নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছুটা অসামাজিক

অনলাইনে করে খাই। লিখতে ভালোবাসি। আমার সেন্স অফ হিউমার ত্যারা।

কিছুটা অসামাজিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালো থাক ভালোবাসা

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:২৪

ঢং ঢং ঢং

তিন বার বেজে থেমে গেলো পুরনো দেয়াল ঘড়িটা। মানে ৩ টা বাজলো ? কিন্তু এদিকে যে আকাশের কোনে সুর্য যাবো যাবো করছে। মানে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ঘড়িটা নষ্ট আজ মাস খানেক ধরে, পুরনো ঘড়ি, কারো দেখার অত সময় নাই। সবাই এখন নতুন ডিজিটাল ঘড়িতেই দেখে নেয় সময়, ইয়াসমিন তার ছোট হাত ঘড়িতেই দেখে সময় আর শিমুল তো তার কম্পিউটার এর সামন থেকে নড়েই না, ওটা দিয়ে নাকি সব করা যায়। সুধু জোবায়রা বেগমের অন্য ঘড়ির দিকে তাকাতে ইচ্ছে করে না।

আপন মনে খানিক টা মাথা নিচু করে চোখ বুঝলেন জোবায়রা বেগম। চোখ বুজলেই সেদিনের দৃশ্য গুলো দেখতে পান তিনি। শিমুলের আব্বুর সাথে প্রায় ২ বছর চোখে চোখে প্রেম থাকলেও বিয়ের দিনের আগের সময় টায় ও কথা বলার সময় হয়ে উঠে নি, না আসলে লজ্জায় বলতে পারেন নি।

বিয়ের রাতে তার কানে কানে কি কি জানি বলে হাসতে হাসতে চলে গেলো ননদ গুলো, তার ওসব মনে নেই। মনে আছে তার ঘরে থাকা সেই পুরনো ঘরিটা। হাসান ভাই ওদিন হুট করেন ওগো আর এই শুনছো হয়ে গেলো, আর পাগল মানুষ টা ঘরে ঢুকে তার থুতনি ধরেই জিগেস করেছিলেন এই তুমি ঘড়ি দেখতে জানো ? সেদিন কি খুটীয়ে খুটিয়েই না শিখিয়েছিলেন উনি ঘড়ি দেখা। তা তিনি কিভাবে ভুলবেন ?

সেই ঘড়ি টা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কারো সেদিকে নজর থাকবে না ?

আসলে পুরনো হয়ে গেলেই সবকিছু মুল্যহীন হয়ে যায়, এমন কি কেউ চলে গেলেও। কিন্তু শিমুলের আব্বু টা সেই যে না ফেরার দেশে চলে গেলো তাকে কি ভুলে গেছেন জোবায়রা বেগম ? ভালোবাসা কি অতসব বুঝেন না জোবায়রা বেগম, এখন যে ছেলেমেয়েগুলো দিনক্ষন ঠিক করে ভালোবাসে তাও বুঝেন না তিনি। তিনি সুধু চোখ বুঝলেই দেখতে পান শিমুলের আব্বুর মুখ টা। তার চোখের কোন ভিজে উঠে, স্রষ্টার কাছে কিছু চাইবার সময় চলে যাওয়া মানুষ টার ভালো থাকার ইচ্ছাই প্রকাশ পায়। আচ্ছা এটা কি ভালোবাসা ? তাহলে এই ভালোবাসা বেচ থাক আজিবন, সুখে থাক ভালোবাসতে পারা মানুষ গুলো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.