নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Never Say Never Again

...

মধুমিতা

আমি তোমার কাছে পৌছতে পারিনি পথে হয়েছে দেরী। তবু আজো স্বপ্ন দেখি - বন্ধ দড়জায় কড়া নাড়ি ।। আমি এক অতি সাধারণ মানুষ, আড়ালে থাকতেই পছন্দ করি ...

মধুমিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরবের বেদুঈন, সুক তালাতা এবং হেরিটেজ মিউজিয়াম-১ (আরব ডায়েরি-৮৬)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫১





সুক তালাতা ও আরবের বেদুঈনঃ



আবহায় সপ্তাহে একদিন একটি নির্দিষ্ট স্থানে বাজার বসে। ঠিক অনেকটা আমাদের দেশের হাট-বাজারের মতো। আমাদের দেশের বাজার সাধারণত নদীর ধারে হয়। কিন্তু এখানে নদী পাবে কোথায়? তাই শহরের ভেতরে রাস্তার উপরে বাজারটি বসে। এই বাজারটিকে “সুক তালাতা” বলা হয়। মানে - মঙ্গলবারের বাজার।



সুক তালাতায় এমন কোন জিনিস নাই যে পাওয়া যায়না। হাড়ি পাতিল, বিভিন্ন মশলা, খেজুর, ক্ষেতের সব্জি, হাঁস, মুরগী- কি নেই? সাধারণত লোকাল অধিবাসীরাই (এদের গায়ের রং কালো) জিনিসপত্র বিক্রি করে থাকে। এই লোকালদের সবাই “বদু” বলে থাকে –বেদুঈনের সংক্ষিপ্ত রূপ। অনেক বদু মহিলাকে বাজারে বিভিন্ন মশলা ও ঔষধি গাছপালা নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়।



ছোট বেলায় আরব্য কাহিনীতে কতোই না বেদুঈনদের কথা জেনেছি। এক জায়গায় তারা বেশীদিন থাকে না। খেজুর গাছ আচ্ছাদিত মরূদ্যানে তাদের তাবু আর ভেড়ার পাল, একটু পানির জন্য হাহাকার। বিকালের মৃদু বাতাস- আমার চোখেও ঘুম এনে দিত। এখন আর পাক্কা বেদুঈনের দেখা পাওয়া যায় না। সৌদি আরবের পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের জীবনেও পরিবর্তন এসেছে। তারা এখন মার্সিডিজ অথবা ল্যান্ড ক্রুজার হাকায়। তাদের ছাগল চড়ানোর জন্য এখন কোন বাংলাদেশি বা ইন্ডিয়ান অমানুষিক পরিশ্রম করে। এত পরিবর্তনের মাঝেও তারা কিছু নিজস্ব আচার ধরে রেখেছে। তারা এখনো তাদের নিজস্ব পোশাক পরিধান করে। তাদের মাথায় থাকে গাদা ফুল ও সুগন্ধী একধরনের পাতা দিয়ে তৈরি মালা। গলায় হাতে বানানো স্কার্ফ। শরীরের উপরের অংশে শার্ট অথবা এ জাতীয় জামা। নীচের দিকে হাতে বানানো অনেক রঙ্গীন মোটা কাপড়ের লুঙ্গি থাকে। লুঙ্গীটার মাঝখানে কোন সেলাই থাকে না। জামাটা লুঙ্গীর ভেতরে ইন করে দেয়। কোমরে ওরা একটা ছুরি ঝুলায় যাকে জাম্বিয়া বলে। বদু’রা সাধারণত মেজাজী হয়, তাই ওদেরকে কেউ বিরক্ত করে না।



ছবিঃ ইন্টারনেট



এই লোকালরা তাদের হাইলাক্স গাড়ীতে করে মালামাল এনে অস্থায়ী দোকান খুলে বসে। আমি মাঝে মাঝে এখানে সব্জি ও মুরগী কিনতে আসি। দাম ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের চেয়ে অনেক কম থাকে। বিশেষ করে মুরগীর জন্য এই বাজারে আসি-পাহাড়ী বদু মুরগী, স্বাদে অনন্য। বেদুঈনদের মুরগী বলে একে বদু মুরগী বলে ডাকি। একেবারে দেশী মুরগীর স্বাদ।



এই মুরগীটার দাম ৯০০ টাকা



কিন্তু সমস্যা হল – সব্জি কখনো অল্প কেনা যায় না। পুরো ঝুড়ি ধরে কিনতে হয়। একবার আমি ১২ কেজি টমেটো কিনলাম মাত্র ১৫ রিয়ালে। আমরা মোটে দু’জন মানুষ, এত খাবে কে? অর্ধেকই নষ্ট করতে হল। এই বাজারে জ্যান্ত খরগোশ উঠে। যে খরগোশের ছাগলের পায়ের মতো খুড়া থাকে সেটা খাওয়া হালাল। আমি একদিন শাকিলাকে বললাম, “ একটা খরগোশ খাইতে মঞ্চায়”। শাকিলা সাফসাফ জানিয়ে দিল, “আর যাই করো, খরগোশ ঘরে আনতে পারবা না।” আমি বুঝি না- এত কিছু খাই, খরগোশ খেলে কি দোষ? আরো কয়েকজনকে পটানোর চেষ্টা করলাম-কেউ রান্না করবে কিনা। কিন্তু কেউ রাজী হল না।





(চলবে)



২য় পর্ব

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাল লাগলো আরো লিখুন

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

মধুমিতা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। পরের পর্ব শীঘ্রই।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২

আদম_ বলেছেন: বরাবরের মতই অসাধারণ। আরো পড়তে মুন্চায়।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৮

মধুমিতা বলেছেন: আমারো বেশী বেশী লিখতে মঞ্চায়। :-B সময় হয়ে উঠে না ....

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০০

তূর্য হাসান বলেছেন: বরাবরই আপনার লেখা ভালো লাগে। অনেক দিন বিরতির পর আবার নিয়মিত হচ্ছেন সেজন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৯

মধুমিতা বলেছেন: সামারের ছুটির কারনে একটু অনিয়মিত হয়ে গিয়েছিলাম। I am back now.

৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

জনাব মাহাবুব বলেছেন: বাজারের কিছু ছবি থাকলে আরো সুখপাঠ্য হতো।

তবে আপনার লেখা পড়ে আরবদের অনেক অজানা কাহিনী জানতে পারছি।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২০

মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। বাজারের ছবি হাতের কাছে পেলাম না। দেখি সামনে দিতে পারি কিনা।

৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

এইচ তালুকদার বলেছেন: পড়ে ভাল লাগলো

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২০

মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমি তো জানি খরগোস হালাল, তবে ছাগলের পায়ের মত খুর আছে এমন খরগোস পাওয়া যায় নাকি? থাকলে একটা ছবি দিয়েন তো।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১

মধুমিতা বলেছেন: আপনার কথা পড়ে অনেক খুঁজলাম, কিন্তু কোন ছবি পেলাম না। অনলাইনে দেখলাম- অনেকেই ধরনা পোষন করেন যে খুর সহ খরগোশ আছে। এটা অনেকটা মিথের মতো মনে হচ্ছে। আমাদের আবহায় যে খরগোশ উঠে তাদের পা গুলি বিড়ালের মতো। সেগুলোই খাওয়া হয় কিনা আমার জানা নাই। আমি খোঁজ নিব।

তবে এই লেখাটা বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছেঃ http://goo.gl/45O8JV

৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬

উধাও ভাবুক বলেছেন: নতুন কিছু জানা গেল।
শুভকামনা রইল।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

মধুমিতা বলেছেন: আপনাকেও শুভকামনা।

৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০০

ইমরান আশফাক বলেছেন: যা হোক, কোন প্রাণির পায়ের গঠনের উপর ভিত্তি করে হারাম-হালাল নির্ধারিত হয় না। কেননা শুকরের পা বিভক্ত ক্ষুর বিশিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানদের জন্য এর গোশ্ত খাওয়া হারাম করা হয়েছে।

আপনি যে লিংকটা দিয়েছেন সেটা অনুযায়ী খরগোস সম্পুর্ন হালাল। আপনাকে ধন্যবাদ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০০

মধুমিতা বলেছেন: তাইতো দেখছি। আপনার জন্য খোঁজ করতে গিয়ে আমিও অনেক কিছু জানলাম। ভালো থাকবেন।

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: পর্বটা পড়া ছিল না। সুযোগ করে পড়ে নিলাম। বদু কাহিনী কিছু পড়া ছিল। তবুও আপনার কাহিনীতে কিছুটা ভিন্ন স্বাদ পেলাম। জাম্বিয়া সম্বন্ধে জানলাম। খরগোশের মাংস খেতে পারলে আওয়াজ দিয়েন। হা হা হা
ভালো লাগলো পোস্ট মধুমিতা।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

মধুমিতা বলেছেন: খরগোশের মাংশ খাওয়ার একটা ট্রাই দেব শীঘ্রই। =p~
ভালো থাকবেন।

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: ওখানে গেলে সবজির চিন্তা করতে হচ্ছে না তাহলে!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২০

মধুমিতা বলেছেন: অঢেল সব্জি। কত খাবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.