নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Never Say Never Again

...

মধুমিতা

আমি তোমার কাছে পৌছতে পারিনি পথে হয়েছে দেরী। তবু আজো স্বপ্ন দেখি - বন্ধ দড়জায় কড়া নাড়ি ।। আমি এক অতি সাধারণ মানুষ, আড়ালে থাকতেই পছন্দ করি ...

মধুমিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফারাসানের নীলে-৩ (আরব ডায়েরি-৭৫)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪





১ম পর্ব



২য় পর্ব



কাকডাকা ভোরেরও আগে ঘুম থেকে উঠলাম। আলী চোখ কচলাতে কচলাতে গাড়ী স্টার্ট দিল। ভোর সাড়ে ৪ টায় জাহাজ অফিসে হাজির হলাম। এখান থেকে ফারাসান যাওয়া আসার টিকেট কাটতে হবে। ভেবেছিলাম আমরাই বুঝি সবার আগে এসেছি। কিন্তু ভুল, ২০ জনেরও বেশী লোক অফিস গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আরো অনেকেই গাড়ীতে বসে আছে। আমার পিঠ দিয়ে শীতল শিহরণ বয়ে গেল- আমাদের জন্য টিকেট পাওয়া যাবে তো?





ছয়টার সময় গেট খুলল। আলীকে সব কাগজপত্র দিয়ে লাইনে দাঁড় করালাম। প্রচন্ড ভীড়। একেকজনের হাতে পুরো ফ্যামিলির কাগজপত্র। ফলে সময় লাগছিল বেশী। ৭ টার সময় জানা গেল সকাল ৮টার টিকেট শেষ। আমরা হতাশ হয়ে পরলাম, পরের জাহাজ বিকাল ৩টায়। এতদূর আসাটা কি বৃথায় যাবে? বিকালের জাহাজে টিকেট পাব তারওতো নিশ্চয়তা নেই। তখনি জানতে পারলাম জাহাজের ট্রিপের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বেলা ২টা পর্যন্ত প্রতি ঘন্টাতেই জাহাজ আছে। সবাই কি যে খুশী হয়েছিলাম বলার মতো নয়।



এবার আমাদের স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করলাম। শাকিলা ও দীবাকে সবার কাগজপত্র দিয়ে মেয়েদের লাইনে পাঠালাম। আধা ঘন্টার মাঝেই সবার টিকেট পেয়ে গেল। আমরা দৌড়ে গাড়ীতে উঠলাম। ৯টায় জাহাজ ছাড়বে, জাহাজে আগেই গাড়ী তুলতে হবে।





জাহাজ পোর্টের ভেতরে চেকিং এর জন্য আমরা গাড়ী থেকে নেমে গেলাম, আলী গাড়ী নিয়ে অন্য দিকে চলে গেল জাহাজে গাড়ী উঠানোর জন্য। এয়ারপোর্টে যেভাবে চেকিং হয়, ঠিক সেভাবে তল্লাশি নেয়া হল। জাহাজটি দেখে ভালো লাগল। আমি এই প্রথম এ ধরনের জাহাজে উঠছি। এক্সাইটমেন্ট কাজ করছিল। সবাই মিলে জাহাজে উঠলাম, ভেতরের ব্যবস্থাপনা বেশ আরামদায়ক ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।





জাহাজ ছেড়ে দেয় দেয় অবস্থা। এদিকে আলীর কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। মোশতাক ভাই কয়েকবার ফোন করলেন, কিন্তু আলী ধরছেনা। কিছুক্ষণ পর আলী’র সাথে মোশতাক ভাইয়ের কথা হল। শান্ত স্বরে তিনি যে কথাটি শোনালেন তাতে আরেকবার পিঠে শীতলতা অনুভব করলাম –“আলী গাড়ী নিয়ে জাহাজে উঠতে পারেনি।”



তখনি জাহাজটি আমদেরকে নিয়ে ফারাসানের উদ্দেশ্যে রওনা হল।







ছবিঃ ইন্টারনেট



(চলবে)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এবারের লেখাটিও চমৎকার হয়েছে। চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪

মধুমিতা বলেছেন: লিখতে দেরী হয়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হায় হায়! এত অল্প লিখলেন!

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

মধুমিতা বলেছেন: বুঝতে পারছি- মন ভরেনি। আমার ওয়াইফও একই কথা বলছিল।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

চলুক ...

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

মধুমিতা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। চলবে... সামনের পর্বগুলি বড় করে দিব।

৪| ০৯ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮

মোঃমোজাম হক বলেছেন: এখানে মহিলাদের দিয়েই অনেক অসাধ্য কাজ করিয়ে নেয়া যায়,আপনার টিকিট পাওয়াটাও তার প্রমান B-)

১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯

মধুমিতা বলেছেন: এখানে মহিলারা একটু বাড়তি সুবিধা পায়। আমাদের দেশ হলে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.