নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছুটা অসামাজিক

অনলাইনে করে খাই। লিখতে ভালোবাসি। আমার সেন্স অফ হিউমার ত্যারা।

কিছুটা অসামাজিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুত একটা ভৌতিক টপিক:|

২১ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৫:০৮

ভুতদের চরিত্র ও মজার, এনারা স্থানভেদে চরিত্রের পাশাপাশি নাম, বৈশিষ্ট্য আর আকার আকৃতিও বদলান। আমাদের দেশের লেখক দের গল্পে বা প্রাচীন বর্ননা গুলোতে বেশ কিছু ভুতের দেখা পাওয়া যায়। গেছো ভুত, মামদো ভুত, শাকচুন্নী ( এটা অবশ্য ফিমেল ) । অন্যদিকে আমেরিকান মনোভাব দেশগুলো , এমনকি ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডস এদের ভুতেদের ধরন ভিন্ন। এদের প্রধান ভয় জোম্বি নিয়া।আমেরিকান হরর মুভিগুলোর বেশীরভাগের মুল কাহিনী হচ্ছে জোম্বি।জোম্বি রা অবশ্য ঠিক ভুত না, মানুষ ই, অর্ধেক মৃত, অর্ধেক জীবিত। এটার অবশ্য সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, কোন মেডিসিন বা হিপনোটিজমের প্রভাবেও মানুষ এমন আচরন করতে পারে।
যাহোক আমার পয়েন্ট হলো , একটা আমেরিকার শিশুকে আসলেই কি আমাদের ভুত ভয় দেখাতে সক্ষম ? লম্বা বাশের মত একটা ভয়াবহ! ভুত তাকে যেয়ে বলবে “আমার মাছ দিয়ে যা” আর সে কি ভয় পাবে ? আমার যতটুকু ধারনা , আর এ আর্টিকেল টুকূ লেখার আগে ছোট একটু ঘাটাঘাটি থেকে প্রমান পাওয়া গেলো, আমেরিকান রা কোনভাবেই আমাদের এ ধরনের ভুতের গল্প ছোট বেলায় শুনে না। তারা এগুলোতে ভয় পাবে এমন টা ভাবার ও কোন কারন নাই।
এবার আমরা আমার স্ট্যাটাস টার পরের পার্ট টায় ঢুকবো, যেটুকূ আমাকে বিতর্কিত করবে এই মুহুর্তে। শুরুতেই আমার প্রশ্ন, আমাদের ভুতের কোথায় থাকে ? বাশঝাড়ে, তেতুল বা বট গাছে। আমেরিকান ভুতেরা থাকে গোরস্থানে,পুরোনো পোড়া বাড়িতে। ( আমাদের গুলো ও মাঝে মাঝে এখানে ঘুরতে যায় ) এখন মরুভুমির ভুতেরা থাকবে কই ????
আচ্ছা একেবারে প্রাচীন সভ্যতার দিকে তাকাই, প্রাচীন মিশরীয় দের বিশ্বাস ঠিক ভুতে না থাকলেও ছিলো নানারুপ অপদেবতায়। তাদের খুশি করতে তারা পুজো ও করতো। যাদের বাস ছিলো পাতালপুড়িতে। খোলা মাঠে ময়দানে তো ভুতের ঘোরাফেরা মানায় না। এমনকি আপনারা যারা খানিক টা জানেন, তারা মিশরীয় শেয়ালমুখি দেবতা আনুবিস এর নাম শুনে থাকবেন। সে নিজেও একজন অপদেবতা ছিলো, যাকে পরে মিশরীয় রা দেবতা বানায়। সে দেবতার চেহারা শেয়ালের মত হলো কেন হাতির মত না হয়ে তার কারন জানা যায়, গোরস্থানে,বা এরকম যায়গায় লাশ খেতে শেয়াল আসতো, হাতি বা গরু আসতো না, তো শেয়াল মুখো দেবতাকে কল্পনা করে নিতে অসুবিধা হয় নাই তাদের। যেমন টা প্রাচীন ভারতীয় দের। তাদের দেবতার মাথা হাতির মত কেন হলো তা নিয়ে বেশ সুন্দর একটা গল্প আছে, আরেকদিন বলবো যারা জানেন না তাদের জন্য। বাস্তব প্রশ্ন হলো হাতির মত কেন হলো, জিরাফের মত কেন না ? কারন সিম্পল, হাতি দেখা যেত, রাজা রা হাতিতে চড়ে ঘুরে বেরাতেন সেই অনেক আগে থেকেই, জিরাফ তো দেখে নাই, দেখলে অনেক লম্বা বলে লম্বা গলার জিরাফমুখো দেবতাও বানিয়ে ফেলতো কোন হাই ক্রিয়েটিভ মাইন্ডেড ভদ্রলোক। আমরা ভুতে ফেরত যাই।

মিশরীয় রা ক্রিয়েটিভ জাতি ছিলো, তারা পিরামিড বানাইতে পারছে সে সময় ই লাখ লাখ দাস দের ব্যাবহার করে। বাট এরাবিয়ান রা এতটা লাকি ছিলো না। তাদের অনেক পরের সময় পর্যন্ত জীবন দুম্বা, খেজুর গাছ এগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিলো। তাহলে তাদের ভুত থাকবে কই ? দেখতে কেমন হবে তাদের ভুত ? তাদের তো তেতুল গাছ ও নাই, থাকার মধ্য খেজুর আর ক্যাকটাস টাইপ ঝোপ। তো তাদের ভুতের আকৃতি কোন নির্দিষ্ট আকার পায় নাই, তাদের কাছে বিপদের কারন ছিলো সাইমুম নামক ভয়াবহ মরুঝড়, আর বাতাসে আগুন টাগুন লেগে গেলে পূড়ে দুচারজন মরা। আরেক টা বিপদ হলো চোরাবালি। ঝড় তো বাতাস, এটাকে জীবন্ত বলে ভাবতে কষ্ট হবেই, যদিও বেশ কিছু আরব গোষ্টী নানা নামে মরুঝড়ের পুজো করতো। তাদের ভুত কে বানানো হলো আগুন দিয়ে।নাম আন্দাজ করতে পারছেন ? এটা পাঠকের জন্য একটা কুইজ হিসেবে থাকলো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.