নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার শেষ নেই...

ভ্রমরের ডানা

ভালো থাকুক কবিতাগুলো ...

ভ্রমরের ডানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমুদ্র অর্থনীতি - সমস্যা সম্ভাবনা ও করনীয়

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:৩৭



"পৃথিবীর কত প্রেম শেষ হল- তবু
এ সমুদ্রের আকাঙ্ক্ষার গানে
বাধা নাই, ভয় নাই, ক্লান্তি নাই,
কান্না নাই, মালাবার ঢেউয়ের ভিতরে
চারিদিকে নীল নারিকেল বন"


সমুদ্র নিয়ে এই আশাবাদী কথা গুলো আমার নয়। তিমির হননের কবি, ধূসরতার কবি জীবনানন্দ দাশ তার তন্দ্রালু কবিতার অবয়বে গেঁথে দিয়েছেন সমুদ্রের বিশালতা। সমুদ্র শব্দটির মনের গভীরে যেমন এক বিশাল কল্প ভাবের জন্ম দেয় ঠিক তেমনি বাস্তবেও তাই। সমুদ্রের হাতেই বন্দি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মুক্তির চাবিকাঠি। সিন্ধু সেচে ডুবুরীরা যেমন মনিমুক্তো আনে, ঠিক তেমনি সমুদ্র গবেষকরা জ্ঞানের সমুদ্র সেচে এনেছেন সমুদ্র অর্থনীতি।



সমুদ্র অর্থনীতি কি?

আমরা সবাই জানি যে বিশ্বের তিন ভাগ পানি একভাগ মাটি। সেই পানির বিশাল অংশটি হল সমুদ্র। সেই সমুদ্র নির্ভর অর্থনীতি হল সমুদ্র ভিত্তিক খাদ্য, জ্বালানি, ব্যবসা, বিনোদন সবকিছুই। ইংরেজিতে একেই আমরা বলি ব্লু ইকোনোমি। সমুদ্রকে ঘিরে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ রুপকার মূলত একজন বেলজিয়ান যাকে "স্টিভ জবস অব সাস্টেইনবিলিটি" নামে ডাকা হয়। সর্বপ্রথম তারই মহৎ চিন্তার মাধ্যমে আমাদের নজরে আসে এই ব্লু ইকোনোমি।



১৯৯৪ সালে গুন্টার পাওলি তার "ব্লু ইকোনমি-টেন ইয়ার-হান্ড্রেড ইনোভেশন, টেন মিলিয়ন জব" শীর্ষক বইয়ে ভবিষ্ণু সমুদ্র অর্থনীতির রূপরেখা, টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব মডেল প্রদান করেন যা বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রশংসিত ও অনুদিত হয়।

বাংলাদেশে ব্লু ইকোনোমি শুরু

২০১২ সালের জুনে রিও-ডি-জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত রিও+২০ ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (ইউএনসিএসডি) সম্মেলনে ব্লু ইকোনোমির সর্বপ্রথম কনসেপ্ট নোটটি উপস্থাপন করা হয়। অবশ্য সেখানে ‘ব্লু ইকোনোমি’ বলে আলাদা কোনো শব্দের প্রয়োগ করা হয়নি। বরং সেখানে গ্রিন ইকোনোমি ইন অ্যা ব্লু ওয়ার্ল্ড নামে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তবে জাতিসংঘের উদ্যোগে ব্লু ইকোনোমি ধারণা নিয়ে প্রথম বৃহৎ কর্মশালাটি ২০১৪ সালে বাংলাদেশেই অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালা শেষে সরকারের ১৯টি মন্ত্রণালয় নিয়ে ব্লু ইকোনোমি বাস্তবায়নের মহাপরিকল্পনাও নেওয়া হয়।



সমুদ্রভিত্তিক এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বদলে দিতে পারে দেশের অর্থনৈতিক চিত্রপট। হতে পারে সমুদ্র উপকূলরেখায় বসবাসরত লাখ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান, ছুটতে পারে হাজার হাজার অর্থনীতি সমৃদ্ধকারী মাছধরা ট্রলার। আর এভাবেই সম্ভব দুই অংকের প্রবৃদ্ধি অর্জন করা। এমনি আশার কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জনাব কাউসার আহমেদ। তিনি আরো জানিয়েছেন সমুদ্র বক্ষ অনুসন্ধানে মালেশিয়া থেকে আসছে "মিন" নামের একটি এক হাজার পাঁচশ টনের জাহাজ। এটি আসলে আমাদের কি পরিমান মৎস্য সম্পদ আছে তা জানা যাবে।



কিন্তু আমাদের ব্লু ইকোনমিতে হাত দেওয়ার আগে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে-
# সঠিক ডাটাবেজ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান
# সমুদ্র সম্পদের পরিমান ও মুল্যাদি
# সম্পদের প্রকৃত বাজার যাচাই
# প্রয়োজনীয় আধুনিক অবকাঠামো
# দক্ষ জনশক্তি
# সঠিক কর্মপরিকল্পনা
# সম্পদ অনুসন্ধান টিম গঠন
# সম্পদের সংরক্ষন
# পরিবেশ নিরাপত্তা
# সচল ইকোসিস্টেম মিথস্ক্রিয়ার নিশ্চয়তা
# মেরিন রিসোর্সভিত্তিক গবেষণা
#পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই নীতিমালা।

ব্লু ইকোনমিতে বাংলাদেশের সম্ভবনা-

হংকং, সিংগাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশ সমুদ্র অর্থনীতিতে বহুদিন ধরে নির্ভরশীল। সিংগাপুরের জিডিপির ৪০ ভাগ সমুদ্র নির্ভর। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশর ২০১২ সালে মিয়ানমার ও ২০১৪ সালে ভারতের সাথে সমুদ্র বিষয়ক মামলায় জয় লাভ করে ১,১৮৮১৩ বর্গ কিমি লাভ করার পর সময় এসেছে এই সমুদ্র অর্থনীতিকে ভিত্তি করে এগিয়ে যাবার।



মৎস সম্পদ আহরনের সম্ভবনা-

সমুদ্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান " সেভ আওয়ার সী" এর মতে স্বাদু পানির ২৭০ প্রজাতির মাছের বিপরীতে আমাদের সমুদ্রে প্রায় ৪৭৫ প্রজাতির মাছ আছে। যার সাথে উপকূলীয় ত্রিশ লাখ মানুষের জীবিকা জড়িত। প্রতি বছর বঙ্গোপসাগর হতে প্রায় ৮ মিলিয়ন মেট্রিকটন মাছ ধরা হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে আমরা মাত্র দশমিক সত্তর মিলিয়ন মেট্রিকটন মাছ ধরছি। উন্নত প্রযুক্তি ও টেকনোলজির ব্যবহার মাছ আহরণ বাড়াবে বলে বিশ্বাস সকল মাঝিমাল্লার।



সমুদ্র খনিজসম্পদে সম্ভাবনা-

আমাদের সমুদ্রের ২৮ টি ব্লকের মধ্যে দুটি ব্লকে বহুজাতিক কোম্পানি কনকোফোলিস প্রায় ৫ টিসিএফ গ্যাস পেয়েছে বলে জানিয়েছে। আমাদের অনুমানের তুলনায় তা অতি সামান্য হলেও বিজ্ঞানীরা বলছেন ভিন্ন কথা।



ভারত মহাসাগরে সমুদ্র মহীসোপানে বিপুল পরিমান গ্যাস পাওয়া গেছে, সাথে মুল্যবান গ্যাস হাইড্রোজ। এদিকে মিয়ানমার সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সমুদ্র বেসিনে খুঁজে পেয়েছে আরেক গ্যাস ভান্ডার। একই ভূতত্ত্ব গঠনের এই বাংলার সমুদ্র বক্ষে তেমনটি হবে না সেটা আশা করা নিতান্তপক্ষে বোকামি। এছাড়াও আমাদের সমুদ্রে প্রায় পনেরটি মুল্যবান খনিজ যেমন ইলামেনাইট, জিরকোনিয়াম, টাইটেনিয়াম অক্সাইড প্রভৃতি রয়েছে যার বৈদেশিক মূল্য কোটি কোটি ডলার।

জাহাজ নির্মান ও শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে সম্ভবনা-

বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণে বিশ্বে ১৩তম আর শিপ ব্রেকিং এ ৩য়। এ এক বিরল সম্মান। বিশ্বের ২৪.৮ ভাগ জাহাজের চাহিদা বর্তমানে পূরণ করছে হেনরী কিসিঞ্জারের তলা বিহীন ঝুড়ির দেশ। এই শিল্পে ব্লু ইকোনোমির ছোঁয়ায় বাংলাদেশ একদিন ডার্বি, ইয়র্কশায়ার, গ্লাসগোর জাহাজগুলোর মানকে ছড়িয়ে যাবে।



বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্ভবনা-

সমুদ্র স্রোত, জোয়ার ভাটাকে কাজে লাগিয়ে টারবাইন ঘুরিয়ে পাওয়া যেতে পারে অকল্পনীয় বিদ্যুৎ শক্তি।এই শক্তির উৎপাদনে পরিবেশের কোন দূষন হবে না। ভারত দুই লক্ষ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে যার প্রায় দশ শতাংশ অর্থাৎ ২০ হাজার মেগাওয়াট আসে সমুদ্র থেকে।



এছাড়াও সমুদ্র থেকে পেতে পারি ১৫ হাজার রাসায়নিক পদার্থ যা দিয়ে বিভিন্ন ওষুধপত্র তৈরি সম্ভব। সমুদ্র শৈবাল চাষ হতে পারে কৃষি বিপ্লবের বিকল্পায়ন। নির্মান করতে পারি গভীর সমুদ্র বন্দর।



অবশেষে-
মহীসোপানের বিশাল সম্পদরাজি যে গুপ্তধনের ডালা মেলেছে তার ছোঁয়া লেগে বদলে যাক বাংলা। আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা সমুদ্র বিজয়ে বাংলার সমুদ্র জলে যে সোনালী ঢেউ তুলেছে একদিন তার জোয়ার বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে সুফল বয়ে আনবে- এই হোক সকলের অংগীকার।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



থাইল্যান্ডের সাথে "জয়েন্ট ভয়নচার " করে ৩০/৪০ জন বিএনপি ও আওয়ামী লীগার বন্গোপসাগরকে মৃত সাগরে পরিণত করেছে ইতিমধ্যাই; ১৭ কোটীর টাকা ৩০/৪০ জন ভাগ করে নিয়ে গেছে ও একই ব্যবস্হা এখনো চালু রেখেছে। এরা জাতির সম্পদকে বিদেশীদের হাতে তুলে দিয়ে বিলিওনিয়ার হয়েছে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

এই বিষয়ে তেমন কিছুই জানি না। তবে এটা জানি সমুদ্রে সম্পদের পরিমান ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। সমুদ্র বর্তমানে বিশ্বের সপ্তম বৃহৎ অর্থনীতি। একে ৫-১০ টাকায় বিকিয়ে দেওয়া চলবে না।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:২০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: হাজিরা দিয়ে গেলাম এবং প্রিয়তে রাখালাম পরে পড়ে নিব।।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:১৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


লেখাটি পাঠে ও কমেন্টে ধন্যবাদ। প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে আরো ভাল লাগছে।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , খুবই গুরুত্বপুর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন । আপনি যতার্থভাবে পরিসংখান দিয়ে বাংলাদেশের নীল অর্থনীতির বিভিন্ন সম্ভাবনার দিক তুলে ধরেছেন । এই সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সত্যি সত্যিই দুই ডিজিট অতিক্রম করবে । সরকারের এ লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্ট গ্রহণ করা এক্ন্ত উচিত হবে । পোস্টের লিখায় দেখানো আমরা মাত্র দশমিক সত্তর মেট্রিকটন মাছ ধরছি অংকটি সম্ভবত শুন্য দশমিক সত্তর মিলিয়ন মেট্রিক টন হবে । সম্ভবত প্রিনটিং এরর হয়েছে , একটু দেখে নিলে ভাল হয় ।
শুভেচ্ছা জানবেন

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ জানাই লেখাটি যত্ন সহকারে পাঠের জন্যে। ভুলটি জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনি বলেছেন -

সরকারের এ লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্ট গ্রহণ করা এক্ন্ত উচিত হবে ।

আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। তবে আমি কিছু যোগ করে বলতে চাই যে শুধু সরকার নয়, সরকারী কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদ সহ সকল স্তরের চিন্তাবিদ ও সুশীল সমাজকে এ নিয়ে সচেতন হতে হবে। শুধু একার পক্ষে সরকার এই বৃহৎ বিষয়ে কিছুই করতে পারবে না। এই বিষয়ে একটি জাতীয় ঐক্যমত গঠন জরুরী বলে মনে করছি। তার থেকে আরো জরুরী মনে করছি সমুদ্র অর্থনীতির দ্রুত বাস্তবায়ন!


লেখাটি পাঠে ও অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুপ্রিয় লেখক! ভাল থাকুন সেই কামনাই নিরন্তর!

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

সুমন কর বলেছেন: ব্লু ইকোনোমি সম্পর্কে জানলাম। +।

চমৎকার পোস্টটি তৈরি করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং আপনার কথার সাথে তাল মিলিয়ে বলতে চাই,

আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা সমুদ্র বিজয়ে বাংলার সমুদ্র জলে যে সোনালী ঢেউ তুলেছে একদিন তার জোয়ার বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে সুফল বয়ে আনবে- এই হোক সকলের অংগীকার।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ব্লু ইকোনমি হতে পারে আমাদের মুক্তির আরেকটি দুয়ার। কিন্তু বিদেশী শক্তি যেমন চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপানের দাবার গুটি হওয়া থেকে মুক্তি পেলে, নব্য কলোনিয়ালিজমের থাবা থেকে সাবধান থাকলে তবেই আমরা ব্লু ইকোনোমির সত্যিকার ফসল ঘরে তুলতে পারব। আমাদের সুযোগ দুয়ারে। তাকে হারালে চলবে না।

আপনার মুল্যবান মন্তব্যে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় ব্লগার!

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। এটি তৈরি করতে আপনাকে অনেক পড়াশোনা করতে হয়েছে বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ এইসকল তথ্যের জন্য।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
পড়াশোনা করতে হয়। মনের খোরাক পাশাপাশি দ্বায়িত্ববোধ থেকেই লেখা। এই লেখাটি পাঠে লেখকের বলয়কে অনুধাবনে পাঠকের প্রতি লেখকের শ্রদ্ধা বাড়বে।

এভাবে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ অরুনি মায়া! ভালবাসা জানবেন! শুভকামনা।

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: সত্যিই চমৎকার একটা পোস্ট! এই ব্যাপার গুলোতে আমাদের সরকারি উর্দ্ধোতন কর্মকর্তা কর্মচারিদেরকে একটু ভাল ভাবে নজর দেওয়া উচিত! আসলে আমাদের আশেপাশের দেশ গুলি তাদের সামদ্রিক সম্পদকে যতটা কাজে লাগাতে পারে, আমরা ততটা পারছি না!

প্রথমত আমাদের দক্ষ লোকবলের অভাব আর দ্বিতীয়তো স্বদিচ্ছার অভাব!

চমৎকার পোস্টে ভাল লাগা ডানা ভাই! শুভ কামনা জানবেন!

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনি ঠিকই ধরেছেন। সদিচ্ছা ও দক্ষ জনবলের অভাবে অনেক কিছুই হচ্ছে না। তবে আরো অনেক ব্যাপার জড়িত-
- মূলধনের অভাব
- প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা
- সমুদ্র সম্পদের পরিমান (অজানা)
- ব্যয়সাপেক্ষ অনুসন্ধান
- বৈদেশিক ভূরাজনৈতিক চাপ
- বৈদেশিক বিনিয়োগের অভাব
- সম্পদ সংগ্রহের অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রদির অভাব
- সমুদ্র গবেষণা ও গবেষণা ব্যয় বাবদ অর্থযোগানের ঘাটতি
- সমুদ্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মে দীর্ঘসূত্রিতা।

ব্লু ইকোনোমি পাঠে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সাস ভাই! শুভকামনা!

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

জুন বলেছেন: সামুদ্রিক অর্থনীতি নিয়ে লিখেছেন আর সবাই সেটা নিয়েই বলছে। আমার কিন্ত সেই সুবির সেনের গানের মতই বলতে ইচ্ছে করছে....
তুমি বলেছিলে কোন মনের মুক্তো যায়না তো কভু কেনা ।
ওগো মন পেতে হলে মনের মুল্য চাই ।
সুনীল সাগরে পাঠালে আমাকে ঝিনুক কুড়াতে তাই ….
তুমি বলেছিলে ….
সারাদিন ধরে ঝিনুক কুঁড়িয়ে শেষে ,
অনেক আশায় দাঁড়ালেম কাছে এসে
ঝিনুকের কথা ভুলেছো তখন শুধালে আমারে শুধু ,
“সাগর কেমন সুন্দর বলো তাই” ?


এই সাগর সেচা অমুল্য ঝিনুক যেন লোভী কিছু রাজনীতিবিদদের হাতে পড়ে হারিয়ে না যায়।
অত্যন্ত গুরুত্ববহ একটি লেখা ভ্রমরের ডানা।
+

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:০১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
গানটি শোনা হয়নি। লিরিক গুলো প্রথম বারের মত পড়েই খুব ভাল লেগে গেল। সুবীর সেনের গলায় নিশ্চয় গানটি বেশ মনোহর।

গানের শেষে কিন্তু আসল কথা বলে দিয়েছেন আপু।

এই সাগর সেচা অমুল্য ঝিনুক যেন লোভী কিছু রাজনীতিবিদদের হাতে পড়ে হারিয়ে না যায়।

এমনটি যেন না হয়। এমন হলে অনেক মানুষের পেটে লাথি পড়বে। সমুদ্র অর্থনীতিতে যে পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠার সম্ভবনা তাতে প্রায় বিশ্বে ৩০ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আমাদের দেশের জেলে, উপকূলীয় হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য খুলে যাবে। David hume said- A nation can never progress with a parts of it's population unemployed.....

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত হোক আমাদের অর্থনীতির লাইফ লাইন।

ব্লু ইকোনোমি পাঠে ও মিষ্টি কমেন্টে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু! ভাল থাকুন! শুভকামনা!

৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,



আমাদের সব সম্ভাবনাগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে "করনীয়"র কাছে । "করনীয়" কি ?
চাঁদগাজী বলে গেছেন , "করনীয়" ইতিমধ্যেই করা হয়ে গেছে ।
ডঃ এম এ আলী এই কথাটি লিখে - সরকারের এ লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্ট গ্রহণ করা এক্ন্ত উচিত হবে । সরকারের "করনীয়" কি তা বলে গেছেন । সাহসী সন্তান ও এরকমটাই "করনীয়"র কথা বলে গেছেন ।
আর আপনার পোস্টের সবটাই তো "করনীয়" নিয়ে লেখা ।
কিন্তু জুন এর মন্তব্যে বলা " এই সাগর সেচা অমুল্য ঝিনুক যেন লোভী কিছু রাজনীতিবিদদের হাতে পড়ে হারিয়ে না যায়।" এই মূল কথাটি সমস্ত শক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করাই আমাদের আসল "করনীয়" । কারন আমরা তো জানি, ক্ষমতায় থাকা সকল শ্রেনীর লোকগুলো কি "করনীয়" কাজে জানপ্রান ঢেলে দেয় !

যথেষ্ট "শ্রমী" পোষ্ট

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

করনীয় কাজগুলো সম্পাদনে আমাদের ও সর্বস্তরের জনগনের সচেতন থাকতে হবে তবেই ব্লু ইকোনোমির সফলতা ঘরে তোলা যাবে! জুন আপু ও আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত!

লেখাটি পাঠে ও সুদীর্ঘ মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা! দেরিতে প্রতিউত্তর করার জন্য দুঃখিত! ব্লগের বেহাল দশা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.