নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার শেষ নেই...

ভ্রমরের ডানা

ভালো থাকুক কবিতাগুলো ...

ভ্রমরের ডানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রেক্সিট ১ - ব্রিটিশদের কেন সমীহ করি!

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৪৮



সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে আমি সাধারণত লেখালেখি করিনা। আমার পছন্দ ও স্বাচ্ছন্দ্য কবিতা। কিন্তু কবিতাদি দিয়ে তো আর অর্থনীতি বোঝা চলে না। অর্থনীতি বোঝার জন্য জানা চাই একটু সমসাময়িক ব্যাংক রেট, জিডিপি, রিজার্ভ, ট্যাক্স, রেপো, রিভার্স রেপো রেট, বিভিন্ন চুক্তিনামা।

সেই অর্থনীতির হালকা হাল বুঝতে গিয়ে দেখলাম ( যদিওবা সব মাথার উপ্রে দিয়ে যায়) আমাদের বানিজ্য এখনো অন্যদেশের হালহকিকতের উপর নির্ভরশীল। এই যেমন দেখুন আমাদের পোশাক শিল্পটির ৭৩ ভাগ আমেরিকা আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের গন্তব্যে যায়। তাই দেশ বিদেশের ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে আমাদের মাথা খাটাতেই হয়। কারণ ওদের ভাল তো আমাদের ভাল। হিসাবটা কাটা বাংলায় খুবই সহজ। ওদের টাকা হলে তবেই না তারা আমাদের পণ্য কিনবে। যদি ওদের টাকা না থাকে তবে কিনবে না। তখন আমাদের ব্যবসার বাত্তি লাল হয়ে যাবে। আর আমাদের ব্যবসার বাত্তি লাল হলে কি হয় তা ভেবে দেখতে ১৯৯০ সালের দিকের অর্থনীতির হাল বুঝতে গেলেই পরিষ্কার বুঝা যায়।

যাকগে আসল কথায় আসি, আমি কোন অর্থনীতিবিদ নই, অর্থনীতির কিছুই বুঝি না। একজন আম পাবলিক। তাই ব্রিটিশ জনগণ সম্পর্কিত আমার আইডিয়া ছিল তারা মাথা মোটা, নাক উঁচু জাতি। সে হিসেবেই তাদের মুল্যায়ন করেছিলাম। কিন্তু ইতিহাসে সবচেয়ে সফল জাতির নাগরিকগণ কতটা সচেতন সেটা আমার মত তৃতীয় বিশ্বের একজন চুনোপুটির মাথায় ছিল না। কেন কবিতা লেখা বাদ দিয়ে ব্রিটিশদের মত হাড়ে হারামীদের (bad to bone) গুনগান গাইলাম সেটা বাকি লেখাটা পড়লেই বুঝবেন।

ব্রেক্সিট

ব্রেক্সিট জিনিসটা যখন প্রথম শুনি মাথার উপ্রে দিয়ে গিয়েছিল। বিষয়টা সিরিয়াস হল যখন আমার বন্ধুবর একদিন বললেল ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটিশরা বিদায় নিল বন্ধু এবার আমাদের কি হবে? আমি তো অবাক! এই যুগে ব্রিটিশরা এমন ভুল ক্যামনে করল আহারে! মাথা মোটা বলে গালিও দিলাম। তবুও মনের খুচখুচি মেটাতে কেন বিদায় নিল দেখতে গুগলে সার্চ দিলাম। হাজার হাজার লেখা। ইকোনোমিস্ট, গার্ডিয়ান, ডেইলি মিরর, ওয়াশিংটন পোষ্ট, সানডে টাইমস ইত্যাদি হালের অনলাইন জার্নাল পড়ে, দেশী প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, বনিক বার্তা ইত্যাদি পড়ে বুঝলাম ব্রিটিশ জনগন এক মহাকান্ড ঘটিয়ে ফেলেছে। তেইশে জুলাইয়ে ৫১. ৯ ভাগ জনগন ইইউ ত্যাগ করার পক্ষে ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা তাদের স্বাধীন সার্বভৌম দেশে ভীনদেশী রিফিউজি দেখতে চান না। তারা চান না তাদের স্বাস্থ্যসেবা, চাকুরী, সুযোগ সুবিধায় অন্য কেউ ভাগ বসাক। তবে এর মধ্যে অনেক কিছুই আছে। সে সব লেখতে গেলে একখানা ৮০০ পৃষ্ঠার বইও কম হয়ে যাবে।

ইউনাইটেড ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টির নাইজেল ফারাজ এই ব্রেক্সিটকে বলেছেন "স্বাধীনতা দিবস"। তা তো বলবেনই। যে জাতি অন্যদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে তারা কি কারো আদেশ নিষেধ মানতে পারে। ব্রাসেলসের কর্তাবাবুদের বানিজ্যনীতি, শিক্ষা সংস্কৃতির ছবক লন্ডন নিবে কেন? ব্রিটিশ জনগনের গায়ে এসব জ্বালা ধরিয়েছে। তবে সবাই এক নন। যেমন দেখুন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ব্লেয়ার, ফুটবলার ডেভিড ব্যাকহাম, বেচারা ডেভিড ক্যামেরুন। এরা সবাই চেয়েছিলেন ব্রিটেনবাসী ইইউতে থাকুক। সভ্যতা এগিয়ে যাক। কিন্তু ব্রিটিশ জনগন তাদের আঙিনায় পূর্ব ইউরোপের মাইগ্রেনিং জনগন, সিরিয়া, ইরাক, আফগানি শরণার্থী জনগনের উপস্থিতি মেনে নিতে চান নি। অনেকে বাংলাদেশী তাদের এই ইস্যুতে গালাগাল দিতে পারে কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা ধরা খেয়ে যাবে।


১৯৫৭ সালে "ইস্পাত ও কোল কমিউনিটি" প্রতিষ্ঠা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ইউরোপের ঘুরে দারানোর প্রচেষ্টা মাত্র। এরপর বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্সও ইটালি মিলে গঠন করে "ইউরোপিয়ান ইকোনোমিক কমিউনিটি। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে ব্রিটিশরা যোগ দিল। ১৯৮৬ সালে অবাধ চলাচলের জন্য শেনজেন চুক্তি এবং শেষে ১৯৯৩ সালে ম্যাসট্রিচট চুক্তি হয়েই ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠিত হয়। এরপর ১৯৯৯ সালে রবার্ট মুন্ডেল ইউরো চালু করলেন। কিন্তু ব্রিটিশরা ইউরো নয়, ঐতিহ্যবাহী পাউন্ডশিলিং চালু রাখলেন। এ এক অনন্য জাতিসত্তার স্বকীয়তার অনুপম নিদর্শন।

আধুনিক যুগে যখন বিশ্ব বড় বড় জোট গঠিত করে বিশ্বকে নতুন পথে নিতে আগুয়ান তখনি ব্রিটিশ জনগনের প্রথাগত সেকেলে প্রবল জাত্যভিমান, স্বকীয়তা, নাক উঁচু গর্ব বোধকে অনেকের মত আমিও গোঁয়ার্তুমির শেষ বলে ধরে নিয়েছিলাম কিন্তু অবশেষে সেটা আমার কাছে ভালই লেগেছে। যে জাতিসত্তার প্রবল আগুনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হল, বিশ্ব পুড়ে ছাড়খার হল, সেই জাতিসত্তাই হতে পারে ইউরোপের নতুন মুক্তির সনদ। তাই বলে আমি কিন্তু ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিপক্ষে নই। বিষয়টা অনেকটাই জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদি ভাবনার খোরাক।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে উপমহাদেশীয় মানুষগণ বুঝেছে ব্রিটিশ কি জিনিস। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫০০ মিলিয়ন মানুষের বাজার হতে, ২৮টি দেশের, ২৪টি জাতির, ২০টি ভিন্ন ভাষাভাষী গোষ্ঠীর মিলনমেলায় ব্রিটিশ জাতি ব্রেক্সিট করে নিজেদের সংস্কৃতি, নিজেদের ঐতিহ্য, নিজেদের উঁচুদরের নাক, আর ব্যবসা বানিজ্য বাচায় নি বরং পথ দেখিয়েছে ফ্রেক্সিট (ফ্রান্সের ইইউ লিভ), নেক্সিট ( নেদারল্যান্ডের ইউ লিভ), ইতালিভের ( ইতালির ইইউ লিভ), ইউরোপের হাজার বছরের সংস্কৃতির সংরক্ষনের। খুব শীঘ্রই হয়ত আরেকটি দেশ ইইউ লিভের জন্য রেফারেনডাম দিলে অবাক হব না।


(ব্রেক্সিট নিয়ে হালকা কিছু পড়ে লেখাটি লেখা। তবে অনেক কিছুই লেখা বাকি রয়ে গেছে। পরবর্তী দু তিন পর্বে ব্রেক্সিট ও স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে লেখব ভাবছি। আগ্রহীরা সাথেই থাকুন।)


মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১২

সুমন কর বলেছেন: ৮০০ পৃষ্ঠার বই পড়তে পারুম না !! এ বিষয়ে আগ্রহ কম তাই আমিও মাথার উপ্রে দিয়ে চালান করে দিলাম। ;)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সুমন ভাই, প্লিজ। সাথে থাকুন। ছোট লেখাই দিব। দেশের জন্য জরুরী বিষয়। পাঠে কমেন্টে ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওকে, পড়তেছি।
ইইউ থাকবে, কইছু নিয়ম কানুন বদলাবে; শর্ত সাপেক্ষে বৃটিশ আবারো ফিরে যাবে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
হতে পারে গাজী ভাই। তবে ইউরোপিয়ানদের যে জাতিগত ঐতিহ্য সেটা নিয়ে ভেবে দেখুন। এর উলটাটা হলেও অবাক হব না।

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৫৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
মাথার উপর দিয়েই গেছে।

পরের পর্ব গুলো পড়ি।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৫৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এ এক নিতান্তপক্ষে গাড়ল পোষ্ট। পাঠকের খোয়াব, খায়েশে ত্যানা প্যাচাইয়া দেয়। তবুই কষ্ট করে হাজিরা দিয়া গেলেন দেখে খুব ভাল লাগল। কবিতা প্রেমীরা অর্থনীতি বোঝে না। আমি চেষ্টা করেছি। অন্যরা ভালই বুঝেন।

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:১৯

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আমি আগ্রহী!:)
পরবর্তী পর্ব পাঠের অপেক্ষায় রইলাম!!:)

আজকের পর্বে লাইক!:)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ধন্যবাদ বিলি ভাই। পরবর্তী পর্ব আসছে খুব শীঘ্রই।

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:১৭

মেহেদী রবিন বলেছেন: ব্রিটিশ একজিট এর সংক্ষিপ্ত রূপই কি ব্রেক্সিট ? অল্প কথায় আগ্রহী করে ফেলেছেন। দূরদর্শী পরিকল্পনাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে ভালো লাগে। আর ব্রিটিশদের জাতীয় চেতনা বরাবরই প্রখর। যাই হোক, পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: জ্বী। ব্রিটেন এক্সিটের সংক্ষেপিত রূপ হল ব্রেক্সিট। এই বিষয় গুলো ভূরাজনৈতিক + মুক্তবাজার অর্থনীতি সাথে সংযুক্ত! ব্রিটিশগণ না বুঝে কিছু করে না। এই বোধটাই তাদের সাফল্যের মূলমন্ত্র।

পরবর্তী পর্বে প্রকাশিত। ঘুরে আসতে পারেন। পাঠে ও কমেন্টে ধন্যবাদ!

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৩৮

জেন রসি বলেছেন: ব্রিটিশদের এই সিদ্ধান্ত ভুল না সঠিক তা আসলে আরো অনেক ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। এটাকে একটা ক্যালকুলেটেড রিস্ক বলা যেতে পারে।

এসব নিয়ে আগ্রহ আছে। পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


জেন রসি ভাই, ঠিকি বলেছেন ক্যাল্কুলেটেড রিস্ক। তবে ব্রিটেনের বানিজ্য নিয়ে কোন ডাউট নেই। ওরা চালিয়ে নেবে। বিশ্বের তেরতম অর্থনীতির দেশ। একটা এক্সিটে তাদের অর্থনাশ হবে, সেটার কোন সুযোগ নাই। কমনওয়েলথ রাষ্ট্রগুলো এক্টিভ হলে ব্রিটেনের আঙুরলতায় পাউন্ডশিলিং তরতর করে উপরে উঠবে সন্দেহ নেই!


পরের পর্ব লেখা আছে। ঘুরে আসতে পারেন। পাঠে ও কমেন্টে প্রীতি ও শুভেচ্ছা!

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:৫০

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: সাবেক প্রেসিডেন্ট টনি ব্লেয়ার, ডেভিড ব্যাকহাম, ডেভিড ক্যামেরুন। প্রেসিডেন্টনা প্রধানমন্ত্রী; আর ডেভিড ব্যাকহাম ফুটবলার।

ঐতিহ্যবাহী পাউন্ডশিলিং চালু রাখলেন আমিতো পাউন্ড স্টারলিং দেখি শিলিং তো দেখিনা।

যাই হউক, কিছুদিন আগেও £১ = ১১৫ টাকা ছিল এখন ৯৫ টাকা, আর ফুটছি 100 (FTSE 100) তার সর্বকালের সেরা পার্ফম্যান্স দেখাচ্ছে, 7000 ব্যারিয়ার পার করে ট্র্যাডিং করছে।পাউন্ড উইক হওয়াতে ইমপোর্ট কস্ট বারছে; গত বছরের তুলনায় ইনফ্ল্যাসন ১.২ % বারছে, আগামী বছরের মধ্যে এটা ২% হবে। ।তার মানে লিভিং কস্ট বাড়বে।এক দল আছে যারা পাউন্ড উইক হওয়ায় খুশী, এক্সপোর্ট বাড়বে।বলাহচ্ছে পাউন্ডেরভ্যালু ইচ্ছে করে কমানো হচ্ছে জার্মান ইকোনমিকে দুর্বল করার জন্য।জেনে থাকবেন হয়ত জার্মানিকে ইউরোপের ইকোনোমিক পাওয়ার হাউজ বলাহয়। কারেন্সি ওয়্যার অনেক আগেই শুরু হইছে, তা এবার নতুন মাত্রা পেল।এখন বিতর্ক হচ্ছে 'হার্ড ব্রেক্সিট' না 'সফ্ট ব্রেক্সিট' কোন এ্যাপ্রোচ নিবে তারা। মনে হচ্ছে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়ে 'খাল কেটে ক্রোকোডাইল আনছি ;) আপনার পরবর্তী পোস্টে বিস্তারিত জানতে পারবো আশা করি; তখন আরো বেশী চাঁপাবাজী করা যাবে B-))

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

প্রথম চার লাইন নিয়ে বলি মিস্টার হাইজেনবার্গ, এসব বলতে পারেন এরর অব আনকন্সাস মাইন্ড। একটানে লেখা তাই এমন হয়েছে। যাই হোক সে জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।



আপনার কথায় মনে হল আপনি ইউকে সিটিজেন। যদি তাই হয় তবে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়ে সঠিক কাজটি করেছেন। কেন এ কথা বললাম সেটা আশা করি গত পর্ব আর এই পর্ব মিলিয়ে বুঝতে পারছেন। আরো বুঝতে পরবর্তী আপকামিং ব্রেক্সিট ও বাংলাদেশ পর্বে সময় করে ঢুঁ দিতে পারেন।


আপনি ঠিকই বলেছেন পাউন্ডে ধস নামছে। আমাদের দেশে প্রবাসী আয় কমবে। কিন্তু আপনাদের ওখানে সস্তাদরে জিনিস পাবেন। বানিজ্য বাড়ার ও সম্ভবনা আছে। জার্মানদের বিজনেস পাওয়ার হাউস মুদ্রা ধসিয়ে ধসানো যাবে না। ইংল্যান্ড জার্মানের বড় বাজার কিন্তু ইউরোপে তাদের বিকল্প জার্মানদের হাতেই আছে।


আর হার্ড সফট যাই হোক, লাভ আপনার আমার ষোলআনা। পরবর্তী পোষ্টে বিস্তারিত আলাপ হবে। সেই পর্যন্ত শুভকামনা!

৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

শরতের ছবি বলেছেন:


অর্থনীতি আমার একদম ভাল লাগে না । জীবনে কোন দিন এই ব্যাপারে কথা কইতে এবং পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি নাই । আপনি লেখছেন তাই একটু দেখলাম তাও উপ্রে উপ্রে । বৃটিশ বৃটিশই ।তারা সমীহ চায় তাই আমরা করি ।তবে বেশিদিন আর চলবে না । দেখেন না খেলতে আইসা কেমন লর্ড লর্ড ভাব লয় । দেখলাম টেস্টের প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশকেও হারাইতে পারে নাই ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


একবার ভাবুন,
বাংগালী যদি ব্রিটেনে গিয়ে উপনিবেশ বানাইত তবে বাংগালির ভাব কি হইত। রাজা রাজা ভাব তো আমাদের ফকিরদেরও আছে, ওদের ক্রিকেটারদের থাকলে দোষ কি?

ব্রিটিশ রাজ্যে সূর্য অস্ত যাইত না, কারণ বাংলার রাজ্যে মীরজাফর আর জগৎশেঠদের অভাব হয়নি। এটাতো আমাদের কলংক। আমরাই ওদের এ সুযোগ করে দিয়েছি। আপনার ছাচা ছোলা মন্তব্য বরাবরই ভাল লাগে। এবারো লেগেছে। ধন্যবাদ।


যাকগে, অর্থনীতি ফালতু একটা বিষয়। আমারো ভাললাগেনা। তবে না জেনে উপায় নেই। সামনে এগুনোর এরকোন বিকল্প নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.