নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Never Say Never Again

...

মধুমিতা

আমি তোমার কাছে পৌছতে পারিনি পথে হয়েছে দেরী। তবু আজো স্বপ্ন দেখি - বন্ধ দড়জায় কড়া নাড়ি ।। আমি এক অতি সাধারণ মানুষ, আড়ালে থাকতেই পছন্দ করি ...

মধুমিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফারাসানের নীলে-৭ (আরব ডায়েরি-৭৯)

২১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৬





১ম পর্ব

২য় পর্ব

৩য় পর্ব

৪র্থ পর্ব

৫ম পর্ব

৬ষ্ঠ পর্ব







আল-রিফাই হাউজ থেকে সরাসরি জাহাজের টিকেট অফিসে চলে গেলাম। আগের অভিজ্ঞতা থেকে মেয়েদেরকে লাইনে দাঁড় করালাম। অনেক্ষণ পর তারা পরেরদিনের টিকেট নিয়ে বেরিয়ে এল। কিন্তু এবার ছেলেদের জন্য টিকেট দেয়নি। তাই এবার আমরা লাইনে দাঁড়ালাম। আধা ঘন্টা লাইনে অপেক্ষার পর জানাল এখন টিকেট দেয়া হবে না, মাগরিবের পর দেয়া হবে- সময় শেষ। মেজাজটাই গরম হয়ে গেল।



হোটেলে ফিরে এসে নাজমুল ভাইয়ের সাথে দেখা করলাম। তিনি জানালেন, ফারাসান দ্বীপের আশে পাশে মাঝে মাঝেই ডলফিনের ঝাঁক দেখা যায়। তবে সকালবেলা সম্ভাবনাটা বেশী থাকে। কিন্তু এখন আমাদের তেমন কিছুই করার নাই। আমরা বেরিয়ে পড়ি। কোরাল রিসোর্টের পাশেই স্পিড বোট ভাড়া দেয়া হয়। আমরা একটা বোট ২৫০ রিয়াল দিয়ে ভাড়া নিয়ে নেই। ডকে সারি সারি বোট বাঁধা আছে। সি গালেরা এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে, কোথাও কোন হুড়োহুড়ি নেই, নিঃশ্চুপ ও শান্ত। বোটে ওঠার সাথে সাথেই ড্রাইভার আমাদের হাতে লাইফ জ্যাকেট ধরিয়ে দিল। কমলা রংয়ের লাইফ জ্যাকেট পরা অবস্থায় সবাইকে অদ্ভুত দেখাচ্ছিল। হঠাৎ করেই স্পিড বোট এমন গতি নিল যে আমাদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। শাকিলা ভয় পেল সবচেয়ে বেশী। ভয়টা সয়ে আসতেই আমরা ছবি তোলায় নেমে পড়লাম। আলী বেচারা মোশতাক ভাই ও দীবার ছবি তুলতে তুলতে হয়রান হয়ে গেল।





কখনও ভাবিনি রেড় সি’র বুকে স্পিড বোট দিয়ে ঘুরে বেড়াব। ছোট বেলায় রেড সি অথবা পারসিয়ান সি শুধু গল্পের বইয়ের পাতাতেই ছিল। মাগরিবের কিছু পরে আমরা আরেকটা দ্বীপে পৌছি। ডলফিনের কথা জিজ্ঞাসা করলে আমাদের ড্রাইভার আজকে সে সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। দেখলাম আরো দুটি বোট সেই দ্বীপে ভিড়েছে। তারা সবাই মিলে নামাজে দাঁড়াল। সেখানে মাগরিব ও এশা’র নামাজ একসাথে পড়ে নিলাম। পাশেই একটি দূর্গের মত একটি স্থাপনা, ঘেরাও দিয়ে রাখা ছিল। জানা গেল এটা একসময় স্বর্ণ খনি ছিল। অটোমান আমলে এখান থেকে স্বর্ণ আহোরণ করা হত, এখন পরিত্যাক্ত।





আমরা এই দ্বীপটি থেকেই আবার ফিরতি পথ ধরলাম। অন্ধকার নেমে এসেছে, দূরের বৈদ্যুতিক বাতিগুলো মিটি মিটি আলো ছড়াচ্ছে। আমরা পাঁচজন নীরবে, নিঃশব্দে রেড সি’র বুক চিরে ফারাসান দ্বীপের দিকে এগিয়ে চলছি।



হোটেলে ফিরে আমি ও মোশতাক ভাই বিচে চলে আসি। আধা ঘন্টা ধরে পানিতে ভিজে, ক্লান্ত দেহ নিয়ে কটেজের বারান্দায় রাখা ইজি চেয়ারে গা হেলিয়ে দেই। আজ রাতটা বারান্দাতেই কাটাতে হবে। ভেতরে মেয়েরা ঘুমাবে। আর বারান্দায় আমরা ৩ জন। নাজমুল ভাই এক্সট্রা তোশক, চাদর ও বালিশের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সামারের ছুটিতে এত ভীড় হয় যে অনেকে খোলা মাঠেও বিছানা, তাবু পেতে ঘুমায়। সে হিসাবে খোলা বারান্দায় রাতটা মন্দ কাটবে না।



ইজি চেয়ারে বসে ঝিমুনি এসে গিয়েছিল। কেন যেন ভেঙ্গে গেল। তাকাতেই দেখি সামনের কটেজের বারান্দায় এক সৌদি উর্বশী-মুখটা খোলা। মায়াভরা চোখ, লম্বাটে মুখ। চোখাচোখি হতেই ভেতরে চলে গেল। সৌদি আরবের এ পাশটা যথেষ্ট রক্ষণশীল, সব মেয়েকেই কঠোর পর্দার মাঝে থাকতে হয়। কিন্তু একটু স্বাধীনতা পেলে তার স্বাদটুকু নিতে তারা ভুল করে না।









(আগামী পর্বে সমাপ্য)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

শ।মসীর বলেছেন: :)

২১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

মধুমিতা বলেছেন: =p~

২| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১২

মোঃমোজাম হক বলেছেন: এক চুমুক চা খেতেই শেষ :)

২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬

মধুমিতা বলেছেন: :D

৩| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সুন্দর! চলুক।

২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

মধুমিতা বলেছেন: আগামী পর্বে শেষ করে ফেলব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.