নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার শেষ নেই...

ভ্রমরের ডানা

ভালো থাকুক কবিতাগুলো ...

ভ্রমরের ডানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সনেট-৪- জনিকা যতন

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩০




জগৎ সৃষ্টি মাঝে মহৎ এ লহরী,
বিচিত্র রুপে গুনে ছড়ায়ে বাহার,
ধন সম্পদ ভরা নাই হেথা প্রহরী,
অদৃশ্য মায়াজাল রহস্য কি তাহার?
বসুধা বুকে ঢাল মনু শান্তির জল,
মোহ-মায়া ভুলি মানবতার কেতন,
হাতে ভরে দিবে ফিরে সঞ্চারিণী বল,
মমতায় ভালবাসি রাঙিয়া চেতন!

কিন্তু বিফল বলাহক রুদ্রাক্ষমালা,
ঝড়,ধ্বজা রচে তাহা সর্বনাশা ঘুর্নি,
বিষ দংশনে অহমলতার চূর্ণি,
ভবিষ্ণু প্রজন্ম শিরা; বিষধর জ্বালা!
তবে যতন রাখ যদি ঐ বসুধার,
চিত্রাপার যোনি রচে রতন-সম্ভার!


ছবিঃগুগল

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
রাত্রি ৩ টা ২৬ মিনিট
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৬

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: কবিতা পাঠে ও প্রথম মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ! শুভেচ্ছা!!

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

জুন বলেছেন: আরি সব্বনাশ এত কঠিন কঠিন শব্দের ব্যবহার ভ্রমরের ডানা :-&
আমারতো যেই কটা দাত এখনো অবশিষ্ট আছে তা পড়েই যাবে এবার।
আরেকবার ভালো করে পড়তে হবে :)
+

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভাব ফুটিয়ে তোলার জন্য একটু এভাবেই লেখতে হল আপু! ভাবটা কিন্তু খুবই সিম্পল!

কবিতা পাঠে ও মন্তব্যে উৎসাহিত করে গেলেন! প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল আপু! :)

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

অগ্নি সারথি বলেছেন: বেশ কঠিন শব্দের ব্যবহার বৈকি! ভালোলাগা।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


বেশির ভাগ মানব মনের এটাই উপলব্ধি-

কঠিনরে বাসি ভাল, সহজরে ইতর,
ফাগুনের রস খুঁজি মাহিনা ভাদর!


সাধে কি কবি বলেছেন-
যা পাই তা চাই না,
যা পাই ভুল করে পাই!

কবিতা পাঠে ও কমেন্টে ধন্যবাদ অগ্নি সারথি!

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: এটা এক বিবিধ ক্যাচাল

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ঝান্ডুবাম ঝান্ডু বাম তিরা হারি বাম

দাদা কিছু মনে করবেন না গো, এ বামটা কি কলকাতায় এখনো পাওয়া যায়? মাঝে মাঝে সাড় মে দার্দ আসে তো! ঠিক তখনি এমন ক্যাচাল বেড়িয়ে আসে গো!

ক্যাচাল পাঠে ও কমেন্টে ধন্য হলাম গো!


:D

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

ফরিদ আহমাদ বলেছেন: কঠিন শব্দ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভাবটা কিন্তু সহজ আছে, আরেকবার পড়েন ফরিদ ভাই!

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার সনেট ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সেলিম ভাই,
সনেট হইছে কিনা জানি না। তবে চেষ্টায় আছি আরকি! বলতে পারেন কিছু অলস সময়ের ইস্তেমাল আর মগজের চাষাবাদ আরকি!

কবিতা পাঠের ও মুল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় লেখক! শুভকামনা রইল!

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
ডানা,
দারুণ লাগছে কবিতায় নতুন আপনাকে। চেনাজানা সেই নন তবে যিনি তিনি ভালো।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ক্ষুধিত তৃষা মেটে নাই প্রিয়ে মিটে নাই রোনাজারি,
সাহিত্য সুধার অধর পেয়ালা, চেয়ে আমি অনাহারী!

অমর অব্যয় কাব্যরসে সঞ্চিত মা আমার,
অনুরণিত স্নায়ুর ধারায় গেঁথে দিছে কবিতার!

চেনা জানা সেই পথের পথিক নতুন পথের খোঁজে
মন-ভূগোলের বাংলায় এসে পথেরদাবী বোঝে।

সুপরিচিত,

আপনাকেও মাঝে মাঝে অচেনা লাগে! অচেনা নিজের কাছেও লাগে! দারুন। এটাই মনে হয় বিন্দুর মাঝে সিন্ধু খোজা!

শুভকামনা, রাজপুত্র ভাই!

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

সুমন কর বলেছেন: এতো কঠিন ক্যান.....!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: জগৎ সৃষ্টি মাঝে মহৎ এ লহরী,
বিচিত্র রুপে গুনে ছড়ায়ে বাহার,
ধন সম্পদ ভরা নাই হেথা প্রহরী,
অদৃশ্য মায়াজাল রহস্য কি তাহার?


সিম্পল কথা ভাই।

বসুধা বুকে ঢাল মনু শান্তির জল,
মোহ-মায়া ভুলি মানবতার কেতন,
হাতে ভরে দিবে ফিরে সঞ্চারিণী বল,
মমতায় ভালবাসি রাঙিয়া চেতন!


বিশ্বের মানুষ যদি শান্তি, মানবতা বজায় রাখে তবে পৃথিবী তার মমতায় তাকে রাঙাবে!

কিন্তু বিফল বলাহক রুদ্রাক্ষমালা,
ঝড়,ধ্বজা রচে তাহা সর্বনাশা ঘুর্নি,
বিষ দংশনে অহমলতার চূর্ণি,
ভবিষ্ণু প্রজন্ম শিরা; বিষধর জ্বালা!


কিন্তু মানুষ যদি অহংকার করে, পৃথিবীর যত্ন না নেয় তবে সে হয়ে ওঠে রুদ্র। ধ্বংস করে দেয় সব কিছু, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে!

তবে যতন রাখ যদি ঐ বসুধার,
চিত্রাপার যোনী রচে রতন-সম্ভার!


জনিকা যতনে রতন পাওয়া যায়!

ভেরি সিম্পল সুমন ভাই!


কবিতা পাঠে ও কমেন্টে অশেষ ধন্যবাদ!!

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সুমন'দার রিপ্লাইটা হওয়াতে আরাম পাইলাম! :)

এই সনেট বেশ ভাল লাগলো!!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

মাইকেলের সনেট পড়লে আরো কঠিন অবস্থা হইবেক। মাইকেল মানেই কোপতাক্ষ নদ, আর বংভাষা নহে!

মেঘনাদ বধ মহাকাব্যের প্রথম সর্গ-
দেখেন ইনি কি জিনিস-

সম্মুখ সমরে পড়ি, বীর-চূড়ামণি
বীরবাহু, চলি যবে গেলা যমপুরে
অকালে, কহ, হে দেবি অমৃতভাষিণি,
কোন্ বীরবরে বরি সেনাপতি-পদে,
পাঠাইলা রণে পুনঃ রক্ষঃকুলনিধি
রাঘবারি? কি কৌশলে, রাক্ষসভরসা
ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদে — অজেয় জগতে —
ঊর্মিলাবিলাসী নাশি, ইন্দ্রে নিঃশঙ্কিলা?
বন্দি চরণারবিন্দ, অতি মন্দমতি
আমি, ডাকি আবার তোমায়, শ্বেতভুজে
ভারতি! যেমতি, মাতঃ, বসিলা আসিয়া,
বাল্মীকির রসনায় (পদ্মাসনে যেন)
যবে খরতর শরে, গহন কাননে,
ক্রৌঞ্চবধূ সহ ক্রৌঞ্চে নিষাদ বিঁধিলা,
তেমতি দাসেরে, আসি, দয়া কর, সতি।
কে জানে মহিমা তব এ ভবমণ্ডলে?
নরাধম আছিল যে নর নরকুলে
চৌর্যে রত, হইল সে তোমার প্রসাদে,
মৃ্ত্যুঞ্জয়, যথা মৃত্যুঞ্জয় উমাপতি!
হে বরদে, তব বরে চোর রত্নাকর
কাব্যরত্নাকর কবি! তোমার পরশে,
সুচন্দন-বৃক্ষশোভা বিষবৃক্ষ ধরে!
হায়, মা, এহেন পুণ্য আছে কি এ দাসে?
কিন্তু যে গো গুণহীন সন্তানের মাঝে
মূঢ়মতি, জননীর স্নেহ তার প্রতি
সমধিক। ঊর তবে, ঊর দয়াময়ি
বিশ্বরমে! গাইব, মা, বীররসে ভাসি,
মহাগীত; ঊরি, দাসে দেহ পদছায়া।
— তুমিও আইস, দেবি তুমি মধুকরী
কল্পনা! কবির ঢিত্ত-ফুলবন-মধু
লয়ে, রচ মধুচক্র, গৌড়জন যাহে
আনন্দে করিবে পান সুধা নিরবধি।
কনক-আসনে বসে দশানন বলী —
হেমকূট-হৈমশিরে শৃঙ্গবর যথা
তেজঃপুঞ্জ। শত শত পাত্রমিত্র আদি
সভাসদ, নতভাবে বসে চারি দিকে।
ভূতলে অতুল সভা — স্ফটিকে গঠিত;
তাহে শোভে রত্নরাজি, মানস-সরসে
সরস কমলকুল বিকশিত যথা।
শ্বেত, রক্ত, নীল, পীত, স্তম্ভ সারি সারি
ধরে উচ্চ স্বর্ণছাদ, ফণীন্দ্র যেমতি,
বিস্তারি অযুত ফণা, ধরেন আদরে
ধরারে। ঝুলিছে ঝলি ঝালরে মুকুতা,
পদ্মরাগ, মরকত, হীরা; যথা ঝোলে
(খচিত মুকুলে ফুল) পল্লবের মালা
ব্রতালয়ে। ক্ষণপ্রভা সম মুহুঃ হাসে
রতনসম্ভবা বিভা — ঝলসি নয়নে!
সুচারু চামর চারুলোচনা কিঙ্করী
ঢুলায়; মৃণালভুজ আনন্দে আন্দোলি
চন্দ্রাননা। ধরে ছত্র ছত্রধর; আহা
হরকোপানলে কাম যেন রে না পুড়ি
দাঁড়ান সে সভাতলে ছত্রধর-রূপে!—
ফেরে দ্বারে দৌবারিক, ভীষণ মুরতি,
পাণ্ডব-শিবির দ্বারে রুদ্রেশ্বর যথা
শূলপাণি! মন্দে মন্দে বহে গন্ধে বহি,
অনন্ত বসন্ত-বায়ু, রঙ্গে সঙ্গে আনি
কাকলী লহরী, মরি! মনোহর, যথা
বাঁশরীস্বরলহরী গোকুল বিপিনে!
কি ছার ইহার কাছে, হে দানবপতি
ময়, মণিময় সভা, ইন্দ্রপ্রস্থে যাহা
স্বহস্তে গড়িলা তুমি তুষিতে পৌরবে?
এহেন সভায় বসে রক্ষঃকুলপতি,
বাক্যহীন পুত্রশোকে! ঝর ঝর ঝরে
অবিরল অশ্রুধারা — তিতিয়া বসনে,
যথা তরু, তীক্ষ্ণ শর সরস শরীরে
বাজিলে, কাঁদে নীরবে। কর জোড় করি,
দাঁড়ায় সম্মুখে ভগ্নদূত, ধূসরিত
ধূলায়, শোণিতে আর্দ্র সর্ব কলেবর।
বীরবাহু সহ যত যোধ শত শত
ভাসিল রণসাগরে, তা সবার মাঝে
একমাত্র বাঁচে বীর; যে কাল তরঙ্গ
গ্রাসিল সকলে, রক্ষা করিল রাক্ষসে—
নাম মকরাক্ষ, বলে যক্ষপতি সম।
এ দূতের মুখে শুনি সুতের নিধন,
হায়, শোকাকুল আজি রাজকুলমণি
নৈকষেয়! সভাজন দুঃখী রাজ-দুঃখে।
আঁধার জগৎ, মরি, ঘন আবরিলে
দিননাথে! কত ক্ষণে চেতন পাইয়া,
বিষাদে নিশ্বাস ছাড়ি, কহিলা রাবণ;—
“নিশার স্বপনসম তোর এ বারতা,
রে দূত! অমরবৃন্দ যার ভুজবলে
কাতর, সে ধনুর্ধরে রাঘব ভিখারী
বধিল সম্মুখ রণে? ফুলদল দিয়া
কাটিলা কি বিধাতা শাল্মলী তরুবরে?
হা পুত্র, হা বীরবাহু, বীর-চূড়ামণি!
কি পাপে হারানু আমি তোমা হেন ধনে?
কি পাপ দেখিয়া মোর, রে দারুণ বিধি,
হরিলি এ ধন তুই? হায় রে, কেমনে
সহি এ যাতনা আমি? কে আর রাখিবে
এ বিপুল কুল-মান এ কাল সমরে!
বনের মাঝারে যথা শাখাদলে আগে
একে একে কাঠুরিয়া কাটি, অবশেষে
নাশে বৃক্ষে, হে বিধাতঃ, এ দুরন্ত রিপু
তেমতি দুর্বল, দেখ, করিছে আমারে
নিরন্তর! হব আমি নির্মূল সমূলে
এর শরে! তা না হলে মরিত কি কভু
শূলী শম্ভুসম ভাই কুম্ভকর্ণ মম,
অকালে আমার দোষে? আর যোধ যত—
রাক্ষস-কুল-রক্ষণ? হায়, সূর্পণখা,
কি কুক্ষণে দেখেছিলি, তুই অভাগী,
কাল পঞ্চবটীবনে কালকূটে ভরা
এ ভুজগে? কি কুক্ষণে (তোর দুঃখে দুঃখী)
পাবক-শিখা-রূপিণী জানকীরে আমি
আনিনু এ হৈম গেহে? হায় ইচ্ছা করে,
ছাড়িয়া কনকলঙ্কা, নিবিড় কাননে
পশি, এ মনের জ্বালা জুড়াই বিরলে!
কুসুমদাম-সজ্জিত, দীপাবলী-তেজে
উজ্জ্বলিত নাট্যশালা সম রে আছিল
এ মোর সুন্দরী পুরী! কিন্তু একে একে
শুখাইছে ফুল এবে, নিবিছে দেউটি;
নীরব রবাব, বীণা, মুরজ, মুরলী;
তবে কেন আর আমি থাকি রে এখানে?
কার রে বাসনা বাস করিতে আঁধারে?”
এইরূপে বিলাপিলা আক্ষেপে রাক্ষস–
কুলপতি রাবণ; হায় রে মরি, যথা
হস্তিনায় অন্ধরাজ, সঞ্জয়ের মুখে
শুনি, ভীমবাহু ভীমসেনের প্রহারে
হত যত প্রিয়পুত্র কুরুক্ষেত্র-রণে!
তবে মন্ত্রী সারণ (সচিবশ্রেষ্ঠ বুধঃ)
কৃতাঞ্জলিপুটে উঠি কহিতে লাগিলা
নতভাবে; — “হে রাজন্, ভুবন বিখ্যাত,
রাক্ষসকুলশেখর, ক্ষম এ দাসেরে!
হেন সাধ্য কার আছে বুঝায় তোমারে
এ জগতে? ভাবি, প্রভু দেখ কিন্তু মনে;—
অভ্রভেদী চূড়া যদি যায় গুঁড়া হয়ে
বজ্রাঘাতে, কভু নহে ভূধর অধীর
সে পীড়নে। বিশেষতঃ এ ভবমণ্ডল
মায়াময়, বৃথা এর দুঃখ সুখ যত।
মোহের ছলনে ভুলে অজ্ঞান যে জন।”
উত্তর করিলা তবে লঙ্কা-অধিপতি;—
“যা কহিলে সত্য, ওহে অমাত্য-প্রধান
সারণ! জানি হে আমি, এ ভব-মণ্ডল
মায়াময়, বৃথা এর দুঃখ সুখ যত।
কিন্তু জেনে শুনে তবু কাঁদে এ পরাণ
অবোধ। হৃদয়-বৃন্তে ফুটে যে কুসুম,
তাহারে ছিঁড়িলে কাল, বিকল হৃদয়
ডোবে শোক-সাগরে, মৃণাল যথা জলে,
যবে কুবলয়ধন লয় কেহ হরি।”
এতেক কহিয়া রাজা, দূত পানে চাহি,
আদেশিলা,— “কহ, দূত, কেমনে পড়িল
সমরে অমর-ত্রাস বীরবাহু বলী?”
প্রণমি রাজেন্দ্রপদে, করযুগ জুড়ি,
আরম্ভিলা ভগ্নদূত;— “হায়, লঙ্কাপতি,
কেমনে কহিব আমি অপূর্ব কাহিনী?
কেমনে বর্ণিব বীরবাহুর বীরতা?—
মদকল করী যথা পশে নলবনে,
পশিলা বীরকুঞ্জর অরিদল মাঝে
ধনুর্ধর। এখনও কাঁপে হিয়া মম
থরথরি, স্মরিলে সে ভৈরব হুঙ্কারে!
শুনেছি, রাক্ষসপতি, মেঘের গর্জনে;
সিংহনাদে; জলধির কল্লোলে; দেখেছি
দ্রুত ইরম্মদে, দেব, ছুটিতে পবন–
পথে; কিন্তু কভু নাহি শুনি ত্রিভুবনে,
এহেন ঘোর ঘর্ঘর কোদণ্ড-টঙ্কারে!
কভু নাহি দেখি শর হেন ভয়ঙ্কর!—
পশিলা বীরেন্দ্রবৃন্দ বীরবাহু সহ
রণে, যূথনাথ সহ গজযূথ যথা।
ঘন ঘনাকারে ধূলা উঠিল আকাশে,—
মেঘদল আসি যেন আবরিলা রুষি
গগনে; বিদ্যুৎঝলা-সম চকমকি
উড়িল কলম্বকুল অম্বর প্রদেশে
শনশনে!— ধন্য শিক্ষা বীর বীরবাহু!
কত যে মরিল অরি, কে পারে গণিতে?
এইরূপে শত্রুমাঝে যুঝিলা স্বদলে
পুত্র তব, হে রাজন্! কত ক্ষণ পরে,
প্রবেশিলা, যুদ্ধে আসি নরেন্দ্র রাঘব।
কনক-মুকুট শিরে, করে ভীম ধনুঃ,
বাসবের চাপ যথা বিবিধ রতনে
খচিত,”— এতেক কহি, নীরবে কাঁদিল
ভগ্নদূত, কাঁদে যথা বিলাপী, স্মরিয়া
পূর্বদুঃখ! সভাজন কাঁদিলা নীরবে।
অশ্রুময়-আঁখি পুনঃ কহিলা রাবণ,
মন্দোদরীমনোহর;— “কহ, রে সন্দেশ–
বহ, কহ, শুনি আমি, কেমনে নাশিলা
দশাননাত্মজ শূরে দশরথাত্মজ?”
“কেমনে, হে মহীপতি,” পুনঃ আরম্ভিল
ভগ্নদূত, “কেমনে, হে রক্ষঃকুলনিধি,
কহিব সে কথা আমি, শুনিবে বা তুমি?
অগ্নিময় চক্ষুঃ যথা হর্যক্ষ, সরোষে
কড়মড়ি ভীম দন্ত, পড়ে লম্ফ দিয়া
বৃষস্কন্ধে, রামচন্দ্র আক্রমিলা রণে
কুমারে! চৌদিকে এবে সমর-তরঙ্গ
উথলিল, সিন্ধু যথা দ্বন্দ্বি বায়ু সহ
নির্ঘোষে! ভাতিল অসি অগ্নিশিখাসম
ধূমপুঞ্জসম চর্মাবলীর মাঝারে
অযুত! নাদিল কম্বু অম্বুরাশি-রবে!—
আর কি কহিব, দেব? পূর্বজন্মদোষে,
একাকী বাঁচিনু আমি! হায় রে বিধাতঃ,
কি পাপে এ তাপ আজি দিলি তুই মোরে?
কেন না শুইনু আমি শরশয্যোপরি,
হৈমলঙ্কা-অলঙ্কার বীরবাহু সহ
রণভূমে? কিন্তু নহি নিজ দোষে দোষী।
ক্ষত বক্ষঃস্থল মম, দেখ, নৃপমণি,
রিপু-প্রহরণে; পৃষ্ঠে নাহি অস্ত্রলেখা।”
এতেক কহিয়া স্তব্ধ হইল রাক্ষস
মনস্তাপে। লঙ্কাপতি হরষে বিষাদে
কহিলা; “সাবাসি, দূত! তোর কথা শুনি,
কোন্ বীর-হিয়া নাহি চাহে রে পশিতে
সংগ্রামে? ডমরুধ্বনি শুনি কাল ফণী
কভু কি অলসভাবে নিবাসে বিবরে?
ধন্য লঙ্কা, বীরপুত্রধারী! চল, সবে,—
চল যাই, দেখি, ওহে সভাসদ-জন,
কেমনে পড়েছে রণে বীর-চূড়ামণি
বীরবাহু; চল, দেখি জুড়াই নয়নে।”
উঠিলা রাক্ষসপতি প্রাসাদ-শিখরে,
কনক-উদয়াচলে দিনমণি যেন
অংশুমালী। চারিদিকে শোভিল কাঞ্চন-
সৌধ-কিরীটিনী লঙ্কা— মনোহরা পুরী!
হেমহর্ম্য সারি সারি পুষ্পবন মাঝে;
কমল-আলয় সরঃ; উৎস রজঃ-ছটা;
তরুরাজি; ফুলকুল— চক্ষু-বিনোদন,
যুবতীযৌবন যথা; হীরাচূড়াশিরঃ
দেবগৃহ; নানা রাগে রঞ্জিত বিপণি,
বিবিধ রতনপূর্ণ; এ জগৎ যেন
আনিয়া বিবিধ ধন, পূজার বিধানে,
রেখেছে, রে চারুলঙ্কে, তোর পদতলে,
জগত-বাসনা তুই, সুখের সদন।
দেখিলা রাক্ষসেশ্বর উন্নত প্রাচীর—
অটল অচল যথা; তাহার উপরে,
বীরমদে মত্ত, ফেরে অস্ত্রীদল, যথা
শৃঙ্গধরোপরি সিংহ। চারি সিংহদ্বার
(রুদ্ধ এবে) হেরিলা বৈদেহীহর; তথা
জাগে রথ, রথী, গজ, অশ্ব, পদাতিক
অগণ্য। দেখিলা রাজা নগর বাহিরে,
রিপুবৃন্দ, বালিবৃন্দ সিন্ধুতীরে যথা,
নক্ষত্র-মণ্ডল কিম্বা আকাশ-মণ্ডলে।
থানা দিয়া পূর্ব দ্বারে, দুর্বার সংগ্রামে,
বসিয়াছে বীর নীল; দক্ষিণ দুয়ারে
অঙ্গদ, করভসম নব বলে বলী;
কিংবা বিষধর, যবে বিচিত্র কঞ্চুক-
ভূষিত, হিমান্তে অহি ভ্রমে, ঊর্ধ্ব ফণা—
ত্রিশূলসদৃশ জিহ্বা লুলি অবলেপে!
উত্তর দুয়ারে রাজা সুগ্রীব আপনি
বীরসিংহ। দাশরথি পশ্চিম দুয়ারে—
হায় রে বিষণ্ণ এবে জানকী-বিহনে,
কৌমুদী-বিহনে যথা কুমুদরঞ্জন
শশাঙ্ক! লক্ষ্মণ সঙ্ঘে, বায়ুপুত্র হনু,
মিত্রবর বিভীষণ। এত প্রসরণে,
বেড়িয়াছে বৈরিদল স্বর্ণ-লঙ্কাপুরী,
গহন কাননে যথা ব্যাধ-দল মিলি,
বেড়ে জালে সাবধানে কেশরিকামিনী,—
নয়ন–রমণী রূপে, পরাক্রমে ভীমা
ভীমাসমা! অদূরে হেরিলা রক্ষঃপতি
রণক্ষেত্র। শিবাকুল, গৃধিনী, শকুনি,
কুক্কুর, পিশাচদল ফেরে কোলাহলে।

১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কবিতা নিয়ে আপনার এক্সপেরিমেন্ট ভাল লক্ষণ! চালিয়ে যান!! :)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভাল না মন্দ কিছুই বুঝছি নে। সেটা আপনারা বিচার করবেন!

তবে আমি বেশ উপভোগ করছি!
উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ গেমু ভাই!

১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার প্রতি উত্তরটির জন্য বাড়তি ধন্যবাদ। এখন সুখপাঠ্য।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এবার থেকে ভাবছি এমন লেখা গুলোতে সারকথা যুক্ত করে দেব।

লেখাটি পড়ার জন্যে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা সুমন ভাই!

১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

সাহসী সন্তান বলেছেন: কবিতার ভাষা দেখে মনে হচ্ছে ইদানিং আপনি বাংলা ব্যাকারন অথবা বাংলা অভিধান বেশ ভালই পড়তেছেন বলে মনে হচ্ছে! কবিতা মাথার উপ্রে দিয়া যাইতো যদি না, ৮ নং মন্তব্যের প্রতিউত্তরটা করতেন! ;)

যাহোক, তবে আসলেই ভাল হয়েছে! আমরা বোধ হয় আগামী প্রজন্মের জন্য একজন নব্য মাইকেল পেতে চলেছি! :P

শুভ কামনা ডানা ভাই!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভাষা আর ভাবের কথা বাদ দেন। ব্যাকরণে অকারণ! কবিতা কিন্তু সহজ করেই লেখছি ভাই।

আচ্ছা তার আগে কন এমন মেগা মেগা পোষ্ট লেখেন কেমতে???

আর হ্যা, শেষ লাইনে একটু বেশি বাটার ছিল! পিছলায় পইড়া যাইতে লাগছিলাম!

কোথায় মাইকেল আর কোথায় সাইকেল!!

১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

নেক্সাস বলেছেন: বাহ চমতকার । মুগ্ধ আমি

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: কবিতা পাঠে ও মন্তব্যে প্রীতি ও শুভেচ্ছা সুপ্রিয় ব্লগার!

১৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৮

নীলপরি বলেছেন: এলিট কবিতা খুব ভালো লাগলো ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: কবিতা পাঠে ধন্যবাদ নীলপরি!! সাথে থাকুন!

এলিটের সাথে এলিটা ফ্রী!!
লেটস গো ওয়ান টু থ্রী!

=p~

১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১১

প্রামানিক বলেছেন: কবিতা খুব ভালো লাগল।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভাগ্যিস মাথার উপর দিয়া যায় নাই প্রামানিক ভাই! হা :D হা :D হা :D

১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সত্যি বলতে কী কথামালা অস্থির রকমের ভাল্লাগছে...

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সার্থক হইলাম কমেন্ট পড়ে। তবে আরো ভাল লাগতে সুমন ভাইয়ের উত্তরটা দেখে নিয়েন। সাধু ভাই, আপনার খাটি কমেন্টে লাইক দিলাম!

১৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: কঠিন লেগেছে।তবুও সুন্দর লেখা

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
অরুনি মায়া অনু,

৮ নং কমেটে সুমন ভাইয়ের প্রতিউত্তরে কবিতার সারকথা লিখে এসেছি। পড়ে নিলে আশা করি সারকথা বুঝতে সহজ হবে!

যদি সময় হয় চাইলে দেখে নিতে পারেন!
কবিতাটি পাঠে অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা!

১৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



কবিতাটি পাঠের আগে মুগ্ধ নয়নে রইলাম চেয়ে দেখতে গোল কেনভাসে আঁকা পৃথিবীর ছবিখানা।
মনে হল এ ধরনী হবে সুন্দর পেয়ে কবিতার বানী। কবিতা পাঠে এর সৌন্দর্যময় নিগুর শব্দ
ভান্ডারের কথামালায় হলাম আপ্লুত । কবিতার ভাবার্থগুলি কবিতাটিকে করল আরো
অনেক অনেক শক্তিশালী। কথামালার সাথে মধুকবির সুধা ঢেলেছে বারী যা নিয়ে
গেছে অারো দুর মোহনায়। খুশী হব এর সাথে যদি মেঘনাদ বধ মহাকাব্যের :
সমুদ্রের প্রতি রাবন অংশটুকু হয় সংযোজন এই মন্তব্যের উত্তর অংশে ।
কবিতাটি করেছিলাম পাঠ বছর ত্রিশেক আগে, দু এক ছত্র তার কিছু
আছে মনের গহীনে যথা প্রাসাদ শীরে দাঁড়িয়ে পাথরের বাধ
দেয়া বন্দী সমুদ্রকে দেখে দু:খ ভরা কন্ঠে রাবন বলেছিল
কি সুন্দর মালে পড়েছ গলে হায় ধিক শত ধিক ----
কবিতার বাকি অংশ দেখতে বড়ই ইচ্ছে করে।

ধন্যবাদ সুন্দর কবিতাটির জন্য

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
টিমোথি পেনপয়েম আমাদের সকলের প্রিয়! আমরা সকলে তার শুধু কিছু সনেট পড়েছি! কিন্তু মাইকেলে ডুবতে হলে মেঘনাদবধ কাব্য, তিলোত্তমা সম্ভার, বজ্রাঙ্গনা, বীরঙ্গানা পড়তে হবে!

সে যাই হোক, প্রিয় লেখক, সমুদ্রের প্রতি রাবন যোগাড় করা সম্ভব হয়নি। তবে এটা দেখুন-

মেঘনাদ ও বিভীষণ
মেঘনাদ বধ কাব্য
(ষষ্ঠ সর্গের অংশ বিশেষ)
“এতক্ষণে” –অরিন্দম কহিলা বিষাদে
“জানিনা কেমনে আসি লক্ষণ পশিল
রক্ষঃপুরে ! হায়, তাত, উচিত কি তব
একাজ, নিকষা সতী তোমার জননী,
সহোদর রক্ষশ্রেষ্ঠ ? –শূলী-শম্ভূনিভ
কুম্ভকর্ণ ? ভ্রাতৃপুত্র বাসব বিজয়ী ?
নিজগৃহপথ, তাত, দেখাও তস্করে ?
চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে ?
কিন্তু নাহি গঞ্জি তোমা, গুরুজন তুমি
পিতৃতুল্য | ছাড় দ্বার, যাব অস্ত্রাগারে,
পাঠাইব রামানুজে শমন-ভবনে,
লঙ্কার কলঙ্ক আজি ভঞ্জিব আহবে |”
উত্তরিলা বিভীষণ;–“বৃথা এ সাধনা,
ধীমান্ ! রাঘবদাস আমি ; কি প্রকারে
তাঁহার বিপক্ষ কাজ করিব, রক্ষিতে
অনুরোধ ?” উত্তরিলা কাতরে রাবণি ;–
“হে পিতৃব্য, তব বাক্যে ইচ্ছি মরিবারে !
রাঘবের দাস তুমি ? কেমনে ও মুখে
আনিলে ও কথা, তাত, কহ তা দাসেরে !
স্থপিলা বিধুরে বিধি স্থানুর ললাটে ;
পড়ি কি ভূতলে শশী যান গড়াগড়ি
ধুলায় ? হে রক্ষোরথি, ভুলিলে কেমনে
কে তুমি ? জনম তব কোন্ মহাকুলে ?
কেবা সে অধম রাম ? স্বচ্ছ সরোবরে
করে ফেলি রাজ হংস পঙ্কজ কাননে ;
যায় কি সে কভু, পঙ্কিল সলিলে,
শৈবালদলের ধাম ? মৃগেন্দ্র কেশরী
কবে, হে বীর-কেশরী, সম্ভাষে শৃগালে
মিত্রভাবে ? অজ্ঞ দাস, বিজ্ঞতম তুমি,
অবিদিত নহে কিছু তোমার চরণে |
ক্ষুদ্রমতি নর, শূর, লক্ষণ ; নহিলে
অস্ত্রহীন যোধে কি সে সম্বোধে সংগ্রামে ?
কহ, মহারথি, একি মহারথিপ্রথা ?
নাহি শিশু লঙ্কাপুরে, শুনি না হাসিবে
এ কথা ! ছাড়হ পথ ; আসিব ফিরিয়া
এখনি ! দেখিব আজি, কোন্ দেববলে,
বিমুখে সমরে মোরে সৌমিত্রি কুমতি !
দেব-দৈত্য-নর-রণে, স্বচক্ষে দেখেছ,
রক্ষঃশ্রেষ্ঠ, পরাক্রম দাসের ! কি দেখি
ডরিবে এ দাস হেন দুর্বল মানবে ?
নিকুম্ভিলা-যজ্ঞাগারে প্রগল্ ভে পশিল
দম্ভী ; আজ্ঞা কর দাসে, শাস্তি নরাধমে |
তব জন্মপুরে, তাত, পদার্পণ করে
বনবাসী ! হে বিধাতঃ, নন্দন-কাননে
ভ্রমে দুরাচার দৈত্য ? প্রফুল্ল কমলে
কীটবাস ? কহ, তাত, সহিব কেমনে
হেন অপমান আমি,–ভ্রাতৃ পুত্র তব ?
তুমিও, হে রক্ষোমণি, সহিছ কেমনে ?”
মহামন্ত্রবলে যথা নম্রশিরঃ ফণী,
মলিনবদন লাজে, উত্তরিলা রথী
রাবণ-অনুজ, লক্ষি রাবণ-আত্মজে ;–
“নহি দোষী আমি, বত্স; বৃথা ভর্ত্স মোরে
তুমি ! নিজ কর্ম দোষে হায় মজাইলা
এ কনক-লঙ্কা রাজা, মজিলা আপনি !
বিরত সতত পাপে দেবকুল ; এবে
পাপপূর্ণ লঙ্কা পুরী ; প্রলয়ে যেমতি
বসুধা, ডুবিছে লঙ্কা এ কাল-সলিলে !
রাঘবের পদাশ্রয়ে রক্ষার্থে আশ্রয়ী
তেঁই আমি ! পরদোষে কে চাহে মজিতে ?”
রুষিলা বাসবত্রাস ! গম্ভীরে যেমতি
নিশীথে অম্বরে মন্দ্রে জীমূতেন্দ্র কোপি,
কহিলা বীরেন্দ্র বলী ;–“ধর্মপথগামী,
হে রাক্ষসরাজানুজ, বিখ্যাত জগতে
তুমি ;–কোন্ ধর্মমতে, কহ দাসে, শুনি,
জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব, জাতি,–এ সকলে দিলা
জলাঞ্জলি ? শাস্ত্রে বলে, গুণবান্ যদি
পরজন, গুণহীন স্বজন, তথাপি
নির্গুণ স্বজন শ্রেয়ঃ, পরঃ পরঃ সদা !
এ শিক্ষা হে রক্ষোবর, কোথায় শিখিলে ?
কিন্তু বৃথা গঞ্জি তোমা ! হেন সহবাসে,
হে পিতৃব্য, বর্বরত কেন না শিখিবে ?
গতি যার নীচ সহ, নীচ সে দুর্মতি।


কবিতা পাঠে ও সুন্দর মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা! এভাবেই পাশে থাকুন!

১৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ মধুকবির সুন্দর কবিতা খন্ডটি উত্তরের সাথে দেয়ার জন্য । কবির সাথে দেয়া হল কবিকে মিলিয়ে , দুজনে মিলে রচিবে কবিতা , ভ্রমরের ডানায় মেলে পাঠককুল পা্বে কবির বাসনা ।

কবি
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত---সংকলিত (মাইকেল মধুসূদন দত্ত)

কে কবি— কবে কে মোরে? ঘটকালি করি,
শবদে শবদে বিয়া দেয় যেই জন,
সেই কি সে যম‐দমী? তার শিরোপরি
শোভে কি অক্ষয় শোভা যশের রতন?
সেই কবি মোর মতে, কল্পনা সুন্দরী
যার মনঃ‐কমলেতে পাতেন আসন,
অস্তগামি‐ভানু‐প্রভা‐সদৃশ বিতরি
ভাবের সংসারে তার সুবর্ণ‐কিরণ।
আনন্দ, আক্ষেপ ক্রোধ, যার আজ্ঞা মানে
অরণ্যে কুসুম ফোটে যার ইচ্ছা‐বলে;
নন্দন‐কানন হতে যে সুজন আনে
পারিজাত কুসুমের রম্য পরিমলে;
মরুভূমে— তুষ্ট হয়ে যাহার ধেয়ানে
বহে জলবতী নদী মৃদু কলকলে!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

প্রথমেই এত সুন্দর একটি কবিতা উপহারের জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে জানাই অশেষ প্রীতি ও শুভেচ্ছা।

আপনি বলেছেন-
ভ্রমরের ডানায় মেলে পাঠককুল পা্বে কবির বাসনা ।

দ্বায়িত্ব বাড়িয়ে দিলেন সুপ্রিয় লেখক। নিজ উপভোগ্য নয়, এবার সত্যি কিছু ভেবে লেখতে হবে!

উপরের চরণটিকে আশীর্বাদ হিসেবে সযত্নে মনের মুকুরে রাখলাম!

এভাবে আপ্লুত করার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা! অনেক অনেক ভাল থাকুন সুপ্রিয় লেখক! শুভকামনা নিরবধি!!!

২০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আবার পড়তে এলাম লেখাটা, আবারও ভালো লাগা!
একটা প্রশ্ন মনে, শিরোনাম তো আছে তবুও শিরোনামহীন লেখা কেন?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
খুব ভাল প্রশ্ন করেছেন সাধু ভাই,

এই সিরিজটির নাম শিরোনামহীন কারন যখন এটি লেখছি তখন লেখক শিরোনামহীন তাই!
তবে কবিতাদের নাম থাকবে। তারা নিজ নিজ ভাষায় বেশ বড় হয়েছে। তাই তাদের শিরোনামটা প্রাপ্য। ওটা না দিলে পাঠককুলে বিরূপভাব বিরাজ করতে পারে।। এছাড়া কবিতাদের নিজস্বতা বজায় রাখার জন্য তাদের নাম দেওয়া।

লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগছে! অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা সাধু ভাই!

২১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালোলাগে এইসব ই প্রিয় লেখক দের লেখাগুলোর পূর্নতা প্রাপ্তির সময়গুলো কে উপভোগ করতে!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আপু, দোয়া করবেন। জানি না কতটুকুন পেরেছি! যাই হোক সেখানে আপনাদের অনুপ্রেরণা ও সমর্থন পুরোটাই। তবে চেষ্টা করব আরো ভাল করার, আপনাদের মত লেখার!

জানি আপনার মত পারব না কোন দিনই! তবে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করব শতভাগ!

আপনার মন্তব্যকে উপহার হিসেবে মাথায় তুলে রাখলাম! কবিতা পাঠে ও কমেন্টে অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আপুনি!


সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন, শুভকামনা!!

২২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

নাইম রাজ বলেছেন: ভালো লাগল কবিতা।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

কবিতা পাঠে ও এত ধৈয্য নিয়ে নিচে এসে কমেন্ট করে
যাবার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ!!!


ভাল থাকুন, শুভকামনা!

২৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: পড়ে ভালো লাগল । ধন্যবাদ ভাই।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: কবিতা পাঠে ধন্যবাদ ও শুভকামনা!

২৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

অদৃশ্য বলেছেন:



বাহ্‌, দারুনতো...


শুভকামনা...

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: কবিতা পাঠে ধন্যবাদ ও শুভকামনা!

২৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: ফ্রিতে পরামর্শ দেওয়ার চল উট্টা গেছে ডানা ভাই! মেগা পোস্ট তৈরির কলা কৌশল অবশ্যই জানানো যাবে, তবে তারজন্য যে কিছু খরচাপাতি হইতারে! রাজি থাকলে ১ চাইপ্পা লাইনে খাড়ায়া যান! নির্দিষ্ট সময়ে আপনাকে ইন করা হইবেক.... ;)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


ডায়ালিং রাইট নাউ! ক্রিং ক্রিং! :P

হ্যালো সাহসী, ভাই, এক ট্রাক ধইন্নাপাতা কারওয়ান বাজারে পাঠায় দিছে, বুইজ্জা লইয়েন!

:P

২৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কবিতা পাঠে ধন্যবাদ ফরিদ আহমদ ভাই!

২৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বাস্তব হলো কায়কোবাদের চেয়ে কম মনে হয়না।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কায়কোবাদ!!! বলেন কি? অতিশায়ন হয়ে গেল মন্র হচ্ছে।

উনার সাথে আমার মিল কিভাবে পেলেন সেটা ভেবেই পাচ্ছি না। উনার মত মহান একজন লেখকের সাথে আমার কবিতার তুলনা দিয়ে লজ্জা দিবেন না!

আপনার জন্য উপহার স্বরুপে কায়কোবাদের দুটি অমর কবিতা দিলাম। সময় করে পড়ে নিয়েন।

আযান

কে ওই শোনাল মোরে আযানের ধ্বনি।
মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কি সুমধুর
আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী।
কি মধুর আযানের ধ্বনি!
আমি তো পাগল হয়ে সে মধুর তানে,
কি যে এক আকর্ষণে, ছুটে যাই মুগ্ধমনে
কি নিশীথে, কি দিবসে মসজিদের পানে।
হৃদয়ের তারে তারে, প্রাণের শোণিত-ধারে,
কি যে এক ঢেউ উঠে ভক্তির তুফানে-
কত সুধা আছে সেই মধুর আযানে।
নদী ও পাখির গানে তারই প্রতিধ্বনি।
ভ্রমরের গুণ-গানে সেই সুর আসে কানে
কি এক আবেশে মুগ্ধ নিখিল ধরণী।
ভূধরে, সাগরে জলে নির্ঝরণী কলকলে,
আমি যেন শুনি সেই আযানের ধ্বনি।
আহা যবে সেই সুর সুমধুর স্বরে,
ভাসে দূরে সায়াহ্নের নিথর অম্বরে,
প্রাণ করে আনচান, কি মধুর সে আযান,
তারি প্রতিধ্বনি শুনি আত্মার ভিতরে।
নীরব নিঝুম ধরা, বিশ্বে যেন সবই মরা,
এতটুকু শব্দ যবে নাহি কোন স্থানে,
মুয়াযযিন উচ্চৈঃস্বরে দাঁড়ায়ে মিনার ‘পরে
কি সুধা ছড়িয়ে দেয় উষার আযানে!
জাগাইতে মোহমুদ্ধ মানব সন্তানে।
আহা কি মধুর ওই আযানের ধ্বনি।
মর্মে মর্মে সেই সুর বাজিল কি সমধুর
আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী।

প্রণয়ের প্রথম চুম্বন

কায়কোবাদ
(১)
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন!
যবে তুমি মুক্ত কেশে
ফুলরাণী বেশে এসে,
করেছিলে মোরে প্রিয় স্নেহ-আলিঙ্গন!
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন?
(২)
প্রথম চুম্বন!
মানব জীবনে আহা শান্তি-প্রস্রবণ!
কত প্রেম কত আশা,
কত স্নেহ ভালবাসা,
বিরাজে তাহায়, সে যে অপার্থিব ধন!
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন!
(৩)
হায় সে চুম্বনে
কত সুখ দুঃখে কত অশ্রু বরিষণ!
কত হাসি, কত ব্যথা,
আকুলতা, ব্যাকুলতা,
প্রাণে প্রাণে কত কথা, কত সম্ভাষণ!
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন!
(৪)
সে চুম্বন, আলিঙ্গন, প্রেম-সম্ভাষণ,
অতৃপ্ত হৃদয় মূলে
ভীষণ ঝটিকা তুলে,
উন্মত্ততা, মাদকতা ভরা অনুক্ষণ,
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন!

২৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলায় সনেট জনপ্রিয় হওয়ার সময় এখন, এবং সাথে সাথে ভারী ও অর্থবহ শব্দের কাব্যিক প্র‌য়োগের সুযোগ তৈরি হচ্ছে; আপনার শুরুটা মনোহর

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার! কবিতা পাঠের সময় করার জন্য ও এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

সুস্থ থাকুন, ভাল থাকুন। এই কামনায়!!!

২৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: গুরুগপম্ভীর ভাষার কারুকার্য খচিত এক অনবদ্য উপস্থাপনা। + +
সনেট সুন্দর হচ্ছে। চালিয়ে যান!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


কবিতাটি পাঠে ও এমন সুন্দর করে উৎসাহিত করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় লেখক! প্লাসে আরো অনুপ্রাণিত হলাম। শুভকামনা নিরন্তর! ভাল থাকুন এই কামনায়!

৩০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪২

অভি চৌধুরী বলেছেন: ধুর মিয়া এত শক্ত কইরা ক্যান লিখেন আপনে? কিছুই বুঝিনা, তয় মনে শব্দের সুর বেজেছে।

আপনারে এখন মন্তব্য করতে আমার ডর লাগে, আপনি যেই হারে বানানের পিছে লাগছেন আমার পোষ্ট পোড়লেতো আপনার ছান্দি মনে হয় আসমানে উইঠা যায়


তয় একটা কথা আপনি হালায় ব্রেইন্টি আছেন।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সব কবিতাই তো সহজ করেই লেখি এটা একটু কঠিন হয়ে গেছে। আমার ব্লগে সব সহজ কবিতার ভান্ডার। বুঝবে না এমন কোন মানুষ নাই। আর আপনি কি ব্লেমগেম দিতেছেন বুঝতেছিনা ব্রো! :P



আপনারে এখন মন্তব্য করতে আমার ডর লাগে, আপনি যেই হারে বানানের পিছে লাগছেন আমার পোষ্ট পোড়লেতো আপনার ছান্দি মনে হয় আসমানে উইঠা যায়


ভাইরে বানানে ভুল আমিও করি, সবাই করে তবে সচেতন থাকা ভাল। ভাষার প্রান আছে। সেটা বিকৃত করা ঠিক না।

একটা কথা আপনি হালায় ব্রেইন্টি আছে

এই বাটার দিয়েন না ব্রো :P
পিছলাইয়া যাব! :P


আপনার কমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! সাথে থাকুন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.