নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার শেষ নেই...

ভ্রমরের ডানা

ভালো থাকুক কবিতাগুলো ...

ভ্রমরের ডানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ই-কমার্সঃ প্রথম কিস্তি

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৭




আমাদের পূর্বপুরুষগন ব্যবসা করতেন। ইতিহাসের পাতায় সেসব কথা লেখা আছে। আগে কার দিনে মানুষ পন্য বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসা করত। সে সময় অর্থ অর্থাৎ মুদ্রা ব্যাবস্থা চালু ছিল না। এরপর মানুষ ধাতু আবিষ্কার করল এবং তা থেকে মুদ্রা তৈরি করল। বিদেশী বনিক ও সওদাগরদের সাথে স্বর্ন রৌপ্য বিনিময়ে ব্যবসা চলত। এভাবেই ধীরে ধীরে সময়ের প্রয়োজনে আধুনিক কালে চালু হয় কাগুজে মুদ্রা ব্যবস্থা। চালু হয় ব্যাংক, বিনিয়োগ, শেয়ার বাজার।

অর্থই সব অনর্থের মূল- বহুল প্রচলিত এই প্রবাদটি আমরা সকলেই জানি ও মানি। কিন্তু তবুও জীবন ও জীবিকার তাগিদে ছুটে চলি প্রতিনিয়ত সেই অর্থ উপার্জনে। কথায় আছে "টাকায় কি না মেলে"। তাই তো কবিরাও বলে গেছেন-

টাকার আমি, টাকার তুমি
টাকাতে যায় সব কেনা
টাকার রঙে রক্ত গরম
টাকাতেই যায় দেশ চেনা।


বর্তমানকালে ব্যবসা তার প্রাচীন খোলস পরির্বতন করে নতুন রুপে সাজুগুজু করেছে। ব্যবসা আর আগের মত শুধু কাগুজে মুদ্রা আর দামি ধাতু বিনিময়ে সীমাবদ্ধ নেই। আধুনিক যুগের প্রযুক্তির হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে গেছে অনেক দূরে।মানুষ এখন কম্পিউটার, ইন্টারনেট ব্যবহার করে মুহুর্তেই হাজার হাজার টাকার লেনদেন করে। ব্যবসা করার এই সর্বাধুনিক পদ্ধতি হল ই-কমার্স। যে যাই হোক গৌড়চন্দ্রিকা অনেক হল। এবার আজকের আলোচনার মূলবিষয়ে আলোকপাত করছি।

ই-কমার্সঃ

ই-কমার্স বলতে আমরা যা বুঝি তা হল হালের ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যবসা করার সুবিধা। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ভারচুয়াল বাজার তৈরি হয়েছে। যেটি ব্যবহার করে বিশ্বে প্রতিনিয়ত হাজার কোটি টাকার ব্যবসা বাণিজ্য চলছে।

ই-কমার্সের মাধ্যমে যে সুবিধাদি পাওয়া যায় তা নিচে তুলে ধরছিঃ-

১। গ্রাহকের নিকট সরাসরি খুচরা মুল্যে পন্য বিপনন।
২। মধ্যস্বত্বভোগী বিহীন ক্রেতা-গ্রাহক ব্যবস্থা।
৩। ব্যবসায়ী - ব্যবসায়ী অবাধ কেনাবেচা।
৪। ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগের মাধ্যমে অবাধ ব্যবসায়িক তথ্য আদান প্রদান।
৫। ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সাহায্য।
৬। বাজারে নতুন পন্য প্রসারে ব্যাপক সংশ্লিষ্টতা।

মুলত ১৯৭১-৭২ সালে আরপানেটের আবিষ্কারের মাধ্যমে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা জাগে। এরপর ১৯৭৯ মাইকেল অলড্রিচ সর্বপ্রথম অনলাইন শপিং সিস্টেম চালু করেন। পরবর্তীতে ফ্রান্সে "ফ্রান্স টেলিকম " ব্যবহার করে মিনিটেল কোম্পানি সারাদেশে অনলাইনে অর্ডার নেওয়া শুরু করে। পরবর্তী এক দশকে অনলাইন ক্রয়বিক্রয়ের অনেক প্রচেষ্টা চালানো হয়।

সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পায় ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্টিত জেফ বিজুর আমাজান ডট কম। এটি দিনরাত চব্বিশঘণ্টা খোলা থাকত। এরপরেই আসে কম্পিউটার প্রোগ্রামার পিয়েরে অমিডায়ের কর্তৃক প্রতিষ্টিত নিলাম অয়েব ই-বে। পরের বছর বিটুবি মার্কেটপ্লেস ইন্ডিয়ামার্ট ও ১৯৯৯ সালে চীনে ই-কমার্স অয়েব আলিবাবা ডট কম প্রতিষ্ঠা লাভ করে।


এই অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলোর থেকে কিছু বিশেষ সুবিধা আলাদা আলাদা করে পাওয়া যায়। তাদের সেই সুবিধাদি সম্মিলিতভাবে নিম্নে তুলে ধরা হলঃ

১। গ্রাহকের নিকট স্বয়ংক্রিয়ভাবে পন্যবিষয়ক ডুকুমেন্ট প্রদর্শন করা।
২। অনলাইন শপিং নিশ্চিত করা।
৩। অনলাইন ব্যাংকিং নিশ্চিত করা।
৪। ই-টিকেট।
৫। টেলিমেডিসিন ও টেলিকনফারেন্স
৬। সামাজিক যোগাযোগব্যবস্থা
৭। তাৎক্ষণিক বার্তা বহন।
৮। অনলাইন অফিস ব্যবস্থা।
৯। শপিং সফটওয়্যার।
১০। গ্রুপভিত্তিক কেনাবেচা
১১। ডিজিটাল মানিব্যাগ, ইত্যাদি।

দেশভিত্তিক বিভিন্ন ই-কমার্স নিয়মকানুনঃ


অ্যামেরিকার "ফেডারেল ট্রেড কমিশন" এই ধরনের ব্যবসার তদারকি করে থাকে। তারা মুলত কমার্শিয়াল ই-মেইল, বিভিন্ন অনলাইন বিজ্ঞাপন ও ক্রেতার প্রাইভেসি নিয়ে কাজ করে থাকে। এই কমিশনেরর মতে সকল অনলাইন বিজ্ঞাপন অবশ্যই সত্য ও ধোকামুক্ত হতে হবে। আর্ন্তজাতিকভাবে ইন্টারনেশনাল কনজুমার প্রোটেকশন এন্ড এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক (আইসিপিইএন) ১৯৯১ সালে গঠিত হয়। বিশ্ব নন্দিত অর্থনৈতিক জোট এপেক ১৯৮৯ সালে গঠিত হয়। তারা তাদের ই-কমার্স নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। যাদের লক্ষ্য হল সেই অঞ্চলে সুষ্ঠুভাবে ই-কমার্স নিশ্চিত করে উন্নতি ত্বরান্বিত করা। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া একই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে।

ই-কমার্সের বৈশ্বিক অবস্থাঃ

২০১০ সালে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বাজার ছিল ই-কমার্সের বাজার। অন্যদিকে চেক রিপাবলিকে ২০১৩ সালে দেশের মোট রাজস্ব আয়ের প্রায় ২৪ ভাগ আসে ই-কমার্সখাত হতে। চায়নার মোট বৈদেশিক বানিজ্যের শতকরা ৯ দশমিক ৬ ভাগ বাণিজ্য ই-কমার্সের মাধ্যমে হয়। ২০১৪ সালে চায়নার প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মানুষ অনলাইনে কেনাবেচা করে। চায়নাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন বাজার যেটি অ্যামেরিকার দ্বিগুণ।

চলবে__
ছবিঃগুগল

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৩৪

কল্লোল পথিক বলেছেন: গুরত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন।ধন্যবাদ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ কল্লোল ভাই। শুভকামনা জানবেন।

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

সুমন কর বলেছেন: ২০১৪ সালে চায়নার প্রায় ৬০০ মিলিয়ন মানুষ অনলাইনে কেনাবেচা করে। .. B:-) আর আমরা !!!

ব্যবসা-ট্যাপসা কম বুঝি, তবুও পড়ে নিলাম.... ;)

+।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আমরা চায়নার মত অনলাইনে পারিনি তবে পোষাক শিল্পে ছড়িয়ে যাব সেই আশা রাখি। হয়ত একদিন আমরাও অনলাইন বিজনেসে প্রথম স্থান নিয়ে নেব। অসম্ভব নয় সুমন ভাই। আমি সেই স্বপ্ন দেখি।

নেক্সট কিস্তি ছাপা হয়েছে। পড়ে জানিয়েন প্রিয় সুমন ভাই।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমাদের বাজারও মন্দ নয় বোধ করি- এখানেই .কমের টিভি বিজ্ঞাপনই বলে দেয় বানিজ্য বেশ!!

চলুক সিরিজ!! জানার অপেক্ষায়...:)

+++

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভাই, এই টপিক চেঞ্জ হবে। আস্তে আস্তে করে প্রথমে প্রতিটা হাইলাইট করব। পরে বিস্তারিত ভাবে লেখা দিব। বেশী দিন এক জিনিস ভাল লাগে না।

পাঠে অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১

তানজির খান বলেছেন: ইকমার্স আমাদের দেশে এখন তুমুল জনপ্রিয় হরে উঠেছে। আশারাখি আরো ভাল করবে। আসতে আসতে গ্রামে ছড়িয়ে যাক।

আপনি কেমন আছেন? অনেকদিন আমার লেখায় আপনাকে পাই না।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: কমার্স কে ফেলে সামনে চলা মুস্কিল। আমি সাইন্স ফ্যাকাল্টির মানুষ। তবুও বলব, এই যুগ সাইন্সের থেকে বেশি কমার্সের।

আমি ভাল আছি তানজির ভাই। আপনার ব্লগে ঘুরতে আসছি। নাস্তা পানি রেডি করেন। :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.