নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Never Say Never Again

...

মধুমিতা

আমি তোমার কাছে পৌছতে পারিনি পথে হয়েছে দেরী। তবু আজো স্বপ্ন দেখি - বন্ধ দড়জায় কড়া নাড়ি ।। আমি এক অতি সাধারণ মানুষ, আড়ালে থাকতেই পছন্দ করি ...

মধুমিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাৎ বৃষ্টি-২ (আরব ডায়েরি-১০৩)

১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:০২



১ম পর্ব

আমরা হাবালা চলে এসেছি। পাহাড়ের খাদের কিনারে অনেক গাড়ী দেখা যাচ্ছে। সৌদিরা কি যেন দেখছে। গাড়ী হতে বের হতেই পানি পড়ার আওয়াজ কানে এল। খাদের এক জায়গায় মেঘের মতো তৈরি হয়েছে। আযম ভাই ও আমি পায়ে হেটে রওনা দিলাম। পাহাড়ের কিনারে তারের বেড়া দেয়া। কাছে যেতেই আমাদের চোখদুটো বড় হয়ে গেল। ইন্টারনেটের ভিডিওটিতে পাশাপাশি ৩টি ঝর্ণা দেখেছিলাম। কিন্তু মনের মাঝে একটু সন্দেহ ছিল। সেই ঝর্ণার খোঁজে বের হয়ে অবশেষে দেখা পেলাম। -অবিশ্বাস্য, মায়াবী, ঐন্দ্রজালিক। যাদুবাস্তবতায় মোহবিষ্ট রইলাম কিছুক্ষণ।





বৃষ্টি কম থাকায় আজ প্রবলবেগে ১টি ঝর্ণা প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা ঝর্ণার উৎসের খোঁজে বের হলাম। পাহাড়ের উপরের পানিগুলো একসাথ হয়ে একটি ছোট খালের মতো তৈরি হয়েছে। আর সেই পানি প্রচন্ড স্রোতের সাথে পাহাড় হতে নীচে পড়ছে। আযম ভাই সাহসী মানুষ। তিনি লাফিয়ে ঝর্ণার মুখে চলে গেলেন। আমি যদি না যাই, মান সন্মান নিয়ে টানাটানি। আমিও ওনাকে অনুসরন করলাম। কাছ থেকে খরস্রোতা ঝর্ণাটিকে অনুভব করলাম।







এটুকু দেখেই আজ আমি তৃপ্ত। কিন্তু আজ আরো কিছু দেখার আছে। আমরা সুদা’র দিকে চললাম। রাস্তায় শাহরিয়ার ভাই তার ফ্যামিলি সহ আমাদের সাথে জয়েন করলেন। সুদা’য় একটি বাঁধ আছে। বৃষ্টিতে নিশ্চয়ই তা উপচিয়ে পড়ছে। আল সুদা হচ্ছে সৌদি আরবের উচ্চতম জায়গা। সেখানে পৌছতেই তীব্র শীত গায়ে ঝাপটা দিল। ওখানে অনেকেই ভীড় করেছিল, সবাই উপচে পড়া বাঁধটি দেখছিল।



আমি জানতাম আশে পাশে আরেকটি লেক ও বাঁধ আছে। গুগুল ম্যাপে দেখেছিলাম। আযম ভাইকে বলতেই তিনি তা খুঁজে বের করতে রাজী হয়ে গেলেন। আমি গুগুল ম্যাপ দেখে নির্দেশনা দিচ্ছি, আযম ভাই ড্রাইভ করছে। মিনিট দশেকের মাঝে আমরা বাঁধটি পেয়ে গেলাম। আমরা পাহাড়ের উপরে। নীচের বাঁধটি দেখে সবাই স্বীকার করল- এখানে আসার কষ্টটি বৃথা যায়নি। আমরা বাঁধের গোড়ায় চলে গেলাম। একস্থানে কিছু কংক্রিটের স্লাব দেয়া ছিল, তার চার পাশ দিয়ে পানি যাচ্ছে। আমরা স্লাবে উঠলাম। প্রবাহিত পানির মাঝে আমরা ক’জনা সন্ধ্যার আলো আধারিতে দাঁড়িয়ে আছি। ক্ষণিকের জন্য ভুলে গেলাম আমরা আরবে আছি।



একটি প্রফেসি’র কথা না বললেই নয়। ১৪০০ বছর আগেই মোহাম্মদ (সাঃ) বলে গিয়েছিলেন আরব উপদ্বীপ সবুজ হয়ে যাবে এবং এখানে নদী প্রবাহিত হবে। তার কিছু নমুনা আজ নিজ চোখে দেখলাম। আমাদের জন্য এগুলো নিদর্শন সরূপ। সময় হয়তো ঘনিয়ে এসেছে।

একসময় টুপ করে সূর্য্য ডুবে গেল। ফিরতি পথ ধরলাম। সবার চোখে মুখে তৃপ্তি খেলা করছিল।



(শেষ)




মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর! সত্যি সৌদি আরবে যে এত প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য থাকতে পারে জানা ছিলো না। মধুমিতা ভাই আপনার কল্যানে কত কিছু যে জানা হলো! সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।!

বাই দ্য ওয়ে, এই ড্যাম কেন তৈরী করা হয়েছে?

১১ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

মধুমিতা বলেছেন: সৌদি আরবর প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য্য বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। আমরা এতদিন জানতে পারিনি, কারন আমরা সেই চোখে চারপাশটা দেখিনি।

বাঁধগুলো খরস্রোতা পাহাড়ী ঢল থেকে গ্রামগুলোকে বাঁচানোর জন্য বানানো হয়েছে। এখানে যখন বৃষ্টি হয় তখন কোন কিছু মানে না। সামনে যা পায় শেষ করে দেয়। পাশাপাশি প্রয়োজনের সময় এখান থেকে পানি নিয়ে পাহাড়ে ফসল ফলানো হয়।

সময় করে আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

ব্যাক ট্রেইল বলেছেন: অবিশ্বাস্য, মায়াবী, ঐন্দ্রজালিক। আমারো দেখতে ইচ্ছে করছে।

মধুমিতা দেখে আমি কিন্তু বোনই মনে করছিলাম, কাভা ভাই বললেন, ভাই। :)

১১ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

মধুমিতা বলেছেন: আসলেই প্রথম দেখাতে চারপাশটা মায়াবী মনে হয়েছিল। মধুমিতা- আমার এলাকার একটি রোডের নাম। তাই নামটি নিয়েছিলাম
আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৫২

তৌফিক মাসুদ বলেছেন: আমিও জানতামনা আরবে ঝরনা থাকতে পারে, জানলাম দেখলাম।

শুভকামনা আপনাকে ।

১১ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

মধুমিতা বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা। আরবে ঝর্ণা আছে, এখানে শীতকালে বরফও পড়ে।

৪| ১১ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

দ্য েস্লভ বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়রান। অনেক ভালো লাগল। পরের পর্বের অপেক্ষায়

১১ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১১ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:২০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লাগল। অনেক সুন্দর পোষ্ট।

১১ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১১ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮

মুসাফির নামা বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল,ধন্যবাদ।

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

মধুমিতা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৭| ১১ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

হাসান রাজু বলেছেন: শেষে আইসা ভয় দেখালেন !

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

মধুমিতা বলেছেন: চারপাশ দেখে মনে হয় সময় সন্নিকটে। ভায় পাবারই কথা।

৮| ১১ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৩২

রিপি বলেছেন: আসলেই অদ্ভূত সুন্দর। অনেক কিছুই জানা হলো।

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

মধুমিতা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৯| ১১ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:১২

শামছুল ইসলাম বলেছেন:
//একটি প্রফেসি’র কথা না বললেই নয়। ১৪০০ বছর আগেই মোহাম্মদ (সাঃ) বলে গিয়েছিলেন আরব উপদ্বীপ সবুজ হয়ে যাবে এবং এখানে নদী প্রবাহিত হবে। তার কিছু নমুনা আজ নিজ চোখে দেখলাম। আমাদের জন্য এগুলো নিদর্শন সরূপ। সময় হয়তো ঘনিয়ে এসেছে।//


সুন্দর ছবি এবং বর্ণনা।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

মধুমিতা বলেছেন: আরবের বিভিন্ন দিকে এখন সবুজের ছোঁয়া। ...... আপনিও ভালো থাকুন।

১০| ১২ ই মে, ২০১৬ রাত ২:৪০

মোঃমোজাম হক বলেছেন: সত্যি বলতে কি হাবালা আর সুদা নিয়ে আমার আগ্রহ অনেক।আপনার সুলেখনীতে সব কিছু জানাবেন :)

নীচের ছবিতে ড্যামের পাদদেশে কিছু গাড়ি দেখা যাচ্ছে।সেখানে নেমেছিলেন?

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

মধুমিতা বলেছেন: আপনিতো সময়ের কারনে যেতেই পারেননি।.... হাবালা অনেক সুন্দর। আমার সাথে কয়েকজন দুঃসাহসী বন্ধু ছিলেন, তাদের কারনে বাঁধের গোড়ায় যেতেই হয়েছে। কিন্তু উপভোগ্য ছিল অনেক।

ভালো থাকবেন।

১১| ১২ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৫৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: নাহ্, আভা এলাকাটা সৌদি আরবের অন্যান্য এলাকা থেকে সম্পূর্ন অন্যরকম। আমি জায়গাটা মিস করলাম। আমি ছিলাম হায়েল এলাকায়।

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১

মধুমিতা বলেছেন: হুম, মিস করার মতোই জায়গা। আবহা দেখলে জায়গাটাকে আরব মনে হবে না। আমার হাইল যাওয়া হয়নি, অনেক শুনেছি হইলের কথা।

১২| ১২ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রফেসিতো মিথ্যা হতে পারে না!!!!!!!!!!!! :)

দারুন ভ্রমনে কৃতজ্ঞতা

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

মধুমিতা বলেছেন: প্রফেসি একে একে সত্য হচ্ছে, বাকীগুলোও সত্য হবে। আপনাকে ধন্যবাদ।

১৩| ১২ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
আ আরবে ঝরনা থাকতে পারে জানা ছিল না। আজ জানলাম এবং দেখলাম।

ধন্যবাদ আপনাকে । :)

১২ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

মধুমিতা বলেছেন: এগুলো বৃষ্টির কারনে সাময়িক ঝর্ণা, তাও বা কম কিসে? আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৪| ১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৪৬

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনি এত পুরাতন ব্লগার কিন্তু আপনার পোষ্ট গুলো চোখে পড়ে নি কেন সেটা ভেবে পাচ্ছি না। পূর্বে আপনার কোন ব্লগে মন্তব্য করেছি কি না সেটাই মনে করতে পারতেছি না। আজকে চোখে পড়ার পরে পুড়োই আক্কেল গুড়ুম অবস্হা। দারুন হচ্ছে সিরিজটা। ৫ টা পর্ব শেষ করে এসে মন্তব্য করলাম। বুঝছি এই সপ্তাহটা আপনার ব্লগ পইড়াই শেষ করতে হবে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি কি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে? থাকলে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে? প্রথম মন্তব্যেই ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাইলাম বলে আগেই ক্ষমা চাইয়া নিলাম।


১৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

মধুমিতা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমি আসলে এই ব্লগের সবচেয়ে নিভৃতচারী ব্লগার। কষ্ট করে মাসে ১/২ টা পোস্ট দেই। তবে ব্লগের লেখাগুলো পড়ি, কিন্তু কমেন্ট করতে আলস্য বোধ করি। তাই হয়তো চোখে পড়িনি।

আপনার লেখা কিন্তু আমি পড়েছি। স্যামন মাছের লেখাটা পড়ে এমন করে রাঁধতে মন চেয়েছে। আমি কিং খালিদ ইউনিতে আছি।
ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.