নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Unpredictableman007

আনপ্রেডিক্টেবল ম্যান

আমার ক্ষেত্রে প্রেডিক্টেবল তাহাই যাহা আনপ্রেডিক্টেবল । কারন, আমি যেখানেই যাই যা কিছু করি আনপ্রেডিক্টেবল কিছু না কিছু ঘটবেই !!!

আনপ্রেডিক্টেবল ম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাজায় যুদ্ধ বিরতি কি বিজ্রাইলের পরবর্তী কৌশল নাকি ধর্ষণ তাদের পরবর্তী অস্ত্র !!!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:০৯

গাজায় যুদ্ধ বিরতি কি বিজ্রাইলের পরবর্তী কৌশল নাকি ধর্ষণ তাদের পরবর্তী অস্ত্র !!!



গতকাল থেকেই গাজায় ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধ বিরতি চলছে । এই যুদ্ধ বিরতি উভয় পক্ষয়ই যেন মানতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ! ঠিক এই অবস্থায় গাজায় চলছে ভূতুড়ে পরিবেশ ! চার দিকে বিজ্রাইলের বর্বর হামলার ধ্বংসস্তুপ আর অপেক্ষমাণ লাশের সারি ! আর এই যুদ্ধবিরতি বিজ্রাইলিরা মানতে বাধ্য হয়েছেন হামাস যুদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পরে । যদিও আগের যুদ্ধবিরতিতে বিজ্রাইল চুক্তি ভঙ্গকরে আশ্রয় শিবিরে হামলা চালিয়ে ছিল ।



কথা হল কেন এই হামলা ! হামলার সূত্রপাত হয়েছে গত ১২ জুন ৩ জন বিজ্রাইলি কিশোর অপহরণ ও হত্যার ঘটনার জের থেকে ! বিজ্রাইল দুষছিল হামাস তাদেরকে অপহরণ ও হত্যা করে, কিন্ত হামাস তা সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করে ! সেই থেকেই যুদ্ধ শুরু এবং গাজায় বিজ্রাইলের আগ্রাসন ! কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে ২৬ জুলাই বিজ্রাইলের পুলিশের মুখপাত্র মিকি রোজেনফিল্ড স্বীকার করেন যে তিন কিশোর অপহরণ ও হত্যার সাথে হামাসের কোন সম্পর্ক নেই ! তাহলে কেন এই আগ্রাসন ?



এই আগ্রাসনে পশ্চিমা বিশ্বের ভূমিকা কি ! তারা আরও বিজ্রাইল্কেই সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ! ইরাক নিরাপত্তা পরিষদের মাত্র দুটি সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছিল বলে আমেরিকা তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ হামলা চালায় আর বিজ্রাইল নিরাপত্তা পরিষদের ৬৭ টি সিদ্ধান্ত স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে তারপর ও বিজ্রাইল্কেই তারা সমর্থন দিচ্ছে ! শুধু সমর্থনই না আমেরিকা তাদের কে অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করছে ! এই হইল পশ্চিমা বিশ্বের ভূমিকা !



প্রকৃত বাস্তবতা হল বিজ্রাইলের রয়েছে প্রচুর অস্ত্র, বিশাল সেনাবাহিনী আর পসছিমা বিশ্বের সমর্থন ! সেই তুলনায় হামাসের কিছুই নেই , তার পরও তাদের তীব্র প্রতিরোধ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে ! গত ২০ জুলাই বিজ্রাইলের সরকারি রেডিও তে জেরুজালেমের বার ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্যের অধ্যাপক মোরদেচাই কেদার বলেন “ অস্ত্র দিয়ে অনেক যুদ্ধ হয়েছে, এবার গাজায় গিয়ে নারীদের ধর্ষণ করুক আমাদের সেনারা । কোন হামাস সদস্যের মা, বোন ,কন্যা, স্ত্রী যেন বাদ না যায় । জঙ্গিদের ভয় দেখানোর একটাই রাস্তা আছে। ”



যদি সত্যি সত্যিই এই পথটা বেছে নেয় তাহলে হবে অমানবিক এবং স্পর্শকাতর ! কিন্ত ইতিহাস কি তাদেরকে ছেড়ে কথা বলবে ? আমাদের বাংলাদেশের ৭১ এর যুদ্ধের কথা নাহয় বাদই দিলাম, দেখা যায় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে দখলদার জাপানি সৈনিকরা জোর করে যৌন সঙ্গী হতে বাধ্য করা হয়েছিল তখনকার কোরীয় নারীদের কে ! নির্যাতিত এইসব নারীদের নামকরণ হয়েছিলো ‘কমফোর্ট উইমেন’ । তাদের অনেকের বয়স এখন ৯০ এর উপরে এবং অনেকেই বেঁচে আছে ! কিন্ত তারা আজ ও তাদের কে ক্ষমা করে নাই ! জাপান সরকার তাদের কে ক্ষতি পুরন দিতে চেয়েছিল কিন্ত তারা তা প্রত্যাখ্যান করে । বিচারের প্রশ্নে এখনো দুই কোরীয় নারীরা এক, তারা বিচার চায় টাকা চায় না ! জাপান এখনো সেই প্রশ্ন আসলে লজ্জা পায়, ক্ষমা চায়, কিন্ত সেই নারীরা তাদের কে ক্ষমা করেনি !!! ফিলিস্তিনি মা বোনদের বেলায় যেন এই অস্ত্রটি না প্রয়োগ করা হয়, তাহলে মানবতা বলতে যে জিনিসটি আছে তা ও থাকবে না । বিশ্ব হয়ে উঠবে নর্দমার আস্তাকুড়ের এক আস্ত ডাস্টবিন !!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.