নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Never Say Never Again

...

মধুমিতা

আমি তোমার কাছে পৌছতে পারিনি পথে হয়েছে দেরী। তবু আজো স্বপ্ন দেখি - বন্ধ দড়জায় কড়া নাড়ি ।। আমি এক অতি সাধারণ মানুষ, আড়ালে থাকতেই পছন্দ করি ...

মধুমিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

Song of Solomon-৪ (জানা অজানা-৫)

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯





Song of Solomon-১

Song of Solomon-২

Song of Solomon-৩



ওরাকা ইবনে নওফাল:



ওরাকা ইবনে নওফাল একজন আরব খ্রীষ্টান ছিলেন। তিনি ছিলেন হিব্রু ভাষার পন্ডিত ব্যক্তি এবং সবাই তাকে শ্রদ্ধা করত। তিনি তার সময়ের শ্রেষ্ঠ খ্রীষ্টিয় স্কলার ছিলেন। মুহাম্মদ (সাঃ) যখন হেরা গুহায় প্রথম ওহী পান, তিনি হতবিহ্বল হয়ে যান। এ অভাবিত ঘটনার পর তিনি বাড়িতে চলে আসেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। খাদিজা (রাঃ) কে বিস্তারিত জানালে, তিনি মুহাম্মদ (সাঃ) কে খাদিজা’র চাচাত ভাই ওরাকা ইবনে নওফালের কাছে নিয়ে যান।



সে সময় ওরাকা ইবনে নওফাল বয়সের ভারে ক্লান্ত এবং দৃষ্টিহীন হয়ে পড়েছিলেন। সব শুনে ওরাকা বলেন যে, ওহী বাহক ছিল জিব্রাইল (আঃ) যেমনটা মুসা (আঃ) এর কাছে এসেছিল। তিনি আফসোসের সুরে বলেন, “আমি যদি যুবক থাকতাম!”



খাদিজা জিজ্ঞাসা করলেন, মুহাম্মাদ সম্পর্কে পূর্ববর্তী কিতাবগুলোতে কী বলা হয়েছে? ওরাকা বললেন : আমি পূর্ববর্তী কিতাবগুলোতে পড়েছি যে, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ একজন নবী পাঠাবেন যিনি ইয়াতিম,তিনি আশ্রয় দেবেন এবং কারো মুখাপেক্ষী হবেন না। তিনি হবেন সর্বশেষ নবী। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। আমার কাছে যে ঘটনাটা তুমি বলেছো তা যদি ঘটে থাকে, তাহলে জিব্রাঈল যা বলেছে তা আল্লাহর ওহী। আর মুহাম্মাদ হলো আল্লাহর নবী। তুমি মুহাম্মাদকে বলো সে যেন তার কাজে দৃঢ় ও সুস্থির থাকে।



Song of Solomon এর কথা বলতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমেই পাদ্রী বাহিরা, সালমান ফারসি ও ওরাকা ইবনে নাওফাল এর ঘটনাগুলি বর্ণনা করতে হল। আল কোরআন পূর্ববর্তী দৈব কিতাবগুলোতে নিশ্চিতভাবেই একজন সর্বশেষ নবী’র আগমনের কথা বলা হয়েছিল। ইহূদী ও খ্রীষ্টান পন্ডিতরা তা ভালোভাবেই জানতেন। তাই উপরিউক্ত তিনজন মুহাম্মদ (সাঃ) কে চিনতে পেরেছিলেন। যেমন আমরা জানি কেয়ামতের আগে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত হয়ে আবার ঈসা (আঃ) আসবেন।



যাদেরকে আমি কিতাব প্রদান করেছি,তারা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে এরূপভাবে চিনে, যেমন চিনে তারা আপন পুত্রদেরকে এবং নিশ্চয়ই তাদের এক দল জ্ঞাতসারে সত্যকে গোপন করছে। (আল কোরআন ২:১৪৬)



এই কোরআন তো বিশ্ব-জাহানের পালনকর্তার নিকট থেকে অবতীর্ণ।(আল কোরআন ২৬:১৯২)

নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে। বনী-ইসরাঈলের পন্ডিতরা এটা অবগত আছে-এটা কি তাদের জন্যে নিদর্শন নয়?(আল কোরআন ২৬:১৯৬-১৯৭)




মদীনাবাসি সবসময়ই ইহূদীদের কাছে শুনত যে, আরব অঞ্চলে একজন নবী আসবে। ইহূদীরা সেই নবীর জন্য অপেক্ষা করছিল। ইহূদীরা সেই নবীকে মান্য করবে এবং তাদের শত্রুরা ধ্বংস হয়ে যাবে যেভাবে আ’দ জাতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।



কিন্তু কি এমন ঘটল যে – হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর ইহূদীরা আস্থা আনল না? সত্য নবী জানা স্বত্ত্বেও কয়েকজন ব্যতীত তাকে অস্বীকার করল?



ইহূদীরা আশা করছিল-শেষ নবী আসবে বনী ঈসরাইল হতে, হযরত ইসহাক/ ইয়াকুবের বংশধারায়। কিন্তু হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জন্ম নিলেন হযরত ইসমাইলের বংশধারায়। ইহূদীরা এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি। তারা কি দাসী হাজেরা’র ছেলে ইসমাইলের বংশের নবীকে তাদের নবী বলে মানতে পারে?



রক্তের অহমিকায় তারা সত্যকে অস্বীকার করল।



যখন তাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে কিতাব এসে পৌঁছাল,যা সে বিষয়ের সত্যায়ন করে,যা তাদের কাছে রয়েছে এবং তারা পূর্বে করত। অবশেষে যখন তাদের কাছে পৌঁছল যাকে তারা চিনে রেখেছিল,তখন তারা তা অস্বীকার করে বসল। অতএব,অস্বীকারকারীদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত।(আল কোরআন ২:৮৯)





(আগামী পর্বে সমাপ্য)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: হুমম্। B:-)

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯

জাফরুল মবীন বলেছেন: প্রথম পর্ব পড়ার পরই বেশ আগ্রহ তৈরী হয়েছিল বিস্তারিত জানার।আর সেটা অাপনি প্রায় নিখুঁতভাবে মিটিয়ে যাচ্ছেন।

চমৎকার একটা সিরিজ লেখা চলছে।

অভিনন্দন ও ধন্যবাদ আপনাকে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও। আগামী পর্বে শেষ করে দেব।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৮

আজমান আন্দালিব বলেছেন: পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় ...

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৮

মধুমিতা বলেছেন: শীঘ্রই...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.