নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছুটা অসামাজিক

অনলাইনে করে খাই। লিখতে ভালোবাসি। আমার সেন্স অফ হিউমার ত্যারা।

কিছুটা অসামাজিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্যাঙ্গারুর বাচ্চাটা মরে নাই।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০


প্রতি সিজনেই পেশাদার দের পাশাপাশি কজন সৌখিন শিকারীও চলে আসেন এদিক টাতে, এদের খামখেয়ালী আর টাকা দিয়ে চাইলে পুরো মহাদেশ টা কিনে ফেলার ভাবভংগী দেখতে দেখতে অভ্যাস্ত আমি। এ ভদ্রলোক ও তাদের দলেই। রংচটে জামা পড়া, তার পেটের কাছ টা অসম্ভব রকম ফুলে আছে, হাফপ্যান্ট থেকে বেরিয়ে আসা লোমস পা দুটো দেখলে মোটাসোটা দুটো মরা গাছের গুড়ি বলে ভুল হয়। ফোলা ফোলা গাল দুটোকে দেখে লাগছে কে যেন সিরিঞ্জে করে পোয়া খানেক করে লাল তরল, হতে পারে টমেটো সস বা রেড ওয়াইন ঢুকিয়ে দিয়েছে।

ভদ্রলোক এসেছেন ক্যাঙ্গারু শীকারের উদ্দেশ্য, হাতের .৩০৫ ম্যাগনাম টা দেখে যদিও তা মনে হচ্ছে না, ওটা দিয়ে একটা ছুটে আসা চলন্ত ট্রেনের মত বুনো হাতিকে থামিয়ে দেয়া যাবে। ডিপার্টমেন্ট এর পেটমোটা অফিসার দের কত ঘুষ দিয়ে এই “একটা ক্যাঙ্গারু” কে মারার পারমিট দিয়েছে সে ব্যাটাই জানে। আমার তা জেনে কাজ নেই, আমার কাজ সুধু তাকে যায়গামত নিয়ে যেয়ে দেখিয়ে দেয়া, সে সফল হইলে তাকে একটা ছবি তুলে দেয়া, ব্যাস, কড়কড়ে ৫০০ ডলারের ট্রাভেলার্স চেক আমার পকেটে, আগামী দুসপ্তাহ নিশ্চিন্তে চলে যাবে।

থামো থামো !!! ভদ্রলোক নিজেই চিল্লিয়ে উঠে আমাকে জিপ থামাতে বললেন। আমি চমকে যেয়ে থামাতে না থামাতে উনি দৌড়ে নেমে হারিয়ে গেলেন একটা ঝোপের ওপাসে, এপাস টা সংরক্ষিত এলাকা, সম্ভবত বেচারার ব্লাডারের চাপ অনেক টাই বেড়ে গিয়েছিলো, তবু ঐ শরীর নিয়ে ওভাবে কিভাবে ছুটলেন ভেবে অবাক আর বিস্মিত একসাথে হইলাম।

গুরুম শব্দে কেপে উঠলো পুরো এলাকা। চেনেন না এমন কেউ শূনলে নির্ঘাত মনে করবেন বজ্রপাত হলো, আমি মনে করার দলের লোক না, আমি জানি ওটা একটা রাইফেলের আওয়াজ যা সম্পর্কে একটু আগেই পাঠক কে বলেছি । ছুটে দৌড় দিলাম, কাকে না কাকে গুলি করে মেরে ফেলেছেন এ লোক কে জানে !!!!! তার উপর ফরেস্ট গার্ড রা আশে পাশেই আছেন, যে শব্দ হয়েছে তা কয়েক মাইল থেকে পরিষ্কার শুনতে না পাওয়া টাই অবাক করার কথা। কারো না কারো এসে পড়তে বড়জোর মিনিট পাচেক সময় লাগবে।

নাহ, ভদ্রলোক একটা ক্যাঙ্গারুকেই গুলি করে মেরেছেন, এক গুলিতেই মেরেছেন তাতে তার প্রসংসাই করা যায়। আমার কাজ অনেক কমে গেলো, সময় ও বাচলো, বিকেল টা একবার আদিবাসী মেয়েটার সাথে দেখা করতে গেলে অনেক খুশী হবে ও, ভালোবাসে মেয়েটা আমাকে।

ভাবতে ভাবতে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে এগুলাম ক্যাঙ্গারু টাকে গাছে ঝুলানোর জন্য, অনেক ওজন ওগুলোর, পাসে নিয়ে ছবি তোলার আর কোন উপায় নেই আপাতত। আর কাছে যাবার পর আমার মুখ কালো হয়ে গেলো। ওটা একটা মাদী ক্যাঙ্গারু ছিলো, বুকের কাছে একটা থলি থাকে এদের, যেখানে বাচ্চা নিয়ে ঘুরে বেরায় এরা। এ সময় ই ফরেস্ট গার্ডদের জিপ এসে থামলো, ওদের অভিজ্ঞ চোখ কে ফাকি দেয়া সম্ভব না, ওরা ওয়াকিটকিতে আমার সামনেই রিপোর্ট করলো এখানে একটা বাচ্চা সহ মা ক্যাঙ্গারু কে ডাউন দেখছে ওরা, বিস্তারিত দেখে জানাচ্ছে।
আমার সৌখিন শিকারী ভদ্রলোক বেচারা মুখ কালো করে একপাসে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাকে ডেকে জিপের পেছনে এনে বসিয়ে একটা বিয়ারের ক্যান খুলে খেতে দিলাম, ঢকঢক করে সেটা খালি করে আমার দিকে তাকালেন তিনি।
এবার আমি তাকে বুঝাতে শুরু করলাম, তিনি একটা ক্যাঙ্গারু কে মারার পারমিট এনে সাথে একটা শিশূ ক্যাঙ্গারুকেও মেরে ফেলেছেন, যা আইনত এমনিতেই দন্ডনীয় অপরাধ। ফরেস্ট গার্ড রা অলরেডী রিপোর্ট করে ফেলছে , তাদের ঘুষ দিয়ে থামিয়ে দিলেই হবে না, বরং একটা কাজ করা যায় ।তিনি কিছু খরচা করতে চাইলে আমি সাহায্য করতে পারি। উনি রাজি হলেন।
আমি ফরেস্ট গার্ড অফিসার এর সাথে আরালে কিছু কথা বললাম, পেছনের পকেটে কটা নোট ঢুকিয়ে দিলাম। পরদিন সকালে স্থানীয় খবরের কাগজে খবর বেরুলো “গুলিতে আহত মায়ের থলিতে থাকা ক্যাঙ্গারুর বাচ্চা কে অদ্ভুত ভাবে বাচিয়ে তোলেন গাইড এবং ফরেস্ট গার্ডের সদস্যরা, পরে তাকে জঙ্গলে ছেরে দেয়া হয়। ”
নরম রোস্টে কামড় দিয়ে খবরের কাগজে আমার নামের বানানে একটা ভুল করেছে দেখে মেজাজ টা বিগরে গেলো, এদেশে নামের বেশ অভাব, একনামের অনেক লোক। কেউ আমাকে গাইড করে খুজতে চাইলে বেশ বিপাকে পড়তে হবে এই নামের বানানের ভুলের কারনে। যত্তসব
প্রতি সিজনেই পেশাদার দের পাশাপাশি কজন সৌখিন শিকারীও চলে আসেন এদিক টাতে, এদের খামখেয়ালী আর টাকা দিয়ে চাইলে পুরো মহাদেশ টা কিনে ফেলার ভাবভংগী দেখতে দেখতে অভ্যাস্ত আমি। এ ভদ্রলোক ও তাদের দলেই। রংচটে জামা পড়া, তার পেটের কাছ টা অসম্ভব রকম ফুলে আছে, হাফপ্যান্ট থেকে বেরিয়ে আসা লোমস পা দুটো দেখলে মোটাসোটা দুটো মরা গাছের গুড়ি বলে ভুল হয়। ফোলা ফোলা গাল দুটোকে দেখে লাগছে কে যেন সিরিঞ্জে করে পোয়া খানেক করে লাল তরল, হতে পারে টমেটো সস বা রেড ওয়াইন ঢুকিয়ে দিয়েছে।

ভদ্রলোক এসেছেন ক্যাঙ্গারু শীকারের উদ্দেশ্য, হাতের .৩০৫ ম্যাগনাম টা দেখে যদিও তা মনে হচ্ছে না, ওটা দিয়ে একটা ছুটে আসা চলন্ত ট্রেনের মত বুনো হাতিকে থামিয়ে দেয়া যাবে। ডিপার্টমেন্ট এর পেটমোটা অফিসার দের কত ঘুষ দিয়ে এই “একটা ক্যাঙ্গারু” কে মারার পারমিট দিয়েছে সে ব্যাটাই জানে। আমার তা জেনে কাজ নেই, আমার কাজ সুধু তাকে যায়গামত নিয়ে যেয়ে দেখিয়ে দেয়া, সে সফল হইলে তাকে একটা ছবি তুলে দেয়া, ব্যাস, কড়কড়ে ৫০০ ডলারের ট্রাভেলার্স চেক আমার পকেটে, আগামী দুসপ্তাহ নিশ্চিন্তে চলে যাবে।

থামো থামো !!! ভদ্রলোক নিজেই চিল্লিয়ে উঠে আমাকে জিপ থামাতে বললেন। আমি চমকে যেয়ে থামাতে না থামাতে উনি দৌড়ে নেমে হারিয়ে গেলেন একটা ঝোপের ওপাসে, এপাস টা সংরক্ষিত এলাকা, সম্ভবত বেচারার ব্লাডারের চাপ অনেক টাই বেড়ে গিয়েছিলো, তবু ঐ শরীর নিয়ে ওভাবে কিভাবে ছুটলেন ভেবে অবাক আর বিস্মিত একসাথে হইলাম।

গুরুম শব্দে কেপে উঠলো পুরো এলাকা। চেনেন না এমন কেউ শূনলে নির্ঘাত মনে করবেন বজ্রপাত হলো, আমি মনে করার দলের লোক না, আমি জানি ওটা একটা রাইফেলের আওয়াজ যা সম্পর্কে একটু আগেই পাঠক কে বলেছি । ছুটে দৌড় দিলাম, কাকে না কাকে গুলি করে মেরে ফেলেছেন এ লোক কে জানে !!!!! তার উপর ফরেস্ট গার্ড রা আশে পাশেই আছেন, যে শব্দ হয়েছে তা কয়েক মাইল থেকে পরিষ্কার শুনতে না পাওয়া টাই অবাক করার কথা। কারো না কারো এসে পড়তে বড়জোর মিনিট পাচেক সময় লাগবে।

নাহ, ভদ্রলোক একটা ক্যাঙ্গারুকেই গুলি করে মেরেছেন, এক গুলিতেই মেরেছেন তাতে তার প্রসংসাই করা যায়। আমার কাজ অনেক কমে গেলো, সময় ও বাচলো, বিকেল টা একবার আদিবাসী মেয়েটার সাথে দেখা করতে গেলে অনেক খুশী হবে ও, ভালোবাসে মেয়েটা আমাকে।

ভাবতে ভাবতে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে এগুলাম ক্যাঙ্গারু টাকে গাছে ঝুলানোর জন্য, অনেক ওজন ওগুলোর, পাসে নিয়ে ছবি তোলার আর কোন উপায় নেই আপাতত। আর কাছে যাবার পর আমার মুখ কালো হয়ে গেলো। ওটা একটা মাদী ক্যাঙ্গারু ছিলো, বুকের কাছে একটা থলি থাকে এদের, যেখানে বাচ্চা নিয়ে ঘুরে বেরায় এরা। এ সময় ই ফরেস্ট গার্ডদের জিপ এসে থামলো, ওদের অভিজ্ঞ চোখ কে ফাকি দেয়া সম্ভব না, ওরা ওয়াকিটকিতে আমার সামনেই রিপোর্ট করলো এখানে একটা বাচ্চা সহ মা ক্যাঙ্গারু কে ডাউন দেখছে ওরা, বিস্তারিত দেখে জানাচ্ছে।
আমার সৌখিন শিকারী ভদ্রলোক বেচারা মুখ কালো করে একপাসে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাকে ডেকে জিপের পেছনে এনে বসিয়ে একটা বিয়ারের ক্যান খুলে খেতে দিলাম, ঢকঢক করে সেটা খালি করে আমার দিকে তাকালেন তিনি।
এবার আমি তাকে বুঝাতে শুরু করলাম, তিনি একটা ক্যাঙ্গারু কে মারার পারমিট এনে সাথে একটা শিশূ ক্যাঙ্গারুকেও মেরে ফেলেছেন, যা আইনত এমনিতেই দন্ডনীয় অপরাধ। ফরেস্ট গার্ড রা অলরেডী রিপোর্ট করে ফেলছে , তাদের ঘুষ দিয়ে থামিয়ে দিলেই হবে না, বরং একটা কাজ করা যায় ।তিনি কিছু খরচা করতে চাইলে আমি সাহায্য করতে পারি। উনি রাজি হলেন।
আমি ফরেস্ট গার্ড অফিসার এর সাথে আরালে কিছু কথা বললাম, পেছনের পকেটে কটা নোট ঢুকিয়ে দিলাম। পরদিন সকালে স্থানীয় খবরের কাগজে খবর বেরুলো “গুলিতে আহত মায়ের থলিতে থাকা ক্যাঙ্গারুর বাচ্চা কে অদ্ভুত ভাবে বাচিয়ে তোলেন গাইড এবং ফরেস্ট গার্ডের সদস্যরা, পরে তাকে জঙ্গলে ছেরে দেয়া হয়। ”
নরম রোস্টে কামড় দিয়ে খবরের কাগজে আমার নামের বানানে একটা ভুল করেছে দেখে মেজাজ টা বিগরে গেলো, এদেশে নামের বেশ অভাব, একনামের অনেক লোক। কেউ আমাকে গাইড করে খুজতে চাইলে বেশ বিপাকে পড়তে হবে এই নামের বানানের ভুলের কারনে। যত্তসব

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:০৬

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: nice article

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.