নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমার পল্লবে বসে আমাকে প্রসারিত করতে চাই।

নারী নির্যাতন বন্ধ করুন। যৌতুককে না বলুন। বাল্যবিবাহ থেকে সমাজকে রক্ষা করুন।

ভিটামিন সি

ঘোলা জল আর ঝরা পাতা মূল্যহীন। ঘোলা হওয়ার আগে বা ঝরে পড়ার আগেই কিছু একটা করা উচিত।

ভিটামিন সি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুতের কবলে ভিটামিন সি। অবশেষে লাঠি, টর্চ নিয়ে উদ্ধার কাহিনী।

০৯ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

ভুত নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে যা আমরা শুনেছি, পড়েছি; কিন্তু আমি কোনদিনও বিশ্বাস করিনি। তাই ভূত বাবাজি নিজে থেকেই আমাকে দেখা দেন। সেই গল্পই করবো আপনাদের সাথে।

তো শুরু করা যাক - আমার বাড়ি গ্রামে। নিভৃত পল্লী না, মোটা-মুটি জাগ্রত পল্লী। আমার বাড়ীকে একটি বাড়ী একটি খামার বললে খুব একটা ভুল হবে না। একটি বাড়ী একটি খামারের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার মোটামুটি সব উপকরণ আমার বাড়িতে আছে।

বাড়ির বর্ণনা না দিলে ঘটনাটা আমি ক্লিয়ার বোঝাতে পারবো না। বাড়িতে আমাদের থাকার ঘরটা পশ্চিম দিকে ৩ রুমের হাফ বিল্ডিং, উত্তরে একটা মাটির ঘর। এই ঘরটা আগে থাকার জন্য ব্যবহৃত হলেও এখন খামারের সদস্যরা দখল করে রেখেছে অর্থাৎ গাভী তার বাছুর আর ৬ টা ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল (একটা বড় কালো খাসি এবং একটা বড় সাদা-কালো খাসি) এবং একটা বাচ্চা ছাগল তাতের সংসার পেতেছে এই ঘরে। এই ঘরের দুটো দরজা; দক্ষিনে একটা, পশ্চিমে একটা দুটোই গ্রিল দিয়ে করা এবং দুটোই বাইরে থেকে বন্ধ করা যায়। বাড়ির পূর্বদিকে আমি নতুন একটা বিল্ডিং দাঁড় করাইছি যার প্রথম তলার কাজ মোটামুটি সম্পন্ন হয়েছে। বাকি২ তলা আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে দিয়েছি তারা প্রয়োজনে করে নিবে।

পানির ট্যাংকটা এখনো ছাদে তোলা হয়নি, ফলে সেটা ব্যবহার করা যায় না। সরাসরি ২" পাম্প চালু করে যাবতীয় কাজ সারা হয়। পাম্পটা উত্তর আর পূর্ব দিকের কোনে অবস্থিত। পাম্পের সুইচ আবার উত্তর দিকের মাটির ঘরে।

গত ২২শে জুন কি এক কাজে ময়মনসিংহ গেলাম। ফিরে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। জামা-কাপড় ছেড়ে রেষ্ট নিয়ে বউকে বললাম গোসল করবো সাবান, লুঙ্গি-তোয়ালে নিয়ে এসো।

বউ বলল, তুমি পাম্পের কাছে যাও, আমি নিয়ে আসছি আর পাম্প ছেড়ে দিচ্ছি।

আম্মা পশ্চিমের ঘরের উত্তরের রুমে মাগরিবের নামাজ পড়ে দোয়া-দুরুদ পড়তেছে। উত্তরের রুম আর উত্তরের মাটির ঘর খুব কাছাকাছি। মাঝের রুমে সবাই টিভি দেখি, দক্ষিনের রুমে আমরা কাপল থাকি।

একটু পরে বউ পাম্প ছেড়ে দিয়ে গেছে। প্রতিদিনই সে পাম্প ছেড়ে দিয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়ে থাকে, আমার গোসল শেষ হলে সে পাম্প বন্ধ করে। তো আমি গোসল সেরে বউকে ডাকলাম পাম্পটা বন্ধ করতে। এক মিনিট পরেও যখন বন্ধ করছে না, তখন আমিই গেলাম বন্ধ করতে। ভাবতে ভাবতে গেলাম, সারাদিন তো কাছে পায়নি তাই এই কৌশলে আমাকে ঘরে নিয়ে ভালোবাসা উজার করে দিবে। সে এই সুযোগটা সৃষ্টি করে নিলো (পূর্ব অবিজ্ঞতা)। যখনই আমি দরজার সামনে এসেছি, একটা পা তুলেছি মাত্র ঘরের ভিতর রাখবো, ঠিক তখনই গ্রিলের/স্টিলের দরজাটা সমস্ত শক্তি দিয়ে এসে বিকট শব্দ করে বন্ধ হয়ে গেলো। আমি ভাবলাম বউ হয়তো আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এমনটা করেছে। কিন্তু পরক্ষনেই বোধোদয় হল যে সে তো এমনটা করার কথা না। যতটা দ্রুত এবং শক্তি নিয়ে দরজাটা বন্ধ হয়েছে এই আঘাত যদি আমার মাথায় লাগতো মাথা ফেটে যেত নিশ্চিত। ভাবতে না ভাবতেই আমি দরজা বাইরে থেকে আটকিয়ে দিয়ে পশ্চিমের দরজাও বাইরে থেকে আটকিয়ে দিলাম। আর বললাম চান্দু তুমি আমারে আটকাইতে চাইছিলা, এইবার তোমারে আমি আটকাইছি। ভয় দেখাও আমারে না! আজ সারারাত দরজা খুলব না। আরো কতক্ষন বকবক করলাম কিন্তু কোন সাড়া-শব্দ নেই। আমার বউ তো এমন না। এতোক্ষনে তার খিলখিলিয়ে হেসে উঠার কথা। তারপর উকি দিলাম পশ্চিমের ঘরে। দেখি আম্মা জায়নামাজে বসা, মাত্রই নামাজ শেষ করেছেন। আর বউ মাঝের রুমে বসে জি বাংলা না কোন চ্যানেলে সিরিয়াল দেখে। আমি বউললাম, ওহ তুমি এখানে। এত দ্রুত কিভাবে আসলা। আমি না তোমারে ওই ঘরে আটকাইয়া আসলাম।

বউ বলে কি বলছো এসব। আমারে আটকাইলা কখন?

কেন তুমি এতোক্ষন উত্তরের ঘরে ছিলা না?

বউ কয় না। আমি তো টিভি দেখতেছি। পাম্প ছাইড়া দিয়াই তো টিভি দেখতে বসলাম। কি হইছে বলো তো শুনি।

আমি বলি, আমি তাইলে কারে আটকাইলাম? আমার মুখের সামনে এতো জোরে দরজা বন্ধ করলো কে? পশ্চিমের দরজা বন্ধ করার সময় দরজা কে টাইন্যা ধরছিলো, জোর শক্তি দিয়ে দরজা বাইরে থেকে আটকাইছি। তাহলে কি চোর-টোর আসছিলো ছাগল বা গরু চুরি করতে। কিন্তু চোর এই সন্ধ্যা বেলায় আসবে কেন?

বউ বলে চলো তো দেখি কি ওই ঘরে?

আরে দাঁড়াও। আব্বাও বাড়িতে নাই। যদি সত্যিই চোর হয় তাহলে আমি একা তো তাকে আটকাতে পারবো না। তখনই বউ আমার চাচাতো ভাইকে ফোন দেয়। দুই মিনিটেই চাচাতো ভাই এসে হাজির হয়। বউকে বলি দুইটা লাঠি আনতে। মোটা দুইটা বাঁশের লাঠি নিয়ে আসে সে। একটা আমার হাতে একটা চাচাতো ভাইয়ের হাতে। বউ পিছনে টর্চ লাইট হাতে। লাঠির কথা শুনে আম্মা উঠে আসে। আম্মা মনে করেছে পাশের ফিশারির কোন লোক হয়ত ঘরে ঢুকেছিলো। যেহেতু লাঠি নিয়েছি, আজকে তার কপালে খারাবি আছে। আমি বলতেছি, যদি কোন চোর ঘরের ভিতরে থাকো, আওয়াজ দাও। কিছু করবো না। যদি ঘরে ঢুকে বের করে আনি, তাহলে কিন্তু আস্ত রাখবো না। আসলে ঘরে ঢুকতে এখন আমারও ভয় ভয় লাগতেছে। এভাবে ১০ মিনিট কাটার পর আস্তে আস্তে দরজাটা একটু ফাক করে উদ্যত লাঠি নিয়ে দুই ভাই একসাথে ঘরে ঢুকে পড়ি পিছনে বউ লাইট নিয়ে হাজির। ঘরের ভিতরের টিউব-লাইট জ্বালালাম। পুরো ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজে ফেলেছি। কেউ কোথাও নেই। দরজার ওপাশেও নেই। গাভী তার বাচ্চা নিয়ে শুয়ে আছে। ছাগল গুলি গুটি পাকিয়ে ৫টা একসাথে আর বাচ্চাসহ আরেকটা অন্য পাশে শুয়ে আছে। পাম্প বন্ধ করলাম।

কিভাবে কি হল আর কিছু্ই বোঝলাম না। রহস্য এখনো ঘনীভুত।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪২

অতৃপ্ত অনুভূতি ! বলেছেন: হুম............ এইটা নির্ঘাত পেত্নি হইবে......... আপনাকে একলা ঘরে নিয়া মজা নিতে চাইছিল। :P :P :P

১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

ভিটামিন সি বলেছেন: হইতারে.......

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

মদন বলেছেন: ভুই পাইসি :(

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

ভিটামিন সি বলেছেন: আমিও ভুই পাইছিলাম। পরে বউ গেলাস ভইরা পানি খাওয়াইছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.