নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার শেষ নেই...

ভ্রমরের ডানা

ভালো থাকুক কবিতাগুলো ...

ভ্রমরের ডানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও আমার দুটি উপলব্ধি

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:২৯



মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন-Earth provide many things to satisfy every human's need; not every human's greed. কথাটি আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। কেন করি তার বিষদ কিছু বলব না। শুধু অল্প ভাষায় বলি আমাদের লোভ ক্রমশ আমাদের পরিবেশকে দূষিত করে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে অনবরত। মূলত ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এই ভাবনাগুলো সাম্প্রতিকতম কিছু বিষয়ে যা আমার কাছে মনে হয়েছে খুবই গুরুত্ববহ! এরমধ্যে একটি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আরেকটি বিশ্ব পরিবেশ পরিস্থিতির।


এক

আমরা সবাই এটা মানি যে এই বিশ্ব আমাদের জননী। পরম যতনে পল্লব ছায়ায় ঘেরা সবুজের শীতল অনিল মনে ও প্রানে যে তৃপ্তি আনে তার তুলনা হয়না। বৈশাখের তপ্ত দ্বিপ্রহরের কাকফাটা রোদ্রস্নানে মলিন বদন জুড়িয়ে যায় কখনো শত সবুজে ঘেরা পুষ্করিণী, নদী, খাল বিল দর্শনে। জলে গা ভেজালে তো কথাই নেই। ছোটবেলার সেই দুরন্তর গ্রীষ্মককালের দিনগুলি শত স্মৃতির ঝাপি খুলে এমন কিছুক্ষণের আনন্দঘন স্বাদ এনে দেয় আমাদের সবারি। কিন্তু কথাটি আমার সেই স্মৃতি নিয়ে নয় বরং সেই স্মৃতি মুছে দেবার ভয়ংকরী পায়তারা নিয়ে। কিভাবে? ব্যাখ্যা করছি!


একটা সময় ছিল যখন পুকুরে, নদীতে, লেকে দলবেঁধে গোসলের মজা সবাই নিত। আর এখন কালেভদ্রে। বড়রা পানিতে হাতও দেই না।আর বাচ্চাদের তো পানি ছুতেও মানা। আজকাল লাইফবয় ঢিসুম ঢিসুম, ডেটলদের যুগ। কাদা পানিতে বাচ্চাকাচ্চা একটু হাত পা নাড়ালেই জ্বর, সর্দিকাশি। নিরুপায় মায়েদের দল তাই কিছুতেই বাচ্চাদের পানিতে ছাড়ছে না। যে বয়সে শরীরের যুদ্ধ করে ইমিউনিটি তৈরী হবার কথা সেটা হচ্ছে কই? গ্রামের ছোট ছোট ডোবা নালাগগুলোও হারিয়ে গেছে। সবকিছুই মানুষের গ্রাসে চলে গেছে তাই সেই পরিচিত খাল বিল গুলো আর নেই। বাচ্চাদের সাঁতার শেখার প্রাকৃতিক জলাশয় নেই। শহরের নদী বিষে ভরা, গ্রামের পুকুরে কৃত্রিম উপায়ে মাছ চাষ।শহরের সুইমিংপুলগুলোর তাই রমরমা অবস্থা। কিন্তু ক্লোরিন মেশানো এই কৃত্রিম পানিতে সেই প্রাকৃতিক ইমিউনিটি গড়ার সুযোগ আছে কি? তাছাড়া দুরন্ত শিশুদের পুকুরে জাপটাজাপটি, থইথই জলে হু-হুল্লোড় দেখে শিশুবেলার সেই দুরন্তপনার রোমন্থনের সুযোগই বা কই?


যাকগে, এই বিষয়টা বাদ দেই। জানি আমার মত ক্ষুদ্র মানুষের লেখায় কিছু আসে যায় না। তবে বিভিন্ন পেয়ার রিভিউ জার্নালে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে শিশুদের ইমিউনিটি গড়ে ওঠার জন্য প্রাকৃতিক জীবানু জরুরী, জীবাণুনাশক নয়। আধুনিকতার বিপক্ষে আমি নই তবে আধুনিকতার নামে প্রকৃতির গলায় ছুড়ি চালানো সেটার পক্ষে যাই কি করে? আজকাল আশেপাশে যত নদী, খালবিল ধ্বংস হয়েছে সবই আধুনিকতার দোহাই দিয়ে। এই পথে নিজেদের অস্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্পদ উজাড় করে আমরা কারা যারা আজ সম্পদের পাহাড় গড়ে চলেছি?

দুই




তবে আমি অবাক হয়েছি এটা ভেবে যে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত রাষ্ট্রটির রাষ্ট্রপ্রধান কতই না বোকা। তিনি ভাবছেন কোন দেশের কোন অজপাড়া গ্রামে ইটভাটা হল আর কোন পচা দেশের অখ্যাত শহরের নদী মরে গেল তাতে আমার কি? আমার বেলকনি জুড়ে কত বাতাস! সুবিশাল টাওয়ার্স! আহ! অজস্র প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাদি আর ভরপুর আয়োজন। আরে মশাই দাঁড়ান! চারিদিকে বিষিয়ে দিয়ে কিসের আনন্দবাজার খুলেছেন? ভেবে দেখুনতো সেই বিষাক্ত বায়ুতে আপনার ফুসফুস তাড়িত হয়েছে কিনা? আপনার দেশে প্রতিবছর দুই লক্ষ মানুষ বায়ুদূষণে প্রাণ হারায়। আর আজকের বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমস্যা গ্রীনহাউস ইফেক্ট। তাতে বিশ্বের ওজোনস্তরের যে ক্ষয় হতে হতে যত ফুটো তার সবচেয়ে বড় ফুটোটা আপনার দেশের আকাশে। সেটার উপর প্রলেপ না দিয়ে আপনি সেটা আরো বড় করছেন কিংবা বড় করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, ভারত, ব্রাজিল, সাউথ আফ্রিকা সহ সবগুলো পরিবেশ দূষণককারী দেশ এই বিষয়ে একমত হল। জনাব ট্রাম্প, ১৯৫ টি দেশ যে বিষয়ে এক হল, একটি স্বপ্নে তাড়িত হল আপনি স্রেফ তাকে উড়িয়ে দিয়ে কোন সুখবায়ু গ্রহন করবেন? আমার দেশের সবুজ গ্রামে বিষাক্ত বাতাস ঢুকিয়ে আপনার গ্রেট আমেরিকায় আপনি কি নিরাপদ থাকতে পারবেন, আপনার জনগনকে নিরাপদ রাখতে পারবেন?

জার্মান প্রধান এঞ্জেলা মার্কেল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কি বলেছেন শুনুন। বিশ্বের স্বার্থকে অবহেলা অবাঞ্ছিত করে কিছুতেই এগিয়ে যাওয়া যায় না। যদি যেত তবে হিটলার মুসোলিনীরা হেরে যেত না। মিঃ টার্মিনেটর আর্নল্ড শোয়ার্জেননিগার আপনাকে খুব সুন্দর একটি মেসেজ দিয়েছেন সেটিও দেখুন। নিজের দেশের স্বার্থ উদ্ধার করার আগে নিজের দেশের মানুষের কথা বুঝতে শিখুন।

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ট্রাম্প ভুল করেছে; ইতিমধ্যে ৫৪ শহরের মেয়রেরা নিজ দায়িত্ব প্যারিস জলবায়ু গ্রুপের সাথে কাজ করার কথা ঘোষনা করেছেন; সর্বোপরি, আমেরিকা সেটা শোধরাবে, হয় ট্রাম্পের সময়, বা ৪ বছর পরে!

কিন্ত বাংলাদেশ যেভাবে তার খাদ্যে বিষ মিশাচ্ছে, মাছের খাদ্য নামে কেমিক্যাল ব্যবহার করছে, সেটা বন্দ্ধ করবে কে?

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:০১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



ট্রাম্প যে ভুল টি করেছে তা বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। হয়ত মালদ্বীপ ফিজির মত দেশগুলো সমুদ্র উচ্চতা বেড়ে ডুবে যাবে। ৪ বছর পর না হলেও চল্লিশ বছর পর। এতে তার ভূমিকা থাকবে প্রশ্নাতীত। আমেরিকার কোল কম্পানীগুলো পর্যন্ত যেখানে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের পক্ষে জনাব ডোনাল্ড ট্রাম্প সেখানে কোন যুক্তি তে আমেরিকার স্বার্থ খুঁজে পান। মার্কিনরা সত্যিই যদি ট্রাম্পের এমন সিদ্বান্তকে স্বাগত জানায় সেটা হবে দুঃখজনক!


বাংলাদেশে খাদ্যে ভেজাল রোধে আইন আছে শুধু দরকার তার প্র য়ো গ ও জনসচেতনতা! যারা ভেজালবাজ তাদের কঠোর শাস্তি কামনা করছি!



আপনাকে ধন্যবাদ! শুভকামনা জানবেন!

২| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:১৩

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: আপনি অবাক হওয়ার কিছুই নেই।বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপ্রধান হয়ত মাত্র আমাদের অবাক করা শুরু করেছেন,এত তাড়াতাড়ি অবাক হলে সামনে কি হবে??? ;)

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:২০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



হুম,

সাত দেশের মুস্লিম ভিসা ব্যান
নাফটা ব্যান
টিপিপি ব্যান
মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল
ওবামা কেয়ার বাতিল
ইরাক সিরিয়ায় বোমা
ন্যাটো থেকে বেড়িয়ে যাবার হুমকি
চীন সাগরে উত্তালতা
সর্বশেষ প্যারিস প্যাক্ট বাতিল (কপ-২২এর প্রস্তাবনা)

এরমধ্য থেকে পজেটিভ কিছু আছে কি?

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:২৬

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: একদিন আমরা সবাই মিলে স্কুলের এক বড় কর্মকর্তার নামে কিছু বলতে গিয়েছিলাম হেডস্যারের কাছে।সব শোনার পর তিনি বলেছিলেন:-
বস ইজ অলওয়েজ রাইট।আমরা পুরোদমে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।পরে বুঝতে পারি হেডস্যার খারাপ কিছু বলেন নি।
বস ইজ অলওয়েজ রাইট।সো,ট্রাম্পের সকল কিছুই পজেটিভ।দ্বিমত করার সুযোগ নাই।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আপনি কি বিশ্বকে কোম্পানি মনে করেন। হেডস্যারের শিক্ষাটি আপনাকে প্রাইভেট চাকুরীতে সহায়তা করতে পারে তবে আপনার আত্নমর্যাদার জন্য তা মোটেই সহায়ক হবে না!

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:৩২

কল্লোল পথিক বলেছেন:

সুন্দর সময়োপযোগী পোস্ট।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:৩৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ধন্যবাদ কল্লোল ভাই। প্রকৃতি ফিরে পাক তার আপন ভুবন!

৫| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:৩৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আধুনিকতার নামে প্রকৃতির গলায় ছুড়ি চালানো সেটার পক্ষে যাই কি করে? আজকাল আশেপাশে যত নদী, খালবিল ধ্বংস হয়েছে সবই আধুনিকতার দোহাই দিয়ে। কিন্তু এর লভ্যাংশ যাচ্ছে কাদের পেটে?? আম জনতার অবশ্যই না?? যাচ্ছে প্রতিটা সময়ে, প্রতিটা ক্ষমতাশীনদের পেটে!!
আর মিঃ ট্রাম্পের কথা কি বলবো!! মহাজনদের পথ, উনিও অনুসরন করছেন, কিন্তু "ভিন্ন তরিকায়"!! একটু দেখুন তার প্রথম সফর নিয়ে।। একঢিলে বিশ্বের তিনটি গুরুত্বপূর্ন ধর্মকে খুশী করার সাথে সাথে নিজস্ব "একান্ত এজেন্ডা"ও বাস্তবায়ন করছেন।। উল্লেখ্য (কাতারের সাথে, সৌদী মিত্রদের সম্পর্ক)।।
এতদিন আমরা সিয়া-সুন্নী বিবাদে অভ্যস্থ ছিলাম, আজ সুন্নী-সুন্নী শুরু করলাম।। কারনকি কায়েদা বা আই এস খেলা পূরানো হয়ে গেছে??!!
জানি না আপনার এলেখায় আমার মন্তব্য যথাযথ হলো কি না??

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:৫২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনার সুচিন্তিত মতামত পেয়ে খুব ভাল লাগল!! আমরা দেখছি পরিবেশের উপর মারাত্নক রকম ব্যবচ্ছেদ চালানো হচ্ছে। সবুজ বিপ্লব ও পরিবেশ বান্ধব শিল্প গড়া এখন সময়ের দাবী। হাজারীবাগের মত দূষিত কারখানাগুলোতে ইটিপি স্থাপন, কারখানার চারপাশে সবুজ বেষ্টনী, রিনুয়েবল এনার্জি ব্যবহার, নদ নদী জরীপ ও সংরক্ষণ, পরিবেশ আইনের যথার্থ ব্যবহার নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দাবী। আমরা আশা করছি এ সকল বিষয়ে কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট আন্তরিক হবেন।


আর জনাব ট্রাম্প একের পর এক বিতর্কিত আচরণ ও ছোট মানসিকতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ব মঞ্চে তিনি এক জাঁকালো ভাড়! আর কাতারের সাথে যে বিবাদ তা অবশ্যম্ভাবী ছিল। আপনি এরকারন আজকের পত্রিকাদিতে পেয়ে যাবেন। আরব বিশ্বের রাজনীতি অনেক হিংসানলের আর বিচ্ছেদের! তাদের এই খেলার মূলে ধর্মবাদের থেকে অস্ত্র ও অর্থবাদ বেশি গভীর। ধর্মেরঢাক বাজিয়ে এই ভণ্ডামি উপরওয়ালা কতদিন সইবেন?

৬| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:০৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ট্রাম্প একের পর এক বিতর্কিত আচরণ ও ছোট মানসিকতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ব মঞ্চে তিনি এক জাঁকালো ভাড়! আর কাতারের সাথে যে বিবাদ তা অবশ্যম্ভাবী ছিল ট্রাম্পকে আমি ভাড় বলতে নারাজ।। (চাঁদাগাজীর বিভিন্ন লেখায়ও এর প্রমান পাবেন।।) ট্রাম্প যে এজেন্ডা নিয়ে এসেছেন তাই বাস্তবায়ন করছেন।।
আর আরব বিশ্বের ব্যাপারে একমত হয়েও বলছি, ট্রাম্প এটাকেই খুচিয়ে তুলছেন, কেন?? তা আগের মন্তব্যেই বলেছি।। একটু ভেবে দেখবেন।।
সত্যি ভাল লাগছে, এমন আলোচনা।। অন্ততঃ উল্লেখখিত ব্লগাররের মত উল্টোপাল্টা উত্তর দিয়ে পরদিনই পোষ্টটিকে নাই করে দিতে!!

০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আলোচনা ভাল মত করাই ভাল। ট্রাম্প কে ভাড় বলেছি তার আচরনের কারনে। হ্যা তিনি বিজয়ী প্রেসিডেন্ট কিন্তু এখন তার জনপ্রিয়তা কত? বারবার অভিশংসনের কথা চলে আসে। তার মানসিকতা বিশ্বের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। বিশ্ব রাজনীতি খুব জটিল ও পরিবর্তনীয় কিন্তু ট্রাম্প সেটাকে খুব সহজ করে ফেলেছে। জনাব বুশের মতই!

৭| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:১৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ভেবে দেখুন (আমাদের ভাষায় ভাড় বা ভন্ড) ট্রাম্পের বর্তমান কার্যাবলীতে আমেরিকানরা ক্ষতিগ্রস্থ না অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান??
যে কোন সরকারেরই উচিৎ এদিকটা বিবেচনা করা।।

সেখানে আমরা কি করছি??

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


পরিবেশগত বিষয়ে বাংলাদেশ যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। আর আমেরিকা যদি ভাবে যে পরিবেশের বিনিময়ে অর্থনীতি তাহলে কিছু বলার নেই। যতদূর দেখছি তাতে ওদের ভয়ংকর চেহেরা বেড়িয়ে পড়ছে। সর্বনাশ শুধু ছোট ছোট প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত দেশগুলোর।

যে দেশগুলো জলবায়ু সম্মেলনের নীতিমালার পক্ষে সে দেশগুলোর মান আমার কাছে ইউ এস এর থেকে বহুগুণ উপরে।ইউ এস এর নতুন প্রেসিডেন্ট বিশ্বকে পরিকল্পিত ভাবেই ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে!

৮| ০৬ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:১৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পাগলের হাতে দেশের ক্ষমতা পড়লে যা হয় আর কি।

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
উনি পাগলল কিনা তা জানি না তবে তার আচরণ নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন সবার। বিশ্বকে ছুড়ে দিয়ে ট্রাম্প কোন আমেরিকা গড়বেন? সত্যি হাস্যকর!

৯| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সমসাময়ীক সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা।

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!ভাল থাকুন সবসময়!

১০| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

প্রথমকথা বলেছেন: সুন্দর সময় উপযোগী পোষ্ট। ভাল লাগল।

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনাকে ধন্যবাদ! শুভকামনা সবসময়!

১১| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে ব্যাক্তি পর্যায়ে সভ্যতা যেভাবে প্রযুক্তিমুখী হচ্ছে তাতে সিএফসি স্তরের ছিদ্র ক্রমান্বয়ে বাড়ছে । বরফ গলতে শুরু করেছে, উঞ্ষতা বাড়ছে, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এক ভয়াবহতার মুখোমুখী হতে যাচ্ছে ।

০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
পরবর্তী প্রজন্ম নয় আমরাই ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন। এখনি মানুষ মরছে।পরিবেশ দূষনে গোটা বিশ্বকে আস্তাকুড় বানাতেও ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়বেন না।মার্কিন স্বার্থের কাছে বিশ্ব কিছুই নয়।

১২| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

মানবী বলেছেন: " কাদা পানিতে বাচ্চাকাচ্চা একটু হাত পা নাড়ালেই জ্বর, সর্দিকাশি। নিরুপায় মায়েদের দল তাই কিছুতেই বাচ্চাদের পানিতে ছাড়ছে না।"

-খুব খুব সত্য কথা! আমরা সন্তানের মঙ্গলকামনায় মরিয়া হয়ে শূধু ডেটল নয় হ্যান্ডস্যানিটাইজারে অবসেসড হয়ে পরি, অথচ এসব প্রচন্ড ক্ষতিকর। উন্নত বিশ্বের মা বাবারা সাধারণ প্লাস্টিকের পরিবর্তে কিছু অতিরিক্ত খরচ করে বিপিএ ফ্র প্লাস্টিক সামগ্রী ক্রয় করে, আবার সেই বাচ্চারা খেলাধূলা শেষে উঠে আসলে জীবাণুমুক্ত করতে তাদের হাতে ঘষে দেয় "হ্যান্ড স্যানিটাইজার"!! অথচ অধিকাংশ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের অন্যতম ইনগ্রেডিয়েন্ট "বিপিএ"(Bisphenol A)!!!
শিশুদের প্রকৃতির সাথে একাত্ব হবার সুযোগ করে দেয়া জরুরী, আর কাদা মাটি বালু দিয়ে খেলা শেষে সাবান দিয়ে ভালো ভাবে গোসল বা হাত ধুয়ে দেয়াটাই প্রকৃত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।

রাসায়নিক পদার্থ কখনও প্রাকৃতিক উপাদানের চেয়ে ভালো অপশন হতে পারেনা।

জনসচেতনতা সৃষ্টিকারি গুরুত্বপূর্ণ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনার মন্তব্যটি পড়ে আরো গভীরের কিছু জানা হল। সকল রাসায়নিক মুক্ত পৃথিবীতে বেচে থাকুক শৈশব! শিশুরা ফিরে পাক দুরন্ত দুপুরের সবুজ খোলা মাঠ। বড়ই দরকার এগুলির! বাংলার দামাল ছেলেদের দল মেতে উঠুক কলরবে। সেই স্বপ্নের পথে হোক আঘামীর যাত্রা! আপনাকে শুভকামনা জানাই মানবী আপু! ভাল থাকুন নিরন্তর! পরিবেশ নিয়ে আমাদের আরো অনেক লেখালেখি করতে হবে!

১৩| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:২১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
সময়োপযোগী পোস্ট +

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

মন্তব্যে ধন্যবাদ শাহারিয়ার কবির! পরিবেশ ফিরে পাক তার আপন রূপ অবয়ব! সেই আশায় রইলাম!

১৪| ০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর সময়োপযোগী!

ভাল থাকুন।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ধন্যবাদ নকিব ভাই। পরিবেশ নিয়ে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। এটা আমাদের জীবনের সাথে জড়িত!

১৫| ০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই বিশ্ব আমাদের জননী -- কি সুন্দর কথা! কিন্তু ক'জনাই বা তা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে, সেটাই হল কথা।
শিশুদের ইমিউনিটি গড়ে ওঠার জন্য প্রাকৃতিক জীবানু জরুরী, জীবাণুনাশক নয় - এটাতো বিরাট একটা চিন্তার কথা, যা এখনকার মায়েদেরকে কিছুতেই বোঝানো যাবেনা। ছোটবেলা থেকে এ ধরণের ইমিউনিটি না গড়ে উঠলে বড় হয়ে খুব সহজেই রোগ ব্যাধির শিকার হতে হয়।
কিন্ত বাংলাদেশ যেভাবে তার খাদ্যে বিষ মিশাচ্ছে, মাছের খাদ্য নামে কেমিক্যাল ব্যবহার করছে, সেটা বন্দ্ধ করবে কে? - চাঁদগাজী সাহেবের এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই, তবে সবাইকে এ নিয়ে ভাবতে হবে।
তাদের এই খেলার মূলে ধর্মবাদের থেকে অস্ত্র ও অর্থবাদ বেশি গভীর - ৬ নং প্রতিমন্তব্যে আপনার এ পর্যবেক্ষণের সাথে একমত।
রাসায়নিক পদার্থ কখনও প্রাকৃতিক উপাদানের চেয়ে ভালো অপশন হতে পারেনা -- ধন্যবাদ মানবী, আপনার এ চমৎকার পর্যবেক্ষণের জন্য (১৩ নং মন্তব্য)।
পোস্ট এবং মন্তব্যের আলোচনাগুলো উপভোগ করলাম। অল্প কথায় একটা সার্বজনীন বিষয়ের উপর আলোকপাত করার জন্য লেখককে আন্তরিক অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


পরিবেশ নিয়ে ভাবার সময় অনেকের নেই। এই অস্থির বিশ্বে আজ বাচা মরার নির্ধারক পরিবেশ। তবুও মানুষের টনক নড়ছে না। ইউ এন এফ সি সি, কপ, জলবায়ু তহবিল আরো কত কি সব শুধু কনফারেন্স করেই খালাস।এদিকে হুহু করে তাপমাত্রা বাড়ছে, বরফ গলছে, ওজোন ধ্বংস হচ্ছে। সবাই শুধু আয়োজনেই ব্যস্ত কিন্তু আসল কাজটা কেউ করছে না।



আর শিশুদের কথা আর কি বলব। অভাগাদের কপালে কিছুই নেই। মাটির গন্ধ, দুর্বার রস, আমের মুকুলের সুবাস, দেশি পেয়ারার নরম আশ, প্যাঁকক প্যাঁকে কাদার ভুরভুরে নরম ছোঁয়া সব হারিয়েছে।

গাজী সাহেবের সাথে আমি একমত।খাবারে অসাধুতা অবলম্বনে ক্যামিকেল মেশানো অপরাধ। স্বাস্থ্যরক্ষা ও খাদ্যের গুণমমান ঠিক রাখার জন্য আমাদের আরো সচেতন হতে হবে।এ বিষয়ে নাগরিক আন্দোলনের বিকল্প নেই।


বহুদিন পর আপনার সুচিন্তিত পর্যবেক্ষণ পেলাম।সুচারু পাঠক হিসেবে ব্লগে আপনার সুনাম রয়েছে। আমার পোষ্টে তেমনি একটি পর্যবেক্ষণ রেখে লেখাটি অমূল্য করে গেলেন!


শুভেচ্ছা ও প্রীতি রইল সুপ্রিয় লেখক!

১৬| ০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

আখেনাটেন বলেছেন: তারা একা বাঁচতে চায়। তারা একা ভালো থাকতে চায়। গোটা বিশ্বকে নরক বানিয়ে।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:






আপনার উপলব্ধির সাথে একমত। তবে পরিবেশ নিয়ে খেলা করার ফল তারা ভোগ করবে। প্রকৃতির উপরে হাত দেওয়াটাই তাদের হয়ত শেষ পাপ হতে যাচ্ছে!

১৭| ০৬ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ট্র্যাম্প আজকে ক্ষমতায় শুধু মাত্র একটা স্লোগানে
"আমেরিকা প্রথম "
আর আমাদের কথা কি বলব সব কিছুতেই প্রাকৃতিক ব্যাপার টা উঠে যাচ্ছে ।এখন কোন কাঁদা মাখা শিশু গ্রামে ও দেখা যায় না ।এখন কোন কিশোরী বেনী দুলীয়ে হেটে যায় না ।
তরুণী খোঁপায় কৃষ্ণচূড়া গোঁজে না ; স্টেইট করে সব পালস্টিক হেটে যায় ।
আগে সমস্ত গ্রামে একটা টেলিভিশন ছিল ।এখন হাতে হাতে ; এয়ারকন্ডিশন দিয়ে রাতে ভালো ঘুমাই ,আবার সেই কন্ডিশনিং এর
বিষবাস্প বাড়ান্দায় দাঁড়িয়ে নিজেই কঞ্জিউম করি ।

আপনার পোস্ট সত্যি ই ভাবনার উপরকরন রয়েছে ।
শুভ কামনা !

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

সুপ্রিয় কবি, হঠাৎ কবিতা লেখতে গিয়ে খেয়াল হল এসব। গ্রামীন জীবন আর আগের মত নেই। আপনার কথাগুলো মিলে যাচ্ছে। সেই অনুভবগুলোর সাথে কোন কিছুর তুলনা নেই। গ্রামের মাঠ ঘাট জলাশয় সব কিছুই হারাতে হারাতে আজ আমরা নিঃস্ব! যা দেখি সব কৃত্রিম। এমনকি মানুষের হাসি গুলোও। হয়ত মানুষের জীবনের মান বেড়েছে তবে সেই পুরোনো অনুভব গুলো আমরা হারিয়ে ফেলেছি। জীবিকা ও জীবনের তাগিদে আমরা মননের বুননকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করেছি।


আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের সাথে আমার অনুভব মিলে গেল সুপ্রিয় কবি! শুভেচ্ছা নিরন্তর!

১৮| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার যুক্তি সম্পন্ন পোস্ট। যারা ভাবা'র তারা শুধু নিজেরটাই ভাবে !!

+।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

গ্রামে গঞ্জে আমাদের একশ্রেণীর মানুষ রয়েছে। তারা যেকোনো উপায়ে বড়লোক হতে চায়। তাদের লোভের কাছে শহরতলীর সবকিছু হারিয়ে ফেলছে তার আপন জীবন। সেসব অনাচার রুখে দেবার, সেই অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করার মুখ কই? সমাজের সকলেই আজ শুধু নিজেরটাই ভাবছি!


প্রকৃতির এই অবহেলার রুখে দিতে প্রকৃতির প্রকৃত সবুজ সন্তানদের এগিয়ে আসতে হবে। আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুমন ভাই। ভাল থাকুন সবসময়!

১৯| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

অবিসংবাদিত নেতা নেহরু বলেছেন: মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন-Earth provide many things to satisfy every human's need; not every human's greed. কথাটি আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। কেন করি তার বিষদ কিছু বলব না। শুধু অল্প ভাষায় বলি আমাদের লোভ ক্রমশ আমাদের পরিবেশকে দূষিত করে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে অনবরত। মূলত ৫ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে এই ভাবনাগুলো সাম্প্রতিকতম কিছু বিষয়ে যা আমার কাছে মনে হয়েছে খুবই গুরুত্ববহ! এরমধ্যে একটি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আরেকটি বিশ্ব পরিবেশ পরিস্থিতির।

যুক্তি সম্পন্ন পোস্ট
+++

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনার মুল্যবান মত্যমতের জন্য ধন্যবাদ! শুভকামনা রইল!

২০| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লিখেছেন , পরে সময় করে আবার আসব ।
শুভেচ্ছা রইল

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


ধন্যবাদ সুপ্রিয় লেখক। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে অনুভূতি প্রকাশ করেছি মাত্র। আপনার মুল্যবান মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।

২১| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,



মানুষের লোভী হাত যখন কুমারী প্রকৃতির নেকাব খুলে বেআব্রু করে দেয় , তখন একটা সময় প্রকৃতি প্রতিশোধের আগুন জ্বলে ওঠে । সেই আদিকাল থেকেই প্রকৃতির গায়ে হাত দিয়ে কোনও জনপদ বা সভ্যতা ছাড় পায়নি । আজও পাবেনা ।

দেশের খাল- বিল - নদী, বন জঙ্গল, হাওড়-বাওড় এর দিকে মানুষের অপ্রতিরোধ্য লোলুপদৃষ্টি আর দখলবাজি শুধু প্রকৃতিকেই ন্যাংটো করেনি উজাড় করে নিয়ে যাচ্ছে নিজেদেরই শরীর-স্বাস্থ্য-ভবিষ্যত । এ চিত্র আমাদের দেশেই বেশী । লোভের চকচকে চোখ এসব দেখতে পায়না । নগদ নিয়েই আমাদের কারবার । নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার নজির এমনটি আর নেই ।

আর বিশ্ব বিবেক ? সে তো আপনার লেখাতেই পরিষ্কার । অধিকাংশ দেশই প্রকৃতির রূদ্র রোষ সম্পর্কে বুঝতে শিখেছে । কিন্তু আমরাই তা বুঝে ঊঠতে পারলুম না বোধহয়।

আপনার উপলব্ধি গভীর । ভালো লাগলো ।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


মানুষের লোভী হাত যখন কুমারী প্রকৃতির নেকাব খুলে বেআব্রু করে দেয় , তখন একটা সময় প্রকৃতি প্রতিশোধের আগুন জ্বলে ওঠে । সেই আদিকাল থেকেই প্রকৃতির গায়ে হাত দিয়ে কোনও জনপদ বা সভ্যতা ছাড় পায়নি । আজও পাবেনা ।
-- আপনার অনুভবের সাথে সহমত!


নগদ নিয়ে বাড়াবাড়ি কাড়াকাড়ির ফল আমরা ভোগ করছি। হয়ত আরো মাশুল দিতে হতে পারে। প্রান্তিক পর্যায় থেকে জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা দরকার! বিশ্ব বিবেকের দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই। আমাদের নিজেদের ঘর আমাদের নিজেদের সামাল দিতে হবে! আপনার মুল্যবান মন্তব্যে লেখাটি স্বার্থক হল। আপনার তাৎপর্যপূর্ন অনুভব পেয়ে সত্যি অনুপ্রাণিত হলাম! ভাল থাকুন সুপ্রিয় ব্লগার ও লেখক!

২২| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০০

তারেক ফাহিম বলেছেন: গণসচেতনমুলক পোষ্ট। তবে কেন জানি মনে হচ্ছে আমাদের এরশাদ কাগুর মত লোকের মনমানসিকতা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প কীভাবে বিশ্ব রাজত্ব করে???

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ডোনাল্ড ট্রাম্প হলেন মিথ্যাপরবর্তী যুগের প্রতিনিধি। যেখানে সত্য বলে কিছুই নেই, মিথ্যাই সত্য আর সত্য প্রলাপ।


আপনার মুল্যবান অনুভবের জন্য ধন্যবাদ।

২৩| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০২

জাহিদ অনিক বলেছেন: অবশ্যই পরিবেশ দূষনের জন্য নগরায়ন শিল্পায়ন দায়ী। সোমালিয়দের জলদস্যু বানানোর পিছনে ইউরোপের সভ্য সমাজ দায়ী

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

পরিবেশের সাথে মানুষের আচরনের বৈজ্ঞানিক মিল রয়েছে। গরমকালে অপরাধ বেড়ে যায় আবার শীতকালে তা কমে আসে।বাংলাদেশের চরাঞ্চলের দিকে তাকালেই আমরা অপরাধ ও দারিদ্র্যতার উৎস রূপে পরিবেশের প্রভাব দেখতে পাই। জলবায়ুর চরম পরিবর্তনে যে জলবায়ু শরণার্থী তৈরী হবে তাতে আমাদের অপরাধ প্রবনতা বাড়বে! সময় এখনি উপর্যুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের!

২৪| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

জুন বলেছেন: আপনার লেখার সাথে কোন দ্বিমত নেই ভ্রমরের ডানা । যাই করেন আমাদের বিগ ব্রাদারদের কোন উদাহরন আমার ব্যাক্তিগত ভাবে ভালোলাগে না । তারা মানুষের জন্য, প্রতিবেশী দেশগুলোর ভালোর জন্য বিনা স্বার্থে কিছু করতে পারে তা আমার কখনোই বিশ্বাস হয়না । মুখে শুধু বড় বড় মিষ্টি মিষ্টি কথা আর হাতে তার টুইটার ।

১০ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:০০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
বিগ ডুডদের ব্যাপারে আপনার চিন্তার সাথে সহমত আপু। তবে বিশ্বের কথা চিন্তা করে তাদের ও সবার জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ে এক হতেই হবে। কারন এতে কম বেশি সবারই সমস্যা হবে। তবে এই সমস্যার সমাধান টুইট করে হবে না এটা সবাই জানে কিন্তু রাজনীতিজ্ঞগন জনগনের কাছে সরব থাকাতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বোধহয়। তবে জনগনের উচিত এসব দিকে নজর রাখা। বলা তো যায়না থলের বিড়াল বের হলেও একদিন হতেও পারে। কারণ দ্বিমুখী নীতিবাজদের কথা ক্ষণে ক্ষণে বদলায়।



লেখাটিতে সুচিন্তিত অভিব্যক্তিবাদ জানিয়ে ধন্য করেছেন আপু। ভালবাসা ও প্রীতি রইল!

২৫| ০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

জুন বলেছেন: ভালোকথা আর মোদী যদি এতই পরিবেশ সচেতন হতো তাইলে ঘরের পাশেই প্রতিবেশী দেশের সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপালে বিদ্যুৎ কারখানা কখনো হতোনা । তার কয়লা বেচার জন্য আমাদের আজ এই অবস্থা । আবার ফ্রান্স জার্মানে গিয়ে এঞ্জেলা মার্কেলদের সাথে কান্নাকাটি করতো না ।

১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



এসব কষ্টের কথা কি আর বলব আপু বুঝছি না। তবে রামপাল হলে হোক। সুন্দরবনের ক্ষতি যেন না হয় সেটাও আমাদের মনে রাখতে হবে। ভারত কেন চীন জাপান আমেরিকা সবাইকে আমাদের দরকার তবে নিজেদের স্বার্থের বাইরে নয়, বিশ্ব স্বার্থের বাইরে কখনোই নয়। পরিবেশ কোন দেশের হতে পারে না, পরিবেশ বিশ্বের সকলের!

২৬| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:৪২

মিঃ আতিক বলেছেন: জানি আমার মত ক্ষুদ্র মানুষের লেখায় কিছু আসে যায় না।
কি বলেন এসব?
আপনার লেখার মান অনেক ভালো, আমাদের সবার চেষ্টায় অবশ্যই ভালো কিছু হবে।

১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনার মহৎ মননের প্রতি শ্রদ্ধা রইল! আসলেই আমি অনেক ক্ষুদ্র!বিশ্বের এই দানবীয় শোষনের ব্ল্যাকহোলের কাছে আমরা সবাই ক্ষুদ্র!

২৭| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ব্লগে আপনার কবিতা কবে পাচ্ছি ??

১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:৫৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
দিয়েছি! সময় হলে পড়ে দেখতে পারেন। কবিতার নাম "বার্ন ইন হেল"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.