নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঘোলা জল আর ঝরা পাতা মূল্যহীন। ঘোলা হওয়ার আগে বা ঝরে পড়ার আগেই কিছু একটা করা উচিত।
আবারো চলে আসলাম আরো কিছু নতুন প্রশ্নোত্তর নিয়ে। পর্ব ৪ এ মোট ৬১ টি প্রশ্নোত্তর ছিলো। এখন ৬২ থেকে শুরু করছি। যারা আগের গুলি পড়েননি, তারা প্লিজ একটু আমার ব্লগ ঘুরে আসুন।
প্রশ্ন নং ৬২ঃ গাড়ির চাকা ফেটে গেলে করণীয় কী?
উত্তরঃ গাড়ির চাকা ফেটে গেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়ে। এই সময় চালককে স্টিয়ারিং দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হবে এবং এক্সিলেটর থেকে পা সরিয়ে ক্রমান্বয়ে গতি কমিয়ে আস্তে আস্তে ব্রেক করে গাড়ি থামাতে হবে। চলন্ত অবস্থায় গাড়ির চাকা ফেটে গেলে সাথে সাথে ব্রেক করবেন না।
প্রশ্ন নং ৬৩ঃ হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি কী?
উত্তরঃ প্রতিটি গাড়ির সামনে ও পেছনে উভয়পাশের কর্ণারে একজোড়া করে মোট দুইজোড়া ইন্ডিকেটর বাতি থাকে। এই চারটি ইন্ডিকেটর বাতি সবগুলো একসাথে জ্বললে এবং নিভলে তাকে হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি বলে।
প্রশ্ন নং ৬৪ঃ গাড়ির ড্যাশবোর্ডে কী কী ইন্সট্রুমেন্ট থাকে?
উত্তরঃ ১) স্পিডোমিটার - গাড়ি কত বেগে চলছে তা দেখায়;
২) ওডোমিটার - তৈরীর প্রথম থেকে গাড়ি কত কিলোমিটার বা মাইল চলছে তা দেখায়;
৩) ট্রিপমিটার - একট্রিপে গাড়ী কত কিলোমিটার বা মাইল চলে তা দেখায়;
৪) টেম্পারেচার গেজ - ইঞ্জিনের তাপমাত্রা দেখায় এবং
৫) ফুয়েল গেজ - গাড়ির তেলের পরিমান দেখায়।
প্রশ্ন নং ৬৫ঃ গাড়িতে কী কী লাইট থাকে?
উত্তরঃ হেডলাইট, পার্ক লাইট, ব্রেক লাইট, রিভার্সলাইট, ইন্ডিকেটর লাইট, ফগলাইট, নাম্বারপ্লেট লাইট।
প্রশ্ন নং ৬৬ঃ পাহাড়ী ও ঢালু রাস্তায় গাড়ী কোন গিয়ারে চালাতে হয়?
উত্তরঃ ফার্ষ্ট গিয়ারে। কারণ ফার্ষ্ট গিয়ারে গাড়ি বেশী শক্তি পায়।
প্রশ্ন নং ৬৭ঃ গাড়ির সামনে ও পিছনে লাল রঙের ইংরেজী "L" অক্ষরটি লেখা থাকলে কী বোঝায়?
উত্তরঃ এটি একটি শিক্ষানবীশ চালিত গাড়ি। এই গাড়ি হতে সাবধান থাকতে হবে।
প্রশ্ন নং ৬৮ঃ শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গাড়ী চালানো কী বৈধ?
উত্তরঃ ইনস্ট্রাক্টরের উপস্থিতিতে ডুয়েল সিস্টেম সম্বলিত গাড়ি নিয়ে সামনে ও পিছনে লাল রঙের এল লেখা প্রদর্শন করে নির্ধারিত এলাকায় গাড়ি চালানো বৈধ।
প্রশ্ন নং ৬৯ঃ ফোর হুইল ড্রাইভ গাড়ি বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ সাধারণত ইঞ্জিন হতে গাড়ির পেছনের দু চাকায় পাওয়ার সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বিশেষ কারণে যে গাড়ির চারটি চাকায় পাওয়ার সরবরাহ করা হয়ে থাকে তাকে ফোর হুইল ড্রাইভ গাড়ি বলে।
প্রশ্ন নং ৭০ঃ ফোরহুইল ড্রাইভ কখন প্রয়োগ করতে হয়?
উত্তরঃ ভালো রাস্তাতে চলার সময় শুধুমাত্র পেছনের দু চাকাতে ড্রাইভ দেয়া হয়। কিন্তু পিচ্ছিল কর্দমাক্ত রাস্তায় চলায় সময় চার চাকাতেই ড্রাইভ দিতে হয়।
প্রশ্ন নং ৭১ঃ টুরবক্স কী?
উত্তরঃ এইডার উত্তর আমি না লিখলেও হইব। সবাই তো এইডা জানেন ই। টুলবক্স হলো যন্ত্রপাতি রাখার বাক্স।
প্রশ্ন নং ৭২ঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যাতীত গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমুতি দিলে শাস্তি কী?
উত্তরঃ সর্বোচ্চ চার মাস কারাদন্ড বা ৫০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ডে দন্ডিত হতে পারে। মালিক ও চালক উভয়ই দন্ডিত হতে পারেন।
প্রশ্ন নং ৭৩ঃ গাড়িতে নিষিদ্ধ হর্ণ বা উচ্চশব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্র সংযোজন ও ব্যবহার করলে কী শাস্তি?
উত্তরঃ ১০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
প্রশ্ন নং ৭৪ঃ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রুট পারমিট ব্যাতীত গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমুতি দিলে শাস্তি কী?
উত্তরঃ প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ তিনমাসের কারাদন্ড বা ২০০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ড। ২য়বার বা পরবর্তীবার সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদন্ড বা ৫০০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ডে দন্ডিত হতে পারেন। এক্ষেত্রে মালিক এবং চালক উভয়ই দন্ডিত হতে পারেন।
প্রশ্ন নং ৭৫ঃ মাতাল অবস্থঅয় গাড়ি চালনার শাস্তি কী?
উত্তরঃ সর্বোচ্চ তিনমাসের কারাদন্ড বা ১০০০ টাকা জরিমানা বা উভয়দন্ড। পরবর্তী সময়ে প্রতিবারের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা ১০০০ টাকা জরিমানা বা উভয়দন্ড এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল।
প্রশ্ন নং ৭৬ঃ নির্ধারিত গতির চেয়ে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালনার শাস্তি কী?
উত্তরঃ প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ দিন কারাদন্ড বা ৩০০ টাকা জরিমানা বা উভয়দন্ড। পরবর্তীতে একই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ তিনমাস কারাদন্ড বা ৫০০ টাকা জরিমানা বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হতে পারেন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স একমাসের জন্য স্থগিত।
প্রশ্ন নং ৭৭ঃ বেপরোয়া বা বিপদজ্জনকভাবে গাড়ি চালানোর শাস্তি কী?
উত্তরঃ সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদন্ড বা ৫০০ টাকা জরিমানা এবং যে কোন মেয়াদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্যকারিতা স্থগিত।
প্রশ্ন নং ৭৮ঃ ক্ষতিকর ধোঁয়া নির্গত গাড়ি চালনার শাস্তি কী?
উত্তরঃ ২০০ টাকা জরিমানা।
প্রশ্ন নং ৭৯ঃ নির্ধারিত ওজনসীমার অধিক ওজন বহন করে গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমুতি দিলে শাস্তি কী? ?
উত্তরঃ প্রথমবার ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং পরবর্তী সময়ে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা ২০০০ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ডে দন্ডিত।
প্রশ্ন নং ৮০ঃ ইনসিওরেন্সবিহীন অবস্থায় গাড়ি চালানোর শাস্তি কী?
উত্তরঃ ২০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
ভিটামিন সি বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫
জাফরুল মবীন বলেছেন: খুব প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
ভিটামিন সি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০
মামুন রশিদ বলেছেন: খুব ভালো পোস্ট । আমারই লাগবে ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮
ভিটামিন সি বলেছেন: ওকে, রেখে দিন শোকেজে। ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৬
আলম দীপ্র বলেছেন: খুব ভালো চালিয়ে যাচ্ছেন । শুভকামনা ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১২
ভিটামিন সি বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৬
কলমের কালি শেষ বলেছেন: প্রয়োজনীয় এবং উপকারী পোষ্ট ।++++++
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৩
ভিটামিন সি বলেছেন: রেখে দিন। আপনার না হউক ছোট ভাইয়ের কাজে লাগবে।
৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৫৭
ুশরিফ বলেছেন: আমি পেশাগত কারনে বি আর টি এর লিখিত এবং ভাইভা বোর্ড এ থেকেছি অনেক বার।দেখেছি অনেক লাইসেন্স প্রতাশ্যিরা লিখিত ও ভাইবাতে কম নাম্বার পান।কারন কি পড়া দরকার তা জানা নাই।এ বিষয়ে বই ও খুব বেশি সহজলভ্য নয়। আপনার এই লেখা অনেকের কাজে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর এই লেখার জন্য।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৭
ভিটামিন সি বলেছেন: আমি ব্যাক্তিগত জীবনে এখনও লাইসেন্স এর অধিকারী হই নি। তাহলে একটা ছোট বই লিখে ফেলি কি কন?
৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১
পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: ব্যাপক জ্ঞানমূলক পোস্ট । একটা গাড়ীর মালিক হবার চান্স যদিও শূন্যের কোঠায় তবুও কাউকে উপদেশ দেবার জন্য পোস্টটা কাজে লাগবে ।
ভালোলাগা রইলো ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৬
ভিটামিন সি বলেছেন: ভালো লাগা রেখে দিলাম। পোষ্ট টা কাজে লাগার জন্যই তো এতো কষ্ট কইরা লিখছি। কেন রে ভাই, গাড়ী কিনার সম্ভাবনা শুণ্যের কোটায় কেন? সেকেন্ড হ্যান্ড গুলা তো দেখি ১০লাখের কাছা কাছিই পাওয়া যায়। কিইন্না ফালান একটা।
৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:০৪
সবুজ সেন দীপু বলেছেন: খুব ভালো।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৬
ভিটামিন সি বলেছেন: রেখে দিন। কাজে লাগতে পারে।
৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:১৪
মহান অতন্দ্র বলেছেন: নিজের পরীক্ষার সময়ের কথা মনে পড়ে গেল ।
বেশ ভালো পোস্ট ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৭
ভিটামিন সি বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: অনেক দিন পর সামুতে আসলেন, মনে হচ্ছে। আছেন কেমন। আমার ব্লগে আড্ডা চলছে , বেরিয়ে যাবেন।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩
ভিটামিন সি বলেছেন: আরে না। আসি নিয়মিতই, তবে অফলাইনে। ইদানিং লিখতে ইচ্ছে করে না। ধন্যবাদ, যাবো একবার।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫
একনীল বনসাই বলেছেন: খুব ভালো