নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার শেষ নেই...

ভ্রমরের ডানা

ভালো থাকুক কবিতাগুলো ...

ভ্রমরের ডানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রেক্সিট ২- স্কটল্যান্ড আয়ারল্যান্ড ও ইউরোপিয়ান ক্যাচাল

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আগের পর্ব- ব্রেক্সিট ১

ইংল্যান্ডের সাথে ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে ইউকে গঠিত। বহু ইতিহাসযজ্ঞ পাড়ি দিয়ে এই দেশ কটি মিলে ইউনাইটেড কিংডম গঠন করে।



কিন্তু আইরিশ স্কটিশদের ব্রেক্সিট পরবর্তী হাবভাবে ইংল্যান্ড মহা সমস্যার মধ্যে পড়বে বলে অনেকেই আভাষ দিয়েছেন। হ্যারি পটার সিরিজের জে কে রাউলিং তো একধাপ এগিয়ে আইরিশ স্কটিশদের জ্যাক ইউনিয়ন ভেঙে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন। বুঝুন,ও দেশে লেখকের ঝাঝ কতটুকু!

যাক সে কথা, ইতোমধ্যে সবাই জেনে গেছে ব্রিটেন প্লাস এক্সিট (ব্রেক্সিটের) হাল-হকিকত। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেড়িয়ে যাবার রায় দিয়েছে ব্রিটিশ জনগণ। সে হিসেবে আর যাচ্ছি না। তবে তরুণ ব্রিটিশরা যারা ব্রেক্সিটের ফলাফলে বেশি লাভবান হত বা ক্ষতিগ্রস্ত হত তাদের অংশগ্রহণ থেকে গনভোটে বুড়ো ব্রিটিশগণ অংশগ্রহণ করেছেনও বেশি ভোটও দিয়েছেন বেশি। কারণ আর কিছুই না। স্বাস্থ্যভাতা, নাক উঁচু তেজ ও প্রবল জাত্যভিমান।

আইরিশ আর স্কটিশদের কথায় পরে আসছি। খোদ ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান- জ্যা ক্লদ জাংকার, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শুলৎজ সহ আরো অনেক ইউরোপীয় রাষ্ট্রপ্রধান চান এই ডিভোর্স যেন দ্রুত হয়। বিষয়টা এমন সমুদ্রবধু অপেক্ষা করিতে চাহিলেও ইউরোপীয় বাবুদের আর তর সইছে না। ব্রিটেনকে বের করে দাও, ডিভোর্স দিয়ে দাও। ডিভোর্সি ব্রিটেনের মায়াজাল তখন স্কটল্যান্ড, আইরিশরা এমনিতেই ভেঙে খানখান করে দেবে।

সে কথার টানেই কিনা নিকোলা স্টারজেন ওয়ার্ল্ডস্টার হতে চেয়ে দুম করে বলে দিলেন ব্রেক্সিট তো হল এবার আমরা ব্রিটেন থেকে সরে ইইউতে যেতে চাই। ব্যাস, সাথে সাথে শুরু হয়ে গেল আইরিশদেরও কারিকুরি। ব্রিটেন এতদিন খাইয়ে দাইয়ে কাল সাপ পুষেছে। সেটা যত জলদি তারা বুঝবে ততই লাভ। আর সুদর্শন হলেই কিন্তু বুদ্ধিমান হওয়া যায় না। নিকোলা তার প্রমান। রবার্ট ব্রুস সতের বার চেষ্টা করে তবেই ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিলেন। কিন্তু তার প্রিয় স্কটল্যান্ডীয় জনগন স্বাধীনতার ব্যান্ড বাজিয়ে ২০১৪ সালের গনভোটে ৫৫ শতাংশ ভোট দিয়ে ইউনিয়ন জ্যাকের ছায়ায় সুধা খুঁজে নেয়। আজ যখন সে ব্রিটেনটি ইইউকে বাইবাই বলে দিচ্ছে, সুবিধাবাদী নিকোলারা বাণিজ্য সুবিধা, হাবিজাবি ইত্যাদি বলে তখন এক ঢিলে দুই পাখি মেরে ইইউ ধরার চেষ্টা করছেন। বাহ বাহ!!




এদিকে উজির নাজির মারা নেদারল্যান্ড ও বেলজিয়াম ঘনঘন ডান বৈঠকে ইইউ প্রধানদের সাথে নতুন ইউরোপের স্বপ্নে বিভোর। ডিভোর্সি বধু ইংল্যান্ডকে বিদায় দিতে পুরোনো শত্রু ফ্রান্স, ইটালি ও জার্মানি ইইউ প্রধানদের চাপে রেখেছেন। ব্রিটিশ জনগনের দেওয়া ব্রেক্সিট বিচ্ছেদ ইউরোপীয় ভূমিরাজদের অহমে যেন সজোরে এক চপেটাঘাত মেরে দিয়েছে। তাইতো ইইউ কর্তাবাবুদের গলায় চাপাকণ্ঠ ব্রেক্সিটে দুঃখিত বলেলেও পরবর্তীতে নেকড়ে গলায় বলে ওঠেন ইংল্যান্ডের সাথে আর নয়। তাদের বেরিয়ে যেতে হবে।

লিসবন চুক্তির ৫০ ধারার প্রথম শর্তটি পূরণ হয়েছে। ৫০ ভাগ গনভোটে ইংল্যান্ড এখন বেরিয়ে জেতেই পারে তাই দরকার পার্লামেন্টারি অনুমোদন। এই জনগনের রায় ফেলে পার্লামেন্ট কোন রায় দিতে পারে না বলে ব্রেক্সিট ২ বছরের মধ্যে হচ্ছে এটা সুনিশ্চিত। তবে ৮০০০০ হাজার পৃষ্ঠার আইনি ধারার পরিবর্তন সে তো সোজা কথা নয়। সময় লাগবে।

তবে থেরেসা মের যেন তর সইছে না। স্কুলের জেদী মেয়েটির মত তারও আজি সব চাই। দেখতে বলতে মার্গারেট থ্যাচারের কার্বন কপি মনে হলেও সে যে জাস্ট একটা আন-ইলেক্টেড ডামি পলেটিশিয়ান সেটা বোঝাই যাচ্ছে। তবে ব্রেক্সিট পরিস্থিতি যদি সে সঠিক বুদ্ধিতে সামাল দেয় তবেই তাকে রিয়েল মার্গাখ্যায়ী দেওয়া হবে। যদিওবা সেটা করা আর এই মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের চলতি ইংলিশ লীগে শিরোপা জেতার সমান হবে। তাতে কি, ম্যান ইউতে রুনি আছে আর ইইউতে আছে জ্যাংকার! তাই ভাবনার বেলুন ফুলাতে দোষ কি?





মিস্টার ক্যামেরুন ২০১২ সালে ওয়াদা করেছিলেন অভিবাসী কমিয়ে আনবেন। কিন্তু তা তিনি করেন নি। জনগণ তাকে রায় দিয়েছে। বেচারা নাইজেল ফারাজের ঘুঘু দেখেছি ফাদ দেখিনি ফাদে পা দিয়ে ব্রেক্সিটের ষোলআনা মাশুল দিয়ে গেলেন।



বেচেরা ক্যামেরুনের আর কি দোষ। ব্রিটেনকে আগে থেকেই বলা হত গনতন্ত্রের সূতিকাগার। সে কথা শুধু বলা হত না ব্রিটিশ জনগন তা প্রমান করেই ছেড়েছেন। ব্রিটেনবাসী নিজের অবস্থা বুঝে শুনে কোন সেলিব্রেটি বা অন্য কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়েই ন্যায্য বিচারক হয়েই তাদের ভোট প্রদান করেছেন। সে ভোটে অনেক কিছুই ব্রিটিশগন বিচার করেছেন যেমন নাগরিক সুবিধা, স্বাস্থ্যসেবা, চাকুরী, অভিবাসী সমস্যা ইত্যাদি। বাংলাদেশ হলে কি করত ভাবুন? অনেক মজা পাবেন।

এবার ঘুরেফিরে মনে আইরিশ, স্কটল্যান্ডীয় জনগণ এল। আসলে কারা এরা? ব্রেভহার্টের সেই সুদর্শন নায়ক? নাকি রবার্ট বুশের মহান চরিত্রায়ন! না এরা বর্তমানে আর তেমনটি নেই। এরা সুবিধাবাদী আধুনিক জনগন যারা ভুলে গেছে ইংল্যান্ড এখনো জাতিসংঘের স্থায়ী পরিষদের সদস্য, জি ৭, জি- ২০ সহ ন্যাটোর অন্যতম প্রধান চালক ও বাহক। ব্রিটিশ আর্মি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে ছিল ইউরোপের রক্ষাকবজ। মার্কিনদের সহায়তায় ইউরোপে ব্রিটিশরা না নামলে হিটলার আর রাশিয়ান বাহিনী ইউরোপে কি করত ইউরোপবাসী তা আজ ভুলে গেছে। তারা ভুলেগেছে ইউরোপীয় রেনেসাঁয় ইংল্যান্ডের অবদান, শিল্প বিপ্লবের অবদান। স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ড আজ ভুল ভাল রাজনীতির খেলায় ইংরেজরাজের ছক্কাপাঞ্জা করতে গিয়ে কোনদিন জানি নিজেই অক্কালাভ লাভ করে। এতো সহজ নয় বাছাধন ইইউ পিয়াসী। ব্রিটিশরা তোমাদের নাচনকোঁদন দেখে পরে আচ্ছাসে ধুয়ে শুকোবে।

যতদিন ব্রিটেনবাসী তাদের বন্ধু মার্কিনদের আতিথ্য পাবে ততদিন তাদের শত্রুরা ভেতরে বাইরে ইদুরবেড়াল খেলবে ঠিকই কিন্তু ছড়ি ঘোরাতে পারবে না। ব্রিটিশ রাজের সীমানায় আজ সূর্য ওঠে সূর্য ডোবে কিন্তু যে দেশ সমুদ্রের বধু তাকে শাসন করে শক্তি কার। স্কটল্যান্ড আইরিশ চুনোপুঁটিদের খবর আছে। ব্রিটেন থেকে বেরিয়ে গেলে স্কটল্যান্ড আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স আর রাশিয়ার পেটে যাবে। সেখানে গেলে ওদের কি হবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফ্রান্সের ঘনঘন আত্নঘাতী হামলা উত্তর সাগরের বরফ রক্তাভ করে দেবে সে সন্দেহ নেই। রাশিয়ার ভারী ভারী সাজোয়া যান পিষ্ট করে দেবে আইরিশ আর স্কটিশ স্বপ্নঘোর। তবে ব্রিটেনের সাথে লাগবে না তারা। সে শক্তি হয়েও আজো হয়ে উঠল না কারো!

আর ইউরোপের মানচিত্রে, স্কটল্যান্ড আয়ারল্যান্ড হয়ত নতুন দাগ কেটে আলাদা হতে পারে তবে সে দাগ হবে তাদের কলংকের দাগ। সে দোষ ব্রিটেনের তো নয়ই বরং হবে আরেক ভারমুক্তির আনন্দ!




সূত্র ও ছবি- গুগল

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সুমন কর বলেছেন: আজ কিন্তু পড়িনি...... ;)

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:১০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আমি আপনার কথা বিশ্বাস করেছি এবং আপনি যে লেখা পড়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন সেটা ........

থাক কইলাম না। পাঠে কমেন্টে ধন্যবাদ ফ্লপ পোষ্টে কমেন্ট করার জন্য!

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুব নিকট বিশ্লেশন ভাল লাগল লিখাটি । তেরেছার বিষয়ে মুল্যায়নটা যতার্থ । স্কটল্যন্ডের তেলের শহড় এবারডীন হতে কোম্পানীরা যেতেছে চলে এ খবর হয়েছে চাউর সর্বত্র । ইউ ই ই লিডারশীপের জন্য লেগে গেছে যুদ্ধ । দেখা যাক ফল কি দাঁড়ায়। লিখার শেষটুকুতে বেশ যুক্তি আছে ।যতদিন ব্রিটেনবাসী তাদের বন্ধু মার্কিনদের আতিথ্য পাবে ততদিন তাদের শত্রুরা ভেতরে বাইরে ইদুরবেড়াল খেলবে ঠিকই কিন্তু ছড়ি ঘোরাতে পারবে না।। একটি কথা ভুলে গেলে চলবেনা , সেটা হল আমিরিকান পুজিপতিদের মুল গোড়া বৃটিশ বংশদ্বোদ্ভতরাই । দুনিয়া শাসন করছে ঘুরে ফিরে তারাই ।
ধন্যবাদ বিশ্লেষণী লিখাটের জন্য ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


শ্রদ্ধেয় ড. আলী, আমি আপনার সাথে একমত। আপনি লেখার মূল মেসেজটি ক্লিয়ারলি বুঝে নিয়েছেন। আপনি আমার দৃষ্টিতে লেখক হিসেবে ও পাঠক হিসেবে একজন কম্পলিট ব্লগার।


লেখাটি পাঠে ও কমেন্টে অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন!

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

সোহানী বলেছেন: ভালোলাগলো বেক্সিট নিয়ে লিখা। আমি স্কটল্যান্ড বা আয়ারল্যান্ড এর কথা ভুলে গেছিলাম। হাঁ এটা একটা বিশাল সমস্যা হবে বিশেষকরে যারা স্বাধীনতা চায়। যাহোক খুব তালি এখন দিব না কারন সাথে মার্কিনীরা আছে। ওদের বিস্ব শোসনের শোধ যে পাওনা আছে...+++++++++=

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

দেখা যাক এই ব্রেক্সিটের ছিঁড়া শিকলে আমাদের কপালে লাভ না ক্ষতি আসে। তবে ব্রিটেন বানিজ্যের দেশ। তারা বানিজ্য ছড়িয়ে দেবে। মান ভাল করতে পারলে বাংলাদেশের মত দ্রুতবর্ধন অর্থনীতির দিকে চোখ আসতেও পারে। তখন কিন্তু আমাদের কপাল খুলে যাবে।


পাঠে কমেন্টে ধন্যবাদ ব্লগার সোহানী।

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:২৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আজকের পর্বটাও ভালো লেগেছে!:)


লাইক+++

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এ পর্বের থেকে সামনের পর্ব আমাদের জন্য বেশী গুরুত্ববহ।

এ ক্যাচাল পাঠে ধন্যবাদ বিলি ভাই।

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

মেহেদী রবিন বলেছেন: চমৎকার আলোচনা। আরো জানতে চাই এ ব্যাপারে। এসব কিছু যে স্কটল্যান্ড , আয়ারল্যান্ডের কূটনীতিকরা বোঝেন না তা আমি মানি না। তারপরও তাদের এমন মনোভাবে পিছনের মূল কারণ ও উদ্দেশ্যটা কি ?

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

এসব কিছু যে স্কটল্যান্ড , আয়ারল্যান্ডের কূটনীতিকরা বোঝেন না তা আমি মানি না।


তা তো অবশ্যই জানেন তারা। কেন জানবেন না। তবে জেনে শোনেই তো বিষপান মনে হচ্ছে। অবশ্য সময়ই সব বলে দেবে।

ভাই, এত কিছু আমি জানি না। যেটা জানতে চেয়েছেন সেটা নিয়ে যা বলব সবটাই অনুমান হবে। তবে নিজের আইডিয়া থেকে বলি-

১। নিকোলা স্টারজেনের প্রধানমন্ত্রী হবার খায়েশ।
২। হাজার বছরের দ্বন্দ
৩। ইইউ টোপ
৪। জার্মান ফ্রান্সের উস্কানি
৫। ব্রিটিশদের চরম কোনঠাসা করার ইচ্ছে
৬। মুক্তবাণিজ্য ও ইইউ এর সুবিধাদি অব্যাহত রাখা।

আরো অনেক কিছুই হতে পারে। আপাতত পাঠে ও কমেন্টে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছান্তে!

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বড্ড উল্টোপাল্টা। তবে বিশ্লেষণ ভালো লেগেছে। আর বিশ্ব নিয়ন্ত্রণে সেই কবে থেকেই চলছে বৈশ্বিক একঘেয়েমিতা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

বড্ড বেশি গোলমেলে, উল্টাপাল্টা মনে হওয়াই স্বাভাবিক। আগের পর্ব দেখেনি। এছাড়া এর বাইরেও কিছু আছে যা জেনেই লেখাটির স্বাদ আসবে। কিছুটা নিজস্ব ঘরনায় আন্তর্জাতিক একঘেয়েমির পরিবেশন।

পাঠে ও কমেন্টে ধন্যবাদ!

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ব্রেক্সিটের পর স্কটিশ ও আইরিশদের মধ্যে নবতর ভাবনার উন্মেষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে নিজেদের আখের গোছায় যদি সফল হতে পারে তবে ওরা স্বাধীন হোক। অসুবিধা কি!

ব্রিটিশদের স্বার্থবাদী মনোভাবের কারণেই ব্রেক্সিট! সময়ই বলে দেবে সামনে কি হবে!!!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আইরিশ স্কটিশদের ভাগাভাগি হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইউরোপ। রাশিয়ার থাবায় আরেকবার ইউরোপ লণ্ডভণ্ড হবে। আই এস আর অন্যান্যরা মিলে ইউরোপের শৃংখলা নিয়ে বৌছি আর কানামাছি খেলবে। সেটা কারো জন্যই ভাল হবে না।


স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, বা এম-৬ আছে বলেই আজ ইন্টারপোল, ন্যাটো এক্টিভ। ইংল্যান্ড চেপে গেলে এই স্কট ফিস্কট স্রেফ উড়ে যাবে। আলাদা হলেই বুঝা যাবে।


আর গেমু ভাই, ব্রেক্সিট হলে বাংলাদেশের লাভ বেশি। পরের পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করব। :D

৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন:



দারুন পোষ্ট
তবে আইরিশ ও স্কটল্যান্ড আলাদা হলে বৃটেনেন ক্ষতি আইরিশ স্কটিশ দের না। তারা তাদের বানিজ্য রাজনীতি আগের চেয়েও বেশি স্বাচ্ছন্দে করতে পারবে। অনেক বিনিফিট তারা মিস করবে ঠিক আছে কিন্তু তারা আলাদা জাতি হিসেবে আর বৃটেনের কাছে ধ্বর্না দেওয়া লাগবে না আর তাদের পৃথিবী শাসন করাা ইচ্ছে নাই। আর বারবার রাশিয়ার নাম আনার কোন কারন দেখছি না বর্তমানে ইউরোপএ সামরিক ব্যালেন্স আছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী দেশ পরিবর্তন হবে আজ অথবা কাল। এখন ব্রেক্সিট পরবর্তি ধকল বৃটেন যদি ইউরোপের সাথে নতুন বানিজ্যিক চুক্তির মাধ্যমে মিটায় তাহলে কারো সমস্য হবেনা।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
রাশিয়া ইউরোপের ভূরাজনৈতিক এ্যানাকোন্ডা। ওদের পেটে সব হজম হয়ে যাবে। ক্রিমিয়া গেছে এরপর ইউক্রেন, অষ্ট্রিয়া! পূর্ব ইউরোপীয় রংতামাশা বোঝা বড় দায়। দেখা যাক কি হয়।


পাঠে কমেন্টে ধন্যবাদ।

৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



অনেক তথ্য; তবে, পুর্ব ইউরোপের লোকজন লন্ডন দখল করে ফেলবে, এই ভয়ে বৃটেন সরে যাচ্ছে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আপনার কথা ঠিক। এর সাথে শরণার্থী সমস্যাদি যোগ হয়ে আরো ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ব্রিটেনবাসী এটা করে নিজেদের আদিমতম সংরক্ষণশীল মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে।

১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ডানা ভাই কবিতা রচনা বাদ দিয়ে অর্থনীতি, রাজনীতি শুরু করলেন কবে থেকে? তবে পোস্টটা কিন্তু সেই লেভেলের হইছে! যাহোক, পোস্টের টপিকের ব্যাপারে বলতে গেলে, স্কটল্যান্ড-আয়্যারল্যান্ড বৃটেন থেকে আলাদা হইলে হয়তো তারা নিজেদেরকে স্বাধীন হিসাবে ভাবতে পারে! তবে বিশ্ব থেকে তারা সম্পূর্ন আলাদা হয়ে যাবে!

অর্থনৈতিক সমস্যা তো থাকবেই, তার উপরে ভৌগলিক কিছু সমস্যারও সম্মূখিন হতে পারে! তবে আমার মতে তারা যদি নিজেদেরকে স্বাধীন ভেবে শান্তি পায়, তবে তাই হোক! পরে হয়তো নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আফসোস করবে, তবে তখন হাতে আর কোন সময় থাকবে না!

শুভ কামনা ডানা ভাই! কেমন আছেন?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
জী, সাহসী ভাই ভাল আছি। কবিতার সাথে হালকা পাতলা ভূরাজনীতি+অর্থনীতি ভালই লাগছে। তাই লেখা। আপনার কমেন্টে আপনি ভালই বলেছেন। তারা ভুল করলে আর শোধরানোর সময় পাবে না।


পাঠে কমেন্টে ধন্যবাদ সাহসী ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.