নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দাদা মারা গেছেন গত ৩০শে মে, রমজান মাসের ৩য় দিন।
এই লোকটাকে কখনো কোন অন্যায় করতে তো দেখি ই নাই বরং সমাজের কোথায়ও কোন অন্যায় হলে বলিষ্ঠ ভাবে প্রতিবাদ ও দমন করতে দেখেছি। আমাদের গ্রামের সকল শ্রেণীর মানুষের অত্যন্ত পছন্দের মানুষ ছিলেন আবুল কাশেম ভাট্টি।
কোথায়ও ন্যায় বিচার না পেলে মানুষ ছুটে আসতো দাদার কাছে এই আশায় যে এখান থেকে অন্তত খালি হাতে ফেরত যেতে হবে না।
অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন দাদা। প্রচণ্ড অসুস্থতার মাঝেও নামাজ- রোজা পালন করতেন ঠিকমত।
৮২ বছরের জীবন সে নিজের আদর্শ ও সততার সাথে কাটিয়ে গেছে। যতই বাধা আসুক সে তার আদর্শ থেকে পিছপা হননি কখনো।
ব্যাক্তিগত জীবনে ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। প্রচণ্ড রাগী এই স্যার আদর্শ শিক্ষক ছিলেন তার ছাত্রদের কাছে।
আমার সাথে দাদার সম্পর্ক ছিল সব থেকে ঘনিষ্ঠ। নিজের বন্ধুর মত সব কথা শেয়ার করতাম তার সাথে। মজা করতাম অনেক আবার ভয়ও পেতাম প্রচণ্ড। শুধু আমি না, আমার মা-আব্বা, চাচা-চাচি, ফুপিরা, ছোট ভাইবোন সবাই ই তাকে অনেক ভালবাসত আর ভয়ও পেত।
দাদার মৃত্যুতে আমাদের পরিবার প্রথমবারের মত পরিবারের কাউকে হারানোর কষ্ট অনুভব করলো। আমাদের পারিবারিক কবস্থানেই তাকে দাফন করা হয়েছে। এই কবরস্তানও তার নিজের করা। কোন কাজই সে বাকি রেখে যায়নি। পরিবার, আত্বীয়-স্বজন ও সমাজের প্রতি তার দায়িত্ব সে সম্পুর্নভাবে পালন করে গেছেন। এখন আমাদের পালা তার আদর্শকে ধরে রাখা। ইনশাআল্লাহ্, কাশেম মাষ্টারের আদর্শ বুকে নিয়েই সারাজীবন কাটিয়ে দিব।
২| ১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯
ওয়াসিম সাজ্জাদ বলেছেন: ইনশাল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:২০
মানবী বলেছেন: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাই হেরাজেউ'ন। আপনার দাদার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
প্রার্থনা করি আপনি তাঁর আদর্শ বুকে নিয়ে ভবিষ্যত গড়তে সক্ষম হবেন।