নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানার শেষ নেই...

ভ্রমরের ডানা

ভালো থাকুক কবিতাগুলো ...

ভ্রমরের ডানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরায়েল ভারত সম্পর্কিত কটকচ্চ...

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯



ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বাস্তবিক ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। এই দেশেই পৌরনিক চরিত্র কৃষ্ণ/বাসুদেব একজন দূত ছিলেন। মহাভারত যুদ্ধে কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধের মোড় তিনি কূটনৈতিক চালে দফায় দফায় ঘুরিয়ে দিতেন। তার ভূমিকা ছিল ধর্মযুদ্ধের রথীমহারথী যোদ্ধাদের থেকেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশী। কূটনীতিজ্ঞ চাণক্য ভারতের একজন প্রবাদপুরুষ। আজ যুগ বদলেছে, রাজা বদলেছে, গঙ্গা যমুনার কত নদী বহে গেল, বিশ্ব সম্পর্কের নীতিগুলো বদলায়নি। যাইহোক, গৌরচন্দ্রিকা থাক, কাজের কথায় আসি। আজ সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ফিলিস্তিন সফর একই সাথে ইসরায়েল সফর নিয়ে পত্রিকাগুলোতে বিশেষ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রনীতি দেখে যারপরনাই বিস্মিত একই সাথে বিভ্রান্ত হয়েছি বটে। পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রগুলো যেখানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দে দ্বিধাবিভক্ত সেখানে ভারত এক ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে। মানে ধুন্ধুমার কান্ড আরকি!

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভারত সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে "বন্ধু" বলে সম্বোধন করার পরও ভারত জাতিসংঘে ট্রাম্পের জেরুজালেমকে রাজধানী করার প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট প্রদান করেন। ১২৮টি দেশ এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। সে জন্যেই কি তবে মাহমুদ আব্বাস নরেদ্র মোদির ফিলিস্তিন সফরের সময় তাকে মহান অতিথি বলে সম্বোধন করেন? বিষয়টি কিছুটা পরিষ্কার! নির্যাতিত ফিলিস্তিনের ক্ষতে নিশ্চয় এটি মলমের কাজ করবে।

যাকগে, এই ভোটাভুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু সিরিয়াস ছিল। জাতিসংঘে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্টদূত নিকি হ্যালি হুশিয়ারীর পর ট্রাম্প সরাসরিভাবে এই ভোট দাতা দেশগুলোর আমেরিকান সাহায্য বাতিলের ঘোষণা দেন। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের ৩৫ বিলিয়ন সাহায্য সবার প্রথম কাট করা হয়। কিন্তু ভারতের ভোটে আমেরিকার প্রতিক্রিয়াটি জানা যায় নি। শুধু তাই নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিন- একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন। যারা আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক তারাই ভালই জানেন যে মোদির এমন দ্বিমেরু নীতি কারণটা কি।



ইসরায়েল ভারত সম্পর্ক নতুন নয়। ১৯৫০ সালেই ভারত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। আবার ১৯৯৮ সালে পোখরান পারমানবিক পরীক্ষার পর বিশ্ব অবরোধের মুখে ইসরায়েল ভারতকে সাহায্য করে। তাই বেনিয়ামিনের ভাষায় ইসরায়েল ভারতের পরীক্ষিত বন্ধু। এদিকে মজার বিষয় হল যে ভারত প্রথম দেশ যারা কিনা ফিলিস্তিনকে আরব বিশ্বের বাইরের প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু বর্তমানে ভারত তার নিরাপত্তায় চায় আধুনিক অস্ত্র। আর তাই ইসরায়েলের মেরকোভা ট্যাংক, আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা, এন্টি ট্যাংক স্পাইক গাইডেড মিসাইল এসবই ভারতের লক্ষ্য। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। এছাড়া প্রতিরক্ষার পাশাপাশি কৃষি ও মহাকাশ গবেষনায় দুটি দেশের চুক্তি রয়েছে।

যেহেতু ভারতের বিশাল রেমিট্যান্স মধ্যপ্রাচ্য হতে আসে তাই ফিলিস্তিনকে সমর্থনের মাধ্যমে আরব বিশ্বের নজরে ভাল থাকতে চায় ভারত। তাই মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানি নির্ভর ভারতের এই দ্বিমুখী নীতি বলে ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব স্ট্রাটেজিক স্টাডিসের মতামত। শুধু তাই নয়, ভারত প্রধানমন্ত্রী মোদির জর্ডান, ওমান আর আবুধাবি সফর করেন। এদিকে ইরানের সাথে ভারতের আশকানা চুক্তিকে ভাল চোখে দেখছেনা ইসরায়েল। তারপরও গত আর এই বছরে মোদি সাহেব এক ঢিলে ডজন পাখি মারলেন নাকি ইটের বদলে পাটকেলটি মারলেন, কয়টি মারলেন, মারলে সেটি কাকে মারলেন, পাকিস্তান না চীনকে, সেটা সামনের সময়ে দেখার অপেক্ষায় রইলুম!

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভারত বিশ্ব রাজনীতিতে নিরপেক্ষ

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আন্তজার্তিক রাজনীতি স্বার্থের, পক্ষের নয়। সেই হিসেবে স্বার্থ সবার আগে। পক্ষ পরে। আর এটা সবাই জানে। ভারত সিয়াটো সেন্টোতে ছিল না ন্যামে ছিল। কিন্তু ভেতরে ভেতরে পাকিস্তান চীন বাদে সবার সাথেই ছিল। আমেরিকার সাথে সেই সম্পর্ক স্বার্থের সাথে উঠানামা করেছে।


ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


কলকাতার লোকদের মত হিন্দি চলে আসে?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


না, মাঝে মাঝে উর্দু থেকে উন দেস ত্রোস ও চলে আসে। এটা গ্লোবালাইজেশন ইফেক্ট। মানে জুতো শেলাই থেকে চন্ডী পাঠ আরকি!



কিছুই করার নাই। শিরোনাম বাদে বাকিটা ঠিক আছে। কিন্তু চেঞ্জ করার পর এবার প্রাকৃত চলে এসেছে। সরি!

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আন্তর্জাতিক জগৎ সম্পর্কে আমার ধারণা নেই বললেই চলে। মাঝেমধ্যে খবরের কাগজ বা নেটে কিছু দেখে পড়ে কোনকিছু বুঝার চেষ্টা করি।

আপনার চিন্তাভাবনা ভালো লাগলো।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আমার এখানে কিছুই নাই। সব তথ্য নেটেই আছে। আমি শুধু জুড়ে দিয়েছি। আন্তর্জাতিক ব্যাপার প্রচন্ড বিরক্তির। তার থেকেও বেশি বিভ্রান্তির!


পাঠে শুভেচ্ছা!

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: আন্তর্জাতিক ব্যপার আমার ভালো লাগেনা, পড়তেই কেমন যেন বিভ্রান্তি মনে হয়।

প্রিয় কবির পোষ্ট পড়ে মন্তব্য না করলে চলে? তাই দিলাম।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:





আরে, এত্তো ভালবাসেন ভাই! সত্যি বিমোহিত হলাম! অনন্ত শুভেচ্ছা রইল!

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

বারিধারা ২ বলেছেন: ভারত মধ্যপ্রাচ্যের তেল দিয়ে ইসরাইলের ট্যাঙ্ক ফাইটার ফ্রিগেট চালাতে চায়। এজন্যে নিরপেক্ষতার ভাব ধরে আছে। ভারত ও ইসরাইলের কমণ শত্রু যেহেতু মুসলিম বিশ্ব, তাই তারাই আসলে প্রকৃত বন্ধু।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

খাটি কথা! আসল জিনিস ধরেছেন!

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভারতের চানক্য কূটনীতি বরাবরই এরকম। কিন্তু তারা চীনাদের আগ্রাসী কূটনীতির সাথে কখনোই পেরে উঠে না।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



আপনার পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত চচমকপ্রদ! শুভেচ্ছা হেনা ভাই!

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাবলাম ভারত ইসরেল নিয়ে বুঝি কোন কাব্য ;)

স্বচ্ছ আলোচনায় ভাল লাগা রইল!

সবই মসনদের মোহ! আমজনতার কেবলই ভোগান্তি! সেই তরবারী থেকে আজকের মিসাইল যুগ
ভোগান্তি অন্তহীন!

এ পৃথিবীতে শান্তিকি কোনদিন আসবেনা????

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



আপনার প্রশ্নের জবাব কেউ দিতে পারবে না। মানুষের ফেরেশতা হতেও বেশি সময় লাগে না আর শয়তান হতে তো দেরিই নেই! স্বার্থ পৃথিবীকে অন্ধ করে দিয়েছে!



শুভেচ্ছা রইল কবি। ভাল থাকুন নিরন্তর!

৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:২০

সোহানী বলেছেন: অসাধারন বিশ্লেষন।

তা আর বলতে... দুই পাখী না, এক সাথে হাজার পাখী মারে..........., ভারতের পররাষ্ট্রনীতি সবার কাছে শেখা উচিত। কাকে থাপড়া দিবে, কাকে তেলের ডিব্বা ঢালবে, কোথায় মন্ত্রী পাঠায়ে ধমক লাগাবে আবার কোথায় অস্র ব্যবসা করবে তা তারা দারুনভাবে ম্যানেজ করে। কারন কি??? সহজ উত্তর, ওদের আছে দেশ প্রেম। নিজেদের মধ্যে সারাক্ষন মারামারি করলেও নিজেদের বাইরে কিছু হলেই এককোয়া......... ব্যাক্তি স্বার্থ না, দেশের স্বার্থ দেখে সবার আগে।

হায়রে, এতো চামচামি করে ও কিছুই শিখলাম না...., আফসোস।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


আপনি ঠিকই বলেছেন। উন্নয়নে চাই বহুমুখী ডিপ্লোম্যাসি। এটা নিয়ে বিষদ আকারে লেখার ইচ্ছে আছে। এখনকার পৃথিবী যুদ্ধকে ঘৃনা করে।

৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪

জুন বলেছেন: সেদিন ভারতের এক বিখ্যাত বাংলা পত্রিকায় পড়লাম ভারতের উচ্চ পদস্থ এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলেছেন তাদের গৃহীত কুটনীতি নাকি প্রতিবেশীদের সাথে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটাচ্ছে। যেমন পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, মায়ানমার এমনকি খোদ বাংলাদেশ পর্যন্ত সবাই ভারতের উপর পুরো নির্ভরতা ছেড়ে চীনের দিকে ঝুকে পরছে ।
নেতানিয়াহু আসার পর উনি যেভাবে এয়ারপোর্টে গিয়ে গলা জড়িয়ে ধরলেন ততোধিক নিরাসক্তি দেখালেন সপরিবারে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর আগমনে। গলা জড়ানো তো দুরের কথা নিজেতো গেলেন নি না । কৃষি বিভাগের এক জন অর্ধ মন্ত্রীকে পাঠালেন তাকে রিসিভ করতে । নেতানিয়াহুর গলা জড়িয়ে পরদিনই ছুটলেন ফিলিস্তিন । কোন কন্সিস্টেন্সি নেই বলেই মনে হয় আমার কাছে।
প্রতিবেশীদের মধ্যে একমাত্র অনুগত বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে মায়ানমার সফরে গিয়ে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে টু শব্দটিও করলেন না, তাতে কিন্ত চীনের প্রভাব থেকে মায়ানমারকে মুক্ত করতে ব্যর্থই হয়েছে পুরো দমে
মোদ্দা কথা চানক্যের দেশ ভারত কুটনীতিতে অত্যন্ত পারদর্শী হলেও গেরুয়াধারীরা সেটা বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে আমার বিশ্বাস ভ্রমরের ডানা।
কবিতার বাইরে এই আলোচনাটি বেশ ভালোই লাগলো :)

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

ভারতের পররাষ্ট্রনীতি অনেকটাই আমাদের মতই। উদারবাদ, নন অ্যালায়েন্স। বিশ্ব জুড়ে চলমান বর্নবাদ, সম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ইত্যাদির বিরুদ্ধে কাজ করা। এছাড়া ১৯৫৪ সালের ২০ জুন স্বাক্ষরিত ভারত চীন পঞ্চশিলা নীতির উদ্দেশ্য ছিল চীন ও ভারতের মধ্যে শান্তি স্থাপন ১) দুটি দেশ একে অপরের উপর হামলা করবে না ২) পরস্পরের ভূখণ্ডগত অঞ্চলের প্রতি শ্রদ্ধা স্থাপন ৩) এশিয়ায় শান্তি স্থাপন। ৪) একে অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানো ৫। পরস্পর বানিজ্যে লাভদায়ক অবস্থা। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহেরু এবং চৌ এন লাই এর মধ্যে একটি সমঝোতার ফসল ছিল এটি। কিন্তু আজ যদি চীন ভারত সম্পর্কের দিকে তাকাই তবে পঞ্চশিলার নীতিকে বিবর্ণ মনে হয়। চীনের দশটি পারমানবিক বোমা বহনকারী ক্ষেপণাস্ত্র ডংফেং তৈরি আবার জবাবে ভারতের অগ্নি ৫ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এই অঞ্চলের শান্তির জন্যে অশনিসংকেত। ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পুরোটা জুড়ে এখন চীন জুজু। পাকিস্তান নেই। এদিকে ডমিনো তত্ত্বে এশিয়ায় ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার ব্যর্থতায় সাফল্যের চাবিকাঠি ভারত। আর আঞ্চলিক পরাশক্তি হতে ভারতের চাই আমেরিকার পারমানবিক কৌশল ও ইসরায়েলের অস্ত্র। ভারত না চাইলেও এসব পেয়ে যাবে। কেননা এই অঞ্চলে ভারত ছাড়া যুক্তরাষ্টের সত্যিকার শক্তিশালী বন্ধু নেই বললেই চলে। জাপানের হয়ত অর্থ ও প্রযুক্তি রয়েছে, কিন্তু শক্তি ও আকারের বিশালত্ব ভারতকেই এগিয়ে রাখবে। চীনের থেকে ভারতের অর্থনীতি পাঁচগুণ হালকা একই সাথে সেনাবাহিনীও। অপর দিকে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে ভারতের পাশে আমেরিকার উপস্থিতিতে চীন হয়ত অসহায় হতেও পারে। তবে ট্রাম্পের আশীর্বাদে এই খেলার গেম চেঞ্জার হবে পাকিস্তান! তবে যাই হোক যে কোন পররাষ্ট্রনীতি যদি শান্তির বদলে অশান্তি ডেকে আনে তবে বিশ্বের জন্যে হবে হতাশার। ভারত কিংবা চীন যেই হোক না কেন ৭৬ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বানিজ্যের হিসেব ও বিশাল বাজারের কথা মাথায় রেখে উচিত নিজেদের বিষয়গুলো নিজেদের সামলানো। খাল কেটে কুমির আনলে তা কারো জন্যেই ভাল হবে না।




কবিতার বাইরেই থাকব কিছুদিন। এসব নিয়ে চিন্তার পাশাপাশি তা শেয়ার করব যা পারি ক্ষুদ্র জ্ঞানে। আপনাদের সুচিন্তিত ও সুগভীর মতামত আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির আগ্রহী পাঠক খুবই কম, ব্লগার আরো কম তবুও প্রচেষ্টা চলবেই।


লেখাটি পাঠে ও অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত মন্তব্যে অনেক কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় লেখক। অনেক কিছুই জানা হল। আন্তরিক ধন্যবাদ রইল। ভাল থাকুন! শুভেচ্ছা নিরন্তর!

১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভারত ও ইসরায়েল আসলেই পরস্পরের "পরীক্ষিত বন্ধু"। তারা সবার অলক্ষ্যে বহু আগে থেকেই একে অপরকে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছিল। এখন সেটা প্রকাশ্য রূপ পেয়েছে, এই যা!
জুন এর মন্তব্যটা এবং তদুত্তরে আপনার প্রতিমন্তব্য ভাল লেগেছে। +
পোস্টে ভাল লাগা + +

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

লেখাটি আপনার নজরে পড়েছে সে জন্যে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। ইসরায়েল আর ভারতের দহরমমহরম সম্পর্কে ইরান ও আরব বিশ্বের প্রতিক্রিয়া একই সাথে ইরানের চাবাহারে ভারতের বন্দর নির্মানে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া ভারতের পররাষ্ট্রনীতির আসল রূপটি নিরুপন করেছে। নিজেদের স্বার্থ যেখানে, সেখানে বন্ধুত্ব কিছুই নয়। চীন ভারত দ্বন্দের ফল ইসরায়েল ও ইউ এস এ ঘরে তুলবে এটাই স্বাভাবিক। অবশ্য এই সসম্পর্ক বিশ্লেষণ করার আগে আমি ভেবেছিলাম এটি বোধহয় নিখাদ এক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উদাহরণ। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্র কর্মকর্তা দেবযানীকে হেনস্তা করার পরও আমেরিকার সাথে ভারতের সম্পর্ক কিংবা ইসরায়েলের সম্পর্ক সত্যিই আন্তজার্তিক রাজনীতির দুর্বোধ্য তত্ত্বগুলোকে আরো দুর্বোধ্য করে তুলেছে।ভ্লাদিমির জিরিনকোভস্কি (রাশিয়ার সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী) তাই যথার্থ বলেছিলেন- International politics is always subtle and exquisite.


আপনার সুচারু মন্তব্য পেয়ে লেখাটি স্বার্থক হল। লেখাটি পাঠে ও অনুভবের ভাললাগার জন্যে কৃতজ্ঞরা স্যার। প্লাসগুলোর জন্যে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.