নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমার পল্লবে বসে আমাকে প্রসারিত করতে চাই।

নারী নির্যাতন বন্ধ করুন। যৌতুককে না বলুন। বাল্যবিবাহ থেকে সমাজকে রক্ষা করুন।

ভিটামিন সি

ঘোলা জল আর ঝরা পাতা মূল্যহীন। ঘোলা হওয়ার আগে বা ঝরে পড়ার আগেই কিছু একটা করা উচিত।

ভিটামিন সি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার প্রেমে পড়ার কাহিনী। পর্ব-৩। (কোন স্কুলে পড়ো? প্রেম-নগর উচ্চ বিদ্যালয়ে)।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

কোন স্কুলে পড়ো?

প্রেম-নগর উচ্চ বিদ্যালয়ে।

স্কুলটা কোথায় যেন?

ওই যে রাস্তার মাথায় রেল-লাইনটা রাস্তাটাকে ক্রস করেছে না, সেখানে ব্রক্ষ্মপুত্রের পাড়ে একটা পার্ক আছে। সেটার কাছেই।



এই কথোপকথন হয়েছিলো চতুদর্শী বালিকা মাদ্রাসা পড়ুয়া সপ্তম ক্লাশের ছাত্রী নাজিয়ার সাথে। ছোট-খাটো গড়নের সু-স্বাস্থ্যের অধিকারিনী নাজিয়া। চলুন আপনাদেরকে ঘটনাটা বলি।



আমার একটা ভালো অভ্যাস কি জানেন? মেয়ে দেখলেই প্রেমে পড়ে যাই। তবে সব মেয়ে না, প্রেমে পড়ার মতো মেয়ে। তবে এই ঘটনাটায় আমি পড়ার আগেই প্রেম আমার উপর এসে পড়েছিলো। পাবলিক কেন যে এরশাদ দুলাভাইকে বিশ্বপ্রেমিক উপাধি দিল বুঝি না, এই উপাধিটা আমার পাওয়া একান্তই জরুরি।



আমার এক বন্ধু ছিল নাম সুমন। পড়ত ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ। দেখতে কালো, বেশ লম্বা (৫' ১০"), প্রচন্ড চাপাবাজ। আমি মোটামুটি ফর্সা, মনে হয় লম্বা (৫' ৭") এবং প্রচন্ড লাজুক ছিলাম। একই থানার অধিবাসী হওয়ার সুবাদে মেসে আমরা দুজন একই রুমে থাকতাম। সুমনের বাড়ি নারিশের পাশে, তারা বাবা ফেল্টুস মেম্বার, ফেল্টুস স্কুল কমিটির মেম্বার এবং সর্ব শেষ ফেল্টুস চেয়ারম্যান। তারপরেও তাকে আমরা সবাই ডাকতাম চেয়্যারমেনের পোলা বলে।

সুমনদের বাড়ির কাছে একদিন সৌখিন এক্সপ্রেসের এক বাস এক্সিডেন্ট করে ৩ জন পথচারী নিহত হয়। এই সেন্টিমেন্টে পাবলিক ড্রাইভারকে দৌড়ানি দিলে ড্রাইভার বেদিশা হয়ে জীবন বাঁচাতে সুমনদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সুমনের বাবা তাকে বাঁচায় পাবলিকের আক্রমন থেকে; ফেল্টুস চেয়্যারম্যান বলে কথা। তারপর সুমনের আব্বা ও ওই ড্রাইভারের সাথে বন্ধুত্বের মতো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নিয়মিত যাতায়াত শুরু হয় তাদের মাঝে। ড্রাইভার চাচার এক ছেলে, ২ মেয়ে। ছেলে রাজা ব্যবসা করে ময়মনসিংহের খাগ-ডহর বাজারে + একটু আধটু এদিক সেদিক মাস্তানি করে। বড় মেয়ে সুমি পড়ে টেন এ এবং ছোট মেয়ে নাজিয়া পড়ে মাদ্রাসায় সেভেনে। বাসায় সবাই নাজনীনকে মহিলা হুজুর বলে ডাকে।

ময়মনসিংহ থাকার সুবাদে বন্ধ পেলেই সুমন সুমিদের বাসায় বেড়াতে যায়। সারাদিন থাকে, সুমিকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তারপর বিকেলে চলে আসে। এভাবে সুমির সাথে সুমনের এক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুমন হালায় একটা বদের হাড্ডি। ক্যাম্পাসে প্রেম করে তার এক ক্লাশমেটের সাথে আবার বাড়িতেও শুনেছি খালাতো বোনের সাথে সম্পর্ক ছিলো। যে বাসায় থাকি তার সামনেরই এক বাসার মেয়ে সুমনের জন্য জানলা খুলে রাখে। শুনেছি সুমন নাকি ওই মেয়েকে নিয়ে কৃষি ভার্সিটিতেও ঘুরতে যায়। মাইয়াগুলাও এমন বদ, চাপাবাজ পোলাদেরকে তাদের ধন-সম্পত্তি উজার করে দেয়। আমার মতো অল্প কথা বলা, সুন্দর একটা ছেলে তাদের চোখে পড়ে না। আরে বাবা আমি না হয় বলতেই পারি না যে তুমি খুব সুন্দর, তোমাকে ভালো লাগে - বদ মেয়েগুলা তো পারে আমাকে বলতে!!! না তারা সেটা করেন না। সুমনদের মতো মধু খাওয়া ভ্রমরের পিছনে ঘুরঘুর করবে লাইন ধরে।

তো সুমন একদিন আমাকে বলল, ভিটামিন চল, বেড়ায়ে আসি।

এমনিতে তো কোথাও বেড়াতে যেতে পারি না ক্লাশ থাকার কারনে, ভাবলাম যাই ঘুরে আসি। আমি সুমনকে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় যাবি?

সুমন বললো খাগডহর আমাদের এক আত্মীয়ের বাসা সেখানে। আমাকে নিয়ে আসলো বিকেল বেলা সুমিদের বাড়িতে। এসে দেখি বাড়িতে ড্রাইভার সাহেব নেই, তার ছেলে আর দুই মেয়ে আছে। তো আসার পর পড়ন্ত বিকেলে সুমি নাজনীন ও আমরা দুই বিটকেল রেল লাইন ধরে হাটতে বের হলাম। হাটতে হাটতে একেবারে ময়মনিসিংহ বিডিআর ক্যাম্পের পিছনে চলে আসলাম। তারপর আবার ফিরে গেলাম বাসায়। সুমনের উদ্দেশ্য রাতে থাকবে। এখন আমি তো আর চলে যেতে পারছি না। সুমির সাথে কথা বলাতে সুমন ব্যাস্ত। নাজিয়া ছোট, আমি তেমন কিছু বলতে পারি না। প্রচুর খাবার দাবারের আয়োজন করতে শুরু করলো তারা। সুমির ভাই রাজা বললো চলো আমরা বাজারে যাই। আমার ব্যাবসাটাও দেখে আসবা আর তোমাদের নিয়ে অন্য একটা জায়গায় যাবো। তো রাজা ভাইয়ের সাথে বের হয়ে তার ব্যবসা দেখে আসার সময় রাজা মিয়া তার প্রেমিকার বাসায় নিয়ে গেল। সেখানে আমরা নাস্তা খেলাম। রাতে তাদের বাসায় ফিরে এসে খাওয়া দাওয়া করলাম। গল্প করতে করতে রাত ১১ টা বেজে গেলো। সুমি আমাদের বিছানা গুছিয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় চোখ টিপ দিয়ে গেলো। সুমি আর নাজিয়া ঘুমায় পাশের রুমে। তাদের বাবা-মা, ভাই অন্য টিনশেড ঘরে। শোয়ার পর সুমন আমাকে বলল, রাত্রে আমি আর সুমি ওই রেল লাইনের পাশে একটু কথা বলব। তুই পাহারা দিবি; কেউ আসলে সঙ্কেত দিবি। তুই কিন্তু আমাদের দিকে আসবি না। তারপর তারা তাদের নাইট অভিযান চালাল প্রায় দুই ঘন্টা। আমি মশার কামড় খেয়ে তাদের পাহারা দেই। রাত তিনটার দিকে তারা বাসায় এসে ঘুমায়। কি করেছে আমি সত্যিই দেখিনি বা জানি না। যাই হউক, সকালে ঘুম থেকে উঠার পর নাস্তা টাস্তা সেরে সুমি আমাদেরকে নিয়ে যায় তার কাকা, দাদাদের বাসায়। সুমি সামনে সাথে সুমন; পিছনে আমি আর নাজিয়া। সুমন আমাকে রাতে বুদ্ধি দিয়েছে নাজিয়া তো দেখতে সুন্দরী। বয়স হলে আরো সুন্দরী হবে। তুই কথা-বার্তা বলে ওরে পটানোর চেষ্টা কর। সেভেনে পড়ে, অলমোষ্ট সবকিছুই বোঝে।

তো আমি নাজিয়াকে বললাম, তোমাকে নামটা কিন্তু জানলাম না।

নাজিয়া বলল, মহিলা হুজুর।

এটা আবার কারও নাম হয় নাকি!?

না হলে আবার সবাই ডাকে নাকি।

না, তোমার ভালো নামটা জানতে চাচ্ছিলাম।

নাজিয়া।

সুন্দর নাম, তো এই নামটা গোপন রেখেছিলে কেন?

গোপন রাখলাম কই, আপনাকে তো বলেই দিলাম।

হুম বলেছো; তবে অনেক পরে।

আপনি গতকাল জিজ্ঞেস করলে তো গতকালই বলতাম।

তাহলে তো বড় ভুল করে ফেলেছি। তুমি কোথায় পড়ো?

প্রেম নগর উচ্চ বিদ্যালয়ে।

ভালো, খুব ভালো স্কুল। রেজাল্ট ও হয় খুব ভালো। মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করবা। তা স্কুলটা কোথায় যেন?

ওই যে রাস্তার মাথায় রেল-লাইনটা রাস্তাটাকে ক্রস করেছে না, সেখানে ব্রক্ষ্মপুত্রের পাড়ে একটা পার্ক আছে। সেটার কাছেই।

তোমাকে সবাই হুজুর বলে ডাকে কেন?

আমাকে সবাই ভয় পায় তো তাই। (এবার আমার দৃষ্টি গেল তার হাতে ফল-মুল কাটার ছুরি আর একটা প্লায়ার্স, যেটা এক হাত থেকে আর এক হাতে বিনিময় করছে)।তোমার হাতে ছুরি কেন? ছুরি দিয়ে কি করবা?

আপনাকে খুন করবো?



আমি ওরে সুমনরে। তুই আমারে কার কাছে রেখে গেলি।। এতো আমাকে খুন করতে চায়।



চলে আসার সময় খুব কাছে এসে আস্তে করে বলল,

আবার কবে আসবেন?

আমি বললাম, পাগল না হলে আর আসব না। এসে মরব নাকি?

আপা, আপা এর সাহস নাই এক্কেবারেই।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আচ্ছা ভিটামিন সি ভাইয়ের তাইলে এই কাহিনী :)

পস্তে ++++++++ দাগাইলাম।

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

ভিটামিন সি বলেছেন: এর পরে আর আমি ওই মুখো হই নি ভাই, আমার ডান কানে হাত দিয়া কইতাছি। ধন্যবাদ আপনাকে।।।।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

উড়ন্ত পোকা বলেছেন: প্রেম হচ্ছে একটা পোকা না একবার কারও মধ্যে ঢুকলে কোন দিন ছাড়ান যায় না. :-<

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১১

ভিটামিন সি বলেছেন: দেশি নিম পাতা তিন দিন পচায়া সেই রস ১০ মিনিট জ্বাল করে আক্রান্তকে তিনদিন ভোরে খালি পেটে এক গ্লাস করে খাইয়ে দিন। সব পোকা মাকড়ের উপদ্রব কমে যাবে।

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

~মাইনাচ~ বলেছেন: হায়রে প্রেম

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

ভিটামিন সি বলেছেন: প্রেমকে কখনোই খাটো করে দেখবেন না। হউক সেটা এক মিনিটের---

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪০

আরজু পনি বলেছেন:

কিছুটা পড়লাম...বাকীটা একটু পরে এসে পড়বো ।।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:০৬

ভিটামিন সি বলেছেন: হুম। ভালো। গল্পটা জমাইতে পারি নাই।

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

মাক্স বলেছেন: মজার!

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪০

ভিটামিন সি বলেছেন: খিক্স, খিক্স, খিক্স.....

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

আরজু পনি বলেছেন:

অফলাইনে পোস্টটা পড়ে ফেলেছিলাম। নিজের চেনা...স্মৃতিময় অনেকগুলো জায়গায় নাম দেখতে পেয়ে নস্টালজিক হয়ে গিয়েছিলাম। :|

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

ভিটামিন সি বলেছেন: আবারো মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। তা ময়মনসিংহ কই? --- সানকি পাড়া।
আরে - তুই তো দেহি মোর এলাকার পোলা।
সমানে সমান। ভাইজান ও সামুতে ব্লগায়, আমিও ব্লগাই।

আমি কিন্তু মাসকান্দায় ৪.৫ বছর কাটিয়েছি। আমার একটা ফনিক্স সাইকেল ছিল। সেটা নিয়ে মাসকান্দা, কৃষি ভার্সিটি, ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড (নতুন), খাগডহর পর্যন্ত আমার ঘোরার ব্যাপ্তি ছিল। কি মজা, ঘুরতে টাকা লাগে না---

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :D :D :D :D :D

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

ভিটামিন সি বলেছেন: আগামী পর্বে মনে কয় আপনার হাসি আরও বাড়বে বলে আশা করি।

৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১০

এন ইউ এমিল বলেছেন: অই মিয়া আফনের নামে মামলা করমু, আমারে না কইয়া ৩য় পর্ব চালাইয়া দিলেন?

এত দিন কই আছিলেন মিয়া, কয়েকবার আফনের বাড়িতে ঘুইরা গেছি ৩য় পর্বের আশায়,

বালা অইছে, বেশি বালা অইছে পৈত্রিক জীবনডা লাইয়া ফিরতে পারছেন B-)) B-)) B-)) B-)) B-))

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

ভিটামিন সি বলেছেন: ভাইজান এই সরকারের আমলে মামলা না কইরা আগামী সরকারের সময় কইরেন। তাইলে কিছুটা বাইচ্চা যাইমু, বাঘে ধরলে ছাড়ে, এই সরকারে ধরলে ছাড়ে না। নিশ্চিত শিবির বইলা চালায়া দিব। আগামী সরকারে হইলে আমিও ২/৩ ডা ফালায়া দিলেও বাইর হউন যাইব।

আপনার ভাবী বাড়িতে ছিল না। আনতে গেছিলাম। তাই আপনি আমারে পান নাই। নিরাপত্তার জন্য বাসায় তালা মাইরা গেছিলাম। তয় ভয় ছিলো পাঠকগন যদি আবার ধাক্কাইয়া আমার বিল্ডিং ভাইংগালা।

যে ছুরি দেখাইছিলো, মরা মুরগি ওই ছুরি দেখলেও উইঠ্ঠ্যা দৌড় লাগাইতো। আমি তো ভালোয় ভালোয় বাইচ্চা আইছি। আপনার জন্য আগামী পর্ব আগামী শনিবার - ভালো থাকবেন।

৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০০

মরু বালক বলেছেন:




:D :D :D :D :D :D :D
রাত ৩ টা পর্যন্ত.............. কিছুই দেখেন নাই!!!!!! #:-S #:-S :P


৮ নং এর মতো আমারও একই অভিযোগ.।

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৫০

ভিটামিন সি বলেছেন: কেমনে দেখুম কন তো দেহি? বাংলাদেশ সময় ২.১৫ তে অফিস থেকে বাসায় চলে গিয়েছি। রবিবার আবার আমার অফ ডে। আজকে সোমবার এসে হঠাত মনে হলো যে আমার পোষ্টের মন্তব্য তো রিপ্লাই করা হয় নাই। তাই কাজ ফেলে আগে মন্তব্য রিপ্লাই করছি। ধন্যবাদ আপনাকে; সাথে এমিল ভাইকে ও।

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০৩

গ্রীনলাভার বলেছেন: B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-))


০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:১৮

ভিটামিন সি বলেছেন: হে হে হে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.