নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার শেষ নেই...

ভ্রমরের ডানা

ভালো থাকুক কবিতাগুলো ...

ভ্রমরের ডানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামাজিক সমস্যা ও আমার ভাবনা-১ঃ অপসংস্কৃতি ও মিডিয়ার দায়বদ্ধতা

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫১


একটা গান শুনছি। আমার চাচ্চুর প্রিয় গান। আমার ও বেশ ভাল লাগে।চাচ্চুর প্রভাব আমার জীবনে ব্যাপক। বলতে গেলে আমি তার ফোটোকপি।

"ধন্য ধন্য, ও বলি তারে।
বেধেছে এমন ও ঘর শূন্যের উপর পচতা করে।
ধন্য ধন্য বলি তারে"।
যতবার শুনি মন ভরে যায়। আহা! সুরের কি টংকার, কি আবেদন বাংলা গানের!

চাচ্চু বলতেন লেখক,গায়ক ও সুরকার তিনে মিলে ত্রয়ী যজ্ঞীয় প্রতিজ্ঞায় তুলে ধরতেন আবহমান বাংলার প্রতিটি মনের আবেদন। কালজয়ী তারা।

আমাদের দেশের সংস্কৃতি হাজার বছরের বহমান নদীর মত। যেদিকে গেছে হাজার শাখা প্রশাখা বিস্তার করে গেছে।আমাদের কি নেই। আমাদের রয়েছে হাজার বছরের প্রাচীন গানের সংকলন "চযাপদ",রয়েছে অজস্র কবি, কবিতা, গান, ভাওয়াইয়া,ভাটিয়ালি।আমরা সাহিত্য ও কলায় পিছিয়ে ছিলাম না কোন জাতির থেকে।তাই তো আমাদের কবি জসীমউদ্দিনের উপর গবেষণা করে গেছে ক্লিনটন বি ক্লাক। লালনগীতি নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য বই। আর আমরা কিনা ধারন করেছি অন্য দেশের সংস্কৃতি।

আমি ভাবলাম ইশ আসলেই আমরা অভাগা। রমিতের দাদু দিল্লিতে থাকেন । ওদের বাসায় তো কোনদিন শুনিনি কেউ আমাদের গান গাইছে। তাহলে আমরা কেন? চাচ্চু কে জিজ্ঞাস করলাম।

চেয়ারে বসে চাচ্চু তখন কবিতা লেখছে। আমার ডাকে চাচ্চু আমার দিকে তাকাল। বাউল মানুষ কিছুটা পাগলাটে। মনটা পানির মত সাদা। খুব গম্ভীর। কারো সাথে বেশী কথা বলেনা।সেদিন বাবা কথা বলতে গেলেন ব্যবসার উইল নিয়ে। চাচ্চু ফিরেও তাকালেন না। বাবাকে বললেন গান শুনছি পরে এসো। বাবা জানতেন আর কিছু বলে লাভ নাই। দুনিয়া ভেঙে গেলেও এই মুরিদ তার গানের জগত থেকে ফিরবে না। তিনি ফিরে গেলেন।

আমি জানতাম চাচ্চু তার প্রিয় বিষয়ে লেকচার দিবে তাও ভাবলাম শুনে দেখি, কি বলে উনি। আকাশের দিকে তাকিয়ে চাচ্চু কিছুক্ষণ উদাসী হয়ে থাকল। এরপর বলল, "জানিস লিটু আজ ভিন্নদেশীয় সংস্কৃতি গ্রাস করেছে আমাদের। কারন আমরা তুলে ধরতে পারিনি আমাদের শিল্পকে। ধারাবাহিতা হারিয়েছি বারংবার। আমরা হয়েছি ভিনদেশীয় মেকি সংস্কৃতির পরজীবী। আমরা অভাগা। আমরা ধীরে ধীরে হয়ে হয়ে পরছি শিকড় বিহীন পরগাছা। আত্মপরিচয় ভুলে থাকা এসব বাঙলাদেশী কে উদ্দেশ্য করে কবি আব্দুল হাকিম যথার্থই বলেছিলেন--
"দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায়
নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশ ন যায়"।

আমাদের অন্যের সংস্কৃতি জানা দরকার, কিন্তু তার অন্ধ অনুকরণ আমাদের শুধু এবং শুধুমাত্র জলে ভাসা বেনামী শেওলায় পরিনত করবে। রত্নময় বাংলা গানের মন মাতানো সুর আর আবেদন ভুলে কি পাব আমরা? কোথায় যাব আমরা?

তাই আমাদের হতে হবে আরো সৃজনশীল, হতে হবে নিজ কৃষ্টি-কালচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত অনুষ্ঠানের প্রতি দোষারোপ করে লাভ নেই। অভিসম্পাত কর হাজার বার নিজের মননের উপর।"

এত গুলা কথা কানের উপ্রে দিয়ে গেল। যদিও কাজের কথা কিন্তু বহুত ভারি কথা। বুঝলাম অযথাই চাচ্চুরে বিরক্ত করলাম। আমি নিজেও বিরক্ত হইলাম। কিছুক্ষন পর চেয়ারম্যান চাচার ছেলে ইয়ো ইউসু বাসায় গাইড বই নিতে এল। এটা ওর বাবার দেওয়া নাম না। নিজে বদলায় নিছে। বাপের দেওয়া ইউসুফ আলী নাম সে পছন্দ করে না।
ইউসুফ গলায় চেইন পড়ে। হাতে ৩-৪ টা বালাও পরছে। ওরে দেখে কাজের বেটি জুলেখা মনে হয়। খালি একটা শাড়ি পরালেই চলবে। কিন্তু ওকে একথা বলার সাহস কারো নেই চাচ্চু ছাড়া। হেলেদুলে হতভাগাটা গান গাইছে তাও আবার চাচ্চুর ঘরের পাশ দিয়েঃ

আফগান জালেবী----
মাশুক ফারেবি----
খাজা জিকে পাস তেরি চুগ্লি করু----- গা
ও তেরি------

চাচ্চুকে দেখে ব্রেক কষল।
চাচ্চু ওকে দেখেই বলা শুরু করল," এই ছেলে কি গান শুন হ্যা। কি গান শুন। ফাইযলামি নাহ।

"আফগান জিলেবি, মাসুক ফারেবি" হিন্দি গান। এটার দোলায় উদ্দেলিত মনকে বল একবার লালনের গানে ডুব দিতে। একবার শুনিয়ে দাও তাকে " আমার হাড় কালা করলাম রে অথবা " আয়না তে ওই মুখ দেখবে যখন" অথবা "যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তিসেনা"। শপথ করে বলতে পারি দুনিয়ার কোন মিউজিকে মন ভরবে না আর"।

ইয়ো ইউসু তব্দা হয়ে গেল। অবশ্য এরআগেও বহুবার চাচ্চুর ঝাড়ি খাইছে। প্রতিবার তউবা করে সে হিন্দি গান শোনা বাদ দেয়। কিন্তু পারে না। আবার শোনে। এটা না শোনলে তার চলবে না।প্রতিদিনের রিজিক।

অভাগার দল আজকাল রাস্তা ঘাটে চিক্কুর মারে গায় "আজ দিল হে পানি পানি", " চার বোতল ভদকা" ইয়ো ইয়ো হানি সিংগা"। আফসোস এরা জেমসের "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি " শুনে নাই! এরা আজকাল পিটবুল প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার "আই আম সো এক্সোটিক" অথবা কেটি পেরির "রোওয়ার ইন জংগল" নিয়েই বেস্ত। কিছু ভিন্ন অধুনা ঘরনার কিছু বাংলা গান যেমন "জান ও বেবি" গানের আবেদন মনে সুড়সুড়ি কাটলে কাটতে পারে কিন্তু হলফ করে বলতে পারি বহতা নদীর মত বইবেনা, খালপাড়ের মৌসুমী পানির মত মিলিয়ে যাবে এক ঋতুতেই। কিন্তু প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে ভাল কিছু আশা করতেই পারি। আমি অবশ্য এইসব গান শুনছি। আমার তেমন ভাল লাগে নাই। আমার কেন ভাল লাগে না ইয়ো ইউসু বুঝতে চায় না।
সে বলে, "ইয়ো ম্যান আমি জানলাম না বুঝলাম না শুনলাম না রে,
তোর চাচ্চু তোর মাথায় কি ঢুকাইছে বাপ্রে।চাচ্চুর চিন্তার সাথে আমার মিল আছে বুঝতেছি।


যাই হোক, কোন এক অজানা গানে কি কবিতায় ঠিকমনে পড়ছেনা শুনেছিলাম অনেক আগে " আউল বাউল লালনের দেশে মাইকেল জ্যাকসন আইল রে, মানুষের মাথা খাইল রে"। আজকে এরা শুধু মাথা না কলবের ভিতরে ঢুকে বসে আছে।

শেষ কবে ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি গান টেলিভিশন বা রেডিওতে শুনেছি মনে নেই একমাত্র বিটিভি ছাড়া।এই কারনে বিটিভি প্রশংসার যোগ্য। অন্য প্রাইভেট চ্যানেল গুলা বাণিজ্যিক রেস্তোরার মত। বিজ্ঞাপনী ঘরনায় হুটহাট কিছু আয়োজন। সুর আছে তাল নাই, তাল আছে সুর নাই। কিন্তু ৪-৫ মিনিটের সুরেলা জিংগেল অ্যাড চলছে ননস্টপ। আহা! কি আয়োজন। কি পুঁজিবাদী সাংস্কৃতিক রেওয়াজ আয়োজন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তো নয় যেন বংগবাজারে বাদর নাচ দেখছি।

ঝারি খাওয়া ইয়ো ইউসুর মতে এগুলা আমাদের দোষ। আমরা আপগ্রেড না।আমরা মিউজিয়ামে থাকার যোগ্য। বাংলাদেশে না।ঘুম থেকে উঠে ডিশ চ্যানেলে প্রতিদিন তার নাইন এক্স এম এ "আফগান জিলাবী" আর দিনে দুই তিন বার বাংলালিংক কন্যা দেখা লাগবেই। আমিও আজকাল অনুষ্ঠানের ফাঁকেফাঁকে মেরিল কন্যা, ডেনিশ কন্যা, কিংবা আপগ্রেডেড বাংলালিংক কন্যা দেখছি আর ভাবছি এগুলো কেন? আমার হঠাৎ মনে হল আরে হ্যা, মিডিয়া তো অয়েটার। অয়েটার কে অড্রার করার আগে পরখ করে নেই আমরা কি খেতে চাই। শুধু শুধু অয়েটারকে বকে কি লাভ। অয়েটার কে যা আনতে দিবেন তাই আনবে। বকশিস পেতে কে না চায় বলুন। কে জানি বলেছিল আফটার অল এভরিথিং ফেয়ার ইন বিজনেস এ্যান্ড লাভ। দারুন জিনিস পেয়ে গেলাম দেখছি। চাচ্চুকে কাল জানাব।

ভাবতে ভাবতে ঘুম চলে এল। বিছানায় শুয়ে পরলাম। অষ্টম শ্রেণীর ফাইনাল পরিক্ষা সামনের মাসে। অনেক পড়া। ঘুম থেকে উঠে পড়তে হবে।কিন্তু ঘুম আসছে না।
রাস্তা থেকে জিংগেল ভেসে আসছে--
আফগান জিলাবী---
মাশুক ফারেবী-
গলাটা পরিচিত মনে হচ্ছে। আগে কোথায় যেন শুনেছি। কিন্তু চিনতে পারছি না। ঘুমের ঘোরে অজান্তে একটা গালি শুনলাম । বেজন্মা। কে দিল আমি না চাচ্চু বুঝলাম না। ধুর ঘুম দেই।

বিঃ দ্রঃ ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর করে দেখবেন।
ছবিঃ গুগল।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভাই, কয়ইন ধইরা এই আফগান জালেবি অনেক শুনতেছি। আর চার বোতল ভদকা। ভদকার গানটা শুনলেই চান্দি ফাল দিয়া চাঙ্গে উইঠা যাইতেছে। অন্য ভাষার প্রতি আমার বিদ্বেষ নাই। কিন্তু এমন কিছু গান খোদ ওদের সংস্কৃতির জন্যও ভালো না। আমি সব গানই শুনি। কেউ যদি আমাকে গানের কথা জিজ্ঞেস করে, তাইলে আমি বলবো আমার সবচেয়ে প্রিয় হাসন রাজা। এরপর অন্যরা। ভারতের অনেকে, পাকিস্তানের ফুজন, নুসরাত ফতেহ আলী কিংবা ইংরেজী অথবা স্প্যানিশ অনেক গানও পছন্দ। এইখানে কোন সমস্যা নাই। ঠিক এই মুহুর্তে আমার কানে হেডফোন লাগানো, অফিস রুমে কেউ নাই। ক্লিখতেছি আর কানে বাজতেছে,

আম্বার সারিয়া মুন্ডেয়াভে কাচিয়া কালিয়া না তোড়,
তেরি মা'নে বোলে হ্যায় মুঝে তিখে ছে বোল ;)

এই অবস্থার কারন কি? কারন অনেকটা আমরাই। সেই কবে লালন, হাসন, রবীকাকু কিছু অসাধারন সুর তোইরী করে গেছেন। মাঝে মাঝে আরও কেউ কেউ আসছেন। কিন্তু ধারাবাহিকতাটা কই? এখন মানসম্মত খুব বেশি গান তো প্রডিউস করেনা আমাদের কেউ। সিনেমাও হয়না খুব একটা। হাতেগোনা অল্প কয়টা সিনেমা প্রকৃত অবস্থা বোঝায় না। প্রিস্থিতি এমন হবেনা তো কেমন হবে? যারা নিজেকে সাহায্য করেনা খোদাও তাদের সাহায্য করেন না।

শুভকামনা রইলো। :)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভাই, কয়ইন ধইরা এই আফগান জালেবি অনেক শুনতেছি। আর চার বোতল ভদকা। ভদকার গানটা শুনলেই চান্দি ফাল দিয়া চাঙ্গে উইঠা যাইতেছে। অন্য ভাষার প্রতি আমার বিদ্বেষ নাই। কিন্তু এমন কিছু গান খোদ ওদের সংস্কৃতির জন্যও ভালো না।
সহমত।

আমাদের ধারাবাহিকতা আবার ফিরে আসুক। এই কামনা করি। মননে ধারন করি আপন সত্তা। যে মাটি সোনার বাড়া, তাতে কোন না কোন সময় আবার জলবে নিজ সংগীত প্রদীপ। সেই আশায় রইলাম শতদ্রু ভাই।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার স্মৃতি কথন! মন্ত্র মুদ্ধের মত এক নিঃশ্বাসে লেখাটা পড়ে শেষ করলাম। লেখার মাধ্যমে আপনি যে বাস্তব সত্যটাকে তুলে আনছেন সেটাকে অস্বিকার করার কোন উপায় নেই! অনেক ভাল লাগছে!

শুভ কামনা জানবেন!

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সাহসী ভাই, আপনার সাহসিকতার কোন ঘটনা জানাবেন প্লিজ। আপনার নিক নেম টা দেখে প্রশ্নটা এলো। অন্য কিছু নয়।

এই লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে পুলকিত বোধ করছি। :#)

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর লেখা। খুব ভাল লাগল।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। অনেক শুভকামনা। :)

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। যেন আমার মনের কথাগুলোই বলে দিয়েছেন। তারা কেন ভিনদেশী সংস্কৃতি নিয়ে এতো মাতামাতি করে, বুঝে পাই না...

আমাদের অন্যের সংস্কৃতি জানা দরকার, কিন্তু তার অন্ধ অনুকরণ আমাদের শুধু এবং শুধুমাত্র জলে ভাসা বেনামী শেওলায় পরিনত করবে। রত্নময় বাংলা গানের মন মাতানো সুর আর আবেদন ভুলে কি পাব আমরা? কোথায় যাব আমরা?
--

বেশ কিছু টাইপো আছে। পোস্টে ভালো লাগা।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: চাচ্চুর কেরামতি সুমন ভাই। উনার কথা সবার মন ছুঁয়ে যায়। উনার কথা গুলাই ঝেড়ে দিলাম।

অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

কাবিল বলেছেন: আমাদের দেশের সংস্কৃতি হাজার বছরের বহমান নদীর মত। যেদিকে গেছে হাজার শাখা প্রশাখা বিস্তার করে গেছে।আমাদের কি নেই। আমাদের রয়েছে হাজার বছরের প্রাচীন গানের সংকলন "চযাপদ",রয়েছে অজস্র কবি, কবিতা, গান, ভাওয়াইয়া,ভাটিয়ালি।আমরা সাহিত্য ও কলায় পিছিয়ে ছিলাম না কোন জাতির থেকে।তাই তো আমাদের কবি জসীমউদ্দিনের উপর গবেষণা করে গেছে ক্লিনটন বি ক্লাক। লালনগীতি নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য বই। আর আমরা কিনা ধারন করেছি অন্য দেশের সংস্কৃতি।
সুন্দর লিখেছেন, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: বাংলা সংস্কৃতি ও সাহিত্য ফিরে পাক তার আপন গতিধারা। ধন্যবাদ কাবিল ভাই। শুভকামনা।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমাদের কি নেই। আমাদের রয়েছে হাজার বছরের প্রাচীন গানের সংকলন "চযাপদ",রয়েছে অজস্র কবি, কবিতা, গান, ভাওয়াইয়া,ভাটিয়ালি।আমরা সাহিত্য ও কলায় পিছিয়ে ছিলাম না কোন জাতির থেকে।তাই তো আমাদের কবি জসীমউদ্দিনের উপর গবেষণা করে গেছে ক্লিনটন বি ক্লাক। লালনগীতি নিয়ে রচিত হয়েছে অসংখ্য বই। আর আমরা কিনা ধারন করেছি অন্য দেশের সংস্কৃতি।

কিছুক্ষন পর চেয়ারম্যান চাচার ছেলে
ইয়ো ইউসু বাসায় গাইড বই নিতে এল। এটা ওর বাবার দেওয়া নাম না। নিজে বদলায় নিছে। বাপের দেওয়া ইউসুফ আলী নাম সে পছন্দ করে না।

আমিও আজকাল অনুষ্ঠানের ফাঁকেফাঁকে মেরিল কন্যা, ডেনিশ কন্যা, কিংবা আপগ্রেডেড বাংলালিংক কন্যা দেখছি আর ভাবছি এগুলো কেন? আমার হঠাৎ মনে হল আরে হ্যা, মিডিয়া তো অয়েটার। অয়েটার কে অড্রার করার আগে পরখ করে নেই আমরা কি খেতে চাই। শুধু শুধু অয়েটারকে বকে কি লাভ। অয়েটার কে যা আনতে দিবেন তাই আনবে। বকশিস পেতে কে না চায় বলুন। কে জানি বলেছিল আফটার অল এভরিথিং ফেয়ার ইন বিজনেস এ্যান্ড লাভ। দারুন জিনিস পেয়ে গেলাম দেখছি।


ইয়ো ইউসু
কতটা মষ্তিষ্ক খারাপ না হলে এরকম বাজে নাম ধারণ করতে পারে। এ তো কাকের ময়ুরের পেখম নিয়ে সাজার মতোই।


চমৎকার বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেছেন ভ্রমর ভায়া। আন্তরিক ধন্যবাদ। আসলে আউল বাউলদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙিই হচ্ছে আত্ম বিধ্বংসী। আমরা ভাবছি ওরা আপডেটেড। বাউল ব্যাকডেটেড।

অথচ মনের সাথে আপডেটেড আর ব্যাকডেটেড বলে কিছু থাকে না। আমরা নিজেরাই আমাদের কৃষ্টি কালচার ধ্বংস করে ফেলছি। টাকার নেশায় বুঁদ হওয়া টেলিভিশনওলারা আর কি করবে? তারা তো দেশের সংষ্কৃতি/ঐতিহ্য নিয়ে ভাবার মতো মাথা/সময় রাখে না।

আসলে একটা জাগরণ দরকার। দেশীয় সংষ্কৃতি পুনরুদ্ধারের জন্য জাগরণ।


আরেকটি কথা। আপনি কি অষ্টম শ্রেণিতে পড়েন?? #:-S

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: জাগ্রত হোক প্রতিটি মন বাংলার বিশুদ্ধ সাহিত্য রসে। দোলা দিক প্রতিটি মন গানের সুরে সুরে। আমার লেখাটি পড়ে যে ছেলেটি সবসময় হিন্দি গান গাইত সে আজ "ধন্য ধন্য বলি তারে" গানটি গাচ্ছে। কি যে খুশি লাগছে গেম চেঞ্জার ভাই, বলে বুঝাতে পারব না। সবাই কিছু না কিছু লিখলে, কিছু না কিছু ভাবলে জাগরন হবেই।

আমি গল্পে চাচ্চু, আর নিরেট ভাবে উপস্থাপকের ভুমিকা পালন করেছে আমার ভাতিজা। B-) গল্পে সবি সম্ভব।

দারুন বিশ্লেষণী মন্তব্যে অশেষ ক্রিতজ্ঞতা।

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭

কিরমানী লিটন বলেছেন: মুগ্ধ স্মৃতির চমৎকার প্রকাশ,অনবদ্য বর্ণনে তা নান্দনিক রূপ পেয়েছে,অনেক ভালোলাগা আর শুভকামনা রইলো ...

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আপনার নান্দনিক কমেন্টে আপ্লুত হলাম কিরমানি ভাই। পাঠে ও কমেন্টে শুভেচ্ছা।

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কর্পোরেট ব্যবস্থাপনায় এমনটাই ঘটার কথা। আবার যেখানে মানুষের নিজস্ব রুচিকে ধারন করার দৃঢ়তাও খুব কম! পলি মাটির মতো স্রোতে ভেসে যায় যারা-তাদের নিয়ে বানিজ্য টাইকুনরা এমনই করে।

স্পন্সরশিপের এক জগদ্দল পাথরের ণীচে চাপা পড়ে আছে বাঙালি সংস্কৃতি! আবার কথিত মেধাবীরা মেধা লগ্নি করছে নগদ নারায়ান যেখঅনে দ্রুত ব্যাক করছে সেই খাতে। লং টার্শ ইনভেস্টের মতো মানসিক এবং আর্থিক ধনীর ষংক্যা কমে গেছে অনেক। রাষ্ট্র পারে এই ভূমিকা পালন করতে- কিন্তু সেই চ্যানেলেও দলান্ধতার জন্য মেধা সৃজনশীলতা আটকে যাচ্ছে ফাসে!!!

ব্যক্তিক চাওয়া একট বিপ্লব আনতে পারে। কিন্তু সেই চাওয়ার বাজেরে যে ভিনদেশী বেনিয়ারা ফরমালিন দেয়া সংস্কৃতি ঢাকাইয়া রাখছে- পচেও না গলেও না জায়গাও ছাড়ে না! সেই রুচি বদলের হোমওয়ার্কটা করবেন কি দিয়ে!
একটা নাটক একটা সিনেমা সেই কাজটা সহজে করতে পারে। নির্মাতারা মিনিমাম দেশ এবং নিজের সংস্কৃতির প্রতি এই দায়টা বোধ করবেন নকি?

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
স্পন্সরশিপের এক জগদ্দল পাথরের ণীচে চাপা পড়ে আছে বাঙালি সংস্কৃতি! আবার কথিত মেধাবীরা মেধা লগ্নি করছে নগদ নারায়ান যেখঅনে দ্রুত ব্যাক করছে সেই খাতে। লং টার্শ ইনভেস্টের মতো মানসিক এবং আর্থিক ধনীর ষংক্যা কমে গেছে অনেক। রাষ্ট্র পারে এই ভূমিকা পালন করতে- কিন্তু সেই চ্যানেলেও দলান্ধতার জন্য মেধা সৃজনশীলতা আটকে যাচ্ছে ফাসে!!!

সহমত।

আমার মনে হয় একজন ছিলেন জিনি এসেছিলেন। একা বয়ে নিয়েছেন সাংস্কৃতিক জোয়াল। একজন এসেছিলেন। তিনি ঝাপি খুলে দেখিয়েছিলেন "দারুচিনি দ্বীপ", "হাজার বছর ধরে", "ঘেটু পুত্র কমলা", "আজ রবিবার", "দুই দুয়ারী" আরো কত কি। তিনি নেই বাংলা সিনেমা ও নাটক মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।

আফসোস, নির্মাতারা আজকাল কিছু চাটুল ঘরনার নাটক ও সিনেমা বানাতে বেশি আগ্রহী।

কি হবে আমাদের সেই কথা ভেবে মাঝে মাঝে দুঃখ লাগে। কান্নাও আসে।

৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০

আরজু পনি বলেছেন:

ফোক গানের তুলনা আসলে ফোক গান নিজেই ।

আর আউল বাউল লা্লনের দেশে মাইকেল জ্যাকসন আইলোরে...এটা একটা বাংলা সিনেমাতে আছে । রাজলক্ষী প্রোডাকশনের "ঢাকা ছিয়াশি" সম্ভবত নাম, যেখানে অভিনেতা হিসেবে নায়ক রাজ রাজ্জাক, বাপ্পা রাজ ছিলেন ।
খুব ভালো বিষয়ে লিখেছেন ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভাল জিনিস জানলাম। লেখার সময় এমনই মনে করেছিলাম। আমার কিন্তু লাইন দুটো অসাধারণ লাগে।

পরম বাস্তবিক উপলব্ধি!

শুভকামনা রইল।

১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অন্য ভাষার, দেশের গান, কবিতা, স্টাইল কোন কিছুতেই আপত্তি নেই| কিন্তু নিজেকে জেনে| দেশকে ভুলে নয়| আমি ইংরেজি, হিন্দি, ঊর্দু, জার্মান গান গাইব, বাংলাকে ত্যাগ করে নয়| অপসংস্কৃতি আসবেই, তাকে রুকতে হবে নিজেরই সৃজনশীলতা দিয়ে| আমরা যদি না পারি তবে তো অপরুচি, অপসংস্কৃতি ঢুকবেই

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: : অন্য ভাষার, দেশের গান, কবিতা, স্টাইল কোন কিছুতেই আপত্তি নেই| কিন্তু নিজেকে জেনে| দেশকে ভুলে নয়| আমি ইংরেজি, হিন্দি, ঊর্দু, জার্মান গান গাইব, বাংলাকে ত্যাগ করে নয়| অপসংস্কৃতি আসবেই, তাকে রুকতে হবে নিজেরই সৃজনশীলতা দিয়ে| আমরা যদি না পারি তবে তো অপরুচি, অপসংস্কৃতি ঢুকবেই

সহমত। নিজেদের মননে ধারন করতে হবে সাহিত্য সুধা। আমাদের জানতে হবে আমাদের রত্নভান্ডার কি কি আছে।আমাদের জানতে হবে কিভাবে তাকে ধারন করা যায়।

পাঠে ও কমেন্টে শুভকামনা জানবেন।

১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,



"দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায়
নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশ ন যায়"।

এটা যেমন সত্য তেমনি সহব্লগার বিদ্রোহী ভৃগুর ------------
স্পন্সরশিপের এক জগদ্দল পাথরের নীচে চাপা পড়ে আছে বাঙালি সংস্কৃতি! আবার কথিত মেধাবীরা মেধা লগ্নি করছে নগদ নারায়ান যেখানে দ্রুত ব্যাক করছে সেই খাতে। লং টার্ম ইনভেস্টের মতো মানসিক এবং আর্থিক ধনীর সংখ্যা কমে গেছে অনেক। রাষ্ট্র পারে এই ভূমিকা পালন করতে- কিন্তু সেই চ্যানেলেও দলান্ধতার জন্য মেধা সৃজনশীলতা আটকে যাচ্ছে ফাসে!!!
............... এ কথাগুলিও উড়িয়ে দেয়ার নয় ।

আপনার এমনতরো উপলব্ধি ভালো লাগলো ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের " সাংস্কৃতির ভাঙা সেতু" পড়ব ভাবছি। কোথায় পাওয়া যাবে বললে উপকৃত হতাম প্রিয় জি এস ভাই। আরো কিছু কারন খুজে দেখার ইচ্ছে মনে।

আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য অশেষ শুভকামনা।

১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আজ না ভাই, যেদিন আমার ব্লগের এক বছর পূর্ন হবে সেদিনই বলবো আমি কেন 'সাহসী সন্তান' নামে ব্লগ আইডি খুলেছিলাম! আর যদি সত্যিই আপনার কৌতুহল হয়, তাহলে যে সেইদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?

ভাল থাকবেন!

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: গুনে গুনে বছর হিসেব করা শুরু করে দিলুম সহব্লগার।রহস্য জানার প্রবল ইচ্ছে দমন করতে আর পারছি নে।

অপেক্ষায় রইলুম!

শুভকামনা প্রিয় ব্লগার।

১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪১

মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন পারবেজ বলেছেন: বন্ধুদের সামনে রবীন্দ্রা সংগীত,নজরুলগীতি কিংবা লালনের গাওয়া গানগুলোর আপডেট ভার্সনগুলো শুনতে বড্ড ভয় করে!!
কখন যে তারা আমাকে ব্যাকডেটেড বলে গালাগাল দিয়ে দেয়!!

মাঝে মাঝে তাদের কাছ থেকে অনেক কথা শুনি তবে বাংলা লোকগীতি গুলোর তৃপ্ততা ফেলতে পারি না!!

লিখাটার জন্য হৃদয় নিংড়ানো অভিনন্দন!!

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ফায়েজ ভাই,


আপনি যে লড়াই আপনি চালিয়ে যাচ্ছেন তার জন্য আপনাকে স্যালুট জানাই। আপনার প্রতি রইল অন্তরের অন্তস্থঃতল থেকে শ্রদ্ধা জানাই।

চালিয়ে নিন। দেখবেন আপনি জয়ী হয়েছেন।

১৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: চমৎকার বলেছেন ভাই ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: অনেক শুভকামনা জানবেন।

১৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অন্য ভাষার, দেশের গান, কবিতা, স্টাইল কোন কিছুতেই আপত্তি নেই| কিন্তু নিজেকে জেনে| দেশকে ভুলে নয়| আমি ইংরেজি, হিন্দি, ঊর্দু, জার্মান গান গাইব, বাংলাকে ত্যাগ করে নয়| অপসংস্কৃতি আসবেই, তাকে রুকতে হবে নিজেরই সৃজনশীলতা দিয়ে| আমরা যদি না পারি তবে তো অপরুচি, অপসংস্কৃতি ঢুকবেই সহমত। সাথে আরেকটু বলতে চাই, ভিনজাতীয় বা অন্য ভাষার গান/সিনেমা মাত্রই খারাপ কিছু নয়; সমস্যা হল রুচিতে। আপনার দেয়া ওয়েটার এর সারভ করার কথাটা যথার্থ। আসলে পছন ধরেছে রুচিতে।

পোস্টে +++

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আমাদের রুচির অবস্থা বেহাল সেটা সবাই বলবে। যেভাবে চলছে কি যে হবে সামনে বুঝতে পারছি না।

তবে আপনি ঠিকই বলেছেন, আমাদের ভিনদেশী ভাষা গান সাহিত্য আমাদের জানতে হবে। না হলে আমরা ভিন্নদেশীয় মানুষদের বুঝতে পারব না।

পাঠে ও সুন্দর ভাবনার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

১৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: @ভ্রমর ভাই

আপনি দেখছি এই বানাটায় ভুল করেন খুব। এটা হবে-

ক্রিতজ্ঞতা < কৃতজ্ঞতা
কৃতজ্ঞতা
kwrTj+NGTa

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা গেম চেঞ্জার ভাই। ভুলটুকু আমি আগেই বুঝেছিলাম। কিন্তু মোবাইলে অভ্র দিয়ে লেখছি। কিছু ঝামেলা হচ্ছে। প্রভাত দিয়ে লিখে দিলাম। ঠিক আছে তো নাকি। :D

শুভ রাত্রি সহব্লগার।

১৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

প্রবাসী একজন বলেছেন: এ কুসংস্কৃতি কারন হ্চ্ছে আমাদের সমাজের প্রতিটা স্তরের অবক্ষয়।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আপনি যথার্থ বলেছেন। সহমত জানাই। সামাজিক অবক্ষয় আজকাল যে উচ্চতায় উঠেছে তার নাগাল পাওয়া মুসকিল।

শুভকামনা জানবেন।

১৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৭

শায়মা বলেছেন: আমার জীবনের প্রতিটা মুহুর্তের সাথেই যদিও আছে রবিঠাকুরের গান। তবুও লালন সাঁই এর দেশে নানুবাড়ি হওয়ায় উনার প্রভাবও অনেক অনেক আছে।

অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: রবিবাবু আমার জীবনেও প্রশান্তির দোলা দিয়ে যায়। মাঝে মাঝে মন খারাপও করে দেয় আপু। যখন দেখি একটা কবিতা লেখেছি আর দেখি যে থিম তো রবি বাবুর সাথে মিলে গেছে তখন খুব রাগ হয়। একটা থিম ও বাদ রাখেনি আমার জন্য। সব গুলা নিয়ে আগেই লেখে শেষ করে গেছেন। ইটস আনফেয়ার আপু :((

১৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: গতকাল লেখাটা পড়ে মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি নেট কানেকশান নাই । এর পর আর ব্লগে ঢুকতে পারিনি ।

আপনার পোস্ট অনেক ভাল হয়েছে । আমরা দিনদিন দেশিয় সংস্কৃতিকে নিজের কাছে হারিয়ে দিচ্ছি । এখন নাকি অন্য ভাষার গান ছাড়া পার্টি জমে না । এতে কোন সমস্যা নেই । তাই বলে দেশের অমূল্য সম্পদগুলোর কথা ভুলে গেলে চলবে !!!

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সেই কথা আর কি বলব, কাল আমারও নেট অন করতে বেশ ঠেলা পোহাতে হয়েছে।


যেভাবে দেশের উচু শ্রেণীর মানুষরা ভিন্নভাষী গানে অনুরক্ত এতে লজ্জা লাগে আমার। এনারা কি বাঙালী! বাঙালি হলে সে কোন বাঙালী যে নিজের ভাষার গান কে মুল্য দিতে জানে না।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আপনি যথার্থ বলেছেন। ধন্যবাদ। শুভকামনা জানবেন।

২০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

তানজির খান বলেছেন: আমরা নিজেদের সবকিছু হারিয়ে ফেলছি।সময় এসেছে আবার জেগে উঠার।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আপনার আমার মনোবাসনা একই।জেগে উঠুক বাংলাদেশ। রচিত হোক এক নতুন অধ্যায়। আমাদের নবজাগরনের শুভ সুচনার বায়ু বয়ে যাক টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া।


অনেক ভাল থাকুন তানজির ভাই।

২১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৩

লালপরী বলেছেন: আব্বুর বলতেন আব্বাস উদ্দীন, আবদুল আলীম, নীনা হামিদ এর কথা। উনারা নাকি লোকগীতির সম্রাট ছিলেন। লেখায় প্লাস ++++

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আমার বাবাও একই কথা বলতেন। উনাকে গলাছেড়ে গাইতে শুনেছি "জন্ম থেকে জলছি মাগো, আর কত কাল আমি সইব---

ও গো বিদেশীনী,
তোমাকে আমার ঘরনী করিতে পারিলাম না,
পারিলাম না তো কিছুতেই ---
ও গো বিদেশীনী--

আরো অনেক সুন্দর সুন্দর গান।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সুন্দর কমেন্টে অনেক ধন্যবাদ লালপরী।

২২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: ্প্রথমে এ যাবত আসা সর্বশেষ মন্তব্যের (২১ নং) উত্তরে যা বলেছেন, সেটা দিয়েই শুরু করছি। আপনার বাবার সেই প্রিয় গানটি একটু ভুলভাবে উদ্ধৃত করেছেন। গানটির কথা "ও গো বিদেশীনী" নয়, "ও গো নিরূপমা" হবে।
একটা চমৎকার বিষয়ের উপর আপনার এ লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। খুবই দুঃখ হয়, যখন দেখি আজকাল বিয়ের, হলুদের, জন্মদিনের, ইত্যাদি অনুষ্ঠানে ভারতীয় সিরিয়ালের অন্ধ অনুকরণে সব হিন্দি নাচগানের সাথে ছেলেমেয়েদের নর্তন কুর্দনের প্রচেষ্টা চলে। অথচ আমাদের গানের সম্ভার কতই না সমৃদ্ধ! বিয়ের আর হলুদের গানের আমাদের নিজস্ব সম্ভার আজ অবলুপ্তির পথে। কিছু কালজয়ী গানের ও নাচের কথা মনে পড়ে। যেমনঃ আজি ভাআআলো করিয়া, বাজান রে দোতরা...,

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য আমি দুঃখিত। হ্যা লাইনটি ওগো নিরুপমা হবে।


যাই হোক, আপনি সঠিক বিষয়টি আপনার মুল্যবান মন্তব্যে তুলে ধরেছেন। বিয়ের অনুষ্ঠান, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এছাড়া ও আরো অনেক ভাবেই আমরা অপসংস্কৃতি চর্চা করছি। এভাবেই আমরা নিজেদের মৌলিকতা বিসর্জন করছি। এমনটি হতে থাকলে আমরা নিজেদের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলব শীঘ্রই।

চাই সামাজিক প্রতিরোধ।

২৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০২

নেক্সাস বলেছেন: লিখাটি ভাল লেগেছে

নিজেরে বিসর্জন দিয়ে কে তুমি দেখ বিশ্ব জয়ের স্বপন
কি করে বিশ্বে জানিবে তুমি নিজেরা না করিয়া যতন

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: দু লাইনে বুঝিয়ে গেলেন অনেক কিছু। পাঠে ও কমেন্টে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:২০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পড়লাম এবং ভালোলাগলো।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ধন্যবাদ। আপনিও বেশ বিষয়ে লিখেছেন। এভাবে আর লিখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.