নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার শেষ নেই...

ভ্রমরের ডানা

ভালো থাকুক কবিতাগুলো ...

ভ্রমরের ডানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউ - ২ঃ Fury

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩



II world war তখন চরম নাটকীয় রুপ নিয়েছে। নাৎসি বাহিনীর সাথে ব্রিটিশ- আমেরিকান মিত্র বাহিনীর লড়াই এবার সামনাসামনি হবে। জার্মান মেকানাইজড বাহিনীর সামনে, একেবারে চোখাচোখি দূর হতে হবে বুলেট বিনিময়, ৬ ইঞ্চি কামানের গোলার জবাব দেবে ট্যাংকে বসা অগ্নিদেব।

পরিচালক ডেভিড আয়ার রচিত ও পরিচালিত Fury, তার পরিচিত কিছু ২nd world war surviver বাস্তব যোদ্ধার অভিজ্ঞান থেকে নেওয়া।আর তাই বুঝি মুভিটি আমাদের নিয়ে যায় বাস্তব যুদ্ধ ময়দানে। যেখানে জীবনের অর্থ হল মার নয়ত মর।

ইংল্যান্ড আর্সেনালে তৈরিকৃত M4-Shrman ট্যাংক যাতে বসানো হয়েছে ৭০ মিমি মেশিনগান তার সাথে হেভি মেটাল ৫৪ টনের দানব Tiger I এর তোলপাড় করা লড়াই দৃশ্য যে কোন যুদ্ধপ্রেমিক সিনেমাখেকো কে টেনে নেবে যুদ্ধ ময়দানে।

ওয়ারফেজ শেষের দিকে। জার্মান বাহিনী কোনঠাসা। মিত্র বাহিনীর কাজ এখন জার্মানি দখল করা। অভিজ্ঞ জেনারেলরা দায়িত্ব দিলেন north african campaign জয়ী ডন কলিয়ার ( ব্যাড পিট) কে। armed battalion ৬৬ এখন তার নিয়ন্ত্রণে। Fury নামক একটি ট্যাংকের সাথে আরো ৩টি ট্যাংক জুড়ে জার্মান ভুমিতে পা রাখে ডন। সাথে ৪ অভিজ্ঞ সেনানী ও নবিশ নরম্যান। সেনাবাহিনী যোগদানের আট সপ্তাহের অভিজ্ঞতা নয়, Fury ট্যাংকটির সহকারি চালকের মৃত্যু তাকে এই দুঃসাহসিক অভিযানকারী বানিয়েছে। সম্মুখ যুদ্ধ কতটা হিংস্র, নবিশ নরম্যান তা বুঝতে পারে না। সে জন্য অন্যান্য ক্রুদের নিগ্রহ তাকে মুখ বুঝে সইতে হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে নেমে সে শত্রু কে গুলি করতে ভয় পায়। মানবতাবোধে কুকড়ে উঠে।তাই কিছুটা বাধ্য হয়েই অভিজ্ঞ যোদ্ধা ডন তাকে দিয়ে জোর করে শত্রু পক্ষের এক জেনেভা চুক্তি লংঘনকারি সৈন্যকে হত্যা করতে বাধ্য করে।অনভিজ্ঞ নরম্যান কান্নায় ভেঙে পড়ে।

এবার ওয়ারডেডি ডন আরো সামনে এগিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড় রক্ষার দায়িত্ব পান। পথিমধ্যে নরম্যান এক জার্মান রুপসীকে মন দিয়ে বসে। ওদিকে আবার এগিয়ে আসছে ৩০০ হিটলার বাহিনী। ঠিক সে সময় রাস্তার মোড়ে এসেই ল্যান্ড মাইনের ফাদে পরল Fury, ভেংগে গেল ৩টি হুইলার। এবার কি করবে নরম্যান? সে কি ওই জার্মান রুপসীর মন জয় করতে পারবে? নাকি রাস্তার মোড়ে নাৎসি বাহিনীর গ্রেনেডে ছিন্নবিচ্ছিন হবে? ওয়ারডেডি ডন কিভাবে ৫ দিয়ে ৩০০ জার্মান সৈন্য মোকাবিলা করবে? তার পরিকল্পনাটাই বা কি? Fury কি পারবে অজেয় হতে?

যুদ্ধপ্রিয় সিনেমাখেকোদের বারবার দেখা মুভিটির আই ডিএম রেটিং ৭ থেকে একটু বেশি। তাই আর দেরি না করে দেখে ফেলুন মুভিটি।


চলবে_____

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮

চলন বিল বলেছেন: ঠিক আছে

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: দারুন । অবশ্যই দেখবো ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: দেখুন জলদি। আপনার অনুভুতি জানিয়েন।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

কিরমানী লিটন বলেছেন: মুুগ্ধ ভালোলাগার রিভিউ পড়ে ছবিটি দেখার আগ্রহ বেড়ে গেলো-সতত শুভকামনা প্রিয় ভ্রমরের ডানা ...

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: শুভ কামনা রইল কিরমানী ভাই। সুন্দর কমেন্টে প্রীতিকর জানবেন।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: মুভিটা দেখার একমাত্র আগ্রহ ছিল ব্র্যাড পিট। তখন মাত্রই রিলিজ পেয়েছে মুভিটা। হল প্রিন্টেই দেখেছিলাম।
ছোট একটা কাহিনীর ভিতরে ইমোশন ঢুকিয়ে যেভাবে এটাকে প্রকাশ করেছে যুদ্ধের ভয়াবহতা - সেইটা সত্যই প্রশংসার যোগ্য।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আমিও অনেক আগে দেখেছি। এবার দেখে আবার নতুন কিছু জানলাম বুঝলাম।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

উর্বি বলেছেন: ভালো লাগল

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ধন্যবাদ। সময় পেলে দেখে নিয়েন। আরো ভাল লাগবে।

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: রিভিউ ভাল হইসে। দেখার চেষ্টা করব।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
জলদি দেখে নিন,




পাঠে ও কমেন্টে ক্রিতজ্ঞতা।

৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

সুমন কর বলেছেন: মুভিটি দেখা হয়েছে। চমৎকার মুভি। আপনার রিভিউও ভালো হয়েছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এর মধ্যে দেখে ফেলছেন সুমন ভাই। জেনে খুব ভাল লাগল। রিভিউ ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।


পাঠে ও কমেন্টে ক্রিতজ্ঞতা।

৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৭

প্রামানিক বলেছেন: পোষ্ট পড়ে মুভিটি দেখার ইচ্ছা জাগল। ধন্যবাদ

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: পাঠে ও কমেন্টে ক্রিতজ্ঞতা। ভাল থাকুন প্রামাণিক ভাই।

৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: রিভিউ ভাল হইসে কিন্তু টাইম কম। চেষ্টা করব দেখার।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: দেখে নিয়েন। না দেখলে পস্তাবেন। অনেক কিছু শিখার আছে ভাই।

১০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

রোদেলা বলেছেন: মুভি দেখে আবার পড়তে আসবো।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: কেমন লেগেছে জানিয়েন।

আমার মুভি টা মুখস্ত হয়ে গেছে প্রায়।

১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৮

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আচ্ছা ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: পাঠ ও কমেন্টে ক্রিতজ্ঞতা। অশেষ শুভকামনা।

১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

জুন বলেছেন: এই সব বিশ্বযুদ্ধের উপর এত ম্যুভি দেখা হয়েছে যার কিছু কিছু মর্মান্তিক আবার কিছু রয়েছে বীভৎস বা নারকীয় কর্মকান্ডে ভরা। এই সব মারামারি খুনা খুনি আমার কখনো ভালোলাগে না ভ্রমরের ডানা।
তবে আপনার রিভিউ চমতকার।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: কার ভাল লাগে বলেন। অনেক হত্যা করার পরেও ওয়ারডেডি (পড়ুন সিনেমার নায়ক) কান্নায় ভেঙে পড়ে। কিছুই করার থাকে না। পরিস্থিতি এমন বাস্তব। আমার ও ভাল লাগে না। আমি এসব সিনেমা দেখে যুদ্ধের কারন টা বুঝার চেষ্টা করি। চিন্তা করে তার সমাধান বের করার চেষ্টা করি। কিছু সমাধান এত সহজ ও তুচ্ছ হয় যে কষ্ট লাগে। যেমন ট্রয় মুভির ব্যাপার টা। গ্রীক রাজা আগামেনন ট্রয় নগরী ধ্বংস করেছিলেন শুধু মাত্র যুবরাজ প্যারিস ও মেনিকিউলাসের বউ হেলেনের প্রেমের কারনে। ২ জনের ভুলের খেসারত দেয় কয়েক লক্ষ মানুষ। এই কারন কে প্রতিরোধ করা যেত যদি প্যারিস একটু সচেতন হত। যুবরাজ হয়েও সে তার নিজ রাজ্য ও নাগরিকের কথা না ভেবে নিজের প্রেমবিলাসে মত্ত ছিল। আমার কাছে এটা পুরোটা ছেলেমানুষি মনে হয়েছে।

যাই হোক,আমি আপনার সাথে মানবতার বিষয়ে সম্পুরন একমত।

১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

জুন বলেছেন: ট্রয়ের ইতিহাস আমার বহুবার পড়া। যদিও প্রেমের দেবীর প্ররোচনাই ছিল এই যুদ্ধের কারন। তথাপি মান সন্মান জনিত সেই ট্রয়ের যুদ্ধ, সেই দু:)খজনক পরিনতি থেকে রাজা প্রিয়াম, হেক্টর, একিলিস কে বেচেছে বলুন ? ইভেন যুদ্ধজয়ী রাজা এগামেমনন ও তো রক্ষা পায়নি। এসে স্ত্রীর হাতে খুন হলো বাথটাবে । আপনি রামায়নে রাবনের ইতিহাস পড়েছেন নিশ্চয়। সেখানেও তো লংকার রাজকন্যা রাক্ষসী সুপর্নখা লক্ষনের প্রেমে প্রত্যাখাত হয়ে ভাই লংকারাজ রাবনকে দিয়ে সীতাকে চুরি করে এনে সোনার লংকাকে পুড়িয়ে ছারখার করালো।
বেশিরভাগ যুদ্ধ বিনা কারনেই হয়েছে আর জনগনের জীবন হয়েছে বিপন্ন। মিখাইল শলোকভের ধীরে বহে ডন গল্পটি পড়ে দেখুন, এটা নিয়ে ম্যুভিও হয়েছে। চোখের পানি ধরে রাখা মুশকিল। আর বর্তমানের ইরাক আফগানিস্তানে কি হচ্ছে? কি মানবেতর জীবন যাপন করছে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত এই দেশগুলো যারা একদা ধনে সম্পদে ঐতিহ্যে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করেছিল।
বিশাল এক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক দু:খিত ভ্রমরের ডানা।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আপনার মন্তব্য অনুপ্রেরণামুলক। আপনি যথার্থ বলেছেন। লংকা, ট্রয় থেকে শুরু করে আজকের সিরিয়া ইরাক, আফগানিস্তান সবখানেই ছিল অহংবোধ, ছিল বিনয়ের অভাব। এমন একটি যুদ্ধ নেই যেখানে ছলনা ছিল না, ছিল না কুটকৌশল।

আপনার সাজেস্ট করা মুভিটা দেখা হয়নি। দেখব আজ।

১৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

জেন রসি বলেছেন: বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে দেখা আমার সবচেয়ে প্রিয় মুভি হচ্ছে The Flowers of War। আসলে মানব সভ্যতার ইতিহাসই হচ্ছে যুদ্ধের ইতিহাস।

চলুক ডানা ভাই। সাথেই আছি।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এই যা, এই মুভিটা এখন ও দেখা হল না। আজই দেখে ফেলতে হবে।

১৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:২৪

পাঁজর চক্রবর্তী বলেছেন: রিভিউ ভাল লাগল! :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ব্লগে আগমনে শুভেচ্ছা।



ভাল থাকুন সব সময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.