নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Never Say Never Again

...

মধুমিতা

আমি তোমার কাছে পৌছতে পারিনি পথে হয়েছে দেরী। তবু আজো স্বপ্ন দেখি - বন্ধ দড়জায় কড়া নাড়ি ।। আমি এক অতি সাধারণ মানুষ, আড়ালে থাকতেই পছন্দ করি ...

মধুমিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানা অজানা-১ (লোহা যেভাবে পেলাম)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪





ভূমিকাঃ

আমার আগের একটি লেখাতে বলেছি সৌদি আরবে আসার পর ইসলাম ও তার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনা, ইতিহাস নিয়ে আমার ব্যাপক আগ্রহ জন্মে। পাশাপাশি আরবের ইসলাম পূর্ব জীবনধারা ও ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। আর এ কারনেই আদ, সামুদ জাতি নিয়ে পড়াশোনা করেছি, কখনোবা পিরামিড নিয়ে।



সৌদি আরবে “দাওয়া সেন্টার” নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ইসলামের দাওয়াত প্রচার করে থাকে। তারা বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত ইসলামের বইগুলি বিতরণ করে। সেখানে গিয়ে আমি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় অনুদিত বিভিন্ন গবেষণাধর্মী বইয়ের নাগাল পেয়ে যাই। আমি সবসময় পড়তে ভালোবাসি। আর এ ভালোবাসা আমাকে ইসলামের কিছু সুক্ষ্ণ সত্য খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে।



লিটু ভাই আমাকে প্রায়ই বলেন- আমার এ বিষয়ে বেশী বেশী লেখা উচিত। আমি বিভিন্ন সময়ে বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কিছু লেখা লিখেছি। কতকটা লিটু ভাইয়ের তাগাদা, নিজের ভেতরের সুপ্ত বাসনা, আর সবাইকে জানানোর প্রত্যয়ে এই “জানা অজানা” সিরিজটি শুরু করছি।



পৃথিবীতে লোহা’র আগমন:



পবিত্র কোরআনের ৫৭ নম্বর সূরাটি হচ্ছে “আল হাদীদ”। হাদীদ মানে হচ্ছে “লৌহ” বা “লোহা”। মদীনায় অবতীর্ণ ২৯টি আয়াতের এ সূরাটিতে “লোহা” সম্পর্কে বলা হয়েছে মাত্র ১ টি আয়াতে, অথচ পুরো সূরাটির নামকরণ লোহা’র নামে। এ থেকেই এই সূরাটির সূক্ষ্ণ গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়।



৪র্থ আয়াতে আমরা পাই-

“ .... তিনি জানেন যা কিছু ভূমিতে প্রবেশ করে ও যা কিছু তা হতে বের হয় এবং আকাশ হতে যা কিছু নামে ও আকাশে যা কিছু উত্থিত হয় ..." (৫৭:০৪)



২৫ নম্বর আয়াতে গিয়ে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয় যেখানে পুরো সূরাটিতে একবার মাত্র “লৌহ” সম্পর্কে বলা হয়েছে।

“ ... আর আমি নাযিল করেছি লৌহ, যাতে আছে প্রচন্ড শক্তি ও রয়েছে মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ; ...” (৫৭:২৫)

... And We sent down iron in which there lies great force and which has many uses for mankind, ... (Surat Al-Hadid, 25)



লোহা সম্পর্কে বলতে গিয়ে পবিত্র কোরআনে “আনযালনা” শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে যার অর্থ নাযিল করা/ অবতীর্ণ করা (to send down)- এমন কিছু যা উপর থেকে আসে বা আকাশ থেকে পতিত হয়।





আমাদের বিষ্ময়ের সীমা থাকে না যখন জানতে পারি-বিংশ শতাব্দীতে এসে বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেয়েছে যে লোহা পৃথিবীতে তৈরি হয়নি, লোহা মহাকাশ হতে এসেছে। বস্তুতঃ লোহা আমাদের সৌরজগতেই তৈরি হয়নি, লোহা এসেছে অন্যকোন সোলার সিস্টেম হতে। আমাদের সূর্যের কেন্দ্রস্থ তাপমাত্রা ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ লোহা উৎপন্ন হবার জন্য প্রয়োজন কম বেশী ১০০ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস। যখন কোন নক্ষত্রের নিউক্লিয়ার ফিউশন এতটাই বেড়ে যায় অথবা নক্ষত্রের গ্রাভিটিশনাল কলাপ্স ঘটে তখন নক্ষত্রটি বিষ্ফোরিত হয় যাকে আমরা সুপারনোভা বলে জানি।

আর এধরনের কোন এক সুপারনোভার কারনেই অন্যকোন সোলার সিস্টেম হতে আমাদের পৃথিবীতে লোহা এসেছে।





“ .... তিনি জানেন যা কিছু ভূমিতে প্রবেশ করে ও যা কিছু তা হতে বের হয় এবং আকাশ হতে যা কিছু নামে ও আকাশে যা কিছু উত্থিত হয় ..."(৫৭:০৪)



আমাদের জ্ঞানের বহুমুখী সম্প্রসারণের আগেই পবিত্র কোরআন তারই ঘোষণা দিচ্ছে।



পৃথিবীর এই পরিমিত পরিমান লোহা আমাদের ম্যগনেটিক ফিল্ডগুলো তৈরি করেছে। যার সাহায্যে আমাদের ওযোনস্তর গঠিত হয়েছে। আর ওযোনস্তর আমাদেরকে কিভাবে সৌর ঝড় ও অন্যান্য কসমিক রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করছে তা আমরা কম বেশী সবাই জানি।

“ ... আর আমি নাযিল করেছি লৌহ, যাতে আছে প্রচন্ড শক্তি ও রয়েছে মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ; ...” (৫৭:২৫)



আরো অবাক হয়ে যাই যখন একই সূরার ২য় আয়াতে পাই-

"আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর কর্তৃত্ব তাঁরই; তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান; তিনি সবকিছু করতে সক্ষম।" (৫৭:০২)



প্রথম অংশে একাধিক মহাকাশ সম্পর্কে বলা হয়েছে। আমরা জানি লোহা আমাদের সৌরজগতের নয়। এটা এসেছে অন্যকোন সোলার সিস্টেম হতে।

একাধিক মহাকাশ সম্পর্কে বলার পর ঘোষণা করা হচ্ছে- “তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান;”

কার বা কিসের জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান? –নক্ষত্রের? সুপারনোভার মাধ্যমে যেমন নক্ষত্রের মৃত্যু ঘটে, তেমনি নতুন নক্ষত্রের জন্মও হয়। আর সুপারনোভা’র কারনেই লোহা’র উৎপত্তি।



একটু ভেবে দেখবেন কি? প্রশ্নটা আপনাদের কাছেই রইল।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: বাহ্, সত্য কথা বলতে কি আপনি আমার মাথা আউলাইয়া দিছেন। আপনি এই ধরনের গবেষনাধর্মী পোস্ট আরেকটু নিয়মিত দিবেন। সেই কবে পিরামিড সংক্রান্ত পোস্টগুলি দেখেই আপনাকে অনুসরন করা শুরু করে দিয়েছি।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

মধুমিতা বলেছেন: একটু ভালোভাবে চিন্তা করলে অনেক প্রশনেরই উত্তর পাওয়া যাবে। এখন থেকে এ ধরনের বিষয়ে নিয়মিত লিখব ইনশাল্লাহ।

ভালো থাকবেন।

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:০১

জাফরুল মবীন বলেছেন: পৃথিবীতে লোহার অাদি উৎস্য নিয়ে আপনি যা বলেছেন তার সাথে তীব্রভাবে সহমত পোষণ করছি।

অসাধারণ এই আর্টিকেলটি প্রিয়তে নিলাম।

আপনার কাছ থেকে এ ধরণের আরও আর্টিকেল অাশা করছি।

ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

মধুমিতা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

সামনে আরো লিখতে চেষ্টা করব।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫০

পাপা জী বলেছেন: সুরা হাদিদ কোরান শরীফের একটি beautiful সুরা। youtube এ সুরা হাদিদ এর একটা তাফসির এ শুনেছিলাম আল্লাহ সুবহানাহুতালা সম্ভবত উল্কা পিন্ডের মাধ্যমে পৃথিবীতে লোহা সেন্ড করেছিলেন। সুপারনোভা theory scientifically makes more sense। জাস্ট গুগল করে এই interesting আর্টিকেল টা পেলাম -Gold on Earth formed in collision of exotic star
COLLIDING STARS CREATE BLING

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

মধুমিতা বলেছেন: আপনার লিংকটি দেখলাম- ইন্টারেস্টিং।

ভালো থাকবেন।

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:০২

সোহেল মাহমুদ বলেছেন:

লোহার আদি উৎস সুন্দর লিখেছেন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৪

মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৩৭

লিমন আজাদ বলেছেন: অসাধরন লেখা। বাকি সবার মতো আমিও আশা করছি নিয়মিত বিরতিতে আপনার লেখা পাবো।

পোস্ট প্রিয়তে। :)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬

মধুমিতা বলেছেন: সামনে আরো লিখতে চেষ্টা করব।

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫১

কসমিক রোহান বলেছেন: জাঝাকাল্লাহ । অসাধারণ লেখা । ++ প্রিয়তে

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬

মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

মাফতুন বলেছেন: ভাই, আপনার সাথে কিছু কথা ছিল। আমার ই মেইল [email protected]. If you have some time, please write. I will ask for some advice.
Thank you.

৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ।
লোহার আদি উৎস সম্পর্কিত আপনার লেখাটা কোরান ভিত্তিক।
একমত।
বিশ্লেষণী পোস্টে ভালো লাগা।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১১

মুদ্‌দাকির বলেছেন:

সুন্দর করে লিখেছেন। মশাআল্লাহ!!

সবাই বলে জীবনের জন্য পানি অপরিহার্য, কিন্তু কেউ বলে না যে এই পৃথিবীর জীবনের জন্য লোহাও অপরিহার্য। জীব কোষের যে মাইটোকন্ড্রিয়া শক্তি উৎপন্ন করে, তার সাইটোক্রোম সিস্টেম লোহা ছাড়া হয় না। অর্থাৎ জীব কোষের বা জীবের শক্তির আধার হচ্ছে এই লোহা। ভাইরাসের মাইটোকন্ড্রিয়া নেই বলে ভাইরাস জীব না জড় তা নিয়ে আমরা আজও কনফিউজড। আর এই লৌহ শক্তি নাই বলেই ভাইরাসের সবসময় অন্য জীবকোষের উপরে নির্ভর করতে হয়। !!! যেই লোহা দিয়ে আমরা কামান, কামানের গোলা, বন্দুক, বন্দুকের গুলি, যুদ্ধ জাহাজ আর উচুঁ উঁচু দালান বানাই সেই লোহাই আমাদেরও শক্তির আধার , ২৫ নং আয়াতে পরক্ষ ভাবে সেই কথাটাও আছে।

লৌহ ছাড়া কোন জীব কোন রকমের শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম নয়।

আসসালামুয়ালাইকুম !!

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

মধুমিতা বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: আপনার প্রতিটি লেখাই যুক্তির আলোকে সত্যের দিশারী। ভাল লেগেছে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

মধুমিতা বলেছেন: অনেক ভালোলাগা।

১১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

সুলতানা রহমান বলেছেন: ভাল লাগলো জেনে। ধন্যবাদ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

মধুমিতা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

মধুমিতা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.