নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমার পল্লবে বসে আমাকে প্রসারিত করতে চাই।

নারী নির্যাতন বন্ধ করুন। যৌতুককে না বলুন। বাল্যবিবাহ থেকে সমাজকে রক্ষা করুন।

ভিটামিন সি

ঘোলা জল আর ঝরা পাতা মূল্যহীন। ঘোলা হওয়ার আগে বা ঝরে পড়ার আগেই কিছু একটা করা উচিত।

ভিটামিন সি › বিস্তারিত পোস্টঃ

{নীল-হলুদ পতাকা বনাম আকাশী-সাদা পতাকা} < আমার ভাগ্নের (লাল-সবুজ) পতাকা।

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৩

এবারের সাম্বারদেশের বিশ্বকাপ পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। বরাবরই এই বেটা আসে আর কাঁপিয়ে দিয়ে যায়। তারপর তার কোকানি অনেক দিন পর্যন্ত থাকে। কিন্তু এবার একেবারে কালা-জ্বরের মতো জেকে বসেছে বাঙ্গালিদের উপর।

ফুটবল বিশ্বকাপে আমাদের কোন আর্ন্তজাতিক অর্জন নেই, দক্ষিন এশিয়ারও নেই, এমনকি যে দুই একটা ব্যাঘ্র শাবক এশিয়ার প্রতিনিধি হয়ে যায় তারাও বাঘ-সিংহের হুংকারে সুপার এইট বা সুপার সিক্সটিনের পূর্বেই লেন্জা গুটিয়ে ডেরায় ফিরে আসে। যাই হউক এতো কিছুর পরেও কিন্তু আমাদের এই খেলাটি নিয়ে ইচ্ছা, আগ্রহ, উচ্ছাস বা আনন্দের কমতি নেই। বাড়িতে বসেই দেখা যায় আমরা ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনাকে কত্ত কত্ত ভালোবাসি। আরো কিছু দেশকে অল্প অল্প বিস্তর ভালোবাসা দিয়ে দায়ও সেরে থাকি। বাড়িতে বাড়িতে ছাদের উপর দেখা যায় পত পত করে কি সুন্দর পতাকা উড়ছে!!!! দোকানের বা বিল্ডিং এর গায়েও পতাকা আকাঁ হয়েছে। রাস্তার পাশে বড় বড় কাপড় সেলাই করে লম্বা পতাকা টানা হয়েছে। একটা মজার বিষয় দেখলাম একটা কোম্পানী চিপসের প্যাকেটে করেছে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের পতাকার কালার দিয়ে। বাচ্চারাও সেই প্যাকেট কিনে নিজের সাপোর্ট টিমের কালার দেখে। গতকাল এক মার্কেটে গেলাম (দেশের বাইরে) মাল্টিপ্লাগ কিনতে; এখানে মোড়ক তৈরী হয়েছে আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের পতাকার কালার দিয়ে।



তবে এবার একটা বিষয় আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ওদের পতাকার উপরে আমাদেরও একটা ছোট্ট পতাকা খুটির আগায় উড়ে দেখে। আমাদের জাতীয়তাবাদ, আমাদের দেশপ্রেমের পারদ বা অক্সিজেনের বুদবুদ একটু উপরে উঠতেছে।



দেশে গিয়ে এক বৃহঃষ্পতিবার বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। গিয়ে একটা বিষয় দেখে প্রথমে খটকা লাগল, তারপর পানির মতো ক্লিয়ার হয়ে গেল। আমার বড় বোন একটা বাচ্চাদের বেসরকারী স্কুলের পরিচালক + শিক্ষক। তাঁর ছোট ছেলে/ আমার ভাগ্নে ক্লাশ টুতে পড়ে, বড়টা টেন এ। বড়টা নেইমার এ অন্ধভক্ত। নেইমার বলতেই অজ্ঞান। নেইমার স্টাইলে চুল কাটা, নেইমার এর জুতার মতো জুতা আরো কতো কি। সে তার বন্ধুদের নিয়ে রাস্তার পাশে ২২ হাত লম্বা ব্রাজিলের পতাকা টানিয়েছে।



বেড়াতে গিয়ে দেখি বড় আপার বাড়িতে বারান্দার পিলারের সাথে আমাদের প্রাণ-প্রিয় লাল-সবুজ পতাকা বাঁশের মাথায় উড়ে। কি ব্যাপার কিছু্ই বোঝে উঠতে পারলাম না। একটু পরে আপাকে জিজ্ঞেস করলাম যে বাড়িতে পতাকা টানিয়ে রেখেছো কেন? কত বড় বড় দেশ প্রেমিক, কনভার্টেট দেশ প্রেমিক, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত দেশপ্রেমিক দেখলাম কারো বাড়িতে দেশের পতাকা টানানো থাকে না। অথচ তোমার এখানে কেন?

বড় আপা বলল, তোর ছোট ভাগ্নের এই কাজ করেছে। বড়টা ব্রাজিলে পতাকা টানাইছে রাস্তার পাশে। তাই দেখে সেও লাফাইতেছে তার ও একটা পতাকা লাগবে। কিন্তু এই মুহুর্ত্বে আমি পতাকা পাই কোথায়। তাই তাকে স্কুলের পতাকা এনে বাঁশের মাথায় বেধেঁ দিয়েছি। আমি আর কিছু না বলে সেখানে দাঁড়িয়ে পতাকাটাকে মনে মনে স্যালুট জানালাম।



ছোটকু না বোঝেই টানিয়েছে পতাকাটা; কিন্তু ও কত বড় একটা বিষয় তুলে ধরেছে সেটা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। দুইদিন পর টানানো পতাকাটা স্কুলে নিয়ে গেছে। তারপর আমি তাকে একটা বাংলাদেশের পতাকা কিনে দিয়েছি।

তাই আমার অসম সমীকরণটি এমন {নীল-হলুদ পতাকা বনাম আকাশী-সাদা পতাকা} < আমার ভাগ্নের (লাল-সবুজ) পতাকা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

লিরিকস বলেছেন: +

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২৮

ভিটামিন সি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: + দিলাম।

এতদিন কোথায় ছিলেন?

০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২

ভিটামিন সি বলেছেন: + নিলাম। দেশে গিয়েছিলাম। আমার বাড়ি তো গ্রামে, সেখানে এখনও থ্রিজি পৌঁছে নাই। নেটের অবস্থা খুব খারাপ, তাই শুধু অফলাইনে থেকে পড়েছি। লগইন করি নাই। সিংগাপুরে চলে এসেছি গত সপ্তাহে। এখন লাইনে থাকবো।

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: আচ্ছা!!! বউ কেমন আছে??? কি করে এখন??? কোথায় ভর্তি করাবেন???

১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯

ভিটামিন সি বলেছেন: বউ মনে হয় ভালো্ই আছে। দেশের যে অবস্থা!!! দুরে কোথাও ভর্তি করাতে সাহস পাই না। তাছাড়া বিএম থেকে এসে কোন ভার্সিটিতে অনার্সে চান্স পাবার সম্ভাবনা খুবই কম। টাকা দিয়ে ভর্তি কিনব সে সামর্থ্যও নেই। তাই শেষ-মেষ হয়তো উন্মুক্ততে বিবিএ বা বিএসসি ইন এজি তে পড়তে হবে। যদি তাও না হয় তাহলে বাড়ি পাশের ডিগ্রী কলেজে কমার্সে ডিগ্রী পড়বে। গরীবের পড়া, সার্টিফিকেট হইলেই হইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.