নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমার পল্লবে বসে আমাকে প্রসারিত করতে চাই।

নারী নির্যাতন বন্ধ করুন। যৌতুককে না বলুন। বাল্যবিবাহ থেকে সমাজকে রক্ষা করুন।

ভিটামিন সি

ঘোলা জল আর ঝরা পাতা মূল্যহীন। ঘোলা হওয়ার আগে বা ঝরে পড়ার আগেই কিছু একটা করা উচিত।

ভিটামিন সি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের রস+আলো। এখানেই পড়ে ফেলুন পুরোটা। মজা না থাকলে পোষ্ট দিতাম না।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৫৭

১. দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার এই তো সুযোগ

আগের দিনে রাজা-বাদশারা নিয়মিত ভ্রমণ করতেন। তাঁদের সঙ্গে ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে থাকতেন স্ত্রী, সন্তান, উজির, আত্মীয়, ভাইবোন ও বন্ধুদের বিশাল দল। সবাই মিলে ভ্রমণ করাটাই ছিল ঐতিহ্য। আজ রাজা-বাদশারা নেই। সেই ঐতিহ্যও যেন অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে, হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহ্যকেই অতল গহ্বর থেকে টেনে এনেছি আমরা। ঐতিহ্য রক্ষায় বিশ্বজুড়েই আমাদের খ্যাতি রয়েছে। দলবল নিয়ে ভ্রমণ করার ঐতিহ্য বোধ হয় আবারও পুনরুদ্ধার হতে চলল। কদিন আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১৪০ জন সফরসঙ্গী নিয়ে নিউইয়র্ক গিয়েছেন। রাজা-বাদশাদের তুলনায় সংখ্যাটা একটু কম হয়ে গেছে, তাতে কি! এক দিনেই তো আর পুরো ঐতিহ্য উদ্ধার করা সম্ভব নয়। সময় লাগবে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীর মধ্যে আছেন মন্ত্রী, এমপি, মন্ত্রীপত্নী, এমপিপত্নী, নানা স্তরের নেতা-কর্মী এবং তাঁদের পরিবার, কবি, সাহিত্যিকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন জাতিসংঘের অধিবেশনে বক্তব্য দিতে। জাতিসংঘটাও যেন কেমন, সফরসঙ্গীদের বক্তব্য দেওয়ার কোনো অপশনই রাখেনি। কী আর করা, সময় কাটাতে তাঁরা নিউইয়র্কে ঘুরছেন, শপিং করছেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব মন্ত্রী, নেতা-কর্মী দেশের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। একটু বিশ্রামের সময়ও পাননি। এত দিন পর তাঁরা একটু অবসর পেয়েছেন। কিন্তু তাঁরা তো কাজ ছাড়া বসে থাকার পাত্র নন। একটা কিছু তো করতে হবে। তাই মনভরে শপিং করছেন। তা ছাড়া বাংলাদেশকে অনেকেই গরিব দেশ মনে করে। তাঁদের বিলাসবহুল শপিং দেখে নিশ্চয়ই আমাদের আর কেউ গরিব বলবে না। বিশাল বিশাল স্যুটকেস-ব্যাগসহ তাঁদের দেখে নিউইয়র্কবাসী যখন অবাক হয়ে বলবে, ‘ওই দেখ, বাংলাদেশের এক পাতিনেতার বন্ধু। উনিই কত ধনী! নেতাদের কথা তো ভাবাই যায় না।’ তখন গর্বে আমাদের বুক ভরে যাবে! আর শপিং করাও একটা বিরাট গুণ। কত বিদেশি নেতাই তো বাংলাদেশে আসেন, কই, শপিং তো করতে পারেন না।

আমাদের নেতা-কর্মী এবং তাঁদের পরিবার এ ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে আছেন। তাই দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের জন্য আমাদের নেতা-কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের উচিত আরও বেশি বেশি শপিং করা। তাঁদের এ মহানুভবতার কথা জাতি চিরদিন মনে রাখবে।



২. পরীক্ষার আগের রাত ১৯৯৯

পরীক্ষার আগের রাত একজন পরীক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই রাতের প্রতিটি মিনিট ঠিকমতো কাজে লাগাতে হবে। পরীক্ষার সফলতা অনেকটাই নির্ভর করে এই রাতের ওপর।

কোনোভাবেই পরীক্ষার আগে নতুন করে কিছু শেখা উচিত নয়। নতুন কিছু শিখলে পুরোনো পড়া ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই রাতে শুধু পুরোনো পড়াগুলোতে চোখ বুলিয়ে নিতে হবে।

পরীক্ষার আগের রাতে বেশিক্ষণ জেগে থাকাও ঠিক নয়। দ্রুত পড়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়া উচিত। ভালো ঘুম হলে পরের দিন মাথা ঠান্ডা থাকবে।

পরের দিন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ভালো কাপড়চোপড় পরে তারপর ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষার হলে ঢুকতে হবে।

এভাবেই একজন ছাত্রের পক্ষে ভালো ফল করা সম্ভব।



পরীক্ষার আগের রাত ২০১৩পরীক্ষার আগের রাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই রাতে কোনোভাবেই ঘুমানো যাবে না।

আগে যেহেতু কিছু পড়া হয়নি, তাই এই রাতেই পড়তে হবে, যতটুকু পারা যায়।

পড়তে বসার আগে পাশে সাজেশন নিয়ে বসলে ভালো হয়।

এই রাতে গার্লফ্রেন্ডকে বেশি সময় না দেওয়াই ভালো। গার্লফ্রেন্ড বেশি প্যান প্যান করলে ১২টার পরে ১৫ মিনিট কথা বলে ফোন অফ করে রেখে দিতে হবে।

এই রাতে ফেসবুকেও বেশি সময় অপচয় করা যাবে না। তবে খাওয়ার পরে একবার ফেসবুক লগইন করে একটা স্ট্যাটাস দেওয়া যেতে পারে—উফ ফ্রেন্ডজ, এখনো সব বাকি!

ভোররাতের দিকে আধঘণ্টার জন্য ঘুমানো যেতে পারে। ঘুম থেকে উঠে কোনোরকমে বাথরুম থেকে এসে বাথরুমের স্যান্ডেল পরেই পরীক্ষার হলের দিকে দৌড়াতে হবে।

এভাবেই একজন ছাত্রের পক্ষে ভালো ফল করা সম্ভব।



৩. রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলেঃ

বনেও কি ইলেকট্রিসিটি আসবে?

ভালোই হবে, আমরা হব আলোকিত পশু!

বনে ইলেকট্রিসিটি এলে রাতেও লাইট জ্বালানো থাকবে। সবকিছু দিনের মতো ফকফকা। তখন দিনের মতো রাতেও ঘুমিয়ে থাকতে হবে।

তুই কি মনে করিস রাতে লোডশেডিং হবে না? লোডশেডিংয়ের সময় নাক ডেকে ঘুমাবি!

বনে স্টে করার মতো পরিবেশ নেই! ধোঁয়া খেয়ে খেয়ে আমার স্কিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই বন থেকে লগআউট করব!

অত চিন্তা কিসের, ফটোশপ আছে না!

বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নদী থেকে পানি নেবে। একদিন নদীর সব পানি শেষ হয়ে যাবে। তখন কী হবে?

চিন্তা করিস না, ওরা এর ফাঁকে খাল কেটে আমাদের ডেকে নেবে।



৪. হুমকির মুখে রূপবৈচিত্র্য

সুন্দরবনে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে বন ও বনের অধিবাসীদের রূপবৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বনের এক কম বয়সী সুন্দরী বৃক্ষ বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রচুর ধোঁয়া বের হবে। আর এই ধোঁয়ায় আমাদের স্কিন নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা কালো হয়ে যাব। আর আপনি তো জানেনই, বনে ফেসিয়াল করার কোনো ব্যবস্থা নেই।’

ধোঁয়াকে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বনের প্রভাবশালী পাখি ইগল জানান, ‘ধোঁয়ার কারণে আমাদের উড্ডয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। তা ছাড়া আমাদের শিকার দেখতেও সমস্যা হবে। আর চোখের সমস্যা তো হবেই। অনেক পাখিকে বাধ্য হয়ে চশমা নিতে হতে পারে।’ বনের আরেক পাখি সাদা বক বলেন, ‘চিমনির ধোঁয়ায় আমার সাদা পালক কালো হয়ে গেলে বয়ফ্রেন্ডের কাছে মুখ দেখাব কীভাবে?’



৫. আন্তর্জাতিক পশুসমাজের গভীর উদ্বেগ

সুন্দরবনে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পশুপাখিরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ন্যাশনাল জু-এর অন্যতম সদস্য লায়ন কিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে সুন্দরবনে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার কথা ভাবছেন তাঁরা। কিং বলেন, ‘সুন্দরবনের নিরীহ জীবজন্তুর ওপর রাসায়নিক অত্যাচার মেনে নেওয়া হবে না।’

আফ্রিকার জিরাফ বলেন, ‘অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, বিশ্বের কোথাও পশুরা নিরাপদ নয়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’ রাশিয়ার শ্বেত ভালুক সুন্দরবনের সব পশুপাখির পাশে আছেন জানিয়ে যেকোনো বিপদে তাঁদের মেরু অঞ্চলে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। চীনের পান্ডা নিজের টুইটার বার্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘বাঘ-হরিণের জন্য আমার চিন্তা হচ্ছে। আমি চাই না তাঁরাও আমাদের মতো বিলুপ্ত হয়ে যাক।’

৬. বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে পশুবন্ধন - ঐক্যবদ্ধ স্লোগানে বাঘ-হরিণ, মহিষ-কুমির।

জঙ্গলে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গতকাল জঙ্গলের প্রেসক্লাবের সামনে পশুবন্ধন করেন বিভিন্ন স্তরের পশুপাখিরা। প্রতিবাদকারীরা জানান, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম অ্যানিমেলবুকের ইভেন্টের মাধ্যমেই একত্র হয়েছেন তাঁরা। বৃহত্তর স্বার্থে বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার অনন্য নজির উপস্থাপন করেছেন পশুপাখিরা। ঐক্যবদ্ধভাবে কাঁধে কাঁধ, লেজে লেজ মিলিয়ে প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন বাঘ-হরিণ, কুমির-মহিষ, সাপ-বেজিসহ অনেকেই। প্রতিবাদকারীদের বিশাল মিছিল জঙ্গলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে।



৭. প্রস্তুত সৈনিক পিঁপড়া এবং সশস্ত্র মৌমাছিরা - জঙ্গল থমথমে। সুন্দরবনে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে—এমন খবর পাওয়ার পর থেকেই জঙ্গলে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আসন্ন দুর্যোগের কথা ভেবে অসংখ্য বানরকে মন খারাপ করে গাছে ঝুলে থাকতে দেখা গেছে। কী ঘটতে যাচ্ছে, সেই জটিল প্যাঁচ মেলাতে না পেরে কয়েকটি অজগর কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বেশ কিছু হায়েনা নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবছেন বনের সমাজকল্যাণমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘হায়েনা যেহেতু সব সময় হাসে, তাই এই পরিস্থিতিতে একমাত্র তাদের পক্ষেই হাসা সম্ভব।’

এদিকে, সভাপতি টাইগারের নির্দেশে জোরদার করা হয়েছে জঙ্গলের নিরাপত্তাব্যবস্থা। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সৈনিক পিঁপড়া। বিভিন্ন মৌচাকে মৌমাছিরাও প্রস্তুত। গরানগাছে মৌমাছি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার বলেন, ‘আমরা আমাদের ধারালো হুল নিয়ে প্রস্তুত। কেউ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ করতে বনে ঢুকলেই আমরা ঝাঁকে ঝাঁকে তাদের ওপর হামলা করব।’

মৌমাছির কামড় থেকে বাঁচার জন্য কেউ খালের পানিতে লাফ দিতে পারে—এই ভেবে খালের পানিতে দিন-রাত অবস্থান করছে কিছু শক্তিশালী কুমির। ঘোলা পানিতে ডুবে থাকা এক কুমির এ প্রসঙ্গে অনেক কিছু বললেও বুদ্বুদ ছাড়া আর কিছু বোঝা যায়নি।



৮. সম্মিলিত চিৎকার কর্মসূচি বিশাল সমাবেশে ঐক্যবদ্ধ হুংকার । বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে সুন্দরবনের ক্ষতি সহ্য করা হবে না বলে হুংকার দিয়েছেন সুন্দরবনের সভাপতি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। গতকাল হিরণ পয়েন্টে অনুষ্ঠিত বিশাল পশুসভায় এ হুংকার দেন তিনি। পশুসভায় সর্বস্তরের পশুপাখি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে সুন্দরবনে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে।

সমাবেশের শুরুতেই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে এক মিনিট সম্মিলিত চিৎকার কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বিভিন্ন পশুপাখির সম্মিলিত চিৎকারে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো সমাবেশস্থল। তবে চিৎকার কর্মসূচির আধঘণ্টা পর আচমকা চিৎকার করে ওঠে গন্ডার সম্প্রদায়। এতে সাময়িকভাবে সমাবেশ বাধাগ্রস্ত হয়। এরপর বিভিন্ন পশুপাখি নেতাদের বক্তৃতার পর মঞ্চে আসেন সভাপতি টাইগার। তিনি অবিলম্বে বিদ্যুৎকেন্দ্র আমাজন বা অন্য কোথাও স্থাপন করার জোর দাবি জানান। টাইগার বলেন, ‘শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্র কেন, কোনো ধরনের কেন্দ্রই সুন্দরবনে হতে দেওয়া যায় না। আরও অনেক বন আছে, সেখানে কেন্দ্রফেন্দ্র যা ইচ্ছা করুন। হালুম!’ তিনি বনের ৫০০ বাঘ, ৩০ হাজার হরিণ এবং অন্য পশুপাখিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। সবাইকে চোখ-কান খোলা রেখে সতর্ক থাকতেও বলেন। সাপের যেহেতু কান নেই, তাই তাদের জিব খুলে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান সভাপতি।



৯. বন কেটে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোনো প্রয়োজনীয়তা দেখি না - একান্ত সাক্ষাৎকারে রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
আলোকিত সুন্দরবন: সুন্দরবনে বিশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে চলেছে। বনের সভাপতি হিসেবে আপনার অনুভূতি কী?

টাইগার: আমি ক্ষুুব্ধ। আমি কোনোভাবেই সুন্দরবনে বিদ্যুৎকেন্দ্র বসানো সমর্থন করতে পারছি না। বন কেটে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোনো প্রয়োজনীয়তা আমি দেখি না।

আসু: কিন্তু কেন? বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে আপনার সমস্যা কী?

টাইগার: দেখেন, এমনিতেই আমাদের বিচরণক্ষেত্র কমে গেছে। আপনি জানেন, একটা বাঘ তার নির্দিষ্ট এলাকায় একাই বিচরণ করে। সঙ্গে থাকে একাধিক বাঘিনী। এখন, সুন্দরবন ছোট হয়ে গেলে, বাঘের বিচরণ এলাকাও কমে আসবে। তখন কি একাধিক বাঘিনী নিয়ে বিশাল এলাকায় থাকা সম্ভব? তা ছাড়া, বনে অনেক নিশাচর প্রাণী আছে, যারা দিনে ঘুমায়। বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রচণ্ড শব্দে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে।

আসু: কিন্তু দেশে তো বিদ্যুতেরও দরকার আছে। এখনো অনেক গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। এ বিষয়ে কী বলবেন?

টাইগার: অনেক গ্রামে তো বাঘও নেই। তাতে কি গ্রামগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে?

আসু: কিন্তু বিদ্যুৎ ছাড়া তো উন্নয়ন সম্ভব নয়।

টাইগার: ভুল কথা। উন্নয়নের জন্য প্রথমে দরকার সদিচ্ছা। সততা, দেশপ্রেম। দেশপ্রেম থাকলে তো আমাদের ওপর এমন অত্যাচার কেউ মেনে নিত না। তাই, বিদ্যুৎ থাকলেই যে উন্নয়ন হবে, এমন কথা বলা যায় না। বরং আরও ক্ষতিই হবে।

আসু: কী ক্ষতি?

টাইগার: মানুষ প্রকৃতির কথা ভুলে যাবে। দিনরাত টিভি-ইন্টারনেট নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। হিন্দি সিরিয়াল দেখবে। এগুলো ক্ষতি না? মাঝে মাঝে আমাদের দু-একজন নবীন বাঘ ভুলে লোকালয়ে চলে যায়। তাদের কাছ থেকেই এসব তথ্য পাই।

সম্পাদক: চিত্রা হরিণ, ম্যানগ্রোভ লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক নোনা পানির কুমির কর্তৃক শরণখোলা এলাকা থেকে প্রকাশিত।

















মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৩২

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: হুমমম, প্রধানমন্ত্রীর ১৪০ জনের বহর দেখে আমরা অনেক সমালোচনা করেছি কিন্তু এর যে চমৎকার সময়োপযোগী কিছু পজেটিভ দিক আছে সেগুলো এভাবে ভেবে দেখিনি। জাতি হিসেবে আমরা আসলেই শুধু সমালোচনা করতে জানি। সেটা মহৎ উদ্দেশ্যে হলেও আমাদের সমালোচনাই করতে হবে /:)

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৫১

ভিটামিন সি বলেছেন: মহৎ উদ্দেশ্য কেবল মহৎ লোকেরাই ধরতে পারে। আমাদের মতো আমজনতা কি করে সেটা বোঝবে? আমাদের তো সেই (জ+ঞ) জ্ঞানই নেই। তা না হলে কি আর এমন একটা প্রচারাভিযান নিয়ে ব্যঙ্গ করতে পারি? আম্রিকাকে আমরা পুছি না; অথচ তাদের দেশে বেড়ানোর জন্য একেবারে আন্ডা-বাচ্চা, লুঙি্গ-গামছা নিয়ে যাই!!! তাও আবার ভিআইপি ক্যাটাগরিতে।

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


একজন দল নেত্রী হিসেবে দলের কর্মীদের প্রতি যে মমতা তিনি দেখিয়েছেন সত্যি নজীর বিহীন।

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

ভিটামিন সি বলেছেন: Bangla astece na. Sorry.
Ei dol pati neta, legue neta prete er karonei to unar jonopriotai eto dhos namse. Jodi Hamba legue re somoy thaktey lagam dito tahole tar image ato ta nosto hoto na.

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

জহির উদদীন বলেছেন:

০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

ভিটামিন সি বলেছেন: দে রে ভাই, দে। কাম নাই, লজেন্স খাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.