনার স্মৃতিকথাও শেয়ার করবেন আশা করি। তাহলে আমরাও মেয়ে হয়ে ছেলেবেলার সাথে পরিচিত হতে পারব। ভালো থাকবেন।

১৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২২

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন আপনার শৈশব স্মৃতিকথা। + +

আপনার কোন একটা পোস্টে এর আগেও আমি বলেছিলাম, জেদ্দায় লোহিত সাগরের তীরে বসে এক সন্ধ্যায় অনেকক্ষণ কাটিয়েছিলাম। তখন গরমকাল হলেও, সন্ধ্যের পর সাগরের হাওয়া বেশ উপভোগ্য ছিল।

মরুভূমিতে শৈশব কাটিয়েও বাংলা ভাষাকে বেশ চমৎকার ধরে রেখেছেন।

ভালো থাকুন, শুভকামনা---

৩১ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৫৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন খায়রুল আহসান ভাই।

লোহিত সাগরের পাড় আসলেই উপভোগ্য একটা জায়গা। চুপচাপ বসে থেকে সাগরের গর্জন শুনতে ভালোই লাগে।

চেষ্টা করি নিজের ভাষাকে নিজের ভেতর লালন করতে।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন।

২০| ০৬ ই মে, ২০২২ রাত ৩:৩৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: দারুণ ++++++++

৩১ শে মে, ২০২২ রাত ৮:৫৯

উম্মে সায়মা বলেছেন: ধইন্যা কবি সাহেব। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.