নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার শেষ নেই...

ভ্রমরের ডানা

ভালো থাকুক কবিতাগুলো ...

ভ্রমরের ডানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউ - ৩ - তিতাস একটি নদীর নাম

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০৯




আজকাল অনেক মুভি দেখি। হলিউড, বলিউড, ঢালিউড, টালিউড কোরিয়ান, তামিল ইত্যাদি। কিন্তু কেন যেন কিছু একটা মন খুঁজেছিল কিন্তু চোখ খুঁজে পায়নি। রংগিলা নতুন নতুন এইচডি প্রিন্ট, ব্লু রে হাই রেজুলেশন কিসের কি, ভরছিল না মন। তখন খুঁজে পেলাম "তিতাস একটি নদীর নাম"। সাদাকালো সাদামাটা ছবি। নদীমাতৃক বাংলার নদীর তীরের গ্রাম গঞ্জের লড়াকু মানুষের জীবন সংগ্রাম, প্রেম, বিরহ, বিচ্ছেদ, হাহাকার, পারিবারিক বন্ধন, বন্ধুত্ব সব কিছুই যেন মাটির মায়ায় বাধা এক অপূর্ব মিতালি যা মন চেয়েছে। কেনো আরো আগে দেখা হল না এই বলে মুভিটি দেখার পরে দর্শকের আফসোস হতে পারে যদি তিনি আগে না দেখে থাকেন। আর যারা দেখেছেন তাদের কাছে এই রিভিউ নস্যি তবে নস্টালজিক হতে পারেন। আর যারা একটু দেখে আর দেখেননি, বস আপনি মিস করেছেন। কেউ যদি গ্রাম ভালবাসেন, নদী ভালবাসেন, মানুষের দুঃখ কষ্টে নিজে ব্যাথিত হন তবে এই মুভিটি অবশ্যই র‍্যাংকিং এর প্রথম দিকের স্থানে রাখতে বাধ্য হবেন।


খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের পরিচালনায় ১৯৭৩ সালে মুভিটি মুক্তি পায়। মূলচরিত্রে কিশোর নামে প্রবীর মিত্র যিনি একজন পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, রাজারঝি চরিত্রে কবরী যিনি কিশোরে বঊ, বাসন্তী চরিত্রে রোজী আফসারী, তিলকচাদ চরিত্রে স্বয়ং ঋত্তিক ঘটক এছাড়াও গোলাম মোস্তফা, রওশন জামিল প্রমুখ অভিনয় করেছেন।
সংগীত পরিচালনায় রয়েছেন ওস্তাদ বাহাদুর খাঁ।




অদ্বৈত মল্লবর্মণের তিতাস একটি নদীর নাম শীর্ষক উপন্যাসের কাহিনীর সাথে মুভিটির মিল পঞ্চাশ ভাগের মত মনে হল। চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য ধারা বজায় রাখতে সাহিত্যভিত্তিক চলচ্চিত্রে এমনটা হয়েই থাকে। সে যাই হোক অদ্বৈত মল্লবর্মণ এর নিজের ভাষায় “তিতাস একটি নদীর নাম। তার কূলজোড়া জল, বুকভরা ঢেউ, প্রাণভরা উচ্ছ্বাস। স্বপ্নের ছন্দে সে বহিয়া যায়। ভোরের হাওয়ায় তার তন্দ্রা ভাঙ্গে, দিনের সূর্য তাকে তাতায়, রাতের চাঁদ ও তারারা তাকে ঘুম পাড়াইতে বসে, কিন্তু পারে না।…তিতাস শাহী মেজাজে চলে।” চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটক বারবার সেলুলয়েড পর্দায় তেমনি ভাবগাম্ভীর্য এনেছেন। এতেই মুভিটির স্বার্থকতা। স্বীকৃতি আমি দিচ্ছি না, ২০০৭ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউটের এক জরীপে দর্শক, চলচ্চিত্র সমালোচকদের ভোটে এটি সবার সেরা ১০টি বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের তালিকার মধ্যে শীর্ষস্থান লাভ করেছে।



মুভিটি মূলত কয়েকটি খন্ডে বিভক্ত। প্রথম অংশে দেখা যায়, কিশোরী বাসন্তী (কবরী) বিয়ের বয়স হতে থাকে। বড় হতে থাকে । সে তিতাস পাড়ে অপেক্ষায় থাকে খেলার সাথী কিশোর চন্দ্র আর সুবলের জন্য। ওদিকে কিশোর আর বন্ধু সুবল এক সময় বড় হয়ে দূর নদীতে জাল বাইতে যায়। তিতাস পাড়ের গ্রামে মালোদের দোল এর সময় এক ঝামেলায় সহযোগিতার জন্য ওরা মারামরিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে মোড়লদের ঘরের এক মেয়ে রাজারঝি অজ্ঞান হয়ে যায়। এক আক্রমণকারী রাজারঝিকে আক্রমণ করলে কিশোর তাকে রক্ষা করে। এতে মোড়ল খুশি হয়ে রাজারঝির সাথে সাহসী কিশোরের বিয়ে দেয়। যে দিন বউকে নিজ গাঁয়ে নিয়ে যাবে, রাতে ডাকাতেরা নতুন বউকে চুরির চেষ্টা করে। নতুন বউ পানিতে ঝাপ দিয়ে নিজেকে রক্ষা করে। কিন্তু কিশোর রাতের আঁধারে তা দেখতে পায় না। এই ঘটনায় কিশোর পাগল হয়ে যায়। আর নতুন বউ নদীতে ভেসে যায়। এরপরের ঘটনা চরম নাটকীয়তা মোড় নেয়। আবহমান গ্রাম বাংলার দারিদ্র্য ও শোকেজর্জর এক জনপদের বাস্তবিক দলিল চোখের সামনে মুহুর্মুহু আনন্দ বেদনায় দর্শককে নিয়ে চলে সেই তিতাসের পাড়ে। চরিত্রগুলোর অভিনয় নৈপুন্য, আবহ সংগীত, কলাকুশলীদের অসাধারণ দক্ষতা পরিচালকের ক্ষুরধার মেধার স্বাক্ষর তিতাস একটি নদীর নাম চলচ্চিত্রটি।




কাজলভরা চোখের সদ্যবিবাহিত বঊ হারিয়ে কিশোর ( প্রবীর মিত্র) পাগল হয়ে যায়। পরবর্তীতে তার বঊ বেঁচে গর্ভের সন্তান সমেত তার গ্রামে ফিরে আসে। কিন্তু কি নির্মম প্রহসন কিশোর তাকে চিনতে পারে না। দশ বছর পরে ছেলে অনন্ত সহ ফিরে আসা রাজারঝি আপন পরিচয় গোপন করে যাতে ডাকাতের হাত থেকে ফিরে আসা বঊকে কেউ ক্ষতির কারণ না মনে করে।


বিধবা বাসন্তীর সাথে রাজারঝির বন্ধুত্ব



রাজারঝির অন্ন বস্ত্রাদির অভাবে পাশে এসে দাঁড়ায় বাসন্তি। সইয়ের ছেলেকে আপন করে বড় করতে থাকে। আর চোখের সামনে থাকা পাগলের কর্ম দেখে রাজারঝি তাকে পিঠা বানিয়ে খাওয়ায়। পাগল তবুও তার নিজ ঘরণীকে চিনতে পারে না। এমন করে একসময় পাগল তাকে চিনতে পারে। কিন্তু ঠিক তার পরেই তাকে তার স্ত্রীকে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হয়।ছেলে অনন্ত বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়। মায়ের মুখ খুঁজে মালোপাড়ার প্রতিমায়। ঘরভাঙা পাখির মত নদীর পাড়ে রাজারঝি কিশোর অনন্ত বাসন্তীরা এভাবেই ছটফট করতে থাকে! এখানে যেন প্রাণ এই আছে, এই তো নেই!




পুনশ্চঃ
অদ্বৈত মল্ল বর্মনের অবিস্মরণীয় উপন্যাস ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ তিতাস পাড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাট এলাকার মৎসীজীবী সম্প্রদায়ের যাপিত জীবন যার উপজীব্য। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড সিনেমা ফাউন্ডেশন তাদের আর্কাইভে সংরক্ষণ করেছে ঋত্বিক কুমার ঘটকের কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘তিতাস একটি নদীর নাম" চলচ্চিত্রটি।

মুভি লিংকঃ https://youtu.be/aRs_Md0yHoo

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো হল আপনার রিভিউ পেয়ে। সিনেমার নাম শুনেছি মনে হচ্ছে আগেও কিন্তু এখনও দেখা হয়নি। আপনার রিভিউ পড়ে দেখার আগ্রহ তীব্র হলো ভাই, এখন মনে হচ্ছে দেখবোই একবার ছবিটি।

শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



যথেষ্ট গুরুত্ববহ মুভি। দেখলে অনেক কিছুই জানা যাবে। কাহিনীর উত্থান পতন বুঝতে একটু বেগ পেতে হবে তবে ধৈর্য ধরে দেখলে অবশ্যই ভাল লাগা কাজ করবে। দেখা হলে অনুভূতি জানিয়েন!


ধন্যবাদ!

২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: দেখে আবার ভুলেও গিয়েছিলাম।। আজ রিভিও পড়ে, স্মৃতি হাতরাচ্ছি।।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


নদী কূলের কাহিনী গুলো খুব টানে। কিসের যে মায়া তাই জানি না!

৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: পোষ্টটা আর একটু আগে দিলে আবার মুভিটা দেখা যেত। আজকে একটা মুভি দেখার খুব ইচ্ছে ছিল । :(

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:০২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কালকে দেখুন সময় করে। যদি ইচ্ছে হয় আরকি। আমার দেখা সেরা দশটি মুভির একটি। আমি কিছুদিন আগে দেখেছি মাত্র। আফসোস করেছি খুব কেন আগে দেখিনি!



ভাল থাকুন। শুভকামনা!!

৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:১৩

ওমেরা বলেছেন: আপনার রিভিউ পড়ে ভাল লেগেছে তবে আমি মুভি তেমন একটা দেখি। না ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

মন্তব্যে আপনাকে ধন্যবাদ।মুভি দেখুন।জানার জন্য হবে অনেক কিছুই!

৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:৩৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাঙ্গালীর কাছে ভাল ছবি মানেই খাবার নাই,টাকা,নাই,জামা নাই,সীমাহীণ অভাব আর নোংরা দারিদ্র।পথের পাচালী,অশণি সংকেত,সূর্যদীঘল বাড়ি,ভাত দে-সব এই মার্কা ছবি।এর প্রবর্তক সত্যজিত রায়।
অথচ রুশ বিপ্লবের পর সোভিয়েট ইউনিয়েনের ৫০ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা হিয়েছিল।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানী,জাপান ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছিল। কিন্ত তারা কোনদিন নাই নাই মার্কা ছবি বানায়নি।বানিয়েছে দেশপ্রেম,বীরত্ব,বিপ্লবী চেতনা,মানবিক মূলবোধ অার সমস্ত সংকট থেকে মক্তির উপায় নিয়ে।
হাভাতে মনোভাবের কারণেই বাঙ্গালীর সমাজ,বা রাষ্ট্রের কোন পরিবর্তন হল না।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




জনাব, আপনার কথার লজিক বুঝেছি। আপনি সিনেমাতেও উন্নয়ন, জৌলুস ঝলকানি, উথালপাতাল দেশপ্রেম দেখতে চান।বাস্তবতা দেখতে চান না।অথচ এই সিনেমা গুলোই আমাদের অতীতের জীবন যাত্রার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। ঝড় বন্যা দুর্যোগের দেশ বাংলায় ৭০ এর দশকে মানুষের কাছে ক্ষুধা নিবারণ ছিল মুখ্য বিষয়। আমি ভেবে অবাক হই যে দেশী পরিস্থিতিতে আপনি বিদেশের উদাহরণ এনেছেন। রাশিয়া আর বাংলাদেশ এক প্রেক্ষাপট নয়। ওরা ফ্রি সেক্স কান্ট্রি। বঊ হারানোর শোকে পাগল ওদেশে হয় না। বাংগালি আবেগপ্রবণ জাতি। আবেগের টান, শেকড়ের টান অস্বীকার করে আপনি কোন আদর্শ সিনেমার কথা বলছেন? নাকি আবার বলিউড বা হলিউড এর প্রেতিনিধি আপনি?

৬| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:২১

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: সুন্দর রিভিউ। পোস্টে প্লাস। :)

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ধন্যবাদ আলভী শোভন। সিনেমাটির নির্মাণশৈলী বাস্তবতাকে ছুঁয়ে গেছে।

৭| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২৭

ইসমত বলেছেন: অনল চৌধুরীকে ধন্যবাদ।
দারিদ্রকে সম্মান করতে যেয়ে আমরা নিজেদের ধ্বংসের বন্দোব্যস্ত করেছি। শুধু নাই নাই নাই এ দৃষ্টি। কী আছে- সেদিকে চোখ যেতেই চায় না; যেতেও দেয় না।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৫০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনি বাংলার দারিদ্রসীমা অস্বীকার করলে বলব আপনি বাস্তবতা অস্বীকার করেন। সময়ের প্রেক্ষাপটে দারিদ্র্য কমেছে বটে তবে ইতিহাস আমাদের মিথ্যে নয়। সেলুলয়েডে বার বার তা উঠে এসেছে।


এখন তো উন্নয়ন হয়েছে বাংলা সিনেমার অবস্থা কি? ছাকিব খান আর ইয়াম্মা লাই লাই কুতুপুতু নায়িকার অনাবৃত.......

এগুলো আপনার আদর্শ হলে কিছু বলার নেই।

৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: ছবিটি দেখা হয়নি, রিভিউ পড়ে আগ্রহী হলাম ।

ভাল থাকুন সতত ।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ধন্যবাদ কানিজ ফাতেমা! দেখে ফেলুন। মন্দ লাগবে না।

৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

অনল চৌধুরী বলেছেন: আমি বাংলাদেশের ছবির কথা বলিনি,বলেছি রাশিয়া,জাপান,জার্মানী,ইটালীর ছবির কথা,যারা যুদ্ধে আরও বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।হাজার বছরের গোলাম বাঙ্গালীরা ছিচ-কাদুনে জাতি।
সাহিত্যেও হাহাকার,অভাব,নাই,নাই।ইলিয়াড,অডিসি,শাহনামা,শেক্সপিয়ার,গ্যালিভার ট্রাভেলস,এ্যালান কোয়ারর্টারমেইন,তালিসমান,দ্য ওল্ড ম্যান এ্যান্ড দ্য সি,মা,বেন-হার,স্পার্টাকাস,টারজান,জেমস বন্ড বা জুল ভার্নের মতো দেশপ্রেম,বীরত্ব,বিপ্লবী চেতনা,আনন্দ,অভিযান,বিজ্ঞানমনস্কতা নিয়ে কি কোন বাংলা উপন্যাস লেখা হয়েছে?বাংলা ছবিও হয়নি।আর্যবিরোধী দীর্ঘ লড়াই,তিতুমীর,সূর্যসেন,সাওতাল বিদ্রোহ,নাচোল আন্দোলন,ভাষা আন্দোলনের উপর একটা মানসম্মত সাহিত্য আছে?
হাহাকার বাঙ্গালীর বড়ই পছন্দ।তাই তো দেশ-জাতি সমাজের কোন পরিবর্তন নাই।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনার সাথে তর্ক করার মানেই নেই। আপনার পূর্বের কমেন্টে আপনি কি বলেছেন আর এই কমেন্টে কি লিখেছেন আগে পড়ুন। বাংলা ভাষায় অজস্র বই আছে এসব নিয়ে। আপনার কাছে যথেষ্ট মনে না হলে লেখুন। ব্লগে বা বই প্রকাশ করুন। আমরা পড়ে দেখব।

১০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: ১৯১৭ এর রাশিয়া সম্পর্কে অাপনি কতটুকু জানেন?ওইসময় ।এ্যামেরিকাও সেক্স ফ্রি ছিল না।লিভ টুগেদার ছিল চিন্তারও বাইরে।২০১৭ তে এসে ১৯১৭ কে বিচার করছেন কোন যুক্তিতে?
আগে আরও জানেন,তারপর লেখালেখি অার মন্তব্য করেন।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



কিসের মধ্যে কি? আমি সিনেমা নিয়ে পোষ্ট দিছি আর আপনি আসছেন রাশিয়া আম্রিকার সেক্স নিয়া। ওদের সমাজের কি অবস্থা ছিল ১৯১৭ সালে সেইটা আপনি খুইজা দেখুন। আমাকে পরামর্শ দেবার আগে নিজে আরেকটু ব্লগে সময় নেন। পারলে কিছু লেখে প্রমান করেন।আমাকে জ্ঞান দিতে আইসেন না। আপনার সাথে আর কথা বলতে চাচ্ছি না। ধন্যবাদ।

১১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

শায়মা বলেছেন: আমি আজ রাতেই দেখবো ! :)

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ধন্যবাদ আপু! দেখে জানিও কেমন লাগল!

১২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩

শোভন শামস বলেছেন: আপনার রিভিউ পড়ে ভাল লেগেছে

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ধন্যবাদ!শুভেচ্ছা রইল!

১৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১১

ফরহাদ কবির বলেছেন: রিভিউ চমটকার হয়েছে। তবে সিনেমাটি অনেক সুন্দর।

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আপনি যথার্থ বলেছেন। রিভিউ পাঠে ও মন্তব্যে ধন্যবাদ!

১৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৯

নীলপরি বলেছেন: রিভিউ ভালো লাগলো । দেখার ইচ্ছে রইলো ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

রিভিউ পড়ার জন্য ধন্যবাদ! দেখলে ভাল হবে।

১৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

সুমন কর বলেছেন: অনেক আগে দেখেছিলাম। আপনার রিভিউ পড়ে হালকা হালকা মনে পড়ল। রিভিউ চমৎকার হয়েছে।

আবার দেখবো। ডাউনলোড দিয়ে দিয়েছি।

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


ধন্যবাদ সুমন ভাই! মুতি রিভিউতে আপনাকে পেয়ে খুব ভাল লাগল!

১৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:০৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: অমি কি বলি,সেটা বুঝতে গেলে আগে আমার পর্যায়ে আসতে হবেঅআমার রেখা বইগুলি পড়ে দেখেন,কিছু বোঝেন কিনা।রকমারি ডট কম এ পাওয়া যাবে।সেক্স এর কথা আপনি আনসেন। নিজের লেখা পড়ে দেখেন।“রাশিয়া আর বাংলাদেশ এক প্রেক্ষাপট নয়। ওরা ফ্রি সেক্স কান্ট্রি। বঊ হারানোর শোকে পাগল ওদেশে হয় না। ”

যুক্তি-তর্ক বোঝেন না,অালোচনা করতে জানেন না,করতে যান কেন?অামি নিজে লেখক,সাংবাদিক,গবেষক সর্বোপরি ফিল্ম এ এম এ করা। চলচ্চিত্র সমালোচনা লিখে আমাকে ডিগ্রিটা নিতে হয়েছে।

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ওকে ভাল।

১৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৩:০৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: আর্যবিরোধী দীর্ঘ লড়াই,তিতুমীর,সূর্যসেন,সাওতাল বিদ্রোহ,নাচোল আন্দোলন,ভাষা আন্দোলনের উপর একটা মানসম্মত উপন্যাস বা চলচিত্রের নাম বলেন দেখি!!!!
আমি প্রবন্ধের কথা বলিনি,কারণ উপন্যাস আর সাহিত্য বেশী শক্তিশালী ও সাধারণ মানুষ এগুলির প্রতি বেশী আগ্রহী।

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আপনার সাথে আর কথা বলতে চাচ্ছি না। ধন্যবাদ।

১৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই ধরনের ছবি দেখতে আমার খুবই ভাল লাগে।
আজকাল যে সব ছবি তৈরী হয় তা দেখলে মনে অশান্তি ছাড়া কিছু হবে না।

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সেটাই!আপনাকে ধন্যবাদ!

১৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

সামিয়া বলেছেন: চমৎকার পোস্ট

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ধন্যবাদ! অনন্ত শুভেচ্ছা রইল!

২০| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: রাশিয়ান ছবি Battleship Potemkin,Ballad of a Soldier,They fought for for their motherland,Crains are flying,অার হলিউডের Birth of a nation,Ten Commendments,Ben-Hur,Spartacus,One million years B.C,Braveheart,Gladiator,http://www.somewhereinblog.net/blog/VromorerDana/30201325#nogoEpocalypto,Avatar,Mars Attacks,Hot Shot 1, 2 দেখেন।তাহরে বুঝবেন,চলচ্চিত্রে উদ্দেশ্য মানুষকে বাচতে শেখানো,নোংরা দারিদ্র-হাহাকার দেখানো অার হতাশ করা না।

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

রাশিয়ান গুলো দেখিনি তবে হলিউডগুলো দেখেছি। আর দেখেছি বলেই বলছি। বাংলা সিনেমার সেই ১৯৭২- ১৯৯৯ পর্যন্ত স্বর্ণযুগ ছিল।

এধরনের শত বাংলা ছবির নাম বলতে পারি-

নাচোলের রানী, জীবন থেকে নেওয়া, আরেক ফাল্গুন, ওরা এগার জন, আমার বন্ধু রাশেদ, গেরিলা, বাঘা বাংগালি, ধীরে বহ মেঘনা, জয়যাত্রা, চিৎকার, কলমিলতা, বাঁধনহারা, আলোর মিছিল, নদীর নাম মধুমতি, এখন অনেক রাত, আগুনের পরশ মনি, শ্যামল ছায়া ইত্যাদি।

আপনি চলচ্চিত্র নিয়ে সমালোচনা করে ডিগ্রি নিয়েছেন ভাল কথা, তাই বলে নিজের দেশের চলচ্চিত্র, ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে কি? চলচ্চিত্র শুধু বিনোদনের নয় অনেক কিছু জানার ও শেখবার বটে। আর যদি তা শেকড়বাকড় ফুটিয়ে তোলে তা যাই হোক বাংগালির মনে কড়া নাড়বেই। আপনি গ্লাডিয়েটরের কথা বলেছেন কিন্তু ইতালি তো আমার দেশ নয়, সিজার আমার কেউ না আর জেনারেল মেক্সিমাস আমার ইতিহাস নয়। আমার ইতিহাস বাংলার, আমার ইতিহাস স্বাধীনতারর আমার ইতিহাস মহান মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের মেয়েরা বিলকিস, কিশোরেরা রাশেদ আর যুবকেরা কমান্ডার খোকনদের অথবা ঢাকার গেরিলা বদি রূমির মত বীরদের মত হতে চাইবে!

আপনি আরেকটু ভাল করে সিনেমাগুলো দেখুন! তার মূলভাব বুঝুন!

২১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

সুবল চন্দ্র বর্মন বলেছেন: নাম শুনেছি উপন্যাসটির কেবল পড়িও নি, মুভিও দেখিনি। তবে এখন দেখব। ধন্যবাদ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

দেখুন। আপনার ভাল লাগবে! আপনাকে ধন্যবাদ!

২২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আজকে কি কোন আপনার কবিতা মুক্তি পাওয়ার সম্ভবনা আছে ?

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

কবিতা আজ আসছে না। বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে কিছু লেখছি।

২৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:১৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: চিরন্তন সাহিত্য বা চলচ্চিত্র নির্দিষ্ট কোন দেশ বা জাতির গন্ডিতে আবদ্ধ না।স্পার্টাকাস আর ব্রেভহার্ট-এর উইলিয়াম ওয়ালাসের মধ্যে আমি বাংলাদেশের অার সারা পৃথিবীর মুক্তিযোদ্ধাদের খুজে পাই,যারা নিজেদের সন্মান আর স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে।গ্ল্যাডিয়েটর এর বন্দী জেনারেল ম্যাক্সিমাসও সারা পৃথিবীর ক্রীতদাসদের মুক্তির প্রতীক,যেসব দেশের জনগণকে এ্যামেরিকা গোলাম বানিয়েছে।এসবই প্রতীকধর্মী চলচ্চিত্র।
চার্লস-ডায়নার লুচ্চামি-পরকিয়ার মধ্যে আমি নীতিহীনতা ছাড়া আর কিছু দেখিনা।

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:১৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনার এই কমেন্ট ভাল লাগল!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.