নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার শেষ নেই...

ভ্রমরের ডানা

ভালো থাকুক কবিতাগুলো ...

ভ্রমরের ডানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীলাম্বরী - ২

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৩





আমার বক্ষপটে যে পূর্ণিমা লুকোনো
ধূসরিত মেঘ কোলে চন্দ্র নিবেদন~
দুর্গম দুর্গ পেরিয়ে সাধনার ধন,
বেজে উঠে তার আপনালয়ে
পবিত্র প্রেম স্পন্দন|
সুরালোক হতে আপনা হৃদয় মাঝে
থেকে থেকে যার সুর ঝংকার বাজে;
তোমার আমার মর্মতলে
সখি; চকিত সুখ শিহরণ;
প্রথম ঊষার পুষ্পকলি
সখি, নীল অপরাজিতায় নিবারণ!

এসেছ যখন শ্রাবণ-জোৎস্না-রাতে;
কত অপরাজিতা ফোটে তোমার দুটিহাতে ~
সমুদ্রজলে বাতাস বহে বেগে;
চঞ্চলিয়া ঝিলিক মারে মেঘে,
অঝোর ধারায় নামলে বাদল ধারা;
কুঞ্জবনে তুমি আমি দিশেহারা,
নয়নে আমার সজল নীল অঞ্জন~
সখি চকিত সুখ শিহরণ;
সখি; নীল অপরাজিতায় নিবারণ|

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৭

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন:
কবিতা পাঠে মুগ্ধ হলাম।

শুভকামনা জানবেন কবি।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:





প্রথম মন্তব্যেই অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে গেলেন! কবিতার অনুভবে প্রীতি ও শুভেচ্ছা কবি! আমার লেখায় এই প্রথম হয়ত আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি পেলাম! কৃতজ্ঞতা জানবেন!

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২১

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার লাগল।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


কাব্যানুভবে ধন্যবাদ সুমন ভাই! অশেষ শুভকামনা রইল!



পুনশ্চঃ আপনার কবিতাটি বেশ ভাল লেগেছে! ছবিটিও চমৎকার লাগল!

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

জুন বলেছেন: এবারের কবিতাটি বেশি ভালোলাগলো ভ্রমরের ডানা ।
সমুদ্রজলে বাতাস বহে বেগে;
চঞ্চলিয়া ঝিলিক মারে মেঘে;
কেমন এক রাবীন্দ্রিক সুরের মূর্ছনা ।
ভালোলাগা রইলো ।
+

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় জুন আপু, রবীন্দ্র প্রভাব অস্বীকার করছি না! আমার বিশ্বাস, কাব্য প্রেরণার প্রাণপুরুষ রবীবাবু প্রতিটি কবি মনেই রয়েছেন! বেরিয়ে আসবেই!


কবিতার মন্তব্য ঘরে যে মন্তব্যটি করে গেলেন তাতে অনুপ্রেরণা পেলাম, শক্তি পেলাম।আর আপনি যে সময় করে আমার কবিতা পড়েন এটাই অনেক বড় অনুপ্রেরণা আমার জন্যে! অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আপু! অনেক ভাল থাকুন! শুভকামনা নিরন্তর!

৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারণ একটি কবিতা।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:





শ্রদ্ধেয় গুণী লেখক গিউলি ভাই, আপনার প্রশংসাপত্র কবিতাটি স্বার্থক হল! কবিতার অনুভবে ভালবাসা জানবেন!

৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এ কবিতায় ভাল লাগার পারদটা বেশ উঁচুতেই থাকবে।

০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

সুপ্রিয় সনেটকার,

আপনার ভাল লাগার পারদ বেশ উঁচুতে পেয়ে ধন্য হলাম। কবিতার অনুভবে যে উপহার দিয়ে গেলেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা! শুভেচ্ছা অফুরান! আল্লাহ্‌ মেহেরবান!

৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আহ, কবি অসাধারণ লিখেছেন ++++

বেশ মন মুগ্ধকর।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


কবিতার অনুভবে ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো! "কবি" হতে পারিনি এখনো! প্রচেষ্টা চলছে! প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল! ভাল থাকুন, পাশেই আছি!

৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন +

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:





আজ কদিন হল রবীবাবু ভর করে আছেন! মাথা থেকে নামছেন না! :P কি যে মুসিবত ভাই! তাই ঝেড়ে দিলাম!


সুন্দর অনুভবে শুভেচ্ছা জনপ্রিয় ব্লগার!!

৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আচ্ছা, পরে পড়ে আবার আপনার কবিতা পড়ে গবেষণা করবো ........ ;) অজ্ঞত কারণে, এখন একটু মাথা গরম আছে । :(

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ঘুম দিন! ঘুমোলে স্নায়ুকোষ বিশ্রাম পায়। পরদিন আরাম পাওয়া যায়! ঘুম একটা নিয়ামত!

৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৭

অর্ক বলেছেন: অসাধারণ! খুব উঁচু মানের কবিতা, কয়েকবার পড়ে আত্মস্থ করলাম। এখনও হয়তো বোঝার কিঞ্চিত বাকি রয়ে গেছে। কবিতাপাঠে মুগ্ধ হলাম। আন্তরিক অভিবাদন গ্রহণ করুন কবি।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ২:০২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


অর্ক,আমি ঠিক কবি নই। প্রো ভার্শন বলা যায়। এই কবিতাটি একটি প্রোটোটাইপ! নিজস্বতা শুধু ধারণ করা! কবিতাটি সময় করে পাঠে ধন্য করে গেলেন! হৃদয় নিংড়ানো প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন! ভালথাকুন অনন্তর!

১০| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: হুমম, ঘুম দিবো । সুখের কাপাল কি সবার থাকে ; একটু হাতে কাজ আছে, তা চলছে এবং ব্লগিং করছি...


আবারও আপনার কবিতায় সমুদ্রজলের ফোঁটার সন্ধান পেলাম ।খুব ভালো লাগলো ।। B-)

আবারও সময় করে জল কাব্য লিখুন ।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ২:০৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


নিজের পুরোনো কবিতা পড়ুন। নিজেকে জানতে সাহায্য করবে! কবিতায় সমুদ্র জলের আভাষ রয়েছে তবে রবী বাবুও তাতে কম রঙ মেশান নি! উনিও আছেন!


বৃষ্টি এলো বলে! জল কাব্য লেখা হবে। কিছুদিন পড়েই আসছে! শুভকামনা সুপ্রিয় কবি! শুভ রাত্রি!

১১| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ২:১৫

ওমেরা বলেছেন: সবাই তো খুব ভাল বল্ল আমি যে কি বলব চিন্তা করতে হবে পরে বলব ।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



আচ্ছা আপনি চিন্তা করেই ভাল মন্দ জানিয়েন। আপনার চিন্তাশীল মন্তব্যের অপেক্ষায় ওমেরা! ভুল কিছু পেলে ছাড়বেন না প্লিজ!


কবিতা পাঠে ও অনুভবে অশেষ শুভকামনা!

১২| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:১২

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:

আমার বক্ষপটে যে পূর্ণিমা লুকোনো
ধূসরিত মেঘ কোলে চন্দ্র নিবেদন~
দুর্গম দুর্গ পেরিয়ে সাধনার ধন,
বেজে উঠে তার আপনালয়ে
পবিত্র প্রেম স্পন্দন|


সুন্দর সাবলিল। কবিতায় ++

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


বাবু ভাই, আপনাকে কবিতায় পেয়ে ভাল লাগছে! কবিতার মাধ্যমে সত্যি যদি আপনাদের কিছু দিতে পারি এতেই কাব্যের স্বার্থকতা!


কবিতার অনুভবে অশেষ কৃতজ্ঞতা! ভাল থাকুন অনন্তর!

১৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কবিতা ভাল লেগেছে ভাই।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম! কবিতা পাঠে ও মন্তব্যে অশেষ প্রীতি ও শুভকামনা!

১৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,






ভালোই হয়েছিলো । তবে এমন সুন্দর কবিতায় --
" এসেছ যখন চৈত্রজ্যোৎস্নারাতে
কত অপরাজিতা ফোটে তোমার পদাঘাতে~
এই পদাঘাতে শব্দটি অমন পরিবেশের সাথে বেমানান মনে হলো ।

কবির স্বাধীনতা আছে জেনেও বলি, ওখানটা নীচের মতো করলে ভালো হতো কি ?
"এসেছ যখন চৈত্রজ্যোৎস্নারাতে
কত অপরাজিতা ফোটে তোমার পদ্মকলি হাতে~"

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
শ্রদ্ধেয়,
ফুল গাছতলায় ফুল তো মাটিতে বিছানো থাকে। তার কোমল পায়ের পরশে সে ফুল যেন আবার জেগে ওঠে! পদাঘাতে ফোটে ওঠে!
তবে আপনি যা সংশোধনটি দিয়েছেন সেটিও বেশ চমৎকার। মানিয়েছে বেশ। ঠিক আছে কবিতায় জুড়ে দিচ্ছি!


কাব্য ভেলায় অনেক কিছুই শেখার আছে। অগ্রজরা অনুজদের শেখাবেন। আমরা শিখব এই তো কাম্য। আপনার মুল্যবান মন্তব্যে ও অনুভবে লেখাটিতে প্রাঞ্জলতা এল! শুভকামনা নিরন্তর শ্রদ্ধেয়!!!

১৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আবারও একটা ভুল হয়ে গেছে!!
গতকাল রাতে একটা লেখা পোষ্ট করেছিলাম। তারপর সকালে আরেকটা লেখা পোষ্ট করেছি। কিন্তু আমি জানতাম না- আমার আরেকটা পোষ্ট প্রথম পাতায় আছে। (যেটা রাতে পোষ্পট করেছিলাম) আমি ভেবে ছিলাম সামুতে তো একটা লেখা প্রথম পাতায় বেশিক্ষন থাকে না। রাতের পোষ্ট তো আর সকাল পর্যন্ত থাকবে না।
সামু মেইল দিয়েছে। এবং আমাকে ''জেনারেল'' করেছে। আমি মেইলে তাদের জানিয়েছি- এটা ইচ্ছাকৃত ভুল না। খুব করে স্যরি বলেছি।

এখন আমি কি করবো?

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আমার মতো নাদান ব্লগারের কাছে এ কি প্রশ্ন? স্যার আপনি বরং অপেক্ষা করুন। সামু আপনাকে হয়ত কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার সেফ করবে! সে আশাই করছি! আপনি একজন নিরীহ ও লড়াকু ব্লগার! আপনার কষ্ট সামু বুঝলে আমরা উপকৃত হব!

১৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,





ধন্যবাদ প্রতি মন্তব্যের জন্যে ।
মাটিতে থাকে বলে পায়ের আঘাতে ফুল কেন, কিছুই ফোটেনা । ফোটে পায়ের স্পর্শে, পদাঘাতে নয় । পদাঘাত শব্দে ভাঙনের কথাই বোঝায় ।
শুভেচ্ছান্তে ।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:





সুপ্রিয় জীএস ভাই, আপনাকে শেখানোর মত ধৃষ্ঠতা দেখানোর মত সাহস নেই। শুধু বলি রবী বাবু তার ক্ষণিকা কাব্যগ্রন্থের সেকাল কবিতার প্রথম চারটি লাইনে বলেছিলেন-


অশোক-কুঞ্জ উঠত ফুটে
প্রিয়ার পদাঘাতে,
বকুল হত ফুল্ল প্রিয়ার
মুখের মদিরাতে।


আর কিছু রেফারেন্স হিসেবে মনে পড়ছে না! তবে আপনার চিন্তাও সঠিক মনে হচ্ছে! কি বিভ্রান্তি বলুন তো! কাব্যটি আমার হস্ত পাদুকা বিভ্রাটে পড়ে গেল! চিন্তার বিষয়!


আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা! ধন্যবাদান্তে!!

১৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

শূন্যনীড় বলেছেন: ভালো লাগা রইল, মুগ্ধ হয়েছি কবিতা পড়ে ++++

০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:০৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




আপনার মুগ্ধতাটুকুন আমার কাব্য প্রেরণা হয়ে রইল! ধন্যবাদ শূন্যনীড়!

১৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর কথামালা গেঁথে রেখেছেন কবিতায়। মুগ্ধকর।

সখী, নীল অপরাজিতায় নিবারণ! ' কথাটি খুব আকর্ষিত করলো।

শুভকামনা জানবেন সবসময়।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ধন্যবাদ নাঈম ভাই! আপনার মন্তব্য-ঘরে অনুপ্রেরণা খুঁজে পেলাম! কবিতায় কিছু খুঁজে পেয়েছেন দেখে আনন্দিত হয়েছি! প্রীতি ও ভালবাসা জানবেন সবসময়!

১৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০০

কাছের-মানুষ বলেছেন: মনমুগ্ধকর কবিতা।
সাবলীল এবং সুস্বাদু হয়েছে ভ্রমরের ডানা।
ভালা লাগা রইল।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




সুস্বাদু হবেনা কাছের মানুষ, তামাম রবীন্দ্র মশলাদি এতে ব্যবহৃত হয়েছে!!! কবিতায় আপনার স্তুতিবাক্য পাঠে আমি ধন্য হলাম। শুভেচ্ছা নিরন্তর! ভাল থাকুন সবসময়!

২০| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

জীবন সাগর বলেছেন: অনেক সুন্দর কবিতা, মুগ্ধকর কথামালায় সাজানো। +++++

০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:





আপনার অনুভবে কবিতাখানি সিক্ত হল! কবিতার সুগভীর অনুভবে আন্তরিক ভালবাসা রইল জীবন সাগর!

২১| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২৮

রাতু০১ বলেছেন: সুন্দর মুগ্ধতা।শুভকামনা

০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




নীলাম্বরী - ২ কবিতার প্রতি আপনার ভালবাসায় আমি ধন্য হলাম!

অনুভবে ধন্যবাদ রাতু০১ ভাল থাকুন সবসময়!

২২| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কবিতা মনোমুগ্ধকর

শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল আপি

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



ধন্যবাদ আপু! প্রশংসা পেয়ে খুব খুশি লাগছে! আর আমি ভাইয়ু আপি নই :P :P

২৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

জাহিদ হাসান বলেছেন: ভালো লাগল। লাইক দিলাম।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:২৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


কবিতা পাঠে ও মন্তব্যে অনেক কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন সবসময়!

২৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,




সুন্দর ব্যাখ্যা সহকারে করা প্রতি মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । অনুগ্রহ করে আমার এই বিশ্লেষণটুকুও পাশাপাশি ভেবে দেখতে পারেন-----

সেকাল কবিতার ভাবটুকু খেয়াল করুন । চটুলতায় ভরা । কালিদাসের কালটাকে অনেকটা বিদ্রুপাত্মক ভাবে তুলে ধরেছেন রবীন্দ্রনাথ ( আক্ষেপ থেকে :#) । কালিদাসের কালে অপ্সরারা হুমড়ি খেয়ে পড়তো মর্তে আর তাতে সেজে উঠতো প্রকৃতি । অথচ রবীন্দ্রকালে অমন অপ্সরাদের আকাল ছিল । হণ্যে হয়ে খুঁজতে হতো B-)
সে আক্ষেপেই কবিতার প্রথম লাইটিই এই রকম --
“ আমি যদি জন্ম নিতেম কালিদাসের কালে...”

সেজন্যেই বারেবারে বলেছেন - কালীদাসের কালে.....
এছাড়াও সেকাল কবিতাটির গা জুড়ে আছে এমন এমন লাইনগুলি --
“ চিন্তা দিতাম জলাঞ্জলি, থাকতো নাকো ত্বরা ...”
“ কুরুবকের পরত চূড়া....... লীলাকমল রইতো হাতে কী জানি কোন কাজে । “
“ জল সেচিত আলবালে তরুণ সহকারে
প্রিয় নামটি শিখিয়ে দিত সাধের সারিকারে । “

আর আপনার উদ্ধৃত ছত্রের এই লাইনটি -
“প্রিয়সখির নামগুলো সব ছন্দ ভরি করিত রব ....”

এ সবই কিন্তু চটুলতা, চপলতায় ভরা । সেখানে কোনও প্রেম নেই । তাই প্রিয়ার পদস্পর্শের বদলে উনি লিখেছেন - পদাঘাতে ।
আপনার কবিতাটিতো প্রেমসুধায় ভরপুর তাই ওখানে পদাঘাত হবে কেন ?

আর রবীন্দ্রনাথের ভুল ধরা যাবেনা এমন কথা আছে কি কোথাও লেখা ? :( :((

শুভেচ্ছান্তে ।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

জী এস ভাই, আমি একজন রবীন্দ্র প্রেমী মানুষ! আমার মত যারা আছেন আপনার এই কথার তেব্র :-B :-B নিন্দা জানাই! কি বলেন এসব! :P


আপনার লজিকের বাণে কাত হয়ে এলুম :P :P রবীবাবুর ক্যারিয়ার শেষ B-)) B-))


আপনার এই বিশ্লেষণ পেয়ে আমি সুন্দরবনে হারিয়ে গেলুম! :P :P


ধন্যবাদ সুপ্রিয় কবি!

২৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪১

নীলপরি বলেছেন: সখি চকিত সুখ শিহরণ;
সখি; নীল অপরাজিতায় নিবারণ|


অপূর্ব লাগলো । ++++

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ধন্যবাদ নীলপরী! প্লাসে কৃতজ্ঞতা! কবিতার অনুভবে ভালবাসা জানবেন!

২৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৯

মেটাফেজ বলেছেন: এই ছবিটা কার?

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কে জানে বাপু? আপনার পরিচিত কেউ কি। দেখুন তো বদনখানা!

২৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: কবিতা হেলমেটের উপ্রে দিয়া গেছে !

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আমি কিন্তু বাউন্সার দেই নি! হাফভলি বলে এমন চিৎপটাং হলে হবে কি করে?? :P :P




(পুনশ্চঃ Still now I miss the profile pic Mr. Dildar)

২৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ধুর্মিয়া !
শুভ রাত্রি :P

০৩ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



মজা নিয়া নিয়া ইয়ার্কি মারেন না :P :P এডওয়ার্ড ভাই আপনার মায়ায় পড়ে গেলাম! শুভেচ্ছা!



আবার আইসেন!

২৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,




আমার মন্তব্যের মূল আলোচনাটুকুতে স্থিত হোন । রবিঠাকুরকে নিয়ে করা রসটুকু বাদ দিন । রসটুকু করেছি আপনার বোঝার সুবিধার জন্যে যাতে সহজেই বুঝতে পারেন । সেকাল কবিতাটি আবার ভালো করে পড়ুন । প্রথম লাইনটি খেয়াল করুন । তাহলেই বুঝতে পারবেন কোন যুক্তিতে “পদাঘাত” শব্দটি ওখানে কেন ঠিক আছে । এবং রবীন্দ্রনাথ কেন ঐ শব্দটি ব্যবহার করেছেন ।

আমার কথার নিন্দা কেন জানাবেন ? তাহলে রবীন্দ্রনাথকে কি বলবেন যখন তিনি বলেন , মেঘনাদবধ কাব্য কোনও মহাকাব্যই নয় ?
তাঁর প্রবন্ধ “মেঘনাদবধ কাব্য’ থেকে কিছুটা ক্ষুদ্রাংশ তুলে দিচ্ছি রবীন্দ্রনাথকে নিন্দা জানানোর জন্যে ----

" কিন্তু আজকাল যাঁহারা মহাকবি হইতে প্রতিজ্ঞা করিয়া মহাকাব্য লেখেন তাঁহারা যুদ্ধকেই মহাকাব্যের প্রাণ বলিয়া জানিয়াছেন; রাশি রাশি খটমট শব্দ সংগ্রহ করিয়া একটা যুদ্ধের আয়োজন করিতে পারিলেই মহাকাব্য লিখিতে প্রবৃত্ত হন। পাঠকেরাও সেই যুদ্ধবর্ণনামাত্রকে মহাকাব্য বলিয়া সমাদর করেন। হয়ত কবি স্বয়ং শুনিলে বিস্মিত হইবেন, এমন আনাড়িও অনেক আছে যাহারা পলাশীর যুদ্ধকে মহাকাব্য বলিয়া থাকে।
হেমবাবুর বৃত্রসংহারকে আমরা এইরূপ নাম-মাত্র-মহাকাব্য শ্রেণীতে গণ্য করি না, কিন্তু মাইকেলের মেঘনাদবধকে আমরা তাহার অধিক আর কিছু বলিতে পারি না। মহাকাব্যের সর্ব্বত্রই কিছু আমরা কবিত্বের বিকাশ প্রত্যাশা করিতে পারি না। কারণ, আট-নয় সর্গ ধরিয়া, সাত-আট-শ পাতা ব্যাপিয়া প্রতিভার স্ফূর্ত্তি সমভাবে প্রস্ফুটিত হইতে পারেই না। এই জন্যই আমরা মহাকাব্যের সর্ব্বত্র চরিত্রবিকাশ, চরিত্রমহত্ত্ব দেখিতে চাই! মেঘনাদবধের অনেক স্থলেই হয়ত কবিত্ব আছে, কিন্তু কবিত্বগুলির মেরুদণ্ড কোথায়! কোন্‌ অটল অচলকে আশ্রয় করিয়া সেই কবিত্বগুলি দাঁড়াইয়া আছে! যে-একটি মহান্‌ চরিত্র মহাকাব্যের বিস্তীর্ণ রাজ্যের মধ্যস্থলে পর্ব্বতের ন্যায় উচ্চ হইয়া উঠে, যাহার শুভ্র তুষারললাটে সূর্য্যের কিরণ প্রতিফলিত হইতে থাকে, যাহার কোথাও বা কবিত্বের শ্যামল কানন, কোথাও বা অনুর্ব্বর বন্ধুর পাষাণস্তূপ, যাহার অন্তর্‌গূঢ় আগ্নেয় আন্দোলনে সমস্ত মহাকাব্যে ভূমিকম্প উপস্থিত হয়, সেই অভ্রভেদী বিরাট মূর্ত্তি মেঘনাদবধ কাব্যে কোথায়? কতকগুলি ঘটনাকে সুসজ্জিত করিয়া ছন্দোবন্ধে উপন্যাস লেখাকে মহাকাব্য কে বলিবে? মহাকাব্যে মহৎ চরিত্র দেখিতে চাই ও সেই মহৎ চরিত্রের একটি মহৎ কার্য্য মহৎ অনুষ্ঠান দেখিতে চাই।"

আবার এখানে -
"....মেঘনাদবধ কাব্যের পাত্রগণের চরিত্রে অনন্য-সাধারণতা নাই, অমরতা নাই। মেঘনাদবধের রাবণে অমরতা নাই, রামে অমরতা নাই, লক্ষ্ণণে অমরতা নাই, এমন-কি ইন্দ্রজিতেও অমরতা নাই। মেঘনাদবধ কাব্যের কোন পাত্র আমাদের সুখদুঃখের সহচর হইতে পারেন না, আমাদের কার্য্যের প্রবর্ত্তক নিবর্ত্তক হইতে পারেন না। কখনো কোন অবস্থায় মেঘনাদবধ কাব্যের পাত্রগণ আমাদের স্মরণপথে পড়িবে না। পদ্যকাব্যে যাইবার প্রয়োজন নাই -- চন্দ্রশেখর উপন্যাস দেখ। প্রতাপের চরিত্রে অমরতা আছে -- যখন মেঘনাদবধের রাবণ রাম লক্ষ্ণণ প্রভৃতিরা বিস্মৃতির চিরস্তব্ধ সমাধিভবনে শায়িত তখনো প্রতাপ চন্দ্রশেখর হৃদয়ে বিরাজ করিবে।"

আপনার মতো আমিও কিন্তু একজন ভালো রবীন্দ্র প্রেমী । "

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




শ্রদ্ধেয়, আপনার রসবোধের সাথে কিছুটা পরিচয় ছিল। তাই আমিও কিছুটা মজার ছলে মজা করে নিয়েছি :P
যাকগে, আসল কথায় আসি, গৌরচন্দ্রিকা থাক!

অশোক একটি চির হরিৎ ছোট আকারের গাছ। এই গাছটি নিয়ে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে বন্ধ্যা নারী অশোক গাছে পদাঘাত করলে সে গাছে ফুল ফোটে। বসন্ত এলে অশোক গাছ ফুলে ফুলে ছেয়ে যায়। গন্ধে ভরে যায় আশপাশ। নতুন ফোটা অশোক কমলা রঙের। বাসি ফুলের রং লাল। পরাগ কোষ গাঢ় লাল রঙের। অশোকের মঞ্জরি পিঁপড়ার প্রিয় আবাস। অশোক গাছে প্রায় সারা বছর ফুল ফোটে। কিন্তু ফুল ফোটার ঋতু বসন্ত। কথিত আছে যে, রাবন সীতাকে রাজপুরীর কাছে অশোক বনে বন্দি করে রাখে। অশোক গাছের নীচে বসেই সে অশ্রু বিসর্জন করে। আবার চৈত্র মাসের শুক্লাষষ্ঠীতে পুত্রবতী মায়েরা পুত্রের কল্যাণ কামনা করে অশোক ফুল দিয়ে পূজা করেন, একে অশোকষষ্ঠী বলে। পুত্রবিয়োগের শোক থেকে রক্ষা পেতে ছয়টি অশোক ফুল জলে ভিজিয়ে জলপান করেন হিন্দু নারীরা। অর্থাৎ রবী বাবু ধর্মীয়ভাবে ও প্রচলিত মিথের সমন্বয়ে পদাঘাতে ফুল ফোটানোর কথা বলতে ছেয়েছেন। সেকালে ধর্মের প্রভাব সমাজের সংস্কার ছিল। তিনি এর বাইরে ছিলেন না।

আর অশোক নিয়ে পুরাণ কাব্যে উচ্ছ্বাসের অন্ত নেই। সংস্কৃত কবিরা ভাবতেন, অশোক ফোটে লাস্যময়ী তরুণীদের পদস্পর্শে। দেবেন্দ্রনাথ সেন অশোকগুচ্ছ নামে কাব্যই রচনা করেছেন। এতে আছে, ‘হে অশোক, কোন রাঙ্গা চরণচুম্বনে মর্ম্মে মর্ম্মে শিহরিয়া হলি লালে লাল।’ আর তাই তো রবী বাবু লিখলেন, ‘আসতো তারা কুঞ্জবনে চৈত্র জ্যোৎস্নারাতে, অশোক শাখা উঠত ফুটে প্রিয়ার পদাঘাতে।’ আজকাল প্রিয়ার পদস্পর্শ পাক আর না-ই পাক, বসন্তের স্পর্শে রক্তিম হয়ে যায় অশোকের শাখা। তবে কবির সেকাল
কবিতার একটা বিষদ পটভূমি রয়েছে!


আধুনিক যুগে অপ্রচলিত তবে তবুও একথা বলা যায় যে বসন্ত যেমন প্রেমের ঋতু, তেমনি অশোকও প্রেমের ফুল। আর তাতে ফুল ফোটে সেই লাস্যময়ীর কাল্পনিক পদাঘাতে!

তিনি ভুল করেন নি শ্রদ্ধেয়! তিনি আমাদের কবি গুরু!! আর আপনি আমার মত নাদানের গুরু!!


ভুল হলে ক্ষমাগুণে দেখবেন!! আপনার স্নেহবঞ্চিত হতে চাই না!

শুভেচ্ছান্তে!

৩০| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

হৃদয়ের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে ছুয়ে গেল কবিতার কথা

সুরালোক হতে আপনা হৃদয় মাঝে
থেকে থেকে যার সুর ঝংকার বাজে;
তোমার আমার মর্মতলে
সখি; চকিত সুখ শিহরণ;
প্রথম ঊষার পুষ্পকলি
সখি, নীল অপরাজিতায় নিবারণ!


অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

০৩ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



শ্রদ্ধেয় ডঃ আলী স্যার,

কবিতায় আপনার মুল্যবান অনুভব ও অনুভূত উক্তি শেয়ারে ধন্য করে গেলেন! আপনার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি! অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!

৩১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নীলাম্বরী -১ এর অপরাজিতা ফুলের ছবি ও নীলাম্বরী -২ এর কবিতা মন ছুঁয়ে গেছে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

নীলাম্বরীর অনুভবে ধন্যবাদ মাইদুল ভাই! প্রীতি ও ভালবাসা রইল!

৩২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনার সুন্দর মন্তব্য কাব্যনুপ্রেরণা হয়ে রইল। কবিতা অনুভবে অশেষ ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার!

৩৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,





পদাঘাত বলেই শব্দটা এখনও বেজেই যাচ্ছে । পদস্পর্শ হলে কোনও আওয়াজ হোতনা এতোক্ষন। যাই হোক আর একবার পদাঘাত করি -
বন্ধ্যা নারী মানেই অফুলি ও অফলবতী । এই ফুল-ফলের অভাবের দুঃখবোধ থেকে তার মনে যে ক্রোধ তৈরী হবে তা থেকে তার ইচ্ছে করবে পৃথিবীটাকে শুধু পদাঘাতে পদাঘাতে বিদীর্ণ করে দিতে । তাই অশোকের ফুল না ফুটলে বন্ধ্যা নারীর পদাঘাতকেই বেছে নেয়া হয় যদি সে আঘাতে প্রকৃতির খানিকটা হুশ হয় । যেমন পানির তেষ্টায় কাতর শিশু নবীপূত্রের পায়ের আঘাতে আঘাতে পবিত্র জমজম কূয়োর সৃষ্টি । প্রেক্ষিত বুঝতে হবে । 8-|

আবার কবি তো বলেছেনই - আধ মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা । :-P

তাই পৌরানিক জমানায় ঐ আঘাতের তন্ত্রমন্ত্র দিয়েই অশোকের মুখে হাসি ফোটানো হতো । তন্ত্রেমন্ত্রে কখনও আদর-আহ্লাদের স্পর্শ দিতে দেখেছেন ? নাকে মরিচ পোড়া, ঝাড়ুর বারি ইত্যাদি আঘাত করা হয় । বিষ দিয়ে বিষ ক্ষয়, আর -কি !! এই রকম যে ফুল ভালোবাসায় ফোটেনা তেমন ফুলকে ফোটাতে পদাঘাতই লাগে ।

আর রবিঠাকুর মশাই ভুল করেন নি । প্রেক্ষিত বিবেচনায় পারষ্পারিক সঙ্গতি রেখেই সঠিক শব্দটি বসিয়েছেন । ঠাকুর মশাই জানেন , কোন পুজোয় কোন মন্ত্র আওড়াতে হয় । :|
কিন্তু প্রেমপুজোর ফুল ফোটাতে পদস্পর্শ লাগবেই । পদাঘাতে মরে যাবে ।

আর দেখুন, এই আঘাতের কারনেই কিন্তু আমরা সাহিত্য কথার অনেক ফুল ইতিমধ্যে ফুটিয়ে ফেলেছি । সুতরাং - জয়তু পদাঘাত ! :-0

যাক , আঘাত নিয়ে অনেক হলো এবার কোমল স্পর্শ দিয়ে যাই - অনেক জানা হলো আপনার কাছ থেকে, ভালো লাগলো খুব । এটা একটা অর্জন । অন্তত আমার কাছে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:






আপনার যুক্তি যথার্থ! অনেক কিছুই এই শব্দের খেলায় আমার জানা হল! শব্দের কোমলতা ও কঠোরতা কাব্যে এক ধুম্রজাল বিছিয়ে দেয়। আর তাই লেখাটির গবেষণা হলেই শুধু মাত্র সেই ধুম্রজাল থেকে মূল ইতিহাস বেরিয়ে আসতে পারে আমার! শব্দের ব্যবহারে আরো অধিক সচেতন হতে হবে। কবিতার মধ্যে কত ইতিহাস, কত কি যে লুকিয়ে তাই তো কবিতা ভালবাসি।যাকগে,এত্তক্ষণ কবিতার ভাষা শব্দ অর্থ নিয়ে বেহুদা বকবক করলাম আমি। সেগুলোতে কান দিবেন না। আর আমার কাছে কিছুই জানার নেই! আমি তেমন কিছু জানিনা!

আপনার চমৎকার মন্তব্যটি আমাকে ভবিতব্য কাব্য লেখায় আরো লজিকাল হতে সাহায্য করবে! অনেক কথায় অনেক কিছুই শেখা হল আপনার কাছে। এটাই আমার কাছে আশীর্বচনযুক্ত কাব্যপ্রেরণা হয়ে রইল!

ভাল থাকুন শ্রদ্ধেয়!!! শুভেচ্ছা নিরন্তর!!!

৩৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: চমৎকার! শব্দের ঝঙ্কার।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


কবিতার অনুভবে আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.