নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার শেষ নেই...

ভ্রমরের ডানা

ভালো থাকুক কবিতাগুলো ...

ভ্রমরের ডানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামতলায় মিসির আলী

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০০



আকাশের রঙ কিছুক্ষণ হল বদলেছে। ঘন মেঘ কোথায় যেন হারিয়ে চকচকে নীল মেঘ উপস্থিত, কে বলবে এই পাঁচ মিনিট আগে ঝরঝর করে নামা বৃষ্টি আশেপাশে সব ভিজিয়ে গেছে। অন্তত মেঘ দেখে তা বোঝার উপায় নেই। আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলেন মিসির আলী। এমন পরিবেশ তার খুব ভাল লাগে। প্রকৃতির সারপ্রাইজ খুব মিষ্টি হয়। মেয়েরা যেমন বিশেষ দিনে কিছু পেলে আনন্দে ফিন তুলে, এমন দিনে প্রকৃতির গিফট পেয়ে তার নাগিন ড্যান্স দিতে ইচ্ছে করছে। রাস্তায় বাচ্চাকাচ্চা ঘুরঘুর করছে। কিছু বাচ্চা কাদাভরা জলে জাম্পিং করছে। তিঁনি ভাবছেন এই অবস্থায় হিমু এদের পেলে পাছায় দুটো করে লাথি দিত। কারণ হিমুর লজিকে কাদায় যদি তার খালা জাম্পিং করে তবে সেটা তার কাছে হত মজার ব্যাপার বাচ্চাকাচ্চার নাচাকোঁদা মানে জীবানুর আক্রমণ । বাচ্চাকাচ্চার নাচাকুদো অবশ্য মিসির আলীর কাছেও আজ ভাল লাগছে না। তিনি এর কারণটা খুঁজছেন কিন্তু পাচ্ছেন না। এটা একটা আনসলভড কেস। যেখানে মজা পাওয়ার কথা সেখানে তিঁনি মজা পাচ্ছেন না। বিষয়টা অদ্ভুত। এখন তার মাথায় আর নাগিন ড্যান্স আসছে না। তিনি একটু বিরক্ত। কারণ একটু পরেই তিনি গম্ভীর হয়ে যাবেন। বাসায় ফিরে একটা কেস সলভ করতে হবে। সাইন্স ফাইন্স, লজিক ফজিক তার কাছে খাবারের মত। বাসায় বোতল ভূতের ছানা রহস্য তাকে ডাকছে। অবশ্য তিঁনি মনে করেন প্রকৃতির কোন রহস্য নেই। সব স্বচ্ছ জলের মত পরিষ্কার। প্রকৃতির কোলে এসব ভূত ফূত কেবল বোকা মানুষের পেটে আর মগজে ঘুরে। এটা ভেবেই তার আরও বিরক্ত লাগল। একবার তিনি ভাবলেন যেটা নেই তার আবার কি রহস্য। বোতল ভূতের যে রহস্য ছোটবেলার বন্ধু জাফর সাহেব তাকে দিয়েছেন তার কিনারা করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে তিনি বিশাল ভুল করেছেন। বোতলে কিছুই নেই। জাফর সাহেবের মতে এই ভূত কথা বলে প্রতি রাতে। আমগাছ জামগাছ তলার ভূত মনে হয়।

একবার জংগলে ক্যাম্প করতে গিয়ে শিকাগো ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মিস্টার মুলার ও তার বন্ধুরা ভূতের আগুন দেখেছিলেন। মিসির আলী তখন সেখানে থিসিস করছিলেন। খবরটা তার কানে যেতেই পড়িমরি করে তা্ঁর প্রফেসর মুলারের কাছে ছুটে যান। প্রফেসরের পালসটা ঘটনার তিন ঘন্টা পরও ঠিক হয়নি। মনোবিজ্ঞানের একজন বিশ্ববিখ্যাত প্রফেসরের ভূত দেখে অজ্ঞান হওয়া তিনি মেনে নিতে পারেন নি। ভূতের বিস্তারিত জেনে একাই তিনদিন সেই জংগলে অবস্থান করে রহস্যের কিনারা করেছিলেন। প্রফেসর আর তার সঙ্গীসাথীরা সেদিন লেকের পাড়ে জমা খালি প্লাস্টিকের বোতলে মিথেন গ্যাসের আগুন দেখে তাকে ভূতের আগুন দেখেছিলেন। বরফে এমন আগুন অনেকেই দেখে ভূত বলে ভুল করে। আর ঠান্ডা বরফে সেই আগুনের আভা বহুদূর প্রতিপ্রভা তৈরী করে আরো ভৌতিক করে তোলে । আর এসব দেখেই সেই বাঘা প্রফেসরও সেদিন বিলাই হতে বাধ্য হয়েছিল। কত রহস্য যে কত মানুষ কে তার নিজ ডেরায় বন্দি করে তার হিসেব নেই। বনে যখন রাত নেমে আসে তখন অনেক বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের মনেও কিছু খেলা করে। সেটা হয় অবিশ্বাসের ভূত নয়ত সত্যিকারের।

মিসির আলী সেদিনের কথা ভেবে তৃপ্তির একটা চুরুট ধরায়। আগে তার পছন্দ ফাইভ ফাইভ ফাইভ। কিন্তু এখন হাভানা থেকে ইম্পোর্ট করা চুরুট খাবেন। চুরুটগুলো মি. মুলারের উপঢৌকন। বা হাতে দেশালাইয়ে আগুন ধরিয়ে চুরুট জ্বালালেন মিসির আলী। এই ঝরঝরে আকাশের নিচে তিনি ধুয়ার কুন্ডুলী পাকিয়ে চুরুট খাচ্ছেন। প্রকৃতির সারপ্রাইজ দেখতে দেখতে হাভানা চুরুটের ধোয়া দিয়ে এক ধুম্রজাল তৈরী করছেন তিঁনি । গোল গোল ধোয়ার গোল্লা বানিয়ে আকাশে ছুড়ছেন আর তার ভেতর দিয়ে ধোয়ার বর্শা ছুড়ে মারছেন। খোলা পরিবেশে এমন খেলা তিনি প্রায়ই খেলেন। প্রকৃতির সামনে এমন চ্যালেঞ্জ নেওয়া তার রুটিনবাঁধা!


পরদিন সকালে বাসার পাশে রাস্তায় বিশাল রেইনট্রিতে হেলান দিয়ে মিশির আলী ভূত নিয়ে ভাবছেন।লাল টকটকে দুটি চোখ বলছে রাতে ঘুম হয়নি। একটা শিশু কণ্ঠ তাকে ডেকে তুলেছে।

-এই মিসির ভাই উঠ। চল বৃষ্টিতে ভিজি। জামগাছ তলায় ওরা ডাকছে।

মিসির আলী মনে করেন স্বপ্ন মানুষের ঘুমের মধ্যে ভেসে ওঠা এলোমেলো স্মৃতি। একবার বাবাকেও তিনি স্বপ্নে দেখেছিলেন। বাবা ঘুমের ঘোরে অনবরত নাক ডেকে চলেছেন। সে নাক ডাকার মধ্যে কিছু একটা বেজে ছিল। হয়ত কোন মেসেজ। তিঁনি ধরতে পারেন নি। এবারের টাও তার কাছে ভীষণ সমস্যা বলে মনে করছেন। মিসির আলী হুট করে ঠিক করলেন তিনি গ্রামে যাবেন। বাসায় এসে তিনি মতিকে ব্যাগ গুছিয়ে দিতে বলে গোসলে যাবেন এমন সময় মতি হন্তদন্ত হয়ে মিসির আলীকে বলল-

- স্যার,কিছু কথা ছিল।
- বল
- কাল রাতে একটা স্বপ্ন দেখেছি স্যার।
- কি স্বপ্ন
- এক বুড়ো একটা ছেলেকে নিয়ে জাম গাছ তলায় দাঁড়িয়ে। ছেলেটা আমাকে বলছে এই মতি ভাই উঠ। চল ভিজি। জামগাছ তলায় ওরা অপেক্ষা করছে।

মিসির আলীর মুখ শক্ত হয়ে ওঠে। তার মাথার ভিতরে কে যেন একটা মৌমাছি ছেড়ে দিয়েছে। চসমা খুলে টেবিলে রেখে মিসির আলী মতিকে বলেন চা বানিয়ে আনতে। মিসির আলী পকেট থেকে বের করে জাফর সাহেবের দেওয়া বোতলটি নেড়েচেড়ে দেখছেন। ঘোলাটে বোতলের ভেতরে কিছুটা ঘোলাটে। অনেক পুরোনো। জাফর সাহেবের কথামত তিনি বোতলের ছিপিটা খুলছেন না। নেড়ে চেড়ে দেখছেন।
কিছুই মনে হচ্ছে না। মতি চা দিয়ে গেছে। মিসির আলী দ্রুত চা খেয়ে নিচ্ছেন। তার হাত কাঁপছে।

ব্যাগ গুছিয়ে তিনি দ্রুত বাসার দিকে রওনা দেন। সারাটা পথে মিসির আলী ভাবছেন আর ভাবছেন। জাম গাছের কথা, শিশুর কথা বাবার কথা। ছোটবেলার সব স্মৃতিগুলো মনে নেই। কিছু আছে, কিছু নেই। গ্রামের পাশে বাস স্টপে নেমে তিনি গ্রামের বাসার দিকে এগিয়ে চলেন। তিনি বাস থেকে নেমে খেয়াল করে দেখেন তার পায়ে জুতো নেই। এমন সময় রাস্তায় তার একমাত্র চাচাতো ভাই আক্কাস তাকে চিনতে পেরে এগিয়ে এল।

- আরে মিসির ভাই না। ভাল আছিস? একা কেন? জাফর ভাই কই?
- হুম, আছি। তুমি কেমন আছ? আমাকে একটু জাম গাছ তলায় নিয়ে চল। জাম গাছটা আছে কি?
- আছে ভাই। কিন্তু কেন?
- আহ, চল। পড়ে বলছি।


মিসির আলী দীর্ঘ ত্রিশ বছর পরে গ্রামে এসেছেন। জামগাছ তলায় এসে তার মনে পড়ে গেল পকেটের বোতলটা শহরের বাসার টেবিলে রেখে এসেছেন। তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে ভুলে বসেছেন। এমন অবস্থা তার হয় না। তিঁনি গোছানো মানুষ কিন্তু আজ হয়েছে। জাম গাছ তলায় এসে তিনি ছোটবেলার সব স্মৃতি মনে করতে পারছেন। আক্কাস তাকে প্রায়ই ঘুম থেকে ডেকে তুলত। বৃষ্টির দিনে সবাই এই জামগাছতলায় কাদার মধ্যে লাফালাফি করত। জাফর সাহেব জাম গাছে চড়ে জাম পাড়তেন। বৃষ্টিতে পিছলে জামগাছ থেকে বহুবার তার হাত পা ছড়ে গিয়েছিল। মিসির আলী ও তার দলবল তার সেবা যত্ন করত।চোখ চকচক করে উঠল। জাফর সাহেবের বোতল ভূত রহস্য তিনি বুঝে উঠেছেন। এক্ষুনি তিনি শহরে ফিরবেন।

-আক্কাস আমি যাব।
- সেকি ভাই, কেবল তো এলেন।
- আমি একেবারে ফিরে আসব কাল পরশু। শহরে আর নয়।
-ঠিক আছে। বাসায় চলেন। শিং মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খেয়ে তারপর না হয় গেলেন।
- চল।


মিশির আলী শহরে ফিরে এসেছেন। জাফর সাহেবকে বোতল ভূত রহস্য সমাধান করে দিয়েছেন। তাকে আজই গ্রামে যাবার পরামর্শ দিলেন। জামগাছতলায় না গেলে আরো বিপদ। এমন সময় বৃষ্টি এলো।

মিসির সাহেব এখন আর প্রকৃতির সারপ্রাইজের কথা ভাবছেন না। তিনি ভাবছেন প্রকৃতির রহস্যের কথা। মিটিমিটি চোখে তিনি বোতলের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তার চা খেতে মন চাইছে।

- মতি, এই মতি, এদিকে আয়।
- স্যার বলেন!
- তোর গ্রামে জামগাছতলায় তুই ছেলেদের সাথে দল বেধে ভিজতিস।
মতি অবাক হয়না। মিসির স্যারকে তার সবজান্তা বলে মনে হয়। একবার পাশের দোকানের দর্জি মেয়েটার সাথে তার চিঠিপত্র আদান প্রদান হয়েছিল। বহু চেষ্টায় মতি তা লুকাতে পারেনি। মিসির আলী প্রতিটি লাইন না পড়েও হবহু বলে দিয়েছিলেন। তার কাছে সত্য অস্বীকার করা মানে নিজের গু খাওয়া।

- জ্বী স্যার। প্রতিবার ঝড়ে বহুত জাম পড়ত। আমরা জাম খাইতে জাইতাম।
- হুম।
- যা, চা নিয়ে আয়।

মিশির আলী বোতলের ছিপি খুলে ভূতকে মুক্ত করে দিলেন। আকাশে ভুতের ছানা উড়ুক। তারও যে স্বাধীনতা দরকার জাফর সাহেব সেটা বুঝতে পারেনি। প্রকৃতির সারপ্রাইজ বঞ্চিত ভূতের ছানা বোতলে নয়, প্রকৃতিতে উড়ছে।মিসির আলী তার পুরোনো ধোয়ার গোলায় ধোয়ার বর্শা নিক্ষেপ খেলায় মেতে উঠলেন। চুরুটের সাদা ধোয়ায় ঘরে হাজারটা চুরুটের ধোঁয়ার ভুতের নাচন শুরু হল।

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৯

সাগর শরীফ বলেছেন: মহা লেখকের ৫ম প্রয়াণ দিবসে তার প্রতি রইল অকৃত্তিম শ্রদ্ধা আর ভালবাসা ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ!

২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪২

নদীর মোহনা বলেছেন: প্রিয় স্যারের প্রতি রইল অসংখ্য শ্রদ্ধা আর ভালবাসা।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

স্যারের প্রতি অনন্ত শ্রদ্ধা! আপনাকেও ধন্যবাদ!

৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো ভাই, আমি আগে পড়িনি। আজ কিছু অংশ পড়ে হলেও তৃপ্ত হলাম।

পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে সুপ্রিয় কথাসাহিত্যিক কিংবদন্তীর জন্য পরম শ্রদ্ধায় শ্রদ্ধাঞ্জলি।

আপনার জন্য শুভকামনা।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এটা আমিই লিখেছি। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। স্যার আমাদের মধ্যে বেচে থাকবেন। তার লেখাই তাকে অমর করে রাখবে!

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৬

ওমেরা বলেছেন: লিখা আর কি পড়ব কি ভয়ংকর একটা ছবি দিয়েছেন ভয়েই তো শেষ ।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ছবিটা দেখে আমিও আগে ভয় পেতাম। এখন পাই না। এটা একটা রূপক ছবি। ধরুন আপনি শুয়ে আছেন। একটা বাজে স্বপ্ন দেখছেন।কিন্তু সেই স্বপ্ন আপনাকে বাস্তবে মধুর কিছু উপহার দিল। আপনি ভাবতে পারেন এই শুয়ে থাকা মানুষ টি অবচেতন মন। সাপ টি কিছু দুঃস্বপ্ন আর তার মুখের ফুল কিছু সুখের বার্তা। এমন ভাবলে ছবিটাখুবই নিরিহ।


গল্প পড়ে দেখতে পারেন। খারাপ লাগবে না।শুভেচ্ছা রইল!

৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



উপরের লেখাটুকু কি "ভ্রমরের ডানা"র লেখা, নাকি হুমায়ুন আহমেদ সাহেবের লেখা?

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আমার লেখা, কোন সন্দেহ জনাব?

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৩

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুদিবসে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

শ্রদ্ধাঞ্জলি!

৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক মুগ্ধ হলাম ভাই, আমি ধরতেই পারিনি!! দারুণ লিখেছেন ভাই।
এভাবেই ফিরে ফিরে আসবেন তিনি।

শুভকামনা

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


ধন্যবাদ। চেষ্টা করেছি। তবে আমার মতই লেখেছি। কিছুটা হুমায়ুন আহমেদ ক্লাসিক মিলিয়ে।

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সন্দেহ নয়, ব্লগার নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন'এর কমেন্ট দেখে মনে হয়েছিলো:

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন, "অনেক ভালো লাগলো ভাই, আমি আগে পড়িনি। আজ কিছু অংশ পড়ে হলেও তৃপ্ত হলাম। "

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
আচ্ছা আচ্ছা, ঠিক আছে। বুঝেছি!

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখার মাঝে কি কোন প্লট আছে?

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৪২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আছে। লজিকটাই প্লট।

১০| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: প্রিয় স্যারের প্রতি রইল অসংখ্য শ্রদ্ধা আর ভালবাসা, সবসময়...

২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

গল্পটি পাঠে ও মন্তব্যে অশেষ ধন্যবাদ!

১১| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই গল্পটা মাত্র পড়লাম, এবং দারুন লিখেছেন, আশা করি লেখাটা শেষ করবেন। আমার মনে হলো এটা অসমাপ্ত।

২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আমি কিছু বলব না।কিছুটা রহস্য থাক পাঠকের জন্য! আর লেখাটি শেষ ধ্রুবক ভাই। পাঠে ও মন্তব্যে অসংখ্য ধন্যবাদ!

১২| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই যদি ছবিটা বদলে দিতেন!

২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৪৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ছবিটা নান্দনিক! খুব নীরিহ একটা ছবি। ওমেরার মন্তব্য পড়ুন। প্রতিউত্তর ঘরে ব্যাখা করেছি। আরচেটি হুমায়ুনের দুই দুয়ারী উপ্ন্যাসের প্রচ্ছদের ছবি।

১৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "ছবিটা নান্দনিক! খুব নীরিহ একটা ছবি। ওমেরার মন্তব্য পড়ুন। প্রতিউত্তর ঘরে ব্যাখা করেছি। আরচেটি হুমায়ুনের দুই দুয়ারী উপ্ন্যাসের প্রচ্ছদের ছবি। "

-ছবির ব্যাপারে আমি বলতে চেয়েছিলাম, পরে দেখলাম প্লটও নেই; তাই কিছু বলিনি

২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


ঘুমের সময় মানুষ নানা স্বপ্ন দেখে, এসব স্বপ্নের কিছু কিছু তাকে জ্বালা যন্ত্রণা দেয়। তবে স্বপ্নের রহস্যজাল ভেদ করতে পারলে তা অবশ্যই সুখকর। আপনি স্বপ্ন দেখেন কিনা জানি না তবে সব মানুষের ভাবার মত কিছু স্বপ্ন থাকে। তার ব্যবচ্ছেদ করলে ভাল কিছু বেরিয়ে আসে!


এটাই ছবি ও লেখার প্লট। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:৩৭

কলাবাগান১ বলেছেন: খুব মন খারাপ করা গান
Jodi Mon Kade Tumi

২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আসলেই মন খারাপ করার মত গান। মানুষটি দরদ দিয়ে মানুষের জন্য লেখতেন। আপনাকে গানটির লিংক দেবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ!

১৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৪৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব ভাল লাগল লেখাটি।
অনেক দিন মিসির আলী পড়িনি। একটা মিসির আলী সমগ্র আমার কাছে আজও আছে সময়ের অভাবে পড়া হয়না।
প্রিয় লেখককে স্মরন করে লেখাটি লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


সময় করে পড়ে নিয়েন।মিসির আলী একজন রহস্যমানব। আপনাকে ধন্যবাদ!

১৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মিসির আলী, হিমু সহ কত কত কালজয়ী চরিত্র সৃষ্টি করে গেছেন আপন মনে!
আজও স্মরনেও স্বস্তি...
স্মরণে মরণ নাই :)

২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
সেটাই!

তিনি সাধারণ মানুষের আবেগ বুঝতে সক্ষম ছিলেন। তাই তাতে ফুল ফুটিয়ে যেতেন। কবির আত্মা শান্তি পাক!

১৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪

নীলপরি বলেছেন: অমর চরিত্রগুলো প্রাণ পেয়েছে আপনার লেখনীতে । খুব ভালো লাগলো । ++++

শুভকামনা ।

২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


ধন্যবাদ নীলপরি! অশেষ শুভকামনা জানবেন!

১৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ধ্রুবক আলো বলেছেন: প্রিয় স্যারের প্রতি রইল অসংখ্য শ্রদ্ধা আর ভালবাসা, সবসময়...

২১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ধন্যবাদ বাবু ভাই। অকৃত্রিম ভালবাসা রইল!

১৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

স্বপ্নের_ফেরিওয়ালা বলেছেন: শান্তিতে ঘুমাও হে গল্পের যাদুকর!
হুমায়ুন আহমেদে স্যারের মৃত্যুদিবসে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি.....




(গল্প সুন্দর হয়েছে! আরো একটু বড় করলেও করলে পারতেন। ঠিক যেন, স্যারের মত লেখা হয়েছে....
তবে একটা বিষয়ের অভাব আছে.....) :|
শুভ কামনা কবি।
....

২১ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

তওবা তওবা স্যারের মত হয়েছে বলিয়েন না ভাই। হুমায়ুন একজনই। আমি স্যারের পদধূলিরর যোগ্য লেখক নই!গল্প বড় করা যেত তবে পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখতে ছোট করেছি। আরো লেখার অনেক কিছুই ছিল। আপনি ঠিক ধরেছেন। ঠিক কি বিষয়ের অভাব আপনার কাছে মনে হয়েছে বললে খুবই উপকৃত হতাম।



লেখাটি পাঠে ও মুল্যবান মন্তব্য শেয়ারে অশেষ প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন! ভাল থাকুন নিরন্তর!

২০| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

লিওনাডাইস বলেছেন: কিংবদন্তীর জন্য পরম শ্রদ্ধায় শ্রদ্ধাঞ্জলি।

২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: কিংবদন্তীর প্রতি শ্রদ্ধা! ভালবাসা জানবেন!

২১| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন । লেজেন্ডের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ।

২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! বহুদিন পর আপনার দেখা। নিশ্চয় ভাল আছেন। শুভাকামনা সবসময়! ভাল থাকুন সবসময়!

২২| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভালো লিখেছেন +

স্যারের প্রতি প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ।

২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


ফিরে এসেছেন দেখে খুব ভাল লাগছে। কাছের মানুষদের কষ্ট দিয়ে দূরে চলে যেতে চান কেন?


মনে রাখবেন - যে সহে, সে রহে!


অনন্ত শুভেচ্ছা জনপ্রিয় ব্লগার!

২৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:০৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পটা বুঝতে পারলাম না।

২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
বেশি কঠিন নয় তো! আবার পড়ুন! ধন্যবাদ!

২৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৩১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: মনে রাখবেন - যে সহে, সে রহে!
"রফিক , শফিক , সালাম , বরকত , জব্বার , শফিউর ওনাদের রক্তের বিনিময় আমাদের বাংলা ভাষা !! তা আমরা সবাই জানি । এখন কথা হচ্ছে, এ ভাষার পবিত্রতা রক্ষা করার দায়িত্ব কাদের ? আমার সব সহ্য হয়, কিন্তু কেউ ভাষা খারাপ করলে, তা আর সহ্য হয় না। তাই আমি নীরবে চলে যেতে চেয়েছি...... ব্লগে কারো সাথে মতে মিল নাই,পড়তে পারে ।। তাই বলে কাউকে গালি দিলে, যে তার সমাধান মিলবে ।। কোথাও কি এমন নজির আছে !!
আব্দুল হাকিমের বঙ্গবাণী কবিতা ...... দেখুন নিজের ভাষার গুরুত্ব কি পরিমানে দিতে বলেছেন, একজন কবি ।। তখন, তার সমন্ধে আমারও, তা মনে পড়ে যায় ।
আর, আমার চলে যাওয়ার বিষয়টা অনেকে জানে না। খুব ভালো লাগলো ।। আজও যে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আছে । তার একটা দৃষ্টান্ত রাখলেন আপনারা সবাই। ব্লগে কেউ কাউকে চিনি না ,শুধু একটা করে নিক নেক জানি মাত্র । যাক, আর আপনাদের প্রশংসা করে ,আমি আপনাদের ছোট করতে চাই নাই। অশেষ ধন্যবাদ, প্রিয় কবি ।
ভালো থাকুন সবসময়......

২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

লেখার সাথে আপোষ কিসের? লেখুন মন খুলে! সকলের লেখাই পড়া উচিত। এমনকি দুষ্ট ব্লগারটিরো।

২৫| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ধন্যবাদ সনেট কবি। এবার কিন্তু অন্তমিলহীন সনেট চাই না। অন্তমিল সনেটকে সমৃদ্ধ করে।

২৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০০

উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন ডানা ভাই। আমার অনেক পছন্দের একটা চরিত্র। একেবারে হুমায়ূন আহমেদ ফ্লেভার পেয়েছি :)
উনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



একেবারে হুমায়ূন আহমেদ ফ্লেভার পেয়েছি-- তবে আরো লেখব নাকি? মিসির আলী আমারো পছন্দের। তাকে নিয়ে অজস্র গল্প লেখা যায়।



ধন্যবাদ উম্মে! শুভেচ্ছা রইল!

২৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

তিতাস মলম বলেছেন: ভাইয়ুমনিতা!!!!!!!!!!!!!!!!!!

ভুতের নাচন শুরু হল!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

ভুত ভুই পাই!!!!!!!!!!!!!

:(

২২ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


হিউউউউউউজ্জজ্জজ্জজ্জজ্জজ্জজ্জ উম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মা ভাইয়ুমনিতা!!!!


ভূতের টিকা লাগলে বলিও কেমন!!!!


একে বারে জায়গামত দিয়ে দেব!!!

২৮| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

সুমন কর বলেছেন: তিন দিন দৌড়ের উপর ছিলাম, পড়তে পারিনি। তবে জানান দিয়ে গিয়েছিলুম.....

আজ পড়লাম, বর্ণনা ভালো হয়েছে। কাহিনীতে আরো একটু টুইষ্ট থাকলে ভালো হতো। ;)

২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



ভয়ে ছিলাম দাদা। তাই টুইস্ট আনি নি। আর চেষ্টা থাকবে সামনে আরো ভাল করার। আপনি দৌড়ের উপরে থেকেও এই অধমের লেখাটুকু পড়েছেন তাতে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।



শুভেচ্ছা রইল দাদা!

২৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৩

সনেট কবি বলেছেন: পাঠে মুগ্ধ হলাম।

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




ধন্যবাদ। আগে একবার মন্তব্য করেছেন।

৩০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:১৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: হুম লিখতে পারেন এ্যজ আ ট্রিবিউট টু হুমায়ূন আহমেদ। তবে নিজের লেখা স্বতন্ত্র হওয়াই ভালো.... শুভ কামনা।

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

জ্বী। উপদেশদানের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা!

৩১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:৩৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: তাহলে আমাদের স্মৃতি আমাদের ভৌতিক অনুভূতি তৈরি করতে সাহায্য করে? ব্যাপারটা কি সায়েন্টিফিক??

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ভৌতিক অনুভূতি, নেগেটিভ অনুভূতি স্বপ্নে খুবই আসে। এটা সায়েন্টিফিক কিনা তা জানি না। তবে আমার জরিপে এমন্টাই উঠে এসেছে।


মানুষের মন্তব্যসূত্রে বিষয়টা যাচাই করেছি। অনেকের স্বপ্ন রহস্য উদঘাটন ও হয়েছে। চমৎকার সব বিষয় বেড়িয়ে এসেছে। ধন্যবাদ গেমু ভাই!

৩২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: একেবারে সাধারণ একটা ব্যপার নিয়ে গল্প দাঁড় ক'রে ফেলছেন। তাও যথেষ্ট সুপাচ্য। তারিফ করার মতো।

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ধন্যবাদ রাজপুত্র ভায়া! এটা লেখক হুমায়ুনের জনপ্রিয় চরিত্র মিসির আলীকে নিয়ে লেখা!



পাঠে ও অনুভবে শুভেচ্ছা রইল!

৩৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: সুপাঠ্য*

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

বুঝে নিয়েছি ভায়া! :D

৩৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

সনেট কবি বলেছেন:



কবি ভ্রমরের ডানা

ভ্রমরের ডানা, নেই উড়ে যেতে মানা
কবিতার ফুল দলে। যখন তখন
ঘুরে ঘুরে আহরনে ছন্দমৌ লুলুপে
গুন গুনে নৃত্য করে নিরাপদ ক্ষণে।
সঞ্চয়নে অতঃপর মৌভান্ডার খাঁটি,
কাব্যছন্দে পাঠকের মনতুষ্টি তরে
বিতরণে মর্মস্পর্শি কবিতার কথা।
আনন্দের শিহরণ জাগায় যে মনে।

ঢুলে ঢুলে পড়ে যাই, টলমলে পড়ে
আপনার কবিতার নিষ্কলুষ প্রেমে,
কবিতার দোলে দোলে মনে দোলা লাগে।
ভ্রমরের ডানা কবি ভ্রমরের সনে
মনে মনে গুণে গুণে গুণী কবি হয়ে
কবিতার খাঁতা তার বড় করে তোলে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

জনাব আপনার রচিত সনেটগুচ্ছ চমৎকার হচ্ছে। লেখকদের নিয়ে সনেট লেখায় আমরা সকলেই আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের প্রতি আপনার এ ভালবাসা অতুলনীয়! ব্লগের একজন সৌহার্দ্যময় লেখক ও কবি হিসেবে আপনার জনপ্রিয়তাইই আপনার পরিচয়।


এবার আসি কবিতা প্রসংগ নিয়ে। এই সনেট, আমাকে নিয়ে লেখাতে আপনার প্রতি বাধিত হলাম। তবে অন্তমিল সনেট আমার খুব প্রিয়। যদি সম্ভব হয় তবে অন্তমিল সনেট পেলে খুবই খুশি হব!


কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় সনেটকার!

৩৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৪১

জুন বলেছেন: ভালোলাগা রইলো আপনার প্রিয় একজন লেখকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রয়াস দেখে ভ্রমরের ডানা ।
+

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: লেখাটি আপনার নজরে পড়েছে জেনে খুব ভাল লাগল! মন্তব্যে ও প্লাসে কৃতজ্ঞতা! অশেষ শুভকামনা রইল সুপ্রিয় লেখক!

৩৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: চমৎকার লেখা। ভাল লেগেছে।
আর এই লাইনটা... তার কাছে সত্য অস্বীকার করা মানে নিজের গু খাওয়া।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



পুরোটাই হুমায়ুন স্যারের কৃতিত্ব! আমি তার সামান্য চেলা হবার মতও লেখি নাই! ভাল লেগেছে জেনে আপ্লুত হয়েছি সিনিয়র ব্লগার!

৩৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:১৫

মিরোরডডল বলেছেন: মিসির আলী অনেক প্রিয় । মোটামুটি সবগুলো লেখাই পড়েছি ।
আপনার লেখায় হুমায়ুন আহমেদের প্রভাব ভালো লেগেছে ।
কবিতার পাশাপাশি এরকম আরও লিখুন ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:




এত আগের একটা লেখা আপনার নজরে কিভাবে গেল সেটাই ভাবছি! যাকগে আপনার এ লেখায় উপস্থিতি ভাবনার জগতে আলোড়ন তুলেছে। চেষ্টা করব নিজস্ব স্টাইলেই কবিতা লেখতে। তবে হুমায়ুন স্যারের জন্ম বা মৃত্যু দিবসে মাঝেমধ্যে এমন লেখা লেখার প্রচেষ্টা থাকবে।



অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.