নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য থেকে শান্তি!

সত্যবাদী।

ওয়াসিম সাজ্জাদ

সৎ এবং প্রতিবাদী।

ওয়াসিম সাজ্জাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু ছেলের প্রেমের নামে শুধু প্রতারণামূলক সেক্স করে বেড়ানোর সম্ভাব্য প্রধান কারণঃ

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

কোন মেয়েকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসার পর একটা ছেলে যখন তাকে না পায়,প্রতারিত হয়। সোজা বাংলায় ছ্যাকা খায়। তখন তার দু ধরনের অবস্থা হতে পারে....
একধরনের অবস্থা হয়,ছেলেটা পুরোপুরি মেয়েদের এভয়েড করা শুরু করে। মেয়ে জাতির উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। মেয়েদের ধারেকাছেও আর ঘেষে না।
..এদের কেউ কেউ হুজুর হয়ে যায়। পরনে থাকে দাড়ি টুপি। পাচওয়াক্ত নামাজ পড়ে। ভালো মানুষ হয়ে যায়। শুদ্ধ মানুষ হয়ে যায়!একটা মেয়ের সাথে প্রেম করেছিলো এই ব্যাপারটা নিয়ে প্রচন্ড অনুতাপ কাজ করে।
কিন্তু হঠাত যদি তার সাথে দেখা হয়ে যায় তাহলে ভিতরে ভিতরে পুড়ে ছারখার হয়ে যায়!
মেয়েদের ধারেকাছে না ঘেষাদের কেউ কেউ আবার প্রচন্ড রকমের ইন্ট্রোভার্ট হয়ে যায়। কারো সাথে কথা বলে না ঠিকমতো। মেশেও না। চুপচাপ বসে থাকে। শুয়ে থাকে। ফ্রেন্ডদের কাছ থেকে দূরে সরে যায়। দূরে সরে যায় পরিচিত পরিবেশ থেকে। এই ছেলেগুলাই ড্রাগ এডিক্টেড হয় বেশি। দূর্ঘটনা ঘটায়ও বেশি!
আরেকধরনের ছেলেরা পুরোপুরি মেয়ে এডিক্টেড হয়ে পড়ে। ধ্যান জ্ঞান পুরোটা জুড়ে মেয়েরা বসবাস করে!
এরা খুব ভয়ংকর হয়। হাসতে হাসতে অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিতে পারে। এজন্য এদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনাবোধ কাজ করে না। বরং একধরনের বিকৃত আনন্দ পায়!
রাতভর একটা মেয়ের সাথে ভালোবাসার কথা বলার পর,আবেগের কথা বলার পর যখন ফোনটা রেখে দেয় তখন নিকট কোন বন্ধুর কাছে খ্যাক খ্যাক করে হাসতে হাসতে বলে
- "..দোস্ত, আরেকটা মাইয়্যারে তো পটিয়ে ফেললাম"
এরপর 'পটিয়ে ফেলা' মেয়েটার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। গভীর সম্পর্কে। এরপর প্রতারণা করে। মেয়েটার জন্য বিন্দুমাত্র আবেগ তার মধ্যে কাজ করে না।
ফোনের ওপাশে মেয়েটা যদি ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদে তাহলে সে তীব্র আনন্দ পায়!
ঠিক এভাবেই এই ছেলেটাই কেঁদেছিলে একটা মেয়ের জন্য বহুবার। অনেক অনেক আগে।মেয়েটা ফিরে আসে নি!
একটা মেয়ের প্রতি জমানো ভালোবাসা একবার ক্রোধে পরিণত হয়ে গেলে সেই ক্রোধ আর কোন ভালোবাসা দিয়েই পুষিয়ে দেয়া যায় না!
অনেক মেয়েকে তাই চোখের জল ঝরাতে হয়! ছেলেটা মেয়েদের চোখের জল দেখে আর হাসে ।ছেলেটার হাসির ক্ষেত্র অনেক ছোট। এই মেয়েগুলোর চোখের জল তাকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেয়!
তবে এসবকিছুর পেছনে থাকে খুব খুব গভীর একটা কষ্ট!
গভীর কষ্ট মারাত্বক ক্ষমতাধর একটা জিনিস! গভীর কষ্টে পুড়ে কেউ শুদ্ধ মানুষ হয়। আর কেউ হয় পশু। অনুশোচনাহীন পশু!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

গোধুলী রঙ বলেছেন: এই প্রেম বিপদ ডেকে আনে সমাজে, পরিবার, সর্বোপরি দেশে। তবুও এই প্রেম থাকতে হবে, নইলে কোন গান হয় না কবিতা হয় না। এখন যার যার সিদ্ধান্ত তার তার, সে কি কাব্য-কবিতার দ্বার খুলে রাখার জন্য অন্তরে প্রেম জাগাবে নাকি পরিবেশের শান্তি রাখার জন্য অন্তরের প্রেম বিবাহ পর্যন্ত চাপা দিয়া রাখবে।

ইসলাম যেটা হারাম করেছে, সেটাতে কোন কল্যান নেই, বা একটু থাকলেও তাতে ক্ষতির পরিমানই অধিকতর।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৬

ওয়াসিম সাজ্জাদ বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন।
ইসলাম যেটা হারাম করেছে, সেটাতে কোন কল্যান নেই

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

বিজন রয় বলেছেন: খুব খারাপ।
সমাজ রসাতলে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৬

ওয়াসিম সাজ্জাদ বলেছেন: মাজ আসলেই রসাতলে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

জনৈক শ্রেয়াস বলেছেন: প্রেম থেকে দূরে থাকুন ।
অভিভাবকের হাতে বিয়েশাদীর দ্বায়িত্ব দিয়ে দেন । ভাল থাকবেন

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৭

ওয়াসিম সাজ্জাদ বলেছেন: এতে কিন্তু আমাদের ভালই হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.